Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Sukanta Majumdar : ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar : ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার উল্টোরথ থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নামল বিজেপি। এদিন বরানগরের নোয়াপাড়ায় রথযাত্রার অনুষ্ঠানে এসে পরোক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘রাহু’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন মহামণ্ডলেশ্বর আশ্রমের উল্টো রথ যাত্রায় অংশ নেন তিনি। 

    তৃণমূলকে আক্রমণ

    উল্টো রথের দিন নিজের হাতে আরতি করা থেকে নিষ্ঠা ভরে জগন্নাথ দেবের আরাধনা করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সাংবিদকরদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে। বিরোধীদের আটকানো হচ্ছে, কোথাও কোথাও শোনা যাচ্ছে ফেক ব্যালট পেপার তৈরি করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুঁজে পাচ্ছি না। আপনারা দেখলে আমাদের জানাবেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে ভোট হচ্ছে। ভোট হবে না ঘোঁট হবে সেটা ভোটের দিন বোঝা যাবে।’

    রাহু-মুক্তির প্রার্থনা

    শীতলকুচিতে ফের হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যাবেন সেখানেই গুলি চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওখানে গিয়ে ইনস্টিগেট করে এসেছেন ভায়োলেন্স। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়া মানেই ওখানে অশান্তি হবে।’ সব শেষে জগন্নাথের কাছে কি প্রার্থনা করলেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রভু জগন্নাথ পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন, মুক্তি দিন।’

    আরও পড়ুন: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

    প্রধানমন্ত্রীর কথা প্রসঙ্গে

    রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণ, প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোনও মিথ্যে কথা বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত বড় বড় কথা বলছেন। কই বিজেপি-র তো কোনও মন্ত্রী জেলে নেই। তার প্রাক্তন মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রী জেলে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা লাগে না, লজ্জা পান না। পার্থ নামটা মুখে একবারও আনেন না। তার নামটা নিয়ে এসে বলুন, পার্থ খুব ভালো ছেলে ছিল।’

    রাজ্যপাল সংবিধানের কাস্টডিয়ান

    রাজ্যপালকে বারবার আক্রমণ করছে তৃণমূল। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘ভালো কাজ যিনি করবেন তাঁকেই তৃণমূল আক্রমণ করবে। রাজ্যপাল যেখানে যেতে চান সেখানে যাবেন। রাজ্যপালের পদক্ষেপ সংবিধানসম্মত, উনি সংবিধানের কাস্টডিয়ান। সংবিধান আমাদের সকলকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করার অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকার রক্ষা করার জন্য কারোর যদি প্রাণ যায়, কেউ যদি আহত হন, তাঁকে দেখতে রাজ্যপাল যেতে পারেন। তিনি উচিত কাজই করছেন বলে আমাদের মনে হয়।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ‘‘ভোট নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নবান্নের ১৪ তলা থেকে’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Panchayat Election 2023: ‘‘ভোট নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নবান্নের ১৪ তলা থেকে’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে ভোট প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নবান্নের ১৪ তলা থেকে। ভোটের নামে প্রহসন হতে চলেছে রাজ্যে। নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে শাসক দলকে তুলোধনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ করল বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ তিনজনই ছিলেন মঞ্চে। 

    শুভেন্দুর তোপ

    এদিনই রাজ্য বিজেপির মুখপত্র কমল বার্তা আবার নবরূপে প্রকাশিত হল। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) আগে বিজেপি ইস্তেহার ‘সংকল্পপত্র’ প্রকাশ করা হল। এদিনের অনুষ্ঠানে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, এরকম ভোট কখনও দেখেনি রাজ্য। কোথাও কেউ মনোনয়ন দিতে পারছেন না। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য ভয় দেখাচ্ছে পুলিশ।  নির্বাচন কমিশন শাসক দলের শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। সেকারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে আপত্তি জানিয়েছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের প্রশংসা করেছেন শুভেন্দু।  তিনি বলেছেন মীরা পাণ্ডে বুঝেছিলেন যে ভোট লুঠ হতে পারে। সেকারণেই তিনি আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিলেন। 

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    বিজেপির সংকল্পপত্র

    পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) স্তরে রাজ্যে যে বিস্তর বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে, তা নিয়ে ফের একবার শাসক শিবিরকে বিঁধেছেন দিলীপ ঘোষও। মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্চায়েতের নির্বাচনী প্রচার নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না সুকান্ত।  বিজেপির পঞ্চায়েতের সংকল্পপত্রে মোট ৯টি ইস্যুকে হাতিয়ার করে এবার গ্রাম বাংলায় প্রভাব বিস্তারের কথা বলা হয়েছে। প্রথম ইস্যু, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গঠন। দ্বিতীয় ইস্যু, কৃষকদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। তৃতীয় ইস্যু, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এছাড়া স্বাস্থ্য, নারী কল্যাণ, আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা, গ্রামীণ পরিকাঠামো, সুশাসন ও সর্বোপরি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মতো ইস্যুগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে বিজেপির সংকল্পপত্রে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Mamata Banerjee: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ আছেন’’, মমতার কপ্টার-বিভ্রাটের পর ট্যুইট রাজ্যপালের

    Mamata Banerjee: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ আছেন’’, মমতার কপ্টার-বিভ্রাটের পর ট্যুইট রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে জরুরি অবতরণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হেলিকপ্টারের। তড়িঘড়ি হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমরে ও পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। বিমানবন্দরে নামার পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ রয়েছেন জেনে স্বস্তিতে রাজ্যপাল। ট্যুইটারে জানালেন সে কথাও।

    ফেরার পথেই বিপত্তি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথেই বিপত্তি। কপ্টার যখন মাঝ আকাশে, তখনই শুরু হয় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। বাধ্য হয়ে সেবকের এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করেন পাইলট। জরুরি অবতরণের কারণে সেখানে কোনও সিঁড়ির ব্যবস্থা ছিল না। কপ্টার থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ রয়েছেন জেনে স্বস্তির শ্বাস ফেলেন রাজ্যপাল।

    বিশেষ বিমানে কলকাতায়

    কপ্টার থেকে নেমে সেবক থেকে সড়কপথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে তাঁকে নিয়ে আসা হয় দমদম বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরের বাইরে তৈরি রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স। তবে মুখ্যমন্ত্রী অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেননি। নিজের গাড়িতেই পৌঁছন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তাঁর জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে হুইল চেয়ার না নিয়ে এক নার্সের হাত ধরে খুঁড়িয়েই হেঁটে হাসপাতালে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর চোটের খবর পেয়েই তৈরি রাখা হয়েছিল উডবার্ন ব্লকের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিন। সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

    আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন নিউরো থেকে অর্থোপেডিক, জেনারেল মেডিসিন সহ বিভিন্ন বিভাগের মুখ্য চিকিৎসকরা। চোট পরীক্ষা করে  দেখতে সেখানে একটি পোর্টেবল এক্স-রে মেশিনও নিয়ে আসা হয়। প্রয়োজনে তাঁর এমআরআই এবং সিটি স্ক্যানও করা হবে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) চোট ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ১২ বছর পর পঞ্চায়েত প্রচারে মমতা! ‘‘বিজেপির কৃতিত্ব’’, বললেন সুকান্ত

    Panchayat Election 2023: ১২ বছর পর পঞ্চায়েত প্রচারে মমতা! ‘‘বিজেপির কৃতিত্ব’’, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন পর পঞ্চায়েতের প্রচারে ময়দানে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) প্রচারে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এটাই বিজেপির সাফল্য দাবি, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেছেন, স্থানীয় নির্বাচনে মমতার প্রচারে নামাই রাজ্যে বিজেপির ক্রমবর্ধমান শক্তিকে বৈধতা দিয়েছে।

    কঠোর বিরোধিতার মুখে তৃণমূল

    রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেছেন, এই তৃণমূল কংগ্রেস গত ২০২১-এর ২ মের পর বলেছিল বিজেপি রাজ্য থেকে হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রী ১২ বছর পর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ( Panchayat Election 2023) জন্য প্রচারে নামতে বাধ্য হচ্ছেন। সেখানে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে বিজেপি রাজ্যে কতটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সুকান্তের কথায়, “১২ পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েতের প্রচারে নেমেছেন। তার মানে এমন একটা বিরোধিতা আমরা বিরোধী দল হিসাবে তৈরি করতে পেরেছি যাতে তাঁকে রাস্তায় নামতে হয়েছে। এ তো রাজ্য সভাপতি হিসাবে আমার এবং আমাদের টিমের সাফল্য।” সুকান্ত আরও বলেন, “তৃণমূলনেত্রী পঞ্চায়েতের প্রচার শুরু করেছেন উত্তরবঙ্গ থেকে। যেখানে এমনিতেই তৃণমূলের দফারফা হয়ে রয়েছে।”

    সোমবার কোচবিহার থেকে পঞ্চায়েতের প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিদির সভা রয়েছে জলপাইগুড়িতে। সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন,মুখ্যমন্ত্রীর পতন শুরু হবে উত্তরবঙ্গ থেকে। তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারের সময় সম্ভাব্য হিংসার বিষয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেছেন, তৃণমূলের আশ্রিত গুণ্ডারা বিজেপিকে ভয় দেখাতে আরও হিংসার আশ্রয় নিতে পারে। তবে তিনি দলের নেতা কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, বিজেপি এতে ভয় পাবে না, তৃণমূলকে উপযুক্ত জবাব দেবে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশটাই চোর’’, ভোটপ্রচারে শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    দিলীপ ঘোষের দাবি

    ২০১৮-র পঞ্চায়েতে একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে জিতেছিল তৃণমূল। প্রায় ৩৩ শতাংশ আসন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল শাসকদল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। বিজেপির সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও পঞ্চায়েত নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ( Panchayat Election 2023) তাঁর অংশগ্রহণ ফলাফল নিয়ে উদ্বেগের কারণেই হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari:  “জেল খাটা আসামিরা পাটনায় জড়ো হয়েছিল”, বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “জেল খাটা আসামিরা পাটনায় জড়ো হয়েছিল”, বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সিন্ডিকেটের ফ্যামিলি গেট টুগেদার।” বিহারের (Bihar) পাটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠককে এই ভাষায়ই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বছরের পর বছর জেল খাটা আসামিরা পাটনায় জড়ো হয়েছিল। এরা সবাই মিলে আগামিদিনে তিহাড় জেলে যাবে।”

    লক্ষ্য দুর্নীতিকে বাঁচিয়ে রাখা!

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বৈঠকের মূল আলোচ্যসূচি ছিল বাংলা সহ গোটা দেশে দুর্নীতিকে বাঁচিয়ে রাখা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোদিজিকে সরানোর চেষ্টা এই প্রথম নয়, ২০১৯ সালেও কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার স্লোগান দিয়েছিলেন। তার ফল কী হয়েছিল, সবাই দেখেছে। পাটনার বৈঠকে তৃণমূল সহ যে সব রাজনৈতিক দল ছিল, তারা নিজেদের দুর্নীতিকে টিকিয়ে রাখতেই একে অপরকে ভোট দেওয়ার আবেদন করছেন। এসব করে কোনও লাভ হবে না। দেশকে বাঁচাতে গেলে নরেন্দ্র মোদিজিকেই ভোট দিতে হবে।”

    শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেকও

    তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাটনায় গিয়েছেন তাঁরই ভাইপো তথা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নাম না করে তাঁকেও নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, “ছবিতে দেখা গেছে গরু পাচারকারীরা পাটনায় গিয়ে লালু প্রসাদের পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ নিয়েছেন। বলেছেন, লালুজি, গরু পাচার তো শেষ! এবার গো-খাদ্য চুরি করতে চাই। কীভাবে তা করব, তার ট্রেনিং দিন।”

    এদিন ট্যুইটও করেন শুভেন্দু। তৃণমূল শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ট্যুইটে শুভেন্দুর কটাক্ষ, “টিএমসি মানে হল তৃণমূল মার্কবাদী কংগ্রেস। এই তিনের যোগফল তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসি।” বিজেপি বিরোধীদের একাসনে বসিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস আর সিপিএম হল তৃণমূলের বি-টিম। আর নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের বি-টিম হল তৃণমূল+সিপিএম। কেরলের চিত্রটা আবার কংগ্রেস বনাম সিপিএম। গোটা বিষয়টাই দ্বিধাগ্রস্ত ব্যাপার। তাহলে কি এই দলগুলি পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের বিরুদ্ধে বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলে?”

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, “বোকা কংগ্রেস এবং সিপিএম কর্মীরা তাঁদের রক্ত দিচ্ছেন দলের জন্য, মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন, যেখানে এই দলগুলির শীর্ষ নেতারা পাটনায় সেটিং করছেন। এ থেকেই প্রমাণ হয় বিজেপি-ই একমাত্র পার্টি পশ্চিমবঙ্গে যারা তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে।” ওই বৈঠককে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “এটা এক ধরনের স্বীকারোক্তি যে কংগ্রেসের মতো একটি শতাব্দী প্রাচীন দল তারা একা আর নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলা করতে পারছে না।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন হলিউড খ্যাত গায়িকা, চাইলেন আশীর্বাদও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: “স্বরাষ্ট্র দফতর জানুক রাজ্যের কোথায় বোমা শিল্প চলছে”! ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: “স্বরাষ্ট্র দফতর জানুক রাজ্যের কোথায় বোমা শিল্প চলছে”! ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর তো জানুক রাজ্যের বোমা শিল্প কোথায় কেমন চলছে!” পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে এক মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার একথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, “মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়েছে। গুলি, পরপর গাড়িতে আগুন, লাঠি-বাঁশ হাতে দুর্বৃত্তদের দাপাদাপি, ভাঙড় থেকে ক্যানিং, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপর্বে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে ভয়ঙ্কর এই হিংসার ছবি। তাহলে পুলিশ কী করছিল? পুলিশ কি এসব ঘটনা স্বরাষ্ট্র দফতরকে জানিয়েছে? স্বরাষ্ট্র দফতর অন্তত জানুক রাজ্যের বোমা শিল্প কোথায় কেমন চলছে!”

    বেলাগাম সন্ত্রাসের ছবি

    মনোনয়নপত্র পেশের শেষ দিনে পুলিশি প্রহরায় বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার জন্য গন্তব্যে পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। তার পরেও সংবাদ মাধ্যমের পর্দায় ভেসে ওঠে বেলাগাম সন্ত্রাসের ছবি। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি থামিয়ে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশে বাধা দেয় তৃণমূল। ভাঙড়ের শোনপুর বাজারের কাছে পুলিশি প্রহরায় আসা আইএসএফ প্রার্থীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। প্রহরারত পুলিশ কর্মীরা তখন সেখান থেকে সরে যান বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিনের।

    রাজ্য সরকারের জবাব তলব

    সেই মামলা (Panchayat Election 2023) প্রসঙ্গে বিচারপতি মান্থা বলেন, “ভাঙড়, কাশীপুর, হাড়োয়া, বসিরহাট নিয়ে আদালতের নির্দেশের পরেও মামলাকারীদের মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হওয়ায় জায়গায় জায়গায় বোমাবাজি ও গুলি চলেছে।” এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের জবাব তলব করেছে আদালত। ক্যানিং, মিনাখা, ভাঙড়, ন্যাজাট, জীবনতলা এলাকায় মনোনয়নের জন্য কত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল, তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। বুধ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিও অফিস চত্বরের সিসিটিভির ফুটেজও তলব করেছেন বিচারপতি মান্থা। ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    ক্যানিংয়ে অশান্তির ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার ও একজন অতিরিক্ত সুপার মর্যাদার অফিসার নিয়োগ করে তদন্তের (Panchayat Election 2023) নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক তৃণমূলের পরেশরাম দাস, থানার আইসি এবং ক্যানিংয়ের এসডিপিও-র বিরুদ্ধে এফআইআর গ্রহণ করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারলেন না, তা জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ এবারে নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) দিকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র হল নন্দীগ্রাম। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের দিকে রাজনৈতিক মহলের বিশেষ নজর। অপর দিকে তৃণমূলেরই টিকিট পাননি শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রামে কী ফল হবে সেই প্রশ্ন এখন সবাইকার মুখে। 

    কেন নজর নন্দীগ্রামে?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল, জেলা পরিষদের টিকিট পাননি বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইলেকশান এজেন্ট তথা নন্দীগ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। সুফিয়ানের অনুগামীরা অর্থাৎ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা নাগরিক মঞ্চ গঠন করে প্রার্থী দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করেছে আবার বিজেপি। ফলে রাজনৈতিক ভাবে ভোটের অঙ্কের হিসেব কী দাঁড়াবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

    বিজেপি প্রার্থীর অঙ্কটা কেমন?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) মোট ১০ টি অঞ্চল রয়েছে এই ১ নং ব্লকে। দশটি অঞ্চলের মোট আসন সংখ্যা ১৮৫ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি ও জেলা পরিষদের ৩ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি আসনের মধ্যে ২৩ টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি এবং ৩ টি জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যে আসন গুলিতে বিজেপি প্রার্থী দেয়নি, সেখানে নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাথ পালের বক্তব্য, ১০ টি অঞ্চলেই বোর্ড গঠন করবে বিজেপি।

    তৃণমূলের বক্তব্য 

    তবে এই বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না ১ নং ব্লক (Purba Medinipur) তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। তিনি বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৬ আসনে ও পঞ্চায়েত সমিতির ৭ টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতন কর্মী পায়নি বিজেপি। বিরোধী রাজনীতির দলকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি সকলেই প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএম আজ মিউজিয়ামে, কংগ্রেসে আজ হিমঘরে, বিজেপি আজ গোয়ালঘরে এবং তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে মানুষের দুয়ারে, তাই আমাদের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করেন তিনি। বাপ্পাদিত্যবাবু আরও বলেন, নন্দীগ্রাম তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি, জয় আমাদের নিশ্চিত।

    পাশাপাশি শুভেন্দু গড়ে এখন কোন ফুল ফোটে এটাই এখন দেখার!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু, করলেন ‘বড়’ অভিযোগও

    Suvendu Adhikari: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু, করলেন ‘বড়’ অভিযোগও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘পোষ্য’ বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার বিকেলে কলকাতায় কমিশনের দফতরে জমায়েত করে বিজেপি। প্রথমে জেলায় জেলায় অশান্তি এবং মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে যান শুভেন্দু। বেরিয়ে এসে নয়া কমিশনারের বিরুদ্ধে উগরে দেন ক্ষোভ। কমিশন তৃণমূলকে সুবিধা করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যে ১৪৪ ধারা সত্ত্বেও রক্ত ঝরছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

    বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

    তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল, কমিশন ও পুলিশ মিলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়াই এদের লক্ষ্য। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি, তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা নিতে হবে কমিশনের দফতরেই। আদালত স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু স্পর্শকাতর এলাকা বলে কিছু যে রয়েছে, তা মানতেই চাইছে না কমিশন। তাঁর অভিযোগ, হাইকোর্ট অভিযোগ জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বললেও, কমিশনে তেমন কিছু নেই।

    ‘ভোট লুঠ করতে দেব না’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ করছেন কমিশনার রাজীব সিনহা। আদালতের নির্দেশ এখানে অভিযোগ গ্রহণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব জায়গায় বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি, তাঁরা কাল থেকে এখানে আসবেন। অভিযোগ জমা দেবেন। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচন এবার হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনওভাবেই এবার আমরা ভোট লুঠ করতে দেব না।”

    আরও পড়ুুন: গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে কোন্দল

    নির্বাচনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নামানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও শুভেন্দুর দাবি, পুলিশের উর্দি পরিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিভিক ভালান্টিয়ারদের গায়ে চাপানোর জন্য বীরভূমে সাড়ে তিন হাজার পুলিশের উর্দি অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বর্ধমানেও উর্দি বানানোর কাজ চলছে।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। বলেন, “২০১৯ এবং ২০২১ সালে যে এলাকায় বিজেপি লিড পেয়েছিল, এখন সেখানে প্রার্থীই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শাসকদল যেভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, তাতে ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রক্ত দেব, তৃণমূলকে কোনও জায়গা দেব না’’! হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘রক্ত দেব, তৃণমূলকে কোনও জায়গা দেব না’’! হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটিতে ঠাঁই না হওয়ায় শেখ সুফিয়ান ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আন্দোলনের মাটি নন্দীগ্রামে শাসকদলের ছন্নছাড়া অবস্থা। মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা বিক্ষিপ্তভাবে বাধার মুখে পড়েছেন। দলীয় প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করলেন ভূমিপুত্র তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu adhikari)।

    নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে রেয়াপাড়া ব্লকের বিজেপির মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা করতে যাওয়ার পথে ঠাকুরচক থেকে  রেয়াপাড়া পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu adhikari)। তিনি বলেন, “রক্ত দেব, তবু নন্দীগ্রামে তৃণমূল চোরেদের জায়গা দেব না। “নন্দীগ্রামে বিজেপি কতগুলি গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করবে, তার পরিসংখ্যান দিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের ১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২ টি আমরা দখল করব। বাকি ৫ টি পঞ্চায়েতে ত্রিশঙ্কু হবে। সেটা পরে আমরা দখল করবো।” এদিন বাদ্যযন্ত্র সহকারে বিজেপির মিছিল বের হয়। মিছিলে দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রেয়াপাড়া ব্লক অফিসের আগে পর্যন্ত মিছিল যায়। তার পর নিয়ম মেনে বিজেপির মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে যান।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu adhikari)?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu adhikari) আরও  বলেন, “যেখানেই ভোট হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবে। নো ভোট টু মমতায় আস্থা রাখছে সাধারণ মানুষ।” রেয়াপাড়া ব্লকে মোট ৭ টি অঞ্চল রয়েছে। এই সাতটি অঞ্চলে মোট ১১৪ জন গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। পাশাপাশি ২১ জন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবে্ন। দুটি জেলা পরিষদের আসনে আগামী কাল তাঁরা মহকুমা শাসকের অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। ২০২১ বিধানসভা ভোটে রাজ্য রাজনীতির পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম। এবারেও ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই নন্দীগ্রামেরই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “টাকার বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে”, নাম না করে মমতাকে নিশানা মোদির

    PM Modi: “টাকার বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে”, নাম না করে মমতাকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম না করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (PM Modi) এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে একযোগে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি ‘রোজগার মেলা’র (Rozgar Mela) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিলি করা হয় ৭০ হাজার নিয়োগপত্র। পরে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি নিশানা করেন মমতা এবং লালুকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পূর্ববর্তী সরকারগুলি কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ করেনি। তারা শুধুমাত্র দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।”

    কাটমানি

    বাংলার নাম না করে তিনি বলেন, “এ রাজ্যে কাজ পেতে গেলে কাটমানি দিতে হয়। পৃথক পৃথক কাজের জন্য আলাদা রেট অর্থাৎ কত টাকা দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করা আছে।” এই দলগুলির রেটকার্ডের বিপরীতে তাঁর সরকার দেশের যুবদের চাকরি সেফগার্ড করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি, দেশের এক রাজ্যে নগদের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। তদন্তে গুরুতর কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। সরকারি চাকরির প্রত্যেক পদের জন্য আলাদা আলাদা রেট ঠিক করা হয়েছে। এই রেটকার্ডের মাধ্যমে দরিদ্রদের লুঠ করা হচ্ছে। যদি সাফাইকর্মীর কাজ চান, তার জন্য আলাদা রেট। গাড়িচালকের কাজের আলাদা রেট। নার্স, কেরানি, শিক্ষক প্রত্যেক পদের আলাদা আলাদা রেট নির্ধারণ করা হয়েছে।”   

    জমির বদলে চাকরি

    জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রাসাদ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। এদিন নাম না করে সে প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে আরও একটি মামলা সামনে এসেছে। এক প্রাক্তন রেলমন্ত্রী রেলে চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে দরিদ্র কৃষকদের জমি কেড়ে নিয়েছেন। জমির বদলে চাকরি দেওয়ার এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে ভাষা বিতর্কের প্রসঙ্গও।

    আরও পড়ুুন: কোউইন পোর্টাল সম্পূর্ণ নিরাপদ, তৃণমূল নেতার অভিযোগ উড়িয়ে সাফ জানাল কেন্দ্র

    তিনি বলেন, “দেশে কিছু কিছু দল ভাষার ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করতে চাইছে। ভাষার ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করতে চাইছে, হিংসা ছড়াতে চাইছে। আমার সরকার সব সময় চেষ্টা করে চলেছে যাতে দেশের যুব সমাজের স্বপ্ন পূরণের পথে ভাষা কোনও প্রতিবন্ধকতা হয়ে না দাঁড়ায়। এই লক্ষ্যেই প্রবেশিকা পরীক্ষা যে কোনও ভাষায় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share