Tag: MP

MP

  • Sukanta Majumdar: গত পাঁচ বছরে সংসদে প্রথম স্থান সুকান্তর, এডিআরের রিপোর্টে সর্বাধিক প্রশ্ন তাঁর

    Sukanta Majumdar: গত পাঁচ বছরে সংসদে প্রথম স্থান সুকান্তর, এডিআরের রিপোর্টে সর্বাধিক প্রশ্ন তাঁর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত পাঁচ বছরের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে এডিআর। এই তালিকায় সেরা ১০ জন সাংসদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকার প্রথমেই রয়েছেন বালুরঘাট কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এখানে বলা হয়েছে সারা দেশে প্রশ্ন করার তালিকায় প্রথম হয়েছেন এই রাজ্যের বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি। তিনি সংসদে প্রশ্ন তালিকায় ফাস্ট বয়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কেন্দ্র বালুরঘাট থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। নির্বাচনে জয় বিষয়ে আশাবাদী তিনি।

    এডিআর কী বলেছে (Sukanta Majumdar)?

    এডিআর অর্থাৎ অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদে গত পাঁচ বছরে পারফরম্যান্সে কেমন ছিল। কোন সাংসদ কত প্রশ্ন করেছিলেন, তার সাপেক্ষে সারা দেশে কার্যত শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন রাজ্যের বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি সংসদে মোট ৫৯৬ টি প্রশ্ন করেছেন। এই পাঁচ বছরে মোট ৫০৫ জন সাংসদ, মোট ৯২২৭১টি প্রশ্ন সংসদে তোলেন। এই ১০ জন সাংসদের মধ্যে সুকান্ত ছাড়া বাংলার আর কেউ কোনও সাংসদের নাম নেই। ঠিক তার পরেই রয়েছেন সুধীর গুপ্তা। তিনি অবশ্য মধ্যপ্রদেশের সাংসদ। এনসিপির সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে আছেন তালিকার পঞ্চম স্থানে। এই এডআরের রিপোর্ট অনুযায়ী এই পাঁচ বছরের সব থেকে বেশি প্রশ্ন এসছে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ বিষয়ে। ঠিক তার পরে পরে রয়েছে কৃষি সংক্রান্ত প্রশ্ন। এছাড়াও রয়েছে রেল, শিক্ষা এবং পরিবেশ বিষয়। উল্লেখ্যে আগেও সুকান্তকে সেরা সাংসদ সম্মানের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সবটা মিলিয়তে ভোটের আবহে সুকান্তের খাতায় ক্রেডিট পয়েন্ট আরও যুক্ত হল।

    আরও পড়ুনঃ ঝড়ে তছনছ এলাকা, উড়ে গেল গোটা বাড়ি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

    তপনে আজ প্রচারে সুকান্ত

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আজ নিজের সংসদীয় কেন্দ্র বালুরঘাটের তপনে নির্বাচনী প্রচার করেন। এলাকার অলিগলিতে পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সঙ্গে ছিলেন জেলার অনেক বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থক। সকল কর্মীদের মধ্যে ভোটের প্রচারে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। কর্মীদের মধ্যে একটাই শ্লোগান ছিল, রাজ্যের দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন গড়তে কেন্দ্রের মোদি জির হাত শক্ত করুন। তাঁর জয় নিয়ে এলাকার বিজেপি কর্মীরা দারুণ আশাবাদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “তৃণমূলের নেতারাও চাইছেন, সুকান্ত জিতুন”, জয় সম্পর্কে নিশ্চিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    BJP: “তৃণমূলের নেতারাও চাইছেন, সুকান্ত জিতুন”, জয় সম্পর্কে নিশ্চিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিপ্লব মিত্র মন্ত্রী আছেন, মন্ত্রীই থাকুন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সাংসদ হওয়ার পিছনে কেউ ছোটে নাকি? তৃণমূলের অনেকেই চাইছেন সুকান্ত মজুমদার জিতুন। তাই তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাতেও যাচ্ছেন না অনেকে।” এমনই মন্তব্য বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের। বুনিয়াদপুরের সুকান্ত ভবনে তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় দলের জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের গরহাজির থাকার অভিযোগ উঠেছে। ওই সভায় বালুরঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র নিজের অনুগামীদের দিয়েই ঘর ভরান বলে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতারা। সেই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    অর্ধেকের বেশি পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান গরহাজির

    তিনি বলেন, “তৃণমূলের নেতারাও চাইছেন, সুকান্ত জিতুন। তাই দলীয় বৈঠকেও যোগ দিচ্ছেন না তাঁরা।” যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সেদিন ব্যক্তিগত কাজে অনেকে সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করতেই সুকান্ত ভবনে তৃণমূলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ওই বৈঠকে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল সহ অনেক নেতা ছিলেন। উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে অর্ধেকের বেশি পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান গরহাজির ছিলেন। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার, প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী সহ বিপ্লব বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাকেই ওই সভায় দেখা যায়নি। গত কয়েক বছর ধরে বিরোধী শিবিরকে কোণঠাসা করার অভিযোগ রয়েছে বিপ্লব মিত্রর বিরুদ্ধে। তাই লোকসভা নির্বাচনে বিপ্লববাবু প্রার্থী হতেই শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে উঠেছে বলে এদিন কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত (BJP)।

    কী বলল তৃণমূল, কী জবাব সুকান্তের? (BJP)

    বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, “সুকান্তবাবু এবার কয়েক লক্ষ ভোটে হারবেন। তিনি জেলার জন্য কোনও কাজ করেননি। তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠী নেই। সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী।” এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, “বিপ্লব মিত্র দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। তিনি গত বিধানসভা ভোটে জিতে মন্ত্রী হয়েছেন, আবার তিনি সাংসদ পদে প্রার্থী হয়েছেন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সাংসদ পদের পিছনে কেন ছুটছেন? মন্ত্রী আছেন, মন্ত্রীই থাকুন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Sarkar: প্রচারে বেরিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ, দেওয়াল লিখলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    Jagannath Sarkar: প্রচারে বেরিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ, দেওয়াল লিখলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম ঘোষণা হতেই প্রচারে নেমে পড়েছেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar)। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুরোদমে চলছে দেওয়াল লিখনের কাজ। মঙ্গলবার নদিয়ার চাকদা বিধানসভা এলাকায় চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী।

    দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেওয়াল লিখলেন প্রার্থী (Jagannath Sarkar)

    নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর (Jagannath Sarkar) নাম ঘোষণা না করলেও দিল্লি থেকে দিন কয়েক আগে রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৯ সালে সমতলে সবথেকে বেশি ব্যবধানে জেতা প্রার্থী তথা বর্তমান সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে পুনরায় প্রার্থী করেছে বিজেপি। দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকে পুরোদমে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছেন বিজেপি কর্মীরা। সেইমতো পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রতিটি জায়গায় প্রচারে যাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই চলছে বিজেপি প্রার্থীর প্রচার। প্রথমে চাকদা বিধানসভার বিজেপি মণ্ডল পাঁচ এর উদ্যোগে একটি রক্তদান শিবিরে যোগদান করেন তিনি। এরপরই একাধিক জায়গায় দেওয়াল লিখন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। জগন্নাথ সরকার নিজের হাতেই একাধিক দেওয়াল লিখে দলীয় কর্মীদের উৎসাহিত করেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ সহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

    আরও পড়ুন: অপুর ‘পয়া’ টোটো চালিয়ে বাজিমাত করেছিলেন, এবারও সেই টোটোতে প্রচার সুভাষের

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar) বলেন, গতবারও মন্দিরে পুজো দিয়ে আমি প্রচার শুরু করেছিলাম। এবার নাম ঘোষণা হওয়ার পরই মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছি। সমস্ত বিধানসভায় দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের যা সমর্থন পেয়েছিলাম, এবারের লোকসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা আরও বেশি। প্রচুর মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করছেন। গত পাঁচ বছরে মানুষের কাছে যে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছি,আগামীদিনে আরও যাতে উন্নয়ন পৌঁছে দিতে পারি সেই লক্ষ্য নিয়েই ভোট প্রচার করছি। নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করতে আগামী পাঁচ বছর আরও বেশি ভোটের ব্যবধানে সাধারণ মানুষ আমাকে জয়ী করবেন বলে আমি আশাবাদী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, তারকা-সাংসদ নুসরতের ফোন ‘সুইচড অফ’

    Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, তারকা-সাংসদ নুসরতের ফোন ‘সুইচড অফ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের লাগামছাড়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে ফুঁসছে সন্দেশখালি। মহিলাদের ওপর নির্যাতনের কথা শুনলে হাড়হিম হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে সেখানকারই সাংসদ, একজন মহিলা, তিনি কোথায়? কোথায় বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান? সেখানকার মানুষরা এবার সাংসদের বিরুদ্ধেই মুখ খুলছেন। অভিযোগ করছেন, এত সবের পরও নুসরত জাহানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর ফোন সুইচ অফ।

    সাংসদের মোবাইল সুইচড অফ, সরব মহিলারা (Sandeshkhali)

    সাংসদকে নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা বিস্ফোরক সব অভিযোগ করছেন। রাতবিরেতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহেরও অভিযোগ উঠছে। গ্রামের এক মহিলা বলেন, “নুসরত জাহানকে তো ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। আমরা তো অন্য পার্টি করি না। আমরা টিএমসি পার্টিই করি। ভোট দিই টিএমসি- কে। না দিলে তো হবে না। আমরা না দিলেও ভোট পড়ে যায়।” সাংসদ গ্রামে শেষ কবে এসেছেন, স্মৃতি হাতড়েও মনে করতে পারছেন না গ্রামের মহিলারা। গ্রামের আরেক মহিলা বলেন, “সাংসদকে আমাদের সমস্যার কথা বলতে গেলে শোনেন না তো! অনেক দিন আগে এসেছেন। দু-তিন বছরেরও বেশি আগে এসেছিলেন। একেবারে বাড়ির মেয়ের মতো আমাদের কাছে এসে কথা বলেন। কাউকে মা সম্বোধন করেছিলেন। সব সময় পাশে থাকার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, সমস্যায় পড়লে জানানোর কথা বলেছিলেন। এখন নিজেই ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর এক মহিলা বলেন, নিজের জন্য তিনি সাংসদ হয়েছেন। আমাদের মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি সাংসদ হয়নি।

    সাংসদ অডিওবার্তায় কী বলেছিলেন?

    সন্দেশখালিজুড়ে (Sandeshkhali) তোলপাড় চলছে। একবারের জন্য এই মাটিতে পা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেননি সাংসদ নুসরত জাহান। কেবল অডিও বার্তায় নুসরত বলেছেন, “আমি আগুনে ঘি ঢালব না। আমি সংসদের কাজে দিল্লিতে ছিলাম। কিছুদিন আগে ফিরেছি। দিল্লি থেকে ফিরে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তবে, প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি। প্রশাসনকে সবরকমভাবে সাহায্য করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: ‘দেব কাজের কমিশন চাইছে’, তৃণমূল নেতার অডিও ভাইরাল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Dev: ‘দেব কাজের কমিশন চাইছে’, তৃণমূল নেতার অডিও ভাইরাল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ দেব (Dev)। বকেয়া টাকা না পেয়ে করোনার সময় হাসপাতালে কাজ করা মহিলারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। কারণ, ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন দেব। তিনি বকেয়া টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি পদ থেকে ইস্তফা দিতেই মহিলারা টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছিলেন সাংসদের কাছে। যা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়। এই আবহের মধ্যে একটি অডিও ক্লিপ সামনে এসেছে। যাতে সাংসদ দেবের নামে বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে। সেই অডিও ভাইরাল হয়েছে। ফলে, নতুন করে আবার চর্চায় উঠে এসেছেন অভিনেতা দেব।

    কী রয়েছে অডিও ক্লিপে?

    জেলারই দাপুটে তৃণমূল নেতার কথোপকথন রয়েছে অডিও ক্লিপে।  যদিও অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। গলার স্বর শুনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বই অনুমান করছেন, অডিওটি যাঁর, তিনি ঘাটালের তৃণমূল নেতা শঙ্কর দোলই। শঙ্কর ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি বর্তমানে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি। সেই অডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন। তিনি সেখানে বলছেন, “আমি দিদিকে বলেছি, দেব (Dev) আমার কাছ থেকে কাজের কমিশন চাইছে। আমি তো দিদিকে বিষয়টি বলেছি। দিদি জানে তারপরেও ওকে এমপি করেছেন।” কথা প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “কেন ওকে আমাদের রাজনীতিতে প্রয়োজন, এখানে সততা বলে কিছু নেই।” সাংসদ প্রতিনিধি রাম পদ মান্না বলেন, অডিওটি শঙ্কর দোলইয়ের।  এই বিষয়টি দেবের নজরেও আনা হয়েছে।

    এটা একটা চক্রান্ত!

    এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল নেতা শঙ্কর দোলইয়ের বিরুদ্ধে আহুল উঠছে। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই ভাইরাল অডিও নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কোথাও কোনও একটা চক্রান্ত রয়েছে। এটা মিথ্যা না সত্য, তা যাচাই না করে কিছু বলব না। আমার সঙ্গে দেবের কোনও ঝগড়া নেই।”

    অডিও নিয়ে মুখ খুললেন দেব (Dev)

    ভাইরাল অডিও নিয়ে সাংসদ দেব (Dev) বলেন, “আমার ওপর কিছু নির্ভর করে নেই। আমার যা করার, যা বলার, তা আমি দলকে বলে দিয়েছি। যে অডিও ক্লিপটি বেরিয়েছে, সেই মতো দেখলে, দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আর ওর মধ্যে কিছু কথা হয়েছে। দিদিই উত্তরটা দেবেন। আমার কিছু বলার নেই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: “অপেক্ষা করুন, সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন দেব”, শুভেন্দুর ঘোষণায় জোর জল্পনা

    Paschim Medinipur: “অপেক্ষা করুন, সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন দেব”, শুভেন্দুর ঘোষণায় জোর জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার তিনটি প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব অধিকারী। ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য বলেছেন, “সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন।” ২০১৪ সালে লোকসভায় ঘাটাল কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একটি ভাইরাল ভিডিওতে ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা গিয়েছিল, দেবের ভোটে দাঁড়ানোর কোনও ইচ্ছে ছিল না। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে একপ্রকার বাধ্য হয়ে ভোটে লড়েছিলেন। সাংসদের এই প্রশাসনিক পদত্যাগে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি এবার তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করবেন? প্রশ্ন উঠেছে।

    দেব সম্পর্কে শুভেন্দু ঠিক কী বললেন?

    দেব গতকাল রাজ্য সরকারের তিনটি প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনটি পদ হল, বীরসিংহ (Paschim Medinipur) উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং ঘাটাল রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি। জেলাশাসকের কাছে চিঠি লিখে ইস্তফা দেন দেব। এরপর কাঁথির এক দলীয় বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু বলেন, “অপেক্ষা করুন, সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন দেব। এ তো সবে সকাল, এখনও দুপুর হয়নি। অপেক্ষা করুন না, সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করবেন দেখে নিন।” এখন এই মন্তব্যে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। আবার বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগের কারণে দেবকে সিবিআই ডেকেছিল। আবারও ডাকবে। দুর্নীতি থেকে বাঁচতে বিজেপির ভয়ে পদত্যাগ করছেন।”

    সুকান্তের বক্তব্য

    ঘাটালের সাংসদ (Paschim Medinipur) দেবের সরকারি পদে পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “গরু ও কয়লা পাচারের টাকা দেবের ফিল্মে লগ্নি হয়েছিল বলে তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তখন যা বলেছিলাম সেটাই আবার বলছি। সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে নরকবাস। দেব ভালো ছেলে। কথাবার্তাও ভালো। লোকসভায় আমার সঙ্গে কথা হয়। আমি তাঁকে শুধু এটুকুই বলব, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। তাহলে নরকবাসের চান্স অন্তত থাকবে না। স্বর্গবাস হবে কী, জানি না। অন্তত নরকবাসের সম্ভাবনা থাকবে না। দেবের সঙ্গে কথা বলে আমি যতটুকু বুঝেছি তাতে আগামী দিনে ওঁর ভোটে দাঁড়ানোরও ইচ্ছা নেই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনার পর থেকে পাঁশকুড়া (Paschim Medinipur) বাসস্ট্যান্ড-সহ কলেজ মোড় এলাকায় দেবের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, “দুর্নীতি ঢাকতে বিজেপির ভয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন দেব।” সাংসদের এই পদত্যাগের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শঙ্কর দোলই বলেন, “দেব একজন ভালো মানুষ। বিজেপি কুৎসা রটাচ্ছে। বিজেপির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় নামবো।” আবার একই বিষয়ে ফালাকাটা থেকে রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “দেব আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং আছেন।” সাংসদ ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কারণে দেব পদত্যাগ করেছেন। তবে এই বিষয়ে সাংসদ এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: বৈঠকে ফের চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি, পানিহাটিতে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Panihati: বৈঠকে ফের চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি, পানিহাটিতে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানিহাটি (Panihati) পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায়কে সরাতে তৎপর কাউন্সিলরদের একাংশ। দলীয় মিটিংয়ে কাউন্সিলরদের একটা বড় অংশ ফের চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি জানান। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলও একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি উঠল (Panihati)  

    একদিকে ভাগাড় সমস্যা, অন্যদিকে রাস্তাঘাট, নিকাশি, স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ দৈনন্দিন পরিষেবা প্রদানে নাজেহাল অবস্থা পানিহাটি (Panihati) পুরসভার। পুর কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কথা এখন পানিহাটির মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। পুরসভার পরিষেবা অব্যাহত রাখতে রবিবার সোদপুর সরকারি কোয়ার্টারে তৃণমূলের অফিসে দলের ৩৩ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সাংসদ সৌগত রায় এবং বিধায়ক নির্মল ঘোষ। বৈঠকের শুরুতে কাউন্সিলরদের একটা অংশ পানিহাটি পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান মলয় রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন। অভিযোগ করেন, পুরসভা পরিচালনা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান পরিবর্তনের দাবিও তোলেন তাঁরা। যদিও সৌগত রায় তাঁদের থামিয়ে দেন। সাংসদ তাঁদের উদ্দেশে বলেন, চাইলেই চেয়ারম্যান পরিবর্তন করা যায় না। তার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমে দলকে সেটা জানাতে হয়। তারপর দল যদি মনে করে তবেই চেয়ারম্যান বদল সম্ভব। তখনই কাউন্সিলরদের তরফে কয়েকজন বলে ওঠেন দু-একদিনের মধ্যেই আমরা সেই চিঠি দলের কাছে পৌঁছে দেব। তাঁকে সামনে বসিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলের কাউন্সিলরদের একের পর এক উক্তিতে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েন চেয়ারম্যান। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কাউন্সিলরদের বিরত করেন বিধায়ক নির্মল ঘোষ। এরপরই পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব এদিনের বৈঠক থেকে উঠে আসে।

    নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে

    নতুন কমিটিতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পাঁচ সিআইসি সদস্য সহ দলের দুই কাউন্সিলর প্রবীর ভট্টাচার্য এবং সম্রাট চক্রবর্তী রয়েছেন। এই দুজন আবার পানিহাটি (Panihati) শহর তৃণমূলের সভাপতি। দলীয় স্তরে ওই কমিটির তালিকা শীঘ্রই সাংসদ এবং বিধায়কের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে চেয়ারম্যানকে। নির্মল ঘোষ বলেন,  ‘পুরসভা যাতে ঠিকঠাকভাবে চলে তা নিয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে। ভাগাড়, রাস্তাঘাট সহ একাধিক ইস্যু এদিন আলোচিত হয়েছে। চেয়ারম্যানের শারীরিক সমস্যার কারণে কাজ পরিচালনায় একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর পছন্দ মতো কয়েকজনকে নিয়ে একটি কমিটি করার। ওই কমিটির তালিকা শীঘ্রই দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা করেই কাজ করতে বলা হয়েছে। যাতে পুরবাসী কোনও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন’। 

    বৈঠকের বিষয়ে জানেন না দলের জেলা সভাপতি

    চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, ‘কিছু বিষয় নিয়ে নিশ্চিত আলোচনা হয়েছে। এটা দলের ভিতরের বিষয়। বাইরে কিছু বলব না’। তবে দলের ব্যাপার হলেও রবিবারের বৈঠকের বিষয়ে দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তাপস রায়কে বিষয়টি না জানানোয় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এদিনের বৈঠকের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। দলীয় ব্যাপারে  দলের জেলা সভাপতিকে নিশ্চিতভাবে জানানো উচিত ছিল। সৌগত রায়, নির্মল ঘোষ আমাকে কিছু জানাননি’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়! উদ্যোগী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়! উদ্যোগী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। রাজ্যের শান্তিনিকেতনের রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণত একটি রাজ্যে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকে। তবে, বিশেষ ক্ষেত্রে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা যেতে পারে। তাই পিছিয়ে পড়া উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে উদ্যোগী হলেন বালুঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এনিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি সেই দাবি সনদ তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    পিছিয়ে পড়া উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার ফলে অনেক পড়ুয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিকে উত্তরবঙ্গের পড়ুয়াদের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে হচ্ছে পাশের রাজ্য আসামে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবি উঠেছে বালুরঘাট সহ জেলাজুড়ে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ-সুবিধা বাড়লে বালুরঘাট সহ জেলার যুবক যুবতীদের সুবিধা হবে। এবিষয়ে বালুরঘাটের বাসিন্দা সৌভিক সরকার বলেন, দীর্ঘদিন পর জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। তবে, তার পরিকাঠামো এখনও সেভাবে গড়ে ওঠেনি। গোটা উত্তরবঙ্গে কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সাংসদের উদ্যোগে যদি উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয় তাহলে আমার মতো পড়ুয়াদের সুবিধা হবে। এবিষয়ে বালুরঘাটের অন্য এক বাসিন্দা শিল্পী সাহা বলেন, আমাদের পড়াশুনা অনেক আগে শেষ হয়েছে। এখন আমাদের ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয়, সেক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাবে তাঁরা। পড়াশুনা থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকে। যা পড়ুয়াদের শিক্ষা অর্জনে বিশেষ সুবিধা দেবে।

    কী বললেন সুকান্ত?(Sukanta Majumdar)

    এবিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কেন্দ্রের একটি নীতি রয়েছে প্রতি রাজ্যে একটি করে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে। যেহেতু উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে পড়া জেলা, তাই আমরা আগেও দাবি জানিয়েছি এবং আগামী দিনে এমন দাবি জানাবো। বিশেষ মর্যাদা দিয়ে উত্তরবঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও উত্তরবঙ্গে সেভাবে উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। তাই আগামী দিনে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নজরেও বিষয়টি আনব, যাতে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: লোকাল ট্রেনেই প্রথম শ্রেণির পরিষেবা দেখে আপ্লুত যাত্রীরা, টিকিট কাটার হিড়িক!

    Ranaghat: লোকাল ট্রেনেই প্রথম শ্রেণির পরিষেবা দেখে আপ্লুত যাত্রীরা, টিকিট কাটার হিড়িক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকাল ট্রেনে বিশেষ পরিষেবা দেখে আপ্লুত যাত্রীরা। ২৮ জানুয়ারি সাংসদ জগন্নাথ সরকার নদিয়ার (Ranaghat) রানাঘাটে শিয়ালদা মাতৃভূমি লেডিস স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধন করেন। সপ্তাহে রবিবার বাদে প্রতিদিনই রানাঘাট স্টেশন থেকে ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি ছাড়বে, যার গন্তব্য শিয়ালদা পর্যন্ত। আর তারপর থেকেই লোকাল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরায় ওঠার জন্য যাত্রীদের মধ্যে হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ভাড়া বেশি হলেও কুছ পরোয়া নেহি। ভিড় ঠেলে ঝুলতে ঝুলতে যাওয়ার থেকে বেশি ভাড়া দিয়ে আরাম করে বসে যাওয়ার সুবিধা নিতেই বেশি পছন্দ করছেন যাত্রীরা। এমনকী যাত্রা পথে এই লোকাল ট্রেন দেখতেও স্টেশনে স্টেশনে ভিড় হচ্ছে। আর প্রথম শ্রেণির কামরায় ওঠার জন্য যাত্রীরা বেশি ভাড়া দিয়ে টিকিটও কাটছেন।

    যাত্রীরা কী বললেন? (Ranaghat)

    নদিয়ার রানাঘাট (Ranaghat) শিয়ালদা মাতৃভূমি লেডিস স্পেশাল ট্রেনটি আগে ৯ কামরার ছিল। এখন তা বেড়ে ১২ কামরার করা হয়েছে। এই ট্রেনটিতে রয়েছে দুটি স্পেশাল কোচ। রয়েছে প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণি। লোকাল ট্রেনে গদি আঁটা আসন, মেঝেতে পাতা কার্পেট। সঙ্গে সুরক্ষার আঁটসাঁট ব্যবস্থা। বিশেষ করে সিসি টিভি ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়াও একাধিক সুবিধা রয়েছে। যদিও ভাড়ার তরিতফাত রয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি যাত্রীরা। সুশ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক যাত্রী বলেন, ‘কামরাগুলি অত্যন্ত সুন্দর। গদি আঁটা আসন। ফলে দূরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বিস্তর। দূরযাত্রার ক্ষেত্রে সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করছি।’ সুদেষ্ণা দত্ত নামে এক যাত্রীর কথায়, লোকাল ট্রেনে এরকম পরিষেবা আমরা ভাবতেই পারছি না। খুব ভালো উদ্যোগ। আমাদের মতো নিত্যযাত্রীরা খুব খুশি। তবে, যাত্রীদের বক্তব্য, ‘রেল মন্ত্রক এই ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। এখন সাধারণ মানুষের কর্তব্য এই ট্রেনগুলিকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার। তবে, কতটা পরিচ্ছন্ন রাখা হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santipur: ‘১৯০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, বন্ধ বার্ধক্যভাতা!’ অবস্থান-বিক্ষোভে সরব বিজেপি

    Santipur: ‘১৯০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, বন্ধ বার্ধক্যভাতা!’ অবস্থান-বিক্ষোভে সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নদিয়া জেলার শান্তিপুরে (Santipur) প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তৃণমূলের বিধায়ক, এমপি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, পঞ্চায়েত সদস্যরা আমন্ত্রিত রয়েছেন। কিন্তু, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিজেপির বিধায়ক, এমপি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের কাউকেই। সোমবার দুপুরে এই অভিযোগ তুলে নদিয়ার ফুলিয়ার বিডিও অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

    ১৯০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, বন্ধ বার্ধক্যভাতা! (Santipur)

    বিজেপির এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নদিয়ার রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও সামিল ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে শান্তিপুরে (Santipur) আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেখানে বিজেপির কোনও প্রশাসনিক কর্তা থেকে এমপি বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী এখানে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন না দলীয় কর্মসূচি করতে আসছেন। বিজেপি-র শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন,  ২০১৬ সালে শান্তিপুর-কালনার গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রিজের জন্য বরাদ্দ হয় ১৯০০ কোটি টাকা। চাষিদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করা হলেও সেই ব্রিজ এখনও তৈরি হয়নি। ব্রিজের টাকা গেল কোথায়? আসলে ১৯০০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি করেছে তৃণমূল। সব টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকেছে। যাদের আগে পাটকাটির বাড়ি ছিল, তাঁদের এখন তিনতলা বাড়ি। এই ব্লকে ১৪ হাজার বার্ধক্য ভাতা বন্ধ রয়েছে, এই টাকা অবিলম্বে বরাদ্দ করতে হবে। আমাদেরকে প্রশাসনিক সভায় না ডাকার কারণ আমরা যদি এই সমস্ত অভিযোগ তুলে ধরি সেই ভয়ে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    নদিয়া জেলার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তপন সরকার কটাক্ষ করে বলেন, একটি ব্যস্ততম দফতরের সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে নাটক করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভাতে কাকে ডাকা হবে আর কাকে ডাকা হবে না তার সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন। এখানে রাজনীতি টানা ঠিক নয়। ওরা এসব করে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে। তাতে লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share