Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Didir Doot: বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’, জনরোষের ভয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বিধায়ক

    Didir Doot: বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’, জনরোষের ভয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনরোষের ভয়ে দিদির দূত (Didir Doot) কর্মসূচিতে গিয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বীরভূমের মুরারই বিধানসভার বিধায়ক (MLA) মোসারফ হোসেন। তাই অভিযোগই জানাতে পারলেন না স্থানীয়রা। ঘটনার জেরে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ মুরারইয়ের গোপালপুর গ্রামে।

    পুলিশের বাধায় দিদির দূত…

    এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের হেড়োভাঙা এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির প্রচারে বেরিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন দিদির দূতেরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে হেড়োভাঙা এলাকায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির প্রচারে গিয়েছিলেন দিদির দূতেরা। অভিযোগ, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশের বিশাল বাহিনী। এলাকায় যাতে দিদির দূতেরা ঢুকতে না পারেন, তার জন্য হেড়োভাঙা বাজারে কয়েকজন তাঁদের বাধা দেন। যাঁরা বাধা দিচ্ছিলেন তাঁরা তৃণমূলেরই অন্য একটি গোষ্ঠীর লোকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উঁচিয়ে দিদির দূতেদের তাড়া করে পুলিশ। ঘটনার জেরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের একাংশ। গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মদন নস্কর বলেন, দিদি-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব আমাদের ওপর দিয়েছে, সেগুলিতে বাধা দিচ্ছে প্রশাসনই। দিদিকে আমি অভিনন্দন জানাই, হাততালি দিই। তিনি বলেন, দিদি এই ভিডিও ওখানে বসে বসে দেখুন, কারা অত্যাচার করছে আমাদের প্রতি। পুলিশ প্রশাসন আমাদের কুকুরের মতো তাড়া করছে, দিদি দেখুন।

    আরও পড়ুুন: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি হাতে নেয় তৃণমূল। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এই কর্মসূচি রূপায়নে মাঠে নেমে পড়েন দিদির দূতেরা (Didir Doot)। নানা জায়গায় বিক্ষোভের মুখেও পড়ছেন তাঁরা। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন অর্জুন সিং। বীরভূমের রামপুরহাটের মাড়গ্রামে গিয়ে একই পরিস্থিতির শিকার হন শতাব্দী রায়। বীরভূমেরই বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুখুটিয়া গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দেবাংশু ভট্টাচার্য।  বাঁকুড়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের, ময়ূরেশ্বরের সাংসদ অসিত মাল ও বিধায়ক অভিজিৎ রায়ও পড়েন স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে। জন-ক্ষোভের সামনে পড়েছেন গলসিতে বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, পটাশপুরে বিধায়ক অভিনেত্রী জুন মাল্য, নদিয়ায় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং কোচবিহারের দিনহাটায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও বুলুচিক বরাইক। বিক্ষোভের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরে কর্মসূচি বাতিল করে দেন কুণাল ঘোষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার টাকা ফেরত না দিলে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার, হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্য সরকারের (State Government) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, মিড ডে মিলের জন্য পাঠানো কেন্দ্রের টাকা নিয়ে রাজ্য সরকার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প (Duare Sarkar Camp) চালাচ্ছে। 

    আবাস যোজনা নিয়ে সরব

    বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় জেলায় জেলায় বঞ্চিতদের তালিকা তুলে ধরে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দল তৃণমূল তথা সরকারকে কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। নির্দিষ্ট গাইডলাইন উপেক্ষা করে গরিব মানুষদের বঞ্চিত রেখে তথাকথিত বড় লোকরা আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী ঘনিষ্ঠরাই কাটমানির বিনিময়ে ঘর পেয়েছে শুধু নয়, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পঞ্চায়েত এলাকার অনেক তৃণমূল নেতাও বাড়ি নিয়েছে। যাঁরা আবাস যোজনার আসল দাবিদার তাঁদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিবের বন্ধু, গরিবের জন্য বাড়ি, শৌচালয় দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল, নিজের দলের লোক ছাড়া কাউকে আবাসের বাড়ি দেয়নি। যাঁদের পাকা বাড়ি, তাঁদের থেকে কাটমানি খেয়ে আবাসের তালিকায় নাম তুলেছে। প্রকৃত গরিবের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, মামলা করে বঞ্চিতদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার লড়াই করবে বিজেপি। শুভেন্দুর কথায়, “কী করে টাকা ফেরত করাতে হয়,আমরা জানি। টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে।”

    আরও পড়ুন: গঙ্গা আরতি করতে হিন্দুদের কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

    মিড ডে মিল দুর্নীতি প্রসঙ্গ

    ব্যারাকপুরে সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সম্মেলনে শুভেন্দু মিড ডে মিল নিয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন। এদিন তিনি বলেন, “দু’বছর করোনা পর্বে সাড়ে ৯ কোটি কেজির চাল,স্যানিটাইজার,মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টের টাকা ভারত সরকারের। এই টাকা পড়ে থাকলে সুদ হয়। সেই সুদের টাকাতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার”। এই বিষয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন, “অপেক্ষা করুন। একের পর এক সব দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে। এ নিয়ে কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধি দল আসছে। তারা মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।” শুভেন্দু জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এই বিষয়ে অডিট টিম পাঠিয়ে অনুসন্ধান করবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mayawati: রাজ্য ও লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বহুজন সমাজবাদী পার্টি, সাফ জানালেন মায়াবতী

    Mayawati: রাজ্য ও লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বহুজন সমাজবাদী পার্টি, সাফ জানালেন মায়াবতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে রাজ্য এবং লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বহুজন সমাজবাদী পার্টি (BSP)। নিজের ৬৭তম জন্মদিনে একথা ঘোষণা করলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী (Mayawati)। লখনউতে দলের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেই মায়াবতী জানিয়ে দেন ভবিষ্যতে রাজ্য এবং লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বিএসপি। এদিনের অনুষ্ঠানে মায়াবতী ফের একবার ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ভোটারদের মন থেকে সংশয় দূর করতে নির্বাচন কমিশনের (EC) উচিত সমস্ত নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করা।

    মায়াবতীর দাবি…

    ইভিএমে ভোট হওয়ায় তাঁর দলের আসন কমেছে বলেও দাবি করেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী। মায়াবতী (Mayawati) বলেন, বিএসপির ভোট কমেনি। তবে যেদিন থেকে ইভিএমে ভোট নেওয়া শুরু হল, সেদিন থেকেই আমাদের ভোট এবং আসনের ওপর প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফের সাবেকি ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া শুরু করেছে। তারা যদি পারে, তবে ভারত কেন নয়?

    আরও পড়ুুন: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    প্রসঙ্গত, ব্যালট পেপারে ভোট চেয়ে বিভিন্ন সময় সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর দলের অনেক প্রার্থীর হারের কারণ হিসেবে তিনি দুষেছিলেন ইভিএমকে। ২০০৪ সাল থেকে চারটি লোকসভা নির্বাচন ও ১২৭টি বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়েছে ইভিএম। যদিও ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, রাজ্যসভার সদস্য এবং রাজ্য বিধান পরিষদের সদস্যদের নির্বাচন যখন হয়, তখন ইভিএম ব্যবহার করা হয় না। কারণ যে পদ্ধতিতে অঙ্ক কষে এই নির্বাচন হয়, ইভিএম সেই ফল দিতে পারে না। তাই ওই নির্বাচনগুলি হয় ব্যালট পেপারে।

    ১৯৮২ সালের মে মাসে কেরালার বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। তবে এটি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট আইনের অনুপস্থিতির কারণে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্বাচন স্থগিত করে দেয়। পরবর্তীকালে ১৯৮৯ সালে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য একটি বিধান তৈরি করতে সংশোধন করা হয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Mid Day Meal: এতদিনে চেতনা! মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল আসার আগে সক্রিয় রাজ্য

    Mid Day Meal: এতদিনে চেতনা! মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল আসার আগে সক্রিয় রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। তার আগে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। রবিবার সেই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই প্রত্যেক জেলায় পৃথক ভাবে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সোমবার থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই প্রতিনিধিদল জেলা স্তরের বিভিন্ন মিড মে মিল কেন্দ্রে নজরদারি করতে যাবে।

    রাজ্যের দল

    নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী ২০ জানুয়ারি, রাজ্যে এসে পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। মূলত, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে যে জয়েন্ট রিভিউ মিশন তৈরি করেছে, তার পরিদর্শন প্রক্রিয়া আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এই দলের সদস্যেরাই বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়ে মিড ডে মিল সংক্রান্ত পরিদর্শন সারবেন। তার ঠিক এক দিন আগেই শেষ হবে রাজ্যের প্রতিনিধিদের নজরদারি। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সফর সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারি দীপা আনন্দ। ওই চিঠিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০ তারিখ থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। মোট ২৬টি বিষয়ে আলোকপাত করবেন তাঁরা। এই নজরদারিতে মিড ডে মিলের মান খতিয়ে দেখা হবে। যেখানে মিড ডে মিল তৈরি হয়, সেই হেঁশেলেও নজরদারি করা হবে।

    কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল যা যা দেখবে

    সম্প্রতি মিড ডে মিল পরিষেবা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে কেন্দ্রে নালিশ চিঠি ঠুকেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর চিঠির জেরেই যে, মিড ডে মিল পরিষেবা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, তা-ও একপ্রকার নিশ্চিত।  প্রথমত, মিড ডে মিলের জন্য স্কুলগুলিকে যে অর্থ বরাদ্দ করছে রাজ্য, তা কতটা কাজে লাগানো হচ্ছে, গোটা প্রকল্পটি পরিচালনা করার জন্য রাজ্য, জেলা এবং ব্লক স্তরে কী ধরনের পরিকাঠামো আছে এ সবই খতিয়ে দেখবে এই দল। কী ভাবে খাদ্যদ্রব্য রাজ্যের কাছ থেকে স্কুলগুলিতে অর্থ বরাদ্দ পৌঁছয়, তার পদ্ধতি কী, তা-ও দেখা হবে এই প্রক্রিয়ায়। কীভাবে এই প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে কোনও বাধা ছাড়াই কার্যকর করা হয়, পরিদর্শনকারী দলের নজরে থাকবে সেটাও।

    আরও পড়ুন: গঙ্গা আরতি করতে হিন্দুদের কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

    সম্প্রতি বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বুধবার মালদহের চাঁচলের বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের মজুত করা চালে মরা টিকটিকি এবং ইঁদুর দেখতে পান অভিভাবকেরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক, সাব-ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস্ (স্কুল পরিদর্শক)কে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। তাই মিড ডে মিল রান্নার ঘর বা স্টোরগুলি কীভাবে তৈরি হয়, তা পরিচ্ছন্ন রাখা হয় কি না, সেসব ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখবে এই পরিদর্শনকারী দল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PM Awas Yojna: ফের রাজ্যের ১০ জেলায় আবাস-তদন্তে আসছে ৫টি পৃথক কেন্দ্রীয় দল

    PM Awas Yojna: ফের রাজ্যের ১০ জেলায় আবাস-তদন্তে আসছে ৫টি পৃথক কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ১০টি জেলায় আবাস-পরিস্থিতি ঘুরে দেখার জন্য আবার পাঁচ-পাঁচটি অনুসন্ধানী দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় দল গত সপ্তাহেই রাজ্যের দু’টি জেলায় ঘুরে গিয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) রূপায়ণের পদ্ধতিতে বঙ্গের কয়েকটি জেলায় ফের ‘গরমিল’-এর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সেটাই খতিয়ে দেখতে আসছে ‘ন্যাশনাল লেভেল মনিটর্স’ দল। 

    রাজ্যকে চিঠি

    আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যোগ্য প্রার্থীরা বাদ পড়ছেন। তাই আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। মোট ১০টি জেলায় যাবে তারা। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি এসেছে। দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, কালিম্পং, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, মালদা, মুর্শিদাবাদ সহ বেশ কয়েকটি জেলা পরিদর্শন করবে কেন্দ্রীয় দল। কেন্দ্র জানিয়েছে, এ বার ১০টি জেলায় গরমিলের অভিযোগ যাচাই ছাড়াও জেলাশাসক, জেলা পরিষদের মুখ্য প্রশাসনিক অফিসার (সিইও) এবং জেলা প্রশাসনের অন্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় দল।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি অনুসন্ধানে ২ জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

     ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের চিঠিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় অনুসন্ধানকারী দলকে সর্বতোভাবে যেন সহযোগিতা করে রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রীয় নিয়মবিধি অনুযায়ী চূড়ান্ত অনুমোদনের থেকে সর্বাধিক সাত দিনের অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। প্রথম কিস্তিতে প্রত্যেক উপভোক্তা ৬০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। কমবেশি ১১ লক্ষ উপভোক্তার ক্ষেত্রে প্রথম কিস্তির জন্য থাকার কথা প্রায় ৬৬০০ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন: দলের লোক ভুল করলেও সেটা ভুল! আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব দেব

    এই প্রকল্পে মোট খরচের ৬০% দেয় কেন্দ্র, ৪০ ভাগের দায়িত্ব রাজ্যের। সেই অনুযায়ী প্রথম কিস্তির বরাদ্দ হিসেবে কেন্দ্রের দেওয়ার কথা প্রায় ৩৯৬০ কোটি টাকা। রাজ্যের দেওয়ার কথা প্রায় ২৬৪০ কোটি। ৩১ মার্চের মধ্যে প্রায় ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করার কথা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mamata Banerjee: ‘‘আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসতে পারবেন না’’! বেফাঁস হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক

    Mamata Banerjee: ‘‘আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসতে পারবেন না’’! বেফাঁস হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি যদি পাঁচলায় জিততে না পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) নবান্নে বসতে পারবেন না !” দলীয় সভায় এমনই বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন হাওড়ার পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক৷ শাসক দলের বিধায়কের এহেন মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, পাঁচলার বিধায়কের জনপ্রিয়তা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেও বেশি? নইলে কেন এমন দাবি করছেন তিনি? শাসক দলের উত্তর, এর থেকে বিধায়কের আত্মবিশ্বাসের পরিচয় পাওয়া যায়।

    ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক? 

    বুধবার পাঁচলায় একটি কর্মসূচির আয়োজন করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেখানেই বক্তব্য রাখেন গুলশন মল্লিক৷ সেই কর্মসূচিতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে গুলশন বলেন, “বিধানসভা ভোটের আগে একমাস পুলিশের সঙ্গে কথা বলিনি৷ তবু, ৩০ হাজার ভোটে জিতেছি! কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাদের কর্মীদের মেরে পিঠের ছাল তুলে দিয়েছে৷ তারপরও আমি জিতেছি৷ আমি যদি পাঁচতলার ক্ষমতায় না থাকি, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) নবান্নে বসতে পারবেন না!”

    এবার দ্বিতীয় প্রশ্ন উঠছে, ভোটে জেতার (Mamata Banerjee) সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে কথা না বলার কী সম্পর্ক? সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল৷ 

    বিধায়কের মন্তব্যের জেরে তৃণমূলকে একহাত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই এ প্রসঙ্গে বলেন, “হাওড়া জেলার সবথেকে বিশৃঙ্খল এলাকা হল পাঁচলা৷ আর এই বিশৃঙ্খলার জন্য তৃণমূল (Mamata Banerjee) বিধায়ক গুলশন মল্লিকই দায়ী৷ ধুলাগড়ে যে অশান্তি হয়েছিল, তার জন্যও তিনিই দায়ী ছিলেন৷ সম্প্রতি এনআরসি নিয়ে জাতীয় সড়কের উপর যে হাঙ্গামা হয়েছিল, তারও মাথা ছিলেন গুলশন৷ কতটা ক্ষমতা থাকলে গুলশন মল্লিকের মতো নেতারা প্রকাশ্যে এই ধরনের মন্তব্য করেন!”

    আরও পড়ুন: কোর্টের অর্ডারে রয়েছে গ্রেফতারির পরোয়ানা, তবুও কেন জেলের বাইরে মানিকের স্ত্রী-পুত্র? বিতর্ক

    গুলশনের মন্তব্যের ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে স্থানীয় তৃণমূল। হাওড়া গ্রামীণের তৃণমূল সভাপতি অরুণাভ সেন বলেন, “তিনি (গুলশন) তাঁর নিজের এলাকা ভালোভাবে চেনেন বলেই এমন কথা বলেছেন৷ এটা তো তাঁর আত্মবিশ্বাসেরই প্রতিফলন! তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন, তিনি যদি পাঁচলায় না যেতেন, তাহলে সারা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল (Mamata Banerjee) জিতবে না!” 

    রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা হাওড়া অরূপ রায় গুলশনের মন্তব্যের বিরোধীতা করে বলেন, “বিধায়ক গুলশন যে মন্তব্য করেছেন তা আমি  সমর্থন করি না। এ ব্যাপারে গুলশনের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি দলীয় স্তরে আলোচনাও করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে উন্নয়নের কাজ করেছেন তাতে তিনি যত দিন চাইবেন বা যত দিন মনে করবেন তত দিনই জিতবেন। ক্ষমতাতেও থাকবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Industrial Park: ‘কলঙ্কিত’ ভাবমূর্তি, খদ্দের নেই, শিল্পনগরীর জমির দাম কমাচ্ছে রাজ্য!

    Industrial Park: ‘কলঙ্কিত’ ভাবমূর্তি, খদ্দের নেই, শিল্পনগরীর জমির দাম কমাচ্ছে রাজ্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটা করে ঘোষণা করা হয়েছিল শিল্পনগরী (Industrial Park) তৈরির জন্য জমি লিজ দেওয়ার কথা। আস্ত একটা বছর পার হয়ে গেলেও, সরকারের প্রস্তাবে তেমন কোনও উৎসাহ দেখাননি শিল্পপতিরা। মুখ বাঁচাতে এবার জমির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জমির দাম যে কমানো হচ্ছে, তা স্বীকারও করে নিয়েছেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তবে জমির দাম ঠিক কতটা কমানো হবে, সে ব্যাপারে কুলুপ এঁটেছেন সরকারি কর্তারা।

    শিল্পনগরী…

    গত বছর অগাস্ট মাসে শিল্পনগরী গড়তে শিল্পপতিদের ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণায় শর্তও ছিল। বলা হয়েছিল, শিল্পপতিদের ন্যূনতম পাঁচ একর জমি নিতে হবে। জমি বণ্টনের ৩০ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে দামের ১০ শতাংশ। ঘোষণাই সার। তার পরেও শিল্পপতিদের মধ্যে শিল্পনগরী (Industrial Park) গড়তে তেমন কোনও উৎসাহ দেখা যায়নি। কারণ অনুসন্ধান করতে নামে রাজ্য সরকার। জানা যায়, রাজ্য সরকার নির্ধারিত জমির দর বাজারের চেয়ে অনেকটাই বেশি। এর চেয়ে জমির মালিকদের থেকে সরাসরি জমি কিনলে শিল্পপতিরা বেশি লাভবান হবেন। সেই কারণেই অবিক্রিত থেকে গিয়েছে সরকারি জমি।

    আরও পড়ুুন: “আমার টিআরপি মৃত্যু পর্যন্ত কমাতে পারবি না”, কুনালকে ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ কটাক্ষ মিঠুনের

    গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে সরকারের ‘কলঙ্কিত’ভাবমূর্তি। শিল্পপতিদের একাংশ রাজ্য সরকারে ভুল নীতি এবং দুর্নীতিকেও শিল্পনগরী না হওয়ার কারণ বলে ঠাওরেছেন। তার জেরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা হয়েছে নিছক ফাঁকা বুলি। জমি রয়ে গিয়েছে পড়ে। অগত্যা দাম কমাতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। চন্দ্রনাথ বলেন, রাজ্য সরকার দেখেছে বাজারের তুলনায় জমির দাম বেশি হচ্ছে। শিল্পপতিরা অনেকেই জানিয়েছিলেন। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের মনে হয় মানুষ আরও আকৃষ্ট হবেন, এগিয়ে আসবেন। ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কোনও বস্তু নেই, সেখানে শিল্পপতিরা আসবেন না। একথা তো তাঁরা রাজ্য সরকারকে সরাসরি বলতে পারছেন না। তাই জমির দামকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করেছেন। তিনি বলেন, এ রাজ্যে বিচারব্যবস্থাও ছাড় পাচ্ছে না। রাজ্য সরকার যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করেছিল, সেখানে ছাগল চরে বেড়াচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • G-20 Meet: সেজেছে শহর! আজ থেকে কলকাতায় শুরু গুরুত্বপূর্ণ জি-২০ কর্মসূচি

    G-20 Meet: সেজেছে শহর! আজ থেকে কলকাতায় শুরু গুরুত্বপূর্ণ জি-২০ কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেনা দৃশ্য যেন হঠাৎই অচেনা। চিংড়িঘাটা থেকে সায়েন্স সিটি পর্যন্ত বাইপাসের দু’ধারে সাজসাজ রব। পড়েছে রংয়ের নতুন পোচ। ঝোপ-ঝাড় উধাও। কোথাও কোথাও আবার নীল-সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে রাস্তার দু’ধার। টাঙানো হয়েছে বড় বড় হোর্ডিং, কাট-আউট। কোনওটায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কোনওটায় আবার মুখ্যমন্ত্রী। উপলক্ষ্য জি-২০ সামিট। যা প্রথমবার হচ্ছে দেশের মাটিতে। জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির এটি ১৮তম বার্ষিক সম্মেলন।

    ডিজিটাল আর্থিক সংযুক্তিকরণ নিয়ে আলোচনা

    গত অক্টোবরে সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ভারত। ইন্দোনেশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে দায়িত্বের সম্মানসূচক হাতুড়ি সেদিন তুলে দেওয়া হয়েছিল। আগামী এক বছর ধরে দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জি-২০ সম্মেলন চলবে। যা শুরু হচ্ছে আজ, সোমবার কলকাতা থেকে। নিউটাউনের একটি হোটেল ও বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে তিন দিন ধরে চলবে এই সম্মেলন। যেখানে যোগ দেবেন জি-২০ গোষ্ঠীর সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ডিজিটাল আর্থিক সংযুক্তিকরণ কীভাবে গোটা দেশে তথা বিশ্বজুড়ে বাড়ানো যায়, সেই নিয়ে মূল আলোচনা হবে। সব মিলিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১২ জন বক্তা আসছেন।

    আরও পড়ুন: শীতে জবুথবু রাজ্যবাসী, একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি

    জি-২০ বৈঠকের মূলত দু’টি ভাগ। একটি ফিনান্স ও অন্যটি শেরফা ট্র্যাক। আর ফিনান্স ট্র্যাকের একটি অংশ হল জিপিএফআই। তারই বৈঠক হচ্ছে কলকাতায়। অতীতে দেখা গিয়েছে একটি শহরেই জি-২০ বাষির্ক সম্মেলন হয়েছে। ভারত এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। অর্থমন্ত্রকের উপদেষ্টা চঞ্চল সরকারের কথায়, ‘দায়িত্ব পাওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, জি-২০ সম্মেলনের মতো এত বড় মাপের সম্মেলন যেন না শুধু মাত্র দিল্লির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এটা ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের অন্য শহরেও। তাঁর নির্দেশ মেনেই ৪০টির বেশি শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে জি-২০ বৈঠকের জন্য।’ এবারের জি-২০ সম্মেলনের থিম হল, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। সেই মতো বিদেশি অতিথি অভ্যাগতদের সামনে ভারতের সংস্কৃতি, শিল্পকলা ও পর্যটনের সঙ্গে পরিচিতিও করানো হবে। তাই কলকাতা পর্বে আগত অতিথিদের জন্য রাজ্য সরকার গঙ্গাবক্ষে প্রমোদতরীতে সফর ও নৈশভোজের ব্যবস্থা করেছে। হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। পাশাপাশি ঐতিহাসিক পর্যটন স্থলগুলিও ঘুরিয়ে দেখানো হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট বদলেছিলেন ‘ভাইপো’! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট বদলেছিলেন ‘ভাইপো’! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোট-বাতিলের সময়ে অন্তত এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট ‘ভাইপো’ বদল করিয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অতীতের মতো এ বারও সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেননি তিনি, সামনে রেখেছেন ‘ভাইপো’কেই। খড়গপুরের ইন্দা এলাকায় রবিবার একটি স্বাস্থ্যমেলার অনুষ্ঠানে অভিষেককে লক্ষ্য করে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু

    খড়্গপুরের অনুষ্ঠানে অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে সমবায় ব্যাঙ্কের ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রতের যদি একশো কোটির নোট বদল হয়ে থাকে, ভাইপোর এক হাজার কোটি টাকা তাঁর পি এ করিয়েছেন! কাকে কাকে এজেন্ট লাগিয়েছিলেন, তার তালিকা আমার কাছে আছে।’’ শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘পুরনো নোট বদল করেছে ভাইপো। আমি এক হাজার লোকের নাম দিয়ে দেব। পেট্রল পাম্পের মালিক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন থানার আইসি-দের মাধ্যমে বস্তা বস্তা পাঁচশো-হাজার টাকার পুরনো নোট বদল করা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে দেব!’’ পরে পূর্ব বর্ধমানে একটি সভার পরেও প্রশ্নের জবাবে এ দিন শুভেন্দু ফের বলেছেন, ‘‘মোদিজি বেআইনি টাকা আটকানোর জন্য নোটবন্দি করেছিলেন। ভাইপো তাঁর পি এ এবং ক্যাডারদের মাধ্যমে টাকা বদল করিয়েছে।’’ 

    আরও পড়ুন: শীতে জবুথবু রাজ্যবাসী, একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি

    অভিযোগের আঙুল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দিকেও

    খড়্গপুরের পর বর্ধমানের ষষ্ঠী পল্লীর মাঠে জনসভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সভায় তিনি বলেন,  গোটা পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা নোট বদল করেছেন। সিউড়ি কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কাণ্ড তারই উদাহরণ। এই ঘটনায় বর্ধমানের এক যুবনেতার দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি। অভিযোগ তোলেন, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতির দিকেও। শুভেন্দুর কথায়,‘‘এই বর্ধমানেও একজন বারের মালিক আছেন যিনি তৃণমূল পার্টির যুব নেতা। তার মাধ্যমেও এখানে টাকার বদল ঘটানো হয়েছে। এটা গোটা রাজ্য জুড়েই হয়েছে। আমি তো দু’টো নাম বলছি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকা পরিবর্তন করা হয়েছে বিধাননগরের ব্যাঙ্কে। প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি তৃণমূলের নেতা, তিনি ১৫ কোটি টাকা মুগবেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে বদল করেছেন। আমি তো নাম নিয়ে বলছি। আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে। সব সময়মতো দেখিয়ে দেব।’’

  • Jalpaiguri: মায়ের মৃতদেহ কাঁধে ছেলে, ‘মমতাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    Jalpaiguri: মায়ের মৃতদেহ কাঁধে ছেলে, ‘মমতাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক! মায়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে চলছে ছেলে। পাশে বৃদ্ধ বাবা। অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া দিতে না পারায় এই পরিস্থিতি। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির। বৃহস্পতিবার এমন ঘটনায় লজ্জায় মাথা হেঁট বাংলার। শিউরে উঠেছে রাজ্যবাসী। এই নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। পাশাপাশি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও, তাঁর দিকে আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “২০০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা স্বীকার করা উচিত। লজ্জা রাখার জায়গা নেই।”

    মায়ের দেহ কাঁধে তুলেই রওনা দিলেন ছেলে

    জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা লক্ষ্মীরানি দেওয়ান। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতার ছেলের দাবি, জলপাইগুড়ির হাসপাতাল থেকে ক্রান্তির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। মৃতার ছেলের দাবি, মায়ের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ করেছিলেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স চালক ৩০০০ টাকা দাবি করে। কিন্তু ওই টাকা দেওয়ার মত ক্ষমতা ছিল না তাঁদের। সে কারণে কাঁধে করেই দেহ নিয়ে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাবা ও ছেলে। যদিও পরে তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে লক্ষ্মীরানির মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেন।

    আরও পড়ুন: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই ঘটনার পরেই বিরোধীরা সরব হয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলা হয়েছে, যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ২০০ শতাংশ কাজ করে দিয়েছেন বলে দাবি করেন, সেখানে এমন ঘটনা গ্রাম বাংলার দুর্দশার ছবিই প্রকট ভাবে তুলে ধরছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, “অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা। সকালেই দেখেছি আমি। ২০০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা স্বীকার করা উচিত। লজ্জা রাখার জায়গা নেই।”

    বিরোধীদের আরও বক্তব্য

    শুভেন্দুর পাশাপাশি এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেসও। সিপিএম থেকে বলা হয়েছে, “জলপাইগুড়ি থেকে যে ছবি উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। কোথায় প্রশাসন, কোথায় কী! টাকা দিতে পারেনি বলে মায়ের দেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে হবে বাংলায়! সরকারি হাসপাতালের কী মর্মান্তিক, বীভৎস চেহারা!”  কংগ্রেস থেকে বলা হয়েছে, “সব হাসপাতালে এই কারচুপি রয়েছে। রক্ত নিয়ে, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নিয়ে, ওষুধ নিয়ে দুর্নীতি চলছে দেদার।”

LinkedIn
Share