Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Militant: অসম-বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক? মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ২  জঙ্গি

    Militant: অসম-বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক? মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ২ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের পরিস্থিতি যতই অশান্ত হচ্ছে, মৌলবাদী-কট্টরপন্থীদের দাপট যত বাড়ছে, ততই পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। বাংলাদেশের জেল থেকে জঙ্গি (Militant) পালানো, একাধিক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে বাংলাদেশ প্রশাসনের মুক্তি দেওয়া, পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো নথি দিয়ে তৈরি পাসপোর্ট বাংলাদেশিদের হাতে যাওয়া, বাংলাদেশি জঙ্গির ধরা পড়া, পরপর এই ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ-আতঙ্ক চরমে উঠছে। এই আবহের মধ্যে গত দুদিনে ৮ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃত ৮ জনের মধ্যে ২ জন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বাসিন্দা। মহম্মদ আব্বাস আলি হরিহরপাড়ার বাসিন্দা। মগুরার বাসিন্দা মিনারুল শেখ।

    ধৃতরা কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর? (Militant)

    ধৃত মণিরুল শেখ ও মহম্মদ আব্বাস আলি, জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলার (Militant) সদস্য বলে অনুমান পুলিশের। জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার শাখা সংগঠন বাংলাদেশের ‘আনসারুল্লা বাংলা’। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির সহযোগী মহম্মদ ফারহান ইশরাকের নির্দেশেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকে একটি টিম। যার মধ্যে অন্যতম অসম পুলিশের জালে ধরা পড়া মহম্মদ শাদ রদি ওরফে শব শেখ। ধৃত শাদ রাদি বাংলাদেশের রাজশাহির বাসিন্দা। অগাস্টে বাংলাদেশে অস্থিরতার শুরু, নভেম্বরে ভারতে পাঠানো হয় মহম্মদ শাদ রাদিকে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    অসম ও বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক!

    অসম ও বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক কষছিল ধৃত জঙ্গি। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গির (Militant) সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মহম্মদ শাদ রাদির। ধৃতদের থেকে উদ্ধার ৪টি পেনড্রাইভ, বাংলাদেশি সার্টিফিকেট সহ একাধিক ভারত বিরোধী নথি। আরএসএস-এর কয়েকজনকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল, দাবি অসম পুলিশ সূত্রের। ধৃতদের বিরুদ্ধে UAPA ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদে ধৃত জঙ্গির প্রতিবেশী বলেছেন, ‘‘ও তো বলল আমি বাচ্চা ছেলে পড়াব। তাই বলে নিয়েছে। দিনে পড়ত। রাতে চলে যেত।’’ ১০ ডিসেম্বর অসম পুলিশের এসটিএফের কাছে গোপন সূত্র মারফত খবর আসে। আধিকারিকরা জানতে পারেন, বাংলাদেশ থেকে নাশকতা চালানোর জন্য ভারতে ঢুকেছে বেশ কিছু জঙ্গি। এরপরই শুরু হয় ‘অপারেশন প্রঘাত’, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর বাংলা, কেরল ও অসমে অভিযান চালায় অসম পুলিশের এসটিএফ। এরপরই জালে ধরা পড়ে ৮ জঙ্গি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: জয়নগরের পর বিচার পেল ফরাক্কা, নাবালিকা ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজা

    Murshidabad: জয়নগরের পর বিচার পেল ফরাক্কা, নাবালিকা ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরের পর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা। আবারও নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দ্রুত বিচার পেল নির্যাতিতার পরিবার। প্রায় দুমাসের মধ্যেই এই ঘটনায় মূল দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে কঠোরতম সাজা শোনাল আদালত। ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত দীনবন্ধু হালদারকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হল। আর এক অভিযুক্ত শুভজিৎ হালদারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জঙ্গিপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায় শুক্রবার বিকেলে দুই অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Murshidabad)

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কায় (Farakka ) নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিন। ওই নাবালিকার বাবা ও মা দু’জনেই কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকেন। তাই, নাবালিকাও তাঁদের সঙ্গে ভিন রাজ্যে থাকত। কিন্তু, পুজো উপলক্ষে সে ফরাক্কায় তার মামাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। দশমীর সকালে মেয়েটি অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করছিল। সেই সময়েই দীনবন্ধু হালদার তাকে ভুলিয়ে নিজে ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে বাচ্চাটির ওপর চরম যৌন অত্যাচার করা হয় এবং পরে তাকে খুন করে বস্তাবন্দি করে রাখা হয়। এই কুকীর্তিতে দীনবন্ধুকে পূর্ণ সহযোগিতা করে শুভজিৎ। এই দু’জনই এই এলাকার বাসিন্দা এবং তারা দু’জনই মাছ বিক্রেতা। এই প্রসঙ্গে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার বলেন, “মূল দুই অপরাধী এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করলেও, তাতে লাভ হয়নি। তারা যে নাবালিকাকে সঙ্গে নিয়ে ওই ঘরে ঢুকেছিল, সেটা স্থানীয় এক মহিলা দেখে ফেলেন। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে গোটা ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যায়।”

    আরও পড়ুন: সর্বকনিষ্ঠ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! দাবায় সেরা ডি গুকেশ, কুর্নিশ সচিন-মোদি-মুর্মুদের

    ময়না তদন্তের রিপোর্টে কী জানা যায়?

    ময়না তদন্তের (Murshidabad) রিপোর্টে জানা যায়, ওই নাবালিকার ওপর পৈশাচিক অত্যাচার করা হয়েছিল। মেঝেয় মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছিল মেয়েটিকে। যে কারণে তার গলার হাড় ভেঙে যায়! এমনকী, মৃত্যুর পরও নাবালিকার মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়! পুলিশের দাবি, তথ্য-প্রমাণ যথাযথ থাকায় ধৃত দীনবন্ধ ও শুভজিতের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে কোনও সমস্যা হয়নি। পাশাপাশি, আদালতও অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই মামলার শুনানি করেছে। বৃহস্পতিবারই জঙ্গিপুরের আদালত ধৃতদের দোষী সাব্যস্ত করেছিল এবং শুক্রবার তাদের সাজা ঘোষণা করা হল। উল্লেখ্য, জয়নগরেও নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মাত্র ৬২ দিনের মাথায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা এবং তার বিরুদ্ধে ফাঁসির সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছিল। তারপর সমান দ্রুততার সঙ্গে ফরাক্কাতেও দোষীদের শাস্তি দেওয়া হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: একটি বাবরি মসজিদের পাল্টা মুর্শিদাবাদে ২২টি রাম মন্দির করা হবে, ঘোষণা হিন্দু সেনার

    Ram Mandir: একটি বাবরি মসজিদের পাল্টা মুর্শিদাবাদে ২২টি রাম মন্দির করা হবে, ঘোষণা হিন্দু সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরির কথা বলেছেন হুমায়ুন কবীর। পাল্টা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) প্রতিটি বিধানসভায় একটি করে রাম মন্দির তৈরি করা হবে, দাবি করলেন বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি অম্বিকানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরি হোক, তাতে কোনও আপত্তি নেই। তবে তাঁরা জেলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) আদলে একটি করে মন্দির তৈরি করবেন। বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি যা বলেছেন, তাতে জেলায় ২২টি রাম মন্দির তৈরি করা হবে।

    বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি আর কী বললেন? (Ram Mandir)

    ভিডিও বার্তায় বঙ্গীয় হিন্দু সেনার সভাপতি অম্বিকানন্দ মহারাজ আরও বলেছেন, ‘‘মাই ডিয়ার হুমায়ুন কবীর, আপনি ঘোষণা করেছেন যে বেলডাঙায় নাকি একটি বাবরি মসজিদ তৈরি করবেন। সেটার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ২০২৫ সালের ৬ ডিসেম্বর। বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য আপনাকে আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি হুমায়ুন সাহেব। আপনি বাবরি মসজিদ বানান। বেলডাঙার মাটিতেই বানান। আপনাকে আমরা আমন্ত্রণ জানাব, মুর্শিদাবাদের প্রত্যেক বিধানসভায় একটি করে রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি করার জন্য। মুর্শিদাবাদের প্রত্যেক বিধানসভায় একটি করে রাম মন্দির তৈরি করব।’’

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    বাবরি মসজিদ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরির বিষয়ে নিজের অবস্থানে অনড় আছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। আমি ইসলাম ধর্ম মেনে চলি। আমার মসজিদ বানানোর অধিকার আছে। ভারতবর্ষের সমস্ত নিয়ম মেনে আমি মসজিদ তৈরি করব। আর তাই এই বিষয়টানিয়ে কে কী বললেন, তাতে আমার যায় আসে না। তাঁদের প্রশ্নেরও উত্তর দেওয়ার কোনও প্রয়োজন বোধ করি না।’’ সেই সঙ্গে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, বাবরি মসজিদ উদ্বোধনের সময় যিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেই সময় যিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তাঁর কাছেও আমন্ত্রণ যাবে।

    রাম মন্দির তৈরির পক্ষে সওয়াল করল বিজেপি

    অন্যদিকে, বুধবার বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন যে মুর্শিদাবাদের আগামী ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, নাহলে ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি করবেন। আসলে মুর্শিদাবাদ জেলায় একটি রাম মন্দিরের প্রয়োজন আছে। এর ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকবেন। ইতিমধ্যেই বহরমপুর থেকে বেলডাঙা এবং জঙ্গিপুরের মধ্যে চারটি জমির খোঁজ এসেছে। তবে, মন্দির কোথায় করা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: অশান্ত বাংলাদেশ! মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি সীমান্তে বিএসএফের কড়া নজরদারি, কী কী ব্যবস্থা?

    BSF: অশান্ত বাংলাদেশ! মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি সীমান্তে বিএসএফের কড়া নজরদারি, কী কী ব্যবস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। এই আবহের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রহরা জোরদার করছে বিএসএফ (BSF)। কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় জমি! সেই জমিকে আগলে রাখতে বিএসএফের সর্বক্ষণ কড়া নজরদারি সীমান্তবর্তী এলাকায়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন সেই এলাকায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ এবং সুরক্ষিত রয়েছে। 

    মুর্শিদাবাদ সীমান্তে কড়া নজরদারি (BSF)

    জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের রাজানগর, কাকমারী, জলঙ্গী, রানিনগর সীমান্তের জিরো পয়েন্ট অর্থাৎ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসএফ (BSF) জওয়ানদের মোতায়েন করা হচ্ছে। দু’দেশের সীমান্তের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিএসএফ ক্যাম্প এবং ওপি পয়েন্টগুলি। নজরদারি বাড়াতে বাড়ানো হচ্ছে টহলদারি ভ্যানের সংখ্যা। বাড়ানো হয়েছে উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। এতদিন বিএসএফ সীমানার ভেতরের দিকে ডমিনেশন লাইনে মোতায়েন ছিল। কারণ, রাস্তাঘাট, আলোর সুবিধা ছিল। আইবি দূরে ছিল, সেখানে যাতায়াতের সুবিধা ছিল না। সীমান্ত এলাকার মানুষজন, যারা বিশেষত চরে চাষবাস করেন তারা বড় সমস্যার মুখোমুখি হন এতদিন। মূলত সীমান্ত এলাকার চরের কৃষি জমিতে বাংলাদেশি দুর্বৃত্তদের হানা ও অনুপ্রবেশ রুখতে এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফ-এর মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি অনিল কুমার সিনহা জানান, ‘‘চেকিং পয়েন্ট জিরো লাইনের কাছে এগিয়ে দেওয়া হল। কৃষকদের সুবিধা বাড়াতেই এই পদক্ষেপ, যাতে তারা কৃষিকাজে সময় পান। কৃষকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও নজর রাখা হবে।”

    আরও পড়ুন: এবার ঢাকার ইসকন মন্দিরে আগুন লাগাল মৌলবাদীরা, পুড়ল লক্ষ্মী-নারায়ণের মূর্তি

    জলপাইগুড়ির সীমান্তে জোর দিল বিএসএফ

    জলপাইগুড়ি সীমান্ত (BSF) এলাকায় কাঁটাতারের ওপারে থাকা ভারতীয় জমিকে ঘিরে বেশ ভয়ে ভয়ে দিন কাটাতে হয় সীমান্তবর্তী কিছু এলাকাবাসীদের। কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে, বাংলাদেশের পঞ্চাগড় জেলার ভুজালিপাড়া সহ অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকা সংলগ্ন কাঁটাতারের ওপারে ভারতের জমি রয়েছে, সেই জমিতে রুজি রুটির জন্য নিয়মিত চাষাবাদ করে ভারতীয় কৃষকরা। সন্ধ্যে হওয়ার আগেই কাঁটাতারের এপারে চলে আসতে হয় কৃষকদের। এই সব এলাকায়  সর্বক্ষণ কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। তাদের জন্যেই এখনও পর্যন্ত স্বস্তিতে থাকতে পারছেন সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা। স্থানীয়দের কথায়, এখনও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এলাকাগুলিতে। জলপাইগুড়ি বর্ডার সংলগ্ন এলাকায় যেমন খারিজা বেরুবারি ২, বোনাপাড়া, সিপায় পাড়া ইত্যাদি এলাকায় বিএসএফের উপস্থিতি বেশ শক্তিশালী। তেমনই বিপরীত পাড়ে বাংলাদেশের পঞ্চাগড় এলাকাতেও শান্তি বজায় রাখা হয়েছে। বিএসএফের উপস্থিতি এবং তাদের কার্যক্রমের কারণে এলাকাবাসীরা বর্তমানে নিশ্চিন্তে শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন।

    ইউনূস জমানায় কতজন অনুপ্রবেশ করেছে ভারতে?

    মহম্মদ ইউনূসের সরকার গঠনের পর থেকে ভারতে নাকি একজনও বাংলাদেশি বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশ করেনি। এমনই দাবি করল বিএসএফ। বিএসএফ (BSF) প্রধান দলজিৎ সিং চৌধুরি বলেন, ‘‘৫ অগাস্টের পর বাংলাদেশ থেকে যারাই ভারতে এসেছে, তারা বৈধ ভিসা নিয়েই সীমান্ত পার করেছে। প্রাথমিক ভাবে সীমান্তে অনেকেই ভিড় করেছিল বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করার জন্যে। তবে বিএসএফের তৎপরতা এবং বিজিবির সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়ার জন্যেই কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটেনি।” উল্লেখ্য, এই বছরে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১১ হাজার ৮৬৬ কেজি মাদক উদ্ধার হয়েছে। ১৪টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ২২ পাচারকারীকে খতম করা হয়েছে। ৪১৬৮ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও সীমান্তে পাচারের সময় উদ্ধার হয়েছে ১৩০০ কোটি মূল্যের ১৭৩ কেজি সোনা এবং ১৭৯ কেজি রুপো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tab: ট্যাব কেনার টাকা গায়েব কলকাতার দুই স্কুলে, মুর্শিদাবাদে পড়ুয়াদের টাকা চলে গেল বিহারে!

    Tab: ট্যাব কেনার টাকা গায়েব কলকাতার দুই স্কুলে, মুর্শিদাবাদে পড়ুয়াদের টাকা চলে গেল বিহারে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের দেওয়া ট্যাব (Tab) কেনার টাকা গায়েব। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকশো পড়ুয়াকে ট্যাব কেনার জন্য দেওয়া অর্থ অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়া এবং কারও কারও অ্যাকাউন্টে দ্বিগুণ টাকা ঢোকার ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের একাধিক জেলায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। সোমবার নবান্নে এ নিয়ে বৈঠকের পর জেলায় জেলায় হানা দিয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত দুই জেলা থেকে চারজনের গ্রেফতারের খবর মিলেছে। এরই মধ্যে এবার খোদ কলকাতাতেই (Kolkata) দুটি স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে। আর মুর্শিদাবাদে রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে ভিনরাজ্যে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা চলে গিয়েছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কলকাতায় ঠিক কী হয়েছে? (Tab)

    একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব কিনতে,’তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে পড়ুয়া প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই টাকা অ্যাকাউন্টে জমা পড়া নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক। জানা গিয়েছে, যাদবপুর এবং ঠাকুরপুকুরের দুই স্কুলের বেশ কিছু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের (Tab) টাকা ঢোকেনি। এই মর্মে দুই স্কুল কর্তৃপক্ষ যাদবপুর থানা এবং সরশুনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করে দেখছে। জানা গিয়েছে, যাদবপুরের এক স্কুলের ১২ জন পড়ুয়া এবং ঠাকুরপুকুরের এক স্কুলের ৩১ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। সেই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এর পরেই মঙ্গলবার দুই স্কুল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট দুই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

    কোন কোন জেলা থেকে টাকা গায়েব?

    তথ্য বলছে, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুর-এই ছ’টি জেলা থেকে ট্যাবের টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে ৩০৯ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে রাজ্য সরকারের কাছে যে তথ্য এসেছে, তাতে প্রধান শিক্ষকদেরই গাফিলতি ধরা পড়েছে। বিষয়টিতে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব বিনোদ কুমারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে বলেছেন।

    মুর্শিদাবাদের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা বিহারে!

    মুর্শিদাবাদের সালার থানার একটি স্কুলের ১৫ পড়ুয়ার টাকার (Tab) গায়েব হয়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ সেই টাকার হদিশ পায়। পুলিশ সূত্রের খবর, সালার থানার চিঁয়া শান্তি সুধা দাস বিদ্যামন্দিরের একাদশ ও দ্বাদশের ১৫ জন ছাত্রছাত্রীর টাকা সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এ-ও উঠে এসেছে, ১৫ পড়ুয়াকে পাঠানো মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঢুকেছে বিহারের কিষাণগঞ্জের একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তুলেও নেওয়া হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, বিহারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ১৫ পড়ুয়ার টাকা ঢুকেছে। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর এক হলেও আইএফএসসি কোডপরিবর্তন করে ওই জালিয়াতি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশের সাইবার অপরাধ শাখা। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ জেলারই প্রায় পাঁচ হাজার পড়ুয়া ট্যাবের জন্য দ্বিগুণ অর্থ অর্থাৎ ২০ হাজার টাকা করে পেয়েছে। যদিও ওই টাকা তোলার আগে অ্যাকাউন্টগুলি ‘ফ্রিজ়’ করে দিয়েছে প্রশাসন। নবান্নের নির্দেশে এই পুরো ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2024: বিশেষত্ব বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য, একই গ্রামে ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো মুর্শিদাবাদে!

    Jagadhatri Puja 2024: বিশেষত্ব বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য, একই গ্রামে ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো মুর্শিদাবাদে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্ধাত্রী পুজো মানে একবাক্যে সকলেই চন্দননগর, কৃষ্ণনগরের নাম বলবেন। কিন্ত, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারের কাগ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Jagadhatri Puja 2024) আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। শুধুমাত্র একটি গ্রাম জুড়ে হয় ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো। আধুনিকতা কিংবা চাকচিক্য নয়, এখানকার পুজোর বিশেষত্ব সাবেক বনেদিয়ানা আর আভিজাত্য। এরই সঙ্গে মিশে আছে মেলা, নাগরদোলা, কবিগান, বাউলগান আর আবালবৃদ্ধবনিতার অনাবিল আনন্দ। জগদ্ধাত্রী এক দিনের পুজো হলেও এর রেশ থেকে যায় বেশ কয়েকটা দিন।

    কৃষ্ণচন্দ্রের পুজো দেখে গ্রামে পুজোর প্রবর্তন (Jagadhatri Puja 2024)

    কাগ্রাম জেলার প্রান্তবর্তী এক প্রাচীন বনেদি গ্রাম। রয়েছে বহু ব্রাহ্মণ, শাক্ত ও বৈষ্ণব পরিবার। মধ্য রাঢ়ের অতি প্রাচীন এই গ্রামের নামকরণ গ্রাম্যদেবী কঙ্কচণ্ডীর নামানুসারে। অতীতের কাগাঁ আজকের কাগ্রাম। পারিবারিক ও বারোয়ারি মিলিয়ে এখানে পুজোর সংখ্যা ২৭টি। এ গ্রামে দুর্গাপুজো, কালীপুজো সহ অন্যান্য পুজো (Jagadhatri Puja 2024) হলেও মুখ্য আকর্ষণ সাবেক মেজাজের জগদ্ধাত্রী পুজো। এ গ্রামের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম মার্সায় বাড়ির পুজো। সাবেক বাংলা রীতির প্রতিমায় আজও দেখা যায় অভিজাত্যের ছোঁয়া। শোনা যায়, পরিবারের আদিপুরুষ নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পুজো দেখে গ্রামে পুজোর প্রবর্তন করেন। পরবর্তী কালে বর্তমান মন্দিরটি নির্মিত হয়। আজও পুজোর প্রধান আকর্ষণ মহিষ বলি। পুরনো প্রথা মেনে হয় কুমারী পূজাও। এই পুজো ঘিরে হয় সাত দিন ব্যাপী মেলাও। এছাড়া রায়বাড়ির পুজো, পালবাড়ির পুজো, পশ্চিমপাড়ার বারোয়ারি পুজো দেখতে ভিড় উপচে পড়়ে। সারা রাত ধরে প্রতিমা দেখতে আশপাশর বহু গ্রামের হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন।

    বিসর্জনে শোভাযাত্রা

    শুধু সাড়ম্বরে পুজো নয়। কাগ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2024) বিসর্জনের শোভাযাত্রাও সমান আকর্ষণীয়। এক একটি প্রতিমার শোভাযাত্রা হয় দীর্ঘ বিস্তৃত। সঙ্গে থাকে আলোকসজ্জা এবং নানা ধরনের বাজনা। যেমন ব্যান্ড তাসা ইত্যাদি। বিসর্জন উপলক্ষে মেলে প্রশাসনের বিশেষ সহযোগিতা। প্রতিটি পাড়ার প্রতিমার সঙ্গে থাকে পুলিশ পোস্টিং।  আগে বাহকদের কাঁধে চেপে প্রতিমা বিসর্জনে গেলেও এখন ট্রলিতে কিংবা ভ্যানে প্রতিমা বিসর্জনে যায়। যে সব পুজোগুলি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে প্রশাসনের তরফে পুজো কমিটিকে প্রতিমা তোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে। সেই অনুযায়ী হয় বিসর্জন। মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে এই সব প্রতিমা সারা রাত গ্রাম প্রদক্ষিণ করে পরদিন সকাল ৯টা নাগাদ মণ্ডপে ফেরে। তার পরে শুরু হয় বিসর্জন পর্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কান্দিতে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, তাজা বোমা! তীব্র চাঞ্চল্য

    Murshidabad: কান্দিতে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, তাজা বোমা! তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দিতে তৃণমূল নেতার (TMC Leader) বাড়ি থেকে উদ্ধার একটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি কার্তুজ এবং তাজা বোমা। শনিবার রাতে কান্দি থানার কুমারষণ্ড গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য আলিমুল শেখের বাড়ি থেকে ওই সব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পলাতক বলে জানা গিয়েছে। তবে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগও রয়েছে।

    ওয়ান শটার বন্দুক, চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার (Murshidabad)!

    কান্দি (Murshidabad) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম ইলু আহম্মেদ, নাজমুল হক এবং তাজমুল শেখ। সকলেরই বাড়ি কান্দি থানার গোকর্ণ বিজয়নগর অঞ্চলে। ধৃতদের কাছ থেকেও চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কেন এই আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা মজুত করা হয়েছিল এবং কোন উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করা হবে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোনও রকম নাশকতা মূলক ছক রয়েছে কিনা, কোথা থেকে আনা হয়েছে এই অস্ত্র, এই বিষয়েও তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।

    আবার স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। গতকাল রাতে তার বাড়িতে হানা দিয়ে বোমা, বন্দুক ও গুলি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ওই তৃণমূল নেতার তিন অনুগামীকেও। তাদের কাছ থেকে ওয়ান শটার বন্দুক, চার রাউন্ড গুলি ও ৪টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ এখনই ঠান্ডার আমেজ নয়, থাকবে কুয়াশা! রাজ্যে শীত নিয়ে কী পূর্বাভাস?

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    বহরমপুর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের (TMC Leader) সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “কী উদ্ধার হল, না হল তা প্রশাসনের দেখার কাজ। আমরা শান্তির জন্য লড়াই করি। আর শান্তির জায়গায় যদি বাধা সৃষ্টি হয়, তা হলে পুলিশকে রাজনৈতিক রং না দেখেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলব। পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ভরসা রয়েছে আমাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: “কেউ নূপুর পরে দরজা পর্যন্ত এসে চলে যাচ্ছে”, কালীবাড়ি ঘিরে গা ছমছম করা কাহিনি!

    Kali Puja 2024: “কেউ নূপুর পরে দরজা পর্যন্ত এসে চলে যাচ্ছে”, কালীবাড়ি ঘিরে গা ছমছম করা কাহিনি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে কৃষ্ণেন্দু হোতা মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাচীন সয়দাবাদে শিবমন্দির সহ একটি কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত এই মন্দিরের গর্ভগৃহে কোনও রকম বৈদ্যুতিক আলো জ্বালানো হয় না। এখানে প্রদীপের আলো এবং মোমবাতি জ্বালিয়েই সারা বছর মায়ের পুজো (Kali Puja 2024) হয়। মুর্শিদাবাদ জেলায় চারচালা বৃহত্তম মন্দির বলে এই দয়াময়ী কালীবাড়িকেই মানুষ জানে। কিন্তু এই কৃষ্ণেন্দু হোতা কে? জানা যায়, তিনি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির নায়েক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন সাধকও। এই মন্দির এবং মায়ের মূর্তি তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন। দয়াময়ী মন্দিরের (Dayamayee kalibari) সামনের দালানমন্দিরে গ্রহরাজের পুজো হয়। দয়াময়ী মা জাগ্রতা বলে সবাই বিশ্বাস করেন। কৃষ্ণেন্দু হোতার বাড়ি ছিল মায়ের মন্দিরের পিছনে। তিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে মায়ের দর্শন পান। শোনা যায়, সে সময় সেখানে মায়ের ছাল রেখে গিয়েছিলেন। তিনি তার পর মাকে এখানে প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে কোনও রকম ঘটে পুজো হয় না। কারণ মা এখানে তাঁর দেহের অংশ ছেড়ে রেখে গিয়েছেন। সে কারণে এখানে মায়ের পুজো হয় দেহে। অমাবস্যার দিন ১২ মাসেই তাঁর পুজো এখানে হয়। বিশেষ আমাবস্যার পুজো হয় কার্তিক মাসে। এই সময় বহু মানুষের সমাগম হয় এই দয়াময়ী কালীবাড়িতে এবং হাজার চার-পাঁচেক লোকের ভোগ রান্না করা হয়।

    জহুরা মায়ের ইচ্ছা (Kali Puja 2024) 

    এ বিষয়ে দয়াময়ী কালীবাড়ির পুরোহিত বলেন, যতক্ষণ মা শিবের উপর দণ্ডায়মান আছেন, ততক্ষণ শক্তি। যেই মা নেমে যাবেন, আর আমাদের শক্তি থাকবে না। এই দয়াময়ী কালীবাড়ির মূর্তি নিয়ে নানান ধরনের ঘটনা উল্লেখিত আছে। কথিত আছে, একবার জহুরা মা এসে সাধনার জন্য জবরদস্তি করেছিলেন। তাঁর ইচ্ছে ছিল, মায়ের আসনে বসে সাধনা করবেন। কিন্তু আমার দাদু বলেছিলেন, “আপনি অবশ্যই সাধনা করতে পারবেন। কিন্তু তার আগে আপনার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।” কী সেই পরীক্ষা? “আমি একটা মালা ওখানে রেখে দিয়ে আসব। সেই মালাটি কোনও রকম স্পর্শ না করে কারও সহযোগিতা না নিয়ে মায়ের গলায় পরাতে হবে।” এই কথা শোনার পর জহুরা মা বলেন, এটা কখনও সম্ভব? তার উত্তরে তিনি বলেন, সম্ভব এবং তিনি তা করেও দেখিয়েছেন। তাঁর দাবি, দাদু বেশ কয়েকবার মায়ের দর্শন পেয়েছেন।

    নূপুরের শব্দ (Dayamayee kalibari)

    তাঁর মুখ থেকে শোনা যাক তেমনই কিছু ঘটনা। তিনি বলে চলেন, “দুপুরবেলায় বাচ্চারা এখানে খেলতে আসত। সে সময় বন্যা হওয়ার কারণে মন্দিরের নীচের চত্বর থেকে জলে পরিপূর্ণ ছিল।। তারা খেলতে এসে দেখে, মন্দিরের সামনে একজন মাথা নিচু করে পড়ে আছে। তার চুলগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বাচ্চারা ওই দেখে ভয় পেয়ে ছুটে গিয়ে দাদুকে সমস্ত কথা জানায়। তখন দাদু ছুটে এসে দেখে মায়ের সেই রূপ।” এই দয়াময়ী কালীবাড়ির (Kali Puja 2024) মাকে নিয়ে নানান ধরনের ঘটনা আছে। শোনা যাক আরও একটি ঘটনা। তিনি বুলেন, “দাদুর বন্ধু ঠাকুর-দেবতায় বিশ্বাসী ছিলেন না। দাদু ওই বন্ধুকে বলেছিলেন, মন্দিরের এই ঘরে তুই যদি থাকতে পারিস এক রাত, তোকে ৫ টাকা দেওয়া হবে এবং পেট ভর্তি রসগোল্লা খাওয়ানো হবে। এই কথা শুনে সেই বন্ধু ওই ঘরে রাতে থাকার জন্য ঢোকেন। দু-দিন পর সেই বন্ধু বাড়িতে আসেন এবং দাদুকে বলেন, আমি আর জীবনে কোনও দিন মন্দিরে রাতের বেলায় প্রবেশ করব না। কী হয়েছে জানতে চাইলে ওই বন্ধু বলেন, আমি যখনই শুতে যাচ্ছি, তখনই দেখা যাচ্ছে কেউ নূপুর পরে আমার দরজা পর্যন্ত এসে চলে যাচ্ছে। কিন্তু দরজা খুলে দেখা যাচ্ছে, কেউ নাই। এই রকম ঘটনা তিন-চার বার হওয়ার পর ওই বন্ধু নিজেকে সামলাতে না পেরে পাশে কাঠের দরজা টপকে পালিয়ে যান। জানিয়ে দিয়ে যান, তিনি আর জীবনে কোনও দিন এই মন্দিরে থাকবেন না। এই কারণে রাত নটা-দশটার পর এই মন্দিরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।

    আমিষ ভোগ (Kali Puja 2024) 

    তিনি জানান, এখানে আগাগোড়া আমিষ ভোগ দেওয়া হয়। এখানে মায়ের ভোগে মাছ প্রত্যেক দিন লাগবে। মাছবিহীন কখনও ভোগ হবে না। এখানে আমাবস্যার দিন মায়ের বিশেষ দুটি পছন্দের মাছ বোয়াল এবং শোল ভোগে দেওয়া হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC MLA: হুমায়ুনের কুশপুতুলে ঝাঁটা-জুতো পেটা দলীয় কর্মীদের, ‘গদ্দার’, ‘চোর বিধায়ক’ বলে স্লোগান

    TMC MLA: হুমায়ুনের কুশপুতুলে ঝাঁটা-জুতো পেটা দলীয় কর্মীদের, ‘গদ্দার’, ‘চোর বিধায়ক’ বলে স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক (TMC MLA) হুমায়ুন কবীরের খাসতালুকে বিধায়কের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের মিছিল বের হল। ‘তৃণমূল বিধায়ক চোর’, ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ করলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। শাসক দলের বিধায়কের এই অবস্থা দেখে সাধারণ মানুষ হাসাহাসি করেন। শাসক দলের বিধায়কের জনভিত্তি যে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC MLA)

    বুধবার ভরতপুরে বিধায়কের বিরুদ্ধে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা যে মিছিল বের করেন, তাতে প্রচুর (TMC MLA) মহিলা ছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল ঝাঁটা। আর পুরুষদের হাতে ছিল চটি। তৃণমূল বিধায়কের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে প্রকাশ্য রাস্তায় ঝাঁটা পেটা-জুতো পেটা করা হয়। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, বিধায়ক একজন চোর। তোলাবাজি করেন। সরকারি প্রকল্পের বাড়ি তৃণমূল কর্মীদের দেয় না। তাতে তিনি দুর্নীতি করেন। বিধায়ক হয়ে এলাকায় উন্নয়ন করা তাঁর লক্ষ্য নয়, টাকা আত্মসাৎ করাই প্রধান লক্ষ্য। তাই এই দুর্নীতিগ্রস্ত চোর বিধায়ককে আমাদের দরকার নেই। মিছিলে দলের বহু জনপ্রতিনিধি ছিলেন। সকলেই এই বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হন। জানা গিয়েছে, স্থানীয় ব্লক সভাপতির উদ্যোগে এই মিছিল করা হয়েছে। যদিও মিছিলে তিনি ছিলেন না।অন্যদিকে এই ঘটনার পর বিধায়কের নির্দেশে বৃহস্পতিবার পাল্টা ভরতপুরে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে দলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। একাধিক বাইক ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    আরও পড়ুন: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের উস্কানিতেই এসব হচ্ছে বলে দাবি করেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি (TMC MLA) বলেন, “ব্লক সভাপতি কী প্রোগ্রাম করেছেন, কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছেন বা আমরা বিরুদ্ধে বলেছেন, এ নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি ওই লেভেলের লোক না। আমি তাঁকে ব্লক সভাপতিও মানি না। আগামী কাল থেকে আমি অপূর্ব সরকারকে জেলা সভাপতিও মানব না, সেটা ঘোষণা করব। আমার ভরতপুরেই ঘোষণা করবেন আমার লোকেরা। আমি কলকাতা যাব।” যদিও জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “কোথায় বিক্ষোভ হয়েছে তা-ই জানি না। আমি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন, ফ্লাড রিলিফ নিয়ে ব্যস্ত। এগুলো সম্পর্কে আমার কাছে কোনও খবর নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: চালু হল মুর্শিদাবাদের নসিপুর ব্রিজ, তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ!

    Murshidabad: চালু হল মুর্শিদাবাদের নসিপুর ব্রিজ, তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২০ বছর আগে শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নসিপুর রেলব্রিজের কাজ। জমি জটের কারণে এতদিন ধরে আটকে ছিল কাজ। মোদি সরকারের উদ্যোগে অবশেষে নসিপুর রেল ব্রিজের ওপর দিয়ে শুরু হল ট্রেন চলাচল। বুধবার কলকাতা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এছাড়াও আজিমগঞ্জ স্টেশনে রেলের তরফ থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজিমগঞ্জ স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। দীর্ঘদিন ধরে জমি জটে আটকে থাকার পর অবশেষে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় খুশি জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ।

    তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ! (Murshidabad)

    ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নসিপুর (Murshidabad) রেল ব্রিজের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। এরপর ২০০৫ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে শিয়ালদা সেকশনে সরাসরি যোগাযোগের জন্য রেল ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১০ সালে এই রেল ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হয়। তবে, সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়নি। জমি জটের কারণে এতদিন ধরে আটকে ছিল কাজ। ২০২২ সালে পুনরায় সেই কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালে সেই কাজ শেষ হয়। চলতি বছরেই রেল লাইনের  ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বুধবার যাত্রীবাহী ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদের জেলার লালবাগ শহরের কাছে নসিপুর এলাকাতে রয়েছে এই ব্রিজ। শিয়ালদা- লালগোলা শাখাকে আজিমগঞ্জ শাখার সঙ্গে যুক্ত করেছে নসিপুর। এই ব্রিজের (Nashipur Rail Bridge) ওপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার সময় অনেকটাই কমে যাবে। শিয়ালদা থেকে উত্তরবঙ্গে যেতে এখন যা সময় লাগে, তার থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে পৌঁছনো যাবে। শুধু তাই নয়, উত্তর ভারতের (দিল্লির মতো) সঙ্গে রেল যোগাযোগ আরও উন্নত হয়ে উঠবে। মুর্শিদাবাদের মানুষ সহজেই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছতে পারবেন। তাঁদেরকে ঘুর পথে যেতে হবে না। এমনকী, নসিপুর সেতুর হাত ধরে মুর্শিদাবাদের আর্থিক উন্নতির পথ প্রশস্ত হবে। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, পণ্য পরিবহণ এবং অর্থনৈতিক ও শিল্পের উন্নতির ক্ষেত্রে এই লাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    আরও পড়ুন: ‘রোগী-ডাক্তার একই পক্ষ, বিপক্ষ সরকার’! বিচারের দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা

     রেল ব্রিজ চালু হওয়ায় কী কী সুবিধা মিলবে?

    শুধু মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) নয়, দীর্ঘদিন ধরে এই ট্রেন চালু হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন নদিয়াবাসীও। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই ‘মেমু’ ট্রেন উদ্বোধন করার পর কৃষ্ণনগর থেকে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচল শুরু হল। প্রথম পর্যায়ে আজিমগঞ্জ কৃষ্ণনগর দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল করবে নসিপুর ব্রিজের ওপর দিয়ে। পরবর্তীকালে এক্সপ্রেস ট্রেনও চলবে বলে রেল সূত্রে খবর। এতদিন নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের মানুষকে উত্তরবঙ্গে যেতে হলে হাওড়া কিংবা ব্যান্ডেল যেতে হত। আজিমগঞ্জ নসিপুর রেলব্রিজের সংযোগ স্থাপনের ফলে খুব সহজেই যাতায়াত করা যাবে।

    মোদি বড় উপহার দিলেন

    এই ট্রেন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “এতদিন ধরে সবাই রাজনীতি করে গিয়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল কেউ ট্রেন চালু করার সদিচ্ছা দেখায়নি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বড় উপহার দিলেন। এর ফলে বহু মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হবে।” এই ট্রেন চালু হওয়ার পর উত্তরবঙ্গ ও একাধিক জেলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হল এই এলাকার মানুষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share