Tag: Nadia

Nadia

  • Nadia: মঞ্চে বসে রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র, নীচে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

    Nadia: মঞ্চে বসে রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র, নীচে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সভায় তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাপ়়ড়ায়। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সামনেই কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দলীয় সভায় এভাবে কর্মীদের মধ্যে মারামারি করতে দেখে সাধারণ মানুষ নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতে শুরু করেন। শাসক দলের কোন্দলের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    বুধবার নদিয়ার (Nadia) চাপড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিশাল কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। আগামী ১০ তারিখ তৃণমূল সুপ্রিমো  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে জনগর্জন সভার প্রস্তুতি হিসেবে সভার আয়োজন করা হয়। তবে, ছন্দ কাটল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে মঞ্চে ওঠা নিয়ে। এদিনের এই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র , তৃণমূল বিধায়ক রূকবানুর রহমান, নদিয়া জেলার সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর, সহ- সভাধিপতি সজল সাহা সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা। তখনই এক গোষ্ঠীর সঙ্গে চাপড়ার তৃণমূল নেতা জেবের শেখ অনুগামীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। পরে, ধস্তাধস্তি বাধে। গন্ডগোলের কারণে সভার কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে, দলীয় সভার কাজ শুরু হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে বিধায়ক রূকবানুর রহমান বলেন, তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই, যা হয়েছে সেটা দলে থাকলে একটু আধটু হয়। কেউ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। তবে সেটা আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নেব। সভা মঞ্চ থেকে মহুয়া মৈত্র বিজেপি আক্রমণ করেন। তবে, এভাবে প্রকাশ্যে দলীয় কোন্দলের বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, দলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি দেখে তিনি ক্ষুব্ধ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Sarkar: প্রচারে বেরিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ, দেওয়াল লিখলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    Jagannath Sarkar: প্রচারে বেরিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ, দেওয়াল লিখলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম ঘোষণা হতেই প্রচারে নেমে পড়েছেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar)। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুরোদমে চলছে দেওয়াল লিখনের কাজ। মঙ্গলবার নদিয়ার চাকদা বিধানসভা এলাকায় চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী।

    দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেওয়াল লিখলেন প্রার্থী (Jagannath Sarkar)

    নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর (Jagannath Sarkar) নাম ঘোষণা না করলেও দিল্লি থেকে দিন কয়েক আগে রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৯ সালে সমতলে সবথেকে বেশি ব্যবধানে জেতা প্রার্থী তথা বর্তমান সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে পুনরায় প্রার্থী করেছে বিজেপি। দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকে পুরোদমে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছেন বিজেপি কর্মীরা। সেইমতো পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রতিটি জায়গায় প্রচারে যাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই চলছে বিজেপি প্রার্থীর প্রচার। প্রথমে চাকদা বিধানসভার বিজেপি মণ্ডল পাঁচ এর উদ্যোগে একটি রক্তদান শিবিরে যোগদান করেন তিনি। এরপরই একাধিক জায়গায় দেওয়াল লিখন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। জগন্নাথ সরকার নিজের হাতেই একাধিক দেওয়াল লিখে দলীয় কর্মীদের উৎসাহিত করেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ সহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

    আরও পড়ুন: অপুর ‘পয়া’ টোটো চালিয়ে বাজিমাত করেছিলেন, এবারও সেই টোটোতে প্রচার সুভাষের

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar) বলেন, গতবারও মন্দিরে পুজো দিয়ে আমি প্রচার শুরু করেছিলাম। এবার নাম ঘোষণা হওয়ার পরই মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছি। সমস্ত বিধানসভায় দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের যা সমর্থন পেয়েছিলাম, এবারের লোকসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা আরও বেশি। প্রচুর মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করছেন। গত পাঁচ বছরে মানুষের কাছে যে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছি,আগামীদিনে আরও যাতে উন্নয়ন পৌঁছে দিতে পারি সেই লক্ষ্য নিয়েই ভোট প্রচার করছি। নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করতে আগামী পাঁচ বছর আরও বেশি ভোটের ব্যবধানে সাধারণ মানুষ আমাকে জয়ী করবেন বলে আমি আশাবাদী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: এ যেন ল্যান্ডমাইন! বাড়ির ভিত কাটতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ, জখম চার শ্রমিক, এলাকায় আতঙ্ক

    Bomb Blast: এ যেন ল্যান্ডমাইন! বাড়ির ভিত কাটতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ, জখম চার শ্রমিক, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  তৃণমূলের সরকারের আমলে বোমার স্তুূপের মধ্যে রয়েছে গোটা রাজ্য। এমনই অভিযোগ করে বিরোধীরা। সেটা যে সত্যি তার প্রমাণ মিলল নদিয়ার চাকদায়। বাড়ি তৈরির ভিত কাটতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) । আর তাতে জখম হন চারজন শ্রমিক। একজনের চোট গুরুতর। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদার লালপুর এলাকায়। গুরুতর জখমসহ চারজন শ্রমিককে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে। ইতিমধ্যে কে বা কারা মাটির তলায় বোমা রেখেছিল তার তদন্ত শুরু করেছে চাকদা থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নদিয়ার চাকদার পাজির মোড় লালপুরে মৌসুমী বিশ্বাস নামে এক গৃহবধূর বাড়ি তৈরির জন্য ভিত খোঁড়ার কাজ চলছিল। পাশেই তাঁর ঘর রয়েছে। নিজের ফাঁকা জমিতে নতুন করে ঘর তৈরির জন্য ভিত কাটার কাজ চলছিল। সেখানে চারজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। আচমকা মাটির নীচে থাকা একটি কৌটোর ওপর কোদালের কোপ লাগে। এরপর বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। চারজন শ্রমিকই মাটিতে ছিটকে পড়েন। তবে, যে শ্রমিকের কোদাল লেগে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে তিনি গুরুতর জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চলছে চিকিৎসা। দিনের বেলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত গোটা এলাকার মানুষ। অন্যদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চাকদা থানার পুলিশ। এই বোমাটি কীভাবে এল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: নদিয়ার গঙ্গার চরে ফের কুমির, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দা শিপ্রা দত্ত বলেন, ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ বিকট আওয়াজ (Bomb Blast) পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। যেখানে ভিত কাটার কাজ চলছিল, সেখানে ধোঁয়ায় ভরে যায় এলাকা। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখি শ্রমিকদের। মাটিতে রক্ত ভাসছিল। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকে আমরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছি। কে বা কারা এই বোমা মাটির তলায় রেখেছিল তা তদন্ত হওয়া দরকার। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা মাটির নীচে ল্যান্ড মাইন পেতে রাখত। এদিনের ঘটনা সেরকম মনে হচ্ছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ার গঙ্গার চরে ফের কুমির, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    Nadia: নদিয়ার গঙ্গার চরে ফের কুমির, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের কালনার পর এবার নদিয়ার (Nadia) ধুবুলিয়াতে গঙ্গায় দেখা মিলল কুমিরের। তবে, এক ঝলক নয়, রীতিমতো গঙ্গার চরে কুমিরকে রোদ পোহাতে দেখা গিয়েছে। সোমবার দিনভর এই কুমিরকে কেন্দ্র করে গোটা ধুবুলিয়া এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কোথায় দেখা গিয়েছে কুমির (Nadia)

    গত বছর পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের মধ্যেই কুমির ঢুকে পড়েছিল। পুরসভা এলাকায় দাপিয়ে বেরিয়েছিল কুমির। পরে, গঙ্গায় ফিরে গিয়েছিল কুমির। তারপরও নদিয়ার (Nadia) বিভিন্ন এলাকায় গঙ্গায় বারবার কুমিরের দেখা মিলছিল। যা নিয়ে রীতিমতো নদীতে বারবার কুমিরের দেখা মিলছিল। যা নিয়ে রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত বন দফতর কুমিরটিকে উদ্ধার করে মালদা জেলায় নিয়ে গিয়ে ফের নদীতে ছেড়ে দেয়। জানা গিয়েছে, সোমবার ধুবুলিয়ার বহিরদ্বীপ এলাকায় নদীর চরে একটি কুমিরকে রোদ পোহাতে দেখেন স্থানীয় মৎসজীবীরা। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। কুমির দেখতে এলাকায় ভিড় জমে যায়। খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। যদিও ভিড় জমতে দেখে ফের নদীতে গা ঢাকা দেয় কুমির। স্থানীয় বাসিন্দা কেনারাম ঘোষ বলেন, “যেখানে কুমিরটা শুয়েছিল তার কাছেই স্নানের ঘাট। সবাই খুব আতঙ্কে আছে। স্নান করতে গিয়ে যদি কেউ কুমিরের শিকার হয় সেই ভয়ে অনেকেই ঘাটে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।”

    বন দফতরের আধিকারিক কী বললেন?

    নদিয়া-মুর্শিদাবাদ ডিভিশনের অতিরিক্ত বনাধিকারিক সায়ক দত্ত বলেন, এই কুমিরের জন্য আতঙ্কিত হওয়া বা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। শুধু দূরত্ব বজায় রাখলেই হবে। গঙ্গার এই এলাকা কুমিরের স্বাভাবিক বিচরণ ক্ষেত্র। আর এই কুমিরগুলো ফ্রেশ ওয়াটার ক্রোকোডাইল। এই ধরনের কুমির সাধারণত মাছ খায়। আমরা বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে এসেছি। এটা নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। শুধু কুমিরের কাছাকাছি না গেলেই হল। কুমির কোনও ক্ষতি করবে না।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মোদির সভায় যাওয়ার জন্য বিজেপি কর্মীর বিছানায় আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nadia: মোদির সভায় যাওয়ার জন্য বিজেপি কর্মীর বিছানায় আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগরে নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যাওয়ার কারণে রাতের বেলা ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় আগুন ধরিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে পরিবার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাকদা থানার শিমুরালি এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম জয়ন্তী দাস। তাঁর বাড়ি নদিয়ার (Nadia) শিমুরালি ঘোষপাড়া এলাকায়। শনিবার কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় গিয়েছিলেন। এরপর প্রতিদিন রাতের মতোই নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। ওই গৃহবধূর ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালীন বিছানায় রাতের অন্ধকারে জানলার ফাঁক দিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সেই আগুনে পুড়ে যায় মশারির বেশ খানিকটা অংশ। পাশাপাশি এই গৃহবধূর গায়ে আগুন লাগে এবং চুল পড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে যথেষ্টই আতঙ্কিত দাস পরিবার। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী জয়ন্তী দাস বলেন, মোদির সভায় যাওয়া অপরাধ হয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা তা মেনে নিতে পারেনি। তাই, আমার বিছানায় আগুন দিয়ে আমাকে প্রাণে মেরে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কোনওরকমে আমি প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    এ বিষয়ে সাংসদ তথা রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, এই ঘটনা নতুন কিছু নয়, সন্দেশখালিতে যেভাবে তৃণমূল অত্যাচার চালিয়েছে, ঠিক সেইরকম গোটা রাজ্য জুড়েই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। সেই কারণেই নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যাওয়ার কারণে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রশাসন কত দূর পদক্ষেপ নেবে তা আমাদের জানা নেই। তবে, আমরা ওই গৃহবধূর বাড়িতে যাব এবং গোটা বিজেপি তাঁর সঙ্গে রয়েছে সেই আশ্বাস দিয়ে আসবো।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নদিয়া দক্ষিণের জেলা সভাপতি সনৎ চক্রবর্তী বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এবারের রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে। সেই কারণে দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই ধরনের অভিযোগ করছে। এটা পুরোটাই ভিত্তিহীন, বিজেপির নাটক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরে বেআইনি অস্ত্রের কারখানার হদিশ, উদ্ধার এক নলা বন্দুক! গ্রেফতার ১

    Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরে বেআইনি অস্ত্রের কারখানার হদিশ, উদ্ধার এক নলা বন্দুক! গ্রেফতার ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ। উদ্ধার করা হল বন্দুক সহ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে একজন। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) থানাপাড়া এলাকার সাহেব পাড়ায় একটি বাড়িতে বেআইনি ভাবে অস্ত্র তৈরি করার কারখানার খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশ। ধৃতের নাম হল বজলু শেখ। গ্রেফতার করে তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক পুলিশে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।

    পুলিশ সূত্রে খবর (Kriahna Nagar)

    নদিয়া পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) সাহেব পাড়ায় একটি বাড়িতে বেআইনি ভাবে অস্ত্র নির্মাণে কাজ চলছিল। এই খবর গোপন সূত্রে আসে পুলিশের কাছে। এরপর এখানে হানা দিয়ে একটি একনলা বন্দুক সহ আরও একাধিক অস্ত্র উদ্ধার হয় ওই বাড়ি থেকে। বাড়িতেই ছিল অস্ত্র তৈরির কারখানা। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। বাড়িতে সেই সময়ে উপস্থিত ছিল বজলু। পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে।” কিন্তু কীভাবে এই অবৈধ অস্ত্র নির্মাণের কাজ চলছিল তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সীমান্তের ওপারের অস্ত্রকারবারিদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা নিয়েও রীতিমতো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

    পুলিশ আধিকারিক এসডিপিও-র বক্তব্য

    নদীয়া (Nadia) পুলিশের পক্ষ থেকে তেহট্ট এসডিপিও শুভতোষ সরকার বলেন, “অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করেছে। অভিযুক্তের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।” তবে ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    আতঙ্কিত এলাকবাসী

    এলাকার (Krishna Nagar) মানুষের প্রশ্ন প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে এই বাড়িতে অস্ত্র রাখা হয়েছিল। বাড়িতে নির্মিত কারখানায় অস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার মানুষ। এমনিতেই নদিয়া জেলার একপাশে বাংলাদেশ সীমান্ত, ফলে এই অস্ত্র বাংলাদেশে পাচার হবে না তো? আবার সামনেই লোকসভার ভোট তাকে প্রভাবিত করার জন্য অস্ত্র মজুত করা হয়তেছিল কিনা, তাই নিয়েও এলাকার মানুষ দারুণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেশী অস্ত্র এবং বোমার ব্যবহারে রাজনৈতিক হিংসার খবরে শিরোনাম হয়েছিল নদিয়া জেলা। তাই এলাকার মানুষ আতঙ্কিত।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শান্তিপুরে কচুরিপানা থেকে তৈরি হচ্ছে শাড়ি! নয়া উদ্যোগ দিশা দেখাচ্ছে কর্মসংস্থানেরও

    Nadia: শান্তিপুরে কচুরিপানা থেকে তৈরি হচ্ছে শাড়ি! নয়া উদ্যোগ দিশা দেখাচ্ছে কর্মসংস্থানেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিত্যক্ত কিংবা অব্যবহৃত জিনিসকে কাজে লাগিয়ে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার আন্তর্জাতিক চিন্তাভাবনার ওপর ভর করে এখন সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প হচ্ছে। একদিকে যেমন সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নানা কাজ করা হচ্ছে, তেমনি বাড়ি বাড়ি থেকে সংগৃহীত পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্যেরও প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়েছে সরকারি তত্ত্বাবধানে। কেন্দ্রীয় সরকারের এ ধরনের নানা ক্ষুদ্র, কুটির কিংবা হস্তশিল্পের প্রকল্প রয়েছে। মহিলা হোক বা পুরুষ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করে তাদের মধ্য দিয়ে উৎপাদন এবং বিপণন পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় (Nadia)।

    কীভাবে এই ভাবনা মাথায় এল?

    আজ থেকে পাঁচ বছর আগে বনগাঁর এরকমই এক উদ্যোগী কৌশিক মণ্ডল নদিয়ার শান্তিপুর এলাকার বেশ কিছু তাঁতি এবং বাংলার বিভিন্ন জেলার পরিবেশ রক্ষা এবং নতুন ধরনের চিন্তাভাবনাসম্পন্ন মানুষকে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (Nadia)। যদিও সে সময় নদী পরিষ্কার তাঁদের অন্যতম প্রধান কাজ ছিল। আর তা করতে গিয়ে তাঁরা প্রথম লক্ষ্য করেন, কোনও কাজে না লাগা কচুরিপানা মাছচাষের ক্ষেত্রেই হোক বা নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা, সবকিছুতেই প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। সেগুলি পরিষ্কার করার জন্য কৃষকদের অযথা অর্থ ব্যয় হয়। অন্যদিকে সেগুলি পুকুর কিংবা জলাশয়ের পাড়ে পড়ে থেকে থেকে নষ্ট হয়। এর পরই কচুরিপানা দিয়ে কিছু করার চিন্তাভাবনা তাঁর মাথায় আসে।

    কীভাবে হচ্ছে শাড়ি তৈরির কাজ? (Nadia)

    পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু হয়। শান্তিপুরের বিভিন্ন ডোবা, পুকুর পরিষ্কারের পর কচুরিপানার গোড়া এবং পাতা ফেলে দিয়ে, প্রধান কাণ্ড কিংবা পাতার মোটা ডাটা থেকে আঁশ ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। পরে তা শুকানো হয়। তবে এক্ষেত্রে মাত্র দু’কেজি তন্তু পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে স্পিনিং মিলের সংখ্যা কম থাকার কারণে তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যের এ ধরনের মিলে সুতো তৈরি করে নিয়ে আসেন। যেগুলি কখনও টানায়, কখনও পোড়েন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ২৫ শতাংশের বেশি কখনই নয়। কারণ হিসেবে কৌশিকবাবু জানান, টেকসই এবং ক্রেতাদের ক্ষমতার দিকে নজর রেখেই এটা করা হয়ে থেকে। এভাবেই প্রায় ৪০০ শাড়ি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে (Nadia)। যা সাড়া ফেলে দিয়েছে ইউরোপ, আমেরিকার মতো দেশগুলিতে। তাদের সংগঠনকে পুরস্কৃতও করা হয়েছে। আগামী দিনে অত্যন্ত কম মূলধনের এই ব্যবসায় অনেকেই আগ্রহী হবেন বলে তাঁর আশা। তবে পরিবেশের কথা ভেবে এবং পরিত্যক্ত জিনিসকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার বিষয়টিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য, উভয় সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

    কাজ দেখতে আসছেন দূরদূরান্তের গবেষক ছাত্রছাত্রীরা (Nadia)

    নদীয়ার শান্তিপুর মহাপ্রভু পাড়ায় এই কাজ দেখতে এসেছিলেন ছত্তিশগড় রাজ্যের জব্বলপুর এলাকা থেকে সোয়েতা স্যোনি। তিনি জানান, তাঁরা পুরুষ ও মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের হস্তচালিত কুটির শিল্প কিংবা ব্যবসায়িক স্বনির্ভরতার কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কচুরিপানার এই শাড়ি দেখার পর নিজে এসে স্বচক্ষে দেখে গেলেন শাড়ি উৎপাদন। আগামী দিনে রাজ্যে ফিরে গিয়ে সেখানে এ ধরনের একটি প্রকল্প করার চিন্তাভাবনা আছে। সুদূর মুম্বই থেকে অর্পনা গাইকোড-এর নেতৃত্বে ৮ ছাত্রছাত্রীর একদল ফ্যাশন ডিজাইন এবং বস্ত্র বয়ন সংক্রান্ত পড়াশোনা করা গবেষক ছাত্রছাত্রীরা একইভাবে স্বচক্ষে দেখতে এসেছিলেন শান্তিপুরে (Nadia)। তাঁরাও জানাচ্ছেন, অত্যন্ত যুগোপযোগী এই প্রকল্পে আগামী দিনে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। তবে শুধু শাড়ি নয়, এই ফাইবার বা তন্তু নানান কাজে লাগানো সম্ভব। অন্যদিকে এই কচুরিপানা সংগ্রহের ফলে বর্ষাকালে উপকৃত হবেন বহু মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে নদী এবং বিভিন্ন জলপথে যাতায়াত মাধ্যমের কর্মীরাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: জুড়ানপুরের কালীপীঠ দর্শন করতে এসেছেন শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস, সাধক বামাক্ষ্যাপাও

    Nadia: জুড়ানপুরের কালীপীঠ দর্শন করতে এসেছেন শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস, সাধক বামাক্ষ্যাপাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া জেলার কালীগঞ্জ ব্লকের একটি গ্রামীণ জনপদ জুড়ানপুর (Nadia)। মহাপীঠনিরূপণ তন্ত্র অনুসারে এই জুড়ানপুরের কালীপীঠ হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশের ৫১ টি সতীপীঠের অন্যতম। কথিত আছে মা সতীর করোটির অংশ এখানে পতিত হয়েছিল। কালীপীঠের অপর নাম কালীঘট্ট বা কালীঘাট। ভাগীরথী এক সময় জুড়ানপুরের পাশ দিয়েই প্রবাহিত হত। সেই নদীঘাটের অবস্থান থেকেই কালীঘাট নামকরণ হয়৷ দেবী এখানে জয়দুর্গা নামে অধিষ্ঠিত।

    এসেছেন স্বয়ং শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস (Nadia)

    এই শক্তিপীঠের রক্ষাকর্তা ক্রোধীশ ভৈরব। এখানে এক সুপ্রাচীন বটবৃক্ষের তলায় মহাদেবী স্বয়ম্ভু প্রস্তরখণ্ড রূপে পূজিতা হন। এখানে প্রতীক অর্থে একটা ব্রোঞ্জের মূর্তি আছে৷ নানা সময় নানান বিখ্যাত সাধক এখানে এসেছেন পীঠ (Nadia) দর্শন করতে। সেই তালিকাতে আছেন স্বয়ং শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস, সাধক বামাক্ষ্যাপা সহ অনেক বিখ্যাত সাধক। অনেকে তো এখানে সাধনাও করে গেছেন। জুড়ানপুর কালীপীঠে দুর্গাপুজো, রটন্তী কালীপুজো, রথযাত্রা ও জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয়৷ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার হয় জলাভিষেক। প্রতি বছর মাঘী পূর্ণিমায় জুড়ানপুর কালীপীঠ প্রাঙ্গণে বিরাট মেলা বসে। এই মেলায় জাতিধর্ম নির্বিশেষে বেশ কয়েক হাজার লোকসমাগম হয়। সেই অর্থে এটি সর্বধর্ম সমন্বয়েরও একটি জায়গা বলা চলে।

    অসংখ্য ভক্ত আসছেন (Nadia)

    প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও লোক সমাগম হয়েছে সেই বিশেষ মেলায়। দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত আসছেন এই মন্দিরে পুজো দিতে। তবে আশেপাশে কোন থাকার জায়গা না থাকলেও মন্দির কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানিয়ে দিলে ব্যবস্থা করা হয় বিশেষ ভোগের। কীভাবে আসবেন? শিয়ালদহ থেকে লালগোলাগামী যে কোনও ট্রেনে দেবগ্রাম স্টেশনে নেমে কাটোয়া ঘাটগামী বাসে নিমতলায় নেমে সেখান থেকে টোটো করে জুড়ানপুরে যাওয়া যায়। অন্যদিকে কাটোয়া স্টেশনে নেমে ভাগীরথী নদী পার করে জুড়ানপুরে (Nadia) আসা যায়।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, রানাঘাট থেকে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    TMC: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, রানাঘাট থেকে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন রানাঘাটের এক তৃণমূল (TMC) নেতা। রবিবার রাতে রানাঘাট থানার আইসতলা থেকে সৌভিক ঘোষ ওরফে গুড্ডু নামের ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ডহারবার জিআরপি পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত যুবকের নাম পার্থ মাইতি। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া এলাকায়। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে পার্থ মাইতির সঙ্গে বেশ কয়েকজনের আলাপ হয় শিয়ালদা ডায়মন্ড হারবার শাখার হোটর স্টেশনে। রাজ্য সরকারের কর্মচারী বলে নিজেদেরকে পরিচয় দেন তাঁরা। এমনকী পার্থ মাইতিকে তাঁরা জানান যে রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি তে তাঁরা চাকরি করে দিতে পারেন। এরপরেই অর্থের বিনিময়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন তাঁরা। এই ঘটনায় ডায়মন্ডহারবার জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা পার্থবাবু। অভিযোগের পর ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে রানাঘাটের এই তৃণমূল (TMC) নেতার নাম সামনে আসে। আর এর পরই রবিবার রাতে আইসতলা থেকে ওই তৃণমূলের নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদিয়া জেলা পরিষদের আসনে আইসতলা থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী ছিলেন সৌভিক ঘোষ ওরফে গুড্ডু নামের ওই তৃণমূল নেতা। ধৃত সৌভিক ঘোষের পাশাপাশি আরও চারজনের নাম উঠে আসে তদন্তে। ধৃত সৌভিক ঘোষকে সোমবার ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতে  হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    অনেকের কাছে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা অভিযোগ

    এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব ছিল তৃণমূল (TMC) নেতা সৌভিক ঘোষের। একাধিক মানুষের কাছ থেকে এই ভাবেই চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছে ওই তৃণমূল নেতা। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে রানাঘাট ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে, ওই তৃণমূল নেতাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছে ধৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রাস্তার পাশে বস্তার মধ্যে গোছা গোছা ভোটার কার্ড, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Nadia: রাস্তার পাশে বস্তার মধ্যে গোছা গোছা ভোটার কার্ড, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝোপের মধ্যে থেকে হাজার হাজার ভোটার কার্ড উদ্ধার। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভোটার কার্ডগুলি উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাকদা থানার তাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মিত্র পুকুর এলাকায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    বৃহস্পতিবার রাতে নদিয়ার (Nadia) চাকদার তাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মিত্রপুকুর এলাকার রাজ্য সড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে দুটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর বস্তাগুলি খুলতেই হতবাক হয়ে যান সকলে। বস্তার ভেতর হাজার হাজার ভোটার কার্ড রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চাকদা থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ ওই ভোটার কার্ডগুলিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গা সহ নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক পরিবারের কাছে আধার কার্ড বাতিলের নোটিশ আছে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। কারণ, একের পর এক কার্ড সক্রিয় হতে শুরু করেছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ঝোপের মধ্যে বস্তা বস্তা ভোটার কার্ড উদ্ধার ঘিরে আবারও নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, এই ভোটার কার্ডগুলি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তৈরি হওয়ার কারণে কেউ ফেলে রেখে গেছে। পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে এই ভোটার কার্ড গুলি নির্বাচনের সময় ব্যবহার করা হত।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এ বিষয়ে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মৃণাল বিশ্বাস বলেন, আমরা প্রথমে ওই বস্তা গুলো দেখতে পাই। সেখানে এত ভোটার কার্ড দেখে পরবর্তীকালে স্থানীয় থানায় খবর দিই। এরপর পুলিশ এসে ভোটার কার্ড গুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে, ভোটার কার্ডগুলো উদ্ধার করার পর সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি এই ভোটার কার্ডগুলি কোথা থেকে এলো কে বা ফেলে গেল তারও তদন্ত শুরু করেছে চাকদা থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share