Tag: Nabanna

Nabanna

  • Mamata Banerjee: ‘‘৩৬ হাজার চাকরি বাতিল হল ডিএ আন্দোলনের জন্য’’! এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Mamata Banerjee: ‘‘৩৬ হাজার চাকরি বাতিল হল ডিএ আন্দোলনের জন্য’’! এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মামলায় গত সপ্তাহে বড় নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রাথমিকের প্রশিক্ষণবিহীন ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ আদালতের এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকার যে চরম বিপাকে পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। 

    দুর্নীতির জালে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল এতটাই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে পড়েছে যে, এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। একের পর এক দুর্নীতির জেরে ভুরি ভুরি সিবিআই-ইডি তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে আদালত। যা নিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ ধেয়ে আসছে বিরোধী শিবির থেকে। তার ওপর দোসর হয়েছে ডিএ আন্দোলন! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে, বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে এই সংঘাত গড়িয়েছে আদালত পর্যন্তও। সম্প্রতি, হাইকোর্টের অনুমতিতে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পাড়ায় বিশাল মিছিল করেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এই নিয়েও সরকারের বিড়ম্বনা যারপরনাই বেড়েছে। 

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    এই পরিস্থিতিতে, সোমবার, ডিএ আন্দোলনকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। আর তা করতে গিয়ে যা দাবি করলেন, তা শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। এদিন নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, এই ৩৬ হাজার চাকরি যে বাতিল হল, তার জন্য দায়ী ডিএ আন্দোলন! মমতা বলেন, “যাঁরা ডিএ নিয়ে চিৎকার করে, ৩ শতাংশ ডিএ এবছরও পেয়েছে। প্রতিদিন গিয়ে গিয়ে মিছিল করছে। আর তাঁদের জন্যই ৩৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গেল।’’ বিরোধীদের প্রশ্ন, দুর্নীতির জন্য চাকরি হারাল, সেখানে ডিএ আন্দোলন দায়ী হল কী করে? তাঁদের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কথা থেকেই স্পষ্ট, দুর্নীতির গেরোয় তিনি যুক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।

    এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি আরও দাবি করেন, ডিএ আবশ্যিক নয়, এটা অপশন। মমতা বলেন, ‘‘ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক। সরকার সামর্থ মতো ডিএ দেবে।’’ অথচ, অতীতে একাধিকবার রাজ্যকে হাইকোর্ট স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, ডিএ কর্মীদের অধিকার। এই ডিএ-সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আগে হাইকোর্ট তার স্পষ্ট রায়ে জানিয়েছে— ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা ‘সরকারের দয়ার দান’ নয়, কর্মীদের আইনি অধিকার। এই ভাতা রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য।

    যা শুনে বিরোধীদের কটাক্ষ, ক্রমশ পায়ের তলার জমি যে সরে যাচ্ছে, তা ভালোমতোই টের পাচ্ছেন মমতা।

  • DA Protest: মমতা-অভিষেকের পাড়াতেই মিছিল ডিএ আন্দোলনকারীদের! অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    DA Protest: মমতা-অভিষেকের পাড়াতেই মিছিল ডিএ আন্দোলনকারীদের! অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র (DA Protest) দাবিতে কলকাতার রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আজ, বৃহস্পতিবার একদিকে নবান্ন অভিযানে সামিল হয় কো-অর্ডিনেশন কমিটি (Coordination Committee)। মিছিল করে নবান্নর পথে যান আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, আজ খুশির খবর মিলল হাইকোর্ট থেকে। আগামী ৬ তারিখ হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে ডিএ-আন্দোলনকারীদের মিছিল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ।

    মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে মিছিলের অনুমতি

    বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আগামী ৬ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাড়াতেই মহামিছিলের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু সেই মিছিলের অনুমতি না মেলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন আন্দোলনকারীরা। রাজ্যের রুট বদলের আবেদনে সাড়া দেননি আন্দোলনকারীরা। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বৃহস্পতিবার, মিছিল নিয়ে রাজ্যের আপত্তিতে প্রশ্ন তোলেন। আন্দোলনকারীদের পূর্ব প্রস্তাবিত রুটেই মিছিলের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, শান্তি বজায় রেখে ওই রাস্তা দিয়ে মিছিল করা যাবে। কিন্তু মিছিল থেকে কোনও রকম কুমন্তব্য করা যাবে না। 

    আদালতের যুক্তি

    কলকাতা পুলিশের তরফে ডিএ আন্দোলনকারীদের তিনটি বিকল্প রুটে মিছিলের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাতে রাজি ছিলেন না তাঁরা। অন্য দিকে, হরিশ মুখার্জি রোড নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল পুলিশ। রাজ্যের দাবি ছিল, শহরের অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা ওই রাস্তা। বিচারপতি এদিন রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, ‘প্রতি একদিন অন্তর হাজরা মোড়ে ধর্না বিক্ষোভ হয়। হঠাৎ হরিশ মুখার্জি রোড নিয়ে আপত্তি কেন?’ বিচারপতির প্রশ্নে রাজ্যের আইনজীবী জানান, ওই এলাকা খুবই স্পর্শকাতর। ওই এলাকায় মিছিল করতে গিয়ে যদি ভিড় ছাড়িয়ে যায় তবে তার দায়িত্ব কে নেবে? ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: এবার শুভেন্দুর দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থা

    আন্দোলনকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা আদালতে আবেদন করার পরই ওই এলাকার কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’ তখন বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘‘তা হলে তো মিছিল ওই রুটে হলে বলতে হবে, শহরের সবচেয়ে শান্ত এলাকা দিয়ে মিছিল যাচ্ছে।’’এর পরে বিকাশরঞ্জনের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘‘সকলে যে আশঙ্কা করছে, আদালত তা বুঝতে পেরেছে। ওই এলাকায় কোনও রকম অশান্তি হবে না সেই ভাবে মিছিল করতে হবে। দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে ওই এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি শেষ করতে হবে।’’

    নবান্ন অভিযান

    এদিন নবান্ন (Nabanna) অভিযান করে কো-অর্ডিনেশন কমিটি (Coordination Committee)। হাওড়া স্টেশন থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মিছিল করছে তারা। নেতৃত্বদের দাবি, প্রতিটা জেলা থেকে সরকারি চাকুরিজীবী, এমনকী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবীরা মিছিলে পা মিলিয়েছেন। সব মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষ মিছিলে পা মিলিয়েছেন। তবে নির্দিষ্টভাবে জমায়েতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে সরকারি কর্মীরা রয়েছেন মিছিলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj and Kaliachak: জ্বলছে কালিয়াগঞ্জ! একই ঘটনা কালিয়াচকে, রাজ্যের রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    Kaliaganj and Kaliachak: জ্বলছে কালিয়াগঞ্জ! একই ঘটনা কালিয়াচকে, রাজ্যের রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জ ও কালিয়াচকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের (Kaliaganj and Kaliachak incident) অভিযোগের ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নের (Nabanna) কাছে রিপোর্ট তলব করল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি’কে চিঠি পাঠানো হয় রাজভবন থেকে। শীঘ্রই দিল্লি সফর কাটছাঁট করে কলকাতায় ফিরছেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, পরপর দু’টো একই ঘটনা নিয়ে বর্তমানে উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গ। বুধবার সেই নিয়েই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে আসছেন বিজেপির উত্তরবঙ্গের আট বিধায়ক।

    উত্তাল কালিয়াগঞ্জ

    ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj and Kaliachak incident)। গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকাতে। মঙ্গলবার কার্যত ব্যাপক আকার নিয়েছে এই ঘটনা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে কালিয়াগঞ্জ থানা। এমনকী একাধিক গাড়ি-বাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই পুলিশের দিকে ঢিল, ইট ছোড়া হতে থাকে। পথ চলতি মানুষ ও সংবাদমাধ্যমের দিকেও ইট ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে র‌্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়। শেষমেশ আন্দোলনকারীরা কালিয়াগঞ্জ থানার একটি অংশে আগুন ধরিয়ে দেয়। থানার একটি পাঁচিলও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

    উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল

    কালিয়াগঞ্জের ছবি দেখেই রাজ্যের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেন উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জানা গিয়েছে, সেই ফোনালাপে এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা নাকি মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে রাজ্যপালকে জানান বলে খবর। আজ বুধবার দিল্লিতে একাধিক কর্মসূচি ছিল রাজ্যপাল বোসের। বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকেও বসার কথা ছিল রাজ্যপালের। কিন্তু যেভাবে কালিয়াগঞ্জের ঘটনা ঘিরে মঙ্গলবার পরিস্থিতি ব্যাপক আকার নেয় তাতে তড়িঘড়ি কলকাতাতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: সামনেই ভোট, জেনে নিন জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের গুরুত্ব এবং ইতিহাস

    রিপোর্ট তলব

    অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ও তাঁর মৃত দেহ পুলিশের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন (National Commission for Protection of Child Rights)। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন জানিয়েছে, মানুষের একটি মৃতদেহকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া ও সম্মান দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কালিয়াগঞ্জের ঘটনার ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। রাজ্যের মুখ্য সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তদন্ত কতদূর হয়েছে, মৃতার পরিবারকে কী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে। ওই দেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কতজনকে কী শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও জানাতে হবে রিপোর্টে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে হবে নবান্ন অভিযান, মহামিছিল

    DA: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে হবে নবান্ন অভিযান, মহামিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ-র (DA) দাবিতে নবান্ন (Nabanna) অভিযানের ডাক দিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি (Co-ordination Committee)। গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথ মঞ্চ গড়ে ডিএর দাবিতে আন্দোলন করছে ওই কমিটি। কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। হয়েছিল অনশনও। কর্মবিরতি, ধর্মঘট দাবি-দাওয়া আদায়ের সব পন্থাই অবলম্বন করেছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। তার পরেও সমাধান হয়নি সমস্যার। সেই কারণে চলছে কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে লাগাতার আন্দোলন। এবার ডাক দেওয়া হয়েছে নবান্ন অভিযানের। মে মাসের ৪ তারিখ দুপুর আড়াইটে নাগাদ হবে নবান্ন অভিযান।

    ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন…

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএর (DA) দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে ইতি টানতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র। তাই বন্ধ হয়নি আন্দোলনও। সেই কারণে এবার নবান্ন অভিযানের সিদ্ধান্ত। যদিও সংগঠনের একাংশের আশঙ্কা, নবান্ন অভিযান করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে রাজ্য সরকার। ৪ মে কেবল নবান্ন অভিযানই নয়, আরও একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। ২৮-২৯ এপ্রিল রাজ্যের সব জেলার সদর দফতরে দুদিন ব্যাপী ধর্নায় বসবেন কমিটির সদস্যরা। কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী বলেন, আমরা যে কেবলমাত্র ডিএর দাবিতেই আন্দোলন করছি, তা নয়।

    আরও পড়ুুন: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করবে না বিজেপি!

    আমাদের অন্যতম দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ, নিয়োগের ক্ষেত্র স্বচ্ছতা, ঠিকা কর্মীদের স্থায়ী পদে নিয়োগের মতো বিষয়গুলিও। তিনি বলেন, এই সব দাবি যতদিন না পূরণ হচ্ছে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। রাজ্যের কোষাগারে প্রতি মাসে ৩৬ টাকা করে ফেরত দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাচ্ছেন যৌথমঞ্চের নেতারা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের পাওনা ৩৬ শতাংশ ডিএ (DA)। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তাদের আর্থিক অবস্থা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ডিএ দিতে পারবে না তারা। তাই ট্রেজারিতে ৩৬ টাকা করে অনুদান দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। ৪ মে নবান্ন অভিযানের পর যৌথমঞ্চ মহামিছিল করবে ৬ মে।

    এদিকে, মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতিটি জেলায় শীর্ষ প্রশাসনিক ভবনে সরকারি স্বাস্থ্য স্কিম নিয়ে স্মারকলিপি দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রাজ্যের সব সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত এবং অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল ও মাদ্রাসার সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীকে অন্য সরকারি কর্মীদের মতো হেল্থ স্কিমের সুবিধা দেওয়ার দাবিতে নবান্ন ও বিকাশ ভবনে ডেপুটেশনও দিয়েছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে আজ সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের

    DA Protest: বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে আজ সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ আন্দোলনকারীদের (DA Protest) সঙ্গে আজ, বিকেলে আলোচনায় বসতে চলেছে রাজ্য সরকার। মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে জট কাটাতে আজ নবান্নে সরকারি কর্মচারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিকেল ৪ টে ৩০ মিনিট থেকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর পৌরহিত্যে সেই বৈঠক শুরু হতে চলেছে। এরই মধ্যে ডিএ আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, বৈঠকে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে, সেগুলি লিখিতভাবে সরকারকে দিতে হবে। 

    বৈঠকে সকলকে স্বাগত

    আদালতের নির্দেশে শহিদ মিনারে আন্দোলনরত যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সরকারি কর্মচারীদের তরফে ৫ জন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। গতকাল সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৬ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।আজ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান যে, আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। যাঁরা আসতে চান সবাইকে স্বাগত। কিন্তু একটি সংগঠনের তরফে একজনই থাকতে পারবে। রাজ্যের আবেদনে সম্মতি দেয় আদালত।

    হাইকোর্টের নির্দেশে বৈঠক

    হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ডিএ (DA Protest) আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে রাজ্য সরকার। বৈঠকে থাকতে পারেন অর্থসচিবও। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে লাগাতার আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। ১৭ এপ্রিলের মধ্যে কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে বৈঠকে বসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।  এই সময়সীমার মধ্যে ২ পক্ষের বৈঠক হয়নি। এরপর, চলতি সপ্তাহের সোমবার দ্রুত সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মেনে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য সরকার।

    বৈঠকের পর পরবর্তী পদক্ষেপ

    এই বৈঠক নিয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে রাজ্য সরকারের তরফে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে ইমেল এবং ফোন করা হয়। কলকাতা হাইকোর্ট যে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছে, সেই নির্দেশ মতো ২১ এপ্রিল বিকেল ৪ টে ৩০ মিনিট থেকে বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই বৈঠকে আমাদের পাঁচ প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেইমতো আমাদের পাঁচ প্রতিনিধিকে নিয়েই সেই বৈঠকে হাজির থাকব আমরা। আশা করি, এই বৈঠকে সদর্থক ভূমিকা পালন করবে রাজ্য সরকার।’ আন্দোলনকারীদের (DA Protest) কথায়, বৈঠকে কী কী আলোচনা হয়েছে, তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বরাদ্দ বকেয়া টাকা চেয়ে রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    উল্লেখ্য ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ছয় শতাংশ হারে ডিএ পান। যা অন্যান্য রাজ্যের থেকে অনেক কম বলে দাবি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। সেখানে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৪২ শতাংশ হারে ডিএ (DA Protest) পান। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এর আগে একাধিকবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তা নিয়ে সরকার ও কর্মচারীদের মধ্যে টানাপোড়েন কম হয়নি। ৮৪ দিনে পড়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই আন্দোলন। এবার তাঁদের ডাক পড়ল আলোচনায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: গোটা রাজ্যে ফের বাধ্যতামূলক হচ্ছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    Nabanna: গোটা রাজ্যে ফের বাধ্যতামূলক হচ্ছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা রাজ্যে ফের মাস্ক আর স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, আর গাফিলতি করা যাবে না। তাই শীঘ্রই মুখ্যসচিব এক নির্দেশিকা প্রকাশ করতে চলেছেন বলে নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়

    একদিকে যেভাবে গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ সকলকে রীতিমতো বিপাকে ফেলেছে, অন্যদিকে করোনা ফের ব্যাট হাতে নেমে পড়েছে। আর শুধু নামাই নয়, ভালো পারফরম্যান্সের সঙ্গে ব্যাটিংটাও করতে শুরু করেছে। যার ফলে প্রতিদিন রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে একরকম প্রস্তুতি নিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও যেভাবে করোনা ফের ভাবাচ্ছে, তাতে সকলের কপালেই ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। একে গরম অসহনীয় হয়ে পড়েছে, তার সঙ্গে আবার নতুন করে মাস্ক আর স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।

    করোনা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাই সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সোমবার ওই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফের সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং ভালো করে হাত ধুতে হবে। সরকারি অফিসে ও অন্যত্র নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, তিনি মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করতে বলেছেন। বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সবাই মাস্ক পরুন। হাত নিয়মিত স্যানিটাইজ করুন। পুরসভাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তারা যেন নিয়মিত বাজার ও অন্যান্য জনবহুল এলাকায় স্যানিটাইজ করে। 

    হাসপাতালকে বলা হয়েছে প্রস্তুত থাকতে

    সারা দেশেই করোনা সংক্রমণ ফের বাড়ছে। তাই এই সতর্কতা। করোনা ঠেকাতে হাসপাতালগুলি প্রস্তুত কিনা, তা নিয়ে সম্প্রতি দেশ জুড়ে মক ড্রিল করা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকেও সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, পরিকাঠামোর দিক থেকে কোনও খামতি যেন না থাকে। বিশেষত, অক্সিজেন যেন থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal Movement: রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক নিষ্ফলা, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ শীঘ্রই, ঘোষণা কুড়মি সম্প্রদায়ের

    Tribal Movement: রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক নিষ্ফলা, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ শীঘ্রই, ঘোষণা কুড়মি সম্প্রদায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনজাতির মর্যাদা সহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত (Tribal Movement) কুড়মি সম্প্রদায়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র মিলল না। পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের নেতা রাজেশ মাহাতোর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক করে। ৪৫ মিনিটের কিছু বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর প্রতিনিধিদলের নেতা রাজেশ‌ মাহাতো বলেন, বৈঠকের ফলাফল হতাশাজনক। কুড়মিদের তফসিলি জনজাতি তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আদিবাসী মন্ত্রক রাজ্যের কাছে যে ব্যাখ্যা তলব করেছে, তা রাজ্য সরকার এখনও দেয়নি। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠকে বসে এব্যাপারে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবে। তিনি বলেন, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিই আমাদের দাবি। আমাদের দাবি ছিল কমিটি গঠনেরও। কিন্তু সেকথা উনি শোনেননি। কুড়মি সমাজের আরেকটি অংশ আবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। আদিবাসী কুড়মি সমাজের ব্যানারে তারা আন্দোলন (Tribal Movement) চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। 

    কী দাবি নিয়ে এই আন্দোলন?

    কুড়মি সমাজের বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন রেল এবং রাস্তা অবরোধ হচ্ছিল। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-আদ্রা, খড়্গপুর–টাটা শাখার রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের চাপ ও সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে তাঁরা এই অবরোধ তুলে নেন। এসটি কোটায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে–মূলত এই তাঁদের দাবি। আগে তাঁরা প্রিমিটিভ ট্রাইবের অন্তর্গত ছিলেন। এরকম ১৩টি আদিবাসী সম্প্রদায় ছিল। ১২টিকে এসটি কোটার অর্ন্তভুক্ত করা হয়। কেবল কুড়মি সমাজকে ওবিসি করা হয়। তাঁরা এই ওবিসি কোটা চান না। তাঁদের এসটি কোটার আওতায় আনতে হবে, এই দাবিতেই চলছে আন্দোলন (Tribal Movement)।

    মমতা-রেলমন্ত্রী কথা

    এদিকে কুর্মি আন্দোলনের (Tribal Movement) জেরে রেল পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। রেল পরিষেবা কিভাবে স্বাভাবিক করা যায়, তা নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    Nabanna: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের (COVID) সময় ব্যয় সংকোচ ঘটাতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্যের অর্থ দফতর। অর্থনীতির ভাষায় একে বলা হয় এমবার্গো।
    করোনা দেশের বিভিন্ন জায়গায় চোখ রাঙালেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত তার কোনও প্রভাব নেই। জনজীবনও কার্যত স্বাভাবিক। সরকারের তরফে খেলা, মেলা, দান, খয়রাতি সবকিছুই চলছে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই।  

    কিন্তু করোনার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি অর্থ দফতর। তার প্রমাণ মিলল একটি নির্দেশিকায়, যা জারি করা হয়েছে ৩০ মার্চ এবং কার্যকর নতুন বছরের শুরু, ১ এপ্রিল থেকেই। নতুন অর্থবর্ষের শুরু থেকেই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন (Nabanna)। যা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, সরকার বাইরে সবকিছু স্বাভাবিক দেখাতে চাইলেও ভিতরে ভিতরে আসলে কঙ্কালসার হয়ে গিয়েছে।

    কী বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে? 

    ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতর বাজেট (Budget) বরাদ্দের কত শতাংশ টাকা খরচ করতে পারবে। এতেই দেখা যাচ্ছে, বেতন, অনুদান, হাসপাতালের ওষুধ এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা ছাড়া যাবে, তার বেশি কোনওভাবেই নয়। বহু ক্ষেত্রেই কোনও দফতর ২৫ শতাংশের বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কী কী শর্ত পূরণ করে ওই টাকা খরচ করা যাবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

    কী বলল বিজেপি? 

    এই নির্দেশিকার কথা প্রকাশে আসতেই রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব কড়া সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নানা কথা বলা হলেও বাস্তবে সরকারের ভাঁড়ারে কোনও টাকাই নেই। রাস্তাশ্রী হোক বা কন্যাশ্রী, কোনও প্রকল্পই আর বেশিদিন চলবে না। ঠিকাদাররা পেমেন্ট পাবেন না। সরকারকে যারা পণ্য সরবরাহ করে, তারা টাকা পাবে না। হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ হবে না, রাস্তা সারাই হবে না, রাস্তার আলো জ্বলবে না, সেচের জল পাওয়া যাবে না, সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন পর্যন্ত অনিয়মিত হয়ে পড়বে। মাথার উপর সাড়ে ছয় লক্ষ কোটি টাকার ঋণ। বোঝাই যায়, এই সরকারের আয়ু আর কতদিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথমবার! আজ দুদিনের জন্য রাজ্য সফরে আসছেন দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথমবার! আজ দুদিনের জন্য রাজ্য সফরে আসছেন দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন তিনি।  সোমবার-মঙ্গলবার দু’দিনের সফরে আসছেন রাষ্ট্রপতি। দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রেসকোর্স পৌঁছবেন তিনি।

    রাষ্ট্রপতির সারাদিন

    নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলেই রাজ্য সরকারের তরফে রাষ্ট্রপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার কথা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।

    আজ প্রথমে রাজভবনে পৌঁছবেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানে কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়ার পরে তাঁর এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাসভবনে যাওয়ার কথা। সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে সেখান থেকে  জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি যাবেন রাষ্ট্রপতি। ঘুরে দেখতে পারেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান। এর পর কলকাতায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাজভবনেই রাত্রিবাস করবেন রাষ্ট্রপতি। পর দিন ২৮ মার্চ সকালে তাঁর বেলুড়মঠে যাওয়ার কথা। সেখান থেকে দ্রৌপদীর সম্ভাব্য গন্তব্য বীরভূমের শান্তিনিকেতন।

    আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে উপবাস রাখছেন? সুস্থ, সতেজ থাকতে কী করবেন আর কী করবেন না

    কড়া নিরাপত্তা

    রাষ্ট্রপতির সফরের জন্য ইতিমধ্যেই শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার থেকেই মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় জোরদার পুলিশি টলহদারি চলছে। রাষ্ট্রপতির দুই দিনের রাজ্য সফরের জন্য যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। সোমবার এবং মঙ্গলবার দুই দিনই দমদম বিমানবন্দর,কলকাতা, বেলুড় মঠ এবং বীরভূমের বোলপুর শান্তিনিকেতনে যান চলাচল ব্যবস্থা প্রভূত পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

    বোলপুরে রাষ্ট্রপতি

    কলকাতা সফর সেরে রাষ্ট্রপতির যাওয়ার কথা শান্তিনিকেতনে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনের বিনয় ভবন সংলগ্ন কুমিরডাঙা মাঠে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার অবতরণ করার কথা। সেখান থেকে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র ভবন, কলা ভবন, আশ্রম প্রাঙ্গণ ঘুরে দুপুরে আম্রকুঞ্জের জহরবেদিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা দ্রৌপদীর। সেই অনুষ্ঠানে থাকার কথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসেরও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ শুভেন্দুর, নবান্নের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    Nabanna: বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ শুভেন্দুর, নবান্নের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি মিথ্যা মামলা। এ নিয়ে কিছু দিন আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। তাতে তিনি লিখেছিলেন, রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার ভুয়ো মামলা করছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সেই চিঠির প্রেক্ষিতে এবার নবান্নে (Nabanna) মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নে পাঠানো ওই চিঠিতে।

    নবান্নের (Nabanna) রিপোর্ট তলব…

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের এই রিপোর্ট তলব যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগেও রাজ্যের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও লিখেছিলেন। তার জেরে রাজ্যে জয়েন্ট রিভিউ মিশন পাঠিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এবারও শুভেন্দুর চিঠির প্রেক্ষিতে নবান্নকে (Nabanna) চিঠি দিল কেন্দ্র।

    কেবল শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই গুচ্ছ মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের কত মামলা, তার একটি তালিকা গত ডিসেম্বরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়েছিলেন শুভেন্দু স্বয়ং। সংসদ ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থীর ‘কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু!

    তাঁর বিরুদ্ধে হয়ে চলা একের পর এক এফআইআরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, হয় এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো অভিযোগের তদন্ত করুক সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ (Nabanna) নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলনেতার কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। বস্তুত, শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তার পরেও কীভাবে এত এফআইআর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়, সে বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share