Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • 2024 Loksabha Elections: ‘‘বর ছাড়া বিয়ে হয় নাকি?’’ মমতা-অখিলেশ ‘জোট’ বৈঠককে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    2024 Loksabha Elections: ‘‘বর ছাড়া বিয়ে হয় নাকি?’’ মমতা-অখিলেশ ‘জোট’ বৈঠককে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha Elections) অ-বিজপি, অ-কংগ্রেসী জোটে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নির্দিষ্ট কোনও নাম নিয়ে অনিশ্চয়তা বরাবরের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মুখ খুঁজতেই হয়রান বিরোধীরা। শুক্রবার কালীঘাটে অখিলেশ-মমতা বৈঠকেও সেই ছবি স্পষ্ট। এদিনের বৈঠককে কটাক্ষ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, “বর ছাড়া বিয়ে হয় নাকি ?”

    সুকান্তর সমালোচনা

    আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha Elections) কথা মাথায় রেখেই এদিন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসী জোটের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বেছে নেওয়ার বিষয়টি সর্বদলীয় মতের উপরেই নির্ভর করছে বলে আগেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে অখিলেশও জানান বিষয়টি “আমরা সবাই মিলে বসে ঠিক করব।” তা নিয়েই সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, “বর ছাড়া বিয়ে হয় নাকি? যেরকম বিয়েতে বর দরকার, সেরকম প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীও দরকার। একদিকে নরেন্দ্র মোদির মতো প্রধানমন্ত্রী আর অপরদিকে যদি মুখই না থাকে, তাহলে মুখ ছাড়া ভূত হয়ে ঘুরে বেড়াবে।”

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে লাগাতার চলছে হিন্দু মেয়েদের ওপর নির্যাতন ও ধর্মান্তকরণ

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    মমতা-অখিলেশ বৈঠকের সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর কথায়, গতবারের লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha Elections) ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’ নাম দিয়ে বিরোধী ঐক্য হলেও তিনশোর গণ্ডি পেরিয়ে যায় বিজেপি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য চারশোর গণ্ডি পার হওয়া, সেখানে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না বিরোধী জোট। সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর কথায় “আগে উনি নিজের ঘর গুছিয়ে রাখুন”। তিনি বলেন, “সমাজবাদী পার্টি উত্তরপ্রদেশের আঞ্চলিক দল। ভোটের আগে ওই দল ওখানকার মানুষের উত্তর পেয়ে গিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির যারা জোট সঙ্গী ছিল তারাও সরে গিয়েছে। অখিলেশ যাদব তার পরিবারের লোকেদের এক ছাতার তলায় আনতে পারেননি। অথচ তিনি এখানে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করছেন।” শুভেন্দুর দাবি, “যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত ধরেছেন তাঁদের কী হয়েছে সবাই জানে। ওনারা একসঙ্গে চা খাবেন। সিবিআইI ও ইডিকে কিভাবে সামাল দেবেন সেই সব আলোচনা করবেন। কাজের কাজ কিছু হবে না।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: কলকাতা হাইকোর্টে মিলল না মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অনুমতি  

    Mamata Banerjee: কলকাতা হাইকোর্টে মিলল না মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অনুমতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন বহু অযোগ্য প্রার্থী। তাঁদের হয়ে সওয়াল করার অভিযোগ উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে। তার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার মামলা করার ব্যাপারে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালত ওই অনুমতি দেয়নি। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখবে।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বক্তব্যের একটি অংশ নিয়ে অভিযোগ করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এখানে নেই, আমি সুব্রতদাকে বলব, যিনি এখানে আছেন, এটা আমার ব্যক্তিগত মত, দয়া করে এত সহজে চাকরি কেড়ে নেবেন না। ওই অনুষ্ঠানে চাকরি বাতিল নিয়ে করা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের একাধিক অংশেরও বিরোধিতা করেছেন বিকাশ।

    প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, প্রাইমারি, নবম-দশম সব মামলা হাইকোর্টের বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। তার পরেও আলিপুর আদালতের ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর একটা সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। রোজ কথায় কথায় চাকরি বাদ দিচ্ছে। কালও দুজন আত্মহত্যা করেছে। যদি কেউ ভুল করে তার দায় কেন সবাই নেবে। তিনি বলেন, একটু ভেবে দেখবেন। ছেলেমেয়েরা যেন অবিচারের শিকার না হয়, তাঁদের চাকরিটা আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    বিকাশের যুক্তি, আদালতের নির্দেশে যখন অযোগ্যদের চাকরি বাতিল হচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এমন মন্তব্য করলেন কেন? এই প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার মামলার আবেদন জানানো হয় হাইকোর্টে। বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণের আবেদন জানান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন আইনজীবী। বৃহস্পতিবার সে ব্যাপারেই আদালত জানায়, বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখবে। এদিন আদালতে হলফনামা জমা দেন বিকাশ। হলফনামার সারমর্ম হল, আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করুক। তখনই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিকাশের উদ্দেশে বলেন, আপনি কেন মামলা দায়ের করছেন না?  তখন বিকাশ বলেন, তাঁর হলফনামায় একাধিক মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে স্পষ্ট, মুখ্যমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন। তিনি বলেন, কারচুপি করে যাদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের চাকরি যাচ্ছে আদালতের নির্দেশে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন বক্তব্য আদালত অবমাননা ও বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরির কৌশল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলার লজ্জা’! প্রাথমিকে পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা? ‘সরকারি শিক্ষা বন্ধের চক্রান্ত’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলার লজ্জা’! প্রাথমিকে পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা? ‘সরকারি শিক্ষা বন্ধের চক্রান্ত’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে যখন উত্তাল রাজ্য, সেই আবহেই বাঁকুড়ায় বিতর্কিত পদক্ষেপ নিল পুলিশ। সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রাথমিক শিক্ষায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বাঁকুড়া পুলিশের তরফে ‘অঙ্কুর’ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। তার আওতায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ক্লাস নেবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। আর এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। এরপরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী স্কুল শিক্ষাকে বেসরকারি করার জন্য ফন্দি এঁটেছেন। আর এ নিয়ে ট্যুইটও করেছেন শুভেন্দু।

    ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছেন, রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই চার লক্ষ কমেছে। রাজ্যের ৮,২০৭টি সরকার পরিচালিত স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০-এর কম। প্রাথমিকস্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিপূরক ক্লাস করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। যার অর্থ, রাজ্য সরকার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা একেবারে বন্ধ করার পরিকল্পনা করে ফেলেছে। এর পাশাপাশি ট্যুইটে একটি চিঠিও শেয়ার করেছেন। দেখা গিয়েছে, এই সরকারি চিঠিটি বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার জেলাশাসককে লিখেছেন। যাতে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিভিক পুলিশরা ‘অঙ্কুর’ নামে এক প্রকল্পের আওতায় বাঁকুড়ার ৪৬টি স্কুল বা কমিউনিটি সেন্টারে শিশু পড়ুয়াদের পরিপূরক ক্লাস করাবে। জেলাশাসককে এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছেন পুলিশ সুপার।

    পুলিশের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক সুভাষ সরকার বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়াররা শিশুদের ইংরাজি আর অঙ্ক শেখাবে এটা একবিংশ শতকে পশ্চিমবাংলার লজ্জা। এখানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। সরকার শিক্ষাব্যবস্থা চালাতে না পারলে দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করুক।”

    শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়া

    রাতে বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের মতামত নেওয়া হয়নি। সেই কারণে আমাদের কাছে মতামত চাওয়ার জন্য ওঁদের বলা হয়েছে। তার পর দেখা যাবে এটা চালু হবে কি না। এখন চালু করা যাবে না।”

  • Actor Dev: ‘শাহরুখ ব্যস্ত, সময় দিতে পারছেন না’! বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন ‘প্রজাপতি’ দেব

    Actor Dev: ‘শাহরুখ ব্যস্ত, সময় দিতে পারছেন না’! বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন ‘প্রজাপতি’ দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর (Brand Ambassador) হচ্ছেন অভিনেতা দেব (Actor Dev)। এতদিন বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান ছিলেন রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। তিনি থাকছেন। তবে তিনি বিশেষ সময় দিতে না পারায় দেবও হচ্ছেন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। বুধবার নবান্নের সভাঘরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ডের বৈঠক ছিল। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ছিলেন অন্য মন্ত্রীরাও। আর ছিলেন শিল্পপতিরা। এখানেই মমতা জানান, আগামিদিনে ৪১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। বৈঠক শেষে তিনি জানান নয়া ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শাহরুখ ব্যস্ত। বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর দেব। তিনি বলেন, দেব, তুমি বেঙ্গল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করো তো। শাহরুখ তো আছে। ও খুব ব্যস্ত। তাই সময় পায় না। তাই দেব তুমি এটা করো। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাব পেয়ে রাজি হয়ে যান তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব।

    ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে দেবের (Actor Dev) নাম ঘোষণা…

    বর্তমানে বাংলার পর্যটন বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন দলবদলু বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর সামনেই দেবকে (Actor Dev) ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, এই দেবকে বাংলার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করো তো তোমরা। আগে একটা ভাল করে পর্যটন নিয়ে ভিডিও বানিয়ে নাও। তার পর দেবরা মিলে করুক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শাহরুখ ব্যস্ত হলেও, আমাদের একটি বিজ্ঞাপন শ্যুট করে দিয়েছিল। এর পরেই দেবের নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে বিজ্ঞাপন বানানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দেন চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষকে।  

    আরও পড়ুুন: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    গত অক্টোবরে বিসিসিআই সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতে জোরালো সওয়াল করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, সৌরভকে রাজনীতির বাইরে রাখা হোক। শাহরুখ খানকে সরিয়ে সৌরভকে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা উচিত। তিনি বলেন, ওঁর পাশে থাকতে এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত মমতা সরকারের। তবে বিরোধী দলনেতার প্রস্তাবে কান দেননি মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সৌরভ নন, দেবকেই (Actor Dev) করলেন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। রাজনৈতিক মহলের মতে, অরাজনৈতিক সৌরভকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর না করে স্ব-দলের নেতা দেবের ওপরই যে মুখ্যমন্ত্রী বেশি ভরসা করছেন, এদিনের ঘোষণাই তার প্রমাণ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: শিল্প বৈঠকে বিপুল কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, বাস্তবে হবে কি?

    Mamata Banerjee: শিল্প বৈঠকে বিপুল কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, বাস্তবে হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় নিয়োগ দুর্নীতিতে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা রাজ্যের তৃণমূল (TMC) সরকারের। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কর্মসংস্থানকেই হাতিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার নবান্নের সভাঘরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন অন্য মন্ত্রীরাও। আর ছিলেন শিল্পপতিরা। এখানেই মমতা জানান, আগামিদিনে ৪১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অবাক হয়ে যাবেন, এমএসএমই সেক্টরে ১ লক্ষ ১৪ হাজার লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর পরেই তিনি জানান, আগামিদিনে এই ক্ষেত্রে চাকরি হবে ৪১ লক্ষ মানুষের। তিনি বলেন, রাজ্যে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত এই তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ১ কোটি মানুষের চাকরি হয়েছে। কলকাতায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নিজেদের দফতর করছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখানে ৩০ হাজার মানুষের কাজ হবে। মমতা বলেন, শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরি হয়।

    কর্মসংস্থানই হাতিয়ার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)…

    এদিনের বৈঠকেই ঘোষণা করে দেওয়া হয় বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলেনর নির্ঘণ্ট। ২১-২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ওই সম্মেলন। রাজ্যের শিল্প ও ইকোনমিক করিডর নিয়ে প্রচারের জন্য মন্ত্রী শশী পাঁজা ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান তুলে ধরতে রাজ্যে মেট্রো কোচ নির্মাণ শিল্প, ওয়াগন শিল্প, খড়্গপুরে হতে চলা টাটা-হিটাচির কারখানার কথাও এদিনের বৈঠকে উল্লেখ করেন মমতা। তিনি বলেন, টাটা ও হিটাচি জামশেদপুর থেকে চলে আসছে পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুরে। এদিনের বৈঠকে দেউচা পাঁচামি প্রসঙ্গও ওঠে। দিন কয়েক আগে রাজ্যে পোস্ত চাষের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফের সেই প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, এখানকার কৃষকরা পোস্ত চাষ করলে লাভবান হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই বিনিয়োগের নিরিখে বাংলাকে দেশের শীর্ষ স্থানে নিয়ে যাওয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বিনিয়োগ টানতে এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে কেন্দ্রীয়ভাবে শিল্পোন্নয়ন বোর্ডও তৈরি করে রাজ্য। এর দায়িত্বে রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বিনিয়োগ টানতে ফি বছর ঘটা করে শিল্প সম্মেলন হয়। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে হওয়া ওই সম্মেলন শেষে শোনা যায় এত হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে, তত হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, তার পরেও যে কাজের কাজ কিছু হয় না, রাজ্যের বেকারত্বের লেখচিত্র দেখলেই তা স্পষ্ট হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিলেন  রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “যাঁরা বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তাঁদের চাকরি যাওয়ার ফলে মুখ্যমন্ত্রীর কষ্ট হচ্ছে। আর যাঁরা দীর্ঘদিন অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হয়েছেন, চাকরি না পেয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, যোগ্য হয়েও পুলিশের লাঠি খেয়েছেন, তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ব্যথিত নন।”

    সুকান্তর সওয়াল

    আদালতে ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির পরিমাণ ৩৫০ কোটি! এই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘এটা গুনতে থাকুন শেয়ার মার্কেটের মতো বাড়বে। যত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ধরা পড়বে এটা হাজার কোটির উপরে যাবে। তাপস বলেছে কুন্তল দোষী, কুন্তল বলছে শান্তনু দোষী, একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে। আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে।’

    প্রসঙ্গত, ঋষি অরবিন্দের জন্ম সার্ধ শতবর্ষে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আলিপুর আদালত চত্বরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তৃতা করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালতে কিছু মামলায় তিনি নিজেই সওয়াল করবেন বলে ভাবছেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই প্রসঙ্গে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আদালতে সওয়াল করতে চাইলে তা স্বাগত। কিন্তু চাইব তিনি চাকরি না-পাওয়া যোগ্য প্রার্থীদের হয়ে কোর্টে সওয়াল করুন।”

    আরও পড়ুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    এদিন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এখন রোজ কথায় কথায় ৩ হাজার চাকরি বাদ। ৪ হাজার চাকরি বাদ! কেউ যদি নিচুতলায় অন্যায় করেও থাকে, সংশোধনের সুযোগ পাওয়া উচিত।’’ তিনি বলেন, “আমি জীবনে জেনে শুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমি ক্ষমতায় আসার পর একটাও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। তা হলে তোমরা কেন খাচ্ছ? দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কাড়বার ক্ষমতা আছে!’’ মমতা আরও বলেন, “হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে সে খাবে কী! আমি বলছি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, ছেলে মেয়েগুলোর যাতে কোনও সমস্যা না হয়। তাঁদের চাকরি আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।” কিন্তু বেআইনিভাবে চাকরি প্রাপক, অযোগ্য ব্যক্তিদের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সওয়াল আলোড়ন ফেলেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে মিলল রক্ষাকবচ, অনুমতি ছাড়া সঞ্জয় বসুর বাড়িতে চলবে না তল্লাশিও

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে মিলল রক্ষাকবচ, অনুমতি ছাড়া সঞ্জয় বসুর বাড়িতে চলবে না তল্লাশিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা করে আগেভাগেই রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আইনজীবী সঞ্জয় বসু (Sanjay Basu)। তিনি সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল। বুধবার তাঁকে রক্ষাকবচ দিল আদালত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবারই নিজেদের দফতরে সঞ্জয়কে তলব করেছে ইডি। এদিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সঞ্জয়। সঞ্জয়ের আইনজীবী সপ্তাংশু বসুর দাবি, ভুয়ো অর্থনৈতিক সংস্থার একাধিক মামলায় রাজ্যের আইনজীবী ছিলেন তাঁর মক্কেল। তাই ইডি বারবার হেনস্থা করছে সঞ্জয়কে।

    সঞ্জয়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি…

    প্রসঙ্গত, ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় তদন্তে নেমে সঞ্জয়ের আলিপুরের বাড়িতে ইতিমধ্যেই হানা দিয়েছে ইডি। ১ মার্চ সকালে তাঁর বাড়িতে ঢুকেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। ২ মার্চ দুপুরের দিকে তাঁর বাড়ি থেকে বের হন তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রায় ২২ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরেই ইডির দফতরে তলব করা হয় সঞ্জয়কে।

    এদিন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় মামলাটির। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সঞ্জয়কে কোনও নোটিশ দিতে পারবে না ইডি। তাঁর অফিস বা বাড়িতে তল্লাশিও চালাতে পারবে না। কোনও কিছু বাজেয়াপ্তও করতে পারবে না। সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    সঞ্জয়ের বাড়িতে (Calcutta High Court) ইডির হানা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মার্চ দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ওরা (ইডি) গতকাল সঞ্জয়ের বাড়িতে ঢুকেছিল। আজ মেঘালয়ে ফল ঘোষণা পর্যন্ত ছিল। তিনি বলেন, সঞ্জয় রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল। সরকারের অনেক কাগজপত্র স্বাভাবিকভাবেই ওর কাছে থাকে। ও আমারও আইনজীবী। ওকে আমি জিজ্ঞেস করেছি, এত তল্লাশি করে কী কী পেল? ও বলল, কিছু পায়নি। খালি আপনাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Mamata Banerjee: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    Mamata Banerjee: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন এতজনের চাকরি গেল? চাকরি গেলে খাবে কী? মঙ্গলবার এই সব প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি (recruitment scam) সংক্রান্ত একগুচ্ছ মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ও সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এমতাবস্থায় আদালতের নির্দেশে যখন অযোগ্যদের চাকরি বাতিল হচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলেন কেন? এই প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার মামলার আবেদন জানানো হল হাইকোর্টে। বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণের আবেদন জানান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন আইনজীবী। আদালতের তরফে হলফনামা দাখিল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি টিএস শিবগননমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আবেদনকারীর দাবি, সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন। ৭৮৫ জনের চাকরি গিয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কেউ কেউ আত্মহত্যা করছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্যের যে অংশে আপত্তি…

    মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্যের একটি অংশ নিয়ে অভিযোগ করেন বিকাশ। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এখানে নেই, আমি সুব্রতদাকে বলব, যিনি এখানে আছেন, এটা আমার ব্যক্তিগত মত, দয়া করে এত সহজে চাকরি কেড়ে নেবেন না। ওই অনুষ্ঠানে চাকরি বাতিল নিয়ে করা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের একাধিক অংশেরও বিরোধিতা করেছেন বিকাশ।

    প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, প্রাইমারি, নবম-দশম সব মামলা হাইকোর্টের বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। তার পরেও আলিপুর আদালতের ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর একটা সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। রোজ কথায় কথায় চাকরি বাদ দিচ্ছে। কালও দুজন আত্মহত্যা করেছে। যদি কেউ ভুল করে তার দায় কেন সবাই নেবে। তিনি বলেন, একটু ভেবে দেখবেন। ছেলেমেয়েরা যেন অবিচারের শিকার না হয়, তাঁদের চাকরিটা আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।

    আরও পড়ুুন: জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ-অর্পিতা, জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত

    ওই অনুষ্ঠানে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, একজন চাকরি করছে বলেই বিয়ে করে সংসার করছে, চাকরি করে বলেই বাবা-মাকে দেখতে পারছে। হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে তারা খাবে কী? তাদের সন্তানদের মুখে কীভাবে খাবার তুলে দেবে? এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, যদি কোনও ভুল করে থাকে, তাকে সুযোগ দেওয়া হোক। দরকার হলে আবার পরীক্ষা দিক। নিয়োগ কেলেঙ্কারি ইস্যুতে এতদিন মামলা কিংবা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে একাধিকবার সুর চড়িয়েছেন মমতা। তবে এবার তিনি যেভাবে তিনি আদালতের নির্দেশে চাকরি হারানোদের হয়ে সওয়াল করলেন, তা কার্যত বেনজির বলেও মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata High Court: ইডি-র হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা, রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে মমতার আইনজীবী

    Kolkata High Court: ইডি-র হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা, রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে মমতার আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা করে আগেভাগেই রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আইনজীবী সঞ্জয় বসু (Sanjay Basu)। সঞ্জয় সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল। মঙ্গলবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানিতে ইডি তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য সময় চেয়েছে। বুধবার সেই আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    সঞ্জয়কে তলব ইডি-র…

    জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার নিজেদের দফতরে সঞ্জয়কে তলব করেছে ইডি। এদিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সঞ্জয়। সঞ্জয়ের আইনজীবী সপ্তাংশু বসুর দাবি, ভুয়ো অর্থনৈতিক সংস্থার একাধিক মামলায় রাজ্যের আইনজীবী ছিলেন তাঁর মক্কেল। তাই ইডি বারবার হেনস্থা করছে সঞ্জয়কে।

    প্রসঙ্গত, ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় তদন্তে নেমে সঞ্জয়ের আলিপুরের বাড়িতে ইতিমধ্যেই হানা দিয়েছে ইডি। ১ মার্চ সকালে তাঁর বাড়িতে ঢুকেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। ২ মার্চ দুপুরের দিকে তাঁর বাড়ি থেকে বের হন তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রায় ২২ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরেই ইডির দফতরে তলব করা হয় সঞ্জয়কে।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    সঞ্জয়ের বাড়িতে (Kolkata High Court) ইডির হানা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মার্চ দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ওরা (ইডি) গতকাল সঞ্জয়ের বাড়িতে ঢুকেছিল। আজ মেঘালয়ে ফল ঘোষণা পর্যন্ত ছিল। তিনি বলেন, সঞ্জয় রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল। সরকারের অনেক কাগজপত্র স্বাভাবিকভাবেই ওর কাছে থাকে। ও আমারও আইনজীবী। ওকে আমি জিজ্ঞেস করেছি, এত তল্লাশি করে কী কী পেল? ও বলল, কিছু পায়নি। খালি আপনাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছিল।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপি বিরোধী আটটি রাজনৈতিক দলের ৯জন নেতা। ওই চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, অনুমতি মিলল আদালতে

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, অনুমতি মিলল আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ১৪ মার্চ। নন্দীগ্রাম দিবস। এদিন নন্দীগ্রামে (Nandigram) শহিদ তর্পণ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। নন্দীগ্রামের ওই সভায় বক্তৃতা করার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বিজেপির দাবি, নন্দীগ্রামে শহিদ তর্পণের ওই সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তার পরেই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পদ্ম শিবির। আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি মান্থা তাদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় না পুলিশের…

    অবশ্য এই প্রথম নয়, শুভেন্দুর সভায় একাধিকবার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। অতীতে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে একাধিক ইস্যুতে সভা করার ক্ষেত্রে বাধা এসেছে। যদিও শেষতক তাতে হার মানেনি গেরুয়া শিবির। হার মানেননি শুভেন্দু স্বয়ংও। এবারও নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদ তর্পণ সভার অনুমতি না মেলায় ফের আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি।

    গত বছরও ১৪ মার্চ শহিদ তর্পণ উপলক্ষে একই জায়গায় আলাদা দুটি সভা করেছিল বিজেপি ও তৃণমূল। গোকুলনগরে পদযাত্রা করেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর ওই দিনই সকালে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে এলাকায় সভা করার কথা ছিল তৃণমূলের। তার পরেই শুরু হয় অশান্তি। শহিদ মঞ্চে মাল্যদান করার পর মূল মঞ্চে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। মঞ্চে কোন নেতা থাকবেন, কে বক্তব্য রাখবেন, তা নিয়েই শুরু হয়েছিল অশান্তি। পরে তৃণমূল নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে।

    আরও পড়ুুন: মুকুলের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। তার পর থেকে ফি বছর ১৪ মার্চ দিনটিকে নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। বরাবর এই কমিটির নেতৃত্বে থাকে তৃণমূল। পরে বিজেপিও দিনটি পালন করতে শুরু করে মর্যাদার সঙ্গে। এগারোর বিধানসভা নির্বাচনে নির্ণায়ক শক্তি হয়েছিল এই নন্দীগ্রামের আন্দোলন। যার জেরে অবসান ঘটে সাড়ে তিন দশকের বাম জমানার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিল নন্দীগ্রাম। কারণ এখানে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে গোহারা হারান বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। সেই নন্দীগ্রামেই শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় না পুলিশের। তার জেরেই বিজেপির আদালত যাত্রা।

    এদিন অবশ্য শর্ত সাপেক্ষে সভার অনুমতি মেলে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, শুভেন্দুকে সভা শেষ করতে হবে দু ঘণ্টার মধ্যে। সভা করতে হবে সকাল ৮টা থেকে। তৃণমূলকে সাড়ে ১০টার মধ্যে সভার জায়গা খালি করে দিতে হবে। সভা করতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share