Tag: mohan bhagwat

mohan bhagwat

  • Mohan Bhagwat: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia War) ভারসাম্যের নীতি নিয়েছে ভারত (India)। নয়াদিল্লির সেই অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এই দুই দেশের যুদ্ধ যে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমস্যা বাড়িয়েছে, তাও জানিয়ে দেন আরএসএস প্রধান।

    আরও পড়ুন : নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    নাগপুরে আরএসএসের প্রশিক্ষণ পর্ব শেষে দীক্ষান্ত ভাষণ দেন সংঘ প্রধান। সেখানেই উঠে আসে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ এবং তাতে ভারতের অবস্থান। এই যুদ্ধে পশ্চিমের দেশগুলি অস্ত্র সাহায্য করছে বলেও সাফ জানান তিনি। ওই দেশগুলি ভারত এবং পাকিস্তানকে সমরাস্ত্র পরীক্ষার ভরকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ ভাগবতের।

    এর পরেই তিনি বলেন, ভারতকে সত্য বলতে হবে। অবলম্বন করতে হবে ভারসাম্যপূর্ণ পন্থাও। আরএসএস প্রধান বলেন, সৌভাগ্যবশতঃ ভারত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারসাম্যের নীতি নিয়েছে। এদেশ আক্রমণকে সমর্থন করেনি। আবার রাশিয়ার বিরোধিতাও করেনি। সাউথ ব্লক যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করেনি, তবে তাদের অন্যান্য সহায়তা দিয়ে আসছে।

    ভাগবত বলেন, ভারত ক্রমাগত রাশিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করতে বলছে। তিনি বলেন, যারা আলোচনার বিরোধিতা করছে, তাদের কোনও ভাল উদ্দেশ্য নেই। এই প্রসঙ্গেই ভাগবত পশ্চিমের দেশগুলিকে একহাত নেন। তাঁর মতে, অতীতেও দেখা গিয়েছে যে ভারত ও পাকিস্তানকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিত এবং নিজেদের তৈরি সমরাস্ত্র পরীক্ষা করত পাশ্চাত্য দেশগুলি। এখানেও সেরকম কিছু চলছে। 

    ভাগবত বলেন, ভারতের আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত। একমাত্র তাহলেই সংকট রোখার অবস্থানে থাকবে দেশ। তিনি বলেন, ভারত যথেষ্ট শক্তিশালী হলে যুদ্ধ বন্ধ করে দিত। কিন্তু তা পারে না। দেশের শক্তি এখনও বাড়ছে। তবে সম্পূর্ণ হয়নি।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির ঝটিকা ইউরোপ সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    সংঘচালক বলেন, শক্তি থাকা সত্ত্বেও চিন কেন তাদের থামাচ্ছে না? কারণ এই যুদ্ধে তারাও কিছুর গন্ধ পাচ্ছে। এই যুদ্ধ আমাদের মতো দেশগুলির জন্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমস্যা বাড়িয়েছে। বিশ্বের এই সব সংকট মোকাবিলার জন্যই ভারতকে শক্তিশালী হতে হবে বলেও মনে করেন সংঘচালক। বলেন, আমাদের শক্তিশালী হতে হবে। যদি ভারতের পূর্ণ শক্তি থাকত, তাহলে এমন ঘটনা বিশ্বে ঘটত না। প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন (Ukraine) আক্রমণ করে রাশিয়া। সেই যুদ্ধ এখনও চলছে। যুদ্ধের আঁচে গোটা বিশ্বেই জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। যার ফল ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ।

     

  • Mohan Bhagwat: হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    Mohan Bhagwat: হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু (Hindu) ও মুসলমানদের (Musalman) উচিত তাঁদের মধ্যে উদ্ভূত সমস্যাগুলির সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করা। দিন কয়েক আগে নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (Rashtriya Swayamsevak Sangh) দীক্ষান্ত ভাষণে একথা বলেছিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। হিন্দু-মুসলিম (Hindu-Muslim) সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য আরএসএসের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

    ২০২১ সালের জুলাই মাসে একটি অনুষ্ঠানে ভাগবত বলেছিলেন হিন্দু ও মুসলমানদের ডিএনএ একই। নাগপুরে সম্প্রতি তিনি যা বলেছেন, তাও তাঁর পূর্ববর্তী বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আরএসএস (RSS) ভারতের সমস্ত ধর্ম ও তার অনুসারীদের একটি জাতি হিসেবে বিবেচনা করে। আরএসএস মনে করে তারা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

    আরও পড়ুন : নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    ১৯৭১ সালে ডক্টর সইফুদ্দিন জিলানিকে এক সাক্ষাৎকারে আরএসএসের দ্বিতীয় সংঘচালক এমএস গোলওয়ালকার বলেছিলেন, ভারতীয়করণ মানে সমস্ত মানুষকে হিন্দু ধর্মে রূপান্তরিত করা নয়। বরং আমরা সবাই উপলব্ধি করি যে আমরা এই মাটির সন্তান এবং আমাদের এই মাটির প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে। আমরা সবাই একই সমাজের এবং আমাদের পূর্বপুরুষরা অভিন্ন। এটা বোঝাই প্রকৃত অর্থে ভারতীয়করণ।

    তিনি বলেছিলেন, ভারতীয়করণের অর্থ এই নয় যে একজনকে তাঁর ধর্মীয় ব্যবস্থা ছেড়ে দিতে বলা। আমরা এটা বলিনি, বলছিও না। বরং আমরা বিশ্বাস করি যে সমগ্র মানব সমাজের জন্য একটি ধর্মীয় ব্যবস্থা যথাযথ নয়। সংঘচালকের এই বক্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকরের বক্তব্যেও। ‘দ্য আরএসএস রোডম্যাপস টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ প্রবন্ধে তিনি বলেন, ভারতে মুসলিম ও খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর পূর্বপুরুষরাও হিন্দু জীবনধারা অনুসরণ করেছিলেন। আমাদের দেশে কয়েক হাজার বছর ধরে উপাসনার বিভিন্ন ধারা গড়ে উঠেছে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    তিনি বলেন, ভারতীয় হয়ে জন্ম নেওয়া মানে ভারতীয় সংস্কৃতির বংশধর হওয়া। তাঁর মতে, মাতৃভূমি কোন আঞ্চলিক মানচিত্র নয়, এটি একটি মহান আধ্যাত্মিক সত্তা। হিন্দু রাষ্ট্র মানেই যে মুসলিম বিরোধী, তা নয় বলেই জানান আম্বেকর। তিনি বলেন, হিন্দু রাষ্ট্র মুসলিম-বিরোধী নয়। হিন্দুত্বকে একটি সংকীর্ণ ধারণা হিসাবে উপস্থাপন করা একেবারেই ভুল।

    প্রায় একই ধরনের বক্তব্য উঠে এসেছে আরএসএস মতাদর্শ অনুসারী মনমোহন বৈদ্যের গলায়ও। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ভারতে ঐতিহ্যগতভাবে আমরা বিশ্বাস করি যে সমস্ত ধর্ম একই গন্তব্যের দিকে নিয়ে যায়। তাই সব ধর্মই সমান। ভারতে ৯৯ শতাংশ মুসলমান এবং খ্রিস্টান ধর্মান্তরিত হয়েছেন। এঁদের উৎপত্তি ভারতে। আরএসএস সব ভারতীয়কেই হিন্দু বলে মনে করে। এঁরা এই জাতিকে তাঁদের মাতৃভূমি বলে মনে করেন এবং এর জন্য মরতেও প্রস্তুত। তাঁরা কোন বিশেষ পদ্ধতিতে উপাসনা করছেন, তা বড় কথা নয়, সংঘের চোখে তাঁরা সবাই হিন্দু।

    বস্তুত, আরএসএসের চোখে হিন্দু (Hindu) ও ভারতীয় (Indian) শব্দ দুটি সমার্থক। আসলে আরএসএসের লক্ষ্য হল ভারতকে (India) একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। সেই সুরই বারবার ধরা পড়েছে সংঘ প্রধানদের গলায়।

     

     

  • Mohan Bhagwat: সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (gyanvapi) কাণ্ডের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মসজিদে মসজিদে হিন্দু দেবদেবীর খোঁজ করার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তার সমালোচনা করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর প্রশ্ন, প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ করার এত হিড়িক কীসের? আরএসএস কর্মীদের এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ভাগবত বলেন, বিতর্ক তৈরি করা উচিত নয়। হিন্দু ও মুসলমানদের উচিত ঐতিহাসিক বাস্তবতা এবং ঘটনাগুলিকে হিংসা ছাড়াই মেনে নেওয়া।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের (Ram Mandir-Babri Masjid dispute) অবসান হয়েছে। এখন আদালতে চলছে জ্ঞানবাপী-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিতর্ক (Gyanvapi-Kashi Viswanath temple dispute)। তার পর একের পর এক মসজিদ (masjid) নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। সংঘ প্রধান যে এই বিতর্ক ভালোভাবে নিচ্ছেন না, তাঁর এদিনের বক্তব্যই তাঁর প্রমাণ।  

    জ্ঞানবাপী বিতর্ক থেকে আরএসএস-কে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেন ভাগবত। জানান, অযোধ্যা ছাড়া আর কোনও আন্দোলনে জড়িত নন তাঁরা। তিনি বলেন, যদি কেউ অন্য মত পোষণ করেন, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। সেক্ষেত্রে আদালতের রায় মেনে নিতে হবে।

    জ্ঞানভাপি মসজিদ-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিরোধের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন ভাগবত। পরামর্শ দেন, হিন্দু ও মুসলিম পক্ষগুলিকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে যাতে বিষয়টির সৌহার্দ্যপূর্ণ মীমাংসা করা যায়। আদালত রায় দেওয়ার পরে এই ইস্যুতে কোনও আন্দোলন হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। 

    ধর্মীয় স্থানগুলি নিয়ে নিত্যবিরোধ উত্থাপনের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনকে আগেই সতর্ক করেছিলেন ভাগবত। কুতুব মিনার (Kutub Minar) থেকে আজমেড় দরগাহ (Ajmer Dargah), তাজমহল (Taj Mahal) সহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে হিন্দু মূর্তিগুলির প্রমাণ সম্পর্কে সাম্প্রতিক দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতে ভাগবতের প্রশ্ন, কেন প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের সন্ধান করা হবে?

    আরএসএস প্রধান বলেন, কিছু জায়গার প্রতি আমাদের বিশেষ ভক্তি ছিল। আমরা সেগুলি সম্পর্কে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রতিদিন একটি নতুন বিষয় নিয়ে সামনে আসা উচিত নয়। কেন আমরা বিরোধ বাড়াব? ভাগবত বলেন, জ্ঞানবাপীর প্রতি আমাদের ভক্তি আছে। তা নিয়ে কিছু করাও ঠিক আছে। কিন্তু প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ কেন? তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত আদালতের রায়কে আমাদের সম্মান জানানো। 

    আরও পড়ুন : ধ্বংস হয়ে যাওয়া ধর্মীয় স্থানগুলিতে মিলতে পারে শিবলিঙ্গ, দাবি গোয়ার মন্ত্রীর

    প্রত্যেক ভারতবাসীর উৎস যে একই তা এদিন ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন ভাগবত। বলেন, ভারতীয় মুসলমানদের পূর্বপুরুষরাও হিন্দু ছিলেন। হিন্দুরা একটি অখণ্ড ভারতের দ্বিখণ্ডন মেনে নিয়েছে। একটি মুসলিম দেশ পাকিস্তানের পথ প্রশস্ত করেছে। সংঘ প্রধান বলেন, বিপুল সংখ্যক মুসলিম আছেন যাঁরা ভারতে থেকে গিয়েছেন এবং পাকিস্তানে যেতে পছন্দ করেননি, তাঁরা সকলেই ভারতীয়।

    ভাগবত বলেন, আমাদের কোনও প্রকার উপাসনার বিরুদ্ধে কোনও বিরোধিতা নেই। আমরা সকল প্রকার উপাসনাকে গ্রহণ করি এবং পবিত্র বলে মনে করি। তারা হয়তো উপাসনার একটি ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। ভাগবতের মতে, তাঁরা আমাদের মুনি, ঋষি, ক্ষত্রিয়দের বংশধর। আমরা একই পূর্ব পুরুষের বংশধর।

LinkedIn
Share