Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের (Central Government) বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে নানা সময় সরব হতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। বিশেষত কোনও নির্বাচন এসে গেলেই কেন্দ্র টাকা দেয়নি বলে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করতে শুরু করেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে আদতে তৃণমূলের দুর্নীতির দিক থেকে জনতার দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment)…

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment) করেছে ৮৯,৯৬০ কোটি টাকা। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বাংলার রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আমরুত ২.০-র জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩,৬৫০ কোটি টাকা। রেভেনিউ ডেফিসিট গ্র্যান্টস পেমেন্টের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৩,৫৮৭ কোটি টাকা। গ্রামীণ সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৫৩ কোটি টাকা, ২০২৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৫,৫০০ কোটি টাকা। পিএমএওয়াই-জি প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৮,২০০ কোটি টাকা। বাংলায় রাস্তা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    শিলিগুড়িতে জাতীয় সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের সম্মতি না মেলায় ক্যাপেক্স লোন পায়নি বাংলা। যদিও পরিকাঠামোর উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ (Allotment) হয়েছে ৭,৬০০ কোটি টাকা। ১৯৪৫ সালের আগে যেসব স্কুল গড়ে উঠেছে, সেগুলির উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। রানিগঞ্জে চার লেনের বাইপাস তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪১০ কোটি টাকা। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হয়েছে ২,৬৫০ কোটি টাকা। নমামি গঙ্গা প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ১২৩ কোটি টাকা। সর্ব শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে রাজ্য সরকার পেয়েছে ৯৫৫ কোটি টাকা। কর আদায়ের প্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে ১০,৬৪২ কোটি টাকা।

    মাত্র চার মাসে দেওয়া হয়েছে এই পরিমাণ (Allotment) অর্থ। তার পরেও বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ টাকা খয়রাতি করে রাজ্য সরকার খরচ করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তার জেরে বন্ধ রয়েছে একশো দিনের কাজের মতো নানা প্রকল্প। অথচ রাজ্য সরকার গলা ফাটাচ্ছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    Mamata Banerjee: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নেত্রী হতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে বিজেপি (BJP)-বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন এক ছাতার তলায়। তবে তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে বসেছে। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে মুখ থুবড়ে পড়েছে মমতার দল। বাংলায়ও পরিস্থিতি বিশেষ তৃণমূলের অনুকূলে নেই। স্বাভাবিকভাবেই বাংলার গদি সামলাতেই ব্যস্ত তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই দিল্লির দিকে নজর দেওয়ার সময় কই তাঁর?

    গোহারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। বিধানসভার ২৯৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই পায় ২১৫টি। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। তারা পায় ৭৭টি আসন। তার পরেই বিরোধী দল ভাঙাতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের টোপ গিলে ইতিমধ্যেই কয়েকজন বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরের ছাতার তলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে একের পর এক রাজ্যে পা রাখার চেষ্টা করে মমতার দল। গোয়ায় কংগ্রেস ভাঙিয়ে পোক্ত করে তৃণমূলের সংগঠন। তার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। গোয়ায় সরকার গড়ার জায়গায়ই পৌঁছতে পারেনি তৃণমূল। উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডেও হোঁচট খেয়ে পড়েছে মমতার দল। স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দল হওয়ার মানদণ্ডই পেরতে পারেনি তৃণমূল।

    আরও পড়ুুন: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। ফলে বাংলায় গদি টিকিয়ে রাখাই আপাতত মমতার (Mamata Banerjee) সব চেয়ে বড় দায় হয়ে উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফেঁসেছে তৃণমূল। গরু পাচার মামলায় জেলে পচছে তৃণমূলের একাধিক নেতা। বগটুইকাণ্ডের পাঁকও লেগেছে তৃণমূলের গায়েই। আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে থাকায় নিত্যদিন কমছে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা। যার সাম্প্রতিকতম প্রমাণ মিলেছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ে। একুশের নির্বাচনে যেখানে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী, মাত্র ২২ মাস পরের উপনির্বাচনে সেখানেই গোহারা হারে মমতার দল। পাশার দান উল্টে দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বিঘ্নে নির্বাচন হলে সেখানেও মুখের মাপে দুর্নীতির জবাব পেয়ে যাবে মমতার দল। দিকে দিকে ফুটবে পদ্ম। তাই আপাতত জাতীয় রাজনীতি ভুলে রাজ্যে গদি বাঁচানোর দিকেই নজর দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই এখন আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন না তৃণমূল নেত্রী। বাংলার গদি বাঁচানোই যার কাছে এখন ক্রমশ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে, দিল্লি যাওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখবেন কীভাবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital: উদ্বোধনই সার! ‘বেহাল’ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের রাত্রি নিবাস ভবন, ক্ষুব্ধ পরিজনরা

    Hospital: উদ্বোধনই সার! ‘বেহাল’ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের রাত্রি নিবাস ভবন, ক্ষুব্ধ পরিজনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Hospital) রোগীর পরিবারের লোকজনদের থাকার জন্য রাত্রী নিবাস ভবন তৈরি করা হয়েছিল। ঘটা করে সেই ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু, বছর খানেক হতে চলল এখনও ভবনের তালাই খোলেনি। এখন রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালে (Hospital) এলে খোলা আকাশের নীচেই দিন কাটান। কর্তৃপক্ষের এই উদাসীনতার কারণে রোগীর পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, এত টাকা খরচ করে ভবন তৈরি করা হল। সেখানে আমাদের মতো গ্রাম থেকে আসা লোকজন থাকতে পারছে না। ভবন উদ্বোধন হওয়ার পর আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু, এক বছর হতে চলল ভবনে তালাই ঝুলছ। কবে, ভবনের তালা খুলবে আমরা কেউ তা জানি না। অবিলম্বে তালা খুলে রোগীর পরিবারের লোকজনের জন্য ভবন ব্যবহারের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।

    কেন রোগীর আত্মীয়দের থাকার ভবনে তালা ঝুলছে? Hospital

    বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Hospital) রাজ্য সরকারের আবাসন দপ্তর থেকে ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। তিনতলা বিশিষ্ট ওই ভবনটিতে পুরুষ ও মহিলাদের থাকার মত ব্যবস্থা রয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়গঞ্জের সভা থেকে ওই ভবনটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু, উদ্বোধনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তা খোলা হয়নি। কিছুদিন আগেই রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে ওই ভবন খুলে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। ঠিক হয়, ওই ভবনটিকে পুরসভার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ওই ভবনের নীচের তলায় রোগীর পরিজনদের রাতে খাওয়ার এবং ওপরতলায় থাকার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু, হাসপাতাল (Hospital) কর্তৃপক্ষ বলছে পুরসভা ভবনটি পরিচালনা করবে, পুর কর্তৃপক্ষ বলছে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ আসেনি। দুইয়ের টানাপোড়েনে প্রায় এক বছর ধরে ভবনে তালা ঝুলছে। এমনিতেই জেলা হাসপাতালে প্রচুর রোগী ভর্তি থাকে। বেশিরভাগই দূর দূরান্তের।  রাতে রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে (Hospital) থাকার জায়গা না পেয়ে খোলা যাত্রী প্রতীক্ষালয়তেই রাত কাটাতে বাধ্য হন। যার ফলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের।

    এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, ওই ভবনটি নতুন হয়েছে। রাতে থাকার জন্য ওই ভবনটি নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতিতে আলোচনা হয়েছে। ওই ভবনটি পুরসভার তত্ত্বাবধানে নেওয়া হবে। অতিদ্রুত যাতে খুলে দেওয়া হয়, তা দেখা হচ্ছে। আর বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ওই ভবনটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, জেলা প্রশাসনের এখনও কোন নির্দেশ পাইনি। নির্দেশ বা ছাড়পত্র পেলে ওই ভবনটি আমরা সাধারণ মানুষের থাকার পরিকাঠামো প্রস্তুত করে ব্যবহারের উপযোগী করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি নবান্নর, ‘‘সাহস নেই’’! পাল্টা চ্যালেঞ্জ

    DA: ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি নবান্নর, ‘‘সাহস নেই’’! পাল্টা চ্যালেঞ্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আজ, শুক্রবার ধর্মঘটে অনড় ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। আর ধর্মীঘটীদের আন্দোলন রুখতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন (Nabanna)। বৃহস্পতিবার অর্থ দফতরের তরফে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে শুক্রবার কোনও সরকারি কর্মী ছুটি নিতে পারবেন না। স্কুল-কলেজ সহ যাবতীয় সরকারি ও সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠান ওই দিন পূর্ণ সময় খোলা থাকবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন…

    নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য কর্মীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। কোনও সরকারি কর্মী যদি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন বা কোনও সরকারি কর্মী যদি আগাম ছুটি নিয়ে থাকেন, তবে তাঁর ছুটি মঞ্জুর হবে। ধর্মঘটের দিন বিনা অনুমতিতে কেউ কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকলে, তাঁর বেতন কাটার পাশাপাশি কর্মজীবনের মেয়াদও একদিন কমবে। প্রতিটি দফতরের বিভাগীয় প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও কর্মী এর পরেও গরহাজির থাকলে তাঁকে শোকজের চিঠি ধরাতে হবে। শোকজের উপযুক্ত উত্তর মিললে তবেই মঞ্জুর হবে ছুটি।

    বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু’দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশিকা উপেক্ষা করে ধর্মঘটে অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্য সরকারি কর্মীদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি জানিয়েছে, রাজ্য সরকার যতই কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিক, ধর্মঘট হবেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন। তবে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

    ভয় পাবেন না…

    যদিও রাজ্যের হুঁশিয়ারিতে সরকারি কর্মীদের ভয় না পওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন। ওই সংগঠনের নেতাদের দাবি, রাজ্য যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা পুরোপুরি বেআইনি। ধর্মঘটে শামিল হলেও, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    আরও পড়ুুন: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা, ফের নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

    এদিকে, বিভিন্ন সরকারি দফতরে উপস্থিতির হার কত, তার রিপোর্ট সকাল ১১টার মধ্যেই পাঠাতে হবে নবান্নে (DA)। বৃহস্পতিবারই এই মর্মে নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের কাছে। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই উপস্থিতির হার দেখতে চান। উপস্থিতির হার পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন দফতরে। প্রশাসনিক মহলের ধারণা, সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই বিভিন্ন সরকারি দফতরে ধর্মঘটকে উপেক্ষা করে উপস্থিতির হার কত, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adeno Virus) শিশু বলির সংখ্যা। তার পরেও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকার পক্ষের বিবৃতি দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্য সরকারের তরফে উপযুক্ত জবাব না পেয়ে অধিবেশন চলাকালীনই বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ পদ্ম শিবিরের অভিযোগ…

    পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, রাজ্যের স্বাস্থ্য কাঠামো ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার পরেও অ্যাডিনো ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গেরুয়া বিধায়করা। অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরেও বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে একের পর এক শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। পরে বিষয়টি নিয়ে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    বিজেপির (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি কেবল উদ্বেগজনক নয়, এটি সারা রাজ্যের মানুষকে আতঙ্কিত করেছে। তাই এরকম সময় এটি নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে সব কিছুই আড়াল করা হয়েছে। ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর বিষয়টিকে তিনি কো-মর্বিডিটি বলে আড়াল করেছেন। এর পরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে বলেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আর নতুন করে বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুুন: অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই ফের ৩ শিশুর মৃত্যু, বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন বিধানসভায় বিবৃতি দেন, সেদিন বিধানসভায় ছিলেন না বিজেপি বিধায়করা (Suvendu Adhikari)। এ প্রসঙ্গে পদ্ম শিবিরের তরফে বলা হয়, তুঘলকি আচরণ করবেন বিধানসভায়, স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। আর অর্থবিল আর অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিলে কীভাবে শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দেওয়া সম্ভব, তা একমাত্র মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীই বলতে পারেন। প্রসঙ্গত, বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু মাসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জন শিশুর। সকলের শরীরে অবশ্য অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sukanta Majumdar: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (DA) মিটিয়ে দেব। বুধবার নদিয়ায় এসে এ কথা বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন হোলি উপলক্ষে মায়াপুরে ইস্কন মন্দিরে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির অধ্যাপক নেতা। সুকান্ত বলেন, মুণ্ড কাটার প্রয়োজন নেই, চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অপদার্থ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

    অনুব্রত প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গেও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে একহাত নেন সুকান্ত। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন। যদি তিনি মুখ খোলেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে ভূমিকম্প হবে। ধপাস করে দলটাই পড়ে যাবে। আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, তাঁকে (নওশাদ সিদ্দিকি) পুলিশ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে সেই ভুল বুঝতে পেরে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার।

    সম্প্রতি ভাঙড়ের পর নদিয়ার কালীগঞ্জে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, এখন দুয়ারে বোমা, দুয়ারে গুলি প্রকল্প চলছে রাজ্যের শাসক দলে। যা তৃণমূলেরই সংস্কৃতি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, শাসক দলের হার্মাদ বাহিনী ও নেতানেত্রীরা তৎকালীন রাজ্যের শাসক দল সিপিএম নেতাদের ছাত্র ছিল। তিনি বলেন, সিপিএম নেতাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই অনুব্রত মণ্ডলদের মতো অন্য তৃণমূল নেতারা বোমা মারব, গুলি মার বলে মানুষকে হুমকি দেয়। সিপিএম স্কুল থেকেই পাশ করে আজকের তৃণমূল নেতা তৈরি হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা শহিদ মিনারের নীচে যে অনশন, অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, সে প্রসঙ্গে এদিন সব চেয়ে বেশি সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা ডিএ দিতে পারব বলছি তো। আমাদের পাঁচ-দশ বছর সময় দিলে আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব। আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে ডিএ দিতে পারব না বলে উনি অপদার্থতার নজির সৃষ্টি করেছন। সুকান্ত বলেন, সেই অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শাসকদলকে তোপ সুকান্তর…

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, আপনি লক্ষ্মীর ঝাঁপি খুলে চাকরির ঝাঁপি বন্ধ করে দেবেন, এটা হতে পারে না। আমরা আগেই বলেছি ত্রাণ নয়, পরিত্রাণ চাই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কার্যত ত্রাণ দেওয়ায় পরিণত হয়েছে। এই ত্রাণ দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। একমাত্র চাকরিই স্থায়ী সমাধান হতে পারে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যখন মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন তখন মানুষই যেন সেই তাঁদের জিজ্ঞেস করেন যে, তাঁরা ক’টা চাকরির টাকা খেয়েছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের জানা দরকার, যে নেতা তাঁর বাড়ি গিয়েছেন তিনি কতগুলো চাকরি বিক্রি করতে পেরেছিলেন৷

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Amit Malviya: ভেঙে পড়ছে সাম্রাজ্য! অনুব্রত প্রসঙ্গে মমতাকে খোঁচা অমিত মালব্যর

    Amit Malviya: ভেঙে পড়ছে সাম্রাজ্য! অনুব্রত প্রসঙ্গে মমতাকে খোঁচা অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলকে দাগি অপরাধীর তকমা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন  বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। অনুব্রতর দিল্লি যাত্রার পর এদিন সামাজিক মাধ্যমে বিজেপি নেতা অমিত লেখেন, “মানুষের রক্ত শোষণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন । তার সাম্রাজ্য অপরাধের উপর দাঁড়িয়ে আছে। শেষমেশ, তা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে।” 

    কী বললেন অমিত মালব্য

    দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে গরু পাচার মামলার তদন্তে দোলের দিনই তৃণমূলের (Trinamool Congress) অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারপরই বিন্দুমাত্র সময় ব্যয় না করেই ‘বীরভূমের বাঘ’ কে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে পাড়ি দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখন দিল্লিতে কেষ্ট। মুখ্যমন্ত্রীর কাছের লোক অনুব্রত। তাঁকে ‘কেষ্ট’ বলেই ডাকেন মমতা (Mamata Banerjee)। সম্প্রতি সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পরও সাংবাদিক সম্মেলনে অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই অনুব্রত বিপাকে পড়াতেই অমিত মালব্য নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। অমিত মালব্য আরও লেখেন, “অনুব্রত মণ্ডল একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান হাত। তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তিনি (অনুব্রত) তার (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) আশ্রয়েই এতদিন বেড়ে উঠেছেন।”

    অমিতের মতে, এই রাজ্যে অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে, মমতার নজরদারিতে যারা অপরাধ ও তোলাবাজি সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন তাদের রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা দেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের রাখি পূর্ণিমার দিন সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল। এরপর এই দাপুটে নেতার ঠাঁই হয় আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে।

    আরও পড়ুন: চিনা মোবাইল-অ্যাপ ব্যবহার নয়, ভারতীয় সেনাকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির সব থেকে বড় সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেতে সিবিআই-এর অনিচ্ছা রয়েছে। গত ১০ বছর ধরে রাজ্যের মানুষ কাঙ্খিত দিনটির জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু প্রশ্ন করেছেন, “কেন্দ্রের সংস্থা সিবিআই কি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদকে ভয় পাচ্ছে? তা না হলে সারদা মামলার দশ বছর পরও কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত শুরু করছে না!”

    প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)

    সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর সেই চিঠিতে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সারদা চিটফান্ড সংক্রান্ত সব মামলার তদন্ত যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে, সেই প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, অসম, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলা সারদা চিটফান্ড সংক্রান্ত নানা ঘটনার জেরে বিষয়টিকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, বিভিন্ন কেলেঙ্কারি সুবিধা নিয়েছিলেন ক্ষমতার শীর্ষে থাকা লোকজনও। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এছাড়াও সারদার সঙ্গে মমতার সম্পর্ক তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বহু আগে থেকে, এমনটাও অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সিবিআই-এর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেখানে বলেছেন, ‘মমতার কাছে পৌঁছতে কেন দ্বিধা করছে সিবিআই। চেয়ারের জন্যই কি সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না?’ এছাড়াও এদিন পাঁচ পাতার চিঠিতে তিনি একে একে জানিয়েছেন, সারদা মামলায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ উঠেছিল, তার প্রেক্ষিতে সিবিআই কী বলেছিল এবং মামলার দশ বছর পরেও কোন কোন ক্ষেত্রে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

    মমতাই সারদা কেলঙ্কারির সবচেয়ে বড় সুবিধাপ্রাপ্ত!

    আবার মমতার আঁকা ছবি সারদা গোষ্ঠীর তরফে কোটি টাকায় কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই, এ কথাও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। এ ছাড়াও মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলের ক্যাটারিং এবং অন্যান্য যাত্রী পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা আইআরসিটিসির সঙ্গে সারদার ট্যুরের প্রসঙ্গও টেনেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)। সারদা মামলায় নাম না করে সারদার সংবাদ মাধ্যমগুলির প্রাক্তন গ্রুপ সিইও তথা তৃণমূলের তৎকালীন সাংসদ কুণাল ঘোষের গ্রেফতারির কথাও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু ওই চিঠিতে। তিনি লিখেছেন, ওই সাংসদ গ্রেফতার হওয়ার পর বার বার বলেছিলেন, ‘মমতাই সারদা কেলঙ্কারির সবচেয়ে বড় সুবিধাপ্রাপ্ত। কেন তা শুনেও শোনেনি সিবিআই?’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের পাশাপাশি এবারে বাম-কংগ্রেসকেও নিশানা করতে ছাড়লেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাগরদিঘি উপনির্বাচন বঙ্গ রাজনীতিকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি তাতে এক অন্যমাত্রা যোগ করেছে। কৌস্তভের গ্রেফতারিতে রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দিলেও, এ বার বাম-কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাম-কংগ্রেসকে মনে করিয়ে দিলেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান। তাঁর মন্তব্য, তখন ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ বললে আজ এই দিন দেখতে হত না।

    অধীরকে তোপ শুভেন্দুর

    রবিবার মহিষাদল ব্লকের ইটামগরা-২ অঞ্চল বিজেপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কেশবপুর জালপাই বাজার সংলগ্ন ময়দানে। সেই সম্মেলন থেকেই বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, “মীনাক্ষী, কৌস্তভকে এখন জেলে ভরছে। তখন সিপিএম, কংগ্রেস বলেছিল নো ভোট টু বিজেপি। সেই সময় নো ভোট টু তৃণমূল বললে আজ এই দিন দেখতে হতো না।”

    আরও পড়ুন:ইডি না আসানসোল পুলিশ! আজ আদালতই ঠিক করবে অনুব্রতকে কারা নিয়ে যাবে দিল্লি?

    অধীরকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি মমতাকে। ভবানীপুরে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ভবানীপুরে অধীর চৌধুরী কংগ্রেসের প্রার্থী দিলেন না। আজ সেই অধীর চৌধুরীকেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বড় গদ্দার।”

    তিনি সেদিন আরও বলেন, “সিপিএম-কংগ্রেস বেরিয়ে পড়েছে। ২০১১ সাল থেকে বিরোধী দল ছিল সিপিএম। ২০১৬ সাল থেকে বিরোধী আসনে ছিল কংগ্রেস। কখনও কোনও কিছু প্রতিবাদ করেছে? চোর ধরা পড়েছে? ফাঁদ পাতবে বিজেপি আর খই খাব আমি! সেগুড়ে বালি, এটা হবে না। সিপিএম ও কংগ্রেস কয়েনের এপিঠ আর ওপিঠ। বামফ্রন্ট নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়ে কৃষক মেরেছে আর তৃণমূল বগটুইয়ে মুসলমান পুড়িয়েছে। তাই বিজেপি ছাড়া গতি নেই।” 

    শুভেন্দুর নিশানায় রাজ্য

    গতকাল বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করার পাশাপাশি শুভেন্দু কটাক্ষ করেছে রাজ্যকেও। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে রাজ্যের নামে চালানো হচ্ছে এই নিয়ে ফের সরব হয়েছেন শুভেন্দু। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার পর এবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার মতই প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের কৃতিত্ব খাটো করে দেখাতেই রাজ্য সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করছে বলে তাঁর অভিযোগ।

    আবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা নিয়েও রাজ্যকে একহাত নেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের নিয়ম মানা হয়নি অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে বিচার ব্যবস্থা এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে। জামিন অযোগ্য ধারা লাগলে হয় না। বিচার ব্যবস্থা নিরাপত্তা দিচ্ছে। পুলিশ অপদস্ত হচ্ছে। পুলিশের গরিমা মান সম্মান নষ্ট হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ওনারা আতঙ্কিত, ভয় পেয়ে চিঠি দিয়েছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ওনারা আতঙ্কিত, ভয় পেয়ে চিঠি দিয়েছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের ৯জন বিরোধী নেতা কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আর এবারে সেই চিঠিরই কড়া জবাব দিলেন বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী। এর পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) সেই সব নেতাদের নিশানা করে বলেন, ‘ওনারা আতঙ্কিত, ভয় পেয়ে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠির কোনও মূল্য নেই।’

    বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী কী বললেন?

    রবিবার দেশের ৯টি বিরোধী দলের নেতার খোলা চিঠির পাল্টা জবাব দিয়ে কটাক্ষের সুরে সুধাংশু বলেন, “আমরা দেশের অগ্রগতির পক্ষে। বিরোধী দলগুলি প্রত্যেকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে একে অপরকে সমর্থন করছে। এই চিঠি দিয়ে বিরোধী দলগুলি প্রমাণ করতে চাইছে যে, তারা ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতিকে সমর্থন করছে।” বিরোধীদের নাম না করে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, “চিঠিতে যে সমস্ত নেতারা স্বাক্ষর করেছেন তাঁদের অনেকেই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। এমনকী যাঁরা সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত থাকার সময় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁরা এখন বলছেন যে তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত করা উচিত নয়।” আম আদমি পার্টির অধিকাংশ নেতাই দুর্নীতিতে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আবার বালগঙ্গাধর তিলকের ‘আত্ম-নিয়ম আমাদের জন্মগত অধিকার’ শ্লোগান তুলে ধরে দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষও করেন সুধাংশু ত্রিবেদী।

    আরও পড়ুন: সিঙ্গুরের মতো আবারও কি জমি আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী, কোথায় দেখে নিন?

    শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া

    এদিন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, “একদিকে দুর্নীতির প্রশ্নে মণীশ সিসোদিয়ার জন্য আম আদমি পার্টি ভয় পেয়ে রয়েছে, অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের আত্মীয়-স্বজনের জন্য আতঙ্কিত। তাই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীকে চাপে রাখতে বিরোধীরা যে চিঠি দিয়েছেন, তার কাছে মোদিজি নতি স্বীকার করবেন না।”

    প্রসঙ্গত, দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই কংগ্রেস ছাড়া অন্য বিরোধী দলগুলির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠানো যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share