Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Suvendu Adhikari:  “জেল খাটা আসামিরা পাটনায় জড়ো হয়েছিল”, বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “জেল খাটা আসামিরা পাটনায় জড়ো হয়েছিল”, বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সিন্ডিকেটের ফ্যামিলি গেট টুগেদার।” বিহারের (Bihar) পাটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠককে এই ভাষায়ই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বছরের পর বছর জেল খাটা আসামিরা পাটনায় জড়ো হয়েছিল। এরা সবাই মিলে আগামিদিনে তিহাড় জেলে যাবে।”

    লক্ষ্য দুর্নীতিকে বাঁচিয়ে রাখা!

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বৈঠকের মূল আলোচ্যসূচি ছিল বাংলা সহ গোটা দেশে দুর্নীতিকে বাঁচিয়ে রাখা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোদিজিকে সরানোর চেষ্টা এই প্রথম নয়, ২০১৯ সালেও কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার স্লোগান দিয়েছিলেন। তার ফল কী হয়েছিল, সবাই দেখেছে। পাটনার বৈঠকে তৃণমূল সহ যে সব রাজনৈতিক দল ছিল, তারা নিজেদের দুর্নীতিকে টিকিয়ে রাখতেই একে অপরকে ভোট দেওয়ার আবেদন করছেন। এসব করে কোনও লাভ হবে না। দেশকে বাঁচাতে গেলে নরেন্দ্র মোদিজিকেই ভোট দিতে হবে।”

    শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেকও

    তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাটনায় গিয়েছেন তাঁরই ভাইপো তথা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নাম না করে তাঁকেও নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, “ছবিতে দেখা গেছে গরু পাচারকারীরা পাটনায় গিয়ে লালু প্রসাদের পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ নিয়েছেন। বলেছেন, লালুজি, গরু পাচার তো শেষ! এবার গো-খাদ্য চুরি করতে চাই। কীভাবে তা করব, তার ট্রেনিং দিন।”

    এদিন ট্যুইটও করেন শুভেন্দু। তৃণমূল শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ট্যুইটে শুভেন্দুর কটাক্ষ, “টিএমসি মানে হল তৃণমূল মার্কবাদী কংগ্রেস। এই তিনের যোগফল তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসি।” বিজেপি বিরোধীদের একাসনে বসিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস আর সিপিএম হল তৃণমূলের বি-টিম। আর নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের বি-টিম হল তৃণমূল+সিপিএম। কেরলের চিত্রটা আবার কংগ্রেস বনাম সিপিএম। গোটা বিষয়টাই দ্বিধাগ্রস্ত ব্যাপার। তাহলে কি এই দলগুলি পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের বিরুদ্ধে বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলে?”

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, “বোকা কংগ্রেস এবং সিপিএম কর্মীরা তাঁদের রক্ত দিচ্ছেন দলের জন্য, মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন, যেখানে এই দলগুলির শীর্ষ নেতারা পাটনায় সেটিং করছেন। এ থেকেই প্রমাণ হয় বিজেপি-ই একমাত্র পার্টি পশ্চিমবঙ্গে যারা তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে।” ওই বৈঠককে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “এটা এক ধরনের স্বীকারোক্তি যে কংগ্রেসের মতো একটি শতাব্দী প্রাচীন দল তারা একা আর নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলা করতে পারছে না।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন হলিউড খ্যাত গায়িকা, চাইলেন আশীর্বাদও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: “স্বরাষ্ট্র দফতর জানুক রাজ্যের কোথায় বোমা শিল্প চলছে”! ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: “স্বরাষ্ট্র দফতর জানুক রাজ্যের কোথায় বোমা শিল্প চলছে”! ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর তো জানুক রাজ্যের বোমা শিল্প কোথায় কেমন চলছে!” পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে এক মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার একথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, “মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়েছে। গুলি, পরপর গাড়িতে আগুন, লাঠি-বাঁশ হাতে দুর্বৃত্তদের দাপাদাপি, ভাঙড় থেকে ক্যানিং, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপর্বে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে ভয়ঙ্কর এই হিংসার ছবি। তাহলে পুলিশ কী করছিল? পুলিশ কি এসব ঘটনা স্বরাষ্ট্র দফতরকে জানিয়েছে? স্বরাষ্ট্র দফতর অন্তত জানুক রাজ্যের বোমা শিল্প কোথায় কেমন চলছে!”

    বেলাগাম সন্ত্রাসের ছবি

    মনোনয়নপত্র পেশের শেষ দিনে পুলিশি প্রহরায় বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার জন্য গন্তব্যে পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। তার পরেও সংবাদ মাধ্যমের পর্দায় ভেসে ওঠে বেলাগাম সন্ত্রাসের ছবি। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি থামিয়ে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশে বাধা দেয় তৃণমূল। ভাঙড়ের শোনপুর বাজারের কাছে পুলিশি প্রহরায় আসা আইএসএফ প্রার্থীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। প্রহরারত পুলিশ কর্মীরা তখন সেখান থেকে সরে যান বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিনের।

    রাজ্য সরকারের জবাব তলব

    সেই মামলা (Panchayat Election 2023) প্রসঙ্গে বিচারপতি মান্থা বলেন, “ভাঙড়, কাশীপুর, হাড়োয়া, বসিরহাট নিয়ে আদালতের নির্দেশের পরেও মামলাকারীদের মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হওয়ায় জায়গায় জায়গায় বোমাবাজি ও গুলি চলেছে।” এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের জবাব তলব করেছে আদালত। ক্যানিং, মিনাখা, ভাঙড়, ন্যাজাট, জীবনতলা এলাকায় মনোনয়নের জন্য কত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল, তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। বুধ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিও অফিস চত্বরের সিসিটিভির ফুটেজও তলব করেছেন বিচারপতি মান্থা। ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    ক্যানিংয়ে অশান্তির ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার ও একজন অতিরিক্ত সুপার মর্যাদার অফিসার নিয়োগ করে তদন্তের (Panchayat Election 2023) নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক তৃণমূলের পরেশরাম দাস, থানার আইসি এবং ক্যানিংয়ের এসডিপিও-র বিরুদ্ধে এফআইআর গ্রহণ করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারলেন না, তা জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ এবারে নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) দিকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র হল নন্দীগ্রাম। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের দিকে রাজনৈতিক মহলের বিশেষ নজর। অপর দিকে তৃণমূলেরই টিকিট পাননি শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রামে কী ফল হবে সেই প্রশ্ন এখন সবাইকার মুখে। 

    কেন নজর নন্দীগ্রামে?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল, জেলা পরিষদের টিকিট পাননি বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইলেকশান এজেন্ট তথা নন্দীগ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। সুফিয়ানের অনুগামীরা অর্থাৎ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা নাগরিক মঞ্চ গঠন করে প্রার্থী দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করেছে আবার বিজেপি। ফলে রাজনৈতিক ভাবে ভোটের অঙ্কের হিসেব কী দাঁড়াবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

    বিজেপি প্রার্থীর অঙ্কটা কেমন?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) মোট ১০ টি অঞ্চল রয়েছে এই ১ নং ব্লকে। দশটি অঞ্চলের মোট আসন সংখ্যা ১৮৫ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি ও জেলা পরিষদের ৩ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি আসনের মধ্যে ২৩ টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি এবং ৩ টি জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যে আসন গুলিতে বিজেপি প্রার্থী দেয়নি, সেখানে নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাথ পালের বক্তব্য, ১০ টি অঞ্চলেই বোর্ড গঠন করবে বিজেপি।

    তৃণমূলের বক্তব্য 

    তবে এই বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না ১ নং ব্লক (Purba Medinipur) তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। তিনি বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৬ আসনে ও পঞ্চায়েত সমিতির ৭ টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতন কর্মী পায়নি বিজেপি। বিরোধী রাজনীতির দলকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি সকলেই প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএম আজ মিউজিয়ামে, কংগ্রেসে আজ হিমঘরে, বিজেপি আজ গোয়ালঘরে এবং তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে মানুষের দুয়ারে, তাই আমাদের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করেন তিনি। বাপ্পাদিত্যবাবু আরও বলেন, নন্দীগ্রাম তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি, জয় আমাদের নিশ্চিত।

    পাশাপাশি শুভেন্দু গড়ে এখন কোন ফুল ফোটে এটাই এখন দেখার!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু, করলেন ‘বড়’ অভিযোগও

    Suvendu Adhikari: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু, করলেন ‘বড়’ অভিযোগও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘পোষ্য’ বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার বিকেলে কলকাতায় কমিশনের দফতরে জমায়েত করে বিজেপি। প্রথমে জেলায় জেলায় অশান্তি এবং মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে যান শুভেন্দু। বেরিয়ে এসে নয়া কমিশনারের বিরুদ্ধে উগরে দেন ক্ষোভ। কমিশন তৃণমূলকে সুবিধা করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যে ১৪৪ ধারা সত্ত্বেও রক্ত ঝরছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

    বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

    তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল, কমিশন ও পুলিশ মিলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়াই এদের লক্ষ্য। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি, তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা নিতে হবে কমিশনের দফতরেই। আদালত স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু স্পর্শকাতর এলাকা বলে কিছু যে রয়েছে, তা মানতেই চাইছে না কমিশন। তাঁর অভিযোগ, হাইকোর্ট অভিযোগ জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বললেও, কমিশনে তেমন কিছু নেই।

    ‘ভোট লুঠ করতে দেব না’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ করছেন কমিশনার রাজীব সিনহা। আদালতের নির্দেশ এখানে অভিযোগ গ্রহণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব জায়গায় বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি, তাঁরা কাল থেকে এখানে আসবেন। অভিযোগ জমা দেবেন। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচন এবার হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনওভাবেই এবার আমরা ভোট লুঠ করতে দেব না।”

    আরও পড়ুুন: গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে কোন্দল

    নির্বাচনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নামানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও শুভেন্দুর দাবি, পুলিশের উর্দি পরিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিভিক ভালান্টিয়ারদের গায়ে চাপানোর জন্য বীরভূমে সাড়ে তিন হাজার পুলিশের উর্দি অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বর্ধমানেও উর্দি বানানোর কাজ চলছে।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। বলেন, “২০১৯ এবং ২০২১ সালে যে এলাকায় বিজেপি লিড পেয়েছিল, এখন সেখানে প্রার্থীই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শাসকদল যেভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, তাতে ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রক্ত দেব, তৃণমূলকে কোনও জায়গা দেব না’’! হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘রক্ত দেব, তৃণমূলকে কোনও জায়গা দেব না’’! হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটিতে ঠাঁই না হওয়ায় শেখ সুফিয়ান ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আন্দোলনের মাটি নন্দীগ্রামে শাসকদলের ছন্নছাড়া অবস্থা। মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা বিক্ষিপ্তভাবে বাধার মুখে পড়েছেন। দলীয় প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করলেন ভূমিপুত্র তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu adhikari)।

    নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে রেয়াপাড়া ব্লকের বিজেপির মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা করতে যাওয়ার পথে ঠাকুরচক থেকে  রেয়াপাড়া পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu adhikari)। তিনি বলেন, “রক্ত দেব, তবু নন্দীগ্রামে তৃণমূল চোরেদের জায়গা দেব না। “নন্দীগ্রামে বিজেপি কতগুলি গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করবে, তার পরিসংখ্যান দিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের ১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২ টি আমরা দখল করব। বাকি ৫ টি পঞ্চায়েতে ত্রিশঙ্কু হবে। সেটা পরে আমরা দখল করবো।” এদিন বাদ্যযন্ত্র সহকারে বিজেপির মিছিল বের হয়। মিছিলে দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রেয়াপাড়া ব্লক অফিসের আগে পর্যন্ত মিছিল যায়। তার পর নিয়ম মেনে বিজেপির মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে যান।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu adhikari)?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu adhikari) আরও  বলেন, “যেখানেই ভোট হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবে। নো ভোট টু মমতায় আস্থা রাখছে সাধারণ মানুষ।” রেয়াপাড়া ব্লকে মোট ৭ টি অঞ্চল রয়েছে। এই সাতটি অঞ্চলে মোট ১১৪ জন গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। পাশাপাশি ২১ জন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবে্ন। দুটি জেলা পরিষদের আসনে আগামী কাল তাঁরা মহকুমা শাসকের অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। ২০২১ বিধানসভা ভোটে রাজ্য রাজনীতির পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম। এবারেও ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই নন্দীগ্রামেরই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “টাকার বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে”, নাম না করে মমতাকে নিশানা মোদির

    PM Modi: “টাকার বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে”, নাম না করে মমতাকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম না করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (PM Modi) এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে একযোগে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি ‘রোজগার মেলা’র (Rozgar Mela) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিলি করা হয় ৭০ হাজার নিয়োগপত্র। পরে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি নিশানা করেন মমতা এবং লালুকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পূর্ববর্তী সরকারগুলি কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ করেনি। তারা শুধুমাত্র দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।”

    কাটমানি

    বাংলার নাম না করে তিনি বলেন, “এ রাজ্যে কাজ পেতে গেলে কাটমানি দিতে হয়। পৃথক পৃথক কাজের জন্য আলাদা রেট অর্থাৎ কত টাকা দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করা আছে।” এই দলগুলির রেটকার্ডের বিপরীতে তাঁর সরকার দেশের যুবদের চাকরি সেফগার্ড করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি, দেশের এক রাজ্যে নগদের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। তদন্তে গুরুতর কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। সরকারি চাকরির প্রত্যেক পদের জন্য আলাদা আলাদা রেট ঠিক করা হয়েছে। এই রেটকার্ডের মাধ্যমে দরিদ্রদের লুঠ করা হচ্ছে। যদি সাফাইকর্মীর কাজ চান, তার জন্য আলাদা রেট। গাড়িচালকের কাজের আলাদা রেট। নার্স, কেরানি, শিক্ষক প্রত্যেক পদের আলাদা আলাদা রেট নির্ধারণ করা হয়েছে।”   

    জমির বদলে চাকরি

    জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রাসাদ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। এদিন নাম না করে সে প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে আরও একটি মামলা সামনে এসেছে। এক প্রাক্তন রেলমন্ত্রী রেলে চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে দরিদ্র কৃষকদের জমি কেড়ে নিয়েছেন। জমির বদলে চাকরি দেওয়ার এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে ভাষা বিতর্কের প্রসঙ্গও।

    আরও পড়ুুন: কোউইন পোর্টাল সম্পূর্ণ নিরাপদ, তৃণমূল নেতার অভিযোগ উড়িয়ে সাফ জানাল কেন্দ্র

    তিনি বলেন, “দেশে কিছু কিছু দল ভাষার ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করতে চাইছে। ভাষার ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করতে চাইছে, হিংসা ছড়াতে চাইছে। আমার সরকার সব সময় চেষ্টা করে চলেছে যাতে দেশের যুব সমাজের স্বপ্ন পূরণের পথে ভাষা কোনও প্রতিবন্ধকতা হয়ে না দাঁড়ায়। এই লক্ষ্যেই প্রবেশিকা পরীক্ষা যে কোনও ভাষায় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বাংলায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গণতন্ত্রকে পশ্চিমবাংলায় ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। এবার মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন হবে, এ ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।” কথাগুলি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “সোনামুখীতে দিবাকর ঘরামি তিনবার আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল ন্যাজাটের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসপি ডায়মন্ড হারবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধমক দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আটকাতে বলেছেন। হিঙ্গলগঞ্জে রাতে গিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করতে বলেছেন এসপি নিজে। বিজেপি বুঝিয়ে দেবে লড়াই কাকে বলে। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে। সশস্ত্র পুলিশ কীভাবে দেওয়া হয়, আমরা দেখব।”

    জেলায় জেলায় অশান্তি

    এদিকে, পঞ্চায়েতে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে অশান্তি। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। জখম দলীয় কর্মীর ছবি পোস্ট করে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। রাজ্যপাল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ট্যাগ করে ট্যুইট করেছেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, বাইকে চড়ে প্রায় ১০০ জন গুন্ডা এলাকা ঘিরে ফেলে। বিজেপি কর্মীরা বাধা দিতে এলে তাঁদের মারধর করা হয়। ফোনে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, কেউ ফোন ধরেনি।

    অশান্তি নদিয়ায়

    অন্য দিকে, পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র পেশকে ঘিরে ব্যাপক অশান্তি নদিয়ায়। নাকাশিপাড়ার হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীতলায় কংগ্রেস প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস প্রার্থী জামান মণ্ডলের এক আত্মীয়ের বাড়িতেও হামলা হয়েছে। তাঁর কাকার হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    অশান্তি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপেও। কংগ্রেস প্রার্থী শিবানী দাসকে মনোনয়নপত্র (Suvendu Adhikari) পেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর নথিপত্র। অভিযুক্ত তৃণমূল। মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদেরও রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রেও অভিযোগের অভিমুখ তৃণমূলের দিকে। ভাঙড়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে ডিসিআর নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশের সামনেই করা হয় মারধর। কংগ্রেস প্রার্থী আশরফ আলি মোল্লার অভিযোগ, মনোনয়নপত্র পেশে বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরা। বিডিও অফিসের ভিতরেও মারধর করা হয়।

    আরও পড়ুুন: “পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক ১৪ জুলাই”, প্রস্তাব কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

    রক্তাক্ত হয়েছিল গত পঞ্চায়েত নির্বাচন। হয়েছিল ভোটের বলি। এবারও ঝরেছে প্রাণ। ভোট ঘোষণা হওয়ার পরে পরেই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হন এক কংগ্রেস কর্মী। কাঠগড়ায় তৃণমূল। অশান্তির খবর এসেছে মনোনয়নপত্র পেশের তৃতীয় দিনেও। মনোনয়নে অশান্তি রুখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার পরেও যে সমস্যা মেটেনি, সোমবারের বিভিন্ন ঘটনাই তার প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ‘বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে ভয় পেয়েছেন মমতা’, ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

    Panchayat Election 2023: ‘বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে ভয় পেয়েছেন মমতা’, ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে বৃহস্পতিবার। নির্বাচন হবে ৮ জুলাই। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব। চলবে এ মাসেরই ১৫ তারিখ পর্যন্ত। শুক্রবার মনোনয়নপত্র পেশ-পর্বের প্রথম দিনেই রক্তাক্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এক কংগ্রেস কর্মীকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের আক্রমণে জখম হয়েছেন ওই পরিবার ও প্রতিবেশীদের চারজন। রাজ্যে অশান্তি অব্যাহত ছিল শনিবারেও। এই ইস্যুতেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Panchayat Election 2023) বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর ট্যুইট-বাণ

    ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের ডোমকলে শাসন করছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। অস্ত্র হাতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকে। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার। বিরোধীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে সিভিক ভলান্টিয়াররা। বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে ভয় পেয়েছেন মমতা। তাই বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে’।

    মনোনয়ন পেশে জারি অশান্তি

    এদিকে, মনোনয়নপত্র পেশ করাকে কেন্দ্র করে অশান্তির খবর এসেছে রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে। এদিন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় বিজেপিকে মনোনয়নপত্র পেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় পদ্ম-প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের। এক্ষেত্রেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। বীরভূমের লাভপুরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে প্রহৃত হয়েছেন বিজেপির মণ্ডল সহ-সভাপতি সোমনাথ মণ্ডল। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর হাত-পা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে ব্যাপক অশান্তি হয় লাভপুরে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট করতেই হবে’’, নির্বাচন কমিশনারকে কড়া নির্দেশ রাজ্যপালের

    বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরেও মনোনয়ন (Panchayat Election 2023) পেশ করতে গিয়ে তৃণমূলের হামলার শিকার হয়েছেন পদ্ম-প্রার্থীরা। এদিন মনোনয়নপত্র পেশ করতে গিয়েছিলেন বিজেপির ৫০ জন প্রার্থী। তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, বিষ্ণুপুর গ্রামীণ মণ্ডল ১ এর সভাপতি তপন মাজুরি। বিডিও অফিসে ঢোকার আগেই তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেছেন নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর নায়ক শুভেন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নির্বাচনে জিততে চালু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। দলনেত্রীর মুখ ব্যবহার করে সে যাত্রায় উতরে গিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। সম্প্রতি তৃণমূলের গায়ে লেগেছে একাধিক কেলেঙ্কারির কালি। অথচ দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এমতাবস্থায় ভরসা ফের সেই তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে এবার কর্মসূচির নাম ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’। এ পর্যন্ত অবশ্য কোনও সমস্যা নেই। গোল বেঁধেছে একই ফোন নম্বর দুটি কর্মসূচিতে ব্যবহার করায়।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, সেবারও যে ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল, এবারও সেই নম্বরই দেওয়া হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় তাঁর প্রশ্ন, একটি রাজনৈতিক দলের কাজে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়?

    গুচ্ছ প্রশ্ন

    বৃহস্পতিবারই শুরু হয়েছে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি। সেখানে যে ফোন নম্বরটি দেওয়া হয়েছে, সেটি হল, 9137091370. ছুটির দিন ছাড়া ওই নম্বরে সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত অভাব-অভিযোগ জানাতে পারবেন রাজ্যবাসী। এই নম্বর নিয়েই আপত্তি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। তাঁর প্রশ্ন, আইপ্যাক (ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা) কি নবান্নের দখল নিয়ে নিয়েছে, নাকি আইপ্যাক এখন রাজ্য সরকারের অধীনে চলে এসেছে?

    একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে ব্যবহার করা ফোন নম্বর সরকারি কাজে মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কে নিলেন? আর এই অভিযোগগুলি কে শুনবেন? রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আরও প্রশ্ন, এই ফোন নম্বরটি কি পশ্চিমবঙ্গ সরকার অধিগ্রহণ করেছে? করা হলে তা কীভাবে হয়েছে? নম্বরটি কি স্থানান্তরিত হয়েছে, নাকি এটি এখনও পূর্ববর্তী মালিকের নামেই রয়েছে? এই কর্মসূচির জন্য সরকার কি নতুন কোনও পরিকাঠামো তৈরি করেছে, নাকি দিদিকে বলোর পরিকাঠামো দিয়েই এই কাজ করা হবে?

    আরও পড়ুুন: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ, তৃণমূল কংগ্রেসের ফোন নম্বর দিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার করা হচ্ছে। যার খরচ তৃণমূল নয়, বহন করছে রাজ্য সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Dilip Ghosh: ‘যেখানে ভূতের ভয়’! রুজিরা-ইস্যুতে মমতা-অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘যেখানে ভূতের ভয়’! রুজিরা-ইস্যুতে মমতা-অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। 

    সোমবার সকালে প্রথমে অভিষেক-পত্নীকে বিদেশে যেতে বাধা দেয় কলকাতা বিমানবন্দরে থাকা অভিবাসন দফতর। তাঁর বিরুদ্ধে ইডির একটি লুক আউট সার্কুলার নোটিস জারি থাকার কথা জানিয়ে অভিষেক-পত্নীকে বিদেশে যেতে বাধা দেয় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রুজিরাকে তলব করে ইডি। আগামী ৮ জুন তাঁকে হাজিরা নির্দেশ দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন অভিষেক। অভিষেক বলেন, ‘‘পারলে জনতার দরবারে এসে আমার সঙ্গে লড়াই করুন।’’ 

    অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    অভিষেকের করা এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে তুলোধনা করেন বিজেপি সাংসদ। বলেন, ‘‘যখন ভয় পায় তখন লোকে চিৎকার করে। ভূতের ভয় পেলে বেশি চিৎকার করে গান গায়। তাই যত ভয় বাড়ে তত চিৎকার বাড়ে।’’ দিলীপের দাবি, অভিষেকের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘যত সময় এগোচ্ছে তত ভয় বাড়ছে, আর তাই আওয়াজ তত জোরে হচ্ছে। চিৎকার হচ্ছে। বড় বড় কথা বলছে। অপেক্ষা করুন, কে কাকে গ্রেফতার করে। সময় চলে আসছে।’’ 

    আরও পড়ুন: “অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    মমতাকে নিশানা দিলীপের

    শুধু অভিষেকই নন, এদিন তৃণমূলনেত্রীকেও নিশানা করেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। গতকাল, উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে কটক যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়টিকেও কটাক্ষ করেন দিলীপ। বিজেপি সাংসদের মতে, ‘‘সময় ঘনিয়ে এসেছে, তাই পিসিমনি প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করতে শুরু করেছেন।’’ দিলীপ বলেন, ‘‘এ সবই ড্রামা। কটক কেন? কেন দার্জিলিং গেলেন না! যানা থা জাপান পৌঁছ গয়ে চিন! ক্যায়া মতলাব হোতা হ্যায়। বউমার ডাক পড়েছে। এখন ঘর সংসার সব জেলে হবে। সেই ভয়ে সব ঘেঁটে গেছে। কি বলছেন ঠিক নেই, কোথায় যাচ্ছেন ঠিক নেই। কটক কেন যাচ্ছেন? উঠল বাই কটক যাই!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share