Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • Sukanta Attacks Mamata: ‘১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Attacks Mamata: ‘১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে (MGNREGA) যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, এবং একের পর এক তৃণমূল (TMC) নেতার পকেটে টাকা ঢুকেছে, তার জন্য অডিট হয়েছে এবং চরম দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্র সরকারের অডিট টিম দেখেছে, দুর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা বন্ধ করেছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঞ্চনার অভিযোগের জবাব এভাবেই দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) বঞ্চনার অভিযোগ তুলে চিঠি লেখেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না, তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সব রাজ্যে  ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ হয়। সেই কাজ করায় বিভিন্ন রাজ্য সরকার। প্রকল্পের পুরো টাকাই দেয় কেন্দ্র। মমতার দাবি, গত চারমাস ধরে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ওই প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মমতা। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, দেরি না করে অবিলম্বে ১০০ দিনের প্রকল্প  ও আবাস যোজনার (pm awas yojana fund) টাকা দিয়ে দিন।

    মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কাজ শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে দেওয়ার কথা। তবে গত চার মাস ধরে ওই প্রকল্পে টাকা দেয়নি কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই মজুরি পাননি প্রকল্পে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা। আবাস যোজনায়ও রাজ্যের পারফরমেন্স ভাল বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, আবাস যোজনায় এ রাজ্যের পারফরমেন্স ভাল। তারপরেও ওই প্রকল্পে কেন নতুন করে বরাদ্দ হয়নি, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

    [tw]


    [/tw]

    মমতার এই দাবির তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলের মতে, ভোট কুড়োতে নানা প্রকল্পে খয়রাতি করছে রাজ্য সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, যুবশ্রী সহ নানা প্রকল্পে জলে যাচ্ছে রাশি রাশি টাকা। প্রকৃত উপভোক্তারা টাকা পাচ্ছেন না। টাকা ঢুকছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। যার জেরে তৃণমূলের বহু ছোট-বড়-মেজ-সেজ নেতা রাতারাতি বড়লোক বনে গিয়েছেন।

    ১০০ দিনের কাজেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, এবং একের পর এক তৃণমূল নেতার পকেটে ঢুকেছে, তার জন্য অডিট হয়েছে এবং চরম দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্র সরকারের অডিট টিম দেখেছে, দুর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা বন্ধ করেছে।

    আরও পড়ুন : অভিষেক-জায়া রুজিরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি দিল্লির আদালতের

     

  • Thanjavur Temple News: তামিলনাড়ুতে ধর্মীয় শোভাযাত্রায় তড়িদাহত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু

    Thanjavur Temple News: তামিলনাড়ুতে ধর্মীয় শোভাযাত্রায় তড়িদাহত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রথে করে দেবীর মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রায় বেরিয়ে তড়িদাহত হয়ে মারা গেলেন ১১ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। বুধবার ভোরে তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

    প্রতি বছরই এই সময়ে এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বিপদ এড়ানোর জন্য ওই রথযাত্রা চলাকালীন সাধারণত বিদ্যুৎ সরবরাহকারী তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা থাকে৷ কিন্তু এবার রথের উচ্চতা বেশি না হওয়ায় সেটি তার পর্যন্ত পৌঁছবে না ভেবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি৷ কিন্তু রথ সাজানোর সময় সেটির উচ্চতা বেড়ে যায়৷ যার পরিণতিতে সেটি বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে এসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে৷ দুর্ঘটনার সময়ের একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে এসে গোটা রথটিই পুড়ে গিয়েছে৷

    পুলিশ সূত্রে খবর, ভোররাতে কালিমেড়ু গ্রামের আপ্পার মন্দিরের কাছে গলির মুখে বাঁক নেওয়ার সময় একটি হাইটেনশন বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে ঘষা লাগে শোভাযাত্রা নিয়ে বেরনো রথটির। মুহূর্তে পুরো রথটি তড়িদাহত হয়ে পড়ে।

    [tw]


    [/tw]

    রথের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিছু ভক্ত। শিশু-সহ মোট ১১ জনের মৃত্যু হয় ওই ঘটনায়। আহতের সংখ্যা ১৫। পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের থাঞ্জাভুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিজনকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর৷ আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে৷ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন নিহতদের পরিবার পিছু পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা জানান। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।

     

  • 2002 Gujarat Riots Case: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    2002 Gujarat Riots Case: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট হিংসার ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী (CM)নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ক্লিনচিট (Clean Chit)দিয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। সিটের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই নরেন্দ্র মোদিকে নির্দোষ রায় দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া। সেই আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অমদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটিতে হিংসায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এহসান। তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছিল। তথ্যপ্রমাণের অভাবে তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ ৬৪ জনকে ক্লিনচিট দেয় সিট। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন জাকিয়া।

    জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশনের সপক্ষে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, সিটের তদন্তে খামতি ছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি  এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারেরর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই মামলা ভিত্তিহীন। এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়দানের পর গুজরাট সরকারের পক্ষের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বিচারপতিদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।

    আরও পড়ুন: কেউ রানি ভিক্টোরিয়া বা যুবরাজ নয়! সোমবার রাহুলের জেরা প্রসঙ্গে বিজেপি

    সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরই কংগ্রেস, বাম দলগুলো-সহ বিরোধীদের একহাত নিলেন বিজেপি সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “বিরোধীরা গত কুড়ি বছর ধরে মোদিজিকে মিথ্যা দোষারোপ করে গিয়েছেন। ২০০২-গুজরাত হিংসাক ঘটনায় রাজনীতির রঙ লাগিয়েছেন। আজ সত্যি প্রমাণিত হল। আইনের চোখে সবাই সমান। ভারতীয় আইন নির্দোষকে শাস্তি দেয় না।” বিরোধীরা আর কতদিন এই ঘটনায় বিজেপিকে দোষ দেবে, অভিমত রবি শঙ্করের।  তিনি বলেন,”যাঁরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের মোদিজির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।” বিজেপি এবার কলঙ্কমুক্ত হল বলেও দাবি করেন তিনি।

     

  • Jammu Encounter: মোদীর সফরের আগে জম্মুতে জোড়া সন্ত্রাস হামলা, নিহত এক জওয়ান, খতম ৬ জঙ্গি

    Jammu Encounter: মোদীর সফরের আগে জম্মুতে জোড়া সন্ত্রাস হামলা, নিহত এক জওয়ান, খতম ৬ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার জম্মু-কাশ্মীর সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর এই প্রথম সীমান্তাঞ্চল বাদ দিয়ে জম্মুর লোকালয়ে আসছেন মোদী। জম্মু থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে সাম্বা জেলার পালি গ্রামে তাঁর সভা করার কথা। পাশাপাশি অমরনাথ যাত্রার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখার কথা তাঁর। এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি ও নৌসেরা সেক্টরে  সেনা ছাউনিতে দীপাবলি পালন করেন মোদী। তবে, এই প্রথম সেনা ছাউনির বাইরে কাশ্মীরিদের মাঝে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

    তাঁর এই সফরের ঠিক দু’দিন আগে জম্মুর সেনা ছাউনির কাছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে চলল গুলির লড়াই। মোদীর সফর বন্ধ করা বা  হুঁশিয়ারি দেওয়ার জন্যই জঙ্গিরা ক্রমাগত জম্মুতে হামলার ছক কষছিল বলে খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। সেই মতো জঙ্গি দমনে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেনা সূত্রে খবর, গুলির লড়াইয়ে এক জন সিআইএসএফ কর্মী নিহত এবং আরও চার জন জওয়ান আহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর গুলিতে দু’জন জঙ্গি মারা গিয়েছে।

    সুঞ্জোয়ান এলাকায় অন্তত দুই জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাতে সেনা জম্মু শহরের সুঞ্জোয়ান ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি তল্লাশি শুরু করে। অভিযান শুরুর পরই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ও গ্রেনেড বর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। গুলির আঘাতে সিআইএসএফ-এর এক সহকারি সাব ইনস্পেক্টর নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। বাহিনীর প্রত্যুত্তরে খতম হয়েছে ২ জঙ্গি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র ও স্যাট ফোন।

    জম্মু পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল মুকেশ সিংহ বলেন, ‘‘জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার এবং হামলার ছক কষার তথ্য পেয়ে আমরা বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকা ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করি। জঙ্গি হানার ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত হন এবং আরও কয়েকজন জন আহত হয়েছেন।  দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলেছে।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালেও জঙ্গিরা সুনজবা ক্যান্টনমেন্ট হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলায় বেশ কিছু সেনা নিহত হন। 

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার মহম্মদ ইউসুফ দার ওরফে কান্ত্রু সহ ৪ জঙ্গি। নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী অভিযান চালায় বলে জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার। তিনি জানান, বদগাম জেলার সীমানায় পাহাড় ঘেরা একটি গ্রামে প্রায় এক ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে। ইউসুফের সঙ্গেই গুলিতে মারা পড়েছে আরও তিন লস্কর জঙ্গি। ঘটনায় একজন অফিসার সহ চার সেনা জওয়ান ও একজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।

    বিজয় বলেন, ‘‘ইউসুফের বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীর নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য এবং সাধারণ মানুষকে খুনের অন্তত ১৪টি মামলা রয়েছে।’’ এর মধ্যে রয়েছে গত মার্চে বদগামে এসপিও (স্পেশাল পুলিশ অফিসার) মহম্মদ ইশফাক দার এবং তাঁর ভাই ওমরকে খুনের ঘটনা। গত মাসেই মহম্মদ সামির মোল্লা নামে নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ান এবং তাগামুল মহিদিন নামে বদগামের এক গ্রামবাসীকেও ইউসুফ খুন করে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া গত বছর কাশ্মীর উপত্যকায় কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিককে খুনের ঘটনাতেও উঠে এসেছিল ওই লস্কর কমান্ডারের নাম। 

  • Shivkumar Sharma: কিংবদন্তী সন্তুরবাদক পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার জীবনাবসান, শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর

    Shivkumar Sharma: কিংবদন্তী সন্তুরবাদক পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার জীবনাবসান, শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত কিংবদন্তী সন্তুরবাদক শিবকুমার শর্মা (Shivkumar Sharma)। মঙ্গলবার মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ‘সন্তুর’(Santoor) নামে বাদ্যযন্ত্রটিকে সঙ্গীতের মূল ধারায় আনার কৃতিত্ব শিবকুমারের। হরিপ্রসাদের (Hariprasad Chaurasia) সঙ্গে জুটি বেঁধে শিবকুমার বলিউডের (Bollywood) একের পর এক কালজয়ী গান বেঁধেছেন। 

    ১৯৩৮ সালের ১৩ জানুয়ারি জম্মুর একটি সম্ভ্রান্ত সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে জন্ম শিবকুমারের। তাঁর বাবা উমা দত্তশর্মা ছিলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই শিবকুমার তাঁর বাবার কাছ থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। উমা সন্তুর নিয়ে অনেক গবেষণা করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন যে, পুত্রকে তিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সন্তুরবাদক বানাবেন। এই চিন্তা থেকে শিবকুমারকে তেরো বছর বয়স থেকে সন্তুরের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। পরবর্তী কালে শিবকুমার চলে আসেন মুম্বই। তাঁর বিচরণক্ষেত্র গোটা বিশ্ব হলেও মূলত তিনি কাজ করেছেন মুম্বই থেকেই।  

    সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি (Sangeet Natak Academy)-সহ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বহু পুরস্কার পেয়েছেন শিবকুমার। ২০০১ সালে পান পদ্মবিভূষণ (Padma Vibhushan)। এ ছাড়াও আমেরিকার (USA) সম্মাননীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় তাঁকে।

    শিল্পীর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।  তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের সাংস্কৃতিক জগৎ রিক্ত হল পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার প্রয়াণে। সন্তুর যন্ত্রটিকে তিনি বিশ্বের দরবারে বিশেষ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করেছেন।’
      
    [tw]


    [/tw]

    শোকজ্ঞাপন করেছেন উস্তাদ আমজাদ আলি খান (Ustad Amjad Ali Khan) সহ আরও অনেকে। আমজাদ আলি লেখেন, “পণ্ডিত শিবকুমার শর্মার প্রয়াণ একটি যুগের অবসান। তিনি সন্তুরের প্রথম সারির শিল্পী। আমার কাছে অবশ্য এটা ব্যক্তিগত শোকের মুহূর্ত। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি। ওঁর সঙ্গীত বাজতে থাকুক আমাদের হৃদয়ে।”  

     

  • PM Modi: বিকাশ ও ঐতিহ্য চলবে হাত ধরাধরি করে, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: বিকাশ ও ঐতিহ্য চলবে হাত ধরাধরি করে, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিকাশ ও ঐতিহ্য (Development and Heritage) হাত ধরাধরি করে চলবে। মঙ্গলবার পুণের (Pune) একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন মোদি। দুপুরে পুণে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উদ্বোধন করেন জগৎগুরু শ্রীসন্ত তুকারাম (Saint Tukaram) মহারাজের শিলা মন্দির। ওই অনুষ্ঠানেই বক্তৃতা করতে গিয়ে বিকাশ ও ঐতিহ্যের হাত ধরাধরি করে চলার কথা বলেন মোদি।

    এদিন প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ও মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis) সহ অন্যরা। সেখান থেকে পুণের দেহুতে জগৎগুরু শ্রীসন্ত তুকারাম মহারাজের মন্দিরে যান তিনি। পূজার্চনা শেষে উদ্বোধন করেন শিলা মন্দিরের। সেখানেই পরে একটি জনসভায় ভাষণ দেন তিনি।

    আরও পড়ুন : আগামী দেড় বছরেই ১০ লক্ষ নতুন কেন্দ্রীয় চাকরি! টার্গেট বেঁধে দিলেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত শাশ্বত। কারণ ভারত সাধুদের ভূমি। তিনি বলেন, আমরা গর্বিত এই ভেবে যে আমাদের সভ্যতা সবচেয়ে প্রাচীন। এর কৃতিত্ব ভারতের সন্ত পরম্পরা এবং ভারতের সাধু ও ঋষিদের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শাস্ত্রে বলা আছে মানব জন্মে সব থেকে দুর্লভ সাধকদের সৎসঙ্গ। সাধকদের কৃপালাভ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভগবানের উপলব্ধি হয়। দেহুর এই পবিত্র ভূমিতে এসে আমিও তাই অনুভব করছি। তিনি বলেন, দেহুর এই শিলামন্দির শুধুমাত্র ভক্তির কেন্দ্র নয়, ভারতের সাংস্কৃতিক ভবিষ্যতের পথও প্রশস্ত করে। এই পবিত্র স্থানটি পুনর্নির্মাণের জন্য আমি মন্দির ট্রাস্ট ও সমস্ত ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।  

    আরও পড়ুন : “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

    মোদি বলেন, ভারতে প্রতিটি যুগে দিকনির্দেশনা দিতে কোনও না কোনও মহান আত্মা অবতীর্ণ হয়েছেন। সন্ত তুকারামজির দয়া, মমতা ও সেবার উপলব্ধি এখনও আমাদের সঙ্গে রয়েছে। এগুলিই আমাদের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছে। এদিন আরও একবার প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে সবকা সাথ, সবকা বিকাশের (Sabka Saath Sabka Vikas) মন্ত্র। বলেন, বর্তমানে দেশ সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের মন্ত্রে এগিয়ে চলেছে। বৈষম্য ছাড়াই প্রতিটি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন সবাই। তিনি বলেন, দেশ এখন আজাদি কা অমৃত মহোৎসব (Azadi ka Amrut Mahotsav) উদযাপন করছে। আমরা গর্বিত যে আমরা, আমাদের সভ্যতা সব চেয়ে প্রাচীন। এর কৃতিত্ব ভারতের সন্ত পরম্পরা। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, বিকাশ ও ঐতিহ্য হাত ধরাধরি করে চলবে।

  • Modi on Yoga Benefits: “জ্ঞান, কর্ম এবং ভক্তির একটি নিখুঁত সংমিশ্রণ”, যোগ সাধনা প্রসঙ্গে মোদি

    Modi on Yoga Benefits: “জ্ঞান, কর্ম এবং ভক্তির একটি নিখুঁত সংমিশ্রণ”, যোগ সাধনা প্রসঙ্গে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day)। তার আগে দেশের জনগণকে যোগ সাধনার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। একটি ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “জ্ঞান, কর্ম এবং ভক্তির একটি নিখুঁত সংমিশ্রণ যোগ। এই গতিশীল বিশ্বে, এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং শান্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।”   

    [tw]


    [/tw]

    ‘যোগা ইন আওয়ার ডেইলি লাইভস’ নামের একটি সিনেমাও নিজের সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “শেষ কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে যোগ ব্যয়াম। কোম্পানির সিইও, অভিনেতা থেকে খেলোয়াড়, সবাই দৈনিক যোগাভ্যাস করেন।” 

    আরও পড়ুন: বিকাশ ও ঐতিহ্য চলবে হাত ধরাধরি করে, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘মন কি বাত’ রেডিও অনুষ্ঠানে রবিবার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আগামী দিনে গোটা বিশ্ব পালন করবে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। আমি সবাইকে এই দিনটি পালন করার অনুরোধ করব। যোগকে নিজের জীবনের অংশ করে নিন।”

    আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের আগে বরফের মাঝে যোগ, অনুশীলনে ITBP

    এবছর অষ্টম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এবছরের থিম ‘মানবতার জন্যে যোগ’। কোভিড মহামারীর সময়ে কী ভাবে মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে বড় ভূমিকা পালন করেছে যোগ, তা বর্ননা করা হয়েছে এবছরের থিমে। থিমটি বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক। গোটা বিশ্ব জুড়েই পালিত হবে যোগ দিবস। মূল প্রদর্শনী অনুষ্ঠানটি হবে কর্নাটকের মাইসুরুতে।      

    ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এবছরের যোগ দিবসের থিমের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি। গত বছরের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম ছিল ‘সুস্থতার জন্য যোগ’। 

    ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ২১ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস বলে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন। তারপর থেকেই প্রতিবছর পালন হয়ে আসছে এই বিশেষ দিনটি। ভারতের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যোগ সাধনা। এখন এই সাধনা ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বে সমাদৃত। এই ঐতিহ্যকেই বিশ্ব দরবার আরও জনপ্রিয় করতেই কেন্দ্রের এই প্রয়াস।

  • Modi:  ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে  ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi: ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ভারত (India) উন্নত দেশে পরিণত হবে। আজ থেকে ২৫ বছর পর ২০৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে। সেই সময় এক বিরল ইতিহাসের সাক্ষী থাকব আমরা। ভারতের উন্নতি এবং মানুষের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে এই ২৫ বছর একটানা কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।  তবেই আগামী  ২৫ বছর পর ভারত উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। স্বাধীনতা দিবসে প্রায় ৮৩ মিনিট জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই দেশ কীভাবে দুর্নীতির সঙ্গে লড়াই করছে,  ‘পরিবারতন্ত্রের সঙ্গে লড়াই’ করে নিজস্বতা গড়ে তুলেছে, সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন মোদি। আগামী ২৫ বছর যাতে যুব সম্প্রদায় দেশের জন্য কাজ করেন, স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চ থেকে সেই আবেদনও করেন প্রধানমন্ত্রী। 

    লালকেল্লা থেকে ভারতের ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য এদিন ‘পঞ্চপ্রাণ’-এর বার্তা দিলেন মোদি। আগামী ২৫ বছরের পরিকল্পনায় কোন কোন ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে, তা এদিন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক বৃহত্তর সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই সব সংকল্পের মধ্যে থাকতে হবে পরিচ্ছন্নতা, টিকাকরণে অগ্রগতি, শৌচালয় নির্মাণ। এ ছাড়া ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যেতে হলে দাসত্বের ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।  মোদি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ভাষার জন্য আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত’। ডিজিটাল ভারত যে ভাবে প্রসারলাভ করছে, সে কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘স্টার্ট আপগুলোই বলে দিচ্ছে দেশের উন্নয়ন কোন পথে এগোচ্ছে।’

     প্রধানমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেক নাগরিককে কর্রতব্য পরায়ণ হতে হবে। নাগরিকরা কর্তব্য পালন করলে দেশের প্রগতির পথ প্রশস্ত হবে। তবে শুধু সাধারণ নাগরিক নয়, তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে।

    আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে হলে দেশের ঐতিহ্যকে সবার আগে গুরুত্ব  দেওয়ার কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, শিকড়ের সঙ্গে সংযোগ থাকলেই আকাশে ওড়া সহজ হবে। পরিবেশ রক্ষার মন্ত্র দেশের ঐতিহ্যের মধ্যে লুকিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

    ভারতের বৈশিষ্ট্যই হল বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। এদিন তা আবারও মনে করিয়ে দেন মোদি। মহিলাদের সম্মানের কথা উল্লেখ করে লিঙ্গ বৈষম্য থেকে দূরে সরে আসার বার্তা দিয়েছেন তিনি। আজও যে ভাবে সমাজে মহিলাদের বঞ্চনার শিকার হতে হয়, সে কথা উল্লেখ করে তিনি দেশবাসীকে বলেন, এর থেকে মুক্তি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

     

  • Modi in Europe: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির ঝটিকা ইউরোপ সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    Modi in Europe: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির ঝটিকা ইউরোপ সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩ দিন, ৬৫ ঘণ্টা, ২৫টা মিটিং।  সংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) তিনদিনের ইউরোপ সফরসূচি। 

    তিনদিনের এই ঝটিকা ইউরোপ সফরে (Modi in Europe) তিন দেশের তিন রাজধানীতে তিন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তালিকায় যেমন আছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলফ স্কোলজ, তেমনি আছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসন এবং অবশ্যই আছেন মোদির পুরনো বন্ধু তথা ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এমান্যুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron), যিনি দ্বিতীয়বার জিতে ফের ফ্রান্সের ক্ষমতায়। 

    ব্যক্তিগত ট্যুইটে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মাক্রঁকে ‘মাই ফ্রেন্ড’ বলে উল্লেখ করে তাঁর ফ্রান্সের সফরসূচি জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, মূলত ভারত-ফ্রান্সের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। আলোচনায় আসবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ও। যে ইস্যুতে ইউরোপ আর ভারতের অবস্থান আলাদা। ন্যাটো সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ভারত এখনও তার নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে।

    কোপেনহেগেনে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি। ব্যক্তিগত ট্যুইটে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত অপেক্ষা করছে দ্বিতীয় ইন্ডিয়া-নর্ডিক সামিটের জন্য। যেখানে নর্ডিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয় থাকতে পারে দুই দেশের শীর্ষ নেতার আলোচনায়।

    ইউরোপ সফরের শুরুতেই সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী পৌঁছলেন জার্মানির রাজধানী বার্লিনে। সেখানে চ্যান্সেলর ওলফ স্কোলজের সঙ্গে প্রথমেই বৈঠক করেন। মূলত আলোচনা হয়েছে দু’দেশের পারষ্পরিক সম্পর্ক নিয়ে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতির দিকেও নজর ছিল বৈঠকে।

    মূলত তিন দেশের সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো করতেই এই সফর বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী এমন একটা সময়ে ইউরোপ সফরে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপ আর ভারত ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। তার প্রভাব যাতে দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে না পড়ে সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই নরেন্দ্র মোদির ঝড়ো ইউরোপ সফর। দম ফেলার সময় পাবেন না প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা। কারণ ৩ দিন ৬৫ ঘণ্টা ২৫টা মিটিং।
     
    এমন কঠোর সময়সূচীর মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে মিলিত হতেও তিনি আগ্রহী। কারণ প্রায় ১০ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয়ই প্রতিদিন ইউরোপকে ভারত (India) দর্শন করায়। 

     

  • Modi in Japan: মোদির সফরেই সাফল্য! ভারতের স্মার্ট সিটি ও 5G পরিষেবায় অবদান রাখবে জাপান

    Modi in Japan: মোদির সফরেই সাফল্য! ভারতের স্মার্ট সিটি ও 5G পরিষেবায় অবদান রাখবে জাপান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরেই মিলল সাফল্য! ভারতে স্মার্ট সিটি (smart cities) তৈরিতে অবদান রাখবে জাপান (Japan)। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে সাক্ষাতের পর একথা জানান এনইসি (NEC) কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান নোবুহিরো এন্ডো।

    কোয়াড বৈঠকে (QUAD summit) যোগ দিতে দু’দিনের জাপান সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ৪০ ঘণ্টায় ২৩টি কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি কর্মসূচি সারা হয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। টোকিওতে (Tokyo) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নোবুহিরো। তিনি বলেন, স্মার্ট সিটির দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা ফাইভ-জি (5G) পরিষেবায়ও অবদান রাখতে পারি।

    আরও পড়ুন : মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    তিনি জানান, নিরাপদ ফাইভ-জি প্রদানের জন্য ভারতের টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে সহযোগিতা করার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হবে। বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনগুলি বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। নোবুহিরো বলেন, ফাইভ জি সিস্টেম দেওয়ার জন্য আমাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। তাই অপারেটরদের সঙ্গে সহযোগিতা ও সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, ৬ হাজার ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার আমাদের ইতিমধ্যেই রয়েছে। আমাদের কাজের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠভাবেই যুক্ত তাঁরা। আমরা তাঁদের সঙ্গে আমাদের প্রকল্প চালিয়ে যেতে চাই।

    আরও পড়ুন : বাঃ! কোথা থেকে শিখলে? জাপানি শিশুর হিন্দিতে মুগ্ধ মোদি

    প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৫ জুন ভারতে স্মার্ট সিটি মিশন (Smart City Mission) চালু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রকল্পটির লক্ষ্য ছিল, ভারতে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটানো। পাঁচ রাউন্ডে সারা দেশে ১০০টি শহর বেছে নেওয়া হয়েছে। এলাকা উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব শহরকে উন্নীত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্ন পূরণেই সহযোগিতা করবে জাপান।

    এ নিয়ে তৃতীয়বার জাপান সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোয়াড বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি আলাদা করে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe BIden), জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। জাপানের ৩৫ জন ব্যবসায়ীর সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন তিনি। আলাপচারিতা করবেন জাপানে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও।

     

LinkedIn
Share