Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • Kargil Vijay Diwas: ‘‘ইতিহাস থেকে শেখেনি…’’, কার্গিল বিজয় দিবসে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    Kargil Vijay Diwas: ‘‘ইতিহাস থেকে শেখেনি…’’, কার্গিল বিজয় দিবসে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি পাকিস্তান। যে কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলা ব্যর্থ করবে ভারত। দেশের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা রেখে কার্গিল বিজয় দিবসে (Kargil Vijay Diwas) পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কার্গিল বিজয় দিবসের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে ২৪ থেকে ২৬ জুলাই দ্রাসে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে লাদাখে ‘কার্গিল ওয়ার মেমোরিয়ালে’ পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সেখানে প্রধানমন্ত্রী কার্গিল যুদ্ধে শহিদ বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। 

    পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি (Kargil Vijay Diwas) 

    ভারত চলতি বছর ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবসের (Kargil Vijay Diwas)  রজত জয়ন্তী উদযাপন করছে। ২৫ বছর আগে এই দিনে ভারতীয় সেনাবাহিনী তার বীরত্ব ও সাহসিকতার এক নজির সৃষ্টি করেছিল। এই উপলক্ষে শুক্রবার শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লাদাখে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখানে শহিদদের  প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। 

    একই সঙ্গে পাকিস্তানকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “আমি সন্ত্রাসবাদের প্রভুদের বলব, ওদের অপচেষ্টা কখনই সফল হবে না। শত্রুদের যোগ্য জবাব দেব। লাদাখ বা ​​জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের পথে আসা প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে হারাবে ভারত। পাকিস্তান তার ইতিহাস থেকে কিছুই শিক্ষা নেয়নি। তারা সন্ত্রাসবাদ এবং ছায়া যুদ্ধ ব্যবহার করে। আমি আজ এমন একটি জায়গা থেকে কথা বলছি, যেখানে সন্ত্রাসবাদীরা সরাসরি আমার কথা শুনবে। আমি তাদের বলতে চাই, তাদের পরিকল্পনা কখনই সফল হবে না। লাদাখ হোক বা ​​জম্মু ও কাশ্মীর, আমরা উন্নয়ন চালিয়ে যাব। ৫ অগাস্ট, ৩৭০ ধারা বাতিলের ৫ বছর পরে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। পরিকাঠামো ও পর্যটন খাত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েক দশক পর কাশ্মীরে সিনেমা হল খুলেছে। কয়েক দশক পর শিয়া সম্প্রদায় শ্রীনগরে তাকিয়া পালন করেছে।”

    ২৫ বছর আগে কী হয়েছিল (Kargil Vijay Diwas) 

    ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রায় তিনমাস যুদ্ধের পর কার্গিল সেক্টরে ভারতের দিকে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের দখল করা অংশ পুনরুদ্ধার করে অপারেশন বিজয়ের সাফল্য ঘোষণা করে। যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়কে স্মরণ করতে দিনটিকে কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।

    প্রধানমন্ত্রীর বার্তা (PM Modi)

    এদিন, সকাল সাড়ে ৯টায় কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘২৬ জুলাই প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য একটি বিশেষ দিন। এবার আমরা ২৫তম কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas) উদযাপন করব। আমাদের দেশকে যারা প্রাণ দিয়ে রক্ষা করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই বিশেষ ভাবে পালিত হচ্ছে আজকের এই দিন’। 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্তা

    কার্গিল বিজয় দিবসের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স-এ লিখেছেন- ‘দেশ কখনও শহিদদের আত্মত্যাগ ভুলবে না’। আজকের এই বিশেষ দিনে বীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠি।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, “আজ কার্গিল বিজয় (Kargil Vijay Diwas) দিবসের ২৫তম বার্ষিকীতে, আমরা ১৯৯৯ সালের যুদ্ধে বীর সৈনিকদের অদম্য চেতনা এবং সাহসের কথা স্মরণ করছি। তাদের অটল প্রতিশ্রুতি, বীরত্ব এবং দেশপ্রেম আমাদের দেশকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রেখেছে। তাদের সেবা এবং আত্মত্যাগ প্রত্যেক ভারতীয় এবং আমাদের আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।”

    শিনকুন লা টানেল উদ্বোধন

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে খবর, মোদি (PM Modi) তাঁর লাদাখ সফরে শিনকুন লা টানেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। লেহ-এর সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত করতে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ। কাজ সম্পুর্ণ হলে শিনকুন লা হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ টানেল। শিনকুন লা টানেল প্রকল্পটি ৪.১ কিলোমিটার লম্বা টুইন টিউব টানেল নিয়ে গঠিত। এই টানেল তৈরি হয়ে গেলে সারা বছরই লেহ উপত্যকার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। নিমু-পদুম-দারচা সড়কে প্রায় ১৫,৮০০ ফুট উচ্চতায় তৈরি হবে এই টানেল। টানেলটি হিমাচল প্রদেশের লাহুল উপত্যকাকে লাদাখের জান্সকার উপত্যকার সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এদিন কার্গিল যুদ্ধে নিহত সেনা অফিসারদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও কথা বলবেন মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mumbai First Underground Metro: চালু হচ্ছে মুম্বইয়ের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো! কোথা দিয়ে চলবে?

    Mumbai First Underground Metro: চালু হচ্ছে মুম্বইয়ের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো! কোথা দিয়ে চলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইবাসীদের জন্য সুখবর। খুব শীঘ্রই মুম্বাইয়ের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো লাইন (Mumbai First Underground Metro) চালু হবে। সম্প্রতি বিজেপির জাতীয় সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, ”২৪ জুলাই থেকে মুম্বইয়ে প্রথম মেট্রো চালু হবে। এর ফলে শহরের পরিবহণ ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত হবে৷ পরিবহণে অনেকটা গতি আসবে৷” তাওদে আরও বলেছেন যে, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুম্বাইবাসীদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য বদ্ধপরিকর৷ প্রধানমন্ত্রী মুম্বইবাসীদের জীবন সহজ করার যে গ্যারান্টি দিয়েছিলেন, তা এবার পূরণ হতে চলেছে। মুম্বাইয়ের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রো চালু হচ্ছে ২৪ শে জুলাই থেকে। এই পরিষেবা শহরের গতিতে নতুন প্রেরণা দেবে।” 

    আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোর যাত্রাপথ (Mumbai First Underground Metro) 

    মোট ৩৩.৫ কিলোমিটার জুড়ে প্রাথমিকভাবে মেট্রোলাইনের কাজ চলছে৷ আরে কলোনি (Aarey Colony), সাহার রোড, সান্তাক্রুজ, বিদ্যানগরী, ধারাভি, শীতলদেবী মন্দির, দাদর, সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির, ওরলি, আচার্য আত্রেয় চক, বিজ্ঞান জাদুঘর, মহালক্ষ্মী, মুম্বাই সেন্ট্রাল, গ্রান্ট রোড, গিরগাঁও, কালবাদেবী, ছত্রামা, শিবমহারাজ, মহালক্ষ্মী, চার্চগেট, বিধান ভবন, এবং পারাডে ক্যাফে প্রভৃতি জায়গায় এই মেট্রোর যাত্রাপথ রয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে এই লাইনে প্রায় দৈনিক ১.৭ মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করবে। সম্পূর্ণ প্রজেক্টটিতে প্রায় ২৭টি স্টেশনের মধ্যে ২৬টি স্টেশনই হবে মাটির তলায়৷

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান

    চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি (Mumbai metro) 

    বর্তমানে মুম্বাই মেট্রোপলিটন রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (MMRDA) মেট্রো লাইন ৩ এর প্রয়োজনীয় গবেষণা ও ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে। তাছাড়াও বৈদ্যুতিক সিস্টেমের পরীক্ষা এবং সিগন্যালিং সহ নানা দিকের পরীক্ষা চলছে। সমস্ত পরীক্ষা সফল ভাবে শেষ হওয়ার পর, মেট্রো রেল সেফটি কমিশনারকে (CMRS) পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। তারপরেই চালু হবে এই পরিষেবা (Mumbai First Underground Metro)। 
    মুম্বাই মেট্রোর ওয়েব সাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই বছরের ডিসেম্বরে এই পরিষেবা (Mumbai First Underground Metro) চালু হওয়ার কথা ছিল,  কিন্তু মন্ত্রিসভার বৈঠক চলাকালীন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের ১,১৬৩ কোটি টাকা সরাসরি মুম্বাইকে দেওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছিলেন। এরফলেই এ বছর জুলাই মাসের মধ্যে পরিষেবাটি (Mumbai metro) চালু করা সম্ভব হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই গোটা প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৭,২৭৫.৫০ কোটি টাকা।
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Budget 2024: আজ সারা দেশ তাকিয়ে নির্মলার দিকে, কখন, কোথায় দেখবেন বাজেট অধিবেশন?

    Union Budget 2024: আজ সারা দেশ তাকিয়ে নির্মলার দিকে, কখন, কোথায় দেখবেন বাজেট অধিবেশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Union Budget 2024) পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। যা তৃতীয় নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। গত ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ বাজেট পেশ করেছিলেন সীতারামন। সেটা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট (ভোট-অন-অ্যাকাউন্ট)। সংসদের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, এদিন সকাল ১১টা থেকে সংসদে সীতারামনের বাজেট ভাষণ শুরু হবে। যা দেড় থেকে দু’ঘণ্টা চলতে পারে।

    নির্মলার রেকর্ড (Nirmala Sitharaman)

    এদিন বাজেট (Union Budget 2024) ভাষণ শুরু করলেই ইতিহাস তৈরি করবেন নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। একটানা সর্বাধিক বাজেট পেশের নজির গড়বেন তিনি। একটানা সপ্তম বাজেট পেশ করবেন নির্মলা। ভেঙে দেবেন মোরারজি দেশাইয়ের রেকর্ড। তিনি একটানা ছয়বার বাজেট পেশ করেছিলেন। সার্বিকভাবে সর্বাধিক বাজেট পেশের তালিকার শীর্ষে আছেন মোরারজি দেশাই। তিনি মোট ১০ বার বাজেট পেশ করেছিলেন। সেই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন পি চিদম্বরম। তিনি মোট নয়বার বাজেট পেশ করেছিলেন। তৃতীয় স্থানে আছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি মোট আটবার বাজেট পেশ করেছিলেন। 

    আরও পড়ুন: ভারতে ৯২ শতাংশ অফিসের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হয় চ্যাটজিপিটি! দাবি রিপোর্টে

    কী কী প্রত্যাশা (Union Budget 2024) 

    দেশ দীর্ঘ সময় ধরে সুস্থিত ও সংহত একটি সরকার পেয়েছে। তাই সেই সরকারের থেকে প্রত্যাশাও অনেক বেশি সাধারণ মানুষের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) প্রাক-বাজেট ভাষণে জানান, এই বাজেট খুবই বিশেষ, এটি ‘অমৃত কালে’র বাজেট হতে চলেছে। বাজেট (Union Budget 2024) আগামী পাঁচ বছরের দিশা দেখাবে। তা ছাড়া এই বাজেট ‘বিকশিত ভারতে’র স্বপ্নকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এখনও পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে নতুন সরকার সড়ক নির্মাণ খাতে ও রেল-খাতে বড় পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করতে চলেছে। পাশাপাশি ‘নিউ ট্যাক্স রেজিমে’র ক্ষেত্রে আনতে পারে করছাড়ের বিশেষ ঘোষণাও।

    কখন, কোথায় দেখবেন (Union Budget 2024) 

    সকাল ১১টায় বাজেট (Union Budget 2024) বক্তৃতা শুরু করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। সংসদ টিভিতে (Sansad TV) এটি সম্প্রচার করা হবে। তাছাড়াও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বাজেটের সরাসরি সম্প্রচার করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saumitra Khan: “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন মমতা”, তোপ দাগলেন সৌমিত্র

    Saumitra Khan: “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন মমতা”, তোপ দাগলেন সৌমিত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। তৃণমূল নেত্রীকে তুলোধনা করলেন। একইসঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও কড়া করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করলেন।

    ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ? (Saumitra Khan)

    বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর ডাক দিয়েছেন মমতা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, অবিলম্বে বিএসএফকে সতর্ক করা হোক। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সতর্ক করা হোক। যাতে একটাও রোহিঙ্গাও ঢুকতে না পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরি করবেন, ২১ জুলাই তিনি এই বার্তা দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ভারতের গণতন্ত্র প্রশ্নের মুখে পড়বে। ভারতবর্ষ কোনও পান্থশালা নয়, যে কেউ আসবে খাবে আর চলে যাবে। বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের কোনও মতে প্রবেশ করতেআমরা দেব না। সেজন্য আমরা প্রাণ দিতে রাজি আছি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখব যে অবিলম্বে সীমান্তে পাহারার কড়াকড়ি করা হোক। নইলে ভারতবর্ষের বড়ই বিপদ।”

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    ঠিক কী বলেছিলেন মমতা?

    রবিবার ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে মমতা বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বলব না। ওটা আলাদা দেশ। যা বলবে ভারত সরকার বলবে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যদি অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়ে তাহলে আমরা নিশ্চিত ভাবে আশ্রয় দেব। রাষ্ট্রসংঘের একটা নির্দেশ আছে, কেউ যদি শরণার্থী হন, তাহলে তার পাশের এলাকাকে সেই বিষয়টা সম্মান জানাতে হবে। তবে বাংলাদেশ নিয়ে কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা যেন কোনও অশান্তি না করি। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও উত্তেজনায় না জড়াই। তবে তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করল বিজেপি (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Budget 2024: “সংসদের সময় নষ্ট করবেন না”, বাজেটের আগে বিরোধীদের উদ্দেশে বার্তা মোদির

    Union Budget 2024: “সংসদের সময় নষ্ট করবেন না”, বাজেটের আগে বিরোধীদের উদ্দেশে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদকে সচল রাখতে বিরোধী সাংসদের কাছে অনুরোধ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাজেট অধিবেশন (Union Budget 2024) শুরুর আগে সোমবার বিরোধীদের উদ্দেশে মোদির আর্জি, “আগামী পাঁচ বছর দেশের জন্য লড়তে হবে। দলগত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।” রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দেশের উন্নয়নের জন্য় সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)।

    বিরোধীদের উদ্দেশে মোদির বার্তা

    আগামিকাল, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই যে বাজেট (Union Budget 2024) পেশ হবে সেটা অমৃতকালের জন্য বাজেট বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “আমাদের ৫ বছরের যে সুযোগ মিলেছে। এই বাজেট সেই লক্ষ্য়েই তৈরি হয়েছে। বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য ওই বাজেট তৈরি হচ্ছে। ৬০ বছর পর কোনও সরকার তৃতীয়বারের জন্য ফেরত এসেছে। তৃতীয় বারের জন্য প্রথম বাজেট তৈরির সৌভাগ্য হয়েছে। এটা অত্যন্ত গৌরবের কথা।” সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে এদিন বিরোধীদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, “নির্বাচিত সব সাংসদ ও রাজনৈতিক দলগুলির কর্তব্য হল আগামী ৫ বছর দেশের জন্য লড়াই করা। আসুন আমরা আগামী ৪ থেকে সাড়ে ৪ বছর রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করি। ভোটের সময় যা করার করবেন, কিন্তু তার আগে পর্যন্ত ২০৪৭-এর স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়াই করুন। ১৪০ কোটি দেশবাসী যে সরকারকে সেবার সুযোগ দিয়েছে, তার কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করবেন না। সব দলের কাছে আবেদন যাঁরা প্রথম সংসদে এসেছেন তাঁদের সংসদে আলোচনার সুযোগ দিন। এই সদন দেশের জন্য, দলের জন্য নয়।”

    বিরোধীদের উদ্দেশে মোদির বার্তা

    বাজেট (Union Budget 2024) অধিবেশনের আগে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিলেও বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিতেও ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। মোদি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠরোধ করার কোনও অধিকার তাঁদের নেই। দেশবাসী বিরোধীদের দেশের জন্য পাঠিয়েছে, দলের জন্য পাঠায়নি। দেশ নেতিবাচক রাজনীতি চায় না, উন্নতির বিচারধারা চায়।” কণ্ঠরোধ করা হলেও বিরোধীদের কোনও অনুশোচনা নেই বলেও অভিযোগ মোদির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UNESCO World Heritage Centre: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে ১০ লাখ ডলার দেবে ভারত! ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    UNESCO World Heritage Centre: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে ১০ লাখ ডলার দেবে ভারত! ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের (UNESCO World Heritage Centre) জন্য এক মিলিয়ন ডলার দেবে ভারত। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন যে, ভারত, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলিতে ঐতিহ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে এক মিলিয়ন ডলার দান করবে। এদিন নয়াদিল্লিতে ভারত মণ্ডপে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৬ তম অধিবেশনের উদ্বোধনে বক্তৃতার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, ”ভারত বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষণকে তার দায়িত্ব বলে মনে করে। তাই শুধুমাত্র ভারতেই নয় বরং ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ভারত গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোতেও সহায়তা প্রদান করছে।”  

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য (PM Modi) 

    এদিন বক্তৃতার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”ভারত কম্বোডিয়ার আঙ্কোর ওয়াট, ভিয়েতনামের চাম মন্দির এবং মায়ানমারের বাগান স্তূপের মতো অনেক ঐতিহ্যের সংরক্ষণে সহায়তা করছে।” এরপরেই মোদি বলেন, ”আমি ঘোষণা করছি, ভারত ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে (UNESCO World Heritage Centre) এক মিলিয়ন ডলার দান করবে। এই অনুদানটি সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে।” এদিন একে অপরের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে একত্রিত হওয়ারও আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। 

    গত ১০ বছরে ভারতের উন্নয়ন 

    এদিন বক্তৃতায় মোদির (PM Modi) সময়কালে ভারতের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”গত ১০ বছরে ভারত আধুনিক উন্নয়নের নতুন মাত্রা স্পর্শ করেছে। সে কাশীর বিশ্বনাথ করিডোর হোক কিংবা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ বা প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ক্যাম্পাস, সারা দেশে এমন অসংখ্য কাজ হচ্ছে। আজ, আয়ুর্বেদের উপকারিতা সমগ্র বিশ্বে পৌঁছেছে, কিন্তু এটি ভারতের বৈজ্ঞানিক ঐতিহ্য। তাই ভারতের ঐতিহ্য শুধু ইতিহাস নয়, বিজ্ঞানও।”      
    প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, বিশ্বে ঐতিহ্যের বিভিন্ন স্থান রয়েছে, কিন্তু ভারত এতই প্রাচীন যে বর্তমানের প্রতিটি বিন্দু একটি গৌরবময় অতীতের ঘটনা বর্ণনা করে। বিশ্ব দিল্লিকে ভারতের রাজধানী হিসাবে জানে, তবে এই শহরটি হাজার বছরের ঐতিহ্যের কেন্দ্রও। এখানে, প্রতিটি পদক্ষেপে আপনি ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের সাক্ষী হবেন। এখান থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কয়েক টন ওজনের একটি লোহার স্তম্ভ। এই লোহার স্তম্ভটি ২০০০ বছর ধরে খোলা আকাশের নীচে রোদ, ঝড়, জল মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তবুও এখনও পর্যন্ত এতে কোনও জং বা মরচে পড়েনি। ফলে এর থেকেই বোঝা যায় সেই সময়েও ভারতের ধাতুবিদ্যা কতটা উন্নত ছিল।   

    আরও পড়ুন: “বিজেপি করে বলেই পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল”, দাবি পরিবারের

    আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে ‘মায়দাম’

    একইসঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান যে উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি ঐতিহাসিক স্থানকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের (UNESCO World Heritage Centre) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে, উত্তর পূর্ব ভারতের ঐতিহাসিক ‘মায়দাম’ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি হবে ভারতের ৪৩ তম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম ঐতিহ্যবাহী স্থান যা সাংস্কৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা পাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Criticize Mamata: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’! মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    BJP Criticize Mamata: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’! মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। সেই বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের (BJP Criticize Mamata)। পুরো বিষয়টির উপরে নজর রাখছে কেন্দ্র সরকার। বাংলাদেশিদের (Unrest Bangladesh) রাজ্যে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সমালোচনা করল বিজেপি।

    মমতার মন্তব্যের সমালোচনা মালব্যের

    বাংলাদেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে ফেরাবেন না, রবিবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশে। গত কয়েক দিনে সেই আন্দোলনে (Unrest Bangladesh) হিংসা ছড়িয়েছে। মমতার এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির (BJP Criticize Mamata) তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর প্রশ্ন, মমতাকে সেই অধিকারটা কে দিয়েছেন? কোনও রাজ্যের হাতে নাগরিকত্ব বা অভিবাসন সংক্রান্ত কোনও ক্ষমতা নেই। পুরো বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে আছে। সেইসঙ্গে মালব্য অভিযোগ করেন, ভোটে জেতার জন্য বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে প্রবেশ করা লোকজনদের নিজেদের রাজ্যে ঠাঁই দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তৃণমূল-সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতা-নেত্রীরা। মালব্যের কথায়, ‘বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার যে ভয়ংকর পরিকল্পনা আছে, তার একটা অংশ হল এই বিষয়টি, যাতে ওরা নির্বাচনে জিততে পারে।’

    মমতার মন্তব্যে অসন্তুষ্ট কেন্দ্র

    মমতার এই মন্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (BJP Criticize Mamata)। সরাসরি কেন্দ্রের তরফে কোনও বিবৃতি জারি না করা হলেও মমতার কথায় মোদি, জয়শংকররা যে প্রসন্ন হননি, তা বুঝিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এক সূত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘এগুলি এমন বিষয়, যেগুলি সামলায় কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তো কোনও এক্তিয়ারই নেই। এসব মন্তব্য (মমতা যে কথা বলেছেন) সম্পূর্ণভাবে ভুল।’ আর মমতার কথায় যে কোনও পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না, সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশে (Unrest Bangladesh) পড়ুয়াদের যে বিক্ষোভ চলছে, তা নেহাতই সেই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বিশ্বেমঞ্চে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র জয়জয়কার, সাফল্যকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: বিশ্বেমঞ্চে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র জয়জয়কার, সাফল্যকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র (Make In India) আওয়াজ তুলেছিলেন তিনিই। তারপর যমুনা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। সাফল্যের মুখ দেখেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ভারতীয় অর্থনীতির জয়গাথা গাইছে এই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’। প্রত্যাশিতভাবেই যারপরনাই খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর একটি পোস্ট রিপোস্ট করেছে ‘মাইগভইন্ডিয়া’। তাতে বলা হয়েছে, কীভাবে ভারতে তৈরি হস্তশিল্প প্রভাব ফেলছে তামাম বিশ্বে।

    ‘মাইগভইন্ডিয়া’র পোস্ট (PM Modi)

    বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন তুলে ধরে ‘মাইগভইন্ডিয়া’র পোস্টে লেখা হয়েছে, “ফ্রম লোকাল ক্র্যাফ্ট টু গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট: দ্য মেড ইন ইন্ডিয়া সাকসেস স্টোরি। মেড ইন ইন্ডিয়ার উদ্যোগ দেখিয়ে দিচ্ছে ভারতে তৈরি বিভিন্ন প্রোডাক্টের ব্যাপক সাফল্য। ভারতীয় সাইকেল থেকে ডিজিটাল পেমেন্ট, ভারত তার প্রোডাক্ট দিয়ে বিশ্বে ঝড় তুলেছে। মেড ইন্ডিয়ার যাত্রা সম্পর্কে জানুন। কারণ এটি আন্তর্জাতিক বাজার ধরে ফেলেছে, আকর্ষণ করেছে বিশ্বের নজর।”

    আমূলের জনপ্রিয়তা

    সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে ‘মাইগভইন্ডিয়া’ জানাচ্ছে, রাশিয়ান সৈনরা ব্যবহার করছেন মেড ইন্ডিয়া বুট। বিশ্বে (PM Modi) কাশ্মীরি উইলো ব্যাটের কী বিপুল জনপ্রিয়তা, তারও উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের প্রথম কো-অপারেটিভ সোশ্যাইটি কীভাবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তা-ও জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘আমূল ভারতের ইউনিক ফ্লেভার তুলে ধরেছে বিশ্বে। তারা আমেরিকায়ও প্রোডাক্ট লঞ্চ করছে। এই যে আন্তর্জাতিক প্রসার, এটা প্রমাণ করে ভারতীয় ডেয়ারি প্রোডাক্টের বিশ্বজনীন আবেদন। বিশ্বজুড়ে ভারতের স্বাদ ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে আমূল।’

    আরও পড়ুন: প্যারিস অলিম্পিক্সের সুরক্ষায় ভারতের সারমেয়কুল, কেন জানেন?

    ইউনিফায়েড পেমেন্ট সিস্টেমেরও জয়গান গাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘ইউপিআই সিস্টেম বর্তমানে একটি বৈশ্বিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে চলছে ডিজিটাল লেনদেন।’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর লঞ্চ হয় মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগ। বিনিয়োগ, আবিষ্কার, উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি ভারতকে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং, ডিজাইন এবং ইননোভেশন হাবে পরিণত করাই ছিল এর উদ্দেশ্য।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্যগাথার কথা শোনা গিয়েছিল মার্কিন সংস্থা ব্লুমবার্গ নিউজেও। তারা জানিয়েছিল, মার্কিন কোম্পানি অ্যাপলের প্রতি সাতটা আইফোনের মধ্যে একটি তৈরি হচ্ছে ভারতেই (Make In India)। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে অ্যাপলের আইফোন ১২ থেকে আইফোন ১৫ মডেল তৈরি হচ্ছে ভারতেই (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: এক্স হ্যান্ডেলে রেকর্ড, মোদির অনুগামীর সংখ্যা ছাড়াল ১০ কোটির চৌকাঠ

    PM Modi: এক্স হ্যান্ডেলে রেকর্ড, মোদির অনুগামীর সংখ্যা ছাড়াল ১০ কোটির চৌকাঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক্স হ্যান্ডেলে রেকর্ড গড়ে ফেললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে (World Leader)। তিনি বিশ্বের জনপ্রিয়তম নেতাও। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটির চৌকাঠ। এই মাধ্যমে অন্য ভারতীয় নেতাদের চেয়েও বেশ কয়েকগুণ এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে অনুগামীর সংখ্যার নিরিখে ভারতের অন্য নেতারা যখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন, তখন রীতিমতো দৌড়চ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

    ক্স হ্যান্ডেলে কে কোথায় দাঁড়িয়ে (PM Modi)

    এক্স হ্যান্ডেলে লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর অনুগামীর সংখ্যা ২.৬৪ কোটি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রয়েছে ২.৭৫ কোটি অনুগামী। এর পরেই রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ১.৯৯ কোটি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর অবস্থা আরও করুণ। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা মাত্রই ৭৪ লক্ষ। এক্স হ্যান্ডেলে অনুগামীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) স্বয়ং। লিখেছেন, “এক্স হ্যান্ডেলে ১০০ মিলিয়ন ফলোয়ার্স! ভাইব্র্যান্ট এই মিডিয়ায় আলোচনা চলতেই থাকুক, বিতর্ক চলতে থাকুক, চলতে থাকুক অন্তর্দৃষ্টি, চলতে থাকুক গঠনমূলক সমালোচনাও। ভবিষ্যতে এই মাধ্যমে আরও বেশি সময় দেব।”

    কী বলছেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রীর ফলোয়ার সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাওয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মোদী ফেনোমেনায় মজেছে এক্স হ্যান্ডেল। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা। মোদিজি ১০০ মিলিয়ন ফলোয়ার্সের গণ্ডি পার করেছেন।” তিনি বলেন, “মোদিজি অপ্রতিরোধ্য। তাঁর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা (World Leader) জনপ্রিয় নেতা।”

    আরও পড়ুন: প্রাণঘাতী হামলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হতে পারে রিপাবলিকানদের ‘ট্রাম্প কার্ড’

    এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতা  জেপি নাড্ডা লিখেছেন, “এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর অনুগামীর সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন ছুঁয়েছে। এই প্রাপ্তি একটা দলিল। মানুষের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।  তিনিই বিশ্বের প্রথম নেতা, যিনি এই বেঞ্চমার্ক ছুঁলেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারত এক উচ্চতায় পৌঁছেছে, যার জন্য গোটা বিশ্বকে আজ ভারত গুরুত্ব দিচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না”, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    Birbhum: “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না”, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমানেই ২১ জুলাই, তৃণমূলের বড় কার্যক্রম। আর তাকে কেন্দ্র করে বিশেষ বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল বীরভূম (Birbhum) জেলার মাঠপালশা গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শেখ ইউনিস মুসলমান ভোট এবং অধিকার নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না।”  

    তৃণমূল নেতা ঠিক কী বললেন (Birbhum)?

    তৃণমূল নেতা শেখ ইউনিস (Birbhum) বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যা লঘুদের একমাত্র পথ হল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা দিদি আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। কাজল শেখ নানুরে এবং সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। ৬৭ হাজার ভোটারদের মধ্যে তৃণমূল ২৭ হাজার ভোটে লিড দিয়েছে। মুসলমানেরা ঢেলে ভোট দিয়েছে তৃণমূলকে। তাই আমাদের সংগঠিত হতে হবে। সংখ্যাগুরু হয়ে যাঁরা বড় বড় পদ নিয়ে বসে আছেন, তাঁদের নিয়েও ভাবতে হবে। সংখ্যালঘু মুসলমানেরা কোথায় যাবেন? এই সব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। কোর কমিটি মেম্বারদের আঙুল তুলে বুঝিয়ে দিতে হবে, বুথেই জিততে পারছেন না, জেলায় আবার কীসের দায়িত্ব নেবেন। বোমা বাঁধা থেকে লাঠি সব আমরা করব, আর পদের বেলায় শুধু সংখ্যাগুরু! এই সবকিছু ভাবতে হবে। এই সিস্টেম মানা যাবে না।”

    আর কী বললেন?

    তৃণমূল নেতা শেখ ইউনিস (Birbhum) আরও বলেছেন, “যদি বিজেপি ৪০০ আসন পেতো তাহলে কি আমরা ঠিক মতো নামাজ পড়তে পারতাম? ইসলামি ধর্মীয় আচার ঠিক করে পালন করতে পারতাম তো? উত্তর প্রদেশের যোগী দাবি করেছেন এখনে মসজিদে মাইক বাজে না, রাস্তায় কেউ নামাজ পড়েন না। কিন্তু বিজেপি ২৪০ আসনে আটকে গিয়েছে। অযোধ্যা থেকে শুরু করে রামের যাত্রা পথে যেখানে যেখানে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে, সেখানে সেখেনে হেরেছে। তাই সংখ্যাগুরুদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে। মোদি ৭৩ শতাংশ হিন্দু সমাজকে একত্রিত করতে চেয়েছিলেন। আমরা কত? কোথাও ২৭ বা ২৫ শতাংশ মুসলমান, বাকি তো সব সংখ্যাগুরু। তাই ভাবতে হবে, ওরা জিতে গেলে আমাদের কী অবস্থা হতো? তৃণমূল একমাত্র আমাদের পথ।”

    আরও পড়ুনঃ যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা সভাপতি (Birbhum) ধ্রুবকুমার সাহা বলেছেন, “তার মানে নির্বাচনে তৃণমূলের অস্ত্র সংখ্যালঘু। তারাই বোমা বাঁধে, লাঠি ধরে। আসল সত্য ফাঁস হয়েছে। সংখ্যালঘুদের বোধোদয় হয়েছে। ২০২৬ সালে তাদের মনে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share