Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • PM Modi: মঙ্গলে বিপুল অঙ্কের উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: মঙ্গলে বিপুল অঙ্কের উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার প্রায় ১২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনই তাঁর সরকারের প্রধান স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প (Health Projects) আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় নিয়ে আসবেন ৭০ বছর ও তার বেশি বয়সী সকল নাগরিককে। প্রধানমন্ত্রী নবম আয়ুর্বেদ দিবস এবং চিকিৎসার দেবতা ধন্বন্তরীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই বৃহৎ স্বাস্থ্য খাতের পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে, একটি পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রোজগার মেলা’র অংশ হিসেবে যুবকদের মধ্যে ৫১ হাজারেরও বেশি নিয়োগপত্র বিতরণ করবেন।

    প্রধানমন্ত্রীর গুচ্ছ কর্মসূচি (PM Modi)

    সরকারি একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রথম অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদের দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন। এতে একটি পঞ্চকর্ম হাসপাতাল, ঔষধ উৎপাদনের জন্য একটি আয়ুর্বেদিক ফার্মেসি, একটি ক্রীড়া মেডিসিন ইউনিট, একটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, একটি আইটি ও স্টার্টআপ ইনকিউবেশন সেন্টার এবং ৫০০ আসনের একটি অডিটোরিয়াম-সহ অন্যান্য সুবিধা মিলবে। মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর, নিমুচ এবং সিওনিতে তিনটি মেডিকেল কলেজের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    সুবিধা এবং পরিষেবা সম্প্রসারণ

    এদিনই তিনি বিভিন্ন এইমসের সুবিধা এবং পরিষেবা সম্প্রসারণের উদ্বোধনও করবেন। এর মধ্যে রয়েছে হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুর, পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী, বিহারের পাটনা, উত্তর প্রদেশের গোরখপুর, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল, আসামের গৌহাটি এবং দিল্লির জন ঔষধি কেন্দ্রের উদ্বোধনও। মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী, রতলাম, খান্ডওয়া, রাজগড় এবং মন্দসৌরে পাঁচটি নার্সিং কলেজের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, মণিপুর, তামিলনাড়ু এবং রাজস্থানে আয়ুষ্মান ভারত হেলথ ইনফ্রাস্ট্রাকচার মিশনের অধীনে ২১টি ক্রিটিকাল কেয়ার ব্লকের এবং দিল্লি ও হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুরে এইমসের বিভিন্ন সুবিধা ও পরিষেবা সম্প্রসারণেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে তিনি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি ইএসআইসি হাসপাতালের উদ্বোধন করবেন। হরিয়ানার ফরিদাবাদ, কর্ণাটকের বোম্মাসান্দ্র ও নারাসাপুর, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর, উত্তরপ্রদেশের মিরাট এবং অন্ধ্রপ্রদেশের আচ্ছুতাপুরমে ইএসআইসি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করবেন (Health Projects) প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে উপকৃত হবেন প্রায় ৫৫ লাখ ইএসআই সুবিধাভোগী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • DY Chandrachud: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    DY Chandrachud: গণেশপুজো বিতর্কে মুখ খুললেন চন্দ্রচূড়, মুখের মতো জবাব দিলেন সমালোচকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংবিধানিক আদালতের বিচারপতিদের এবং প্রশাসনিক প্রধানদের যথেষ্ট ম্যাচুউরিটি রয়েছে, যা বিচারবিভাগীয় বিষয়গুলোকে যে কোনও আলোচনার আওতার বাইরে দৃঢ়ভাবে রাখতে পারে।” গণেশপুজো বিতর্কে (Ganpati Puja Row) এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। তিনি বলেন, “বিচারবিভাগ ও এক্সিকিউটিভ বিভাগের মধ্যে যখন আলাপচারিতা হয়, তখন এটি এমন একটি ধারণার সৃষ্টি করে যে মনে হয় যেন চুক্তি করা হচ্ছে।”

    বিতর্কের সূত্রপাত (DY Chandrachud)

    বিতর্কের সূত্রপাত গণেশ পুজোর দিন। সেদিন চন্দ্রচূড়ের বাসভবনে গণেশ পুজো উপলক্ষে আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী সেই ছবি পোস্ট করেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তাঁকে চন্দ্রচূড় ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা দাসের সঙ্গে পুজায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। এর পরেই গেল গেল রব তোলে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এতে বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার জবাব দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির মনে করিয়ে দেয় ২০০৯ সালের এক ইফতার পার্টির কথা। ওই পার্টিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে যোগ দিয়েছিলেন সেই সময় দেশের প্রধান বিচারপতি কেজি বালকৃষ্ণণ। জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ংও। এবার মুখ খুললেন খোদ প্রধান বিচারপতি।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    তিনি বলেন, “এ ধরনের সাক্ষাৎগুলো নিয়মিত এবং এতে বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্তের পরিবর্তে পরিকাঠামো সম্পর্কিত বিষয়গুলি আলোচনায় আসে।” চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) বলেন, “মানুষ মনে করে যে কিছু চুক্তি হচ্ছে, কিন্তু তা আদৌ সত্য নয়। এটি সরকারের বিভিন্ন শাখার মধ্যে শক্তিশালী আলোচনার অংশ। তিনটি শাখার কাজ জাতির উন্নতির জন্যই নিবেদিত।”

    আরও পড়ুন: “বিকশিত ভারতের জন্যই প্রয়োজন বিকশিত মহারাষ্ট্রের”, বললেন জয়শঙ্কর

    তিনি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। রাজনৈতিক প্রশাসকরা তাঁদের দায়িত্ব কী, তা জানেন। কোনও বিচারক, বিশেষ করে ভারতের প্রধান বিচারপতি বা প্রধান বিচারকরা, বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার প্রতি কোনও হুমকিই গ্রাহ্য করেন না।” প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) বলেন, “আপনি কখনওই জুডিশিয়াল আলোচনা করার জন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন না। আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থার (Ganpati Puja Row) ম্যাচুউরিটি হচ্ছে যে রাজনৈতিক শ্রেণিতেও বিচার বিভাগের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digital Arrest: সাইবার অপরাধের নতুন ফাঁদ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’! সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Digital Arrest: সাইবার অপরাধের নতুন ফাঁদ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’! সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’ (Digital Arrest) বলে কিছু হয় না। দেশের কোনও আইনে এই ধরনের গ্রেফতারির কথা বলা নেই। এটি হল সাইবার প্রতারণার ফাঁদ।’’ রবিবার (২৭ অক্টোবর), তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ভারতীয় নাগরিকদের এ সম্পর্কে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সমাজের সমস্ত অংশই এই অপরাধের শিকার হয়েছে। তদন্ত সংস্থাগুলি এই সমস্যার মোকাবিলায়, সমস্ত রাজ্যর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। তবে, এই অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সচেতনতা অপরিহার্য।

    কী ভাবে চলে প্রতারণা

    ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ (Digital Arrest) এর সঙ্গে সত্যিকারের গ্রেফতারির কোনও যোগ নেই। অনলাইনে জালিয়াতি চক্রের পাণ্ডাদের হাতে নতুন ‘অস্ত্র’ হয়ে উঠেছে এটি। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। কীভাবে চলে এই প্রতারণা তা দেখাতে একটি ভিডিও চালান প্রধানমন্ত্রী মোদি। ওই ভিডিওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) জানিয়েছেন, প্রথমে অপরাধীরা তাদের সম্ভাব্য শিকারদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। তারপর, তারা তদন্তকারী সংস্থার কর্তাদের ভেক ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সাধারণ মানুষের ভয়কে তারা নিজেদের সুবিধায় কাজে লাগায়। মোদি বলেন, “ডিজিটাল অ্যারেস্ট জালিয়াতি থেকে সাবধান থাকুন। কখনও এই ধরনের তদন্তের জন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা ফোন বা ভিডিও কল করে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে না।”

    কী ভাবে সুরক্ষা

    এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদ (Digital Arrest) থেকে সুরক্ষিত থাকতে তিনটি বিষয় মাথার রাখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তাড়াহুড়োয় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার বদলে ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি বিবেচনার কথা বলেন তিনি। তাঁর কথায়— “থামুন, ভাবুন এবং তার পরে পদক্ষেপ করুন।” প্রথমত, অযথা ভয় না পেয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে ফোনকলটি রেকর্ড করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্ভব হলে ‘স্ক্রিন রেকর্ড’ করার কথাও বলেন তিনি। দ্বিতীয়ত, মাথায় রাখতে হবে যে কোনও সরকারি তদন্তকারী সংস্থা অনলাইনে কাউকে ধমক বা হুমকি দেয় না। তৃতীয়ত, যখনই এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটবে, তা ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইনে ফোন করে জানান। হেল্পলাইন নম্বরটি হল ১৯৩০। পাশাপাশি স্থানীয় থানাতেও এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন মোদি। 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সতর্কতা

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার থেকে সম্প্রতি একটি অ্যাডভাইজরিও প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানেও বলা হয়েছিল এই ধরনের ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’ এক ধরনের দুর্নীতি। সাধারণ মানুষকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে ওই অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছিল, সিবিআই, পুলিশ, কাস্টমস, ইডি কিংবা বিচারক— কেউই ভিডিও কলের মাধ্যমে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: সেনার ‘অদম্য চেতনা ও সাহস’-এর প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    Narendra Modi: সেনার ‘অদম্য চেতনা ও সাহস’-এর প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রবিবার পদাতিক দিবস (Infantry Day) উপলক্ষে সমস্ত পদাতিক সৈন্য এবং যোদ্ধাদের “অদম্য চেতনা ও সাহস”-এর কথা বলে ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁদের বিশেষ সম্মানও জানিয়েছেন। এদিন অনুষ্ঠান উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী প্রমুখ। এদিন সকল সিনিয়র অফিসার জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    মোদি কী বললেন (Narendra Modi)?

    এই বিশেষ দিনের গুরুত্বের কথা জানিয়ে এবং সেনাকে সাধুবাদ দিয়ে মোদি (Narendra Modi) এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন। সামজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “পদাতিক দিবসে (Infantry Day), সকল পদাতিক বাহিনী এবং সৈনিক যোদ্ধাদের অদম্য চেতনা, সাহসকে অভিনন্দন জানাই। যাঁরা অক্লান্তভাবে আমাদের রক্ষার কাজে যুক্ত রয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাঁরা সর্বদা নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, আবার যে কোনও প্রতিকূলতার মুখে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকেন। আমাদের দেশের নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত করেন তাঁরাই। প্রত্যেক ভারতীয়কে অনুপ্রাণিত করে থাকেন এবং সেই সঙ্গে শক্তি, বীরত্ব, কর্তব্যের ভাবমূর্তিকে অবিস্মরণীয় করে রাখেন। তাঁদের অবদান অপরিসীম।”

    আরও পড়ুন: ইজরায়েল-ইরাক দ্বন্দ্ব, তেহরানের পাশে মুসলিম রাষ্ট্র, তেলআভিভের পাশে কারা?

    কেন পদাতিক দিবস?

    ২৭ অক্টোবর ১৯৪৭ সালে শ্রীনগর এয়ারফিল্ডে এসআইকেএইচ (SIKH) রেজিমেন্টের ১ম ব্যাটালিয়নের অভিযান স্মরণ করে প্রতি বছর পদাতিক দিবস পালিত হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘৃণ্য পরিকল্পনা থেকে রক্ষা করেছিল সেনাবাহিনী। এই সাহসী পদক্ষেপের ফলে জম্মু ও কাশ্মীর দখলের পাকিস্তানের পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যায়। পদাতিক বাহিনী “যুদ্ধের রানি” নামেও পরিচিত এবং এর ইতিহাস প্রথম মানব যুদ্ধের মতোই পুরনো।

    দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে বাহিনী

    একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পদাতিক বাহিনী (Infantry Day) সেনাবাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেটা চিনের সাথে ১৯৬২ সালের যুদ্ধ হোক বা পাকিস্তানের সাথে ১৯৪৭-৪৮ সালের যুদ্ধ। আবার ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধই হোক না কেন, অবদান এবং বলিদান অনস্বীকার্য। এই সব ঐতিহাসিক যুদ্ধে পদাতিক বাহিনীর কৃতিত্ব অতুলনীয়। এই যুদ্ধগুলি ছাড়াও, উত্তর ও উত্তর পূর্বে কাউন্টার ইনসারজেন্সি বা কাউন্টার টেরোরিস্ট অপারেশন, পাঞ্জাবের অপারেশন ব্লু স্টার, অপারেশন রক্ষক, শ্রীলঙ্কায় অপারেশন পবন এবং সম্প্রতি পূর্ব লাদাখে অপারেশন স্নো লিওপার্ড নিখুঁত পেশাদারিত্বের ধারাবাহিক সাক্ষী হয়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Visa for Skilled Indians: দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের ভিসার কোটা বছরে ৯০ হাজার করল জার্মানি

    Visa for Skilled Indians: দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের ভিসার কোটা বছরে ৯০ হাজার করল জার্মানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মানিতে গিয়ে কাজ করতে চান? ভিসা (Visa for Skilled Indian) মিলবে চট জলদি। দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের জন্য একলাফে ভিসার সংখ্য়া ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৯০ হাজার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। শুক্রবার এই কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর ফলে বহু ভারতীয়র এবার জার্মানিতে চাকরির সুযোগ বাড়বে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

    দুই-দেশের মধ্যে আলোচনা

    প্রধানমন্ত্রী মোদির আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে ভারতে এসেছেন জার্মান Germany) চ্যান্সেলর। বৃহস্পতিবার দিল্লি এসে পৌঁছেছেন তিনি। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রাতরাশ বৈঠকে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় তাঁদের। এর পরে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে সরকারি প্রতিনিধিস্তরের সপ্তম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে হাজির ছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতা। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, মোদির সঙ্গে শোলৎজের বৈঠকে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলি স্থান পেয়েছে। এই সময়ে দু’জন যথাক্রমে বিশ্বের পঞ্চম এবং তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি গঠনকারী দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়।

    জার্মানিতে স্বাগত ভারতীয়রা

    জার্মান বিজনেস ২০২৪-এর ১৮তম এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলনে বক্তৃতার সময় শোলৎজ বলেন, ‘‘আজ ভারতীয়রা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃহত্তম দল। শুধু গত বছরই জার্মানিতে কর্মরত ভারতীয়ের সংখ্যা বেড়েছে ২৩ হাজার। এই প্রতিভা আমাদের শ্রমবাজারে একটি স্বাগত সংযোজন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘জার্মানি দক্ষ শ্রমিকদের জন্য উন্মুক্ত। ডিজিটাইজেশন, দ্রুত প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ব্যবহারকারীবান্ধব উদ্যোগের মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়াও উন্নত করা হবে। দক্ষ শ্রমিকদের জন্য ভিসার (Visa for Skilled Indian) সংখ্যাও বাড়বে।’’ এরপরই বর্ধিত ভিসার সংখ্যা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর ফলে যাঁরা ভিসার সমস্যার জন্য জার্মানিতে কাজে যেতে পারছেন না, তাঁদের সাফল্যের রাস্তা সহজ হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kartarpur Sahib Corridor: ভারতীয়দের জন্য বন্ধ হবে না কার্তারপুর সাহিব করিডর, চুক্তি বাড়ল আরও ৫ বছর

    Kartarpur Sahib Corridor: ভারতীয়দের জন্য বন্ধ হবে না কার্তারপুর সাহিব করিডর, চুক্তি বাড়ল আরও ৫ বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের জন্য বন্ধ হবে না কার্তারপুর সাহিব দরজা (Kartarpur Sahib Corridor)। শিখদের অন্যতম প্রধান পবিত্র ধর্মস্থল হল এই কার্তারপুর। শিখ ধর্ম মতে এই স্থানের গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছেন। তাঁর স্মৃতি বিজড়িত জায়গা শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পুণ্যস্থান। দেশ ভাগের পর এই স্থান পশ্চিম পাঞ্জাব তথা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এবার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি পুনরায় স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    শত্রুতার খানিকটা অবসান (Kartarpur Sahib Corridor)

    পাকিস্তানের শত্রু মনোভাব এবং ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কাজের জন্য উভয় দেশের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। সংখ্যালঘু হিন্দু-শিখের ওপর অত্যাচারে পাকিস্তানের ভূমিকা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এবার এই শত্রুতাকে ভুলে, দুই দেশের মধ্যে শিখ ধর্মাবলম্বীদের কথা মাথায় রেখে কার্তারপুর (Kartarpur Sahib Corridor) ধর্মস্থলে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধিতে স্বাক্ষর হয়েছে। এই কার্তারপুর করিডর চুক্তির মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানো হল। দুই দেশই এই চুক্তির মাধ্যমে শত্রুতার খানিকটা অবসান ঘটাতে পেরেছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেজ্ঞরা। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চুক্তির কথা তাঁর এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন।

    পাকিস্তান সরকার ২০ ডলার ফি নেয়

    মাত্র কয়েকদিন আগেই জয়শঙ্কর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানিজেশনের একটি বৈঠকে যোগদান করেছেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবনহ উপ-প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এই সফরের পর দুই দেশের মধ্যে কার্তারপুর করিডর নিয়ে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে ইসলামাবাদের জোর করে অতরিক্ত ফি বাড়ানো নিয়ে দুইদেশের মধ্যে আলোচনা করা চলছে।

    আরও পড়ুনঃ কল্যাণের ‘নাটক’! ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিতর্কে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে রক্তাক্ত

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকে ভারতের বাইরে চলে যায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ। এরপর থেকে শিখ ধর্মের পুণ্যার্থীরা দাবি করেন, কার্তারপুরের (Kartarpur Sahib Corridor) গুরুদোয়ারায় যেন দর্শন করতে যেতে পারা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হোক। এরপর কেন্দ্রের মোদি সরকারের উদ্যোগে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাকিস্তান সরকার একটি করিডরের মধ্যে দিয়ে কার্তারপুর দর্শনের সুযোগ করে দেয়। এই চুক্তির মেয়াদ মঙ্গলবার থেকে ৫ বছর আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ধর্মস্থলে যেতে পাকিস্তান সরকার ২০ ডলার ফি নেয়। এবার থেকে এই ফি মুকুব করার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আগামী ৫ বছরের জন্য শ্রীকর্তারপুর সাহিব করিডরের চুক্তির মেয়াদ বাড়াল ভারত-পাকিস্তান। শিখদের পবিত্র ধর্মীয়স্থানে যাতায়াতের সুযোগ তৈরির লক্ষ্য়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কাজ করে চলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BRICS Summit: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    BRICS Summit: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাড়ি পরে রয়েছেন রুশ মহিলারা। পুরুষদের পরনে ধুতি-পাঞ্জাবী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Pm Modi) দেখে তাঁরা সমবেত কণ্ঠে ধরলেন কৃষ্ণ ভজন। রাশিয়ার কাজানে এভাবেই স্বাগত জানানো হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) যোগ দিতে মঙ্গলবার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তাঁকে স্বাগত জানানো হয় সম্পূর্ণ ভারতীয় কায়দায়।

    কাজানে পা রাখলেন মোদি (BRICS Summit)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে এমন আনুষ্ঠানিকতার গুরুত্ব স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও। এই দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে কাজানে পৌঁছলাম। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন। উন্নত গ্রহের লক্ষ্যে এখানে আলোচনা হবে।” বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “রাশিয়ার হেরিটেজ শহর কাজানে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।” এবার ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজন করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে সংঘাত ও পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে এই সম্মলনের গুরুত্ব অপরিসীম বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    উষ্ণ অভ্যর্থনা

    হোটেলে পৌঁছানোর পর (BRICS Summit) প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রবাসী ভারতীয়রা। তাঁদের হাতে ছিল ত্রিবর্ণ রঞ্জিত ভারতীয় পতাকা। সংস্কৃতে একটি গানও গান তাঁরা। ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাক পরে রুশ শিল্পীদের একটি দল রাশিয়ান নৃত্য প্রদর্শন করেন। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ৯০০ কিমি দূরে কাজান। এখানেই হচ্ছে ব্রিকস সম্মলেন। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই দু’দিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া যাওয়ার আগে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্রিকসের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতাকে ভারত অত্যন্ত মূল্য দেয়, যা বৈশ্বিক উন্নয়ন অ্যাজেন্ডা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও আলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে (Pm Modi) আবির্ভূত হয়েছে। ব্রিকসের (BRICS Summit) মঞ্চে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে গত বছর। এতে আদতে বিশ্বেরেই ভালো হবে।”

     

    আরও পড়ুন: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vehicle exports India: বিশ্বে ব্যাপক চাহিদা মেড-ইন-ইন্ডিয়া গাড়ির, প্রথম ত্রৈমাসিকেই বিক্রি বৃদ্ধি ১৪ শতাংশ

    Vehicle exports India: বিশ্বে ব্যাপক চাহিদা মেড-ইন-ইন্ডিয়া গাড়ির, প্রথম ত্রৈমাসিকেই বিক্রি বৃদ্ধি ১৪ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে দ্রুত চাহিদা বাড়ছে মেড-ইন-ইন্ডিয়া গাড়ির (Vehicle exports India)। অটো শিল্পে বিরাট পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভারতীয় উৎপাদনের উপর ক্রমেই ভরসা বাড়ছে বিশ্বের। ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক অর্থাৎ, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর, এই তিন মাসে ভারতে নির্মিত গাড়ির চাহিদা গত বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে ভারত থেকে মোট গাড়ি রফতানি করা হয়েছে ২৫,২৮,২৪৮টি। 

    ২০২৩-২৪ বর্ষে রফতানি কেমন ছিল গাড়ির (Vehicle exports India)?

    তবে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে গাড়ি রফতানি গত বছরের তুলনায় ৫.৫ শতাংশ কমেছিল। ওই বছর মোট রফতানি হয়েছিল ৪৫,০০,৪৯২৫টি গাড়ি। যানবাহনের চার প্রকারের মধ্যে তিন প্রকারেই মন্দা ছিল। তবে একমাত্র রফতানি বেড়েছিল যাত্রীবাহী গাড়ির (Made-in-India)। ওই বছর মোট ৬,৭২,১০৫টি যাত্রীবাহী গাড়ি রফতানি করা হয়েছিল। দুই চাকার গাড়ি রফতানি হয়েছিল ৩৪,৫৮,৪১৬টি। যার রফতানি কমেছিল ৫.৩ শতাংশ। তিন-চাকার গাড়ি রফতানি হয়েছিল ২,৯৯,৯৭৭টি। হার কমেছিল ১৭.৯ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক গাড়ি ৬৫,৮১৬টি রফতানি হয়েছিল। এর হার কমেছিল ১৬.৩ শতাংশ।

    ২০২৪-২৫ বর্ষে রফতানি কত হয়েছে (Vehicle exports India)?

    জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ বর্ষে ভারত থেকে মোট ৩,৭৬,৬৭৯টি যাত্রীবাহী গাড়ি (Vehicle exports India) রফতানি হয়েছে। আগের বারের তুলনায় বেড়েছে ১২ শতাংশ। এই যাত্রীবাহী গাড়িগুলির ৪৩ শতাংশ, বা ১,৬৭,৭৫৭টি ছিল ইউটিলিটি ভেহিকল। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়ার গাড়ি। টানা চার বার প্রথম হয়েছে এই সংস্থার গাড়ি। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১,৪৭,০৬৩টি যাত্রীবাহী গাড়ি রফতানি হয়েছে। এছাড়া হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়া রফতানি করেছে ৬২,১৬২টি যাত্রীবাহী গাড়ি, ভোক্সওয়াগেন ইন্ডিয়া ৩৫,০৭৯টি গাড়ি।

    শেয়ারের বিচারে সবথেকে বেশি হন্ডা মোটর্স

    ভারতের টু-হুইলার মার্কেটে রয়েছে মোটরসাইকেল, স্কুটার, মোপেড। টু-হুইলার (Vehicle exports India) মার্কেট বেড়েছে ১৬ শতাংশ। তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাজাজ অটো। রফতানির বাজারে শেয়ার বেড়েছে হন্ডার। এপ্রিল-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে মোটরসাইকেল রফতানি হয়েছে ১৬,৪১,৮০৪টি, স্কুটার রফতানি হয়েছে ৩,১৪,৫৩৩টি। ৭,৬৪,৮২৭টি টু-হুইলার রফতানি করে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাজাজ অটো। বাজাজের শেয়ার ৪৩ থেকে ৩৯ শতাংশে নেমেছে। আবার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে টিভিএস মোটর্স। শেয়ারের বিচারে সব থেকে বেশি হয়েছে হন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার ইন্ডিয়ার। ১০ থেকে ১৪ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে তাদের বিক্রির ভাগ।

    বাজাজ আটো থ্রি-হুইলার রফতানিতে শীর্ষে

    একই ভাবে আবার রফতানি কমেছে থ্রি-হুইলারের (Vehicle exports India)। বাজাজ আটো ৫৭ শতাংশ শেয়ার নিয়ে থ্রি-হুইলার রফতানিতে (Made-in-India) শীর্ষে রয়েছে। তাদের মোট রফতানি ইউনিট ৮৭,৯০৭টি। ২০২৪ অর্থবর্ষে থ্রি-হুইলার রফতানি হয়, অবশ্য তার আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ কমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ছয় মাসে ১,৫৩,১৯৯ ইউনিট রফতানি হয়েছে। এই বার গত বারের তুলনায় চাহিদা অনেক বেড়েছে। টিভিএস এবং ফোর্স মোটর্স ছাড়া বাকি সকল ওইএম-এরই গত বছরের তুলানয় বৃদ্ধি ঘটেছে। বাজারের ৫০ শতাংশ ছিল বাজাজ আটোর দখলে। এবার গত বছরের তুলানয় তাদের রফতানি বেড়েছে ১৩ শতাংশ, বাজারের দখল বেড়ে হয়েছে ৫৭ শতাংশ। অপর দিকে টিভিএস মোটর কোম্পানির রফতানি ১৮ শতাংশ কেমছে। অপরদিকে, যানবাহনের এই বিভাগের নতুন করে চাহিদা বেড়েছে। ২০২৪ অর্থবর্ষে ৩৫,৭৩১টি বাণিজ্যিক যানবাহন রফতানি করা হয়েছে। গতবারের তুলনায় রফতানি বেড়েছে ১২ শতাংশ।

    আরও পড়ুনঃ ইতিহাস তৈরি বিজেপির, সদস্য সংখ্যা পৌঁছল ১০ কোটির ঘরে, এবার লক্ষ্য ১১ কোটি

    সরকার দেশীয় উৎপাদনে সক্রিয়

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকেই কেন্দ্রের মোদি সরকার আত্মনির্ভর ভারতের স্লোগান দিয়েছিলেন। এরপর দেশীয় উৎপাদনের উপর সরকার বিশেষ নজর দিতে শুরু করে। বাইরের বাজারকে ভারতের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে একাধিক প্রকল্প এবং বিনিয়োগের জন্য বিশেষ ভাবে উৎসাহ দেখিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। দেশীয় উৎপাদন এবং দেশীয় চাহিদাকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়াই বিকশিত ভারত নির্মাণের লক্ষ্য, আর একথা নরেন্দ্র মোদি একাধিক বার বলেছেন নিজের ভাষণে। তাই নিরাপত্তা সরঞ্জাম, অস্ত্র, গোলাবারুদ, আধুনিক বন্দুক, যানবাহন, মোবাইল, ইলেকট্রনিক দ্রব্য, বাচ্চাদের খেলনা, পোশাক, খাবার ইত্যাদির উপর দেশীয় (Made-in-India) উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। লোকাল ফর ভোকাল এবং এক জেলা এক পণ্যের আহ্বান জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই। ভারতের স্বপ্ন সফল করতে আমার সরকার কাজ করছে।” কথাগুলো বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিটে (NDTV World Summit) অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি তাঁর দিনরাত পরিশ্রমের কারণ ব্যাখ্যা করেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    তিনি বলেন, “আমি অনেক লোকের সঙ্গে মিশেছি, তাঁরা আমায় বলেছেন ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে। অনেক মাইলস্টোনও আমরা ছুঁয়েছি। সংস্কার সাধনও হয়েছে। তাহলে আপনি কেন এত পরিশ্রম করছেন?” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ১০ বছরে ১২ কোটি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে, ১৬ কোটি বাড়িতে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে… এটাই কি যথেষ্ট? আমার উত্তর হল, না। এটা যথেষ্ট নয়। আজ বিশ্বের তারুণ্যে ভরপুর দেশগুলির অন্যতম ভারত। এই যৌবন, এই তারুণ্য আমাদের আকাশে নিয়ে যেতে পারে।”

    ‘শিথিলতার কোনও জায়গা নেই’

    তিনি বলেন, “আমরা যে স্বপ্ন দেখেছি, যে অঙ্গীকার করেছি, সেখানে বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, শিথিলতার কোনও জায়গা নেই। ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ভারত এখন ‘লুক ফরওয়ার্ড’ অ্যাপ্রোচ নিয়ে এগিয়ে চলেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রচলিত প্রথা হল যে প্রতিটি সরকার তার কাজের তুলনা করে আগের সরকারের সঙ্গে। আমরাও এই পথেই হাঁটতাম। কিন্তু এখন আর আমরা অতীত ও বর্তমানের তুলনা করে সন্তুষ্ট থাকতে পারি না। সাফল্যের মাপকাঠি এখন থেকে হবে ‘আমরা কী অর্জন করতে চাই’, তা।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন একটি সামনে তাকাও নীতি গ্রহণ করেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত ভারতের স্বপ্নও এই মানসিকতার অংশ।”

    আরও পড়ুন: ২০৩০ সালেই ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, ইঙ্গিত এস অ্যান্ড পি-র

    এদিন বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) গত পাঁচ বছরে গোটা বিশ্ব কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তা তুলে ধরেন। তাঁর কথায় ঘুরে ফিরে এসেছে অতিমারির কথা, মূল্যবৃদ্ধির কথা এবং অবশ্যই বেকারত্বের কথা। উঠে এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন পকেটে হওয়া যুদ্ধের কথাও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতে আমরা ভারতের সেঞ্চুরি নিয়ে আলোচনা করছি। গ্লোবাল ক্রাইসিসে ভারত আশার আলো। ভারতের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে (NDTV World Summit)। কিন্তু আমরা সেগুলিকে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখি (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Economy: ২০৩০ সালেই ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, ইঙ্গিত এস অ্যান্ড পি-র

    India Economy: ২০৩০ সালেই ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, ইঙ্গিত এস অ্যান্ড পি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চালকের আসনে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তরতরিয়ে এগোচ্ছে দেশ। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির আগেই প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা ‘বিকশিত ভারতে’র (Viksit Bharat)। তারও ঢের আগে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির (Worlds Third Largest Economy) দেশের তালিকায় ভারতকে (India Economy) জায়গা করে দেওয়াও তাঁর অন্যতম লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে অটল ভারত সঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে জানিয়ে দিল এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং (S&P Global Rating)।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ (India Economy)

    ২০৩০ সালের মধ্যেই দু’ধাপ ওপরে উঠে ভারত জায়গা করে নেবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকার তিন নম্বরে। জানা গিয়েছে, ভারতের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ছুঁয়েছে ৩.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির সময় তাকে ৩০ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য ভারতের (India Economy)। সেই লক্ষ্য পূরণে ভারতকে মোকাবিলা করতে হবে একাধিক চ্যালেঞ্জের। এই চ্যালেঞ্জগুলোর অন্যতম হল এ দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। জনসংখ্যার নিরিখে ২০৩৫ সালের মধ্যেই বিশ্বের এক নম্বর দেশ হয়ে উঠবে ভারত। তখন সরকারের ঘাড়ে চাপবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক পরিষেবা দেওয়ার চাপ। অর্থনীতির বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগও বাড়াতে হবে ভারতকে।

    আরও পড়ুন: “কাশ্মীর কখনওই পাকিস্তান হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন ফারুক আবদুল্লা

    এস অ্যান্ড পি-র রিপোর্ট

    এস অ্যান্ড পি-র (S&P Global Rating) রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী তিন বছর দ্রুত গড়াবে ভারতীয় অর্থনীতির (India Economy) চাকা। ভারত হবে অন্যতম উদীয়মান বাজার। এই বাজারগুলিই পরবর্তী দশকে বড় ভূমিকা রাখবে বিশ্ব অর্থনীতিতে (Worlds Third Largest Economy)। ওই গ্লোবাল রেটিং সংস্থার (S&P Global Rating) অনুমান, ২০৩৫ সালের মধ্যে উদীয়মান বাজারগুলির গড় জিডিপি হবে ৪.০৬ শতাংশ। এই সময় উন্নত অর্থনীতির জিডিপি হবে ১.৫৯ শতাংশ। ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিতে ৬৫ শতাংশ যোগদান থাকবে উদীয়মান অর্থনীতির। তার মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলবে ভারত (India Economy)। বর্তমানে ওই তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। ৩৫ সালের মধ্যেই চলে আসবে তৃতীয় স্থানে। ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলেরও উন্নতি হবে। ওই তালিকায় তাদের জায়গা হবে যথাক্রমে অষ্টম ও নবম স্থানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share