Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Loksabha Election 2024: আজই কলকাতায় মমতা-নীতীশ বৈঠক! বিরোধী জোটে কী পদক্ষেপ?

    Loksabha Election 2024: আজই কলকাতায় মমতা-নীতীশ বৈঠক! বিরোধী জোটে কী পদক্ষেপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election 2024)। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের একজোট করার উদ্দেশে আজ, সোমবারই কলকাতায় আসছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই লখনউ উড়ে যাবেন নীতীশ। 

    নীতীশ-মমতা সাক্ষাত

    সূত্রের খবর, এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে আসবেন নীতীশ কুমার। তবে তিনি একা নন, সঙ্গে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবও কলকাতায় আসছেন। দুজনেই নবান্নে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। তারপর এদিনই লখনউ উড়ে যাবেন নীতীশ-তেজস্বী। সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করতেই তাঁরা লখনউ যাবেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিতে একত্রিত করার লক্ষ্যেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিশেষ আর্জি নিয়ে আসছেন নীতীশ, এমনই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    বিরোধীদের প্রয়াস

    সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নীতীশ কুমার। তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে নিয়ে কয়েকদিন আগেই দিল্লি গিয়েছিলেন নীতীশ। কিছুদিন আগেই কলকাতার রেড রোডে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তিনি বিরোধীদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানান। সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। পাশাপাশি ওড়িশা সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। 

    আরও পড়ুন: প্রথমবার ভারতে আসছেন জো বাইডেন, কেন জানেন?

    বিরোধী জোট মরীচিকা

    রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, অসম্ভব না হলেও জোট গড়া সহজ নয় বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। বিরোধী দলগুলি ঐক্যবদ্ধ হতে প্রধান বাধা নেতৃত্ব বা মোদি-বিরোধী মুখ। যে দলের ৩০-এর বেশি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে, সেই দলই চাইছে তাঁদের নেতা বা নেত্রী বলে প্রধানমন্ত্রী মুখ বা মোদি-বিরোধী প্রধান মুখ। তাতেই নড়ে যাচ্ছে বিরোধী ভিত। বিরোধীদের ঐক্য এখন মরীচিকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Home Ministry: কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বরাদ্দ বকেয়া টাকা চেয়ে রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    Home Ministry: কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বরাদ্দ বকেয়া টাকা চেয়ে রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাহিনীর বকেয়া টাকা চেয়ে রাজ্যের উপর চাপ বাড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। লিখিত বার্তায় মন্ত্রক জানিয়েছে, বকেয়া থাকায় মূল অর্থের উপর জরিমানা ধার্য হয়েছে। ফলে এখন প্রায় ১৮৫২ কোটি টাকা মেটানোর কথা জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) বারবার নিশানা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে রাজ্যের যে বিপুল বকেয়া রয়েছে তা একবারও মুখে আনেননি মুখ্যমন্ত্রী।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry) থেকে যে চিঠি নবান্নে এসেছে তাতে বকেয়া মেটানোর কথা লেখা রয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই খাতে রাজ্যের কাছে বকেয়া রয়েছে প্রায় ১৮০৬ কোটি টাকা। আর একই বছরে ১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও বকেয়া হয়েছে প্রায় ২১ কোটি টাকা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী, এই বকেয়া ৯০ দিনের মধ্যে মিটিয়ে না দিলে ২.৫% হারে জরিমানা করা হয়। তাতে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বাড়তি চেপেছে। ফলে বকেয়া টাকার অঙ্ক ১৮৫২ কোটি টাকাতে পৌঁছে গিয়েছে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র–রাজ্য কোনও পক্ষই রকারি ভাবে মন্তব্য করতে চায়নি।

    আরও পড়ুন: ভিজল ডুয়ার্স! দক্ষিণবঙ্গে আজও চলবে তাপপ্রবাহ, সব জেলায় বৃষ্টি কবে?

    নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা-সহ একাধিক কারণে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন হয়ে থাকে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই বাহিনী বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ রাজ্যের কাছে দাবি করে কেন্দ্র। রাজ্য প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, রাজ্য নিজে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সাধারণত চায় না। নির্বাচন থাকলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসে। এ রাজ্যে গত কয়েকটি নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। ফলে যে কর্তৃপক্ষ বাহিনী পাঠানোর সুপারিশ করেন, তাদেরই খরচের বিষয়টা দেখা দরকার। তা রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। সাম্প্রতিক কালে বাংলার বকেয়া নিয়ে বারবার সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যকেও যে কেন্দ্রকে টাকা দিতে হবে তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Home Ministry) চিঠিতে স্পষ্ট। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। সেখানে রাজ্যের পক্ষ থেকে এই বকেয়া মেটানো না হলে সেটা প্রচারের আলোয় আনা হবে, বলে দাবি বিরোধীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাধা নিরাপত্তা, তাই মমতার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাধা নিরাপত্তা, তাই মমতার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দায়িত্বশীল বিধায়কও। তাই নিরাপত্তার খাতিরে মুখ্যমন্ত্রীর কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আপনি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক রকম ব্যাপার থাকে। নিরাপত্তার জন্যই আপনার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনা যায় না। তাই আনছি না।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    মঙ্গলবার সিঙ্গুরের এক জনসভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা চলে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে চারবার ফোন করে হাতে পায়ে ধরেছিলেন। শুভেন্দুর সেই দাবিকে মিথ্যাচার বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেছিলেন, সত্যি প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।

    এদিনই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেছিলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মমতার কল রেকর্ডিং প্রকাশ্যে এনে সব ফাঁস করবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দিকটির কথা ভেবে কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যদিও তাঁর দাবি যে নিছক ভুয়ো নয়, তাও জানান শুভেন্দু। তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, আপনারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। সেই মামলা করুন। কারণ সে ক্ষেত্রে মামলার সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর কল রেকর্ডিংয়ের তথ্য প্রকাশ্যে আনতে বাধ্য হবে সংশ্লিষ্ট টেলি যোগাযোগ সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: ঈদের জন্য রেড রোড ও ময়দানের প্রস্তুতির যাবতীয় খরচ এবার করছে মমতার সরকার!

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শুভেন্দুর ওই মন্তব্যের পর বুধবারই তৃণমূলের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সেই চিঠির সারমর্ম হল, শুভেন্দু ওই মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, আদালতে মামলা হলেই দুধ আর জল স্পষ্ট হয়ে যাবে। এদিন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, আপনি প্রশাসনিক কর্ত্রী। আপনার ফোনের ডিটেল, কলের ডিটেল জনসমক্ষে আনা যায় না। আমি তা জনসমক্ষে আনতেও চাই না। একমাত্র আইন বা আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া তা জনসমক্ষে আসে না।

    তিনি বলেন, আপনি মামলা করুন। ট্রাইকেও (TRAI) আমি পার্টি করব। ৪ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল আপনার দুটি ল্যান্ড ফোনের কল রেকর্ড আদালতের কাছে তারা দিতে বাধ্য হবে। তাহলেই দুধ ও জল স্পষ্ট হয়ে যাবে। শুভেন্দু বলেন, আমি আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম, আপনিও আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’! মমতাকে কটাক্ষ করে আর কী কী বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’! মমতাকে কটাক্ষ করে আর কী কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একই সঙ্গে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি  তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নদিয়ার শান্তিপুরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে এসে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূলের মধ্যে এখন পিসি তৃণমূল না ভাইপো তৃণমূল, এই নিয়ে লড়াই চলছে। আগে বাবার দরবারে সব পাগল ছিল, এখন পিসির দরবারে পাগলগুলো এসেছে।”

    সুকান্তের দাবি

    বুধবার প্রথমে জাতীয় সড়কে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার বাইক র‍্যালিতে অংশ নেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। এরপরেই শান্তিপুর থানার গোবিন্দপুরে একটি বেসরকারি লজে দলীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত। মুকুল রায় প্রসঙ্গে বলেন, “অনেকেরই অনেক কিছু ইচ্ছা হয়। বিষয়টা পুরো ঘোলা জলের মধ্যে রয়েছে আগে পরিষ্কার হোক। উনি এখনও অফিসিয়ালি আমাদের দলের বিধায়ক। যদিও তাঁর পদ খারিজ নিয়ে আমরাই মামলা করেছিলাম। কারণ তিনি তৃণমূলের পতাকা হাতে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।”

    আরও পড়ুন: রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় অমিত শাহ! নববর্ষের পর ফের জনসভা বাংলায়

    বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে রাজ্যের শিল্প ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে। কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে যেখানে শিল্পবান্ধব পরিবেশ রয়েছে সেখানে শিল্প তৈরি করা হবে। সুকান্তের (Sukanta Majumdar) কথায়, “লাখ লাখ কোটি কোটি বেকার যুবক-যুবতীদের কেউ সরকারি চাকরি দিতে পারবে না। চাকরি হবে শিল্পের মাধ্যমে আর সেটা আমরা করব।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে এসে বলে গিয়েছেন ১৪ তারিখে আর প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন ১৭ তারিখে। তার থেকেই বোঝা যায় ওনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।” তৃণমূল জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকেই তিনবার ফোন করেছিলেন বলে দাবি করেন সুকান্ত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CPM: দুর্নীতির সমস্ত পরিকল্পনা করেছেন মমতা, তিন ঘণ্টা জেরা করলেই সব বেরিয়ে আসবে, বললেন বিকাশ

    CPM: দুর্নীতির সমস্ত পরিকল্পনা করেছেন মমতা, তিন ঘণ্টা জেরা করলেই সব বেরিয়ে আসবে, বললেন বিকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর মানিক ভট্টাচার্য এবং সবশেষে জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হয়েছেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই-এর তদন্ত শুরু হতে চলেছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছে। এরইমধ্যে বুধবার দুপুরে বারাসত জেলা আদালতে একটি মামলার সূত্রে এসে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিএম (CPM) নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দুর্নীতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সরাসরি দায়ী করলেন। তিনি বলেন, গোটা দুর্নীতিটাই পরিকল্পনা করে করা হয়েছে। আর সেই পরিকল্পনা করা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এবং রাজ্যের সচিবালয় থেকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো দু-নম্বরে ছিলেন। আমরা বারবার সওয়াল করেছি, সমস্ত কিছুর জন্যই দায়ী হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সবকিছু বেরিয়ে আসবে। নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন বিকাশবাবু। ফলে, তাঁর এই বক্তব্য যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    মুকুল রায়ের দিল্লি যাত্রা নিয়ে কী বললেন বর্ষীয়ান সিপিএম (CPM) নেতা?

    মুকুল রায়কে জোর করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় অভিযোগ করেছিলেন। এর পিছনে বড় টাকার খেলা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন। যদিও দিল্লিতে গিয়ে সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছেন বিধায়ক মুকুল রায়। তিনি বলেছেন, কেউ জোর করেনি। আমি স্বেচ্ছায় দিল্লি এসেছি। বিজেপিতে থেকে রাজনীতি করারও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। এসব নিয়ে যখন তর্ক-বিতর্ক চলছে, তখন তাঁর দিল্লি যাত্রাকে কটাক্ষ করলেন সিপিএম (CPM) নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিকাশবাবু আরও বলেন, মুকুল রায় কি এমনি এমনি দিল্লি গিয়েছেন। মুকুলকে মমতা (Mamata Banerjee) পাঠিয়েছেন। শরীর খারাপের যে কথা বলা হচ্ছে তা সবটাই নাটক। মমতাই তাঁকে পাঠিয়েছেন। আসলে তিনি চেষ্টা করছেন নিজেকে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচাতে। কারণ, তদন্ত যে জায়গায় গিয়েছে, সেখান থেকে তাঁদের বাঁচার কোনও রাস্তা নেই, একমাত্র অমিত শাহ আর নরেন্দ্র মোদির পায়ে ধরা ছাড়া। সেইজন্যই মুকুলকে এজেন্ট করে পাঠানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: জাতীয় দলের তকমা বাঁচাতে শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: জাতীয় দলের তকমা বাঁচাতে শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে এক মাসের মধ্যে সিঙ্গুরে (Singur) টাটাকে (TATA) এনে শিল্প হবে। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কৃষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে এবং সিঙ্গুরে শিল্প গড়ে তোলার দাবিতে আয়োজন করা হয়েছিল ওই সভার। তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, এরকম স্ট্রং অপজিশন গত ১২ বছরে দেখেনি মমতা সরকার। এর আগে সিপিএমের অপজিশন লিডার সূর্যকান্ত মিশ্র ছিলেন, সেটিং করে নিয়েছিলেন। কংগ্রেস ছিল তাকেও সেটিং করা গিয়েছিল। কিন্তু বিজেপিকে করা যায়নি। তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যদি কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসা করা যায়, তাঁর অফিসের সবাইকে জেরা করা যায়, তাহলে যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মমতা ব্যানার্জির ওপর কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সিবিআই?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    এদিন সভা হয়েছে সিঙ্গুর বিধানসভার অন্তর্গত বড়া হাওয়াখানা ময়দানে। সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ শুভেন্দু যখন জনসভায় পৌঁছন তখন মাঠে উপচে পড়া ভিড়। এদিনের মঞ্চে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, বিধায়ক বিমান ঘোষ, খগেন মুর্মুর মতো বিজেপির হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, কৃষি জমি ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে মমতা সিঙ্গুর আন্দোলন করেননি। তিনি সব থেকে বড় সর্বনাশ করে গিয়েছেন টাটার কারখানা ধ্বংস করে। সিপিএমের জমি নীতির বিরোধিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৮৯৪ সালের ব্রিটিশদের জমি আইন বস্তাপচা ছিল। আমরা কিন্তু শিল্পের পক্ষে। শুভেন্দু বলেন, ১৬ দিন এখানে বসে ড্রামা করে টাটাকে তাড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপি যদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তাহলে টাটাকে ফুলের মালা পরিয়ে রাজ্যে আনা হবে।

    আরও পড়ুুন: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    তিনি বলেন, ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি ধরা পড়েছে। জলজীবন প্রকল্পকে নিজেদের নামে করতে চায় তৃণমূল সরকার। তিনি বলেন, এখন তৃণমূলের দুয়ারে সিবিআই চলছে। শুভেন্দু বলেন, সর্বভারতীয় তকমা সরতেই মরিয়া তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জাতীয় তকমা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অমিত শাহজি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন যা করেছে, নিয়ম মেনেই করেছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহকে গুন্ডা বলেছেন। ওদিকে তাঁকে চারবার ফোন করে পা ধরেছেন। বলছেন, ২০২৪ পর্যন্ত আমার রাষ্ট্রীয় তকমাটা রাখা যাবে না? জবাবে অমিত শাহজি স্পষ্ট বলেছেন, আপনি তো ভোট পাননি। সেই নিয়মে আপনি আর সর্বভারতীয় নন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সুকান্তর! কেন বললেন এই কথা?

    Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সুকান্তর! কেন বললেন এই কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরে ও হুগলির রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে যে অশান্তি হয়েছিল তা পূর্বপরিকল্পিত। এমনকি বিজেপির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে অশান্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সম্প্রতি নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর দাবি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে এর প্রমাণ দিতে হবে। না হলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লিতে মুকুল! বাড়ছে জল্পনা

    সুকান্তের ট্যুইট

    সোমবার ট্যুইট করে সুকান্তের (Sukanta Majumdar) হুঁশিয়ারি, ‘আমি পশ্চিবঙ্গের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। তিনি আজ তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। তিনি যা বলেছেন, তার প্রমাণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে দিতে হবে, না হলে বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে। আপনি যদি সূর্যের দিকে চেয়ে থুতু ফেলেন তবে তাতে আপনার মুখ পুড়বে।’ তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের অংশ জুড়ে দিয়েছেন সুকান্ত। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,’হাওড়া-রিষড়ায় যে ঘটনা ঘটেছে তা পরিকল্পিত। দেশের ১০০টি জায়গায় যে অশান্তি হয়েছে তা পরিকল্পিত। বিজেপি নিজেদের মিটিং-এ বলেছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাড়াও, জাতি দাঙ্গা বাড়াও। দরকার হলে উত্তরবঙ্গে, পাহাড়ে আন্দোলনকে পরোক্ষ সমর্থন করো। কারণ যে করেই হোক আমাকে জিততে হবে। এভাবে কি জেতা যায়? গণতন্ত্রে মানুষকে বিশ্বাস করতে হয়।’

    গরু পাচার থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্যের শাসক দল। সোমবারই নিয়োগ-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। প্রতিদিনই উঠে আসছে নতুন নতুন নাম। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন মুখ্যমন্ত্রীর নামও হয়তো যুক্ত হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমায় বিজেপির সভায় যোগ দিয়ে সুকান্ত বলেন, “রাজ্যে একনায়কতন্ত্র, সরকারের অপশাসন, রাজনৈতিক হিংসায় জেরবার মানুষ। জনগন পরিবর্তন চায়। বিজেপি-ই বিকল্প পথ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে প্রয়োজনে ‘গুন্ডামি’ করতেও রাজি। সোমবার বাঁকুড়ার জনসভা থেকে জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সরাসরি মমতার নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘আপনার মতো অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য যদি গুন্ডামি করতে হয় তবে একবার নয়, এক হাজার বার করব।’

    শুভেন্দু যা বললেন

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে নাম না করে শুভেন্দুকে ‘ডাকু’ বলেছেন মমতা। এমন ইঙ্গিতও করেন যে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ইশারাতেই চলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওন্দার সভায় তার পাল্টা দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “খুব বড় বড় কথা না! বলছেন অমিত শাহকে পশ্চিমবঙ্গে একটা গুণ্ডা পরামর্শ দেয়। সাহস থাকলে নামটা বলুন না।” অহঙ্কারী, দুর্নীতির মক্ষীরানি, চোরেদের সর্দারনী বলেও এদিন মমতাকে কটাক্ষ করেন তিনি। এর সঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, পরিবারবাদ, কাটমানি, তোষণ যাঁর একমাত্র অ্যাজেন্ডা, তাঁকে যদি গণতান্ত্রিকভাবে ধ্বংস করতে হয়, ভোটের মাধ্যমে যদি উপড়ে ফেলতে হয় তাহলে যে কোনওরকম পথ অবলম্বন করতে প্রস্তুত তিনি।

    অভিষেককে কটাক্ষ

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককেও সোমবারের সভা থেকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। গত বুধবার ওন্দায় এসে অভিষেক বলেছিলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে জিতিয়ে ‘পাপ’ করেছেন বাঁকুড়ার মানুষ। তাঁরা এ বার ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করবেন। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার মানুষ আপনার মতো চিকিৎসা করাতে আমেরিকায় যেতে পারেন না। কারণ, ওঁদের অত টাকা নেই। বাঁকুড়ার দরিদ্র মানুষ পান্তাভাত, মুড়ি, ছোলা, ডাল-ভাতে জীবন যাপন করেন। তাঁরা পাপী নন।’’

    আরও পড়ুন: সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লিতে মুকুল! বাড়ছে জল্পনা

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘তৃণমূল একটা মডেল তৈরি করেছে। সেই মডেলে কারা আছেন? পার্থ-অর্পিতা, অনুব্রত-সায়গল, কুন্তল-শান্তনু!” এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘তৃণমূল এখন কোথায় আছে জানেন? দুটো জায়গায় আছে। পাঁচিলের উপরে আর পচা পুকুরে!’ বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘তোলামূলের জীবন ভিতরে চলে গেছেন। কিন্তু তিনি পাঁচিল টপকে পালাতে চেষ্টা করেছিলেন, পারেননি। মোবাইল ছুড়ে ফেলেছিলেন পুকুরে। পাঁকের তলা থেকে তা বের করা হয়েছে! এই হল এখন তৃণমূলের অবস্থা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta-Mamata: ‘‘উত্তর প্রদেশে মাফিয়া খুন লজ্জার, আর বাংলায় হিন্দু খুন গর্বের?’’ মমতাকে ট্যুইট-খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta-Mamata: ‘‘উত্তর প্রদেশে মাফিয়া খুন লজ্জার, আর বাংলায় হিন্দু খুন গর্বের?’’ মমতাকে ট্যুইট-খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদকে অতর্কিতে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটায় উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে ট্যুইট করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। মমতার সেই ট্যুইটকে কটাক্ষ করে পাল্টা ট্যুইট করলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। ট্যুইট বার্তায় সুকান্ত লিখেছেন, যদি উত্তর প্রদেশে মাফিয়াদের খুন করা হয় তবে এটা আপনার কাছে লজ্জার। পশ্চিমবঙ্গে রোজ হিন্দুদের খুন করা হচ্ছে। সেটা আপনার কাছে গর্বের। এটাই প্রমাণ করছে কোনটা আপনার অগ্রাধিকার ও কোনটা আপনার হিপোক্রেশি। 

    কোন ঘটনায় ট্যুইট

    উত্তরপ্রদেশে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় গ্যাংস্টার থেকে রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠে আতিক আহমেদের। তার ছেলে আসাদকে সম্প্রতি এনকাউন্টারে মেরেছিল পুলিশ। শনিবার ছিল আসাদের শেষকৃত্যের দিন। সেদিন মেডিক্যাল টেস্ট করার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছিল আতিককে। চারদিকে পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেই আচমকা আতিকের মাথা লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ভয়াবহ ঘটনার ছবি। ঘটনাস্থলেই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়লেও প্রশ্ন উঠেছে যোগী-রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে।

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    দুই পক্ষের ট্যুইট-যুদ্ধ

    বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে লিখেছিলেন,’আমি এই নৈরাজ্য দেখে আঘাত পেয়েছি। উত্তর প্রদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরো ভেঙে পড়েছে। এই ধরনের বেআইনী কাজের কোনও জায়গা আমাদের সাংবিধানিক গণতন্ত্রে নেই।’ এরপরই অবশ্য মমতাকে উদ্দেশ্য করে পাল্টা ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গের নৈরাজ্য় ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি দেখে আপনি কবে স্তম্ভিত হবেন? এবার মমতার ট্যুইটকে তুলে ধরে পালটা ট্যুইট করলেন সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ২৫-এ পালাবদলের ইঙ্গিত! ‘লোকসভা ভোটে ৩৫টি আসন দিন’, বঙ্গবাসীকে আহ্বান অমিত শাহের

    Amit Shah: ২৫-এ পালাবদলের ইঙ্গিত! ‘লোকসভা ভোটে ৩৫টি আসন দিন’, বঙ্গবাসীকে আহ্বান অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে (LokSabha Election 2024) বাংলায় বিজেপির টার্গেট ঠিক করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সিউড়ির বেনীমাধব হাই স্কুলের মাঠে সভা করেন অমিত শাহ। এদিন তিনি বলেন, ‘বিধানসভায় বিজেপিকে ৭৭টি আসন জিতিয়ে দায়িত্ব বাড়িয়েছে বাংলা। ২০২৪-এ নরেন্দ্র মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে ৩৫টিরও বেশি আসনে জেতান।’ অমিতের দাবি, লোকসভায় ৩৫এর বেশি আসন বঙ্গবাসী দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতনের জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না তাঁদের।

    পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন

    দিল্লির বিজেপি নেতৃত্বের পাখির চোখ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন৷ এ দিন বীরভূমের সিউড়ির জনসভা থেকে তা স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজ্যবাসীর কাছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি-কে ৩৫টি আসনে জেতানোর অনুরোধ করেছেন৷ একইসঙ্গে শাহের হুঁশিয়ারি, বাংলা থেকে বিজেপি যদি ২০২৪-এ ৩৫টি বা তার বেশি আসনে জয়ী হয়, তাহলে ২০২৬ পর্যন্ত বর্তমান তৃণমূল সরকারই থাকবে না৷ অমিত শাহ বলেন, ‘আপনারা ৭৭ আসনের সঙ্গে ৩৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন৷ তার জন্য আপনাদের আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই৷ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫টি আসনে বিজেপি-কে জিতিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ফের প্রধানমন্ত্রী করুন৷ ২৪-এ ৩৫টি আসন বিজেপি পেলেই আর ২৫-এর প্রয়োজন হবে না৷ তার আগেই দিদির রাজত্বের অবসান হবে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবে বিজেপির থেকেই। আর ২০২৪ সাল থেকে এর ট্রেলার শুরু করতে হবে।’

    বাংলায় আতঙ্কের পরিবেশ

    সিউড়ির জনসভায় শাহের (Amit Shah) প্রশ্ন, ‘বাংলায় রামনবমীর শোভাযাত্রা কেন বেরোবে না? তৃণমূলের তোষণের রাজনীতির জন্যই অশান্তি হয়েছে।’ এদিন রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘বীরভূমে এনআইএ ৮০ হাজারের বেশি ডিটোনেটর বাজেয়াপ্ত করেছে। এনআইএ এত বিস্ফোরক উদ্ধার না করলে প্রচুর মানুষের প্রাণ যেত।’ শাহের দাবি, ‘দিদির শাসনে বাংলা বোমা বিস্ফোরণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যে বীরভূম স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে তাতে আতঙ্কের কেন্দ্রে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদিজি সারা দেশে জাতপাতের রাজনীতি আর পরিবারতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য কাজ করেন না। বাংলার জনতার কল্যাণ ওঁর লক্ষ্য নয়। ওঁর একমাত্র লক্ষ্য হল ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানানো। বাংলার মানুষের জন্য ওঁর কোনও চিন্তা নেই। মোদিজি যে প্রকল্পগুলি পাঠাচ্ছেন সেগুলো নিচু তলায় পৌঁছতে দেন না’।

    আরও পড়ুন: ‘আপনার উপস্থিতি অনুপ্রাণিত করে, মনোবল বাড়ায়’, শাহকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট শুভেন্দুর

    সমাধান বিজেপি

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফের মনে করালেন, ‘তৃণমূলের একের পর এক নেতা এখন জেলের গরাদের পিছনে। দিদির দাদাগিরির জন্যেই একের পর এক তৃণমূল নেতা জেলে।’ সঙ্গে সংযোজন, ‘দিদি-ভাইপোর জুটিকে হারানোর এখন একটাই রাস্তা। বিজেপি।’ শাহের কথায়, ‘চাকরি চুরি হচ্ছে, মোদিজি জেলে পাঠালেই বলে অত্যাচার হচ্ছে। যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাদের তো জেলে পাঠাতেই হবে। এর পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও অমিত শাহ (Amit Shah) সরাসরি প্রশ্ন ছু়ড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে৷ বীরভূমে কেন এখনও গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে রাখা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ এদিনের সভা থেকে বগটুইয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানান অমিত শাহ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share