Tag: Nadia

Nadia

  • Nadia: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    Nadia: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে গ্যাসের কেওয়াইসি করানোর অভিযোগ। মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ গ্রাহকদের। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে (Nadia)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    আধার লিংক করাতে ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে! (Nadia)

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা কৃষ্ণনগর (Nadia) দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাসের স্ত্রীর নামে গ্যাসের ডিলারশিপ রয়েছে। কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী গোটা দেশ জুড়ে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে আধার কার্ডের লিংক করানোর কাজ। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিভিন্ন গ্যাসের ডিলারের অফিস থেকে এই কেওয়াইসি করার নির্দেশ রয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে। সেই মতো বিভিন্ন জায়গায় গ্রাহকরা গিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাঁদের আধার লিঙ্ক করিয়ে আনছেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের স্ত্রী সোমা বিশ্বাস গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে বলা হচ্ছে এখানে কেওয়াইসি করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সোমা বিশ্বাস এবং তাঁর কর্মীদের বিরুদ্ধে। মূলত এই অভিযোগ তুলেই একাধিক গ্রাহক মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রাহকদের বক্তব্য, কেন ২০০ টাকার বিনিময়ে আমরা কেওয়াইসি করব, যেখানে সরকারি নির্দেশ রয়েছে সম্পন্ন বিনামূল্যে এই কাজ করা যাবে। কৃষ্ণনগরে অন্য গ্যাস অফিসে কোথাও নেওয়া হচ্ছে না।

    মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী কী সাফাই দিলেন?

    যদিও গ্রাহকদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল মন্ত্রীর স্ত্রী সোমা বিশ্বাস। তিনি বলেন, কেওয়াইসির বিনিময়ে কোনও টাকা নেওয়া হচ্ছে না। গ্যাসের যে পাইপ লাইন রয়েছে সেই পাইপ দেওয়ার বিনিময়ে ওই ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এটা শুধু আমার এখানে নয়, জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন গ্যাসের ডিলাররা একই নিয়মে কাজ করছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, গোটা দেশজুড়ে একই নিয়ম চলছে। আর আমরা তো দেশের বাইরে নই। যার সমস্যা হবে সে আসবে না।

    গ্যাসেও কাটমানি নিচ্ছে তৃণমূল

    এ বিষয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা সন্দীপ মজুমদার বলেন, কোথাও নিয়ম নেই পাইপ না নিলে কেওয়াইসি করা যাবে না। এটা সম্পূর্ণ জোড়পূর্বক করা হচ্ছে। গ্যাসেও কাটমানি খাওয়ার ধান্দা। তৃণমূলের এটাই পরিচয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  •  Bardhaman: পাত্রী উধাও, বন্ধ ফোন! ছাদনাতলার বদলে পাত্র সোজা থানায়

     Bardhaman: পাত্রী উধাও, বন্ধ ফোন! ছাদনাতলার বদলে পাত্র সোজা থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাত্রী উধাও, বিয়ে করতে গিয়ে বর বিপাকে। রবিবার শীতের রাতে বিয়ে করতে যাওয়ার কথা ছিল বরের। পাত্রীপক্ষকে ফোন করলে জানা গেল, ফোন বন্ধ! বর বুঝলেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman) কাটোয়ার ফেরিঘাটে দাঁড়িয়েছিলেন বর। অবশেষে ছাদনাতলার বদলে পাত্র সোজা থানায় গেলেন। সেই সঙ্গে বর বললেন, “এমন ভাবে প্রতারিত হব, স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। কেন এমন ঘটল বুঝতে পারছি না। পুলিশকে জানিয়েছি। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।”

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Bardhaman)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্র অর্থাৎ বর নদিয়ার কালীগঞ্জের বালিয়াদাঙা-ফরিদপুরের বসিন্দা। পাত্রের নাম নয়ন ঘোষ। যে পাত্রীর সঙ্গে বিবাহ হবে সেই পাত্রী জানিয়েছেন বিয়ে হবে কাটোয়ার (Bardhaman) এক আত্মীয়ের বাড়িতে। আর সেই মতোই পাত্র নয়ন ঘোষ পরিবারের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব সহ ১৫ জনকে নিয়ে কাটোয়ার গোয়ালপাড়ার ঘাটে নামেন। তারপর থেকেই কন্যার এবং বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়।

    বরের অভিযোগ কী

    নদিয়ার বাসিন্দা বর নয়ন ঘোষ কাটোয়াতে (Bardhaman) বিয়ে করতে গিয়ে প্রতারিত হয়ে বলেন, “বিয়ে করতে যাওয়ার পথে যেখানেই পৌঁছেছি সেখানেই কন্যার বাড়ির লোকজনকে ফোন করি। যতবার ফোন করি ঠিক ততবারই বলা হয় লোক পাঠাচ্ছি। এই ভাবে তিন ঘণ্টা কেটে গেলেও কেউ নিতে আসেনি। অবশেষে ধৈর্য হারিয়ে কন্যাকে ফোন করলে দেখা যায় ফোন বন্ধ। এরপর থানায় গিয়ে অভিযোগ করি।”

    কীভাবে বিবাহ ঠিক হয়েছিল?

    স্থানীয় (Bardhaman) সূত্রে জানা গিয়েছে রাজস্থানের জয়পুরের সোনার গহনা তৈরির কাজ করতেন নয়ন ঘোষ। তাঁর সঙ্গে মুর্শিদাবাদের এক সহকর্মী সোমনাথ ঘোষের মাধ্যমে বর্ধমানের দত্ত পাড়ার এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁদের আলাপ এবং তারপরে প্রেমও হয়। মাঝে মাঝে তাঁদের দেখা হতো। তরুণীর কথা মতো রবিবার বিয়ে ঠিক করা হয় তাদেরই এক আত্মীয়ের বাড়িতে। এরপরই ঘটে বিপত্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন  শিশুর বেডে!’ কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন শিশুর বেডে!’ কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মের কল বাতাসে নড়ে, একজন বলেছিলেন কালী মদ খায় আর মাংস খায়। এক বছরও গেল না সেই কালী মায়ের কৃপায় সাংসদ হারা হয়ে গেলেন তিনি। নদিয়ার নবদ্বীপে একটি নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন তিনি।

    শিশুর বেডে কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন, কটাক্ষ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    নদিয়ার নবদ্বীপে সারা ভারত কীর্তন ও বাউল গীতি সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁকে করতাল হাতে নিয়ে কীর্তন করতেও দেখা যায়। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন ধর্মকে যদি আমরা রক্ষা না করতে পারি তাহলে ধর্ম আমাদের রক্ষা করবে না। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। মুর্শিদাবাদে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের স্বাস্থ্য ভালো নেই। যেখানে শিশুর চিকিৎসা হওয়ার কথা, সেই বেডে কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছে।

    কৃষক মৃত্যু নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যে সারের কালোবাজারি চলছে। সরকারের কোনও হেলদোল নেই। গোঘাট থানার ওসি কৃষকদের সঙ্গে যা আচরণ করেছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে এই সরকার কৃষকদের কথা ভাবে না। তাই, কৃষকরা এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়ের বিয়ে নিয়েও সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, সরকার যে বিয়ে তা এই প্রথম দেখলাম। এবার তো সরকার প্রজাপতি অফিস খুলবে। পাত্র-পাত্রী কে বাছাইয়ের কাজ করবে। রাজ্যে কৃষকের মৃত্যু হচ্ছে, হাসপাতালে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে আর মুখ্যমন্ত্রী বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।

    চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ১০০১দিনে পড়ল। ১০০০দিনে এক চাকরি প্রার্থী মস্তক মুন্ডন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে এই সরকারের কোনও হেলদোল নেই। তাই, এই সরকার যতদিন থাকবে ওই চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পাবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি! ভর সন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন

    Nadia: রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি! ভর সন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কথায় কথায় গুলি চলাটা এখন যেন জলভাত হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক কারণে তো বটেই, এখন গুলি চলে পারিবারিক বিবাদ, পাড়ার বিবাদ, এমনকি ব্যর্থ প্রেমের পরিণতিতেও। বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করেন, বারুদের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে রাজ্য। সেই অভিযোগ যে নেহাত কথার কথা নয়, তা একের পর ঘটনাতেই প্রমাণিত। এবার গুলি চলল নদিয়া জেলায় (Nadia)। তাহেরপুর থানার বাদকুল্লায় এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, শুক্রবার ভর সন্ধ্যায় বাদকুল্লার ভাদুরী এলাকার রাজা ভৌমিক নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে  করে দুষ্কৃতীরা। পরিবার সূত্রে খবর, তিন জন দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করে। এরপর বাড়ির দোতলায় থাকা রাজা ভৌমিকের সঙ্গে বচসা হয় তাদের। সেখানেই হাতাহাতি চলাকালীন দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হন ব্যবসায়ী রাজা ভৌমিক। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর ওই দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

    শোকের ছায়া এলাকা সহ পরিবারে (Nadia)

    ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাদকুল্লা এলাকায়। পরে এলাকাবাসীর তৎপরতায় রক্তাক্ত রাজা ভৌমিককে বাদকুল্লা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে এই খুন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে তাহেরপুর থানার পুলিশ (Nadia)। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য তাহেরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও ভরসন্ধ্যায় এই ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া এলাকা সহ পরিবারে। ঘটনার কথা জানতে পেরে ছুটে আসেন মৃত রাজু ভৌমিকের দিদি টিংকু ভদ্র। তিনি বলেন, দোতলার উপরে উঠে আমার ভাইকে গুলি করে খুন করা হয়।

    “রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই” (Nadia)

    এ বিষয়ে জেলার (Nadia) পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক কারণ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। দোষীদের চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: উদ্বোধন করেই দায় শেষ মুখ্যমন্ত্রীর ! কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল জানেন?

    Krishna Nagar: উদ্বোধন করেই দায় শেষ মুখ্যমন্ত্রীর ! কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘটা করে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে (Krishna Nagar) কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই জেলার ছাত্রীদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়েছিল। কিন্তু, গত তিন বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। ফলে, মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে।

    কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কী অবস্থা? (Krishna Nagar)

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু হয়। নিজস্ব ভবন না-থাকায় প্রথমে কৃষ্ণনগর (Krishna Nagar) উইমেন্স কলেজে এর ক্লাস হচ্ছিল। বছর খানেক পরে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের নতুন ভবনে ক্লাস শুরু হয়। কৃষ্ণনগর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপ্যালের আবাসনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। ফলে,  কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন নেই। কোনও স্থায়ী অধ্যাপক বা শিক্ষক নেই। স্থায়ী উপাচার্যও নেই। তিন বছর পেরিয়েও এমনই হাল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। ছাত্রী সংখ্যা কমছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। কর্মীদের অনেকেই মনে করছেন, পরিকাঠামোর অভাব দেখেও অনেক ছাত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার উৎসাহ হারাচ্ছেন। বরং তাঁরা চলে যাচ্ছেন নিকটবর্তী বর্ধমান বা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি বিষয়ে মোট আসন ৪৬০টি। এ বছর ভর্তি হয়েছেন ৩৪৩ জন। যেখানে গত বছর ভর্তি হয়েছিলেন ৪৩৭ জন।

    কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনও ভবন নেই?

    প্রশাসন সূত্রে খবর, কৃষ্ণনগরে (Krishna Nagar) এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন তৈরির জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে সেই টাকা পূর্ত দফতরের হাতে আসেনি। ফলে ভবন তৈরির কাজ বিশ বাঁও জলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষাকর্মী। সকলেই অস্থায়ী। ১৪৪ জন অতিথি অধ্যাপক। কোনও স্থায়ী অধ্যাপক নেই। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হয়েছেন কাজল দে। তিনি বর্তমানে ডায়মন্ডহারবার উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাঁকে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনিও নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেন না। এ ছাড়া ফিনান্স অফিসার, কন্ট্রোলার, রেজিস্ট্রার- সকলেই অবসরপ্রাপ্ত। তাঁদের নতুন করে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের সকলে আবার নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অধ্যাপিকাকে অশ্লীল মন্তব্য টিএমসিপি ছাত্রনেতার! কলেজে বিক্ষোভ এবিভিপির

    Nadia: অধ্যাপিকাকে অশ্লীল মন্তব্য টিএমসিপি ছাত্রনেতার! কলেজে বিক্ষোভ এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া সুধীররঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপিকাকে ফোন করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজের টিএমসিপি’র সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে এই ফোনের অডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রের নাম বিভাস হালদার। প্রতিবাদে কলেজ ক্যাম্পাসে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি।

    শাস্তির দাবিতে এবিবিপির বিক্ষোভ (Nadia)

    অধ্যাপিকার ওপর এহেন আচরণের প্রতিবাদে সোমবার মাজদিয়া (Nadia) কলেজের সামনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। দাবি একটাই তৃণমূল ছাত্র নেতার শাস্তি চাই। আর এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই কৃষ্ণগঞ্জ থানার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। ঘটনায় পুলিশ বাধা দিলে, এভিবিপি ছাত্রছাত্রীরা জোর করে কলেজে ঢুকতে গেলে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। সেই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। কারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও কলেজের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর ঘটনাস্থলে আসেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি বাবিন মুখার্জী।

    প্রিন্সিপালের বক্তব্য

    কলেজ (Nadia) প্রিন্সিপাল এই প্রসঙ্গে বলেন, “আই কার্ড থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে।” এরপর প্রিন্সিপালের হস্তক্ষেপে যারা আইডেন্টিটি কার্ড নিয়ে এসেছিল, সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কলেজের ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে প্রিন্সিপাল আরও বলেন, “ফোনে অশালীন মন্তব্য করার ঘটনায় অধ্যাপিকা নিজে বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।”

    টিএমসিপি ছাত্রনেতার শাস্তির দাবি

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে কলেজের (Nadia) অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও স্টাফদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রিন্সিপাল। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় কোনও মতেই অধ্যাপিকার উপর এই অসভ্য আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্ত ছাত্র যাতে শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার ২ কোটির সোনার বিস্কুট, গ্রেফতার ৮

    Nadia: নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার ২ কোটির সোনার বিস্কুট, গ্রেফতার ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ২ কোটির সোনার বিস্কুট উদ্ধার করল সীমান্ত সুরক্ষ বাহিনী। একই সঙ্গে উদ্ধার একটি পিস্তল, ফেনসিডিল এবং গাঁজা। একেবারে হাতেনাতে ধরা হয়েছে পাঁচ মহিলা সহ মোট ৮ জনকে। এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এই ঘটনায়।

    নদিয়ার কোথায় উদ্ধার হয়েছে (Nadia)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু এই পাচারের গোপন খবর আগেই পেয়ে যান বিএসএফের অফিসারেরা। এরপর নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের পুলিশ এবং রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের কাছে খবর দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় সীমান্ত সংলগ্ন বিজয়পুর গ্রামে চলে যৌথ অভিযান। সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর দুই দিন ধরে চলে অপারেশেন। অবশেষে উদ্ধার হয় গতকাল শনিবারে।

    সীমান্তে চলেলে যৌথ অভিযান

    গত কয়েক মাসে নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে বিএসএফ। গতকাল শনিবার বিজয়পুর গ্রামে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী এবং ডিআরআই যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে ৩ কেজি ৫০০ গ্রাম সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এছাড়াও পুলিশের তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল, তিনটি কার্তুজ, একটি ম্যাগাজিন, দুই কেজি গাঁজা এবং ৬৯ বোতল ফেনসিডিল।

    সীমান্তের সক্রিয় বিএসএফ

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাকারবার নিয়ে বারবার সংবাদ মাধ্যমে খবর উঠে এসেছে। কেন্দ্র সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সীমান্তবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকাকে বিএসএফের নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসনকে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধিকে কটাক্ষ করে রাজ্যের ক্ষমতায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একাংশের কাছে নদিয়ার (Nadia) এই সাফল্য, সীমান্তে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধিকেই ইতিবাচক বলে মনে করছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: সিভিক ভলান্টিয়ারে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Shantipur: সিভিক ভলান্টিয়ারে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিভিক ভলান্টিয়ার এর চাকরি করে দেওয়ার নাম করে দফায় দফায় এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। টাকা চাইতে গেলে হুমকির অভিযোগ পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) থানার ফুলিয়া হাসপাতালপাড়া এলাকার।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Shantipur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ছয় মাস আগে শান্তিপুর (Shantipur) হাসপাতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা মালা শর্মার কাছ থেকে তাঁর ছেলেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি করে দেওয়ার নাম করে টাকার দাবি করেন। প্রথমে ৫০ হাজার টাকা নেন ওই মহিলার কাছ থেকে। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরও ৫০ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সুপ্রভাত সরকার ফুলিয়া টাউনশিপ অঞ্চলের তৃণমূলের আহ্বায়ক। মালা শর্মার দাবি, তিন মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার শর্ত থাকলেও ছয় মাস পেরিয়ে গেল চাকরি দিতে পারেনি ওই তৃণমূল নেতা। ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন কথা বলে বার বার বাড়ি পাঠিয়ে দেন তিনি। শুধু তাই নয় অবশেষে টাকা চাইলে হুমকি দেন। কোনও উপায় না পেয়ে অবশেষে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ জানাই।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    প্রতারিত মহিলার তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা সুপ্রভাত সরকার। তিনি বলেন, ওই মহিলা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করছেন। এটা বিরোধী রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা পয়সা আজ পর্যন্ত নিইনি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এ বিষয়ে বিজেপি নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সোমনাথ কর বলেন, তৃণমূলের সব ছোট বড় নেতারই একই চরিত্র। সবাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। আসলে পুলিশের নাম করেই এরা দুর্নীতি করেই চলেছে। এরা জানে রাজ্য পুলিশ কোনও তৃণমূল নেতাকে কিছু করতে পারবে না। আমরা চাই যে নেতা টাকা আত্মসাৎ করেছে তাঁর কঠোরতম শাস্তি হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সালিশি সভায় যুবতীকে ব্যাপক মারধর! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

    Nadia: সালিশি সভায় যুবতীকে ব্যাপক মারধর! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সালিশি সভায় নিজের বাড়িতে ডেকে মহিলাদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য এবং দাদা সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত সদস্যর পাল্টা দাবি, তার বাড়িতে ঢুকেই আচমকা আক্রমণ চালিয়েছে অভিযোগকারিণী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার বেলঘড়িয়া এলাকায়। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। দুই পক্ষ থেকেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    স্থানীয় (Nadia) সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার এক যুবতী অপর এক যুবকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। যুবতীর বাড়ির তরফ থেকে নিজেদের মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সেই দাবি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ওই এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় শিকদারের বাড়িতে একটি সালিশি সভা বসানো হয়। অভিযোগ ওঠে, সেখানে নিজেদের মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি তুললেই আচমকা যুবতীর পরিবারকে মারধর করা হয়। অভিযোগ ওঠে যে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় শিকদার এবং তাঁর দাদা পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার মহিলাদের মারধর করেন। মারধরের হাত থেকে রেহাই পায়নি বৃদ্ধ মহিলারাও। মারের আঘাতে এক বৃদ্ধা গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় শিকদার। তিনি বলেন, “সালিশি সভায় বসার নাম করে যুবতীরা আচমকা দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে চড়াও হয়। আচমকা তারা ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর আমার বাড়িতে থাকা সকল সদস্যদের মারধর করে ওই যুবতীরা। এমনকি বাড়ির এক ছোট্ট মেয়েকে মারধর করা হয়। ঘটনায় জখম হওয়া মেয়েকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হয়।”

    ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুপক্ষই শান্তিপুর (Nadia) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হলেও ঘটনার সত্যতা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Brucellosis: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ব্রুসেলোসিস! ফের মৃত্যু হল একজনের

    Brucellosis: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ব্রুসেলোসিস! ফের মৃত্যু হল একজনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার রেশ সবে কেটেছে। চিনা নিউমোনিয়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। এরই মধ্যে এই রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ব্রুসেলোসিস (Brucellosis)। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুরও ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসেই এই রাজ্যে আরও একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নিরঞ্জন রাহা। তাঁর বয়স ৫০ বছর। তাঁর বাড়ি নদিয়ার নাকাশিপাড়ার গোটেপাড়া এলাকায়।

    কীভাবে ছড়ায় এই রোগ? (Brucellosis)

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রুসেলা জেনাসের অন্তর্ভুক্ত একদল ব্যাক্টেরিয়াই ব্রুসেলোসিসের (Brucellosis) কারণ। শুধু মানুষ নয়, সংক্রমিত করে পশুদেরও। আক্রান্ত পশুর ফ্লুইড থেকে সরাসরি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া। কাঁচা অথবা আনপাস্তুরাইজড ডেয়ারি প্রোডাক্ট থেকেও ছড়িয়ে পড়ে ব্রুসেলোসিস। আরও নানাভাবে সংক্রামিত হতে পারে মানুষ। গত ৫ সেপ্টেম্বর, হুগলির পোলবার চৈতালী দেশি এই একই রোগে ভুগে বাঙুর হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন। এই মহিলা প্রাণীমিত্র ছিলেন। ফলে, কাজের সূত্রে পশুর নজরদারি করতে হত তাঁকে। সেখান থেকে তিনি সংক্রামিত হতে পারেন। তবে, তিনি প্রথম আক্রান্ত কি না সেই সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। এই প্রথম বা দ্বিতীয়, এটা সর্বকালীন না চলতি বছরের পরিসংখ্যান, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ, সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, গত বছর ডিসেম্বরে এই ব্রুসেলোসিসে আক্রান্ত হয়ে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে মারা গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ৫১ বছরের বাসিন্দা শরবিন্দু ঘোষ। চলতি বছরে আরও দুজনের মৃত্যু হল।

    নদিয়ার ব্যক্তি কীভাবে আক্রান্ত হলেন?

    জানা গিয়েছে, নিরঞ্জন রাহার বাড়িতে গবাদি পশু ছিল। একইসঙ্গে তিনি চাষাবাদও করতেন। প্রাথমিক অনুমান, গবাদি পশুর শরীর থেকে তাঁর শরীরে এই ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ ঘটে। চলতি মাসের শুরুতে তিনি অসুস্থ বোধ করায় স্থানীয় হাসপাতালে দেখান। কিন্তু, শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে গত ১৩ নভেম্বর আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরই মাঝে ১৬ নভেম্বর ব্রুসেলা (Brucellosis) রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাঁর। গত ২৪ নভেম্বর ওই বেসরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। গত দুমাসে পর পর দুজন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগে রয়েছেন চিকিৎসকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share