Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Suvendu Adhikari: মমতা সরকার স্বৈরাচারী! কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মমতা সরকার স্বৈরাচারী! কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বগটুই গণহত্যা, আনিস খান খুন কিংবা পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ইস্যুর মতোই কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার বাইরে বেরিয়ে আন্দোলন জোরদার করার ডাক দিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু যা বললেন

    শুভেন্দু বলেন, ‘সম্প্রতি মমতা সরকারের দুর্নীতি, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে কয়েকজন যুবক সোচ্চার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে কৌস্তভ অন্যতম। তাঁর দ্রুত মুক্তির দাবি করি। পুলিশ যে কায়দায় রাত তিনটের সময় ওঁর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়েছে তার প্রতিবাদ করছি। আমরা সোচ্চার হব।’ একই সঙ্গে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে স্মরণ করাতে চায়, ২০২১ সালে নন্দীগ্রামের জনগণ যখন আমাকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিল, তার পরে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কম্পার্মেন্টাল চিফ মিনিস্টার হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন, এমএলএ হওয়ার জন্য, মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ বাঁচানোর জন্য৷ তখন এই প্রদেশ কংগ্রেস প্রকাশ্যে প্রার্থী না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন ঘোষণা করেছিল৷ সঠিক সময়ে তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেসকে সেই প্রতিদান ফিরিয়ে দিচ্ছেন!’’

    কেন গ্রেফতার কৌস্তভ

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর আত্মহত্যা এবং তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে ‘অনেক কথা’ জানেন, বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জেরেই শুক্রবার পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। সেখানে তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ব্যক্তি আক্রমণ’ করেন বলে অভিযোগ। এরপরই শুক্রবার গভীর রাতে কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে বড়তলা থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    কৌস্তভের পাশে থাকার কথা বললেও এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা কপিল সিব্বল এবং মনু সিংভি যেভাবে প্রতিদিন মমতার সরকারকে সাহায্য করছেন, ঠিক একইভাবে কৌস্তভ বাগচীকেও নিজেদের সহকর্মী হিসেবে তাঁরা সাহায্য করবেন, দ্রুত জামিনের বিষয়ে লড়বেন এটা আমি ওনাদের কাছে আশা করব৷’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Water Demand: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    Water Demand: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গ্রামের নাম হাসনহাটি। গ্রামের বাসিন্দাদের অধিকাংশ আদিবাসী। দালান বাড়ি কারও নেই। এক চিলতে ঘরে পরিবার নিয়ে তাঁরা দিন গুজরান করেন মাত্র। দিন মজুরি করে কোনওরকমে সংসার চালান তাঁরা। বাড়িতে টিউবওয়েল বসানো তাঁদের কাছে বিলাসিতা। অগত্যা সরকারি সাহায্য তাঁদের অন্যতম ভরসা। নিয়ম মেনে ঘটা করে প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামে পানীয় জলের ট্যাপ, টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। টিউবওয়েল থেকে বহুদিন ধরেই জল (Water demand) পড়ে না। আর পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য যে ট্যাপ বসানো হয়েছিল, গত তিনমাস ধরে সেখান দিয়ে জল পড়ছে না। গরম পড়তেই হাঁসফাঁস অবস্থা। ক্ষোভে ফুঁসছেন কালনা-২ ব্লকের বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের আদিবাসী এই গ্রাম।

    দাবি (Water demand) আদায়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা?

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)  একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করে আদিবাসীদের মন জয়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু, বাস্তব চিত্রটা যে একেবারেই আলাদা তা হাসনহাটি আদিবাসী গ্রামে আসলেই টের পাওয়া যাবে। এই গ্রামের তিন মাস ধরে পানীয় জলের (Water demand) ট্যাপ, টিউবওয়েল থেকে জল বের হচ্ছে না। প্রশাসনের কাছে আদিবাসী মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে দরবার করেছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা সুনীতা মুর্মু, মিতা মুর্মু, শেফালি মান্ডিদের বক্তব্য, এতদিন শীতকাল ছিল। দূর থেকে জল আনতে কষ্ট হত না। জলের (Water demand) চাহিদা কম ছিল। এখন গরম পড়েছে। দিন দিন গরম বাড়বে। এই অবস্থায় গ্রামে পানীয় জলের (Water demand) ব্যবস্থা না থাকলে আমরা কোথায় যাব। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জন্য অনেক কিছু করেন বলে বিভিন্ন মঞ্চে দাবি করেন। অথচ গত তিনমাস ধরে আমরা পানীয় জল (Water demand) খেতে পাচ্ছি না, এটা রাজ্য সরকারের কারও দেখার সময় নেই। অবিলম্বে পানীয় জলের ব্যবস্থা না করে দিলে সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ভোট বয়কট করব। কারণ, বহুদিন ধরে আমরা আবেদন নিবেদন করেছি। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার আমরা জোটবদ্ধ হয়ে সকলেই কেউ আর ভোট দিতে যাব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    হাসনহাটি গ্রামে আদিবাসী পরিবারেরা পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন  কালনা-২ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অমিত কুমার চৌরাসিয়া। তিনি বলেন, কীভাবে তাদের পানীয় জল দেওয়া যায় সেটা ভাবা হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Mamata Banerjee: লোকসভা ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত মমতার, কারণ কি জানেন?  

    Mamata Banerjee: লোকসভা ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত মমতার, কারণ কি জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) বিজয়রথ থামাতে একাধিকবার উদ্যোগী হয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বার কয়েক দিল্লি গিয়ে বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টাও করেছিলেন মা মাটি মানুষের নেত্রী। বৃহস্পতিবার উত্তর পূর্বের তিন রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে এবং মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের রাশ হাতছাড়া হওয়ার পর সেই মমতাই ঘোষণা করলেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে তৃণমূল। এদিন নবান্নে বসে তৃণমূল সুপ্রিমো সাফ জানিয়ে দেন, তৃণমূল আর মানুষের জোট হবে। আমরা ওদের (বাম ও কংগ্রেস) কারও সঙ্গে যাব না। একা লড়ব মানুষের সমর্থন নিয়ে।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন…

    তৃণমূল নেত্রী বলেন, সিপিএম-কংগ্রেস এক সঙ্গে রয়েছে। বিজেপির ভোটও ওদের কাছে গিয়েছে। তিনি বলেন, এমন অনৈতিক জোট হলে কংগ্রেস, সিপিএম কী করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে? ওরা যদি বিজেপির সাহায্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে চায়, তা হলে ওরা কীভাবে নিজেদের বিজেপি বিরোধী বলতে পারে! তিনি বলেন, এটা আমাদের কাছে একটা শিক্ষা। কংগ্রেস এবং সিপিএমের কথা শোনা উচিত নয়।

    অথচ যাঁর এমন বিলম্বিত বোধদয় হয়েছে, সেই তিনিই কি না মোদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছিলেন তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হয়েই! একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদে বসেই নতুন করে বিজেপি বিরোধী শক্তিকে এক ছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেত্রী। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন মমতা। কিন্তু কংগ্রেস যখন নেতৃত্বদানের কথা বলে, তখনই পিছু হটেন তৃণমূল নেত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তিনি চেয়েছিলেন তৃণমূলের নেতৃত্বেই দানা বাঁধুক বিজেপি বিরোধী জোট। তাহলে অন্তত প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিটা পাকা হয়ে যাবে! এর পর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সময় যত গড়িয়েছে, ততই দু পক্ষের ব্যবধান দাঁড়িয়েছে বেড়েছে বই কমেনি।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর যে মমতা বিরোধী ঐক্যে শান দিচ্ছিলেন, সেই তিনিই কেন এখন একলা লড়ার কথা বলছেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ হল তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ। একের পর এক কেলেঙ্কারির কাদা লেগেছে তৃণমূলের গায়ে। জড়িয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রীর (Mamata Banerjee) ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতা। কান টানলে মাথা আসার মতো তৃণমূলের আরও অনেকেই জড়িয়ে পড়বেন বলে খবর। যদি তাই হয়, তাহলে তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ে মুখ পোড়াতে আর কেই বা চাইবে? বস্তুত, আকণ্ঠ দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমতাবস্থায় ঘর না বাহির সামলাই দশা তৃণমূল নেত্রীর। সেটাও তাঁর একলা চলার সিদ্ধান্তের সহায়ক হয়েছে বলেও অভিমত রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Amit Malviya: ‘উত্তর-পূর্ব মমতাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এবার পশ্চিমবঙ্গের পালা’, কটাক্ষ অমিত মালব্যর

    Amit Malviya: ‘উত্তর-পূর্ব মমতাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এবার পশ্চিমবঙ্গের পালা’, কটাক্ষ অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার বাইরে এবারও শাখা বিস্তারে ব্যর্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে কার্যতই মুখ থুবড়ে পড়ল তৃণমূল। প্রায় একবছর ধরে সেখানে পড়ে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্বাচনের আগে সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও (Mamata banerjee)। তার পরও সেখানে খাতা খুলতে পারল না তৃণমূল। এমনকী নোটার চেয়েও কম ভোট পেল তারা। ফলে উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল আসতেই এবারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য।

    গেরুয়া শিবিরের জয়

    সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ত্রিপুরায় সরকারে ফিরছে বিজেপি। জোটসঙ্গী এনডিপিপি-কে নিয়ে তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে নাগাল্যান্ডেও। ফলাফল ঘোষণার পরে বৃহস্পতিবার উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যেরই জনতা এবং বিজেপির নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটে ত্রিপুরার জন্য তাঁর বার্তা, “শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে এই ভোট। রাজ্যকে বৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিজেপি কাজ করে যাবে।” অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য জয়ের পর ট্যুইটে উত্তর-পূর্ব রাজ্যের বিজেপি কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন:উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যেই সরকারে পদ্ম! মেঘালয়ে এনপিপি-কে সমর্থন বিজেপির

    উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় খাতা খুলতে ব্যর্থ হলেও মেঘালয়ে পাঁচটি আসন জিতে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “ছ’মাস আগে আমরা সেখানে শুরু করেছিলাম, ১৫% ভোট পেয়েছি। জাতীয় দলের তকমা পেতে সাহায্য করবে। প্রধান বিরোধী হিসাবে কাজ করব।”

    তৃণমূল সুপ্রিমোকে কটাক্ষ মালব্যর

    অন্যদিকে ত্রিপুরার ফলপ্রকাশের পর বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে তৃণমূলের অবস্থান দেখে মমতাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখান করেছে। এবারে পশ্চিমবঙ্গের পালা। তিনি ট্যুইট করেও তৃণমূল কংগ্রেসের পরিস্থিতির সমালোচনা করে বলেছেন, “বাম কংগ্রেস জোট এবং টিএমসি থাকা সত্ত্বেও বিজেপিকে ত্রিপুরা ধরে রেখেছে। টিএমসি নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়েছে। টিএমসি মেঘালয়ে ১২ জন বিধায়ককে নিয়েছিল। কিন্তু সংখ্যাটা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫-এ। উত্তর-পূর্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে। এরপর হবে পশ্চিমবঙ্গে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করার আবেদন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করার আবেদন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক দলকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে যে সব শর্ত পূরণ করতে হয়, তৃণমূল তা করতে পারছে না। তাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করা। ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এমনই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেস সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত আঞ্চলিক দল বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু যা বললেন

    গোয়ার পর ত্রিপুরায় ভরাডুবি। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে নোটার চেয়েও পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় একটি আসনেও খাতা খুলতে পারেনি জোড়াফুল শিবির। জাতীয় দলের তকমা পেতে গেলে যা যা দরকার শুভেন্দুর দাবি তার কোনওটিই পূরণ করা সম্ভব নয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে। ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, আমি ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে অনুরোধ করছি, সর্বভারতীয় দল হওয়ার জন্য যে মাপকাঠি রয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করা উচিত। 

    শুভেন্দু লিখেছেন, বিগত পাঁচ বছরে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গোয়া, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় ভোটে লড়েছে। ত্রিপুরায় প্রাপ্ত ভোটের হার ০.৮৮ শতাংশ, কোনও বিধায়ক নেই। গোয়ায় ৫.২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে, সেখানেও কোনও তৃণমূল বিধায়ক নেই। মেঘালয়ে ১৩.৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে, ৫ জন জয়লাভ করেছেন তৃণমূলের টিকিটে। ফলে বাংলা ও মেঘালয় ছাড়া আর কোথাও তৃণমূলের ৬ শতাংশ ভোট বা অন্তত ২ বিধায়ক নেই, যা জাতীয় দলের তকমার জন্য দরকার। লোকসভা ভোটেও ২০১৯ সালে তৃণমূল চারটি রাজ্যে ৬ শতাংশ ভোট পাওয়ার মাপকাঠি পূরণ করতে পারেনি।

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরা জয়ের খোয়াব ভেঙে খান খান, অতঃ কিম? ভাবছে তৃণমূল

    এমনকী বাংলার বাইরেও কোনও সাংসদ লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জেতেননি। শুভেন্দুর দাবি, জাতীয় দলের তকমা ধরে রাখতে হলে অন্তত ৪টি রাজ্যে আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয়ে তৃণমূলের বিধায়ক রয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Adenovirus: টেস্ট কিটের আকাল! অ্যাডিনো চিহ্নিত করতেই জেরবার সরকারি হাসপাতালগুলি

    Adenovirus: টেস্ট কিটের আকাল! অ্যাডিনো চিহ্নিত করতেই জেরবার সরকারি হাসপাতালগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাজ্য জুড়ে বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাসের আতঙ্ক। সাম্প্রতিক দিনে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছুঁইছুঁই। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে রাজ্যে একের পর এক শিশুর মৃত্যু এ বার গভীর চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে প্রশাসনের। অভিভাবকদের পাশাপাশি, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও। কলকাতা ছাড়া বাকি জেলাগুলিতেও ভয় ধরাচ্ছে অ্যাডিনো। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “ভয় পাবেন না। ৫ হাজার বেড আমাদের তৈরি। ৬০০ শিশু চিকিৎসক তৈরি। করোনা যেহেতু প্যানিক হয়ে গিয়েছে। করোনার পর যে কোনও একটা ভাইরাস এলেই চিন্তিত। বাড়ির লোকজনকে যত্ন নিতে হবে। বাচ্চারা মাস্ক পরতে পারে না। ওদের উপর একটু বিশেষ নজর দিতে হবে, বাইরে যাতে না বেরোয়। ঘরে রাখাটাই ভাল।”  

    অ্যাডিনো-আতঙ্ক

    মুখ্যমন্ত্রী যতই আশ্বাস দিন পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা। বৃহস্পতিবার ভোরেও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হুগলির ১ বছর ৩ মাস বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম শ্রেয়া পাল। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই শিশুকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি হুগলির সরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। দেখা যায় ওই শিশুর শরীরে দানা বেঁধেছে অ্যাডিনো ভাইরাস। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় শিশুটির দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া হয়। এর পর বৃহস্পতিবার ভোরে একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয় ওই শিশুর। 

    অ্যাডিনোয় শিশুমৃত্যু, রাজ্যকে দুষলেন সুকান্ত

    রাজ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকারের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “রাজ্যের মধ্যে উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, জঙ্গলমহলে স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো ভালো নয়। মুখ্যমন্ত্রীর এটা বোঝা উচিত নীল সাদা রঙ বিল্ডিং করে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় না। ভালো চিকিৎসক নেই এই এলাকাগুলোতে। আর যার ফলে রোগীদের খালি রেফার করতে হচ্ছে। আর শিশু মৃত্যুর মত ঘটনা ঘটছে।” তিনি আরও বলেন, “পুরো রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হালই বেহাল। এটা সরকারের অপদার্থতা। মাননীয়া না হয় এই বিষয়ে কিছুই জানেন না, বোঝেন না, বা নিজে সব বুঝেও রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন।” সুকান্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যান। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “শহর কলকাতা থেকে যত দূরে যাবেন, দেখবেন এই ধরনের রোগ যেমন অ্যাডিনো ভাইরাসের জন্য যেরকম ডাক্তার দরকার, সেইসমস্ত ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। লোকজন চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এভাবে একটা রাজ্য চলতে পারে না।”

    আরও পড়ুন: অযোগ্য ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করল এসএসসি

    অ্যাডিনো-টেস্ট কিটের আকাল

    সুকান্তর অভিযোগ যে সত্য তার প্রমাণ হল, সরকারি হাসপাতালে কিটের আকাল। এর ফলে সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) বন্ধ অ্যাডিনোর টেস্ট (Adenovirus Test)। এদিকে বেসরকারি ক্ষেত্রে টেস্ট (Private Test) পিছু খরচ ৫ থেকে ২২ হাজার পর্যন্ত টাকা। নাজেহাল অবস্থা রোগীর পরিজনদের। বেসরকারি জায়গায় টেস্টের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে, কোথাও টেস্ট পিছু নেওয়া হচ্ছে ২২ হাজার টাকা। কোথাও বা ১৪ হাজার টাকা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য যে যন্ত্রের সাহায্যে অ্যাডিনো ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়, তাতে একসঙ্গে ২২টি সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ভাইরাস চিহ্নিত হয়। একে বলে ভাইরাল প্যানেল। এই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন বিশেষ কিট (Special Test Kit for AdenoVirus)। সূত্রের খবর, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিকালে অ্যাডিনো ভাইরাসের টেস্ট হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কিট শেষ হয়ে যাওয়ায় সেখানে বন্ধ ভাইরাসের চিহ্নিতকরণ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ চাকরি নয়, এবার দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। কোনও বিরোধী দলের অভিযোগ নয়। অভিযোগ করছেন খোদ তৃণমূলেরই নেতা। যে সে নেতা নন, তিনি মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য। নাম মহম্মদ সামিউল ইসলাম। অভিযুক্ত চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে। তৃণমূলের (tmc) বেআব্রু চেহারা ততই প্রকট হচ্ছে। মালদহের চাঁচলে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল এবার প্রকাশ্যে। তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য এবং দলীয় বিধায়কের বিবাদ তুঙ্গে। সম্পর্ক এতটাই তলানিতে ঠেকেছে, একে অপরের বিরুদ্ধে দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ করেই থামেননি। রীতিমতো চিঠি দিয়েছেন কালীঘাটে। বিধায়কও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, প্রকাশ্যে তোলাবাজি বন্ধ করেছেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে।

    বিধায়কের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    কয়েকজন ঠিকাদার নিয়ে দল পরিচালনা করছেন চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ। এমনকী তিনি অর্থের বিনিময়ে পদও বিক্রি করছেন। এমনই অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মহম্মদ সামিউল ইসলাম। তিনি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) কাছেও এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দুজনের কাজিয়া চলছে। অভিযোগ, চাঁচলের নিজের দাপট বজায় রাখতেই দলীয় প্রার্থীকেই হারাতে চেয়েছিলেন। ফলে, বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর জেলা পরিষদের এই সদস্যকে তিনি কাছে ভিড়তে দেননি। দুজনের মধ্যে দূরত্ব কমাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকেও। খবর জানতেন কালীঘাটও। মালদহের প্রশাসনিক সভাতেও মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তবে, পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, চাঁচল কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দুজনের বিবাদ তুঙ্গে। তার ফলেই এই চিঠি এবং পাল্টা বিবৃতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভালো অবস্থাতে যে তৃণমূল কংগ্রেস নেই তা পরিষ্কার। দুপক্ষ সক্রিয় অপর গোষ্ঠীর প্রার্থীদের হারাতে।

    প্রকাশ্যে একনেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ক্ষুব্ধ মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।

    কার হাতে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে, কে কত বেশি কাট মানি নিতে পারবে এই নিয়েই তৃণমূলে বিবাদ, কটাক্ষ বিজেপির। উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই তাদের গোষ্ঠী কোন্দল বেড়ে চলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে টিকিট দিতে পারবে, কে কাটমানির বেশি ভাগ বাটোয়ারা পাবে, এই নিয়ে এদের মধ্যে গন্ডগোল। মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসলেই তা টের পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • CM Meeting: সভায় আসা ছাত্রদের দেওয়া হল ‘পচা বিরিয়ানি’! শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিতর্ক

    CM Meeting: সভায় আসা ছাত্রদের দেওয়া হল ‘পচা বিরিয়ানি’! শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেওার আগে ছাত্রদের দেওয়া হল পচা বিরিয়ানির প্যাকেট। খাওয়ার অযোগ্য ওই বিরিয়ানি ফেলে দেয় ছাত্ররা। খালি পেটেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেয় তারা। পরে অবশ্য তাদের হাতে ভাল প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। এই নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে  শিলিগুড়িতে।

    অভুক্ত পড়ুয়ারা

    মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য স্থানীয় ১২টি স্কুলের প্রায় ১০০০ পড়ুয়াকে শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলে জড়ো করেছিল প্রশাসন। দুপুরে তাদের বিরিয়ানি খেতে দেওয়া হয়। কিন্তু প্যাকেট খুলতেই ছড়িয়ে পড়ে পচা গন্ধ। কয়েকজন ছাত্র শিক্ষকদের বিষয়টি বলে। শিক্ষকরা পরীক্ষা করে বলেন, এই বিরিয়ানি খাওয়ার যোগ্য নয়। এর পর বিরিয়ানি বিলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে ছাত্ররা ইতিমধ্যে বিরিয়ানির প্যাকেট পেয়েছিল তারা ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। কয়েকজন পড়ুয়া ওই বিরিয়ানি খেয়ে রীতিমতো বমি করতে শুরু করে। 

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

    খাবারের গুণগত মান নিয়ে স্কুল পড়ুয়ারও ক্ষোভ উগরে দেয়। এক ছাত্র বলে, “অনেকক্ষণ হল বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। অনেকক্ষণ থাকতেও হবে। দুপুরে খাবার দেওয়া হবে বলে আগে থেকে জানানো হয়েছিল। তাই খাবার নিয়ে আসিনি। বিরিয়ানি খেতে গিয়ে দেখি পচা। বিকট গন্ধ বেরোচ্ছে। তাই ফেলে দিয়েছি।” পচা বিরিয়ানি কেন বিলি হল তা নিয়ে অবশ্য প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মমতা সভামঞ্চ থেকে এদিন পড়ূয়াদের জিজ্ঞেসও করেন যে তারা কিছু খেয়ে এসেছে কি না! উত্তরে পড়ুয়ারা গোটা ঘটনা জানায়। পড়ুয়াদের উদ্দেশে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘খিদে পেয়েছে?’’ মঞ্চের সামনের দিকে বসে থাকা পড়ুয়ারা একযোগে বলে ওঠে ‘‘হ্যাঁ।’’ এরপর তাদের খাবারের প্যাকেট দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।  

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১১): ১৮ বছর ধরে আটকে সিউড়ি-প্রান্তিক রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ      

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের মধ্যাহ্নভোজের জন্য বিরিয়ানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিল অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। তারা স্থানীয় এক ক্যাটারারকে কয়েকশো প্যাকেট বিরিয়ানি তৈরির দায়িত্ব দেয়। ওই ক্যাটারারের দাবি, তাঁকে সোমবার রাতের মধ্যে বিরিয়ানি তৈরি করে প্যাকট পৌঁছে দিতে বলা হয়েছিল। তিনি নির্ধারিত সময়ে তা পৌঁছে দিয়েছিলেন। সেই বিরিয়ানি যদি পরদিন দুপুরে বিলি করা হয়, সেটা তাঁর দায় নয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক সভার নামে খরচ হচ্ছে গুচ্ছের টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়। তবে এবার রীতিমতো হিসেব দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানিয়ে দিলেন বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাসের জন্য খরচ হয়েছে ৭৮ লক্ষ টাকা। বাঁকুড়ার জেলাশাসকের কাছে ওই খরচের সূত্র জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর অভিযোগ…

    জেলায় জেলায় নিয়মিত প্রশাসনিক সভা করে বেড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে নিয়ে চলেন বিস্তর লোকলস্কর। সেখানে গিয়ে সুবিধাভোগীদের নানা সুবিধা দেন। তার আড়ালে ভোটের প্রচারও চলে বলে অভিযোগ। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সভা করেন মমতা। রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচিতে স্কুল পড়ুয়া ও বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসারের স্বাক্ষর করা কয়েকটি কাগজ তুলে ধরে শুভেন্দুর অভিযোগ, ৭০০ বাসে করে এই স্কুল পড়ুয়া ও সুবিধাভোগীদের নিয়ে আসা হয়েছে।

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় ছাত্রছাত্রী ও গরিব সুবিধাভোগীদের ৭০০ বাসে করে আনতে ৭৮ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। ওই ট্যুইটেই তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, জনগণের টাকা খরচ করে ছাত্রছাত্রীদের রাজনৈতিক বক্তৃতা শুনতে বাধ্য করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই সভায় যে লোক আনা হয়েছে, তাদের নিয়ে আসা হয়েছে বাঁকুড়ার বিভিন্ন ব্লক ও পুরসভা থেকে। শুভেন্দুর ট্যুইট থেকে জানা যাচ্ছে, সব চেয়ে বেশি বাস এসেছে বড়জোড়া এলাকা থেকে। সেখান থেকে ৫২টি বাস আনতে খরচ করা হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক আনতে বাস প্রতি খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) ট্যুইট থেকেই জানা গিয়েছে, সভার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল ৮ হাজার পুলিশ কর্মী, তৈরি করা হয়েছিল উন্নত ধরনের স্টেজ। সব মিলিয়ে মাত্র ৪০ মিনিটের সভার জন্য খরচ হয়েছে ৩-৪ কোটি টাকা। তাঁর প্রশ্ন, এই টাকা এল কোথা থেকে? বাঁকুড়ার ডিএম ব্যাখ্যা দিন। তাঁর আরও প্রশ্ন, রাজ্যের এই আর্থিক সংকটের সময় ওই টাকা কি মিড-ডে মিলের টাকা থেকে এসেছে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: ‘ডিএ দিতে পারবেন না…আপদ বিদায় হলেই মানুষের মঙ্গল’, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ডিএ দিতে পারবেন না…আপদ বিদায় হলেই মানুষের মঙ্গল’, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী ডিএ (DA) দিতে পারবেন না। রাজ্যের যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারবেন না। কোনও কিছুই যদি না পারেন, তাহলে মুখ্যমন্ত্রিত্বে থেকেও লাভ নেই। আপদ বিদায় হলেই বাংলার মানুষের মঙ্গল। শুক্রবার কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিন কয়েক আগে বিধানসভায় বাজেট পেশ করতে গিয়ে তিন শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। যদিও বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি ম্যাজিসিয়ান নই। টাকা দাও বললেই হবে না, টাকা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা থ্রি পার্সেন্ট ডিএ দিয়েছি। এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সুকান্ত বলেন…

    সুকান্ত বলেন, কেন্দ্রের বঞ্চনা বলতে উনি কী বোঝাতে চাইছেন, আমি জানি না। যদি ধরেই নিই কেন্দ্রে আবাস যোজনার টাকা বা ১০০ দিনের টাকা, যে টাকা এখন বন্ধ রয়েছে, সেই টাকার কথা বলছেন, তাহলেও প্রশ্ন, এই টাকায় কি ডিএ দেওয়া হয়?  তিনি বলেন, ডিএ তো দিতে হয় রাজ্য সরকারের নিজস্ব রোজগারের টাকা থেকে। এর পরেই সুকান্ত বলেন, উনি কর্মসংস্থানের জোগাড় করতে পারবেন না, রোজগার করতে পারবেন না, ডিএ দিতে পারবেন না, শুধু পদ অলঙ্কৃত করে থাকবেন! দরকার নেই এরকম আপদের। এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আপদ বিদায় হলেই বাংলার মানুষের মঙ্গল।  

    আরও পড়ুুন: মোদির ওপর বিবিসি-র বানানো তথ্যচিত্র ‘প্রচার সর্বস্ব ভিডিও’, তোপ ব্রিটিশ সাংসদের

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্য যে টাকা পেত, ২০২২ সালে সেটা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেকথা বলেন না। অথচ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সেই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী শুধু মিথ্যে বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। এদিকে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে দু দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সোম ও মঙ্গলবার ওই কর্মবিরতি পালিত হবে। অন্যদিকে, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শুক্রবার বিধানসভার উদ্দেশে একটি মিছিলও শুরু করে সরকারি কর্মচারীদের ৩০টি সংগঠন। যদিও সেই মিছিল গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই তা আটকে দেয় পুলিশ। প্রসঙ্গত, ডিএ নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াতে বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের ৩০টি সংগঠন। মিছিল করে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচিও নিয়েছিল তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share