Tag: Nabanna

Nabanna

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনেই ডিএ নিয়ে ধর্নার অনুমতি

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনেই ডিএ নিয়ে ধর্নার অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ রাজ্যে সরকারের বিরোধিতা করার অর্থই হল প্রশাসনের রোষানলে পড়া। সঙ্গত দাবি নিয়ে পথে নেমে কেউ আন্দোলন করলে তাতেও নেমে আসে শাসকের খড়্গহস্ত। পুলিশের প্রথম কাজই হয়, অনুমতি না দেওয়া। বিজেপি এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে এরকম একাধিক ঘটনার সাক্ষী রাজ্যবাসী। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অবশ্য হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে, পিছু হটে শেষমেশ অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে মমতার প্রশাসন। বৃহস্পতিবার একই ঘটনা ঘটল ডিএ আন্দোলনকারীদের ক্ষেত্রেও। তাঁদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সভার অনুমতি আটকে দিয়েছিল পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শর্তসাপেক্ষে সেই অনুমতি দিয়ে দিলেন। শুধু তাই নয়, এবারও বিচারপতির ভর্ৎসনা থেকে রেহাই মিলল না সরকারের।

    কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)

    সংগ্রামী যৌথমঞ্চের পরিকল্পনা ছিল, তারা নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের কাছে তাদের প্রতিবাদ সভা করবে। সেই মতো পুলিশের কাছে নিয়ম মাফিক আবেদনও করে তারা। কিন্তু প্রথা মেনে পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। যুক্তি হল, রাজ্যের প্রশাসনিক কার্যালয় হল নবান্ন। সেখানে এই ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচি হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, নিরাপত্তাও হতে পারে বিঘ্নিত। রাজ্যের আরও যুক্তি ছিল, এভাবে ধর্না দিয়ে নাকি কোনও কাজ হয় না। এরই উত্তরে বিচারপতি মান্থা পাল্টা প্রশ্ন করেন, রেড রোডেও তো ১৪৪ ধারা থাকে। তাহলে সেখানে প্রশাসন মিছিল বা শোভাযাত্রা করার অনুমতি কীভাবে দিচ্ছে? আর সেখানে অনুমতি দেওয়া হলে নবান্নের কাছে নয় কেন?
    এরপরই তিনি জানিয়ে দেন, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধর্না কর্মসূচি করা যাবে, তবে কোনওভাবেই তা যেন ৭২ ঘণ্টার বেশি না হয়। একসঙ্গে ৩০০ জনের বেশি একই সময়ে থাকার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিচারপতি (Calcutta High Court)। বিচারপতি আরও জানিয়ে দেন, ধর্নাতে কাজ হয় না, এই যুক্তিরও কোনও সারবত্তা নেই। কারণ চাকরিপ্রার্থীরা যখন ধর্না দিচ্ছেন, তখন তা দেখেই সরকার তাঁদের আলোচনার টেবিলে ডেকেছিল।

    কী কর্মসূচি যৌথমঞ্চের?

    আদালতের রায়ে দৃশ্যতই খুশির আবহ আন্দোলনকারীদের মধ্যে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কোর্টের (Calcutta High Court) রায় মেনে তাদের কর্মসূচিও ঘোষণা করে দিয়েছে। সেই মোতাবেক নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধর্নায় তারা বসবেন আগামী ২২ ডিসেম্বর, যা চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Raj Bhavan Kolkata: রাজ্যের হম্বিতম্বিই সার, তৃণমূল বিধায়ক শপথ নিলেন রাজভবনেই!

    Raj Bhavan Kolkata: রাজ্যের হম্বিতম্বিই সার, তৃণমূল বিধায়ক শপথ নিলেন রাজভবনেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ জারি করেছে নবান্ন তথা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস! অথচ শনিবার রাজভবনেই শপথ বাক্য পাঠ করতে দেখা গেল ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে। এতেই ওয়াকিবহাল মহল বলছে রাজ্যের কি তবে হম্বিতম্বিই সার হল? তাদের বিধায়ককে শেষ পর্যন্ত শপথ রাজভবনেই (Raj Bhavan Kolkata) নিতে হল!

    সাধারণভাবে বিধায়কের শপথগ্রহণ বিধানসভাতেই হয়ে থাকে 

    সাধারণভাবে বিধায়কের শপথ গ্রহণ রাজভবনে হয় না বরং তা বিধানসভাতেই হয়ে থাকে, কিন্তু এমন বিরল ঘটনা এবার এ রাজ্যে চোখে পড়ল। পাশাপাশি রাজভবনে (Raj Bhavan Kolkata) বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা গেল না বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং পরিষদীয় মন্ত্রীদের। এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্মলচন্দ্র রায়কে শপথ বাক্য পাঠ করান। তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিধায়কের পরিবারও। যদিও এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল ২৩ সেপ্টেম্বর তবুও তা ৩০ সেপ্টেম্বরে সম্পন্ন হল, মাঝখানে শপথ নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন।

    আরও পড়ুন: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায়

    কেন রাজভবনে শপথ?

    রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) তরফে বিধায়ককে চিঠি লিখে শপথ গ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। রাজ্য সরকার অভিযোগ তোলে যে তাদেরকে নাকি এ বিষয়ে কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি। এরপরে রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেন সিভি আনন্দ বোসকে। রাজভবনের যুক্তি, নবনির্বাচিত বিধায়ক রাজবংশী সমাজের এবং তাঁকে রাজভবনে শপথ বাক্য পাঠ করালে জনমানসে ইতিবাচক বার্তা যাবে। রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) দরজা যে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত, সেই বার্তাও পৌঁছানো সম্ভব। রাজ্যপালের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হয় সরকার। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৮ তারিখ ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়। নবনির্বাচিত বিধায়ক শপথ নিলেন ২২ দিন পরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে আন্দোলন নয়! পেন ডাউন রুখতে মরিয়া নবান্ন

    DA Protest: মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে আন্দোলন নয়! পেন ডাউন রুখতে মরিয়া নবান্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ বৃদ্ধির (DA Protest) দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা যন্তর মন্তরে ধর্নাও দিয়েছেন। হাইকোর্টে নির্দেশে মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে কর্মচারিদের একাংশের। কিন্তু তাতেও মেলেনি রফাসূত্র। এই আবহেই, ২২ মে সোমবার ফের এক দফা পেন ডাউন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। এবারেও কড়া অবস্থান নিল নবান্ন। আগের বারের মতো এবারেও নবান্নের বক্তব্য যে পেন ডাউন কর্মসূচির ফলে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে সাধারণ মানুষ। এবং তা সরকারি অফিসের কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটাবে। নবান্নের আরও হুঁশিয়ারি, নিজের অফিসে থেকে দায়িত্ব পালন করতে যদি কোন কর্মচারীকে না দেখা যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বিজ্ঞপ্তিতে কী জানাল নবান্ন?

    শনিবার বিজ্ঞপ্তিতে নবান্ন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে কোনভাবেই এই কর্মসূচি বরদাস্ত করবেনা সরকার। নির্দেশিকায় নবান্নের বক্তব্য, জনস্বার্থে পদক্ষেপ করবে সরকার। হাসপাতালে ভর্তি, নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু বা আগে থেকে নেওয়া অন্যান্য বিশেষ কারণের ছুটিগুলি ছাড়া সেই দিনগুলিতে অর্ধ বা পূর্ণদিবসের ছুটি নেওয়া যাবে না। অন্যথায় কারণ দর্শাতে হবে। এমনকি মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতেও কোন সরকারি কর্মীকে যদি কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, উপযুক্ত কারণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস থেকে বের হতে পারবেন না কোন সরকারি কর্মী। বেলা দেড়টা থেকে দুটোর মধ্যে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির সময় অন্য কোন কর্মসূচি পালন করা চলবে না, অন্যথায় প্রশাসনিক পদক্ষেপের মুখেও পড়তে হতে পারে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের। শুধু তাই নয়, যদি মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির সময় কেউ কর্মসূচি পালন করে তাহলে ধরে নেওয়া হবে যে তিনি সেদিন গরহাজির ছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে সেইরকম প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এই আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গত সোমবারেই জানিয়েছেন, সরকারি চাকুরিজীবীরা বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পান কাজ করার জন্য। তাঁদের আন্দোলনের ফলে বিঘ্নিত হয় সাধারণ মানুষের পরিষেবা।

    কী বলছে কর্মচারী সংগঠনগুলি?

    কর্মচারী সংগঠনের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘ন্যায্য দাবিতে কর্মীরা আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার দাবি মিটিয়ে দিলে এই সব আন্দোলনের দরকার পড়ে না। টিফিনের সময় হল কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সময়। সেই অধিকারেও হস্তক্ষেপ করেছে সরকার। ওই নির্দেশনামা বাতিলের দাবিতে সোমবার টিফিনের সময় দফতরে দফতরে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।’’ অপর এক আন্দোলনকারীর মতে, ‘‘রাজ্য সরকার এভাবে স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। যত দমন পীড়ন চলবে, প্রতিরোধ ততই বাড়বে।’’ আরেকটি কর্মচারী সংগঠনের মত হল, ‘‘কর্মবিরতি পালনে বেতন কাটা যেতে পারে কিন্তু অন্য কোন শাস্তি এভাবে দিতে পারে না সরকার। এটা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক এবং ডিএ সহ নানা দাবীতে আন্দোলন বাছাই করতে পদক্ষেপ।’’ এখন দেখার সোমবারে রাজ্য জুড়ে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Principal Secretary: রাজ্যপালের সচিব পদের জন্য তিনটি নাম পাঠাল নবান্ন! জানেন তাঁরা কে?

    Principal Secretary: রাজ্যপালের সচিব পদের জন্য তিনটি নাম পাঠাল নবান্ন! জানেন তাঁরা কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোসের সচিব (Principal Secretary) পদের জন্য তিনটি নাম রাজভবনে (Raj Bhawan) পাঠাল নবান্ন (Nabanna)। এই তিনজন হলেন, সুন্দরবন উন্নয়নের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্য, শ্রম দফতরের সচিব বরুণকুমার রায় এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন। নিয়ম অনুযায়ী, এই তিন জনের মধ্যে থেকেই একজনকে রাজ্যপালের সচিব (Principal Secretary) হিসাবে বেছে নেওয়ার কথা রাজভবনের।

    রাজ্যপালের সচিব (Principal Secretary) পদে কে?

    সম্প্রতি রাজ্যপালের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে রাজভবন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর তারপর থেকেই জল্পনা ছিল, রাজ্যপালের পরবর্তী প্রধান সচিব (Principal Secretary) কে হবেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কাকে নিজের প্রধান সচিব হিসাবে বেছে নেন সেটাই দেখার। রাজভবন এবং বিজেপি সূত্রের খবর, নবান্নের পাঠানো এই তিন নামের বাইরে থাকা আইএএস সুব্রত গুপ্তকে সচিব হিসেবে চাইছেন রাজ্যপাল। যদিও এই বিষয়ে নবান্ন কিংবা রাজভবনের তরফ থেকে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি। শনিবার এই সুব্রত গুপ্তকেই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নবান্নে ডেকেছিলেন। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠকও করেছিলেন। তবে সেই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা সামনে আসেনি। মনে করা হচ্ছে, রাজ্যপালের সচিব (Principal Secretary) প্রসঙ্গেই আলোচনা হলেও হতে পারে। এখন দেখার রাজ্যপাল কী করেন? তাঁর প্রধান সচিব হিসেবে (Principal Secretary) অন্য নাম পাঠাবেন না এঁদের মধ্যে থেকেই কাউকে নিজের সচিব হিসেবে বেছে নেবেন তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    রাজ্যের একাধিক দফতরের সচিব পদ সামলানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নন্দিনী চক্রবর্তী ছিলেন রাজ্যপালের প্রধান সচিব (Principal Secretary)। লা গণেশন যখন কিছু সময়ের জন্য বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে এসেছিলেন, তখন থেকেই নন্দিনী চক্রবর্তী এই পদে ছিলেন। এরআগে এই পদের দায়িত্ব সামলেছেন সুনীলকুমার গুপ্তা। এবার কে এই পদে বসে তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nabanna: নবান্ন উৎসবের তাৎপর্য জানুন

    Nabanna: নবান্ন উৎসবের তাৎপর্য জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নবান্ন” (Nabanna) শব্দের অর্থ “নতুন অন্ন”। নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। গ্রাম বাংলায় শব্দটি যে খুবই জনপ্রিয় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাইতো রাজ্য সরকার পরিচালনার ভবনের নাম নবান্ন। আবার বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের সৌজন্যে খবরের শিরোনামে প্রায়ই দেখা যায় নবান্ন অভিযান। গ্রাম বাংলার লোকাচার,  নবান্নতে (Nabanna) সাধারণত পুজো হয় দেবী অন্নপূর্ণার। হিন্দুশাস্ত্র তৈত্তিরীয়োপনিষদের ব্রহ্মানন্দবল্লীতে জীবদেহের পঞ্চকোষের উল্লেখ আছে। তার মধ্যে প্রধান হল অন্নময় কোষ। আমাদের এই স্থূল শরীরকেই বলা হয়েছে অন্নকোষ। বৃহদারণ্যকে বলা হচ্ছে, “অন্নে হীমানি সর্বাণি ভূতাণি বিষ্টানি”। সমস্ত চরাচর জগত এই অন্নেই প্রতিষ্ঠিত। অন্ন এবং প্রাণই ব্রহ্ম। আর ধান শুধু কৃষকের নয়, আপামর বাঙালির কাছে পূজিতা লক্ষ্মীর প্রতীক রূপে। কার্তিকের সংক্রান্তির দিন মাঠের ঈশান কোণ থেকে নতুন ধান মুঠো করে আনা হয় কৃষকের গৃহে, এই রীতি বহু প্রাচীন। অঘ্রাহায়ণের শুভদিনে ধান সম্পূর্ণ পেকে গেলে হয় নবান্ন উৎসব। এই দিন গৃহদেবতাকে নতুন ধানের চাল কুটে পায়েস বানিয়ে নিবেদন করা হয়। পিঠাপুলিও হয় কোথাও কোথাও। ধানের গোলা, মড়াই ঘিরে আলপনা দেওয়া হয়। তারপর সেই অন্নপ্রসাদ গ্রহণ করা হয়। যে-কোনও শস্যই আগে ইষ্ট বা গৃহদেবতাকে নিবেদন করার রীতি আছে বাংলায়। আর ধান তো প্রধান শস্য আমাদের। যাইহোক, আগে নবান্নের (Nabanna) পরেই ধান কাটার রীতি ছিল। পৌষে পৌষলক্ষ্মী ভরা ধান্যে অধিষ্ঠান করেন, এটাই ভক্তদের বিশ্বাস।

    আরও পড়ুন: শিব-পার্বতীর পুত্র কীভাবে হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক, জেনে নিন সেই গল্প

     গ্রাম বাংলায় কী কী হয় নবান্ন (Nabanna) উৎসবের দিন ? 

    এই সময়কালে গ্রামবাংলায় বড়ি দেওয়ার আচারও দেখা যায় কোথাও কোথাও। যেমন মেদিনীপুরের গয়না বড়ি খুবই বিখ্যাত। কর্তাবড়ি আর গিন্নিবড়ি বানিয়ে তেল-সিঁদুর, ধান-দুর্বা দিয়ে মায়েরা পূজা করেন। এছাড়াও আগেকার দিনে বিভিন্ন জিনিস ‘জিইয়ে’ রাখা হত এই সময়। কচি বাধাকপি, আমলকি, মাছ এবং আরও নানান জিনিস এই সময় নুন দিয়ে জারিয়ে জল বের করে শুকিয়ে শিকেয় তুলে রাখা হত। ভক্তদের বিশ্বাস,দেবী অন্নপূর্ণার পুজো করলে কখনও অন্নের অভাব হয়না। নবান্ন উৎসবে নতুন গুড় সহ নতুন চালের তৈরি খাবার বানিয়ে কলাপাতায় করে খাওয়ার রীতি দেখা যায়। প্রতিবেশী ও আত্মীয় এবং সেই সঙ্গে কাক-কে দেওয়া হয় ওই চাল মাখা। এটি একটি বিশেষ লৌকিক প্রথা। লোক বিশ্বাস অনুযায়ী, কাকের মাধ্যমে ওই খাদ্য পূর্ব-পুরুষদের কাছে পৌঁছে যায়। এই নৈবেদ্যকে বলে “কাকবলী”। 
    অগ্রহায়ণ মাস এলেই মাঠজুড়ে ধানকাটার ব্যস্ততা চোখে পড়ে। ধান ভাঙার গান ভেসে বেড়ায় আকাশে বাতাসে, এখন অবশ্য যান্ত্রিকতার ছোঁয়ায় ঢেঁকিতে ধান ভানার শব্দ খুব একটা শোনা যায় না। অথচ খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, ঢেঁকি ছাঁটা চাল দিয়েই হতো ভাত খাওয়া। খড়ের পালা, মাটির বাড়িতে গোবরের গোলা দিয়ে নিকানো উঠান,  তারমাঝে আল্পনা! নবান্ন (Nabanna) উৎসবে প্রতিটি গ্রামে এ যেন চেনা দৃশ্য। এখন অবশ্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক কিছুই বদলেছে। তার পরও নতুন চালের ভাত নানা ব্যঞ্জনে মুখে দেয়া হয় আনন্দঘন পরিবেশ। তৈরি করা হয় ক্ষীর- পায়েসসহ নানা উপাদান।

    কবিতায় নবান্ন (Nabanna)

    নবান্ন নিয়ে অনেক কবিতা, গল্প,নাটক ইত্যাদি রয়েছে। বিভিন্ন সাহিত্যিকের লেখায় উঠে এসেছে বাংলার গ্রামীণ চিত্র। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় ”ঘ্রাণেভরা অঘ্রাণে শুভ নবান্ন (Nabanna)।” কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর ভাবনায় “ক্ষমাকর সখা বন্ধ করিনু তুচ্ছ ধানের গল্প।”  কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় উঠে এসেছে এই “নবান্ন”,

    “আবার আসিব ফিরে ধান সিঁড়িটির তীরে,এই বাংলায়

    মানুষ নয়, হয়তো বা শঙ্কচিল শালিখের বেশে,

    হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের (Nabanna) দেশে”।

    নবান্ন উৎসবের সাথে মিশে আছে বাঙালিয়ানার হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির নানা বর্ণময় দিক। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি জাতি নবান্নকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে ওঠে। তৈরি হয় এক সামাজিক মেলবন্ধন। নবান্ন উৎসবে গ্রামগঞ্জে আয়োজন করা হয় অন্নপূর্ণা পুজো । শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সমস্ত বয়সের মানুষজন এই উৎসবে মাতে। এখন আর শুধু গ্রামেই নয়, শহরের মানুষও এখন নবান্নের স্বাদ নিয়ে থাকে। এই নবান্ন চাল বাটা, নারকেল কোরা, নলেন গুড়, ফলের কুচি, সন্দেশ মাখা ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়। এসব উপকরণগুলিকে সামান্য দুধের সঙ্গে  ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে তৈরি হয় নবান্ন । হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, নতুন ধান উৎপাদনের সময় পিতৃপুরুষরা অন্ন প্রার্থনা করে থাকেন। এই কারণে হিন্দুরা পার্বণ বিধি অনুযায়ী নবান্নে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে থাকেন। শাস্ত্রমতে, নবান্ন শ্রাদ্ধ না করে নতুন অন্ন গ্রহণ করলে পাপের ভাগী হতে হয়। বাঙালির আপন উৎসব নবান্ন (Nabanna)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Calcutta High Court: মুখ পুড়ল রাজ্যের! ডিএ-র দাবিতে মিছিলের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

    Calcutta High Court: মুখ পুড়ল রাজ্যের! ডিএ-র দাবিতে মিছিলের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্ট ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ডিএ-র দাবিতে নবান্ন পর্যন্ত মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের কো-অর্ডিনেশন কমিটি। বুধবারই শর্তসাপেক্ষে কমিটিকে ওই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার।

    নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও (Calcutta High Court)

    বৃহস্পতিবার শর্তসাপেক্ষে সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। এখানেও বেশ কিছু শর্ত মেনে চলার কথা বলা হয়েছে মিছিলকারীদের। বেঞ্চের নির্দেশ, “এক লাইনে মিছিল করতে হবে। মিছিল শেষে কেবল একজন মাত্র বক্তৃতা দিতে পারবেন। শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে হবে। মিছিল যেন কোথাও দাঁড়িয়ে না যায়।” প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্য, “মিষ্টি দই, আলুপোস্ত, লুচি যেমন বাংলার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, মিটিং-মিছিলও তাই। এখানে সবাই জন্মগত যোদ্ধা।” তিনি বলেন, “কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে নজর রাখতে হবে সংগঠনকে। কর্মসূচি শেষ করতে হবে দু’ ঘণ্টার মধ্যে।”

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের ক্ষমতা নেই আটকানোর, রাজনীতি করবেন না”, সিএএ নিয়ে মমতাকে ‘শাহি’ তোপ

    মিছিলে শর্ত আদালতের 

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থাও নির্দেশ দিয়েছিলেন, হাওড়া রেল মিউজিয়াম থেকে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করতে পারবে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। দুপুর ১টা থেকে কর্মসূচি শুরু করা যাবে। মিছিলে সর্বাধিক ১৫০০ জন থাকতে পারবেন। পুলিশ ওই মিছিলের ওপর প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ করতে পারবে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।

    মিছিল শুরু দুপুর ১টায়

    এদিনের শুনানিতে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিলে আপত্তি জানায় রাজ্য। সওয়ালে রাজ্যের এজি বলেন, “ওই জায়গায় কোনও কর্মসূচি হয় না। শাসক বা বিরোধী কাউকে কোনও দিন অনুমতি দেওয়া হয় না। গতবারের চেয়ে এবার কর্মসূচিতে লোকের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।” এজির উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, “একটি লাইন ধরে মিছিল যাবে। সেখানে সরকারি কর্মচারীরা অংশ নেবেন। সরকার তো তাঁদের সবার পরিচয় জানবে। তাই অসুবিধা হওয়ার কথা নয় (Calcutta High Court)।” প্রসঙ্গত ডিএ-র দাবিতে বৃহস্পতিবার কোঅর্ডিনেশন কমিটির মিছিল শুরু হওয়ার কথা দুপুর ১টায়। শেষ হবে নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে।

    ‘মহার্ঘ ভাতা বাড়লে তো পুলিশেরও বাড়বে’

    পুলিশের উদ্দেশেও তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘তারা (আন্দোলনকারী) সরকারি কর্মী, তারা সব নির্দেশ মেনে চলবেন। যদি না মানেন তাহলে তাদের সনাক্ত করতে পুলিশের কোন অসুবিধা হবে না। এর আগে যখন কর্মবিরতি হয়েছিল তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে বেতন কাটা হবে। ফলে এই সরকারি কর্মীদের ওপর আপনাদের নিয়ন্ত্রণ আছে।’’ তখন আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হয়, ‘‘পুলিশ অসুবিধা সৃষ্টি না করলে অশান্তি কেন হবে?’’ এর উত্তরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘না না, পুলিশ কেন বাধা দেবে। আপনারা যদি মহার্ঘ ভাতা পান, তাহলে পুলিশও পাবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশন, নবান্নর রিপোর্ট তলব

    Sandeshkhali: বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশন, নবান্নর রিপোর্ট তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় তফশিলি কমিশন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে ফিরেই রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছিল। জাতীয় মহিলা কমিশনও সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাইসিনা হিলসে। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এবার সন্দেশখালি যাচ্ছে জাতীয় আদিবাসী কমিশন।

    বুধবারই চিঠি দেওয়া হয়েছে নবান্নকে

    বুধবারই জাতীয় আদিবাসী কমিশন একটি চিঠি দিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এক আদিবাসী মহিলা এবং এক আইনজীবীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মর্মেই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি রাজীব কুমারের কাছ থেকে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে একটি রিপোর্টও তলব করছে আদিবাসী কমিশন। চিঠিতে তিন দিনের মধ্যে ওই রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন। অন্যথায় রাজীব কুমার এবং গোপালিককে সশরীরে দিল্লিতে কমিশনের হাজিরা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানোও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। না এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে কমিশন। সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচার, জমি দখল সংক্রান্ত যে সব অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ করেছে সরকার এবং রাজ্য পুলিশ তা জানাতে হবে কমিশনকে।

    সন্দেশখালিতে একের পর এক কমিশন

    গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি অশান্ত সন্দেশখালি গিয়েছিলেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল। সেখানে ওই প্রতিনিধি দলকে নানাভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এর ঠিক ৪ দিন পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সংবাদমাধ্যমের সামনে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘দিনের পর দিন মহিলাদের উপর নির্যাতন হয়েছে। ১৮টা অভিযোগ পেয়েছি। দু’জন ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশের উপর মানুষের আস্থা নেই। আমাকে ধরে গ্রামের মহিলারা কাঁদছেন। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া কোনও উপায় নেই।’’ তফশিলি কমিশন, মহিলা কমিশনের পরে এবার সন্দেশখালিতে পা পড়তে চলেছে আদিবাসী কমিশনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Examination: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বদল, ক’টা থেকে শুরু পরীক্ষা?

    Madhyamik Examination: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বদল, ক’টা থেকে শুরু পরীক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূচি অপরিবর্তিত থাকলেও মাধ্যমিক (Madhyamik Examination) এবং উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার সময় পরিবর্তিত হল। বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে এই পরিবর্তিত সময়ের কথা জানানো হয়। সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে পর্ষদ এবং সংসদের বিশেষ বৈঠক হয় এবং তার পরেই পরীক্ষার সময়ের বদলের কথা জানানো হয়। সমানেই পরীক্ষা তাই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এই নতুন সময় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। 

    কী বলা হয়েছে সংসদের বিবৃতিতে (Madhyamik Examination)?

    আগে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। যা চলবে ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু এখন নতুন বিবৃতিতে বলা হয়, পরীক্ষার সময় সওয়া ২ ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে। এখন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে এবং শেষ হবে দুপুর ১টায়। একইভাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, মাধ্যমিকের (Madhyamik Examination) পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে। আগে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে কিন্তু এখন পরীক্ষা শুরু হবে ৯টা ৪৫ মিনিটে। পরীক্ষা শেষ হবে সময় দুপুর ১টায়। তবে সংসদের তরফ থেকে কেন সময় পরিবর্তন করা হয়েছে সেই বিষয়ে কিছুই এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি।

    রুটিনের বদল হচ্ছে না

    পরীক্ষার সময় পরিবর্তিত হলেও সূচি অপরিবর্তিত রয়েছে। বদলাচ্ছে না পরীক্ষার দিন। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু এবং তা চলবে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার সূচি বা রুটিনের মধ্যে বিষয় বা দিনের কোনও রকম বদল ঘটছে না। কেবল মাত্র পরীক্ষার সময় বদলের কথা জানানো হয়েছে।

    একই ভাবে মাধ্যমিক (Madhyamik Examination)  শুরু পরীক্ষা হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি এবং চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রথম দিন হবে প্রথম ভাষার পরীক্ষা৷ পরের দিন ৩ ফেব্রুয়ারি হবে দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি হবে ইতিহাস, ৬ ফেব্রুয়ারি হবে ভূগোল, ৮ ফেব্রুয়ারি হবে অঙ্ক, ৯ ফেব্রুয়ারি হবে জীবন বিজ্ঞান, ১০ ফেব্রুয়ারি হবে ভৌত বিজ্ঞান এবং ১২ ফেব্রুয়ারি-ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা।      

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের নয়া স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনীর ‘অবৈধ নিয়োগে’র বিরুদ্ধে আদালতে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের নয়া স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনীর ‘অবৈধ নিয়োগে’র বিরুদ্ধে আদালতে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের নয়া স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন নন্দিনী চক্রবর্তী। রবিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে নয়া স্বরাষ্ট্রসচিবের নাম ঘোষণা করা হয়। এদিনই ঘোষণা করা হয় নয়া মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকার নামও। রাজভবন থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর নন্দিনীকে বসানো হয়েছিল পর্যটন দফতরের সচিব পদে। সেখান থেকে তাঁকে করে দেওয়া স্বরাষ্ট্রসচিব।

    শুভেন্দুর দাবি

    সোমবার থেকে নয়া দফতরে এসে কাজও শুরু করে দিয়েছেন নন্দিনী। তাঁর এই নিয়োগকেই ‘অবৈধ’ দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “শুধু স্বরাষ্ট্রসচিব পদেই নয়, এর আগেও একাধিক পদে অবৈধভাবে আধিকারিকদের নিয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজীব কুমার আইপিএস হওয়া সত্ত্বেও, তাঁকে তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের সচিব করা হয়েছিল। যা পুরোপুরি অবৈধ।”

    আদালতে যাচ্ছেন শুভেন্দু 

    শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, নন্দিনীকে স্বরাষ্ট্রসচিব পদে নিয়োগের পর আইনগত বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েকজন আধিকারিকের কাছ থেকেও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জেনেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তার পরেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন এক্স হ্যান্ডেলে। সঙ্গে যাবতীয় তথ্য ও নথি সংগ্রহ করে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, রাজ্য প্রশাসনের ১৩জন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ও ৫ জন প্রধান সচিবকে বাদ দিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতর অবৈধভাবে স্বরাষ্ট্রসচিব নিয়োগ করেছে। নন্দিনীর এই অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গুউবা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা, প্রশাসনিক ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকের সচিব এস রাধা চৌহানকেও। আইএএস আধিকারিকদের সংগঠনকেও বিষয়টি জানিয়েছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুুন: “মুষল পর্ব চলছিলই, সেটা প্রকাশ্যে এল”, তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের

    প্রসঙ্গত, পর্যটন দফতরে আসার আগে নন্দিনী ছিলেন রাজভবনে। পরে তাঁকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয় পর্যটন দফতরে। সেখান থেকে সোজা স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিব পদে। যাকে অবৈধ বলে দাবি করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • CV Anand Bose: বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা, সাফ জানালেন রাজ্যপাল

    CV Anand Bose: বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা, সাফ জানালেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসান রাজভবন-নবান্ন বিতর্কের! উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবন যে আর নতুন করে কোনও বিতর্ক চায় না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) সম্প্রতি সল্টলেকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পরে তিনি বলেন, “উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নতুন করে আর কোনও বিতর্ক চায় না রাজভবন। এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মতি জানাবে রাজভবন।”

    চিঠিতে কী বলেছেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই রাজভবনের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আচার্য তথা রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রধান হিসেবে কোর্ট অথবা সেনেট বৈঠকে পৌরহিত্য করতে পারেন। অথবা উপাচার্যকে ওই বৈঠক ডাকার সম্মতি দিতে পারেন। ওই নির্দেশে এও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিধি ১৯৭৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিরোধী বলেই মনে করা হচ্ছে।

    ১৯৭৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইন

    এদিকে, জট কাটিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যাতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়, তা নিয়েও আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে খোলা চিঠি দিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটা। শিক্ষা মহলের মতে, ১৯৭৯ সালে আইন প্রসঙ্গে রাজভবন থেকে যা বলা হচ্ছে, তা স্থায়ী উপাচার্যদের ক্ষেত্রে (CV Anand Bose) প্রযোজ্য হলেও, অন্তবর্তী উপাচার্যদের ক্ষেত্রে নয়। তাই উচ্চ শিক্ষা দফতরের নিষেধ অগ্রাহ্য করে বৈঠক ডাকা হলে, বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা।

    আরও পড়ুুন: ললিতের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের সেলফি, লোকসভাকাণ্ডে ‘প্রমাণ’ দিলেন সুকান্ত!

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালের অন্তর্বর্তী উপাচার্য কর্মসমতির বৈঠক ডেকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত পাশ করিয়ে নেয়। ছাত্র স্বার্থ রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এর পরেই রাজ্যপালের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা।

    উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে সম্প্রতি নবান্ন-রাজভবন বিবাদ চরমে পৌঁছেছিল। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। রাজ্যের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা কর্মসমিতির বৈঠক পারবেন না। রাজ্যের (CV Anand Bose) তরফে এই নির্দেশ পেয়ে কলকাতা সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা একাধিকবার বৈঠক ডেকেও পরে তা বাতিল করে দেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share