Tag: NCB

NCB

  • Pakistan Boat Caught: ভারতে মাদক পাচার করতে গিয়ে আটক ১৪ নাবিক সহ পাকিস্তানি জলযান

    Pakistan Boat Caught: ভারতে মাদক পাচার করতে গিয়ে আটক ১৪ নাবিক সহ পাকিস্তানি জলযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে অশান্তি জিইয়ে রাখার পাকিস্তানি প্রচেষ্টা অব্যাহত! ভারতে ৬০০ কোটি টাকা মূল্যের মাদক পাচার করতে গিয়ে কোস্টগার্ডের হাতে ধৃত সন্দেহভাজন পাকিস্তানি জলযান (Pakistan Boat Caught)। ভারতে মাদক পাচারের এই পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে কোস্টগার্ড। তাদের সঙ্গে ছিলেন সন্ত্রাসবাদ বিরোধী স্কোয়াড ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা।

    বিপুল পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত (Pakistan Boat Caught)

    ৮৬ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে পাকিস্তানি ওই জলযানের ১৪ জন নাবিককেও। কোস্টগার্ডের তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘রাতভর অভিযান চালানোর পরে ইন্ডিয়ান কোস্টগার্ড সমুদ্রে মাদক পাচার বিরোধী অভিযান চালায়। আগাম পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই অভিযান চালানো হয়। প্রায় ৮৬ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই পরিমাণ মাদকের মূল্য ৬০০ কোটি টাকা। পাকিস্তানি ওই জলযান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪ জন নাবিককেও। অভিযান চালাতে গিয়ে মোতায়েন করা হয়েছিল জাহাজ এবং এয়ারক্র্যাফ্ট। এই অভিযানে শামিল হয়েছিল কোস্টগার্ডের জাহাজ রাজরতনও। এই জাহাজটিতে এনসিবি এবং এটিএসের আধিকারিকরাও ছিলেন।’

    ‘রাজরতনে’র খেলা

    জানা (Pakistan Boat Caught) গিয়েছে, গ্রেফতারি এড়াতে সন্দেহভাজন জাহাজটি চেষ্টা কম কসুর করেনি। তবে নজরদারি জাহাজটি সেটিকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি আটক করে। একটি বিশেষজ্ঞ দল পাকিস্তানি জাহাজটিতে তল্লাশি অভিযান চালায়। তখনই জানা যায়, জাহাজটিতে মাদক রয়েছে। কোস্টগার্ড জানিয়েছে, আইসিজি গোত্রের রাজরতনের ক্ষিপ্রতার সঙ্গে এঁটে ওঠা মুশকিল। তাই পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পাকিস্তানি মাদক বোঝাই জলযানটি। রাজরতনের স্পেশালিস্ট টিম সন্দেশভাজন পাকিস্তানি জাহাজটিতে গিয়ে ওঠে। খানাতল্লাশির পর ওই টিমের সদস্যরা জাহাজটিতে মাদক রয়েছে বলে নিশ্চিত হন। তার পরেই বাজেয়াপ্ত করা হয় ৬০০ কোটি মূল্যের মাদক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাকিস্তানি জলযানটিকে গুজরাটের পোরবন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে। জাহাজটির সঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছে তার নাবিকদেরও (Pakistan Boat Caught)।

    আরও পড়ুুন: “ওয়েনাড়ে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে”, তোপ মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Drugs Smuggling: ১০০ কেজিরও বেশি মাদক বাজেয়াপ্ত, এমবিএ পাশ যুবক সহ গ্রেফতার ৭ পাচারকারী

    Drugs Smuggling: ১০০ কেজিরও বেশি মাদক বাজেয়াপ্ত, এমবিএ পাশ যুবক সহ গ্রেফতার ৭ পাচারকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো কেজিরও বেশি মাদক সহ গ্রেফতার সাত পাচারকারী (Drugs Smuggling)। এই পাচারাকারীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক মাদক বাজারের। লিঙ্ক রয়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিরও। পাচারকারীদের গ্রেফতার করতে অসমের গুয়াহাটি ও মণিপুরের ইম্ফলে অভিযান চালিয়েছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় পাচারকারীদের। মাদক বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি মাদক তৈরিতে ব্যবহৃত কেমিক্যালও উদ্ধার হয়েছে। মাদকগুলি সরবরাহ করা হচ্ছিল ৫৫৩টি প্যাকেটে। সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের পরিমাণ ১১০.৫ কেজি। মাদকগুলি ছিল ট্যাবলেটের আকারে।

    বি-টু-বি প্লাটফর্ম

    জানা গিয়েছে, মাদক পাচারে (Drugs Smuggling) মূল অভিযুক্ত মহঃ আবদুল ওয়াকলি এমবিএ স্নাতক। মাদক পাচারের জন্য সে খুলেছিল বি-টু-বি প্লাটফর্ম। ধূর্ত আবদুল  জাল নথিপত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াত। মিজোরামস আইজল নামের একটি স্টোরের ভুয়ো ডকুমেন্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াত সে। পরে সে আমেদাবাদের ভদ্রেশ প্যাটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সংগ্রহ করে ১৫০০ প্যাকেট ট্যাবলেট আকারে থাকা মাদক। পুলিশ যাতে মাদক পাচারের খবর জানতে না পারে, তাই ট্যাবলেটের প্যাকেটগুলির লেবেল বদলে দেওয়া হয়েছিল।

    মাদক পাচার ট্যাবলেটের আকারে

    লিভোসেট এবং কলজেন নামের ভুয়ে লেবেল সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছিল মাদকের প্যাকেটগুলিতে। একাধিক অফিস, গোডাউন এবং বাড়িতে হানা দিয়ে সেগুলি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান এনসিবির আধিকারিকরা। নীতীন কুমার পাঞ্চাল এবং অনিলভাই নায়ক অর্ডার সংগ্রহ করত। প্যাকেটের (Drugs Smuggling) গায়ে ভুয়ো লেবেলও সাঁটাত তারা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে এরাও। কিছুদিন আগেই মায়ানমার থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ১.৩ মিলিয়ন কলজেন ট্যাবলেট। যা থেকে প্রমাণ হয়, আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্র সক্রিয় উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে।

    আরও পড়ুুন: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ত্রিপুরার আমবাসা থানার আধিকারিকদের সঙ্গে যৌথ অভিযানে নামে অসম রাইফেলস। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর মারিজুয়ানা। বর্তমানে এই পরিমাণ মাদকের বাজার দর এক কোটি টাকার কাছাকাছি। অভিযান শেষে পুলিশ জানিয়েছিল, একটি গাড়িতে করে ওই মাদক পাচার করার চেষ্টা হচ্ছিল। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে গাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়। বাজেয়াপ্ত হয় ২৫৭ কেজি মাজুরিয়ানা। ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয় দুজনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NCB Raid: মুম্বইয়ের গুদাম থেকে ১২০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার এনসিবির

    NCB Raid: মুম্বইয়ের গুদাম থেকে ১২০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার এনসিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ের একটি গুদাম থেকে উদ্ধার ১২০ কোটি টাকার মাদক (Drug) উদ্ধার করল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। মোট ৬০ কেজি মেফোড্রন উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোট ২২৫ কেজি মাদক বাজারে বিক্রি করেছিল কারবারিরা। ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার এক প্রাক্তন বিমানচালককে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। তাছাড়াও ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।      

    এনসিবি জানিয়েছে, ধৃত প্রাক্তন বিমানচালকের নাম সোহেল গাফফার মাহিদা। এর আগে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিমানচালক হিসাবে এয়ার ইন্ডিয়ায় কাজ করেন। পরে অসুস্থতার কথা জানিয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। এছাড়া মুথু পিচাইদাস, এসএম চৌধুরী, এমআই আলি এবং এমএফ চিস্তি নামে চারজনকে মুম্বই থেকে এবং ভাস্কর ভি নামক একজনকে গুজরাটের জামনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০০১ সালে অন্য এক মাদক মামলাতেও পিচাইদাসের নাম জড়িয়েছি। ২০০৮ সাল থেকে জামিনে মুক্ত আছে সে।

    আরও পড়ুন: কমলা বোঝাই ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হল ১৪৭৬ কোটি টাকার কোকেন!     

    এর আগে চলতি বছরের অগস্ট মাসে ভদোদরা থেকে ২০০ কেজি মেফোড্রন বাজেয়াপ্ত করে এনসিবি। এপ্রিল মাসে কান্দলা থেকে উদ্ধার হয় ২৬০ কেজি মাদক। এই মাদক বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় এই চক্রের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ২২৫ কেজি মাদক বাজারে বিক্রি করেছে এই চক্র। 

    এনসিবির তরফে জানানো হয়, নৌবাহিনীর গেয়েন্দাদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এই আবহে গুজরাট থেকে ১০.৫ কেজি মাদক অন্য রাজ্যে পাচার করার সময় ৩ অক্টোবর বাজেয়াপ্ত করেছিল এনসিবি। সেই সময় ভাস্করকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেদিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল পিচাইদাস, মুথু পিচাইদাস, এসএম চৌধুরী, গাফফার মাহিদাকে। এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনেক তথ্য পান তদন্তকারীরা। এরপর বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের এক গোডাউন থেকে ৫০ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং এমআই আলি এবং এমএফ চিস্তি নামক দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Navy: এনসিবি, এটিএসের বড় সাফল্য, প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

    Indian Navy: এনসিবি, এটিএসের বড় সাফল্য, প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিবি শুক্রবার ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে বিরাট সাফল্য পায়। প্রায় ১২০০ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার করে। একটি ইরানি মাছ ধরার জাহাজ আটক করা হয়েছে. সেখান থেকেই ২০০ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়। সঞ্জয় কুমার সিং আরও জানান, ৬ ইরানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হেরোইন-সহ নৌকাটি মাত্তানচেরির ঘাটে আনা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    তিনি আরও বলেন, এই চক্রকে গ্রেফতার করে তাদের আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যোগ পাওয়া গিয়েছে। ড্রাগ কার্টেলের অনন্য চিহ্ন ও প্যাকিং বিশেষত্ব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারা গিয়েছে ওই ড্রাগ আফগানিস্তান থেকে আনা হয়েছিল। তা পরিবহন করা হয়েছিল পাকিস্তান গিয়ে। পাকিস্তান উপকূল থেকে শ্রীলঙ্কার একটি জাহাজ ভারতীয় জলসীমায় আসার পর তা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    এনসিবি জানাচ্ছে, ওই আফগান হেরোইনের (Afghan Heroin) বাজারে খুব চাহিদা রয়েছে। তাই দামও আকাশছোঁয়া। মাদকগুলি যাতে নষ্ট হয়ে না যায় সে জন্য ওয়াটারপ্রুফ মোড়কে খুব ভালভাবে প্যাকিং করা হয়েছিল। সাত মোড়কের প্য়াকেটে সেগুলিকে রাখা হয়েছিল। প্রত্যেকটি প্যাকেটের উপর আলাদা চিহ্ন ছিল, যা মূলত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাদকচক্রেই ব্যবহৃত হয়। কয়েকটি প্যাকেটের ওপর কাঁকড়া বিছের চিহ্ন আঁকা ছিল, কিছু প্যাকেটে আবার ছিল ড্রাগনের চিহ্ন।

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় হেরোইন উৎপাদক দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৮০-৯০ শতাংশ এই দেশ থেকেই ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানে এই মাদকের উৎপাদন বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: গত ৯ মাসে পাক জেলে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয়ের, ক্ষুব্ধ বিদেশমন্ত্রক 

    এদিকে এটিএসের অভিযানেও বড় সাফল্য এসেছে। আজ, শনিবার আবার গুজরাতের সমুদ্র উপকূল থেকে ৫০ কেজি হেরোইন উদ্ধার করে গুজরাত এটিএস ও উপকূল রক্ষা বাহিনী। যার বাজারমূল্য ৩৫০ কোটি টাকা। জাকুয়া বন্দর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাকিস্তানের দিক থেকে ছয়জন ব্যক্তি নৌকা করে ভারতে এই বিপুল সংখ্যক হেরোইন নিয়ে প্রবেশ করছিল। তখনই উপকূল রক্ষা বাহিনীর হাতে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেপ্তার হন ওই ছয় ব্যক্তি। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে গুজরাত পুলিশ।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Operation Garuda: অপারেশন গরুড়, সিবিআইয়ের জালে ১৭৫ জন, বাজেয়াপ্ত বিপুল মাদক

    Operation Garuda: অপারেশন গরুড়, সিবিআইয়ের জালে ১৭৫ জন, বাজেয়াপ্ত বিপুল মাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মাদক বিরোধী অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (Central Investigation agency) সিবিআই। ‘অপারেশন গরুড়’ (Operation Garuda) নামে বিশেষ অভিযানটিতে এখনও পর্যন্ত ১৭৫ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। এই অভিযানটি আন্তর্জাতিক অপরাধদমন মূলক পুলিশ সংস্থা (International Criminal Police Organization) এবং এনসিবি (Narcotics Control Bureau)-র সঙ্গে যৌথভাবে চালানো হচ্ছে। মূলত ভারত মহাসাগরের (Indian Ocean) ওপর দিয়েই চলত মাদক পাচার, চোরাচালান। এর বিরুদ্ধেই চলছে অভিযান। 

    আরও পড়ুন: মহা পঞ্চমীর মাহাত্ম্য: জানুন তারকাসুর বধ ও স্কন্দমাতার আখ্যান

    অপারেশন গরুড় চালানো হয়েছে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। সেই রাজ্যের পুলিশবাহিনীর (State Police) সাহায্যে চালানো হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত সিবিআই এবং এনসিবি ছাড়াও পাঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশ,গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি এবং মণিপুর সহ একাধিক রাজ্যের পুলিশও অপারেশন (Operation) চালিয়েছে।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে ভারতকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর 

    পাঞ্জাব, দিল্লি, হিমাচলপ্রদেশ, মণিপুর সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে সন্দেহভাজন (Suspects person) প্রায় ৬ হাজার ৬০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ১২৭টি নতুন মামলা সহ ১৭৫ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন লড়বেন না অশোক গেহলট, সোনিয়ার কাছে চাইলেন ক্ষমা 

    ধৃতদের কাছ থেকে ৫ কেজির মতো হেরোইন (Heroin), ৩৪ কেজির মতো গাঁজা, ৩ কেজি ২৯ গ্রামের মতো চরস (Charas), প্রায় ৮৭টি নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ১২২টি মাদক ইঞ্জেকশন, প্রায় ২ কেজি আফিম, ৩০ কেজির মতো পোস্তর খোসা (Poppy Husk), ১ কেজি ৪৩০ গ্রামের মতো নেশা জাতীয় পাউডার (Intoxicant powder) উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও এমন আরও নানা নেশাজাতীয় দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মাঝে মধ্যেই মাদক বিরোধী অভিযান করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Rhea Chakraborty: বলিউড মাদক মামলায় এনসিবির খসড়া চার্জশিটে উঠল রিয়া, সৌভিকের নাম

    Rhea Chakraborty: বলিউড মাদক মামলায় এনসিবির খসড়া চার্জশিটে উঠল রিয়া, সৌভিকের নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput)  মৃত্যুর দুবছর কেটে গেলেও বলিউড (Bollywood)  মাদক মামলায় (Drug Case) এখনই রেহাই পেলেন না প্রয়াত অভিনেতার প্রাক্তন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty) ও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী (Showik Chakraborty)। বুধবার মুম্বইয়ের (Mumbai) আদালতে (Court) রিয়া, শৌভিকের বিরুদ্ধে এই মামলার খসড়া চার্জ দাখিল  করেছে এনসিবি (NCB)।  প্রসঙ্গত, মাদক কেনাবেচার অভিযোগে রিয়ার ভাই-সহ একাধিক বলিউডের ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাঁদের জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: ঠিক কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত?

    সরকারি আইনজীবী অতুল সারপান্ডে (Atul Sarpande) জানান, আগের  চার্জশিটে যেসব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যা বলা হয়েছে তার প্রায় সবকটি এক থাকবে। রিয়া ও তাঁর ভাই মাদক সেবন ও অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে মাদক সরবরাহ করার জন্যে তাঁদের বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই মামলা চলছিল। আবারও রিয়া ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে খসড়া চার্জ পেশ করেছে। ১৪ জুন, ২০২০- মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দেহ। সিবিআই (CBI) সেই মামলার তদন্ত করছে। এর সঙ্গে এনসিবি (NCB) এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরও (ED) তদন্ত  করেছে। এরপর এনসিবি, মাদক যোগে সুশান্তের বান্ধবী রিয়াকে গ্রেফতার করলেও মুম্বই হাই কোর্টের নির্দেশে প্রায় এক মাস পর ছাড়া পেয়ে যান তিনি।

    আরও পড়ুন: আরিয়ানের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা! প্রাক্তন এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

    অতুল সারপান্ডে আদালতের কাছে সকল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠনের কথা বললেও তা করা সম্ভব হয়নি। কারণ অভিযুক্তদের অনেকেই অভিযোগ সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেছে আদালতে। খবরসূত্রে জানা যায়, আদালত থেকে জানানো হয়েছে যে, এই আবেদন খারিজের বিষয়টি শেষ না হওয়া পর্যন্ত চার্জশিট গঠন করা যাবে না। বুধবার, রিয়া ও তাঁর ভাইসহ সমস্ত অভিযুক্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ বিচারক ভিজি রঘুবংশী (V G Raghuwanshi) এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ জুলাই ধার্য করেছেন।

     

  • Aryan Khan: “আমার কি এসব প্রাপ্য ছিল?” মাদককাণ্ডে নিরবতা ভাঙলেন আরিয়ান খান

    Aryan Khan: “আমার কি এসব প্রাপ্য ছিল?” মাদককাণ্ডে নিরবতা ভাঙলেন আরিয়ান খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতবছর অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে মাদককাণ্ডে (Drug case) জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান (Aryan Khan)। একমাসের হাজতবাসের পর অক্টোবরের শেষে জামিন পান আরিয়ান। তারকা সন্তানের বিরুদ্ধে মাদক সেবন, মাদক পাচারের মতো একাধিক অভিযোগ এনেছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। গ্রেফতারি অভিযানের হোতা ছিলেন তৎকালীন এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)। গোটা দেশ ফুঁসে উঠেছিল খান পরিবারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে এনডিপিএস অ্যাক্ট (Narcotic Drugs and Psychotropic Substances Act) ১৯৮৫ অনুসারে, ছমাস থেকে কুড়ি বছরের সাজা হতে পারত আরিয়ানের। এরপর চলতি বছরের ২৮ মে কোনও উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। প্রাক্তন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগও ওঠে।

    আরও পড়ুন: তদন্তে গাফিলতির মাশুল! বদলি সমীর ওয়াংখেড়ে, কোথায় পাঠানো হল জানেন?

    বিতর্কের সূত্রপাত থেকে এযাবৎ পুরো বিষয়টিতে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন আরিয়ান। এবার নিরবাতা ভাঙলেন। প্রশ্ন করলেন, “আমার কি এসব প্রাপ্য ছিল?” এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরিয়ানের সঙ্গে নিজের কথোপকথন তুলে ধরেন এনসিবি কর্তা সঞ্জয় সিং। এনসিবি কর্তাকে শাহরুখজাদার প্রশ্ন, “স্যার আপনারা আমাকে একজন আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী বানিয়ে দিলেন! আমি মাদক ব্যবসায় টাকা  জোগাই? ওরা আমার কাছে কোনও মাদক পায়নি, তাও আমাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টা অদ্ভুত না? আপনারা আমার সঙ্গে অত্যন্ত  খারাপ করেছেন। আমার ভাবমূর্তিটাই নষ্ট করে দিয়েছেন। আমাকে কেন এতগুলো সপ্তাহ জেলে থাকতে হল? সত্যিই কি আমার এসব প্রাপ্য?”  

    আরও পড়ুন: মাদক-মামলায় বেকসুর খালাস, আমেরিকার পথে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান

    শাহরুখের (Shahrukh Khan) সঙ্গে নিজের সাক্ষাতের কথাও উল্লেখ করেন সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh)। তিনি বলেন, “আমি অন্যান্য বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে যেহেতু দেখা করেছি, তাই যখন জানতে পারলাম, শাহরুখ খান দেখা করতে চান, তখন আর না করিনি।” এনসিবি কর্তা জানান, বাদশা খান ছেলের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জানান, আরিয়ান একা ঘুমোতেও পারছিলেন না। তাঁকে সঙ্গ দিতে শাহরুখ তাঁর শোবার ঘরে থাকতেন।  
     
    শাহরুখের চোখে জলও দেখেছিলেন সঞ্জয়। শাহরুখ আবেগপ্রবণ হয়ে বলেছিলেন, “আমাদেরকে ভয়ঙ্কর দানব বানিয়ে দেওয়া হল। এমন অপরাধী হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হল যারা সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। ছেলের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না থাকে সত্ত্বেও আমাদের এই অপমানের মধ্যে দিয়ে যেতে হল।”  

     

  • SSR Death Anniversary: ঠিক কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত?

    SSR Death Anniversary: ঠিক কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ বছর কেটে গেল, তবে সুশান্তের মৃত্যুর কারণ এখনও ধোঁয়াশায়। ১৪ জুন, ২০২০। অসংখ্য ভক্তের মন ভেঙে দিয়ে চিরকালের জন্য বিদায় নিয়েছিলেন বলিউডের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput)। গতকাল ছিল তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। আর তাঁর মৃত্যুদিনে তাঁকে মনে করে অসংখ্য ভক্ত ফের একবার বিচারের দাবি জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অনুরাগীরা সিবিআই-এর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর ওপর হওয়া অবিচারের উত্তর চেয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কম বয়সে মৃত্যু যে সকল সেলেব্রিটিদের

    মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই তাঁর মৃত্যু হয়। মুম্বইয়ে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। মুম্বই পুলিশ প্রথম থেকেই একে আত্মহত্যার ঘটনা বলে দাবি করেছে। যদিও এই মৃত্যুর তদন্ত শুধু মুম্বই পুলিশকেই দেওয়া হয়নি, পরে এর তদন্ত ভার দেওয়া হয় সিবিআই, ইডি, এনসিবি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে। যদিও আজও ঠিক কী কারণে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু, তা নিয়ে পরিস্কার করে জানায়নি কোনও তদন্তকারীর সংস্থা। মৃত্যুর ২২ মাস কেটে গেলেও সিবিআই কোনও চার্জসিট করেনি। যেসব অফিসাররা সুশান্তের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত করছে তারাও নীরব রয়েছেন। ২২ মাস ধরে দীর্ঘ তদন্ত চলাকালীন অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে, সুশান্তের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর পর্যবেক্ষণ করার পরেও এর কোনও সুরাহা মেলেনি। ফলে এর জন্যই তাঁর ভক্তরা সুশান্তের প্রতি বিচারের দাবি করে সরব হয়েছেন।

    আরও পড়ুন:চোখের জলে শেষ বিদায়, মুম্বাইয়ের ভারসোভায় পঞ্চভূতে বিলীন কেকে

    যদিও অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের (All India Institute of Medical Sciences) একটি মেডিকেল বোর্ড ২০২০র সেপ্টেম্বরে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল যে সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা(Suicide)। সিবিঅআইয়ের তরফে তদন্তের এখনও পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট দেওয়া হয়নি ও চার্জসিটও করেনি। অন্যদিকে সিবিআই ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিল, তাঁরা  তদন্তের সময় আধুনিক সফ্টওয়্যার সহ উন্নত মোবাইল ফরেনসিক সরঞ্জাম ব্যবহার করেছিল ডিজিটাল ডিভাইসগুলি থেকে ডেটা বের করবার জন্য ও বিশ্লেষণের জন্য। এবং এর পরেই সুশান্তের বন্ধু, তার ডাক্তার, রিয়া চক্রবর্তী এবং তার পরিবারের সদস্য এবং সিনেমা জগতের বেশ কয়েকজন সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। আবার সুশান্তের বাবা রিয়া চক্রবর্তীর বিরূদ্ধে অভিযোগ করার পর তাকে জেলেও থাকতে হয়। এতকিছুর পরেও সুশান্তের মৃত্যু রহস্যের জট এখনও কাটেনি। সবটাই রয়েছে ধোঁয়াশায়।

  • Aryan Khan: মাদক-মামলায় বেকসুর খালাস, আমেরিকার পথে  শাহরুখ পুত্র আরিয়ান

    Aryan Khan: মাদক-মামলায় বেকসুর খালাস, আমেরিকার পথে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রমোদতরী কর্ডেলিয়া ক্রুজ (Cordelia Cruise) কাণ্ডে আরিয়ান খানকে (Aryan Khan) বেকসুর খালাস দিল কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনসিবি (NCB)। সংস্থার চার্জশিটে বলা হয়েছে শাহরুখ-তনয়ের কাছে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি।

    নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau) ছ’হাজার পৃষ্ঠার চার্জশিটে নাম ছিল না আরিয়ান খান সহ ছয় জনের। এরপরেই এনসিবি-র তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে আরিয়ানের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি। এমনকী গ্রেফতারির দিন আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, তিনি মাদক সেবন করেছেন এমন প্রমাণও মেলেনি। তাই আরিয়ানকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

    বলি-পাড়ার খবর, মাদক মামলা (Drug case) থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই আমেরিকা যাওয়ার কথা ভাবছেন শাহরুখ-তনয়। এতদিন মামলা চলার জন্য তাঁর দেশের  বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। এখন নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় সেই বাধা কেটে গেল। পাসপোর্ট-সহ সমস্ত কাগজপত্র হাতে পেলেই নিজের পরবর্তী কাজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেবেন আরিয়ান। ইতিমধ্যেই কয়েকটি ওয়েব সিরিজ পরিচালনার চিন্তাভাবনা করছেন আরিয়ান।

    আরও পড়ুন: নির্দোষ আরিয়ান, এনসিবি-র প্রাক্তন আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ

    সাত মাস আগে ক্রুজ কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরিয়ান খান। গ্রেফতার করা হয় তাঁর দুই বন্ধু মুনমুন ধমেচা, আরবাজ মার্চেন্ট-সহ অন্যদের।  প্রায় একমাস জেলে কাটানোর পর অবশেষে গত বছর ৩০ অক্টোবর শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন শাহরুখ-পুত্র। এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে এনসিবি। একাধিকবার আদালতে বাড়তি সময়ও চাওয়া হয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পক্ষ থেকে। তা-ও শাহরুখ তনয়ের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি এই তদন্তকারী সংস্থা।

    সূত্রের খবর, বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টের বয়ানই আরিয়ানকে নির্দোষ প্রমাণ করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয়। ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আরবাজ বারবার NCB আধিকারিকদের জানিয়েছেন যে আরিয়ান নির্দোষ। তিনি নিজে জুতোর নীচে চরস নিয়ে গিয়েছিলেন সে কথাও কবুল করেন আরবাজ। তবে আরিয়ান বিষয়টি জানার পরেই তাঁকে সাবধান করেছিলেন এবং ওই কাজ করতে বারণ করেছিলেন, এ কথাও জানান আরবাজ।

    এদিন এনসিবির পেশ করা চার্জশিটে নাম ছিল না আরিয়ান-সহ ৬ জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রমোদতরীর অনুষ্ঠানের ৪ আয়োজকও। এঁদের কারও বিরুদ্ধেই তেমন কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে সংস্থা। এনডিপিএস (NDPS) আইনের বিভিন্ন ধারায় বাকি ১৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। শুক্রবার আরিয়ান খানের আইনজীবী মুকুল রোহত্গি (Mukul Rohatgi) জানান, ছেলে ক্লিন চিট পাওয়ায় অবশেষে চিন্তামুক্ত হয়েছেন শাহরুখ (Shah Rukh Khan)। তাঁর কথায়, “আমার ক্লায়েন্ট নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। এতে আমি তো চিন্তামুক্ত হয়েছি ঠিকই। শাহরুখ খানও আজ চিন্তামুক্ত হলেন।” 

  • Sameer Wankhede: তদন্তে গাফিলতির মাশুল! বদলি সমীর ওয়াংখেড়ে, কোথায় পাঠানো হল জানেন?

    Sameer Wankhede: তদন্তে গাফিলতির মাশুল! বদলি সমীর ওয়াংখেড়ে, কোথায় পাঠানো হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রমোদতরী মাদক মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান (Aryan Khan)। তাঁর বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ পেশ করতে অসফল হয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। এবার সেই মাদক মামলায় (Drug case) তদন্তকারী এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়েকে (Sameer Wankhede) বদলি করা হল তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে।

    প্রমোদতরী ‘ক্রুজ কর্ডেলিয়া’ (Cordelia cruise) থেকে শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) পুত্রকে গ্রেফতারের নেপথ্যে ছিলেন এই প্রাক্তন এনসিবি আধিকারিক। ঘটনার তদন্তের গাফিলতি অভিযোগ উঠেছে এনসিবির বিরুদ্ধে। আরিয়ানের বিরুদ্ধে চার্জশিটে কোনও প্রমাণই দেখাতে পারেনি এনসিবি। আরিয়ান মাদক কিনেছিলেন বা পাচার করেছিলেন এরকম কোনও প্রমাণ মেলেনি। এমনকি সে মাদক সেবন করেছিলেন কি না তাও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: আরিয়ানের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা! প্রাক্তন এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

    কারণ, এনসিবির কর্তারা গ্রেফতারের পর তাঁর কোনও মেডিক্যাল টেস্ট করাননি। সেই গাফিলতির মাশুলই কি দিতে হল সমীর ওয়াংখেড়েকে? সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এই ঘটনার জেরেই মুম্বাই থেকে চেন্নাইয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা হল এনসিবির প্রাক্তন জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে। ট্যাক্সপেয়ার সার্ভিসে বদলি হলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। জানা গিয়েছে, আগামী ১০ জুন নতুন পদে দায়িত্ব নেবেন এই আইআরএস (IRS) অফিসার।

    নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (Narcotics Control Bureau) ডিরেক্টর জেনারেল এসএন প্রধান জানান, ১৪ জনের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, ৬ জনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০২১ সালের ২ অক্টোবরে মুম্বাইয়ের একটি প্রমোদতরীতে অভিযান চালায় এনসিবি। সেই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সমীর। মাদক-যোগের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। মাদককাণ্ডে ২৭ দিন জেলে থাকতে হয়েছিল আরিয়ানকে।

    আরও পড়ুন: মাদক-মামলায় বেকসুর খালাস, আমেরিকার পথে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান

    মাদক-সিন্ডিকেট এবং বিদেশি মাদক পাচারকারীদের যোগসূত্রের অভিযোগে এনডিপিএস আইনের (NDPS Act) ৩৭ ও ২৭ নম্বর জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে এনসিবি। একাধিকবার জামিন খারিজও হয় বাদশা-পুত্রের। পরবর্তী সময়ে জামিন মঞ্জুর হলেও নিয়মিত এনসিবি দফতরের ডেকে জেরা করা হয়েছে তাঁকে।

    অবশেষে ক্লিনচিটও পান আরিয়ান খান। সম্প্রতি আরিয়ানকে নির্দোষ বলে নিষ্কৃতি দেয় এনসিবি। আর এর পরই সমীরের বদলিতে অনেকেই মনে করছেন দুটি ঘটনা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত।

     

     

LinkedIn
Share