Tag: news in bengali

news in bengali

  • Mark Carney: সরকার ভেঙে দিলেন কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী কার্নে, কারণ কী জানেন?

    Mark Carney: সরকার ভেঙে দিলেন কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী কার্নে, কারণ কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শপথ গ্রহণ করেছিলেন ১৪ মার্চ। তার ঠিক ন’দিনের মাথায় সরকার ভেঙে দিলেন কানাডার (Canada) নয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে (Mark Carney)। কার্নের আগে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিবারেল পার্টির জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর পর ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রুডো। ট্রুডোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন লিবারেল পার্টরই অনেক সাংসদ। শেষমেশ একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন ট্রুডো।

    ২৮ এপ্রিল দেশে সাধারণ নির্বাচন (Mark Carney)

    লিবারেল পার্টির তরফে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো হয় কার্নেকে। সেই কার্নেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে অনুরোধ করেন গভর্নর জেনারেলের কাছে। অনুরোধ করেন ২৮ এপ্রিল দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে। সেই মতো ওই দিনই হচ্ছে কানাডার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই নয়া সরকার বেছে নেবেন কানাডাবাসী। কার্নে জানান, প্রতিবেশী আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে কানাডার নাগরিকদের জন্য সময় আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ট্রাম্প অনবরত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়ে কানাডাকে চাপে রাখতে চাইছেন। শক্ত হাতে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা দরকার। কার্নে চান, এই কঠিন সময়ে দেশকে কে নেতৃত্ব দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিন কানাডাবাসীই। সেই কারণেই সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ডাক দিয়েছেন কার্নে।

    কী লিখেছেন কার্নে?

    রবিবার রাতে সমাজ মাধ্যমে কার্নে লিখেছেন, “আমি এই মাত্র গভর্নর জেনারেলকে বললাম পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে এবং আগামী ২৮ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করতে। তিনি রাজি হয়েছেন। জি৭-এ আমাদের কানাডাকে সব চেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি করে তুলতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। দেশের জন্য এই পরিশ্রম কে বা কারা করবেন, তা ঠিক করার অধিকার কানাডার মানুষেরই। তাঁরা সেই অধিকারের দাবিদার।” তিনি বলেন, “কানাডাকে সুরক্ষিত করে তোলার জন্য অনেক কাজ বাকি আছে। এখানে বিনিয়োগ করতে হবে, কানাডাকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনৈতিক শুল্ক হুঁশিয়ারির মুখে কানাডায় যে সঙ্কট নেমে এসেছে, তার মোকাবিলা করতে হবে। সেই কারণেই আমি জনগণের কাছ থেকে এ বিষয়ে কঠোর আদেশ চাইছি।”

    ঘুরে যায় হাওয়া

    কানাডায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের অক্টোবরে। নানা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ট্রুডোর আমলে লিবারেল পার্টির থেকে কনজারভেটিভরা কিছুটা এগিয়ে গিয়েছেন। এর পরেই শুরু হয় ট্রুডোকে সরানোর তোড়জোড় (Canada)। নয়া প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো হয় কার্নেকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রুডোকে সরানোর পর থেকেই ঘুরে যায় হাওয়া। সেই হাওয়াকে স্ব-দলের নৌকার পালে লাগাতে চাইছেন কার্নে। সেই কারণেই অকাল নির্বাচন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফে কানাডার প্রতি বড়সড় হুমকি উঠে এসেছে। ট্রাম্পের সেই হুমকি প্রসঙ্গে কার্নে বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) আমাদের ভেঙে ফেলতে চান, যাতে আমেরিকা আমাদের মালিকানা নেয়, আমরা কখনওই তা হতে দেব না।” তিনি আগেই বলেছিলেন, “ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমার নয়া জনমতের প্রয়োজন।”

    জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কার্নে

    কার্নে (Mark Carney) জনপ্রিয়তায় এগিয়ে যান মধ্যবিত্ত শ্রেণির কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে। তাঁর পূর্বসূরী ট্রুডোর ঘোষিত বেশ কিছু পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করেন তিনি। এর মধ্যে ছিল কার্বন কর বাতিল এবং মূলধন লাভ বৃদ্ধি। শনিবারই লিবারেল পার্টি ঘোষণা করেছিল, কার্নে জাতীয় রাজধানী অটোয়ার শহরতলির অন্টারিওর নেপিয়ান আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। লিবারেল পার্টির তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে আমাদের নেতা মার্ক কার্নে, আগামী নির্বাচনে নেপিয়ানের জন্য আমাদের প্রার্থী হবে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, অটোয়া ছিল সেই জায়গা যেখানে কার্নে তাঁর পরিবারকে লালন-পালন করেছিলেন, জনসেবায় উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর কর্মজীবন এবং সর্বদা তাঁর সম্প্রদায়কে রিটার্ন দিয়েছিলেন (Mark Carney)।”

    কী বলেছিলেন কার্নে

    ন’দিন আগে (Canada) কার্নে যখন নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তার কিছু দিন আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে কানাডার। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরেই কার্নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নিয়ে কথা বলেন। কানাডার পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপকে নিজেদের জীবনের সব চেয়ে বড় সঙ্কট হিসেবে অভিহিত করেন কার্নে। সেদিন তিনি বলেছিলেন, “আমরা এই (বাণিজ্য) লড়াই চাইনি। কিন্তু কানাডিয়ানরা সব সময় প্রস্তুত থাকে যখন কেউ তার হাতের গ্লাভস ফেলে দেয়। তো মার্কিনিদের কোনও ভুল করা উচিত নয়।” তিনি বলেন, “হকি খেলার মতো বাণিজ্য (Canada) লড়াইয়েও কানাডা জিতবে (Mark Carney)।”

  • Modi Government: মোদি জমানায় নয়া মাইলফলক, চলতি অর্থবর্ষে ১০০ কোটি টন কয়লা উত্তোলন ভারতের

    Modi Government: মোদি জমানায় নয়া মাইলফলক, চলতি অর্থবর্ষে ১০০ কোটি টন কয়লা উত্তোলন ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা উত্তোলনে (Coal Production) নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল ভারত। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১০০ কোটি টন (এক লক্ষ কোটি কেজি) কয়লা উত্তোলনের মাইলফলক পেরিয়ে গেল। চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে নয়া কৃতিত্ব অর্জন করল দেশ। এ নিয়ে এক্স মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Government) লেখেন, ‘‘এটা একটা গর্বের মুহূর্ত প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে। আমরা এক বিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলনের মাইলফলক পার করেছি। এই সাফল্যে প্রতিফলিত হচ্ছে আমাদের দেশের শক্তি নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং আত্মনির্ভরতা।’’ এর পাশাপাশি এমন সাফল্য কয়লা ক্ষেত্রের সঙ্গে নিযুক্ত কর্মীদের কঠিন পরিশ্রমকেও প্রতিফলিত করছে বলে জানিয়েছেন মোদি।

    মোদি জমানায় (Modi Government) দেশের কয়লা উত্তোলন বেড়েই চলেছে

    অন্যদিকে এই মাইলফলক স্পর্শে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়বে আগামীদিনে। এর পাশাপাশি ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিও ঘটবে। প্রসঙ্গত, ভারতের কয়লা উত্তোলন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৮৯৩.১৯১ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন হয়েছিল। পরের বছরে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা পৌঁছে যায় ৯৯৭.৮৩ মিলিয়ন টনে। আর এবার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১ বিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলনের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল ভারত।

    ৩৫০ কয়লা খনিতে কাজ করেন ৫ লাখ শ্রমিক

    জানা গিয়েছে, দেশে বর্তমানে ৩৫০টি কয়লা খনি রয়েছে। ৫ লাখ শ্রমিক এই সমস্ত কয়লা খনিগুলিতে কাজ করেন। ইতিমধ্যে নিলামের মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলিও যাতে অংশ নিতে পারে, সে জন্য আইন সংশোধনও করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government)। শ্রমিকদের নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জেরেই কয়লা উত্তোলন বেড়েছে। উল্লেখ্য, দেশের ৭৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কয়লাকে ব্যবহার করে। ফলে কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধির ফলে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনও বেড়েছে।

  • Bangladesh Crisis: ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশে তুমুল শ্রমিক বিক্ষোভ, কাজের দাবিতে উত্তাল ঢাকা

    Bangladesh Crisis: ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশে তুমুল শ্রমিক বিক্ষোভ, কাজের দাবিতে উত্তাল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারখানা পুনরায় খোলার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাজধানী ঢাকায় শনিবার হাজার হাজার শ্রমিক একত্রিত হয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। দুই ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ থাকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। যার ফলে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। শ্রমিকদের দাবি ছিল, বার্ষিক ছুটি, বকেয়া বেতন এবং বোনাস দ্রুত প্রদান করতে হবে। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে অশান্ত বাংলাদেশে (Yunus Government) চলমান বিক্ষোভের ফলে একাধিক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই বিক্ষোভে অনেক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে অথবা গুরুতর আহত হয়েছে।

    রমজানে বাংলাদেশি জনগণের দুর্দশা

    বিক্ষোভের কারণ গাজীপুর জেলার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি “জায়ান্ট কনিট গার্মেন্ট” এর শ্রমিকরা ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তের পর বিক্ষোভ শুরু করেন। গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বার্ষিক ছুটি, বোনাস এবং বকেয়া পাওনা দাবি করে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা বন্ধের নোটিশ জারি করে। এই আবহে, ছুটি এবং বোনাস নিয়ে আলোচনা চললেও শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান হয়নি। রমজান মাসেই বাংলাদেশি জনগণের দুর্দশায় একজন বিক্ষোভকারী শ্রমিক বলেন, ‘‘আমরা পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছি। ঈদ চলে আসছে, কিন্তু আমাদের ছুটি এবং বোনাসের কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফ্যাক্টরি খোলা হোক এবং আমাদের পাওনা পরিশোধ করা হোক।’’ বেতন না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ এই সপ্তাহে, একদল শ্রমিক গাজীপুরের ভোগরা বাইপাসে ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের অভিযোগ, ৩০০-রও বেশি শ্রমিক বেতন পায়নি এবং কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন প্রদান না করার বৈধ কারণও জানায়নি।

    সাম্প্রতিক সময়ে বন্ধ নানা কারখানা

    সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) নানা প্রান্তে এক সপ্তাহে ১৫টি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ১৫টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা একটি ফ্যাক্টরি বন্ধের অভিযোগ এবং শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে অংশ নেয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) এর ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানের পর দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় সর্বোচ্চ নিম্ন-মজুরি কর্মীসহ দেশ।

    অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ

    ইউনূস সরকারের (Yunus Government) অধীনে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যে অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাড়তি বৈষম্যের কারণে কম আয়ের এবং অদক্ষ শ্রমিকদের খাদ্য ভোগ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, বাংলাদেশে বেতন না পাওয়া এবং শ্রমিকদের খারাপ কাজের পরিস্থিতির কারণে বিক্ষোভ এবং ধর্মঘটের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এই কয়েক মাসে শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিক্ষোভের সময় বহু শ্রমিকরা প্রাণ হারিয়েছে বা গুরুতর আহত হয়েছে।

    বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই নানা সঙ্কট

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সাম্প্রতিক ঘটনাবলি দেখে অনেক বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মডেল শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আমেরিকার সাহায্য বন্ধের কারণে বাংলাদেশের সমস্যা আরও বেড়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। অনেক শিল্প-কারখানাও স্থবির হয়ে পড়েছে। ভারতের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে ঝগড়া করতে গিয়েই নিঃশব্দে বিপদকে কাছে টেনে এনেছে ঢাকা। ভারতবন্ধু বলে পরিচিত হাসিনা সরকারের পতনে বাংলাদেশের মূলমন্ত্র ছিল ভারত-বিরোধিতা। সেই জন্য বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরও চলতে থাকে ক্রমাগত নির্যাতন। যার জেরে বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নতি ব্যহত হতে থাকে। ক্রমে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়তে থাকে।

    বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা

    সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাঙ্কের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জিডিপি প্রবৃদ্ধির নতুন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমে গিয়েছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। এমন পরিস্থিতি এবং নীতি অনিশ্চয়তার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধীর প্রবৃদ্ধি মোকাবিলা করছে। পদ্মাপাড়ে ক্রমেই বাড়ছে বেকারত্বের হার। মুদ্রাস্ফীতি চরমে উঠছে। বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। বদলের বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলাই বিদ্যমান।

  • Aurangzeb: ‘ভারতের আইকন নন ঔরঙ্গজেব, এমন প্রচারকে প্রতিহত করা দরকার’, বলল আরএসএস

    Aurangzeb: ‘ভারতের আইকন নন ঔরঙ্গজেব, এমন প্রচারকে প্রতিহত করা দরকার’, বলল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) সমাধি অপসারণের দাবিতে উত্তাল হয়েছে মহারাষ্ট্র। নাগপুরে ছড়িয়েছে হিংসা। এবার বেঙ্গালুরুতে আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় উঠে এল ঔরঙ্গজেব প্রসঙ্গ। আরএসএস (RSS) জানাল, ঔরঙ্গজেব কখনই একজন যোগ্য আইকন নন এবং যাঁরা এ ধরনের বিকৃত তথ্য দিচ্ছেন তাঁদের রোখা উচিত। রবিবারই বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তিনি বলেন, ‘‘১৯৪৭ সালে আমরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু মানসিকভাবে এখনও অনেক কিছুতে ঔপনিবেশিকতার ছাপ রয়ে গেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদেরকে বৌদ্ধিকভাবে স্বাধীন হতে হবে।’’

    প্রসঙ্গ ঔরঙ্গজেব (Aurangzeb)

    আরএসএসের (RSS) দত্তাত্রেয় হোসাবলের মতে, ‘‘যদি কোনও ব্যক্তি এমন একজন আক্রমণকারীর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে চায়, যিনি আমাদের জাতীয় নীতি এবং সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছিলেন, তাহলে তাঁকে আমরা আক্রমণকারী হিসেবেই দেখব। তিনি সমাজের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।’’ আরএসএস-এর নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে আরও বলেন, ‘‘ভারতে যাঁরা আক্রমণ করেছিলেন সেই সমস্ত মানসিকতার লোকেরাই ঔরঙ্গজেবকে (Aurangzeb) গৌরবান্বিত করে। কিন্তু কখনও তাঁকে একজন আইকন বলে মানা যায় না।’’

    ঔরঙ্গজেবের ভাইয়ের উদাহরণ দিলেন আরএসএস নেতা (RSS)

    রবিবার বেঙ্গালুরুতে আরএসএস-র প্রতিনিধি সভায় সাংবাদিকদের দত্তাত্রেয় হোসাবলে আরও বলেন, ‘‘ঔরঙ্গজেবকে (Aurangzeb) নিয়ে যাঁরা কথা বলছেন, তাঁরা তাঁর ভাই দারা শিকোহকে কখনও সামনে আনার চেষ্টা করেনি। কিন্তু তিনিই ছিলেন যিনি এই ভারতের নীতি-নৈতিকতাকে আঁকড়ে ধরেছিলেন।’’ এ প্রসঙ্গে দত্তাত্রেয় হোসাবলে উদাহরণ দেন ভগিনী নিবেদিতার। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের নীতি-নৈতিকতাকে কারা আঁকড়ে ধরবে, সেটা বিদেশি বা স্থানীয় হওয়ার বিষয় নয়! ভগিনী নিবেদিতা তিনি একজন খ্রিস্টান ছিলেন। তিনি এ দেশের নীতি-নৈতিকতাকে আঁকড়ে ধরেছিলেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গুরু গোবিন্দ সিংয়ের পুত্ররা শহিদ হয়েছিলেন। কারণ তাঁরা নিপীড়নের কাছে মাথা নত করতে চাননি। আমরা তাঁদের আত্মত্যাগ থেকে অনুপ্রেরণা পায়।’’ দত্তাত্রেয় আরও বলেন, ‘‘আমরা বলি যে আমরা সকলেই হিন্দু। এই দেশে জন্মগ্রহণকারীরা প্রত্যেকেই হিন্দু। কারণ তাঁদের পূর্বপুরুষরা হিন্দু ছিলেন।’’

  • Daily Horoscope 24 March 2025: কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 24 March 2025: কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুচক্রে পড়ে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সুবক্তা হিসাবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ।

    ৩) মোটামুটি কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) উপার্জন নিয়ে মনে প্রচুর ক্ষোভ থাকবে।

    ২) ভ্রাতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ২) সন্তানদের নিয়ে একটু চিন্তা থাকবে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়তি ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির প্রতি অনুগত থাকলে লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় নাক গলাতে যাবেন না।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 304: “ব্রহ্মা পাগল, বিষ্ণু পাগল, আর পাগল শিব, তিন পাগলে যুক্তি করে ভাঙল নবদ্বীপ”

    Ramakrishna 304: “ব্রহ্মা পাগল, বিষ্ণু পাগল, আর পাগল শিব, তিন পাগলে যুক্তি করে ভাঙল নবদ্বীপ”

    রামের বাটীতে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৮শে সেপ্টেম্বর

    মহাষ্টমীদিবসে রামের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণ

    বিজয়, কেদার, রাম, সুরেন্দ্র, চুনি, নরেন্দ্র, নিরঞ্জন, বাবুরাম, মাস্টার 

    এই হৃদিপদ্মে বসাইয়ে, মনোমানসে পূজিব ॥
    যদি বল কালী খেলে, কালের হাতে ঠেকা যাব।
    আমার ভয় কি তাতে, কালী ব’লে কালেরে কলা দেখাব ॥
    ডাকিনী যোগিনী দিয়ে, তরকারী বানায়ে খাব।
    মুণ্ডমালা কেড়ে নিয়ে অম্বল সম্বরা চড়াব ॥
    কালীর বেটা শ্রীরামপ্রসাদ, ভালমতে তাই জানাব।
    তাতে মন্ত্রের সাধন, শরীর পতন, যা হবার তাই ঘটাইব ॥

    “উন্মাদের মতন অবস্থা হয়েছিল। এই ব্যাকুলতা (Ramakrishna)!”

    নরেন্দ্র গান গাইতে লাগিলেন:

    আমায় দে মা পাগল করে, আর কাজ নাই জ্ঞানবিচারে।

    গান শুনিতে শুনিতে ঠাকুর আবার সমাধিস্থ।

    সমাধিভঙ্গের পর ঠাকুর গিরিরানীর ভাব আরোপ করিয়া আগমনী গাইতেছেন। গিরিরানী বলছেন, পুরবাসীরে! আমার কি উমা এসেছে? ঠাকুর প্রেমোন্মত্ত হইয়া গান গাইতেছেন।

    গানের পর ঠাকুর ভক্তদের বলিতেছেন (Kathamrita), “আজ মহাষ্টমী কিনা; মা এসেছেন! তাই এত উদ্দীপন হচ্ছে!”

    কেদার—প্রভু! আপনিই এসেছেন। মা কি আপনি ছাড়া?

    ঠাকুর (Ramakrishna) অন্যদিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়া আনমনে গান ধরিলেন:

    তারে কই পেলুম সই, হলাম যার জন্য পাগল।
    ব্রহ্মা পাগল, বিষ্ণু পাগল, আর পাগল শিব।
    তিন পাগলে যুক্তি করে ভাঙল নবদ্বীপ ॥
    আর এক পাগল দেখে এলাম বৃন্দাবন মাঝে।
    রাইকে রাজা সাজায়ে আপনি কোটাল সাজে ॥
    আর এক পাগল দেখে এলাম নবদ্বীপের পথে।
    রাধাপ্রেম সুধা বলে, করোয়া কীস্তি হাতে।

    আবার ভাবে মত্ত হইয়া ঠাকুর গাহিতেছেন:

    কখন কি রঙ্গে থাক মা শ্যামা সুধাতরঙ্গিণী!

    ঠাকুর গান করিতেছেন। হঠাৎ “হরিবোল হরিবোল” (বলিতে Kathamrita) বলিতে বিজয় দণ্ডায়মান। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভাবোন্মত্ত হইয়া বিজয়াদি ভক্তসঙ্গে নৃত্য করিতে লাগিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও সনাতনী মমতাকে ভোট দিতে পারে না’’, হলদিয়ায় তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও সনাতনী মমতাকে ভোট দিতে পারে না’’, হলদিয়ায় তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবদল করেছেন বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। এই আবহে হলদিয়াতে গিয়ে হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘কোনও সনাতনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে পারে না, পারে না, পারে না….সরস্বতী পুজো, মহকুম্ভকে মৃত্যু কুম্ভ বলার পর কেউ ভোট দেবে না। মানুষ প্রস্তুত এই রাজ্য মোদীজির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।’’ শুভেন্দ অধিকারী বলেন, ‘‘ক্ষমতায় এলে বিজেপি মায়েদের ৩০০০ টাকা দেবে। যার মধ্যে ২০০ ইউনিট বিদ্যুত ফ্রি। এক লক্ষ টাকার নয় বরং তিন লক্ষের বাড়ি দেবে। প্রতিবছর এসএসসি হবে, সব জেলাতেই প্রাইমারি পরীক্ষা হবে। হাতে পায়ে ধরে টাটাকে ফিরিয়ে আনা হবে।’’

    এই বাংলাও বাংলাদেশ হবে

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কণ্ঠে এদিন উঠে আসে বাংলাদেশ ইস্যু। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। এখনও যদি ঐক্যবদ্ধ না হন তাহলে এই বাংলাও বাংলাদেশ হবে। ২৬-এ যদি তৃণমূল যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের লোভ দেখিয়ে, মুসলিমদের জুটিয়ে আমাদের কিছু হিন্দুকে এদিক-ওদিক করে জিতে যায়। তাহলে একই অবস্থা এই অবস্থা হবে। জাত-পাত-রাজনীতি দূরে সরিয়ে রাখো।’’

    ঝাঁটা গেছে একেও ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে

    মমতাকে তো দেগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘অরবিন্দ কেজরিবাল যেমন দিল্লিতে একটার সঙ্গে একটা মদ ফ্রি করেন। তেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারের লাইসেন্স দিয়ে মদময় করেছেন মমতা। মদের প্রভাব যদি কারও উপর পড়ে তাহলে নারীদের উপর। ঝাঁটা গেছে একেও ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। আমরা পুরো সাংগঠনিক জেলা ডাকিনি (Haldia)। আজ প্রচুর মানুষ এসেছেন। সবাই একাট্টা হয়েছেন।’’

    শুধু বাড়ি থেকে বের হবেন

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,‘‘২০১৯-এ ভোট পড়েছে ৬১ শতাংশ। এবার পড়েছে ৬৬ শতাংশ। দিল্লিতে ১০ শতাংশ লোক বাড়তি বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। তাতেই ঝাঁটা সাফ। শুধু বাড়ি থেকে বেরবেন। তারপর কী করতে হয় আপনারা জানেন। আমার বলার দরকার নেই। শুধু ডায়মন্ড হারবারেই ১০ লক্ষ ছাপ্পা আছে। কেশপুরেও ছাপ্পা আছে। এখানেও আছে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছাপ্পা আছে। এখানে অভিজিৎবাবুকে ঢুকতে দেয়নি। একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক।’’

  • Sambhal: ২০২৪ সালের নভেম্বরে সম্ভল হিংসা, গ্রেফতার মসজিদ কমিটির সভাপতি জাফর আলি

    Sambhal: ২০২৪ সালের নভেম্বরে সম্ভল হিংসা, গ্রেফতার মসজিদ কমিটির সভাপতি জাফর আলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুঘল জমানার তৈরি মসজিদের সমীক্ষার কাজকে কেন্দ্র করে গত বছরে ব্যাপক হিংসা ছড়ায় উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে (Sambhal)। গত ২৪ নভেম্বর অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের এই অঞ্চল। জনতা-পুলিস সংঘর্ষে কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। প্রচুর পুলিশ কর্মী জখম হন এই ঘটনায়। এবার এই হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে জামা মসজিদ কমিটির সভাপতি আইনজীবী জাফর আলিকে (Zafar Ali) গ্রেফতার করল যোগী রাজ্যের পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, সেদিনের হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যে তাদের হাতে বেশ কিছু প্রমাণ এসেছে। তা থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে সেদিনের হিংসায় তাঁর মদতের বিষয়টি স্পষ্ট। মসজিদ কমিটির সভাপতি জাফর আলি গোটা ঘটনায় অন্যতম চক্রী বলে প্রশাসনের দাবি।

    আগে জাফর আলির জবানবন্দিও নেওয়া হয় (Sambhal)

    জানা গিয়েছে, গত বছরের ২৪ নভেম্বরের হিংসার ঘটনার তদন্তে এর আগেও জাফর আলিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে স্থানীয় পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। সেসময় জাফর আলির জবানবন্দিও নেওয়া হয় যোগী পুলিশের তরফে। এবার সেই ঘটনার ৪ মাসের মাথায় তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশেই উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে জামা মসজিদে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়। তবে আদালতের নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার করে ভিড় জমা হয়, সমীক্ষার বিপক্ষে। এরপরে সমীক্ষায় এসে আক্রান্ত হতে হয় প্রশাসনকে (Sambhal)। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকায় সরকারি সমীক্ষার দিনক্ষণ প্রথম থেকেই জানতেন বেশ কিছুজন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম জাফর আলি।

    সমীক্ষার বিষয়টি তিনি আগেভাগে এলাকার লোকজনকে জানিয়েছিলেন

    জানা গিয়েছে, ১৯ নভেম্বর সমীক্ষার বিষয়টি তিনি আগেভাগে এলাকার লোকজনকে জানিয়েছিলেন (Sambhal)। এই কারণেই সেদিনও অনেক লোক জড়ো হয়ে যান। এরপরে ২৪ নভেম্বরে কাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। সমীক্ষার কথা প্রথম থেকে জানা ছিল তাঁর। সেই খবর চাউর হওয়ায় বিপুল সংখ্যক লোক জমা হয়েছিল এবং তা থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে সম্ভলে।

  • RSS: শতবর্ষে আরএসএস, ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে সারাদেশে ১ লাখ শাখা চালানোর লক্ষ্যমাত্রা

    RSS: শতবর্ষে আরএসএস, ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে সারাদেশে ১ লাখ শাখা চালানোর লক্ষ্যমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ছিল বেঙ্গালুরুতে আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার (ABPS 2025) তৃতীয় দিন। এদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তাঁর পাশে উপস্থিত ছিলেন আরএসএসের সর্ব ভারতীয় প্রচার প্রমুখ শ্রী সুনীল আম্বেকর। এই বৈঠকে দত্তাত্রেয় হোসাবলে জানান যে রবিবার শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে দেশের জন্য শহিদ হওয়া তিন বীরের উদ্দেশে। এঁরা হলেন ভগৎ সিং, সুখদেব এবং রাজগুরু।

    ২ অক্টোবর সারাদেশে চলবে একলাখ শাখা

    চলতি বছরে ২ অক্টোবর পড়েছে বিজয়া দশমীর তিথি। প্রসঙ্গত, বিজয়া দশমীই হচ্ছে আরএসএস-এর (RSS) প্রতিষ্ঠা তিথি। ওই দিন সারা দেশে এক লাখ শাখা চলবে বলে জানিয়েছেন আরএসএস-র দত্তাত্রেয়। স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশে ওই দিন বার্তা দেবেন সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। শতবর্ষের আবহে প্রতিটা মণ্ডল স্তরে সামাজিক সম্মেলন এবং হিন্দু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি সামাজিক শ্রদ্ধা বৈঠকও অনুষ্ঠিত করবে আরএসএস। সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সম্মেলনও করবে আরএসএস। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত দেশে শাখা বিস্তারের কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।

    প্রত্যাশিত কর্মী কত ছিলেন? তারমধ্যে কত হাজির হলেন?

    এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে দত্তাত্রেয় বলেন, ‘‘অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় মোট প্রত্যাশিত প্রতিনিধি ছিলেন ১,৪৮২ জন। এঁদের মধ্যে হাজির হয়েছেন ১,৪৪৩ জন। অর্থাৎ মোট উপস্থিত হয়েছেন ৯৩.৭ শতাংশ। প্রতিনিধি সভায় সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্বয়ংসেবকরা হাজির হয়েছেন। স্বয়ংসেবরা এসেছেন মণিপুর, জম্মু কাশ্মীর ও কন্যাকুমারী থেকেও। আগত প্রতিনিধিরা সংঘের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।’’

    দেশের প্রতি কাজ মন্থন করবে আরএসএস (RSS)

    সংঘের শতবর্ষ নিয়ে দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, ‘‘আরএসএস (RSS) কখনও তার রজত জয়ন্তী অথবা স্বর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেনি। আরএসএস সর্বদাই মননিবেশ করেছে তার কাজের প্রতি। কিন্তু চলতি বছরের সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে। এই উপলক্ষে আমাদের কাছে একটা সুযোগ রয়েছে যে আমরা মন্থন করব দেশের জন্য আমরা কী কী করতে পারলাম।’’

    বিশ্ব কল্যাণের কাজে লেগে রয়েছে আরএসএস

    তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রাচীন সময় ধরেই হিন্দু সমাজ সামাজিক ঐক্য মানুষে-মানুষে বন্ধন এবং বিশ্ব কল্যাণের কাজে লেগে রয়েছে। সাধু মহাত্মাদের আশীর্বাদেই হিন্দু সমাজ এগিয়ে চলেছে। দেশের সমৃদ্ধি হয়েছে। ১৯২৫ সালের ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে স্থাপন করেছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। তিনি চেয়েছিলেন যে জাতির জীবন থেকে দুর্বলতা চিহ্নগুলি মুছে যাক। ভারত আবারও পরম বৈভাবশালী রাষ্ট্রে পরিণত হোক।’’

  • Mahmud Abbas: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের

    Mahmud Abbas: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে (Hamas) অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের (Mahmud Abbas)। শনিবার আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন তাদের ইসলামিস্ট প্রতিদ্বন্দ্বী হামাসকে গাজা উপত্যকায় প্যালেস্তাইনিদের অস্তিত্ব রক্ষায় ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ফাতাহ মুখপাত্র মুনথের আল-হায়েক গাজা থেকে এক বার্তায় বলেন, “হামাসকে গাজা, এর শিশু, নারী ও পুরুষদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে।”

    ফাতাহ মুখপাত্রের অনুরোধ (Mahmud Abbas)

    তিনি হামাসকে শাসন থেকে সরে দাঁড়াতে এবং সম্পূর্ণভাবে স্বীকার করতে বলেছেন যে যদি তারা গাজায় ক্ষমতায় থাকে তাহলে আগামী লড়াইয়ে প্যালেস্তাইনিদের অস্তিত্বের অবসান ঘটবে। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে হামাস ফাতাহ-নিয়ন্ত্রিত প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গাজার ক্ষমতা দখল করে। পরবর্তী কালে একাধিকবার সমঝোতার চেষ্টা হলেও, তা ব্যর্থ হয়।

    প্রতিশোধ নিতে গাজায় হামলা

    ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও অন্যান্য প্যালেস্তাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলা চালায় ইজরায়েলে। এরই প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় হামাসের ডেরায় হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। তার জেরে বিধ্বস্ত হয়েছে গাজা উপত্যকা। হামাস বারবার বলেছে, যুদ্ধ শেষ হলে তারা গাজায় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। যদিও অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি নয় তারা (Mahmud Abbas)।

    হামাস মুখপাত্র আব্দুল লতিফ আল-কানু শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা প্রশাসন সংক্রান্ত যে কোনও চুক্তি মেনে নিতে প্রস্তুত, যদিও চুক্তিতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী নই।” তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, হামাস যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পরিচালনা ও পুনর্গঠন তদারকির জন্য পেশাদার ও প্রযুক্তিবিদদের একটি স্বাধীন কমিটি গঠনে মিশরের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে।

    আব্বাস বলেন, ওই কমিটিকে রামাল্লাভিত্তিক প্যালেস্তাইন অথরিটিকে রিপোর্ট করতে হবে, যা তাঁর মতে গাজা শাসনের একমাত্র বৈধ সত্তা, কিন্তু ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এটি প্রত্যাখ্যান করেছে। উল্লেখ্য যে, গাজা যুদ্ধে ১৯ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মতবিরোধের পর, ইজরায়েল মঙ্গলবার ফের বিমান হানা শুরু (Hamas) করে। তার পরের দিন শুরু হয় স্থল অভিযান (Mahmud Abbas)।

LinkedIn
Share