Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে গঙ্গাভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে জমি, ভিটে! আতঙ্কিত বাসিন্দারা, প্রশাসন কী করছে?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে গঙ্গাভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে জমি, ভিটে! আতঙ্কিত বাসিন্দারা, প্রশাসন কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এক সপ্তাহ ধরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে জমি। ভেঙে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি। ভিটেছাড়া হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। প্রাণ হাতে করে গ্রাম ছাড়ছেন লোকজন। এরকম একটা অবস্থায় কী করছে প্রশাসন? তাদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য? (Murshidabad)

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গত সপ্তাহ থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে ২২টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে সংখ্যাটি অনেক বেশি। ভাঙন রুখতে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। ২০-২৫ নৌকা ভর্তি বালির বস্তা দিলে কিছুটা কাজ হত। সেখানে দুনৌকা বালির বস্তা নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ফলে, এলাকাবাসী নৌকা ঘিরে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন। পরে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আমাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এখানে বালির বস্তা দিচ্ছে। আমাদের তো মনে হচ্ছে এতে আরও সমস্যা বাড়ছে। আমাদের মা-বোনরা সবাই বারান্দায় ঘুমচ্ছে। খেয়াল রাখছে এই বুঝি হয়ত বাড়ি ভেঙে পড়ে গেল নদীর জলে। বালির বস্তার জায়গায় যদি পাথর ফেলা হতো তাহলে হয়ত ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হত। বারংবার এই দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা হয়নি।

    পঞ্চায়েত সমিতি কর্মাধ্যক্ষ কী বললেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মইমুর শেখ বলেন, পাথর ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করার মতো অর্থ আমাদের নেই। ফলে, তা আমরা করতে পারব না। বালির বস্তা দিয়ে আমরা যতটা পারছি ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছি। গত সপ্তাহে দুনৌকা বালি দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। এখন পর্যাপ্ত বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন মোকাবিলা করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে মিলল জাল লটারি কারখানার হদিশ, জালিয়াতি চক্রের পিছনে কারা?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে মিলল জাল লটারি কারখানার হদিশ, জালিয়াতি চক্রের পিছনে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিয়ার লটারিতে কোটি কোটি টাকা পাওয়ার খবর প্রায় খবরের কাগজে, টিভিতে দেখতে পাওয়া যায়। কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে প্রতিদিন লটারির টিকিট কাটেন, এরকম মানুষ এই বাংলায় প্রচুর রয়েছেন। লটারির টিকিট কেটে নিঃস্ব হয়ে আত্মঘাতী হওয়ার উদাহরণও রয়েছে। এই ডিয়ার লটারির নাম ব্যবহার করে বড়সড় জালিয়াতির হদিশ মিলল মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সামশেরগঞ্জের ধূলিয়ান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিব মন্দির বাজার থেকে জাল লটারি কারখানায় হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধূলিয়ান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিব মন্দির বাজার এলাকায় গোডাউন ভাড়া করে জাল লটারির কারবার চালু করা হয়েছিল। গোডাউনের ভিতরে কারখানা তৈরি করে রমরমিয়ে চলত এই কারবার। রবিবার রাতে সেই কারখানায় পুলিশ হানা দেয়। যদিও পুলিশ অভিযান চালানোর সময় সেখানে কেউ ছিল না। কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় নাগাল্যান্ড কোম্পানির জাল লটারির টিকিট, কয়েক বস্তা জাল লটারি টিকিট। টিকিটে ডিয়ার লটারির কথা উল্লেখ ছিল। এছাড়া জেরক্স মেশিন, লটারির টিকিট তৈরির যন্ত্রাংশ, ইনভার্টার, কাগজ কাটার যন্ত্র, প্রচুর পরিমাণে লটারির টিকিট ছাপানো কাগজ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। এই টিকিট খোলা বাজারে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা তোলা হত বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গোডাউনের মালিকের বিরুদ্ধে সবার আগে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাকে গ্রেফতার করলেই সব কিছু জানা যাবে। গোডাউনের ভিতরে এত বড় বেআইনি কাজকর্মের পিছনে মালিকের মদত রয়েছে।

    বাড়ির মালিকের কী বক্তব্য?

    বাড়ির মালিক বলেন, মাস তিনেক আগে সঞ্জয়কুমার সাউ নামে ঝাড়খণ্ডের এক ব্যক্তি জেরক্সের কাজ করবেন বলে গোডাউন ভাড়া নেন। সেখানে তাঁরা কী করতেন, তা আমি জানি না। পুলিশের অভিযানের পরই বিষয়টি জানতে পারলাম। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। তবে, ঝাড়খণ্ডের একজন অপরিচিতকে কেন ঘর ভাড়া দিতে গেলেন, সেই বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, বড় মাপের লটারির টিকিট বিক্রেতা এই ভুয়ো টিকিট ছাপিয়ে বহু টাকা বাজার থেকে তুলে নিচ্ছেন। আর এই জাল টিকিট কেটে কেউ কোনও পুরস্কারও পেত না। পুরো জালিয়াতি করে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সহ আশপাশের জেলা থেকে কোটি কোটি টাকা হাতানো হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে কারা রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দশমীর রাতেই দলীয় কাউন্সিলারের বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Murshidabad: দশমীর রাতেই দলীয় কাউন্সিলারের বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। তবে, দশমীর মাঝরাতে এভাবে প্রকাশ্যেই তৃণমূলের কাউন্সিলারের বাড়িতে হামলা চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার মাঝরাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার গুরুপদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    বুধবার মাঝরাতে ঠিক যখন ঘাটে ঘাটে চলছে প্রতিমা বিসর্জন, সেই সময় আচমকা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার গুরুপদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। কাউন্সিলারের বাড়িতে এই হামলার ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অপর এক ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামীই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামনে এল সেই শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল। দুই পক্ষের অনুগামীদের হাতাহাতি এতটাই চরমে পৌঁছায় যে পুলিশকে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মাঝরাতে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর তাণ্ডব দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পাড়ার লোকজন।

    কেন হামলা?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সুকন্যা দত্ত ঘোষের স্বামী সুপ্রিয় ঘোষের নেতৃত্বে গুরুপ্রসাদের বাড়িতে এই হামলা চলে বলে অভিযোগ উঠেছে। মূলত এলাকা দখল নিয়েই এই লড়াই বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, নির্দল থেকে জয়ী হয়ে কাউন্সিলার হয়েছিলেন গুরুপ্রসাদবাবু। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর থেকেই বিবাদ চলছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই বিবাদ পুজোর মধ্যে আরও তীব্র হয়। তবে, ঠিক কী বিষয় নিয়ে এই বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছায় তা জানা যায়নি। সুপ্রিয় ঘোষের লোকজন এসে মাঝরাতে এলাকায় রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, দলের মধ্যে গন্ডগোল থাকতে পারে। তাই বলে এভাবে মাঝরাতে বাড়িতে এসে হামলা চালানোর ঘটনা ঠিক নয়। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: পুজোর মধ্যেই নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, পুলিশ কী করছে?

    Murshidabad: পুজোর মধ্যেই নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোধনের রাতেই বিষাদের সুর। গ্রাপ পঞ্চায়েতের এক নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দির নতুনগ্রাম এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পাওয়ার হোসেন(৩৫)। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাওয়ারের স্ত্রী নার্সিদা খাতুন এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দির নতুনগ্রামে নির্দল হয়ে ভোটে লড়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটে জিততে পারেননি। শুক্রবার রাতে নার্সিদার স্বামী পাওয়ারসাহেব পাড়ার একটি মাচায় বসেছিলেন। সেই সময়েই একদল দুষ্কৃতী এসে হামলা চালায় পাওয়ারের উপরে। পঞ্চায়েত প্রার্থীর স্বামীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। হামলার পরই গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশের কাছে। কান্দি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। যদিও কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই পরিবার কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। অতীতে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল। এরপর এবারের পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

    নির্দল প্রার্থীর কী বক্তব্য?

    নির্দল প্রার্থী নার্সিদা খাতুন বলেন, সন্ধে সাতটার সময়েও আমার সঙ্গে স্বামীর ফোনে কথা হয়েছে। মাচায় বসে মিটিং করছিল। আধ ঘণ্টা পর ও ফোন করার কথা বলেছিল। তারপর আর ফোন এল না। পরে, প্রতিবেশীর কাছে ওকে খুন করার বিষয়টি জানতে পারলাম। কিন্তু, ওর সেরকম শত্রু ছিল না। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন, আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: লালবাগ ধর্ষণকাণ্ডে ৪ দোষীকে যাবজ্জীবন শাস্তির নির্দেশ, পুজোর মুখে খুশি নির্যাতিতা

    Murshidabad: লালবাগ ধর্ষণকাণ্ডে ৪ দোষীকে যাবজ্জীবন শাস্তির নির্দেশ, পুজোর মুখে খুশি নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ দুই বছর ধরে মামলা চলছিল। অবশেষে চার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করলেন আদালত। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) গণধর্ষণ মামলায় চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গত দুই বছর আগেও এমন সময় ছিল পুজোর সময়, দুষ্কৃতীরা দাঁতের আচর দিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে কার্যত জীবনকে অন্ধকারের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। এই অত্যাচারে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন নির্যাতিতা। কিন্তু এতো কিছুর পরেও নির্যাতিতা কোন ভাবেই হার মানেন নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিন লালাবাগ মহকুমা আদালতে বিচারেকের শুনানিতে এই শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ২ বছর আগে ঘটেছিল ধর্ষণের ঘটনা (Murshidabad)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের দুর্গা পুজোর আগে লালবাগ (Murshidabad) এলাকায় একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। নির্যাতনের কথা সামজিক মাধ্যমে তুলে ধরে ভাইরাল করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল এই দুষ্কৃতীরা।কিন্তু ঘটনার পরে ভয় পাননি নির্যাতিতা নারী। তিনি থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে নির্যাতনের বিবরণ দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপর পুলিশ ৪ জন প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। তারপর থেকে মামলা চলে কোর্টে। দীর্ঘদিন কোর্টে মামলার শুনানিও চলছিল। ঘটনার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে মোট ১২ জন সাক্ষী প্রদান করেন। অবশেষে মহকুমা আদালতের বিচারক, দোষীদের ২ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং যাব্বজীবন শাস্তির রায় ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে নির্যাতিতাকে ৪ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।

    আইনজীবীর বক্তব্য

    এই মামলার আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গতকাল বৃহস্পতিবার দোষীদের আদলাত (Murshidabad) শাস্তি ঘোষণা করেছেন। তবে দোষীদের ১৪ বছর সাজা হয়নি। আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দোষীরা যতদিন বেঁচে থাকবেন, ঠিক ততদিনই জেলে থাকবেন। দোষীদের যে টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে, সেই টাকা নির্যাতিতাকে প্রদান করার স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্গাপুজোর আগেই খোলা হল বহরমপুর বাইপাস

    Murshidabad: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্গাপুজোর আগেই খোলা হল বহরমপুর বাইপাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রী নীতিন গডকড়ির উদ্যোগে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে সারাদেশে। পুজোর আগেই এই রাজ্যের কলকাতার সঙ্গে শিলিগুড়ির অন্যতম প্রধান জাতীয় সড়ক ৩৪ নম্বর সম্প্রসারণের কাজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রীকে আবেদন করেছিলেন। আর তার ফলে মহালয়ার দিনে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে শহরের যানজট কমাতে বাইপাস খুলে দেওয়া হল। রাস্তা সম্পূর্ণ না হলেও একটা অংশ খুলে উদ্বোধন করলেন এলাকার সাংসদ। পুজোর আগে বহরমপুরবাসীর কাছে এক আনন্দের খবর। এলাকাবাসী বলছেন, যানজটের কবল থেকে শহরের মানুষ অনেকটাই মুক্তি পাবে।

    খোলা হল বহরমপুর বাইপাস (Murshidabad)

    উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে সংযোগকারী ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর শহরের মধ্যপথ দিয়ে গিয়েছে। শহরে জনসংখ্যার ঘনত্ব বৃদ্ধির ফলে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। তাই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ এবং পুনঃনির্মানের মধ্যে দিয়ে বহরমপুর শহরের বাইরে দিয়ে একটি বাইপাস রাস্তা করা হয়। যদিও, এখনও জাতীয় সড়কের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু এই উৎসবের মরশুমে শহরবাসী তথা সারা বাংলার সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এবং অধীর চৌধুরীর অনুরোধে জাতীয় সড়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পুজোর কিছুদিন সাময়িক ভাবে বাইপাস খোলা হল। রাস্তা চালু হওয়ায় উপকৃত হলেন অগণিত মানুষ।

    বাইপাসের অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রক

    কেন্দ্রীয় সরকার ১৪ বছর আগে বহরমপুর বাইপাস রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু জমিজট এবং নানা জটিলতা মিটিয়ে শেষ হওয়ার পথে। বাইপাস সড়কটি সারগাছি থেকে বহরমপুরের দিকে এসে, বলরামপুর থেকে মানকরা হয়ে ভাগীরথীর উপর দিয়ে বাসুদেবখালি হয়ে খাগড়াঘাট স্টেশনের পশ্চিম দিক দিয়ে ফতেপুরের কাজ পর্যন্ত, প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য ২০০৯ সালে বাইপাস রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ত দপ্তর। এই দপ্তরের মন্ত্রী নীতিন গডকড়ী বহরমপুর বাইপাসের কাজ শুরু হওয়ার বরাত দেন।

    সাংসদের বক্তব্য

    সাংসদ (Murshidabad) অধীর চৌধুরী নিজেই, ওই রাস্তায় নিজের সমর্থকদের নিয়ে মোটরসাইকেল চালালেন এবং সেই সঙ্গে বাইকে হাত ছেড়ে সোজা হয়ে একপ্রকার চমক দেখালেন। আজ বলেন তিনি, “পুজোর আগে বহরমপুরকে যানজট মুক্ত করা আমার লক্ষ্য, সেজন্য আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিনজির কাছে গিয়েছিলাম এবং সরকারি আধিকারিক, ঠিকাদারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে, আজ মহালয়ার দিনে খুলে দেওয়া হল নতুন বাইপাস ও দ্বিতীয় সেতু।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে পঞ্চায়েতে অফিসের মধ্যে দুর্নীতি-স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে ঘেরাও করে, বিক্ষোভ করল বিজেপি জয়ী সদস্যরা। প্রথমে বিজেপির জয়ী সদস্যরা, মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানান। এরপর ক্রমেই বচসার জেরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জেলায় তীব্র শোরগোল পড়েছে এই নিয়ে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় সাহোড়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান, উপ-প্রধানকে কার্যত পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে ঘেরাও করে রাখে বিজেপি। প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় ১০ টি গ্ৰামের জয়ী বিরোধী সদস্যরা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে সামাল দিতে মাঠে নামতে হয়েছে বড়ঞা থানার পুলিশকে।

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপি জয়ী পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা অমর দেবংশী বলেন, “আমাদের প্রধান অভিযোগ হল, পঞ্চায়েত প্রধান, বিরোধী দলের সদস্যদের মতামতের কোনও গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মতো করেই বিলি করছে ত্রিপল এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সাহোড়া (Murshidabad) গ্ৰাম পঞ্চায়েতে নবনিযুক্ত প্রধান, নিজের মতো করে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা প্রাপ্যকারীদের তালিকা তৈরি করছেন। ফলে সেগুলি শুধুমাত্র তৃণমূলেরাই পাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সরকারি সাহায্যে থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কথায় কাজ না হলে, আজ সন্ধ্যায় পঞ্চায়েতের প্রায় ৯ জন বিজেপি সদস্যরা একত্রিত হয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি।

    তৃণমূল প্রধানের বক্তব্য

    এলাকার (Murshidabad) গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান গোষ্ঠ গোপাল ঘোষ বলেন, বিরোধী দলের জয়ী সদস্যদের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন, আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে। উপযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে সরকারি সুবিধা পায়, সেই কথা মাথায় রেখেই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির সদস্যরা তা করতে দিচ্ছেন না।

    পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় পুলিশ

    শুক্রবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় এতটাই চাঞ্চল সৃষ্টি হয় যে ঘটনাস্থলে আসতে হয় বড়ঞা থানার (Murshidabad) পুলিশকে। বিজেপির বিক্ষোভের কারণে দীর্ঘক্ষণ কার্যত প্রধানকে পঞ্চায়েত দফতরে নিরাপত্তা দিয়ে রাখে পুলিশ প্রশাসন। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির,  কী করছে পুলিশ?

    Bomb Blast: মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির, কী করছে পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের ফের বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে (Bomb Blast) মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনায় আরও একজন জখন হন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হরিহরপাড়া থানার খলিলাবাদ মাঠে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাজিজুল শেখ (৪২)। জখম ব্যক্তির নাম লালন মণ্ডল। তাদের বাড়ি হরিহরপাড়া থানার লোচনমাটি গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিহরপাড়া থানার খলিলাবাদ মাঠে কলার বাগানে সাজিজুল, মিলে বোমা বাঁধার কাজ করছিলেন। সেখানে আর কে কে ছিল তা জানা যায়নি। আচমকা বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। তাতে সাজিজুল সহ দুজন গুরুতর জখম হন। সাজিজুল সহ দুজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিছুটা দূরে গিয়ে তার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাজিজুলের মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে এই জেলায় একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। রেজিনগরেও একই ঘটনা ঘটে। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়। বোমা বাঁধার ঘটনার পাশাপাশি বল ভেবে বোমা ফেটে সূতিতে এক কিশোর জখম হন। ভরতপুরেও এক কিশোর বোমা ফেটে জখন হন। পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পরও রমরমিয়ে বোমা তৈরির কারবার চলছে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কারা বোমা বাঁধার কাজ করছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাঠের কলাবাগানে বোমা তৈরির কাজ করছিল। ফলে, তাদের বাইরে থেকে কেউ দেখতে পায়নি। আচমকা  বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। এরপরই মাঠের মধ্যে গিয়ে দেখি, দুজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একজনের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, বোমা বিস্ফোরণ কেন ঘটল তা পুলিশ প্রশাসনের দেখা দরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের। তবে, কারা এই ধরনের অসামাজিক কাজ করছিলেন তা খতিয়ে দেখছি। এই এলাকায় এসব চলতে পারে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: স্কুল গেটের বাইরে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা, কেন জানেন?

    Murshidabad: স্কুল গেটের বাইরে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পায়ের তলায় জল। স্কুল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে হাতে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা। এমনই চিত্র দেখা গেল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের নয়নশুক পঞ্চায়েতের দীপচন্দ্রপুর হাজারপুর জুনিয়র হাইস্কুলে। রাজ্যে ‘কন্যা’দের পড়াশোনার অগ্রগতির জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। সেই পড়ুয়াদের স্কুলের বেহাল রাস্তা ও নিকাশি সংস্কারের দাবিতে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ এলাকার মানুষ কখনও দেখেননি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেয় পড়ুয়ারা।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    অতিবৃষ্টির পর থেকে রাজ্যের একাধিক স্কুলের ভেতর জলা জমার চিত্র উঠে এসেছে। অনেক জায়গায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) স্কুলের বেহাল দশার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও। এই স্কুলের ভিতরে হাঁটু সমান জমা জল। সেই জমা জল দিয়েই স্কুলে ঢুকতে বাধ্য হচ্ছে ছাত্র- ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলকেই।  প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। আর ঠিক তারই প্রতিবাদে হাতে ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ পড়ুয়াদের। সঙ্গে জমা জলে ছোট নৌকা চালিয়ে মাছ ধরে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ দেখাল স্কুল পড়ুয়া ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

    স্থানীয় অভিভাবকদের কী বক্তব্য?

    ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের অভিযোগ, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে স্কুলের ভিতরে ও বাইরে ব্যাপক জল জমে রয়েছে। ফলে ওই জল পেরিয়ে স্কুলের পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ওই জল পেরিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে। বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই, রাস্তা নেমে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় ছিল না। আর পড়ুয়াদের সমস্যা বলে তাঁরা নিজেরা পোস্টার নিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়।

     বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক- শিক্ষিকাদের কী বলেন?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) স্কুলের এরকম বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক- শিক্ষিকারাও। তাঁদের বক্তব্য, এরকম জল জমলে তো আমাদের আসা যাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে। এমনিতেই জেলায় ডেঙ্গি বাড়ছে। স্কুলের ভিতরে এবং রাস্তায় জমা জল থাকলে ডেঙ্গি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি অবিলম্বে দেখা দরকার। কিন্তু, সব জায়গায় জানিয়েও আমরা লাভ পায়নি। তাই, এইভাবে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরুণময় দাস বলেন, বৃষ্টির কারণেই এই জল জমার সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখানে নিকাশি ব্যবস্থার কিছু সমস্যা আছে। সেই কারণেই জল জমে থাকছে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করলে অনেকটা সমস্যা মিটবে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: প্রধানের কাছে ত্রিপল চেয়ে তৃণমূল কর্মীর জুটল মার, শাসক দলের কীর্তি দেখে তাজ্জব এলাকাবাসী

    Murshidabad: প্রধানের কাছে ত্রিপল চেয়ে তৃণমূল কর্মীর জুটল মার, শাসক দলের কীর্তি দেখে তাজ্জব এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রধানের কাছে ত্রিপল চাইতে গিয়ে এরকম ভয়ানক পরিণতি হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘি ব্লকে গোবর্ধনডাঙা এলাকার বাসিন্দা শিলু মণ্ডল। যারা ভোট দিয়ে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এনেছিলেন, সেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে দলের পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে এভাবে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটবে তা এলাকার মানুষও ভাবেননি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গোবর্ধনডাঙা অঞ্চলের কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্তরা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শিলু মণ্ডলকে বিষয়টি জানান। তিনি প্রধানকে ফোন করে ত্রিপলের জন্য আবেদন জানান। প্রধানের স্বামী স্বপন হাঁসদা ফোন তুলে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়। এরপরই প্রধান ও তাঁর স্বামী দলবল এনে ওই তৃণমূল কর্মীকে পাড়ার সকলের সামনে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর স্ত্রী মমতা মণ্ডল স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক পেটানো হয়।

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী শিলু মণ্ডল বলেন, সামান্য ত্রিপলের জন্য এভাবে প্রধান দলবল নিয়ে এসে হামলা চালাবে তা ভাবতে পারিনি। এলাকার মানুষের জন্য আমি কাজ করেছি। এটাই আমার অপরাধ। যাদের ভোট পেয়ে তৃণমূল বোর্ড গঠন করল তারা এভাবে হামলা চালাল। দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।

    অভিযুক্ত প্রধানের কী বক্তব্য?

    পঞ্চায়েত প্রধান পার্বতী হাঁসদা বলেন, আমি টোটো করে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তা আটকে আমাকে ওরা ত্রিপল চাওয়ার কথা বলে। আমি পঞ্চায়েতে আবেদন জানাতে বলি। কিন্তু, ওরা তা না শুনে আমার উপর চড়াও হয়। আমার স্বামী বাধা দিতে গেলে তাঁকে ওরা মা়রধর করে। আসলে ওরা মদের ঠেক চালায়। আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ওরা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share