Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Dilip Ghosh: ‘ডিএ দিতে পারছেন না, ৪৪০ কোটির অডিটোরিয়াম করছেন’! মমতাকে নিশানা দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘ডিএ দিতে পারছেন না, ৪৪০ কোটির অডিটোরিয়াম করছেন’! মমতাকে নিশানা দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠা ঠা রোদেও বকেয়া ডিএ (DA) ও কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে চলছে ধর্না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আপাতত তিন শতাংশের বেশি ডিএ দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তার পরেও চলছে আন্দোলন। ওই একই দাবিতে গোটা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আন্দোলনকারীরা দুদিন ধরে ধর্না দিয়েছেন দিল্লির যন্তরমন্তরেও। তার পরেও অনড় অবস্থানে রয়েছে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকার। অর্থের অভাবের যুক্তিতে যেখানে বকেয়া ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না, বৃহস্পতিবার সেখানেই ঘটা করে উদ্বোধন করা হল বিশ্বমানের অডিটোরিয়ামের। শাঁখের আকৃতির এই অডিটোরিয়াম তৈরিতে খরচ হয়েছে ৪৪০ কোটি টাকা। নাম দেওয়া হয়েছে ধনধান্য।

    দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন…

    মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং উদ্বোধন করেছেন এই অডিটোরিয়ামের। তারই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি (BJP)। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দিতে পারছেন না, অথচ ৪৪০ কোটি টাকা ব্যয় করে অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করছেন। উনি সারাদিন টাকা টাকা করেন কেন? সকাল হলেই টাকা, রাত হলেই টাকা। বিজেপির প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই লোকের মনে প্রশ্ন উঠছে। ডিএর জন্য ধর্না চলছে আর এত কোটি টাকার বিল্ডিং তৈরির কী মানে হয়? তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তো কম অডিটোরিয়াম নেই। এত অডিটোরিয়াম থাকা সত্ত্বেও উনি প্যান্ডেল বেঁধে প্রশাসনিক বৈঠক করেন, তো কী হবে অডিটোরিয়াম তৈরি করে?

    আরও পড়ুুন: ‘দুর্নীতির মাথা ধরতে না পারলে কী করতে হবে, জানি’, সিবিআইকে বিচারপতি

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, আমাদের অডিটোরিয়াম দেওয়া হয় না। কীসের জন্য এত টাকা ব্যয় করে এই অডিটোরিয়াম তৈরি করা হয়েছে? এদিন সকালে আন্দামান যাচ্ছেন দিলীপ। তার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের। সেখানেই অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন তিনি। কেবল অডিটোরিয়ামই নয়, মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগেও সরব হন দিলীপ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, মিড-ডে মিলে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন বিজেপি দফতর থেকে এই রিপোর্ট লেখা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব এখন বেনিফাশিয়ারিতে কত ছাত্রছাত্রীর নাম রয়েছে, আর কতজন এর সুবিধা পাচ্ছে, সেই তথ্যটা পাঠিয়ে দিন কেন্দ্রের কাছে, তাহলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
     
  • Laxmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ‘লক্ষ্মী’র টান! জেলায় জেলায় আটকে টাকা, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Laxmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ‘লক্ষ্মী’র টান! জেলায় জেলায় আটকে টাকা, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar) প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুফতে টাকা পাওয়ার আশায় ফের তৃণমূলকেই ক্ষমতায় আনেন রাজ্যবাসী। তারপর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালাতে গিয়ে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের। এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলারা ফি মাসে পান ৫০০ টাকা করে। আর তফশিলি জাতি-উপজাতির মহিলারা মাসে পান ১০০০ টাকা করে। প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ টাকা খয়রাতি প্রকল্পে ঢালতে গিয়ে কখনও কেন্দ্রের কোনও প্রকল্পের টাকা ব্যয় করা হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে, কখনও আবার অন্য কোনও খাতের টাকা খরচ করা হয়েছে এই প্রকল্পে। তাতেও কুলোচ্ছে কই?  

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar)…

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmir Bhandar) রাশ ধরতে প্রথমে আধার কার্ডের বিরোধিতা করেছিলেন যে তৃণমূল সুপ্রিমো, সেই তিনিই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করেছেন কয়েক দিন আগেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে জালিয়াতি ধরতেই এটা করা হয়েছে। তার পরেও টান পড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। এনিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, ডব্লুসিডি এবং এসডব্লু ডিপার্টমেন্ট উদ্বিগ্ন হবেন না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বকেয়া মেটাতে যদি ফান্ড কম পড়ে তাহলে দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাহলে অনৈতিক ভাবে টাকা জোগাবে।

    এদিকে, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না সেখানকার বাসিন্দারা। তৃণমূল নেতারা বলে বেড়াচ্ছেন, তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় ভাতা আর পাওয়া যাবে না। অবিলম্বে ভাতা চালুর দাবিতে এদিন সাগরদিঘি ২ নম্বর বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে কংগ্রেস।

    আরও পড়ুুন: মিড-ডে মিলেও কেলেঙ্কারি ফাঁস! রাজ্যের শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    অন্যদিকে, দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই যেন-তেন প্রকারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar) ফের চালু করতে চাইছে নবান্ন। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই শেষ করে ফেলতে হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের যাবতীয় কাজ। বুধবার নবান্নের তরফে এমনই বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। ঢোক গিলে এখন কীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জোগায় রাজ্য সরকার, এখন সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mid Day Meal: মিড-ডে মিলেও কেলেঙ্কারি ফাঁস! রাজ্যের শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    Mid Day Meal: মিড-ডে মিলেও কেলেঙ্কারি ফাঁস! রাজ্যের শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেলেঙ্কারির (Scam) তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে বাংলায় (West Bengal)। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তার পর উঠেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি। তারও পরে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ। এবার উঠল মিড-ডে মিলেও (Mid Day Meal) দুর্নীতির অভিযোগ।

    মিড-ডে মিলে (Mid Day Meal) দুর্নীতির অভিযোগ…

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের জয়েন্ট রিভিউ মিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ছ মাসে অতিরিক্ত ১৬ কোটি মিড-ডে মিল দেখিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে ১০০ কোটিরও বেশি টাকা। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, গড়ে ৯৫ শতাংশ পড়ুয়াই মিড-ডে মিলের খাবার খায়। যদিও রাজ্যের যেসব স্কুল পরিদর্শন করা হয়েছে, সেগুলিতে দেখা গিয়েছে মিড-ডে মিল খাওয়া পড়ুয়ার হার ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ। যেসব স্কুলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন, তার ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, প্রয়োজনের তুলনায় কম ভাত রান্না হয়েছে। ৬০ শতাংশ স্কুলে চাহিদার তুলনায় কম রান্না হয়েছে ডাল। ৪৭ শতাংশ স্কুলে প্রয়োজনের তুলনায় কম তেলে রান্না হয়েছে। শাকসবজি কম রান্না হয়েছে ২৭ শতাংশ স্কুলে। ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: ‘আরএসএস সদস্যরা অপরাধী নন’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের, দিল মিছিলের অনুমতিও

    এদিকে, রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রদের খাবারের প্লেট (Mid Day Meal) থেকেও চুরি করতে দ্বিধাবোধ করেন না। একবার ভাবুন, যদি তারা (তৃণমূল সরকার) একটা আর্থিক বছরের দুটি কোয়ার্টারেই (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর, ২০২২) ১০০ কোটি টাকা চুরি করতে পারে, তাহলে গত ১২ বছরে কত টাকা সরিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শাসনের নামে দিনদুপুরে ডাকাতি করেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকার মিড-ডে মিলের কোন ডাটা মেনটেইন করেনি। পাশের রাজ্য অসমে দেখুন প্রত্যেকটি স্কুলের লিস্ট আছে, তাদের কাছে সমস্ত কিছু হিসাব রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবাংলায় কোনও হিসাব নেই, কোনও ডাটাও নেই। সবে ১০০ কোটি তো পাওয়া গেছে, আরও অনেক খবর হবে।

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ও রাজ্যের যেকোনও যৌথ প্রকল্পেই জয়েন্ট রিভিউ মিশন থাকে। সেই মিশনে কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও থাকেন। এ বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ ও ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেই জয়েন্ট রিভিউ মিশনই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মিড-ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্পের কাজকর্ম ঘুরে দেখে। সেই দলে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব’, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব’, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের জনসভায় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, রায়গঞ্জ কোনওদিন তৃণমূলের ছিল না, আগেও ছিল না, এবারও থাকবে না। এর পরেই তিনি বলেন, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বিজেপি ১৮টি লোকসভা আসন জেতার পরে তৃণমূলের (TMC) দোকান বন্ধ হয়েছিল। আমি বেরনোর পরে তৃণমূলের দোকান খুলেছিল। এজন্য ক্ষমা চাইছি। সম্প্রতি জাতীয় দলের মর্যাদা খুইয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    এদিনের জনসভায় শুভেন্দু বলেন, পয়লা বৈশাখের আগে বাংলায়ই সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র, তোষণের রাজনীতির তোপও দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, পরিবারতন্ত্র, তোষণের রাজনীতি আর দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বে বিজেপি। এনআরসি নিয়ে তৃণমূল যে কেবল রাজনীতি করেছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, এনআরসি নিয়ে আর ধাপ্পাবাজিতে যাবেন না। রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার কাজিপাড়া, শিবপুর, হুগলির রিষড়া। কোথাও শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা। কোথাও আবার অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। রিষড়ায় রেললাইনে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। যার জেরে রাতে ঘণ্টা তিনেক ওই রুটে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।

    আরও পড়ুুন: ‘অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কুন্তলের চিঠি নিয়ে মন্তব্য বিচারপতির

    ওই ঘটনার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল করে জানেন এই সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তিনি করতে পারেননি। তাই ২০২১ সালে এনআরসির মিথ্যে ভয় দেখিয়ে তাঁদের ব্যাপক ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। এদিনের জনসভায় রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, বাংলায় কেন এই অবস্থা? দায়ী কে? পরক্ষণেই তিনি বলেন, সাফ করতে হবে।

    গত বিধানসভা নির্বাচনে গণনাকেন্দ্রে ভোট লুঠ হয়েছে বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, এখানে মনোনয়ন হয়েছিল আশি ভাগ জায়গায়। গণনাকেন্দ্রে লুঠ হয়েছে। এই জেলায় জেলা পরিষদের ২৬টার মধ্যে আপনাদেরকে ২টো দেওয়া হয়েছে মাত্র। অথচ আপনারা জিতেছেন ৮-১০টায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, পদ্মফুলের বান্ডিলকে জোড়াফুল দেখিয়ে এই জেলার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন আগের জেলাশাসক আয়েশা রানি। আর এখন তৃণমূলকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এই জেলার জেলাশাসক অরবিন্দ মিনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mid Day Meal: মিড ডে মিলে ৬ মাসে ১০০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ! রাজ্যকে তুলোধোনা শুভেন্দু-অমিতের

    Mid Day Meal: মিড ডে মিলে ৬ মাসে ১০০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ! রাজ্যকে তুলোধোনা শুভেন্দু-অমিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলে ৬ মাসে ১০০ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের (Mid Day Meal)। রাজ্যে মিড ডে মিল প্রকল্পের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে যে রিভিউ মিশন গঠন করা হয়েছিল, সেই মিশনের রিপোর্টে এমন দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এই বিপুল টাকার দুর্নীতি হয়েছে। হিসেব চাইলে ১৬ কোটি অতিরিক্ত মিড ডে মিল দেখানো হয় (Scam)। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ৭০ শতাংশ কম মিড ডে মিল খাবার সরবরাহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। 

    প্রধানমন্ত্রী পুষ্টি প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রী পুষ্টি প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে শিক্ষা মন্ত্রকের জয়েন্ট রিভিউ প্যানেল একটি রিপোর্ট তৈরি করে। সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। তাতেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত বছর প্রথম দুই অর্থবর্ষে রাজ্যের তরফে ১৪০ কোটি ২৫ লক্ষ মিড ডে মিলের রিপোর্ট পেশ করা হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের রিপোর্টে  ১২৪ কোটি ২২ লক্ষ মিড ডে মিলের উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ, ভাত-ডাল এবং সবজি রান্নার ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ কম খরচ করা হয়েছে। ওই প্রকল্পের টাকা অন্যান্য খাতে ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    মিড ডে মিল প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়ে ট্যুইট করে লেখেন, “রাজ্য সরকার মিড ডে মিলে ১০০ কোটি টাকা বেশি দেখিয়েছে, জয়েন্ট রিভিউ মিশনের রিপোর্টে উল্লেখ। আগেই বলেছিলাম, পড়ুয়াদের খাবারের প্লেট থেকেও চুরি করতে ইতস্তত করে না তৃণমূল সরকার”। তাঁর কথায়, “মাত্র ২টি অর্থবর্ষেই ১০০ কোটির তছরুপ, গত ১২ বছরে কত টাকা চুরি হয়েছে ভাবুন। প্রশাসন চালানোর নামে দিনেদুপুরে ডাকাতি করছে রাজ্য সরকার”।

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ট্যুইটে লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে দুর্নীতি ব্যাপক। এমনকী তার প্রশাসন প্রধানমন্ত্রী পোষণ তহবিলও ছাড়েনি। রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে পশ্চিমবঙ্গ অন্য উদ্দেশে ১০০ কোটি টাকা সরিয়েছে! শিশুদেরকে কম খাওয়ানো হয়েছে। সরবরাহ কাটা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Party: জাতীয় থেকে আঞ্চলিক! জানেন কী কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    National Party: জাতীয় থেকে আঞ্চলিক! জানেন কী কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আর তারপর লোকসভা। তার আগেই জাতীয় দলের (National Party) স্বীকৃতি হারাল তৃণমূল (TMC Loses National Party Status)। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য রাজ্যে একাধিক বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফলের জেরে এই তকমা হারাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। চার রাজ্যে ‘স্থানীয় দলে’র তকমা না থাকায়, তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিল নির্বাচন কমিশন। ফলে বাংলার শাসক দল এখন থেকে শুধুই আঞ্চলিক দল।

    কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    জাতীয় দলের (National Party) স্বীকৃতি হারানোর পর একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে তৃণমূলকে এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যেমন—

    ১. জাতীয় দলের তকমা হারানোয় ইভিএম অথবা ব্যালট পেপারে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখা যাবে না তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন। 

    ২. দলের নামের আগে আর ‘সর্বভারতীয়’ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে না জোড়াফুল শিবির।

    ৩. নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে জাতীয় দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানাতে হয়। এ বার থেকে তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানাতে বাধ্য থাকবে না নির্বাচন কমিশন। 

    ৪. নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা বা নির্বাচনী বিধি তৈরির ক্ষেত্রে মতামত দিতে পারে জাতীয় দলগুলি। তৃণমূল সেই সুযোগ পাবে না।

    ৫. তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তবে তার প্রতীক স্থির থাকবে না।

    ৬. জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারানোয়, আর্থিক অনুদানেও বড় ধরনের ফারাক লক্ষ্য করা যেতে পারে। অর্থের জোগান কমলে, দল চালাতে সমস্যা হবে।

     

    আরও পড়ুন: ‘‘সর্বভারতীয় শব্দটি কবে মুছবে?’’ প্রশ্ন শুভেন্দুর, তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্ত-দিলীপের

    কেন হারাল তকমা?

    জাতীয় দলের (National Party) স্বীকৃতি হারিয়ে তৃণমূল যদিও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাবে দল এমনই তৃণমূল সূত্রে খবর। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরবর্তীকালে ২০২১-এ বাংলায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলেও, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটে শোচনীয় ফল হয় তৃণমূলের। এই দুটি রাজ্যেই রাজ্য দলের তকমা হারায় মমতার দল। ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনেও শোচনীয় হাল হয়। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট শতাংশ ছিল ০.৮৮ শতাংশ, যা নোটার থেকেও কম। গোয়া বিধানসভা ভোটে একটিও আসনে জিততে পারেনি তৃণমূল। মাত্র ৫.২ শতাংশ ভোট পায় তারা। ফলে জাতীয় স্বীকৃতি হারাতে হল তৃণমূলকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ২ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, খেজুরির সভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ২ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, খেজুরির সভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ মে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে চায় তৃণমূল (TMC) সরকার। ভোট হবে এক দফায়। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির ঠাকুরনগরের সভায় এমন দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ২ মে পঞ্চায়েত ভোট করাবে রাজ্য সরকার। সব খবর আমার কাছে থাকে। একটা ফেজে ভোট করাবে। পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে চাইছে। যাতে রক্তগঙ্গা বওয়াতে পারে, তার ব্যবস্থা করছে।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    তিনি বলেন, এক দফায় ভোট করার কারণ যাতে শত শত মানুষ মারা যায়। এই ব্যবস্থা করছে অত্যাচারী অহংকারী ভাইপোর একমাত্র পিসি। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অশান্তির আশঙ্কা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে শুভেন্দুর আবেদনে সাড়া দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করুন না, দেখবেন জেলায় ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন আছে। তার মধ্যে ২০টি আসন পাবেন না। গত বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় বিজেপি যে তৃণমূলের চেয়ে এক শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছিল, তাও মনে করিয়ে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে খেলা দেখাবেন বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, আপনাকে তো খেলা আমি দেখাব লোকসভায়। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তিনি বলেন, ঘাটাল নেব, তমলুক দেড় লাখে জিতব, কাঁথি তিনের ওপরে যাবে। লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সব কটি আসনই বিজেপির ঝুলিতে যাবে বলেও দাবি শুভেন্দুর।

    তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটে এজেন্ডা। প্রথম হল পরিবারবাদ, যেন তেন প্রকারেণ ভাইপোকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দ্বিতীয় তোষণ। সংখ্যালঘু বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিষ্টান, মুসলিমদের উন্নয়নের ভাবনা তাঁর নেই। তাঁর ভাবনা হচ্ছে তুষ্টিকরণ করে কী করে ভোটব্যাঙ্কটা ঠিক রাখব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, শিবপুর, রিষড়ায় দাঙ্গা কোনও সম্প্রদায়ের লোক করেনি। দাঙ্গা করেছে তৃণমূলের মুসলিম নেতারা। দাঙ্গাবাজ কারা? তৃণমূল। দাঙ্গাবাজদের নেত্রী কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দাঙ্গাবাজদের হঠাতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারে যুবরাজের সভার জন্য টেন্ডার ডেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল সরকার! এ কোন রাজত্ব?

    Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারে যুবরাজের সভার জন্য টেন্ডার ডেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল সরকার! এ কোন রাজত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ঘাসফুলের ব্যাটন এখন তাঁর হাতে। তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও (Abhishek Banerjee), পাশাপাশি যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতিও তিনিই। দলে বর্ষীয়ান সাংসদরা থাকলেও যুবরাজ থাকলে কারও নাকি কথা বলারই সাহস থাকে না, এমনটাই জনশ্রুতি। অভিষেক (Abhishek Banerjee) কোনও জেলা সফরে গেলে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের থরহরিকম্প অবস্থা হয়। সভায় যাওয়ার রাস্তা খারাপ থাকলে প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে সেই রাস্তা মেরামত করে দেয়। 

    ২৯ মার্চ কী  ছিল শহিদ মিনারে?

    এবার ২৯ মার্চ কলকাতার শহিদ মিনারে যুব তৃণমূলের সভার আয়োজন ছিল। রাজ্যের সমস্ত জেলার ছাত্র, যুব এবং মাদারের কর্মীরা সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন। আর সভার প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূলের এই যুবরাজ (Abhishek Banerjee)। ফল যা হওয়ার, তাই-ই হয়েছে। পার্টির প্রোগ্রাম, ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সরকার। তাঁর সভার ব্যারিকেড, এমনকী অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরির জন্য টেন্ডার ডেকে দেয় খোদ পূর্ত দফতর। পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে যেভাবে টেন্ডার ডেকে যুবরাজের (Abhishek Banerjee) সভার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, সেই বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্য জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় সভার আয়োজন প্রশাসন কী করে করতে পারে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও প্রশাসনের সাফাই, নিরাপত্তার স্বার্থেই যা করার করা হয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের মিটিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেখা যাক, টেন্ডারে কী রয়েছে?

    অনুষ্ঠানের আগেই শহিদ মিনার ও রেড রোড চত্বরে অস্থায়ী প্যান্ডেল, ব্যারিকেড, বাফার ব্যারিকেড এবং একটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। ২৫ মার্চ এই টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। নোটিশে শুধু ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে অস্থায়ী প্যান্ডেলসহ পরিকাঠামো তৈরির কথা বলা হয়। কোনও দলের উল্লেখ নেই। তবে, ওইদিন যুবরাজের সভা ছাড়া শহিদ মিনারে আর কোনও কর্মসূচি ছিল না। ফলে, নোটিশে উল্লেখ না থাকলেও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভার জন্যই যে এই আয়োজন করা হয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। এই ধরনের সভার জন্য দলীয় ফান্ড থেকেই খরচ করে প্যান্ডেল তৈরি করার কথা। তাহলে সরকারি টাকা খরচ করে দলীয় সভার আয়োজন করা হল কেন? উত্তর নেই। স্বাভাবিকভাবেই দলীয় সভার জন্য টেন্ডার ডাকায় পূর্ত দফতরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    রাস্তার জন্য মাথা খুঁড়ে মরছেন বাসিন্দারা। আর….!!

    সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই রাজ্যের একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় বেহাল রাস্তার জন্য গ্রামবাসীরা ভোট বয়কটের ডাক দিচ্ছেন। শুক্রবারই মালদহের গাজোলে রাস্তা না হওয়ায় বহু বাসিন্দা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে অনুন্নয়নের ছবি সামনে আসছে। সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দলীয় সভার প্যান্ডেল করা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, দলীয় সভার জন্য পূর্ত দফতর এই ধরনের উদ্যোগ কি নিতে পারে? সরকারি টাকা জনগনের কাজে ব্যবহার হবে। তা না করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতাকে তুষ্ট করতে আসরে নেমেছে সরকার। এই রাজ্যে এতদিন দলদাস ছিল পুলিশ। এখন প্রশাসনও দলদাসে পরিণত হয়েছে। বাংলার মানুষ এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী আগে কখনও হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তিনি ছিলেন আধার (Aadhar) কার্ডের ঘোরতর বিরোধী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করে, তখন তার কড়া সমালোচনা করেছিল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই তিনিই এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে বাধ্যতামূলক করে দিলেন আধারকার্ড।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করে মমতা সরকার। তখন আধার বাধ্যতামূলক ছিল না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মমতাকে ফের নিয়ে আসে নবান্নের কুর্সিতে। পরে সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায় রাজ্য সরকারের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তফশিলি জাতি কিংবা উপজাতির মহিলারা মাসে পান ১০০০ টাকা করে। ফি মাসে এক ধাক্কায় বিপুল পরিমাণ টাকার জোগান দিতে হিমশিম খায় রাজ্য সরকার। বাধ্য হয়ে প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar) বরাদ্দ জোগান দিতে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা ব্যয় করা হতে থাকে খয়রাতি প্রকল্পে। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ভুয়ো ডকুমেন্ট দিয়ে অনেকেই মুফতের টাকা লুটেপুটে নিতে থাকেন। তার পরেই টনক নড়ে সরকারের। যার জেরে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও বাধ্যতামূলক করা হল আধার কার্ড।

    আরও পড়ুুন: রাজু ঝা–কে খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা, প্রাণহানির শঙ্কা লতিফেরও! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুন সিং-এর

    এর আগে ভুয়ো রেশন কার্ড ধরতে হাতিয়ার করা হয়েছিল আধার। আধার অস্ত্র প্রয়োগ করতেই ধরা পড়ে ৬০ লক্ষ ভুয়ো গ্রাহক। রাতারাতি ছেঁটে ফেলা হয় তাঁদের। ফি মাসে সরকারের বাঁচে কয়েক কোটি টাকা। ভুয়ো রেশন কার্ডই নয়, জাল জবকার্ড বানিয়ে লুঠে নেওয়া হচ্ছিল সরকারের কোটি কোটি টাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মীও ভুয়ো জবকার্ডের সাহায্যে দিব্যি চালাচ্ছিলেন লুঠের কারবার। আধার অস্ত্র প্রয়োগ করে সেই কারবারেও ইতি টানা হয়েছে। এক ধাক্কায় বাদ গিয়েছে প্রায় এক কোটি ভুয়ো জবকার্ড। এবার জাল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) গ্রাহক ধরতে বাধ্যতামূলক করা হল সেই আধার কার্ড। এক সময় যে কার্ডের বিরোধিতা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল নেত্রী। এই মর্মে জারি করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। এখন দেখার, পঞ্চায়েত নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই তৃণমূলের শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কিনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিষড়ায় অশান্তির জন্য রাজ্য প্রশাসনকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে লেখেন, রিষড়া জ্বলছে, আর গোটা রাজ্য প্রশাসন দিঘার সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটাচ্ছে। ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘আজ কেন বোমাবাজি, তাণ্ডব? আজ তো কেউ মিছিল বের করেনি। রাজ্য সরকার দাবি করছে, সব ঠিক আছে। এই সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বাংলার শান্তিকামী মানুষের রক্ষায় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীই একমাত্র উপায়। উল্লেখ্য, রামনবমীর পর থেকে বার বার দফায় দফায় অশান্তি ছড়িয়েছে রিষড়ায়। তারই মধ্যে ঘটনাস্থলে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় রয়েছেন। এ নিয়ে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। 

    নো ভোট টু মমতা

    আগেই ‘নো ভোট টু মমতা’ টি শার্ট পরে প্রচারে নেমেছিলেন শুভেন্দু। সোমবার চন্দ্রকোনায় সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একমাত্র এই রাজ্যের বিজেপি সরকারই এই রাজ্যের উন্নয়ন করতে পারে। কারণ বিজেপি যদি এই রাজ্যে সরকার গঠন করে তাহলে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় গঠন করে কাজ করবে।” তাতেই রাজ্যের দ্রুত উন্নতি সম্ভব বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি রাজ্যের জনগণকে এই দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেসকে একটিও ভোট না দেওয়ার অনুরোধ করব। আপনারা পছন্দের কোনও দল বা প্রার্থীকে ভোট দিন। কিন্তু দয়া করে এই চোরের দলকে আপনার মূল্যবান ভোট দেবেন না।’ 

    ভোটের রাজনীতি

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “তৃণমূলকে (TMC) একদম তুলে ফেলতে হবে, একদম ভয় পাবেন না। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে রামনবমীর এত মিছিল হয়েছে, কোথাও এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূলের পাশ থেকে সংখ্যালঘুরা সরে যাচ্ছেন। বগটুই, আনিস খান ও সাগরদিঘির উপনির্বাচনের পর সংখ্যালঘুরা ভুল বুঝতে পেরেছেন। এনআরসির নামে তাঁদের ব্যবহার করেছে এটা সংখ্যালঘুরা বুঝতে পেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন। হাওড়া ও রিষড়ার হিংসার ঘটনায় তৃণমূলের গুন্ডারা যুক্ত। হাত থেকে ভোট বেরিয়ে যাচ্ছে তাই এই কাজ করানো হচ্ছে”।

    আক্রমণাত্মক সুরে এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘জোঁকের মুখে নুন কেমন করে দিতে হয় তা আমরা মেদিনীপুরের পান্তাখাওয়া লোকেরা জানি। এনেছিও আমরা, সরাবও আমরা। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে লড়ে আমরা এই সভা করছি আজ৷ গত বছর ও এ বছর চার জন আলু চাষি আত্মহত্যা করেছেন।’

    আরও পড়ুন: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন! সুকান্তকে ফোন জেপি নাড্ডার

    কৃষকদের হয়ে সওয়াল

    এদিন কৃষকদের হয়ে সওয়াল করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচি কৃষকদের জন্য। এই এলাকায় আলু চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু নিম্নমানের আলু বীজ, ব্ল্যাক করে সার কেনা। আলু চাষিরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বিধানসভায় আমি এই বিষয়ে সরব হয়েছিলাম।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

LinkedIn
Share