Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Anurag Thakur: ‘‘মমতার নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা’’, রাজ্যে এসে বললেন অনুরাগ

    Anurag Thakur: ‘‘মমতার নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা’’, রাজ্যে এসে বললেন অনুরাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় এফআইআর দায়ের করল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবারই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। তার পরেই দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। শনিবার রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তিনি নিশানা করেন টিম ইন্ডিয়াকেও।

    ভোট-সন্ত্রাস নিয়ে নিশানা মমতাকে 

    শনিবার রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। প্রথমে কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ মঠে যাওয়ার কথা রয়েছে অনুরাগের। তারপর খানাকুলে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এসেই পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তৎপরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন। তিনি বলেন,  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা। মমতার নির্দেশে বাংলায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। রাজনৈতিক লাভের জন্য ৮-৯ বছর ধরে সমাজবিরোধী ও অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছেন তিনি। এর জবাব মানুষ ভোটের মাধ্যমে দিয়েছে। বিজেপির আসন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।”

    অনুরাগের নিশানায় ‘ইন্ডিয়া’, অধীর

    এদিন রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বিমানবন্দরে নেমেই নিশানা করেন ‘ইন্ডিয়া’কে। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের মণিপুরে যাওয়া লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়।” অধীরের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, নির্বাচনে মানুষের রক্ত ঝরেছে, মৃত্যুও হয়েছে। কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলগুলির নেতারা কি পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি দেখতে আসবেন? কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় তাদের নেতার উদ্দেশে আমার এই প্রশ্ন। নিজের রাজ্যেও কি আপনাদের জোটের বাকি সাংসদদের নিয়ে আসবেন আপনি? যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বাড়িতেও নিয়ে যাবেন তো?”

    মণিপুরে ‘ইন্ডিয়া’

    এদিকে, শনিবারই মণিপুরে গিয়েছে টিম ‘ইন্ডিয়া’। ‘ইন্ডিয়া’র ২১ সাংসদের এক প্রতিনিধি দল গিয়েছে মণিপুরে। এই দলে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, রাজ্যসভার সাংসদ তৃণমূলের সু্স্মিতা দেবও। রাজ্যে তৃণমূলের ঘোর শত্রু কংগ্রেস। তৃণমূলের সুস্মিতা দেবের সঙ্গে সেই কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী মণিপুর যাওয়ায় উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা। 

    “সভ্য সমাজের লজ্জা”

    ৪ মে মণিপুরের কঙ্গপোকপি জেলায় দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে এলাকায় ঘোরানো হয়। গণধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে এই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। যদিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ঘটনাটি জানাজানি হতেই দেশজুড়ে শুরু হয় হইচই। বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। অভিযুক্তদের পাশাপাশি যিনি ভিডিও করেছিলেন, তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ফোন। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি বলেন, “এই ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের লজ্জা।” এই ঘটনায় শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্ত। 

    আরও পড়ুুন: প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ৫০ শতাংশ আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আইপ্যাক-কে ১৫২ কোটির টেন্ডার পাইয়ে দিতে দুর্নীতি করেছেন মমতা’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘আইপ্যাক-কে ১৫২ কোটির টেন্ডার পাইয়ে দিতে দুর্নীতি করেছেন মমতা’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ইস্যুতে ফের রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর দাবি, ‘ওয়েবেলের থেকে নিয়ে ডব্লুটিএলকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।’ মোট ১৫২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। ‘আইপ্যাককে ১৫২ কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর’, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠিও পাঠিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘গ্রিভান্স সেলের পরিকাঠামো তৈরির জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েকটি সংস্থা টেন্ডার প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করে। দিল্লির একটি সংস্থা নিয়মমাফিক টেন্ডার পায়। কিন্তু পছন্দের সংস্থা না হওয়ায় স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে টেন্ডার বাতিল করতে বলা হয়। কিন্তু তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের আধিকারিকরা তা করতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু পরবর্তী সময় আইপ্যাক ঘনিষ্ঠ সংস্থা দায়িত্ব পায়। আমার ধারণা এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী যুক্ত।’

    প্রমাণিত চুরি

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘এটা প্রমাণিত চুরি, সব তথ্যপ্রমাণ আছে। জনগণের করের টাকা কারচুপি হয়েছে। এই ১৫২ কোটি টাকা তৃণমূলের কাছ গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংসের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল।’ এই নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে নথি চেয়ে পাঠানো উচিত রাজ্যপালের, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর আরও দাবি, ‘ইডি বা আয়কর দফতরকে নিয়ে তদন্ত করানো হোক। চাইলে আদালত কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারে। এই দুর্নীতির সাফাই দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এটা প্রমাণিত দুর্নীতি, এই নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।’

    আরও পড়ুুন: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    এদিন আরও এক বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমাকে এই নথি বড়বড় আইএএস অফিসাররা দিয়েছেন। সরকারে সবাই অসৎ এমনটা নয়।’ এই ‘দুর্নীতি’-র বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘রাজ্যপাল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান। উনি আজ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে কথা বলেছেন বলে শুনলাম। আশা করব রাজ্যপাল আমার অভিযোগ পেয়েছেন। আপনার কাছে অনুরোধ মুখ্যসচিবকে বলে যাবতীয় নথি আনান। নথি খতিয়ে দেখে যদি কোনও সত্যতা পান, তবে সরকারকে ইডিকে দিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ করুন। এটা জনস্বার্থের বিষয়। দরকার হলে কয়েকদিন বাদে আইনত ব্যবস্থা নেব।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Dengue Outbreak: ‘‘ডেঙ্গি আসছে বাংলাদেশ থেকে’’! রাজ্যে প্রকোপ বাড়তেই সাফাই মমতার

    West Bengal Dengue Outbreak: ‘‘ডেঙ্গি আসছে বাংলাদেশ থেকে’’! রাজ্যে প্রকোপ বাড়তেই সাফাই মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্যে শুরু ডেঙ্গির (West Bengal Dengue Outbreak) প্রকোপ। সরকারের পেশ করা হিসেব অনুযায়ী, গত ২ সপ্তাহে ডেঙ্গিতে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। বেসরকারি মতে এ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। কিন্তু, কেন বর্ষা নামতেই রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়ে গেল কেনই বা, গত বছরের থেকে শিক্ষা নিল না রাজ্য প্রশাসন (West Bengal Health Department)?

    ডেঙ্গি নিয়ে কী সাফাই প্রশাসনের?

    এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেই নিরিখে, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করেন, রাজ্যে ডেঙ্গি (West Bengal Dengue Outbreak) সমস্যা প্রধানত এসেছে বাইরে থেকে। তাঁর মতে, ডেঙ্গি সমস্যা আসছে বাংলাদেশ থেকে। তিনি জানান, মূলত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় ডেঙ্গির বেশি প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ তত্ত্ব শোনাচ্ছেন, সেখানে জেলা প্রশাসন আবার পঞ্চায়েত ভোটকে ঢাল হিসেবে খাড়া করছে। প্রতিবারের মতো, এবছরও ডেঙ্গির প্রকোপ ধরা পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। সেই জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের আবার দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ব্যাহত হয়েছে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবিকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতে, তাহলে তো এখন বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠানো উচিত। সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওঁর উচিত অবিলম্বে চার্টার্ড বিমান নিয়ে ঢাকা যাওয়া। সঙ্গে ক্যানিংয়ের শওকত মোল্লা, ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম, ফলতার জাহাঙ্গিরদের নিয়ে যাবেন। কারণ, সীমান্ত এলাকায় এঁরা কাজকর্ম করেন, কে কী ভাবে ঢুকবে না ঢুকবে, নিয়ন্ত্রণ করেন। ডেঙ্গি বাংলাদেশ থেকে এলে এঁদেরও ব্যাপারটা দেখা উচিত। এই প্রতিনধিদল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে!’’

    এদিকে, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে (West Bengal Dengue Outbreak) দুই পর্যায়ে বৈঠক করল রাজ্য সরকার। প্রথমে, সব জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতালের সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। পরে বিকেলে সব জেলা-কর্তাদের সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এর পরই, রাজ্যের তরফে ডেঙ্গি মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়। হাসপাতালগুলি ও চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন (West Bengal Health Department)।

    আরও পড়ুন: দশ হাজারের নিচে নামলে তবেই প্লেটলেট! ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নয়া নির্দেশিকায় বিতর্ক

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা রাজ্যের

    নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, পরীক্ষার বিষয়টাতে এতটাই জোর দিতে হবে যাতে কোনও ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার ঘটনা চোখ এড়িয়ে না যায়, পরীক্ষায় যেন দেরি না হয়। প্রত্যেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর হিসেব রাখা হয়। ডেঙ্গি পরীক্ষার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২ থেকে ৭ দিন জ্বরে অসুস্থ থাকলেও পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়া মাথা ব্যাথা, রক্তক্ষরণ, দেহে র‌্যাশ বেরনোর মতো উপসর্গ থাকলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক বলে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। অর্থাৎ মশাবাহিত এই দুই রোগ নিয়ে যাতে কোনও রকম গা ছাড়া মনোভাব না দেখা যায়, সে ব্যাপারেই সতর্ক করেছে রাজ্য।

    বৈঠকে স্থির হয়েছে, প্রতিটি হাসপাতালে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ‘ফিভার ক্লিনিক’ চালু রাখতে হবে সর্বক্ষণ। সেটি দেখাশোনার দায়িত্ব এক জন সহকারী সুপারের। জেলায় ডেঙ্গি দমনে ৯০০০ চিকিৎসক, প্যারা মেডিক্যাল কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, হাসপাতালগুলি এবং ব্লাড ব্যাঙ্কে অণুচক্রিকার (প্লেটলেট) জোগানে যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে। রাজ্যের যে সব হাসপাতালে ডেঙ্গি (West Bengal Dengue Outbreak) আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বেশি, সেখানে ডেঙ্গি পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালকেও ডেঙ্গি রোগীদের জন্য বেড তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব’’! লোকসভা ভোটে মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব’’! লোকসভা ভোটে মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেখানে দাঁড়াবেন সেখানেই হারাব।” লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষায়ই চ্যালেঞ্জ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “দম থাকলে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের আসনগুলি পুনর্গণনা করে দিন না! বড় বড় কথা বলছেন উনি। ২০১৪ সাল থেকে হারছেন। মিত্র ইনস্টিটিউশনে নিজে হেরেছেন তো। কেন্দ্রীয় পুলিশ থাকলেই হারছেন। আবার আগামী বছরে হারবেন। মিত্র ইনস্টিটিউশনে হারবেন, ওঁর নিজের বুথে হারাব।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “উনি ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করে দিল্লিতে পালাতে চাইছেন। তো দিল্লি যেতে গেলে তো লোকসভায় দাঁড়াতে হবে, নাহলে রাজ্যসভায় পিছনের দরজা দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ভোটে দাঁড়ালেই হারাব। যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব।”

    ‘কমপার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার’

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কাছে হেরে গিয়েছিলেন মমতা। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, “হ্যাঁ, শুভেন্দু জিতেছে। জিতেছে বলেই আপনি কমপার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার। জিতেছে বলেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে কলার ধরে পদত্যাগ করিয়ে ভবানীপুরে ছাপ্পা মেরে আপনাকে জিততে হয়েছে।” প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে হেরে গিয়ে ভাবনীপুর উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা।

    ‘হারলেন ১৯৫৬ ভোটে’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “একটা ভাঙা রেকর্ড আছে। শুভেন্দু গণনায় কারচুপি করে নন্দীগ্রামে জিতেছে। একই বিল্ডিংয়ে তিনটে বিধানসভার গণনা হয়েছে। মহিষাদল, হলদিয়া এবং নন্দীগ্রাম। হলদিয়া থেকে বিজেপি প্রার্থী জিতলেন ১৫ হাজার প্লাস। মহিষাদলে তৃণমূল প্রার্থী জিতলেন ২১০০ ভোটে। একই বিল্ডিংয়ে আপনি হারলেন ১৯৫৬ ভোটে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “আপনি একটা কেস করেছেন। আপনার বিচারপতিকে অপছন্দ হয়েছিল, মাননীয় কৌশিক চন্দ। তাঁকে বদলালেন। দু বছরের বেশি সময় চলে গেল। মামলা আপনি করেছেন, আমি করিনি। কিন্তু আপনি তোলেন না। কারণ, সবই কানে শোনা, চোখে দেখা কিছু নেই। কোনও নথি নেই। সব নথি তো আমার কাছে।”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওয়েবেল এবং ডব্লুটিএল দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত টেন্ডার ও কাগজপত্র নিয়ে কাল (শুক্রবার) দুপুর ৩টেয় সাংবাদিকদের সামনে হাজির হব।” আগামী লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি ৩৬টি আসন পাবে বলেও দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে ভোট গ্রহণ ও গণনার দিন তাঁদের দুই মহিলা প্রার্থীর শ্লীলতাহানি (two molested BJP women) করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। সোমবার, ওই দুই প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসেও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের পুলিশ এসকর্ট দিয়ে বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ। 

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    ওই দুই মহিলা প্রার্থীর হয়ে আদালতে এদিন সওয়াল করেছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পর প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, আদালতের নির্দেশকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। মহামান্য বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। তাঁদের উপর যেন কোনও হামলা না হয়। রাজ্যে শান্তি কায়েম রাখতে হবে। বিজেপির দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন এদিন কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি হাওড়া জেলার একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। ভোটের দিন ও গণনার দিন তৃণমূলের অনেকে বুথের মধ্যে ও গণনার মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। একটা সরু প্যাসেজ দিয়ে বুথে ঢুকতে হচ্ছিল। সেখানে তৃণমূলের কয়েক জন কর্মী তাঁর গায়ে হাত দিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও ১০ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল হাইকোর্ট

    মমতাকে কটাক্ষ

    রবিবার সকালে পাঁচ তফসিলি সাংসদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম (BJP Fact Finding Team) বাংলায় পাঠিয়েছে বিজেপি। এ দিন তারা হুগলির তারকেশ্বর এবং আরামবাগে ভোটে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার, এই দলের সদস্য সাংসদ এস মুনিস্বামী জানিয়েছেন, ‘গতকাল যা দেখে এসেছি, তাতে স্পষ্ট, নামে মমতা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর কাজকর্মে আর নামমাত্র মমত্ব অবশিষ্ট নেই। এই রাজ্যের দায়িত্ব অবিলম্বে রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিন’। যার নেতৃত্বে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সফর করছে, সেই সাংসদ বিনোদ সোনকারের দাবি, ‘মমতা ব্যানার্জি ভয় পেয়েছেন। তাই আর এই আচরণ’। ৫ সদস্যের এই টিমে আছেন বিনোদ সোনকার, সুরেশ কাশ্যপ, এস মুনিস্বামী, মনোজ রাজোরিয়া এবং বিনোদ ছাবড়া। তাঁরা দিল্লি ফিরে গিয়ে, এই রাজ্যের সন্ত্রাস-এর আবহ নিয়ে বিস্তারিত আকারে  রিপোর্ট জমা দেবেন, বলে জানান। এরই মধ্যে 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। 

    কেন মামলা

    গত শুক্রবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ‘বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘোরও’-এর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের জেরেই দায়ের হয়ে এফআইআর। পরে তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওই মন্তব্যে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি। বিজেপির আইনজীবী সূর্যনীল দাস সোমবার আদালতকে বলেন, এই ধরনের কর্মসূচি একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে। এই মর্মেই আদালতে মামলা রুজু করার অনুমতি চান তাঁরা। একই সঙ্গে মামলর দ্রুত শুনানির অনুরোধও করেন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ প্রথম আর্জিটি মেনে নিলেও দ্বিতীয় আবেদনটি খারিজ করে দেয়।

    আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    বিজেপির দাবি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বক্তব্য অনুযায়ী বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে আগামী ৫ অগাস্ট। মূলত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও করার নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলার অবনমন এবং বিজেপি নেতা, কর্মীদের সুরক্ষার দিক থেকে যথেষ্ট বিপজ্জনক বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। এরকম কর্মসূচি আরও বিপদ ডেকে আনবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে মানুষের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে তুলে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বিজেপি নেতাদের বাড়ি ‘ঘেরাও’য়ের ডাক মমতা-অভিষেকের, তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Sukanta Majumdar: বিজেপি নেতাদের বাড়ি ‘ঘেরাও’য়ের ডাক মমতা-অভিষেকের, তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাবেশের পোশাকি নাম শহিদ দিবস। সেখানে শহিদদের স্মৃতিতর্পণের চেয়ে বেশি ছিল বিজেপিকে আক্রমণ। মণিপুর এবং ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে আক্রমণ শানানো হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। ২১ জুলাইয়ের এই মঞ্চ থেকে মমতার দাওয়াই, “৫ অগাস্ট ব্লকে ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে প্রতীকী ঘেরাও করতে হবে।”

    সুকান্তর নিশানায় মমতা

    তৃণমূল নেত্রীর এহেন নিদানকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “এটা কেমন রাজনীতি! এটা কেমন গণতন্ত্র! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল বাংলার গণতন্ত্র পুরো শেষ করে দিয়েছে। চুরিতে একের পর এক রেকর্ড। আজ সেই দল বলছে কিনা যে বিজেপির ব্লক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বাড়ি ঘেরাও করতে হবে। আর তাঁদের আট ঘণ্টা বাড়ি থকে বেরোতে দেওয়া যাবে না। বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। পুরো ভারতে আমাদের বিপক্ষ দলের সামনে আমরা প্রশ্ন ছুড়ে দিতে চাই, এটা কেমন রাজনীতি?” মণিপুরের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “মণিপুরের ঘটনা ভীষণ দুঃখের। কিন্তু বাংলার হালও তো ভাল নয়। এখানে শুধু নারী নির্যাতনের ভিডিও করতে দেয় না। বাংলায়ও বিজেপির মহিলা কর্মীকে নগ্ন করে হেনস্থা করা হয়েছে।”

    শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেক

    এদিন তৃণমূল নেত্রীর আগে প্রায় একই রকম কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তাঁর ভাইপো তথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁকে পাল্টা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “ডিম-ভাতের উৎসবে তাঁর অহঙ্কার, দম্ভ দেখুন। বলছে, ৫ অগাস্ট বিজেপির ছোট থেকে বড় নেতাদের বাড়ি ঘিরবে। বিজেপি বিধায়ক বলেন, “ভাইপো শুনে রাখুন, আপনার বিরুদ্ধে এফআইআরের আবেদন নিয়ে আমরা কোর্টে যাচ্ছি। আপনি আমার মৌলিক অধিকার ২২৬, বাবা সাহেব আম্বেদকর দিয়ে গেছেন— আমার বাড়িতে কে ঢুকবে, কে বেরোবে। একটা বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করে দেখুন, দিল্লিতে পার্লামেন্টে আপনাদের এমপিদের ঢুকতে দেব না।” শুভেন্দু যোগ করেন, “পরে মমতা সংশোধন করে বলেছেন, একটু ভুল বলে ফেলেছেন (অভিষেক)। আমরা গ্রামে গ্রামে করব না, ব্লকে করব। ১০০ মিটার দূরে করব। এটাও কিন্তু বলতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুুন: মমতার ভাষণে ২১ জুলাইয়ের কোনও কথাই নেই, শুধুই মণিপুর আর ১০০ দিনের বকেয়া!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anurag Thakur: “বাংলায়ও অত্যাচার হচ্ছে, সবাই মূক হয়ে গিয়েছেন”, মণিপুরকাণ্ডে মমতাকে নিশানা অনুরাগের

    Anurag Thakur: “বাংলায়ও অত্যাচার হচ্ছে, সবাই মূক হয়ে গিয়েছেন”, মণিপুরকাণ্ডে মমতাকে নিশানা অনুরাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় মেদিনীপুর, ডেবরায় আদিবাসী মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। মহিলাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বাংলা। মোমবাতি মিছিলকারীরা কোথায়? সবাই মূক হয়ে গিয়েছেন।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর একটি ভিডিও (যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তার পরেও দেশের বিরোধী দলগুলির একমাত্র ইস্যু হয়ে উঠেছে মণিপুরের ওই ঘটনা।

    নিশানায় তৃণমূল

    সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন অনুরাগ। তিনি বলেন, “মমতা সরকারের মমতা কোথায়? কী করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বাংলায় মমতা নির্মমতার প্রতীক। ভয়ের বাতাবরণে বাঁচছেন বাংলার মহিলারা।” কংগ্রেসের প্রতি তাঁর প্রশ্ন, “বাংলায় আদিবাসী মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী চুপ কেন?” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Anurag Thakur) বলেন, “মণিপুরে কংগ্রেসের আমলে আরও অনেক বেশি নির্যাতিত হতেন মহিলারা। সংসদে কেন্দ্র মণিপুর ইস্যুতে প্রশ্ন নিতে রাজি। তাহলে বিরোধীদের ভয় কীসের?”  

    চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন অনুরাগও

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মতো অনুরাগও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতেও কীভাবে দিনের পর দিন ঘটছে মহিলা নির্যাতনের ঘটনা। অনুরাগ বলেন, “বিহারের বেগুসরাইয়ে নির্যাতনের শিকার মহিলা। অথচ মুখ্যমন্ত্রী নীরব। নারী নির্যাতনে শীর্ষে রাজস্থান। একের পর এক লজ্জাজনক ঘটনা ঘটছে সেখানে। নারী নির্যাতন দেখেও চুপ কেন মুখ্যমন্ত্রী?  তিনি দায় এড়াতে পারেন না।”


    এদিন বাংলাকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধানও। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন যে মহিলাদের ওপর অত্যাচার বরদাস্ত করা যাবে না এবং দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। যেটা (Anurag Thakur) মণিপুরে ঘটেছে, সেটা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু যেটা পশ্চিমবঙ্গে ঘটছে, সেটা আরও দুর্ভাগ্যজনক।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ এএসআইকে, কোন শর্তে জানেন?

    যাঁরা মণিপুরের হিংসার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন, তাঁরা একই রকম ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে ঘটা সত্ত্বেও চুপ কেন? এক্ষেত্রেও উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে। এটিও লজ্জাজনক।” এদিকে, মণিপুরের ভিডিওকাণ্ডে এদিন আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফাতার করা হয়েছে। এনিয়ে ওই ঘটনায় গ্রেফতার হল মোট পাঁচজন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ফের রাজভবন-নবান্ন সংঘাত! বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ফের রাজভবন-নবান্ন সংঘাত! বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লিতে সংসদ ভবনে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। রাজ্য সরকার চাইছে আগামী ২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন (West Bengal State Assembly)শুরু করতে। কিন্তু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor CV Ananda Bose) সম্মতি না মেলায় সেই অধিবেশনের উপর প্রশ্নচিহ্ন ঝুলছে। তবে প্রকাশ্যে বাদল অধিবেশন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।

    কেন এত কম সময়ের নোটিসে অধিবেশন

    সরকারি সূত্রের খবর, সোমবার, ২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু করতে চেয়ে রাজভবনে (Raj Bhawan)ফাইল পাঠিয়েছিল পরিষদীয় দফতর। সেই ফাইলে রাজ্যপাল অনুমোদন দিলেই সোমবার থেকে শুরু হতে পারত বিধানসভার বাদল অধিবেশন। সেই মর্মে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল বিধানসভায়। কিন্তু রাজভবন প্রশ্ন তোলে, কেন এত কম সময়ের নোটিসে বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হচ্ছে? রাজ্যপাল সেই ফাইল আটকে রেখে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন। যদি তিনি কোনও কারণে আসতে না পারেন তাহলে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে(Chief Secretary) সশরীরে রাজভবনে এসে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের(C V Anand Bose) সঙ্গে দেখা করতে হবে। কার্যত রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁর নির্দেশ না মানলে তিনি রাজ্য বিধানসভায় বর্ষাকালীন অধিবেশন বসার অনুমতি দেবেন না।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    সোমবার থেকে বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে ধরে নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ২৪ জুলাই, সোমবার বিধানসভা ভবনেই বসবে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। মন্ত্রীরা প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকায় পঞ্চায়েত ভোটের কারণে গত এক মাস মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়নি। তাই সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক আবার শুরু হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু রাজভবন থেকে অধিবেশন শুরুর ফাইলটিতে অনুমোদন না দেওয়ায় বুধবার রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠক প্রসঙ্গে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, ২৪ জুলাই সোমবার বিধানসভার বদলে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে নবান্নে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayet Election 2023: “মমতা-অভিষেকের বক্তব্যের জন্যই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে রাজ্যের”, আদালতের দ্বারস্থ আইনজীবী  

    Panchayet Election 2023: “মমতা-অভিষেকের বক্তব্যের জন্যই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে রাজ্যের”, আদালতের দ্বারস্থ আইনজীবী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের জেরেই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ (Panchayet Election 2023) হচ্ছে। তাই দুজনের বিরুদ্ধেই এফআইআর করা প্রয়োজন। এমনই দাবিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এফআইআর করার আবেদনে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চান তিনি।

    আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি…

    এর পরই বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ অনুমতি দেয় মামলা দায়েরের। দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। অনিন্দ্যসুন্দর দাসের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের ধারাবাহিক প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জেরে ক্রমশই খারাপ হচ্ছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা নিজেদের বক্তব্যে যেভাবে হিংসার কথা বলছেন, তাতে অবিলম্বে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হোক।

    অশান্তির সাত সতেরো

    রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি। ওই দিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন এক কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করে ওই কংগ্রেস কর্মীকে। এই ঘটনার পর থেকে রাজ্যে কার্যত রক্তের হোলি খেলা চলতে থাকে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে এসেছিল, ততই প্রকাশ্যে আসতে ছিল একের পর এক খুনের খবর। কোথাও শাসকের হাতে বিরোধী খুন, তো কোথাও আবার তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের সংঘর্ষে খালি হয়েছে কোনও মায়ের কোল। সব মিলিয়ে খুন হয়েছেন প্রায় ৫৪ জন।

    আরও পড়ুুন: “মণিপুরের ঘটনা সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এর মধ্যে কেবল নির্বাচনের দিনই ঝরে গিয়েছে ২২টি তরতাজা প্রাণ। এই মৃত্যু মিছিলে ছিলেন এক ভোটারও। গণতন্ত্রের উৎসবে যিনি কেবল অংশ নিতে গিয়েছিলেন। ভোট-পর্ব চুকে যাওয়ার পরেও বিরাম নেই হিংসার। এহেন অশান্তির (Panchayet Election 2023) জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের ওই আইনজীবী। তাঁর সাফ কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের জেরেই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share