Tag: Nabanna

Nabanna

  • West Bengal NCC: ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগছে, রাজ্যে এনসিসি বন্ধ করে দিল মমতা প্রশাসন

    West Bengal NCC: ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগছে, রাজ্যে এনসিসি বন্ধ করে দিল মমতা প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এনসিসি (NCC West Bengal) বন্ধ হলো এরাজ্যে। গত ৬ অক্টোবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে পাঠানো রাজ্যের এনসিসি-র এডিজি মেজর জেনারেল সেনগুপ্তর চিঠি সামনে আসতেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়। ওই চিঠিতে ষ্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এরাজ্যে এনসিসিতে নতুন করে কোনও নাম নথিভুক্ত করা যাবে না। কারণ হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকারের এই খাতে বাজেট বরাদ্দ না করার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নাম নথিভুক্ত রয়েছে এমন এনসিসি ক্যাডারের সংখ্যা এরাজ্যে ৯৫ হাজার ১২০, যাদের মধ্যে ৫৪ হাজার ৩২৪ জন জাতীয় স্তরের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছে। 

    ফলে প্রশ্ন উঠছে, যেখানে ক্লাবগুলোকে দুর্গাপুজোর নামে বিপুল পরিমাণ টাকা দেওয়া হচ্ছে, লক্ষ্মীভাণ্ডার প্রকল্পে মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে, সেখানে এনসিসির খাতে বরাদ্দ কেন নেই? ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এখানে অন্য কারণ থাকতে পারে। স্কুল কলেজে অসংখ্য পড়ুয়া এনসিসিতে ভর্তি হয়। দেশাত্মবোধক গান, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে তাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগে। তাই এই কারণেই হয়তো এনসিসিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল। 

    ক্লাবকে আর্থিক সাহায্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmi Bhandar) মতো প্রকল্পে শাসক দলের ভোট ব্যাংক তৈরী হয়। কিন্তু জাতীয়তাবোধ জাগলে সেটাকে শাসক দলের বিপক্ষ ভোট ব্যাংক বলেই মনে করে মমতা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা হামলার বদলা হিসেবে এয়ার স্ট্রাইকের দ্বারা জঙ্গি নিকেশ করে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সারাদেশের মতো তখন পশ্চিমবঙ্গেও বিজয় দিবস পালিত হয়েছিল। রাস্তায় নেমে জাতীয় পতাকা হাতে বহু সাধারণ মানুষ, দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে দিয়ে দেশের সেনাবাহিনীকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছিল। তখন একাধিক জায়গায় মমতা প্রশাসনের বিপক্ষে অভিযোগ ওঠে এই প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়ার। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী (Mamata) সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেন – ‘‘জাতীয় পতাকা হাতে, সন্ধ্যা হলেই রাস্তায় নামছে। ওরা কারা?’’ তাই অনেকেই মনে করছেন, জাতীয়তাবোধ জাগে বলেই এনসিসি বন্ধের এই সিদ্ধান্ত। 

    গরুপাচার, শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে নাজেহাল শাসক দল, তার মধ্যে এনসিসি বন্ধ হওয়ার বিষয়টি মমতা প্রশাসনের অস্বস্তির মাত্রা বাড়াল বলেই মনে করছে অনেকে। এনসিসি শুধুমাত্র যে একটি প্রশিক্ষণ তাই নয়, এই ট্রেনিং এর দ্বারা সরাসরি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ভর্তির সুযোগ রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। সেদিক থেকে দেখলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দপ্তরে চাকরি করার সুযোগটাও চলে গেল অসংখ্য কলেজ পড়ুয়ার।

    দুর্নীতি, স্বজনপোষণে এবং একাধিক মামলায় জর্জরিত হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ‌‌। এখন শিক্ষক নিয়োগ বা অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষা এরাজ্যে প্রায় বন্ধ বললেই চলে‌। অসংখ্য তরুণ-তরুণী এনসিসির মারফত ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সরাসরি ভর্তি হতে পারতেন। এনসিসির ‘বি’ এবং ‘সি’ সার্টিফিকেটের পরীক্ষায় যাঁরা ভাল নম্বর নিয়ে পাশ করতেন এবং স্নাতক স্তরে যাদের ৫৫% শতাংশ নম্বর থাকত, তাঁদের ‘কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিস’ এর লিখিত পরীক্ষায় বসতে হতো না‌। সরাসরি তাঁরা ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পেতেন। এবার সে সুযোগ থেকেও তাঁরা বঞ্চিত হলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • WB Loan For Salary: পুজোর মাসে বেতন দিতে ৪৫০০ কোটি ধার করছে রাজ্য, খরা কোষাগারে

    WB Loan For Salary: পুজোর মাসে বেতন দিতে ৪৫০০ কোটি ধার করছে রাজ্য, খরা কোষাগারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা নেই, ভাঁড়ার খালি। মেলা-খেলা আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে (Lakshmir Bhandar) সব টাকা বেরিয়ে গিয়েছে। ফলে পুজোর মাসে সরকারি কর্মী, শিক্ষকদের বেতন দিতে আজ মঙ্গলবার ৪৫০০ কোটি টাকা ধার করছে নবান্ন (Nabanna)। ধারের টাকা কোষাগারে ঢুকলে তবেই কোনওমতে পুজোর মাস চালাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। প্রতি মাসেই কর্মচারীদের বেতন দিতে মাসে ২০০০-২৫০০ কোটি ধার নিতে হয় সরকারকে। কিন্তু এক মাসে ৪৫০০ কোটি টাকা ধার করার পরিস্থিতি যখন তৈরি হয়েছে, তাতে সরকারের আর্থিক অবস্থা যে কাহিল হয়ে পড়েছে তা স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা বিয়ে, কন্যাশ্রীর সাফল্য কি শুধুই বিজ্ঞাপনে?

    নবান্ন সূত্রের খবর, চলতি বছরে ৬২ হাজার কোটি টাকা ধার নিতে হবে। বছর শেষে ধারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) প্রতিটি মানুষের উপরে এখন ৬০ হাজার টাকা ঋণের বোঝা রয়েছে। নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, দানছত্রের প্রকল্পগুলি চালাতেই বছরে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। ডোল বিলির বেশ অধিকাংশ প্রকল্পকেই আসলে পরিকল্পনা খাতের আওতায় এনে পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে। সেই খাতেও বেরিয়ে যাচ্ছে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা। ফলে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, সেতু, স্বাস্থ্য খাতে সে ভাবে কোনও বরাদ্দ বাড়ছে না। উল্টে কমতে শুরু করেছে। দেশের অন্য রাজ্যে করোনার সময় চালু হওয়া খরচে রাশ টানার প্রবণতা সরে গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা এখনও লাগু রয়েছে।

    নবান্ন সূত্রের খবর, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আর তফসিলি জাতি-উপজাতি পেনশনেই সরকারের সবচেয়ে বেশি নজর রয়েছে। অন্য কিছু বন্ধ হলেও আপত্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) রায় থাকা সত্ত্বেও কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Pending DA case) মেটাচ্ছে না সরকার। ডিএ মেটাতে হলে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা লাগবে। তা হলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।

    আরও পড়ুন: কার্ড দেখালেই বেসরকারি হাসপাতালে ‘বেড ফাঁকা নেই’, স্বাস্থ্য সাথী কি কেবল ‘বিজ্ঞাপন’?

    কিন্তু কর্মীদের পাওনা গণ্ডা না মিটিয়েও বেতনটুকু দেওয়া চাপের হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন অর্থ দফতরে কর্তারা। তাঁদের মতে, প্রতি মাসে ধার করেই সময়ে বেতন দিতে হচ্ছে। পুজোর মাসে ক্লাব খয়রাতি থেকে অনুদানের বহর বাড়তি হওয়ায় চাপ বেড়েছে। ফলে আজ ৪ হাজার ৫০০ কোটি ধার করা হচ্ছে। সেই টাকা ঢুকলে বেতন পাবেন কর্মীরা। সরকারও পুজোর খরচটা কাটিয়ে নিতে পারবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    Mamata: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অভিযোগ জানিয়েও কাজ হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) । নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীর দফতরে (cmo) জমছে অভিযোগের পাহাড়। বেশিরভাগ দফতর কাজই করছে না। কথাই শুনছে না মুখ্যমন্ত্রীর। জেলায়  জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করলেও তার নিটফল যে শূন্য, তা বুঝতে পারছেন মুখ্য় সচিব  (chief secretary)। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলেই তাঁকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। বারবার বলা সত্বেও অভিযোগের নিষ্পত্তিতে কেন দেরি হচ্ছে, বিভিন্ন দফতরের কাছে তার জবাব চাইছে নবান্ন (nabanna)।  চাপে পড়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (H.K.Dwivedi) চিঠি দিয়েছেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের। বকেয়া অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ জারি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো অভিযোগ গুলি যাতে সাতদিনের মধ্যে জবাব দেওয়া যায়, তার জন্য জানানো হয়েছে প্রতিটি দফতরকে। 

    এমাসের সাত তারিখেই এনিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সব দফতরের শীর্ষ আধিকারিক বা HOD-কে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, কাজ ফেলে রাখবেন না। সব অভিযোগের জবাব দিতে হবে সাতদিনের মধ্যে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। বহু দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা বেশি সময় নিচ্ছেন। ৭ সেপ্টেম্বর রাজ্য প্রশাসনের পর্যালোচনা বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা তাই সকলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্য সচিব। সাতদিনের মধ্যে যদি অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট জমা দেওয়া না যায়, তাহলে কি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তাও যেন উল্লেখ করা হয়, বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে। 

    কী আছে চিঠিতে? 
    রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সরকারের খাদ্য প্রক্রিয়া করণ দফতর ও হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট গত ৬ মাসে গড়ে ৫৮ দিন রিপোর্ট দিতে দেরি করেছে। আদিবাসী উন্নয়ন দফতর দেরি করেছে ৫৭ দিন। আর ৩৯ দিন সময় নিয়েছে কারিগরি শিক্ষা থেকে স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য দফতর। অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে পরিবহণ দফতরে। আর তারা সময় নিয়েছে ৩৫ দিন। এই দফতরগুলির বেশিরভাগই খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। 

    জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স কালিম্পং, ঝাড়গ্রাম ও উত্তর ২৪ পরগনার। কালিম্পং জেলাশাসক দেরি করেছেন ৪১ দিন, ঝাড়গ্রাম ৩৭ দিন। আর উত্তর ২৪ পরগনা ২৬দিন। জেলাশাসক বদল করেও অসুখ সারছে না। পুলিশ সুপারদের পারফরম্যান্স খারাপ মালদা, বারাসত, হুগলি, মুর্শিদাবাদে। ৭ দিনের বদলে অভিযোগের উত্তর দিতে বহু সময় লেগে যাচ্ছে।

     অনেক ক্ষেত্রেই  অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। ফের তার ব্যাখ্যা চেয়ে ফেরত পাঠায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। এর ফলে কাজে আরও দেরি হয়ে যায়। বারবার এমন ঘটনা একেবারেই কাম্য নয় বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সচিব বা জেলা আধিকারিকরা তাঁদের অধীনস্থ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। মানুষের অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন না। দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। এর ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে।

    অভিযোগ খতিয়ে দেখে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। আর এখান থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন দফতরের গাফিলতির কথা। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলার পরও ‘ডিজপোজড’, ‘রিজল্ভড’, ‘অ্যাকশন টেকন’লিখে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যসচিবের নির্দেশ, এভাবে লিখে ছেড়ে দিলেই হবে না। ঠিক কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,তাও উল্লেখ করতে হবে। বোঝাই যাচ্ছে, কাজ না করে সরকারের বেশিরভাগ দফতর গা এলিয়ে দিয়েছে। ফলে চিন্তার ভাঁজ মুখ্যমন্ত্রীর কপালে। তাই তড়িঘড়ি এই সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজছেন তিনি। 

    আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে সরকারের কাজকর্ম নিয়ে। এই চিঠি মাধ্যমের হাতে আসায় বোঝা যাচ্ছে কীভাবে কাজ না করে দায়সারা হয়ে পড়েছে মমতা প্রশাসন। অভিযোগের পাহাড় জমা পড়ছে নবান্নে। মুখ্য়মন্ত্রী দেখছেন, বুঝছেন, বলছেনও। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। দলীয় স্তরে তৃণমূল নেত্রী ধীরে ধীরে যেমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন, তেমনি প্রশাসনিক স্তরেও কি রাশ আলগা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ? ১৪ তলা থেকে নির্দেশ গেলেও তা পালনে অনীহা প্রকাশ করছে জেলা প্রশাসন? নবান্নের প্রতি তলায় সেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।  

     

     

     

  • WBSEDCL: পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪০৮ কোটি উদ্ধার না হলে বিদ্যুৎ দফতরের বরাদ্দ বন্ধ করে দেবে কেন্দ্র

    WBSEDCL: পঞ্চায়েতের বকেয়া ৪০৮ কোটি উদ্ধার না হলে বিদ্যুৎ দফতরের বরাদ্দ বন্ধ করে দেবে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ঢালাও বিদ্যুৎ পুড়ছে কিন্তু তার বিল মেটাচ্ছে না রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) অধীনে থাকা সংস্থাগুলি। পঞ্চায়েত দফতরেই বকেয়া ৪০৮ কোটি টাকা। এই টাকা উদ্ধার না হলে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government) আর কোনও অনুদান বা ঋণ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ দফতর পঞ্চায়েত দফতরের কাছে বকেয়া টাকা এখনই মিটিয়ে দিতে বলেছে। না মেটালে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা (WBSEDCL) চালানো যে মুশকিলের হয়ে দাঁড়াবে সে কথাও অকপট জানিয়ে দিয়েছেন বণ্টন সংস্থার শীর্ষ কর্তা। বিদ্যুৎ দফতরের চিঠি মাথায় হাত পঞ্চায়েত দফতরের। একে তো ১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনা, সড়ক যোজনার টাকা বন্ধ। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো রাজ্য সরকারেরই অপর দফতর ৪০৮ কোটি টাকা চেয়ে তাগাদা দেওয়ায় মহা ফাঁপড়ে পড়েছে সরকার। টাকা না মেটালে যদি পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি দেখা যায়, তা হলে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পঞ্চায়েত কর্তারা।

    আরও পড়ুন: পুজোর মাসে বেতন দিতে ৪৫০০ কোটি ধার করছে রাজ্য, খরা কোষাগারে

    পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যান কাম ম্যানেজিং ডিরেক্টর শান্তনু বসু গত ১২ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েত সচিব পি উলগনাথনকে লিখেছেন, পঞ্চায়েত দফতরের কাছে বণ্টন সংস্থার ৪০৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই টাকা অবিলম্বে মেটাতে হবে। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অনুদান এবং ঋণ দেওয়ার জন্য অধীনস্ত সংস্থার বকেয়া আদায়ের শর্ত দিয়েছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আর্থিক ভার কমাতে ও গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে বকেয়া টাকা পাওয়া জরুরি। বিদ্যুৎ দফতরের চিঠি পেয়ে পঞ্চায়েত দফতর করণীয় ঠিক করতে পারছে না। কারণ, বকেয়া মেটানোর ৪০৮ কোটি টাকা তাদের হাতে নেই, না মেটালে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামে লোডশেডিং শুরু হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।

    বিদ্যুৎ দফতরের হিসাব অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বকেয়া রয়েছে বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান সদর, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলায়। এই সব জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদগুলি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের বকেয়া বিল মেটায়নি। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাই খেসারতও বেশি দিতে হবে।

    বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, আর্থিক সংকটে ভুগছে সংস্থা। এর মধ্যেই হাইকোর্টের রায় মেনে ডিএ মেটাতে হয়েছে কর্মীদের। আর্থিক সংস্থাগুলিও ঋণ দিতে চাইছে না। এমন অবস্থায় একমাত্র ভরসা কেন্দ্রের অনুদান। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থার থেকে বকেয়া আদায় করে আর্থিক ভিততি মজবুত করলে তবেই কেন্দ্রীয় সাহায্য মিলবে। এমন অবস্থায় রাজ্যের দুই দফতর নিজেরাই আকচাআকচিতে জড়িয়েছে। এমনকী গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে হলে টাকা মেটাতে হবে এমন হুমকিও দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর (West Bengal State Electricity Department)।

      

  • WB Govt Soft on PFI: নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেবে না মমতা প্রশাসন

    WB Govt Soft on PFI: নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেবে না মমতা প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উগ্রপন্থা এবং নাশকতার কাজে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে পিএফআই (PFI Banned) ও তাদের বেশ কয়েকটি শাখা সংগঠন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তি জারির পর বিভিন্ন রাজ্য পদক্ষেপও করেছে। এমনকি কেরল (Kerala) সরকারও কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে সে রাজ্যে ব্যাপক ধরপাকড় এবং পিএফআইয়ের (Popular Front of India) কার্যকলাপ বন্ধে নেমেছে। ব্যতিক্রম শুধু পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata) পিএফআই নিয়ে কোনও সক্রিয়তা চান না। ফলে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ, এসটিএফ কিংবা সিআইডি পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় পিএফআই শাখাগুলোর কাজকর্ম বন্ধ করতে কোনও কিছুই করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কলকাতা (Kolkata) শহরে বেনিয়াপুকুর এবং কড়েয়া থানা এলাকায় পিএফআই সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। দলীয় অফিস রয়েছে তিলজলাতে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে নেপথ্যে আসল শক্তি ছিল পিএফআই। সংগঠনের মূল কর্মকাণ্ড অবশ্য মুর্শিদাবাদ জেলাকে কেন্দ্র করেই চলছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক থেকে পদাধিকারীদের অধিকাংশই মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলার। এই সব জেলাগুলিতেই ১৭টি শাখা খুলে গত পাঁচ-ছয় বছরে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংগঠনটি। বেশ কয়েকটি জঙ্গি কার্যকলাপে অভিযুক্তের আইনি সহায়তা দিচ্ছে পিএফআই। বাংলাদেশ এবং নেপাল সীমান্তে পিএফআই নেতাদের গতিবিধিও চিন্তাজনক। এনআইএ এবং ইডি পিএফআইকে রাষ্ট্রবিরোধী সংস্থা হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই?

    যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন মুসলিমদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও এজেন্সি ব্যবস্থা নিলে আমরা সাহায্য করব। কিন্তু পিএফআই নেতাদের রাজ্য পুলিশ আগ বাড়িয়ে গ্রেফতার করবে না, তাদের দফতরে তল্লাশি চালাতে যাবে না।

    কেন? পুলিশ কর্তারা জানাচ্ছেন, এনআইএ (NIA) এবং ইডির (ED) কাছে পিএফআইয়ের বিষয়ে যাবতীয় নথি রয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এ সবে জড়াবে না। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে গোয়েন্দাদের সমন্বয় বৈঠকে পিএফআই (PFI) সংক্রান্ত সমস্ত নথি বিনিময় করা হয়েছে। দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার আগেও রাজ্যের মতামত নেওয়া হয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার পিএফআই নিয়ে নরম মনোভাব নিলে তা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না।

    আরও পড়ুন: হিন্দু নেতাদের হত্যা থেকে হাওয়ালা কারবার! কী কী করত পিএফআই, জানেন?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন বিজেপি (BJP) কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করবেন। তাঁর ভাইপো বিজেপি কর্মীদের কপাল লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন। জাতীয়তাবাদী শক্তি দমনে পুলিশ এরাজ্যে সক্রিয়। কিন্তু নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বয়ানের জেরে বিক্ষোভের সময় ১৪ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হলেও মমতার পুলিশ চুপ থাকে। পিএফআইয়ের মতো নাশকতা চালানো শক্তি জানে মমতা প্রশাসন তাদের বন্ধু। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে এমন শক্তির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।

  • Covid Booster Dose: পুজোর আগেই ৫ কোটি বুস্টার ডোজ দেওয়া সারতে হবে, নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের 

    Covid Booster Dose: পুজোর আগেই ৫ কোটি বুস্টার ডোজ দেওয়া সারতে হবে, নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই রাজ্যের সমস্ত যোগ্য প্রাপককে  কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। নবান্নে (Nabanna) আজ রাজ্যের সাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব সহ দফতরের অন্যান্য আধিকারিক,সব জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ছ কোটির বেশি মানুষ কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। এদের মধ্যে ১ কোটি ২১ লক্ষ ৬৫ হাজার মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। বাকি ৫ কোটির বেশি মানুষের এখনও পর্যন্ত এই বুস্টার ডোজ বকেয়া রয়েছে। তাঁরা যাতে পুজোর আগেই বুস্টার ডোজ পান তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা কর্মীদের এই কাজে নিযুক্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের দেওয়া টাকা সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট খাতে খরচ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “করোনা ভাইরাস ক্লান্ত নয়, আগামী মাসে ফের বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা”, সতর্কবার্তা ‘হু’ প্রধানের

    প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য মিশনের টাকা ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আশাকর্মী নিয়োগের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। 

    শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,২৭২ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা ছাপিয়েছিল ১৫ হাজারের গণ্ডি। সংক্রমণের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় খানিকটা কমেছে অ্যাকটিভ কেস। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে ১ লক্ষ ১ হাজার ১৬৬ জন। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার কমে হয়েছে ০.২৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ২৮৯।

    আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনে আক্রান্ত ১২ হাজারের বেশি

    এই পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাই পুজোর উৎসবে, জমায়েতের কারণে যাতে কোনওভাবেই রোগের বাড়বাড়ন্ত না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখতেই তড়িঘড়ি এই ব্যবস্থা।  

  • Liquor price hike: ক্লাব অনুদানের টাকা তুলতে পুজোর আগেই বাড়ছে মদের দাম

    Liquor price hike: ক্লাব অনুদানের টাকা তুলতে পুজোর আগেই বাড়ছে মদের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসছে পুজো বাড়ছে মদের দাম। বাড়তি রোজগারের টাকাতেই পুজোয় ক্লাব অনুদানের টাকা তুলে নিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শুধু তাই নয়, পুজোর আবহ তৈরি করে মদের বিক্রি বাড়াতেই ভাদ্রের মল মাসেও দুর্গাপুজো নিয়ে পদযাত্রা করে বাঙালিকে মাতিয়ে দেওয়ার কৌশল নেওয়া হয়েছে বলে নবান্নের অন্দরের খবর।

    আবগারি দফতর সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক চললে মহালয়ার দিন সাতেক আগেই দিশি এবং ফরেন লিকারের(বিলিতি)দাম ৭ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে আবগারি শুল্কের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। দিশি এবং ফরেন লিকারের উৎপাদকেরা তাদের ডিস্টিলারি থেকে মদ উৎপাদনের খরচ বাড়ার কারণে উৎপাদন মূল্য বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন।গত ছমাস ধরে সেই প্রস্তাব থাকলেও নবান্ন তা মঞ্জুর করেনি। দুর্গাপুজোর ক্লাব অনুদান ঘোষণার দুএকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মদের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। যদিও সরকার আবগারি শুল্কের কোনও পরিবর্তন করছে না, তবুও মদের দাম বাড়ার ফলে বেভারেজ কর্পোরেশনের লেনদেনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। মদের উৎবপাদন মূল্য যত বেশি হবে বেভকো তত বেশি কমিশন পাবে। ফলে ইডিপি বাড়ার ফলে নবান্নের রোজগার বাড়বে। সেই টাকাতেই ক্লাবগুলিতে দেওয়া পুজোর অনুদাম তুলে নেওয়া হবে।

    আবগারি কর্তাদের আশা, সরাসরি কর আদায় না বাড়লেও বাড়তি দামের ফলে আরও মোটা টাকার লেনদেন হবে, তাতে অন্তত ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা রাজস্ব বাড়তে পারে। পুজোর অনুদানের খরচ মদ বিক্রি করে দুমাসেই তুলে নিতে পারবে রাজ্য।রাজ্যে এখন প্রায় দেড় কোটি কেস ফরেন লিকার এবং ১ কোটি কেস বিয়ার বিক্রি হয়। করোনার সময় দীর্ঘদিন মদের দোকান বন্ধ থাকায় আবগারি রাজস্ব কমে গিয়েছিল। ২০২১ এর নভেম্বরে সরকার মদের দাম অনেকটাঅ কমিয়ে দিয়েছিল। তার ফলে বিলিতি মদ বা বিয়ারের বিক্রি প্রায় ৫০% বেড়ে গিয়েছে। এখন মদ্যপায়ীদের পানের অভ্যাস আগের মতো ফিরে আসায় সরকার ফের মদের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে মদের উৎপাদন মূল্য বাড়ানোর পিছনে কোনও এক রহস্য আছে বলেও শোনা যাচ্ছে।

    আবগারি দফতর জানাচ্ছে, দুর্গাপুজো থেকে ছট পর্যন্ত প্রতি বছরই মদের বিপুল বিক্রি হয়। উৎসবের মরশুমে বাঙালি হাতখুলে খরচও করে থাকে। ফলে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি মদের দাম বাড়ালে বিক্রিতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। বরং বাড়তি আয় দিয়ে পুজোর আগে নবান্নের বাড়তি খরচ পুষিয়ে দেওয়া যাবে।

    মদের দাম বৃদ্ধির কানাঘুষো খবর বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মন বলেন, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। একদিকে দুর্গাপুজোর সহায়তা দিতে ক্লাবগুলিকে অনুদান দিচ্ছে সরকার। সেই টাকা তোলা হচ্ছে মদের বিক্রি এবং দাম বাড়িয়ে। ভাদ্রের মল মাসেও মুখ্যমন্ত্রী পুজোর আবহ তৈরি করতে চাইছেন।যাতে এখন থেকেই মদে মেতে ওঠে যুব সমাজ। ঘুরিয়ে মদের দাম বাড়িয়ে তাদের পকেট কেটেই ক্লাব অনুদানের টাকা তুলছে নবান্ন। বাঙালি আর কবে বুঝবে?  আর কত ঠকবে?     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Howrah Violence: হাওড়ায় ‘ফেল’ দুই পুলিশকর্তার কলকাতায় ‘প্রোমোশন পোস্টিং’!

    Howrah Violence: হাওড়ায় ‘ফেল’ দুই পুলিশকর্তার কলকাতায় ‘প্রোমোশন পোস্টিং’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্যের জেরে হাওড়ার অগ্নিগর্ভ (Howrah violence) পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মমতা (Mamata) প্রশাসনের দিকে উঠতে শুরু করেছে অভিযোগের আঙুল। এই পরিস্থিতিতে, শনিবার বিকেলে নবান্নতে (Nabanna) উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে নেওয়া হয় ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সিদ্ধান্ত। রাজ্য প্রশাসনের হেডকোয়ার্টার থেকে জানিয়ে দেওয়া হল যে, হাওড়া শহর (Howrah City) ও হাওড়া গ্রামীণ (Howrah Rural)— এই দুই এলাকার শীর্ষ পুলিশকর্তাকে সরানো হচ্ছে।

    প্রথমদিকে হয়ত মনে হয়েছিল, হয়ত প্রশাসন কড়া হাতে বিষয়টিকে দমন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু, ভুল ভাঙে কিছুক্ষণের মধ্যেই। কারণ, দুই এলাকার পুলিশকর্তাকে সরিয়ে যে নতুন পদে বসানো হয়েছে, তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। সাধারণত, এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রুখতে ব্যর্থ পুলিশকর্তাদের ‘পানিশমেন্ট পোস্টিং’ দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ, আগের থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে অথবা কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে, ঘটনা ঠিক উল্টো।

    হাওড়ায় (Howrah) ব্যর্থ দুই পুলিশ কর্তাকেই আখেরে বদলি করে কলকাতায় এনে যাকে বলে রীতিমতো ‘প্রাইজ পোষ্টিং’ দেওয়া হয়েছে। যেমন, হাওড়ায় ‘ফেল’ পুলিশকর্তা তথা হাওড়া (শহর) পুলিশ কমিশনার সি সুধাকরকে (C Sudhakar) আনা হয়েছে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার পদে। যে পদে আসার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। অন্যদিকে, হাওড়ায় আরেক ব্যর্থ পুলিশকর্তা তথা হাওড়া (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সৌম্য রায়কে (Saumya Roy) আনা হয়েছে কলকাতা পুলিশের সাউথ ওয়েস্টের ডেপুটি কমিশনার পদে আনা হয়েছে।

    ব্যর্থতার জন্য তো শাস্তি হয় বলেই শোনা যায়। আইনকানুন সামলাতে না পারলে, পানিশমেন্ট পোস্টিং হয় বলেই এতদিন সকলেই জানেন। কিন্তু, ব্যর্থ হওয়ার জন্য ‘পানিশমেন্ট পদোন্নতি’ বা ‘প্রাইজ পোস্টিং’ দেওয়া হল— এমন কাণ্ড একমাত্র মমতা প্রশাসনের পক্ষেই সম্ভব। আর এখান থেকেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রথমত, তাহলে কি পুলিশ কর্তাদের আদৌ কোন দোষ ছিল না? তাঁরা সেটাই করেছেন, যা তাঁদের করতে বলা হয়েছিল? তাই যদি না হবে, তাহলে কেন বদলি করা হল অধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে? 

    যেমন ধরা যাক, হাওড়া গ্রামীণ ক্ষেত্রটি। গত তিনদিন ধরে ডোমজুড়, পাঁচলা ও সলপে একাধিক হিংসা ঘটেছে। এসবকটি এলাকা হাওড়া গ্রামীণ এলাকার আওতাধীন। সেখানকার পুলিশ সুপার ছিলেন সৌম্য রায়। যিনি কিনা আবার সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রর স্বামী। অতীতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় লাভলির প্রার্থিপদ ঘোষণার পরেই বিতর্কে জড়ান এই আইপিএস অফিসার। বিরোধীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্ত্রী লাভলি ভোটে প্রার্থী হওয়ায় সৌম্যকে পুলিশের উচ্চপদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

    সাম্প্রতিক অতীতে, হাওড়ার আমতার বাসিন্দা ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anees Khan) অস্বাভাবিক মৃত্যুর সময়ই এই আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতিত্বের’ অভিযোগ ওঠে। অনেকেই দাবি করেছিলেন, আনিসের মৃত্যুর ঘটনা ‘ধামাচাপা’ দিতে চাইছেন সৌম্য। সেই সময়ও, সৌম্যর বদলির জোরালো দাবি উঠেছিল। কিন্তু, তাঁকে সরানো হয়নি। 

    বিরোধীদের মতে, এই বদলি আখেরে স্রেফ একটা ‘আইওয়াশ’ ছাড়া কিছুই নয়। পুলিশকর্তা বদলের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র তাহলে কি লোক দেখানোর প্রক্রিয়া মাত্র? প্রশাসনের দাবি, এটা নাকি রুটিল বদলি! কাকতালীয়ভাবে, রুটিন বদলিতে এমন দুজনকে সরানো হল, যেখানে এখন গত তিনদিন ধরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে। বিরোধীদের দাবি, সৌম্যকে ‘আড়ালে রাখতেই’ তাঁকে হাওড়ার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে কলকাতা পুলিশে নিয়ে আসা হল।

  • Howrah Violence: হাওড়ায় হিংসার জের, বদল শহর ও গ্রামীণের পুলিশপ্রধান

    Howrah Violence: হাওড়ায় হিংসার জের, বদল শহর ও গ্রামীণের পুলিশপ্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিন হলেও হাওড়ার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এখনও সামাল দিতে ব্যর্থ মমতা প্রশাসন। এই পরিস্থিতি প্রচণ্ড চাপের মুখে অবশেষে জেলা পুলিশের শীর্ষস্তরে রদবদলের সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। হাওড়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আজই নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী৷ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম৷ সেখানেই দুই পুলিশকর্তাকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওযা হয়।

    হাওড়া শহরের নতুন পুলিশ কমিশনার হচ্ছেন প্রবীণ ত্রিপাঠী। সেইসঙ্গে গ্রামীণ জেলার নতুন পুলিশ সুপারের দায়িত্ব নিতে চলেছেন স্বাতি ভাঙ্গালিয়া। এই মুহূর্তে কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশানাল কমিশনার পদে কর্মরত আছেন প্রবীণ ত্রিপাঠী। স্বাতি ভাঙ্গালিয়া আছেন ডিসি সাউথ ওয়েস্ট পদে। হাওড়া জেলার বর্তমান পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর হচ্ছেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি এবং গ্রামীণ জেলার পুলিশ সুপার সৌম্য রায় হচ্ছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ ওয়েস্ট।

    আরও পড়ুন: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    হজরত মহম্মদকে (Prophet) নিয়ে করা দিল্লিতে সদ্য দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার একটি মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে কার্যত উত্তপ্ত হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার ডোমজুড়ের অঙ্করহাটির কাছে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধের পর শুক্রবার গোটা দিন ধরেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ ছিল বহু এলাকায়। জেলার উলুবেড়িয়া, ডোমজুর সহ একাধিক এলাকায় গত কয়েকদিনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। 

    জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে টানা চলে অবরোধ। চেঙ্গাইল সহ একাধিক স্টেশনে হয় রেল অবরোধ। স্তব্ধ হয়ে যায় সড়ক ও রেল যোগাযোগ। পাঁচলায় অগ্নিসংযোগ এবং এটিএম ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। শনিবারও পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। এদিন পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। 

    আরও পড়ুন: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    সতর্কতা হিসেবে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ১৩ জুন সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হাওড়ার বেশ কিছু জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে হাওড়ার পর এবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেলডাঙাতেও অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।  ১৪ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

  • Suvendu Sukanta: হাওড়ায় যেতে কেন বাধা? সুকান্ত-শুভেন্দুকে মামলায় অনুমতি হাইকোর্টের

    Suvendu Sukanta: হাওড়ায় যেতে কেন বাধা? সুকান্ত-শুভেন্দুকে মামলায় অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) ঢোকার চেষ্টা করলে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে (BJP State President) গ্রেফতার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে (Leader of Opposition) বাধা কেন দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসন ও সরকারের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu) এবং বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)৷ বিষয়টি নিয়ে মামলার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই নেতা৷ কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের সেই আবেদন মেনে নিয়ে মামলা রুজু করার অনুমতি দিয়েছে৷

    পয়গম্বরকে (Prophet Row) নিয়ে বিজেপির নিলম্বিত জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা (Howrah Violence)৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল হাওড়ায়। সোমবার তা পুনরায় চালু করা হয়। উলুবেড়িয়া সহ বেশ কিছু এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। 

    আরও পড়ুন: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে বিজেপি-র কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে৷ তারপরই হাওড়া যাওয়ার উদ্যোগ নেন শুভেন্দু ও সুকান্ত৷ কিন্তু, তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ৷ শনিবার সেই পার্টি অফিসে যেতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু, তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।

    নিউ টাউনের বাড়িতে বেরোতেই পুলিশ আটকায় সুকান্ত মজুমদারকে। কিন্তু পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই গাড়ি করে রওনা দেন হাওড়ার উদ্দেশে। কিন্তু মাঝ পথেই তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। তখন পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।

    অন্যদিকে, রবিবার একইভাবে কাঁথি থেকে হাওড়ায় যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু পুলিশ হাওড়ায় যেতে দেয়নি তাঁকেও। নন্দীগ্রামে দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ার পর শুভেন্দু হাওড়া না গিয়ে কলকাতায় এসে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে তাঁকে ‘বেআইনি ভাবে’ হাওড়া যাওয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদীকেও চিঠি দেন শুভেন্দু। 

    আরও পড়ুন: বেথুয়াডহরি স্টেশনে ভাঙচুর বিক্ষোভকারীদের, প্রতিবাদে ৭২-ঘণ্টা ব্যবসা বন‍্‍ধ

    শুভেন্দু আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, হাওড়ায় ঢুকতে তাঁকে বাধা দেওয়া হলে, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। এই দুই ঘটনায় পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান সুকান্ত-শুভেন্দু। সোমবার, তাঁদের সেই আবেদন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত।

LinkedIn
Share