Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনায্য ভাবে আই-প্যাককে ১২০ কোটি টাকার টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে (IPAC)। এই দুর্নীতির সঙ্গে রাজ্য সরকারি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ওয়েবল জড়িত রয়েছে বলে দাবি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠের প্রতিবাদে বুধবার কলকাতায় মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী জোটের নেতৃত্বকে এদিন আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তাঁর তোপ, ‘সব দুর্নীতিপরায়ণ নেতারা এক হয়েছেন।’ এ কথা বলেই শুভেন্দু আই-প্যাকের টেন্ডার পাওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ভোট লুঠ করতে ব্যালটও খেয়ে ফেলেছে তৃণমূল। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে ত্রিস্তরীয় লুঠ করেছে তৃণমূল। আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সেই তথ্য ফাঁস করব।’ এদিন সভা মঞ্চে শুভেন্দুর পাশে ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

    আরও পড়ুন: গ্রামীণ ভারতীয় মহিলার মতো সাজতে প্রশিক্ষণ নেন সীমা! দাবি গোয়েন্দাদের

    তথ্য-প্রমাণ পেশের দাবি

    গত সোমবার বিধানসভা ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, তিন দিনের মধ্যে তিনি সিবিআই ও ইডি দফতরে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িত ছিলেন তা নিয়ে তথ্য ও প্রমাণ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দেবেন। গত লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার কৌশল নির্ধারণের দায়িত্ব নিয়েছিল আইপ্যাক। এই সংস্থার অন্যতম মুখ হলেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। তবে প্রশান্ত দাবি করেন এই সংস্থার পরিচালনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই। আই প্যাক তৃণমূলের প্রচারের দায়িত্ব নেওয়ার পরই বাংলার বিরোধীরা নানান সমালোচনা করেছিল। কেউ কেউ বলেছিল, আইপ্যাককে তৃণমূল চারশ কোটি টাকা দিয়েছে। তবে সেই সব দাবির সমর্থনে কেউ তথ্য বা প্রমাণ দিতে পারেনি। শুভেন্দু অবশ্য এদিন দাবি করেছেন, তাঁর কাছে এই দুর্নীতি সংক্রান্ত কাগজপত্র রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা, কেন?

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ধর্মতলার সমাবেশ শেষ করেই  হাওড়ায় ভস্মীভূত পোড়া মঙ্গলাহাট পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী ব্যাবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্যে যে সব প্রস্তাব দেন, তা পছন্দ হয়নি ব্যবসায়ীদের। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর মুখের উপরই চেঁচিয়ে বার বার বলতে থাকেন যে তাঁরা এইসব প্রস্তাবে রাজি নয়।

    ব্যবসায়ীদের কী প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্যে বোঝা যায় যে এতবড় জমির মালিক আদৌ সরকার না বেসরকারি সম্পত্তি সে ব্যাপারেও কোনও তথ্য নেই সরকারের কাছে। ব্যবসায়ীদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, জমির বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নিয়ে যদি দেখা যায় জমি সরকারের, তাহলে সেখানে হাটের জন্য বিল্ডিং করে দেওয়া হবে সরকারি উদ্যোগে । আর যদি জমির পূর্বতন চুক্তির মেয়াদ শেষের পর নতুন করে মালিকানার ক্ষেত্রে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে সরকার জমি অধিগ্রহণ করতে পারে। আর যদি কারোর কোনও মালিকানা থাকে, সেক্ষেত্রে সেটা নিয়েও ভাবা হবে কীভাবে কি করা যায়। তিনি আরও বলেন, যদি কারও এখানে অসুবিধা হয় তাহলে তাদের সাঁতরাগাছির কাছে পুর্নবাসন দেওয়া হবে।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন ব্যবসায়ীরা

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সাঁতরাগাছিতে চলে যাওয়ার প্রস্তাবেই গর্জে ওঠেন ব্যাবসায়ীরা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কথা শেষ হতে না হতেই সবাই চেঁচিয়ে বলেন, আমরা কেউ সাঁতরাগাছি যেতে চাই না। তাঁরা চেঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, শান্তিরঞ্জন তাদের খুব জালাচ্ছে। এই শান্তিরঞ্জন হচ্ছে মঙ্গলাহাটের মালিক। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বার বার শুধু এই হাটেই কেন আগুন লাগছে? এর পিছনে কোনও  চক্রান্ত রয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপির হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, মঙ্গলাহাটের বেচাকেনার দিন বদল করা হচ্ছে। এই হাটকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। বিজেপি নেতা উমেশ রাই বলেন, এই হাটকে এখান থেকে তুলে দিয়ে সাঁতরাগাছিতে স্থানান্তরিত করার চক্রান্ত চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেও সেটা স্পষ্ট। হাট মালিক শাসক দলের সঙ্গে মিলে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখা হচ্ছেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ‘টাকা নয়, মানুষ বিচার চায়’, মমতার ক্ষতিপূরণের ঘোষণাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Panchayat Election 2023: ‘টাকা নয়, মানুষ বিচার চায়’, মমতার ক্ষতিপূরণের ঘোষণাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রয়োজন কেন পড়বে? কেন রাজনৈতিক হিংসার বলি হতে হবে মানুষকে? প্রশ্ন তুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবারই ভোটের (Panchayat Election 2023) হিংসায় মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজন সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “স্বজন হারিয়ে কেউ টাকা চায় না, সবাই জীবনের সুরক্ষা চায়। জাস্টিস চায়।”

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ 

    বৃহস্পতিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে  রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, “উনি সব দেখতে পান না, শুনতে পান না। যতটা দৃষ্টি বা বোঝার ক্ষমতা, ততটাই বলছেন। বাস্তব যেটা, যেটা মিডিয়া তুলে ধরছে। সেটা তো অস্বীকার করা যাবে না। এখনও পর্যন্ত অসমর্থিত ভাবে মৃত ৪৭, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ১৯। উনি কাল বলেছেন, আমার কি দোষ? ৪৭ জন মরে যাওয়ার পরেও যদি দোষ দেখতে না পান, বা অনুভব করতে না পারেন তাঁর কী ত্রুটি, তাহলে তো আমরা ভগবান ভরসায় বেঁচে আছি। এমন লোককে দায়িত্ব দিয়েছি যার চোখ নেই, কান নেই, কিছু বুঝতেও পারেন না। নিজের দোষ ছাড়া আর সব দেখতে পান। এরকম লোকের কাছে আর কিছু আশা করা যায় না।”

    আরও পড়ুুন: রাজভবনে জমা সব হিংসার অভিযোগ পাঠাতে হবে হাইকোর্টে, নির্দেশ রাজ্যপালের

    গণনায় কারচুপি

    গণনার দিন যে বিপুল কারচুপি হয়েছে, সেই অভিযোগও তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ গণনার দিন ফোন নামিয়ে রেখেছিলেন বিডিও-রা। জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁরা দাবি করেছেন, বিডিও যা বলার বলে দিয়েছে। রাজভবনের পিস রুমে ভোট সংক্রান্ত ৭৫০০ অভিযোগ জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর, যা আদালতে পেশ করা হবে। দিলীপ ঘোষের দাবি, এমন হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। কোনও সুরাহা হয়নি। ভাঙড়ের অশান্তি নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও ভাঙড়ে অশান্তি হয়েছে। বাহিনীর যিনি প্রমুখ, তিনি আগেই বলেছেন, তাঁর কাছে স্পর্শকাতর বুথের লিস্ট ছিল না। কোথাও যেতেও বলা হয়নি। ওনারা নিজে থেকে কিছু জায়গায় গেছেন। “

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ravi Shankar Prasad: “আপনার জয়ের নেপথ্যে ৪৫ জনের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে”, মমতাকে নিশানা রবিশঙ্করের

    Ravi Shankar Prasad: “আপনার জয়ের নেপথ্যে ৪৫ জনের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে”, মমতাকে নিশানা রবিশঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনি গণতন্ত্রকে লজ্জা দিয়েছেন।” বুধবার কলকাতায় এসে এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন সাংসদ বিজেপির (BJP) রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। নির্বাচনোত্তর হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসার কথা ছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের। এই টিম গড়ে দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই টিমেই রয়েছেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর।

    “আমার রাজ্যেও শান্তিতে ভোট হয়”

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাব। আমি বিহার থেকে এসেছি। যেখানে এ ধরনের ঘটনা (নির্বাচনোত্তর হিংসা) অতীতে ঘটত। আমার রাজ্যেও এখন শান্তিতে নির্বাচন হয়। আমি শুনেছি, ভোট গণনার দিনও একটা খুন হয়েছে। আপনি গণতন্ত্রকে লজ্জিত করেছেন।” প্রাক্তন আইনমন্ত্রী (Ravi Shankar Prasad) বলেন, “মমতাজিকে আমি আজ মনে করিয়ে দিতে চাই বাংলার রাজনীতিতে তিনিই পরিবর্তন এনেছিলেন। বাম জমানার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু বামেদের থেকেও নোংরা রাজনীতিতে আপনি নামলেন কী করে? কেন আপনার রাজনীতি এভাবে সম্পূর্ণ নিষ্ঠুর হয়ে গেল? আপনি তাহলে কী করলেন? নির্বাচনের প্রতি মুহূর্তে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। কড়া কড়া পর্যবেক্ষণ দিতে হয়েছে। এমনকী সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বাংলার ভোট-হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।”

    “গণনায়ও খুন?”

    সাংসদ বলেন, “গণনায়ও খুন? জয়ী প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি…কেন বাংলায় এমনটা হচ্ছে? গণনার দিনও খুন হচ্ছে!” প্রাক্তন আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটা সোজা প্রশ্ন করতে চাই যে যদি আপনি সন্ত্রাস না করতেন তাহলে কতগুলি আসন জিততে পারতেন? রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সহায়তা না থাকলে আপনি কতগুলি আসন পেতে পারতেন?”

    রবিশঙ্কর (Ravi Shankar Prasad) বলেন, “কেন আপনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ দেখাতে পারছেন না? আপনি যে লজ্জিত! আপনার জয়ের নেপথ্যে ৪৫ জনের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। আমরা আগামিকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তরবঙ্গে যাব। সব জায়গায়ই ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি, আমাদের সেখানে যেতে দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে, থাকবেও। গণতন্ত্রের ওপর এই আক্রমণের জবাব দেবে বিজেপি।”

    আরও পড়ুুন: ভোটের হিংসায় ফের মুর্শিদাবাদ ও মালদায় মৃত্যু হল ২ জনের! 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চান মমতা”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চান মমতা”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন নন্দীগ্রামে সন্ত্রাস হতে পারে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের শেষ দিনের প্রচারে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। এবারেও রাজ্য রাজনীতির পাখির চোখ নন্দীগ্রাম। তাই শেষ প্রচারে শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার শেষ দিনের প্রচারে নন্দীগ্রাম ১ ও ২ নং ব্লকে বুথ পরিক্রমা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    তৃণমূলের কোন পরিকল্পনা ফাঁস করলেন?

    শেষ প্রচারে শুভেন্দু বুথ পরিক্রমা করার সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জলপথে কেন্দামারি থেকে শওকত মোল্লা ও শাহজাহানের বাহিনীকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে নন্দীগ্রামে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা ভোটেও চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। এবারেও করবে এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর জন্য। কর্মীদের সতর্ক করে শুভেন্দু বলেন, আপনারা তৈরি থাকবেন। বাইক বাহিনী দেখলেই জলে ফেলে দেবেন। আমিও নন্দীগ্রামে থাকব। ভোটের দিন যেমন সতর্ক থাকতে বললেন, পাশাপাশি স্ট্রং রুম পাহারার কথাও বলেন শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার সকাল বেলা নন্দীগ্রাম ২ নং ব্লক থেকে প্রচার শুরু করে বিরোধী দলনেতা শেষ করেন নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের টেঙ্গুয়াতে।

    শেষ দিনে প্রচারে ‘মমতাও’

    অন্যদিকে, প্রচারে মমতাও। না মমতা মানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং নয়। যাত্রা ও সিনেমাতে তাঁর চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী রুমা চক্রবর্তী তৃণমূলের হয়ে প্রচার করলেন। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের শেষ প্রচারেও নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটেও শেষ প্রচারে শুভেন্দু ও মমতা। তবে হ্যাঁ শুভেন্দু অধিকারী নিজে থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই। আছে তাঁর চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী রুমা চক্রবর্তী। সেই  সাদা শাড়ি পায়ে চটি, নির্বাচনী মঞ্চে মমতার সাজে রুমা। তৃণমূলের ভোট চাইলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আরে ও নন্দলাল…’’! সবজির অগ্নিমূল্য নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘আরে ও নন্দলাল…’’! সবজির অগ্নিমূল্য নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবজির বাজারে রীতিমতো আগুন। এনিয়ে স্যোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানা রকমের মিম। কোথাও কোথাও লঙ্কা মিলছে ৪০০ টাকা কেজিতে। বাকি ৩০-৪০ টাকায় যে সবজি পাওয়া যেত তা সবই ১০০ ছাড়িয়েছে। সবজির এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিজের ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘আরে ও নন্দলাল, গরীব মানুষের পাতে কি জুটবে শুধু নুনের সাথে মোদিজির দেওয়া বিনা পয়সার চাল?” প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘আরে ও নন্দলাল ১২০০টাকার গ্যাসে ফুটবে বিনা পয়সার চাল!’’ এদিন তারই প্রত্যুত্তর দিলেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক আরও বলেন, “আগুনে বাজার! এক মাস পূর্বের বাজার দরের সঙ্গে বর্তমান বাজার দরের তফাৎ করলে বোঝা যাবে যে হাটবাজারে আগুন লেগেছে। চড়া দামের ছ্যাঁকায় বাঙালি নাজেহাল। অনাজের দাম নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের ও নাগালের বাইরে। এমনকি এ কথা বললে মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না যে সব্জির দাম এই মুহূর্তে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।”

    শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, “জুন মাসের গোড়ায় যেখানে বেশিরভাগ সব্জির দাম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্যে ছিল তা আজ অবিশ্বাস্য ভাবে বেড়ে গেছে। টমেটোর প্রতি কেজির দাম ছিল ৩০ – ৩৫ টাকার মধ্যে। আদার প্রতি কেজির দাম ছিল ২৫০ টাকার আশেপাশে। বেগুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা। পটলের কেজি প্রতি দাম ছিল ২৫-৩০ টাকা। উচ্ছের দাম ছিল ৫০ টাকার আশেপাশে। পেঁপের দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি। কাঁচা লঙ্কার দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। পালং শাকের এক আঁটির দাম ছিল ১০ টাকা মত।”

    প্রশাসনকে নিশানা বিরোধী দলনেতার

    প্রশাসনকে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, “রুই-কাতলা (কাটা) মাছের প্রতি কেজিতে দাম পড়ছিল ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। মুরগি মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছিল। প্রশাসনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই আজ আনাজের দাম মাত্রা ছড়িয়ে গিয়েছে। আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে “টাস্ক ফোর্স” গঠন করেছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল হঠাৎ করে বাজার হাটে শাক-সব্জির দাম বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু আদতে এর প্রতিফলন কখনোই দেখা যায় না।” 

     

    আরও পড়ুুন: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar : ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar : ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার উল্টোরথ থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নামল বিজেপি। এদিন বরানগরের নোয়াপাড়ায় রথযাত্রার অনুষ্ঠানে এসে পরোক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘রাহু’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন মহামণ্ডলেশ্বর আশ্রমের উল্টো রথ যাত্রায় অংশ নেন তিনি। 

    তৃণমূলকে আক্রমণ

    উল্টো রথের দিন নিজের হাতে আরতি করা থেকে নিষ্ঠা ভরে জগন্নাথ দেবের আরাধনা করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সাংবিদকরদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে। বিরোধীদের আটকানো হচ্ছে, কোথাও কোথাও শোনা যাচ্ছে ফেক ব্যালট পেপার তৈরি করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুঁজে পাচ্ছি না। আপনারা দেখলে আমাদের জানাবেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে ভোট হচ্ছে। ভোট হবে না ঘোঁট হবে সেটা ভোটের দিন বোঝা যাবে।’

    রাহু-মুক্তির প্রার্থনা

    শীতলকুচিতে ফের হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যাবেন সেখানেই গুলি চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওখানে গিয়ে ইনস্টিগেট করে এসেছেন ভায়োলেন্স। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়া মানেই ওখানে অশান্তি হবে।’ সব শেষে জগন্নাথের কাছে কি প্রার্থনা করলেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রভু জগন্নাথ পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন, মুক্তি দিন।’

    আরও পড়ুন: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

    প্রধানমন্ত্রীর কথা প্রসঙ্গে

    রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণ, প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোনও মিথ্যে কথা বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত বড় বড় কথা বলছেন। কই বিজেপি-র তো কোনও মন্ত্রী জেলে নেই। তার প্রাক্তন মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রী জেলে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা লাগে না, লজ্জা পান না। পার্থ নামটা মুখে একবারও আনেন না। তার নামটা নিয়ে এসে বলুন, পার্থ খুব ভালো ছেলে ছিল।’

    রাজ্যপাল সংবিধানের কাস্টডিয়ান

    রাজ্যপালকে বারবার আক্রমণ করছে তৃণমূল। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘ভালো কাজ যিনি করবেন তাঁকেই তৃণমূল আক্রমণ করবে। রাজ্যপাল যেখানে যেতে চান সেখানে যাবেন। রাজ্যপালের পদক্ষেপ সংবিধানসম্মত, উনি সংবিধানের কাস্টডিয়ান। সংবিধান আমাদের সকলকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করার অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকার রক্ষা করার জন্য কারোর যদি প্রাণ যায়, কেউ যদি আহত হন, তাঁকে দেখতে রাজ্যপাল যেতে পারেন। তিনি উচিত কাজই করছেন বলে আমাদের মনে হয়।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ‘‘ভোট নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নবান্নের ১৪ তলা থেকে’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Panchayat Election 2023: ‘‘ভোট নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নবান্নের ১৪ তলা থেকে’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে ভোট প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নবান্নের ১৪ তলা থেকে। ভোটের নামে প্রহসন হতে চলেছে রাজ্যে। নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে শাসক দলকে তুলোধনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ করল বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ তিনজনই ছিলেন মঞ্চে। 

    শুভেন্দুর তোপ

    এদিনই রাজ্য বিজেপির মুখপত্র কমল বার্তা আবার নবরূপে প্রকাশিত হল। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) আগে বিজেপি ইস্তেহার ‘সংকল্পপত্র’ প্রকাশ করা হল। এদিনের অনুষ্ঠানে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, এরকম ভোট কখনও দেখেনি রাজ্য। কোথাও কেউ মনোনয়ন দিতে পারছেন না। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য ভয় দেখাচ্ছে পুলিশ।  নির্বাচন কমিশন শাসক দলের শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। সেকারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে আপত্তি জানিয়েছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের প্রশংসা করেছেন শুভেন্দু।  তিনি বলেছেন মীরা পাণ্ডে বুঝেছিলেন যে ভোট লুঠ হতে পারে। সেকারণেই তিনি আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিলেন। 

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    বিজেপির সংকল্পপত্র

    পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) স্তরে রাজ্যে যে বিস্তর বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে, তা নিয়ে ফের একবার শাসক শিবিরকে বিঁধেছেন দিলীপ ঘোষও। মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্চায়েতের নির্বাচনী প্রচার নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না সুকান্ত।  বিজেপির পঞ্চায়েতের সংকল্পপত্রে মোট ৯টি ইস্যুকে হাতিয়ার করে এবার গ্রাম বাংলায় প্রভাব বিস্তারের কথা বলা হয়েছে। প্রথম ইস্যু, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গঠন। দ্বিতীয় ইস্যু, কৃষকদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। তৃতীয় ইস্যু, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এছাড়া স্বাস্থ্য, নারী কল্যাণ, আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা, গ্রামীণ পরিকাঠামো, সুশাসন ও সর্বোপরি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মতো ইস্যুগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে বিজেপির সংকল্পপত্রে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Mamata Banerjee: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ আছেন’’, মমতার কপ্টার-বিভ্রাটের পর ট্যুইট রাজ্যপালের

    Mamata Banerjee: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ আছেন’’, মমতার কপ্টার-বিভ্রাটের পর ট্যুইট রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে জরুরি অবতরণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হেলিকপ্টারের। তড়িঘড়ি হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমরে ও পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। বিমানবন্দরে নামার পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ রয়েছেন জেনে স্বস্তিতে রাজ্যপাল। ট্যুইটারে জানালেন সে কথাও।

    ফেরার পথেই বিপত্তি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথেই বিপত্তি। কপ্টার যখন মাঝ আকাশে, তখনই শুরু হয় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। বাধ্য হয়ে সেবকের এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করেন পাইলট। জরুরি অবতরণের কারণে সেখানে কোনও সিঁড়ির ব্যবস্থা ছিল না। কপ্টার থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ রয়েছেন জেনে স্বস্তির শ্বাস ফেলেন রাজ্যপাল।

    বিশেষ বিমানে কলকাতায়

    কপ্টার থেকে নেমে সেবক থেকে সড়কপথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে তাঁকে নিয়ে আসা হয় দমদম বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরের বাইরে তৈরি রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স। তবে মুখ্যমন্ত্রী অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেননি। নিজের গাড়িতেই পৌঁছন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তাঁর জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে হুইল চেয়ার না নিয়ে এক নার্সের হাত ধরে খুঁড়িয়েই হেঁটে হাসপাতালে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর চোটের খবর পেয়েই তৈরি রাখা হয়েছিল উডবার্ন ব্লকের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিন। সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

    আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন নিউরো থেকে অর্থোপেডিক, জেনারেল মেডিসিন সহ বিভিন্ন বিভাগের মুখ্য চিকিৎসকরা। চোট পরীক্ষা করে  দেখতে সেখানে একটি পোর্টেবল এক্স-রে মেশিনও নিয়ে আসা হয়। প্রয়োজনে তাঁর এমআরআই এবং সিটি স্ক্যানও করা হবে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) চোট ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ১২ বছর পর পঞ্চায়েত প্রচারে মমতা! ‘‘বিজেপির কৃতিত্ব’’, বললেন সুকান্ত

    Panchayat Election 2023: ১২ বছর পর পঞ্চায়েত প্রচারে মমতা! ‘‘বিজেপির কৃতিত্ব’’, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন পর পঞ্চায়েতের প্রচারে ময়দানে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) প্রচারে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এটাই বিজেপির সাফল্য দাবি, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেছেন, স্থানীয় নির্বাচনে মমতার প্রচারে নামাই রাজ্যে বিজেপির ক্রমবর্ধমান শক্তিকে বৈধতা দিয়েছে।

    কঠোর বিরোধিতার মুখে তৃণমূল

    রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেছেন, এই তৃণমূল কংগ্রেস গত ২০২১-এর ২ মের পর বলেছিল বিজেপি রাজ্য থেকে হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রী ১২ বছর পর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ( Panchayat Election 2023) জন্য প্রচারে নামতে বাধ্য হচ্ছেন। সেখানে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে বিজেপি রাজ্যে কতটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সুকান্তের কথায়, “১২ পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েতের প্রচারে নেমেছেন। তার মানে এমন একটা বিরোধিতা আমরা বিরোধী দল হিসাবে তৈরি করতে পেরেছি যাতে তাঁকে রাস্তায় নামতে হয়েছে। এ তো রাজ্য সভাপতি হিসাবে আমার এবং আমাদের টিমের সাফল্য।” সুকান্ত আরও বলেন, “তৃণমূলনেত্রী পঞ্চায়েতের প্রচার শুরু করেছেন উত্তরবঙ্গ থেকে। যেখানে এমনিতেই তৃণমূলের দফারফা হয়ে রয়েছে।”

    সোমবার কোচবিহার থেকে পঞ্চায়েতের প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিদির সভা রয়েছে জলপাইগুড়িতে। সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন,মুখ্যমন্ত্রীর পতন শুরু হবে উত্তরবঙ্গ থেকে। তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারের সময় সম্ভাব্য হিংসার বিষয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেছেন, তৃণমূলের আশ্রিত গুণ্ডারা বিজেপিকে ভয় দেখাতে আরও হিংসার আশ্রয় নিতে পারে। তবে তিনি দলের নেতা কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, বিজেপি এতে ভয় পাবে না, তৃণমূলকে উপযুক্ত জবাব দেবে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশটাই চোর’’, ভোটপ্রচারে শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    দিলীপ ঘোষের দাবি

    ২০১৮-র পঞ্চায়েতে একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে জিতেছিল তৃণমূল। প্রায় ৩৩ শতাংশ আসন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল শাসকদল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। বিজেপির সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও পঞ্চায়েত নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ( Panchayat Election 2023) তাঁর অংশগ্রহণ ফলাফল নিয়ে উদ্বেগের কারণেই হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share