Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Suvendu Adhikari: ২ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, খেজুরির সভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ২ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, খেজুরির সভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ মে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে চায় তৃণমূল (TMC) সরকার। ভোট হবে এক দফায়। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির ঠাকুরনগরের সভায় এমন দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ২ মে পঞ্চায়েত ভোট করাবে রাজ্য সরকার। সব খবর আমার কাছে থাকে। একটা ফেজে ভোট করাবে। পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে চাইছে। যাতে রক্তগঙ্গা বওয়াতে পারে, তার ব্যবস্থা করছে।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    তিনি বলেন, এক দফায় ভোট করার কারণ যাতে শত শত মানুষ মারা যায়। এই ব্যবস্থা করছে অত্যাচারী অহংকারী ভাইপোর একমাত্র পিসি। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অশান্তির আশঙ্কা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে শুভেন্দুর আবেদনে সাড়া দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করুন না, দেখবেন জেলায় ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন আছে। তার মধ্যে ২০টি আসন পাবেন না। গত বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় বিজেপি যে তৃণমূলের চেয়ে এক শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছিল, তাও মনে করিয়ে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে খেলা দেখাবেন বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, আপনাকে তো খেলা আমি দেখাব লোকসভায়। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তিনি বলেন, ঘাটাল নেব, তমলুক দেড় লাখে জিতব, কাঁথি তিনের ওপরে যাবে। লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সব কটি আসনই বিজেপির ঝুলিতে যাবে বলেও দাবি শুভেন্দুর।

    তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটে এজেন্ডা। প্রথম হল পরিবারবাদ, যেন তেন প্রকারেণ ভাইপোকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দ্বিতীয় তোষণ। সংখ্যালঘু বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিষ্টান, মুসলিমদের উন্নয়নের ভাবনা তাঁর নেই। তাঁর ভাবনা হচ্ছে তুষ্টিকরণ করে কী করে ভোটব্যাঙ্কটা ঠিক রাখব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, শিবপুর, রিষড়ায় দাঙ্গা কোনও সম্প্রদায়ের লোক করেনি। দাঙ্গা করেছে তৃণমূলের মুসলিম নেতারা। দাঙ্গাবাজ কারা? তৃণমূল। দাঙ্গাবাজদের নেত্রী কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দাঙ্গাবাজদের হঠাতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারে যুবরাজের সভার জন্য টেন্ডার ডেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল সরকার! এ কোন রাজত্ব?

    Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারে যুবরাজের সভার জন্য টেন্ডার ডেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল সরকার! এ কোন রাজত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ঘাসফুলের ব্যাটন এখন তাঁর হাতে। তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও (Abhishek Banerjee), পাশাপাশি যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতিও তিনিই। দলে বর্ষীয়ান সাংসদরা থাকলেও যুবরাজ থাকলে কারও নাকি কথা বলারই সাহস থাকে না, এমনটাই জনশ্রুতি। অভিষেক (Abhishek Banerjee) কোনও জেলা সফরে গেলে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের থরহরিকম্প অবস্থা হয়। সভায় যাওয়ার রাস্তা খারাপ থাকলে প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে সেই রাস্তা মেরামত করে দেয়। 

    ২৯ মার্চ কী  ছিল শহিদ মিনারে?

    এবার ২৯ মার্চ কলকাতার শহিদ মিনারে যুব তৃণমূলের সভার আয়োজন ছিল। রাজ্যের সমস্ত জেলার ছাত্র, যুব এবং মাদারের কর্মীরা সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন। আর সভার প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূলের এই যুবরাজ (Abhishek Banerjee)। ফল যা হওয়ার, তাই-ই হয়েছে। পার্টির প্রোগ্রাম, ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সরকার। তাঁর সভার ব্যারিকেড, এমনকী অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরির জন্য টেন্ডার ডেকে দেয় খোদ পূর্ত দফতর। পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে যেভাবে টেন্ডার ডেকে যুবরাজের (Abhishek Banerjee) সভার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, সেই বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্য জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় সভার আয়োজন প্রশাসন কী করে করতে পারে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও প্রশাসনের সাফাই, নিরাপত্তার স্বার্থেই যা করার করা হয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের মিটিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেখা যাক, টেন্ডারে কী রয়েছে?

    অনুষ্ঠানের আগেই শহিদ মিনার ও রেড রোড চত্বরে অস্থায়ী প্যান্ডেল, ব্যারিকেড, বাফার ব্যারিকেড এবং একটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। ২৫ মার্চ এই টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। নোটিশে শুধু ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে অস্থায়ী প্যান্ডেলসহ পরিকাঠামো তৈরির কথা বলা হয়। কোনও দলের উল্লেখ নেই। তবে, ওইদিন যুবরাজের সভা ছাড়া শহিদ মিনারে আর কোনও কর্মসূচি ছিল না। ফলে, নোটিশে উল্লেখ না থাকলেও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভার জন্যই যে এই আয়োজন করা হয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। এই ধরনের সভার জন্য দলীয় ফান্ড থেকেই খরচ করে প্যান্ডেল তৈরি করার কথা। তাহলে সরকারি টাকা খরচ করে দলীয় সভার আয়োজন করা হল কেন? উত্তর নেই। স্বাভাবিকভাবেই দলীয় সভার জন্য টেন্ডার ডাকায় পূর্ত দফতরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    রাস্তার জন্য মাথা খুঁড়ে মরছেন বাসিন্দারা। আর….!!

    সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই রাজ্যের একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় বেহাল রাস্তার জন্য গ্রামবাসীরা ভোট বয়কটের ডাক দিচ্ছেন। শুক্রবারই মালদহের গাজোলে রাস্তা না হওয়ায় বহু বাসিন্দা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে অনুন্নয়নের ছবি সামনে আসছে। সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দলীয় সভার প্যান্ডেল করা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, দলীয় সভার জন্য পূর্ত দফতর এই ধরনের উদ্যোগ কি নিতে পারে? সরকারি টাকা জনগনের কাজে ব্যবহার হবে। তা না করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতাকে তুষ্ট করতে আসরে নেমেছে সরকার। এই রাজ্যে এতদিন দলদাস ছিল পুলিশ। এখন প্রশাসনও দলদাসে পরিণত হয়েছে। বাংলার মানুষ এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী আগে কখনও হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তিনি ছিলেন আধার (Aadhar) কার্ডের ঘোরতর বিরোধী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করে, তখন তার কড়া সমালোচনা করেছিল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই তিনিই এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে বাধ্যতামূলক করে দিলেন আধারকার্ড।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করে মমতা সরকার। তখন আধার বাধ্যতামূলক ছিল না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মমতাকে ফের নিয়ে আসে নবান্নের কুর্সিতে। পরে সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায় রাজ্য সরকারের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তফশিলি জাতি কিংবা উপজাতির মহিলারা মাসে পান ১০০০ টাকা করে। ফি মাসে এক ধাক্কায় বিপুল পরিমাণ টাকার জোগান দিতে হিমশিম খায় রাজ্য সরকার। বাধ্য হয়ে প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar) বরাদ্দ জোগান দিতে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা ব্যয় করা হতে থাকে খয়রাতি প্রকল্পে। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ভুয়ো ডকুমেন্ট দিয়ে অনেকেই মুফতের টাকা লুটেপুটে নিতে থাকেন। তার পরেই টনক নড়ে সরকারের। যার জেরে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও বাধ্যতামূলক করা হল আধার কার্ড।

    আরও পড়ুুন: রাজু ঝা–কে খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা, প্রাণহানির শঙ্কা লতিফেরও! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুন সিং-এর

    এর আগে ভুয়ো রেশন কার্ড ধরতে হাতিয়ার করা হয়েছিল আধার। আধার অস্ত্র প্রয়োগ করতেই ধরা পড়ে ৬০ লক্ষ ভুয়ো গ্রাহক। রাতারাতি ছেঁটে ফেলা হয় তাঁদের। ফি মাসে সরকারের বাঁচে কয়েক কোটি টাকা। ভুয়ো রেশন কার্ডই নয়, জাল জবকার্ড বানিয়ে লুঠে নেওয়া হচ্ছিল সরকারের কোটি কোটি টাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মীও ভুয়ো জবকার্ডের সাহায্যে দিব্যি চালাচ্ছিলেন লুঠের কারবার। আধার অস্ত্র প্রয়োগ করে সেই কারবারেও ইতি টানা হয়েছে। এক ধাক্কায় বাদ গিয়েছে প্রায় এক কোটি ভুয়ো জবকার্ড। এবার জাল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) গ্রাহক ধরতে বাধ্যতামূলক করা হল সেই আধার কার্ড। এক সময় যে কার্ডের বিরোধিতা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল নেত্রী। এই মর্মে জারি করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। এখন দেখার, পঞ্চায়েত নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই তৃণমূলের শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কিনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিষড়ায় অশান্তির জন্য রাজ্য প্রশাসনকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে লেখেন, রিষড়া জ্বলছে, আর গোটা রাজ্য প্রশাসন দিঘার সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটাচ্ছে। ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘আজ কেন বোমাবাজি, তাণ্ডব? আজ তো কেউ মিছিল বের করেনি। রাজ্য সরকার দাবি করছে, সব ঠিক আছে। এই সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বাংলার শান্তিকামী মানুষের রক্ষায় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীই একমাত্র উপায়। উল্লেখ্য, রামনবমীর পর থেকে বার বার দফায় দফায় অশান্তি ছড়িয়েছে রিষড়ায়। তারই মধ্যে ঘটনাস্থলে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় রয়েছেন। এ নিয়ে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। 

    নো ভোট টু মমতা

    আগেই ‘নো ভোট টু মমতা’ টি শার্ট পরে প্রচারে নেমেছিলেন শুভেন্দু। সোমবার চন্দ্রকোনায় সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একমাত্র এই রাজ্যের বিজেপি সরকারই এই রাজ্যের উন্নয়ন করতে পারে। কারণ বিজেপি যদি এই রাজ্যে সরকার গঠন করে তাহলে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় গঠন করে কাজ করবে।” তাতেই রাজ্যের দ্রুত উন্নতি সম্ভব বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি রাজ্যের জনগণকে এই দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেসকে একটিও ভোট না দেওয়ার অনুরোধ করব। আপনারা পছন্দের কোনও দল বা প্রার্থীকে ভোট দিন। কিন্তু দয়া করে এই চোরের দলকে আপনার মূল্যবান ভোট দেবেন না।’ 

    ভোটের রাজনীতি

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “তৃণমূলকে (TMC) একদম তুলে ফেলতে হবে, একদম ভয় পাবেন না। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে রামনবমীর এত মিছিল হয়েছে, কোথাও এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূলের পাশ থেকে সংখ্যালঘুরা সরে যাচ্ছেন। বগটুই, আনিস খান ও সাগরদিঘির উপনির্বাচনের পর সংখ্যালঘুরা ভুল বুঝতে পেরেছেন। এনআরসির নামে তাঁদের ব্যবহার করেছে এটা সংখ্যালঘুরা বুঝতে পেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন। হাওড়া ও রিষড়ার হিংসার ঘটনায় তৃণমূলের গুন্ডারা যুক্ত। হাত থেকে ভোট বেরিয়ে যাচ্ছে তাই এই কাজ করানো হচ্ছে”।

    আক্রমণাত্মক সুরে এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘জোঁকের মুখে নুন কেমন করে দিতে হয় তা আমরা মেদিনীপুরের পান্তাখাওয়া লোকেরা জানি। এনেছিও আমরা, সরাবও আমরা। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে লড়ে আমরা এই সভা করছি আজ৷ গত বছর ও এ বছর চার জন আলু চাষি আত্মহত্যা করেছেন।’

    আরও পড়ুন: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন! সুকান্তকে ফোন জেপি নাড্ডার

    কৃষকদের হয়ে সওয়াল

    এদিন কৃষকদের হয়ে সওয়াল করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচি কৃষকদের জন্য। এই এলাকায় আলু চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু নিম্নমানের আলু বীজ, ব্ল্যাক করে সার কেনা। আলু চাষিরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বিধানসভায় আমি এই বিষয়ে সরব হয়েছিলাম।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

  • Sambit Patra: ‘মমতা সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় অন্য রকম’, অভিযোগ সম্বিতের

    Sambit Patra: ‘মমতা সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় অন্য রকম’, অভিযোগ সম্বিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা (Mamata Banerjee) সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় আর এক রকম। রাহুল ইস্যুতে মমতার অবস্থানকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র (Sambit Patra)। সোমবার সল্টলেকে রাজ্য বিজেপির অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন সম্বিত। সেখানেই তিনি নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র বলেন, আমি তো অবাক হয়ে যাই। মমতা সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় আর এক রকম। সকালে ফুল নিয়ে গান্ধী পরিবারের কাছে যান, সন্ধ্যায় আবার বলেন রাহুলের দ্বারা হবে না। তিনি বলেন, আগে মমতাজিকে জিজ্ঞাসা করে আসুন, রাহুলের দ্বারা কিছু হবে, না হবে না?

    সম্বিত পাত্র (Sambit Patra) বলেন…

    মোদি পদবি নিয়ে বির্তকিত মন্তব্য করার দায়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে দু বছরের কারাদণ্ড দেয় গুজরাটের সুরাট আদালত। সেই সঙ্গে করা হয় জরিমানাও। ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আবদেন করার সুযোগও রাহুলকে দেয় আদালত। দু বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় নিয়ম মেনে সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে রাহুলের। তার পরেই রাহুলের পাশে দাঁড়ান তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন তাকেই কটাক্ষ করেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র (Sambit Patra)। তাঁর প্রশ্ন, মমতা কি আদৌ কংগ্রেসের পাশে্ রয়েছেন? রাহুলকেও একহাত নিয়েছেন সম্বিত। তিনি বলেন, কেন দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি রাহুলের আস্থা নেই? কেন ওবিসি সম্প্রদায়কে অপমান করেও তিনি ক্ষমা চেয়ে নেননি? আদালতে সে সুযোগ তো তাঁর ছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো?’, হাওড়াকাণ্ডে মন্তব্য সুকান্তর

    তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্রের প্রতি রাহুল ও তাঁর দল এত অবিশ্বাসী কেন? রাহুল মানেই ভারত নয়, ভারত মানেই রাহুল নন, সেটা মনে রাখা দরকার। তিনি বলেন, গান্ধী পরিবারের জন্য দেশের আইন বদলাবে না।বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র (Sambit Patra) বলেন, কংগ্রেসের ঔদ্ধত্য দেখুন। রাহুলের এজেন্ট বিদেশে গিয়ে রাহুল ইস্যুতে কী সব বিবৃতি দিচ্ছে দেখুন। গান্ধী পরিবারের জন্য দেশে আলাদা আইন হবে কেন? আপামর দেশবাসী কি দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক? তিনি বলেন, ইউপিএ সরকারের জমানায় আনা আইনেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। যেভাবে কংগ্রেস ও রাহুল বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থার ওপর আক্রমণ করছেন, তা নজিরবিহীন। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র বলেন, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গ সহ কয়েকটি রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: রয়েছে ট্যাঙ্ক থেকে কল, নেই শুধু জল! পানীয় জলের পরিষেবা না মেলায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা, কোথায়?

    Purulia: রয়েছে ট্যাঙ্ক থেকে কল, নেই শুধু জল! পানীয় জলের পরিষেবা না মেলায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা, কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ আছে জলের ট্যাঙ্ক, রয়েছে কলও! কিন্তু, সেই কলে নেই জল। দীর্ঘ ৭ বছর পরও পাইপ লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় চরম জল সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন আড়ষার পাঁচটি অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। অথচ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়া (Purulia) জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘটা করে এই জলপ্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু, তারপরও এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে এলাকার মানুষ পানীয় জলের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। এলাকাবাসীর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করার পর আমাদের আশা ছিল, এবার গরমকালে আর জলসঙ্কটে ভুগতে হবে না। পানীয় জলের সুবিধা পাবেন সকলে। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল গরম পড়তেই সেই আগের মতো এলাকায় জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। জল প্রকল্পের পরিকাঠামো তৈরি না করে ঘটা করে প্রকল্পের উদ্বোধন করে কী লাভ হল?

    কবে জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল?

    পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ২০১৬ সালে পুরুলিয়ার (Purulia) আড়ষার খেদাডি আশ্রমের সামনে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তরের উদ্যোগে নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তাতে পাঁচটি অঞ্চলে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারজন্য তৈরি হয় বিশাল আকারে জলের ট্যাঙ্ক। পাইপ লাইনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। জলের ট্যাঙ্ক তৈরির পর দীর্ঘ দিন কাজ বন্ধ ছিল। মাঝে পাইপ লাইনের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর পর সেই কাজ অজানা কারনে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। যদিও সম্প্রতি পাইপ লাইনের কাজ শুরু হলেও সেই কাজ অতি ধীর গতিতে চলায় পাইপ লাইনের কাজ কবে শেষ হবে তাঁর সদুত্তর মেলেনি।

    জল প্রকল্প নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই জল প্রকল্প শুরু হলে পুরুলিয়ার (Purulia) আড়ষা, রাঙ্গামাটি, তুম্বা, খেদাডি, পাটটাড় গ্রামের প্রায় ২৫ হাজারের মানুষ সুবিধা পাবেন। কিন্তু, প্রশাসনের গড়িমসি জেরে জল প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় জলের অনেক সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে গরম কালে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়। এলাকায় নলকূপ থাকলেও মাঝে মধ্যে খারাপ থাকে। ফলে, নদী থেকে মাথায় করে জল আনতে হয় এলাকার মহিলাদের। এছাড়া এলাকায় পুকুর থাকলেও নোংরা জল হওয়ায় সেই জলে স্নান করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। যদিও এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mid Day Meal: বঞ্চনার অভিযোগ? রাজ্যকে ১২০০ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র

    Mid Day Meal: বঞ্চনার অভিযোগ? রাজ্যকে ১২০০ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে নানা সময় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় (Mamata Banerjee)। দু দিন ধরে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে ওই একই অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। তার পরেই রাজ্যের কাছে এল ১২০০ কোটি টাকার ফান্ড। মূলত মিড-ডে মিল (Mid Day Meal) ও সমগ্র শিক্ষা মিশনের জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে। এই খাতে কেন্দ্র যে টাকা পাঠায় তারই দ্বিতীয় কিস্তি পাঠানো হয়েছে মার্চে। সূত্রের খবর, মার্চের শেষের দিকেই টাকা এসেছে। জানা গিয়েছে, মিড-ডে মিলের জন্য দেওয়া হয়েছে ৬৩৮ কোটি টাকা, সমগ্র শিক্ষা মিশনে ৫৭৬ কোটি টাকা।

    রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    ১০০ দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ২৯ ও ৩০ মার্চ ধর্নায় বসেছিলেন মমতা। তাঁর আশা ছিল, কেন্দ্রের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। ধর্না মঞ্চে দাঁড়িয়ে সে কথা বলেওছিলেন তিনি। যদিও কেন্দ্রের তরফে যোগাযোগ করা হয়নি তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা অন্য খাতে খরচ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ওই টাকা লাগানো হচ্ছে খয়রাতির কাজে। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের নাম বদলও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই টাকা লুঠের অভিযোগও উঠেছে।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা হিমন্তের, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মিড-ডে মিল (Mid Day Meal) নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। বিভিন্ন স্কুলে ঘুরে মিড-ডে মিলের মান পরীক্ষা করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এরপরই এই খাতে বকেয়া ৬৩৮ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। পরে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠায় রাজ্য সরকার। সেই অ্যাকশন আদৌ নেওয়া হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ফের আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রাজ্যের ১০ জেলায় যাবেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জানা গিয়েছে, দেশের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গই কেন্দ্রের কাছ থেকে (Mid Day Meal) আবাস যোজনার টাকা পায়নি। সে ক্ষেত্রেও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এই রাজ্য পুরোটাই কেন্দ্রের অনুদান নির্ভর। রাজ্য রাজস্ব থেকে আয় করতে ব্যর্থ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Civic Volunteer: সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Civic Volunteer: সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খরচ বাঁচাতে এবং দলীয় কর্মীদের খুশি করতে স্থায়ী পুলিশ কর্মী নিয়োগ না করে অস্থায়ী সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) নিয়োগ করেছিল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকার। সেই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগে জেরবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়। তার পরেও টনক নড়েনি রাজ্য সরকারের। এবার মুখ পুড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। কল্যাণীর ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে গাড়ি থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে।

    সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer)…

    কল্যাণী পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের দায়ের করা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবার ওই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি মান্থা বলেন, যেহেতু এ ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, তাই নিরপেক্ষ সংস্থা হিসেবে সিআইডি তদন্ত করবে। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) বিষয়ে নির্দেশিকা তৈরি করতে রাজ্য পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। মামলাকারীর আবেদনের ভিত্তিতে এই মামলায় অংশ নেয় সিবিআইও। বিচারপতি মান্থা জানান, আগামী ১৩ এপ্রিল সিআইডি রিপোর্ট দেবে। সেদিনই হবে পরবর্তী শুনানি।

    ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে বালির ট্রাক আটকে ২ সিভিক ভলান্টিয়ার তোলাবাজি করছিলেন বলে অভিযোগ। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। তোলাবাজির পাশাপাশি হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। তার ভিত্তিতেই রাজকুমার মান্না ও আশিকুল রহমান নামে অভিযুক্ত দুজনক গ্রেফতার করা হয়। তোলা চেয়ে হুমকি, তোলা না দেওয়ায় টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুুন: ‘ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন নেই মোদির’, জানিয়ে দিল গুজরাট হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে রাজ্য পুলিশ রীতিমতো সার্কুলার দিয়ে জানায়, আইন-শৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) দিয়ে করানো যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে জারি করা হয়েছিল ওই সার্কুলার। সার্কুলারে এও বলা হয়েছিল, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। বিভিন্ন উৎসবে ভিড় সামলাতে, বেআইনি পার্কিং রুখতে, মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশের সাহায্যকারীর ভূমিকায় থাকবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। এই প্রথম নয়, এর আগেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। তবে হাইকোর্টের নির্দেশের পর জারি করা হয় সার্কুলার। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, সদ্য জারি হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। এর পরেও অভিযোগ আসে কি না, দেখা প্রয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Shibpur Violence: হাওড়ার শিবপুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা, কী বললেন শুভেন্দু?

    Howrah Shibpur Violence: হাওড়ার শিবপুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা, কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরে (Howrah Shibpur Violence) অশান্তির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস (C.V Anand Bose)। গোটা ঘটনার পর্যবেক্ষণে ‘স্পেশাল সেল’ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেখান থেকে প্রতি মুহূর্তের খবর নেবেন রাজ্যপাল। রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হাওড়া-শিবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজভবনের বার্তা

    শুক্রবার বিকালে রাজভবনের (Raj Bhavan) তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “শিবপুরে অশান্তির ঘটনায় রাজভবন কড়া নজর রেখেছে। হনুমান ধর্ম রক্ষা করতে লঙ্কায় আগুন লাগিয়েছিলেন। এখানে অধর্মের জন্য যাঁরা আগুন লাগিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছেন।” এই ঘটনাটি (Howrah Shibpur Violence) ‘মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ’ বলেও রাজভবনের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে। এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সমগ্র বাংলাকে একজোট হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশকে শান্তিপ্রিয় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সক্রিয়, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে বলেছে রাজভবন। হামলাকারীদের কড়া বার্তা দিয়ে রাজভবনের তরফে আরও জানানো হয়, সাধারণ মানুষের জীবন, সম্পদ, সম্মান রক্ষার জন্য রাজভবন চোখ কান খোলা রাখছে। 

    আরও পড়ুন: রাম নবমীর মিছিলে বিজেপির সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেতারা! কোথায় জানেন?

    শুভেন্দুর বার্তা

    হাওড়া-শিবপুর প্রসঙ্গে (Howrah Shibpur Violence) রাজ্যপালের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু ট্যুইটে বলেছেন, ‘রাজভবন চোখ-কান খোলা রাখবে, এটা শুনে ভাল লাগছে। এবার দুষ্কৃতীদের ধরতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ উল্লেখ্য, এই ধরনের অপরাধমূলক ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন। উল্লেখ্য, হাওড়া ও ডালখোলায় রাম নবমীর মিছিলের উপর হামলার অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। অশান্ত এলাকাগুলিতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: ধিক্কার দিবস পালন ডিএ আন্দোলনকারীদের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

    DA Protest: ধিক্কার দিবস পালন ডিএ আন্দোলনকারীদের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার ‘চোর-ডাকাত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে ধিক্কার দিবস পালন করলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। আগামী ৬ এপ্রিল কর্মবিরতিরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের বার্তা এরপরে ধর্মঘটেরও ডাক দেবেন তাঁরা।

    মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ

    মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘উনি আমাদের চোর-ডাকাত বলেননি। তাঁর যে ভাইবোনেরা ধরনা মঞ্চে তাঁর পাশে বসে ছিলেন, তাঁদের কথাই বলতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের কাছে তিনি পরে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। বলেছেন, আপনাদের চোর-ডাকাত বলতে চাইনি। তিনি নিজেকেও নিজে চোর-ডাকাত বলেছেন।’  এরপর ভাস্কর বাবু আরও বলেন, ‘তাঁর ভুলভাল কথা শোনার জন্য রাজ্যের কর্মচারী শিক্ষকরা আর প্রস্তুত নন। যেদিন মিউ মিউ ঘেউ ঘেউ মন্তব্য করেছিলেন, সেদিন থেকেই যদি আমরা কর্মবিরতি পালন করতাম, আমাদের তাহলে এতটা দেখতে হত না। তবে আমরা এখন জেগে গিয়েছি। তিনি একটা কথা বললে, পাঁচটা কথা শোনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

    প্রশাসন স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘আগামী ১০ এবং ১১ এপ্রিল দিল্লিতে যন্তরমন্তরে ধরনা কর্মসূচি পালন করব আমরা। এই কর্মসূচি পালনের পর আমরা রাজ্যে এসে মিছিল করব। কালীঘাট থেকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট হয়ে শহিদ মিনার পর্যন্ত হবে মিছিল। আগামীতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটও ডাকা হবে।’ এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে মিছিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিএ আন্দোলকারীরা।  রাজ্যের প্রশাসন স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না’, পর্ষদ সভাপতিকে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বিরোধীদের এক জোট হওয়ার আহ্বান

    সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম থেকে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী কিংবা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা দলীয় পতকা ছাড়াই ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে এসেছেন। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি জানতেন সাগরদিঘিতে মানুষ তার দল বিজেপিকে ভোট দেবে না। তবু, তারা সেখানে বিরোধী হিসাবে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, ”ঝালদায় কংগ্রেস জিতেছে। কোনও বিরোধ হয়নি। বিজেপি মনে করে, রাজ্যে এই তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে হলে, নো ভোট টু মমতা বলতে হবে। আমরা সব বিরোধীদেরই সেটাই বলতে বলছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share