Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 286: “যাই ধুলো পড়ে দিলে, অমনি হাতিটা ধড়মড় করে উঠে পড়ল, সাধুটি বললে, ‘আপনার কি শক্তি!”

    Ramakrishna 286: “যাই ধুলো পড়ে দিলে, অমনি হাতিটা ধড়মড় করে উঠে পড়ল, সাধুটি বললে, ‘আপনার কি শক্তি!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে ও কলিকাতায় চৈতন্যলীলা-দর্শন

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২১শে সেপ্টেম্বর

    ন্যাংটাবাবার শিক্ষা—ঈশ্বরলাভের বিঘ্ন অষ্টসিদ্ধি

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সিদ্ধাই থাকা এক মহাগোল। ন্যাংটা আমায় শিখালে—একজন সিদ্ধ সমুদ্রের ধারে বসে আছে, এমন সময় একটা ঝড় এল। ঝড়ে তার কষ্ট হল বলে সে বললে, ঝড় থেমে যা। তার বাক্য মিথ্যা হবার নয়। একখানা জাহাজ পালভরে যাচ্ছিল। ঝড় হঠাৎ থামাও যা আর জাহাজ টুপ করে ডুবে গেল। এক জাহাজ লোক সেই সঙ্গে ডুবে গেলো। এখন এতগুলি লোক যাওয়াতে যে পাপ হল, সব ওর হলো। সেই পাপে সিদ্ধাইও (Kathamrita) গেল, আবার নরকও হলো।

    “একটি সাধুর খুব সিদ্ধাই হয়েছিল, আর সেই জন্য অহংকারও হয়েছিল। কিন্তু সাধুটি লোক ভাল ছিল, আর তার তপস্যাও ছিল। ভগবান ছদ্মবেশে সাধুর বেশ ধরে একদিন তার কাছে এলেন। এসে বললেন, ‘মহারাজ (Ramakrishna)! শুনেছি আপনার খুব সিদ্ধাই হয়েছে’। সাধু খাতির করে তাঁকে বসালেন। এমন সময়ে একটা হাতি সেখান দিয়ে যাচ্ছে। তখন নূতন সাধুটি বললেন, ‘আচ্ছা মহারাজ, আপনি মনে করলে এই হাতিটাকে মেরে ফেলতে পারেন?’ সাধু বললেন, ‘য়্যাসা হোনে শক্তা’। এই বলে ধুলো পড়ে হাতিটার গায়ে দেওয়াতে সে ছটফট করে মরে গেল। তখন যে সাধুটি এসেছে, সে বললে, ‘আপনার কি শক্তি! হাতিটাকে মেরে ফেললেন।’ সে হাসতে লাগল। তখন ও সাধুটি বললে (Kathamrita), ‘আচ্ছা, হাতিটাকে আবার বাঁচাতে পারেন?’ সে বললে, ‘ওভি হোনে শক্তা হ্যায়।’ এই বলে আবার যাই ধুলো পড়ে দিলে, অমনি হাতিটা ধড়মড় করে উঠে পড়ল। তখন এ-সাধুটি বললে, ‘আপনার কি শক্তি! কিন্তু একটা কথা জিজ্ঞাসা করি। এই যে হাতি মারলেন, আর হাতি বাঁচালেন, আপনার কি হল? নিজের কি উন্নতি হল? এতে কি আপনি ভগবানকে (Ramakrishna) পেলেন?’ এই বলিয়া সাধুটি অন্তর্ধান হলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Excess salt: নুনেই রয়েছে বিপদ! অতিরিক্ত নুন খেলে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ে?

    Excess salt: নুনেই রয়েছে বিপদ! অতিরিক্ত নুন খেলে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দুপুরে হোক বা রাতে, ভাতের পাতে এক চামচ নুন (Excess salt) না নিলে অনেকেরই খাওয়া ঠিকমতো হয় না। আবার অনেকের পেয়ারা হোক বা কুল, নানান রকম ফলেও নুন মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস। আর তার জেরেই বাড়ে নানান রোগের দাপট। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনে দেড় চামচের বেশি পরিমাণ নুন খেলেই নানান জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে‌। বিভিন্ন রান্নায় নুন দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও অনেকেই অতিরিক্ত নুন খান। আর এই অভ্যাস বিপজ্জনক। দেখে নিন, অতিরিক্ত নুন থেকে কী কী রোগ হতে পারে?

    উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায় (Excess salt) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নুনে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। তাই নিয়মিত অতিরিক্ত নুন খেলে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ শরীরে একাধিক রোগের কারণ তৈরি করে। হৃদপিণ্ড, কিডনি এবং স্নায়ুর নানান জটিল রোগের কারণ উচ্চ রক্তচাপ। তাই অতিরিক্ত নুন খাওয়া খুবই বিপজ্জনক।

    হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ায়

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, লাগাতার রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে এবং উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বেড়ে গেলে হৃদযন্ত্রের উপরে চাপ পড়ে‌‌। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই হৃদরোগ এড়াতে নুন (Excess salt) খাওয়ায় রাশ টানা জরুরি।

    লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নুন পেটের পক্ষেও বিপজ্জনক হতে পারে। অতিরিক্ত নুন খেলে অন্ত্র এবং লিভারের ক্ষতি হয়। এর কারণ নুনের সোডিয়াম। এই উপাদান অতিরিক্ত হলে লিভারে অনেক সময়েই গভীর ক্ষতি সৃষ্টি করে। তাই বেশি পরিমাণ নুন খেলে পেটের নানান সমস্যা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    অনিদ্রার সমস্যা বাড়িয়ে দেয় (Excess salt) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নুন হরমোনের ভারসাম্যেও সমস্যা তৈরি করে। অতিরিক্ত নুন খেলে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়। একটানা ঘুম না হওয়া, রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এর থেকেই অনিদ্রার মতো‌ সমস্যা তৈরি হয়। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

    হাত-পা ফুলে যাওয়ার ঝুঁকি

    পায়ের পাতা কিংবা হাত ফুলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় নুন (Excess salt)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত নুন খেলে শরীরে আয়োডিন, সোডিয়াম সহ একাধিক উপাদানের তারতম্য ঘটে। এর ফলে হাত ও পায়ের বিভিন্ন পেশিতে প্রভাব পড়ে। শরীর ফুলে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাড়ির তৈরি রান্নায় পরিমাণ মতো নুন (Excess salt) দেওয়া হয়। তাই বাড়তি নুন খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তেই হবে। শরীর সুস্থ রাখতে এই অভ্যাস পরিবর্তন জরুরি। তাছাড়া পেয়ারা, জাম, কুলের মতো ফল নুন মাখিয়ে খেলে তার পুষ্টিগুণ একেবারেই চলে যায়। বরং শরীরের জন্য তা ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। তাই নুন মাখিয়ে ফল খাওয়ার অভ্যাস বিপজ্জনক। পাশপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পিৎজা, বার্গার, সসেজের মতো খাবারে যে ধরনের মাংস ব্যবহার করা হয়, সেগুলো প্রক্রিয়াজাত। এই মাংসের মান ও স্বাদ ধরে রাখতে অতিরিক্ত নুন দেওয়া হয়। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক (Disease)। তাই এই ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার ও এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Omar Abdullah: বিজেপি এবং মোদির সঙ্গে দূরত্ব কমছে ভূস্বর্গের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার!

    Omar Abdullah: বিজেপি এবং মোদির সঙ্গে দূরত্ব কমছে ভূস্বর্গের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দূরত্ব কমছে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার (Omar Abdullah)! অন্তত ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত এমনই। এর আগে প্রায়ই তিনি জম্মু-কাশ্মীর ধ্বংস করার জন্য দায়ী করেছিলেন বিজেপিকে। সেই তিনিই এখন বদলাচ্ছেন ভোল।

    ৩৭০ ধারা রদ (Omar Abdullah)

    ২০১৯ সালে ভূস্বর্গ থেকে বাতিল হয়ে যায় ৩৭০ ধারা। তার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে যাঁরা সব চেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন ওমর-ও। মুসলমান অধ্যুষিত উপত্যকায় উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্যও তিনি বিভিন্ন সময় দুষেছিলেন পদ্ম-পার্টিকে। বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ তুলেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের আশা-আকাঙ্খা উপেক্ষা করারও। লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘সংকল্পপত্র’ (ইশতেহার) প্রকাশ করেছিল বিজেপি। তাকে কটাক্ষ করে ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতা বলেছিলেন, “এটি জম্মু-কাশ্মীর ধ্বংসের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে।”

    ওমরের মুখে মোদি প্রশস্তি!

    তবে জম্মু-কাশ্মীরের (Omar Abdullah) মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বিবৃতি ও কার্যকলাপ তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানে লক্ষণীয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাস পরেই ওমর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য। গত ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী যখন ২৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সোনমার্গ টানেলের উদ্বোধন করেন, তখনও মোদি-প্রশস্তি শোনা গিয়েছিল ওমরের মুখে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, নির্বাচন জয়ের পরপরই ওমর প্রকাশ্যে স্বীকার করেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীর সরকারের প্রয়োজন “কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখা।” তিনি এও স্বীকার করেছিলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক সমস্যার সমাধান কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করে সম্ভব নয়।”

    ওমরের বাবা তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি, ফারুক আবদুল্লা সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করতে পারে না।” ওমরের এই ‘বিজেপি-প্রীতি’ ভালো চোখে দেখছেন না জম্মু-কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্সের নেতা তথা বিধায়ক সাজ্জাদ লোন। ওমরের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। লোন বলেন, “নির্বাচনী প্রচারের সময় সবই ছিল ৩৭০ ধারা সংক্রান্ত এবং কীভাবে অন্য সবাই বিজেপির (PM Modi) সঙ্গে রয়েছে, সেই প্রশ্ন। আর এখন আদর্শগত মিল। কী বিশাল পতন (Omar Abdullah)!”

  • Jadavpur University Incident: হিন্দু ভোট ভাগ করতেই যাদবপুরকাণ্ড! ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি

    Jadavpur University Incident: হিন্দু ভোট ভাগ করতেই যাদবপুরকাণ্ড! ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরকাণ্ডের (Jadavpur University Incident) নেপথ্যে রয়েছে ঘোর ষড়যন্ত্র। অন্তত এমনই মনে করে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপিকে রুখতে ঘুরিয়ে সিপিএমের হাত শক্ত করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

    পুরোটা ড্রামা! (Jadavpur University Incident)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা (যাদবপুরকাণ্ড) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরোটা ড্রামা হতে পারে।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে এসএফআইকে প্রাসঙ্গিক করতে চাইছেন, মানে সিপিএমকে প্রাসঙ্গিক করতে চাইছেন।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের চিত্র দেখার পরে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরাও বুঝতে পেরেছেন আগামীদিনে বাংলাদেশ পার্ট-টু তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে। হিন্দু ভোট ভাগ করতে হবে। হিন্দু ভোট যদি সব বিজেপি পেয়ে যায়, আর চার পার্সেন্ট পেয়ে গেলেই তো বিজেপি সরকারে চলে আসবে।”

    হিন্দু ভোট ভাগ করার কৌশল!

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “আসলে হিন্দু ভোট ভাগ করার জন্য সিপিএমকে তোলা হচ্ছে। এখন তৃণমূল-এসএফআই সংঘর্ষ হবে। সিপিএম নেতাদের ওপর হামলা হবে। সিপিএম পার্টি অফিসে হামলা হবে। যখনই হামলা হয়, তার মানে আপনি প্রাসঙ্গিক হন। এখন সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্টো হামলা করে সিপিএমকে প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা চলছে।” তিনি বলেন, “সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানেই তৃণমূলকে সাহায্য করা।”

    নয়া আইপ্যাকের হাত থাকতে পারে

    যাদবপুরকাণ্ডে নয়া আইপ্যাকের হাত থাকতে পারে বলেও (Jadavpur University Incident) আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন (BJP) সুকান্ত। তিনি বলেন, “যাদবপুরের ঘটনা নতুন যে আইপ্যাক হয়েছে, তার প্ল্যান হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরোটাই ড্রামা হতে পারে। আইপ্যাক এর আগে এমন বহু কাজ করেছে।” সুকান্ত বলেন, “যারা ভোটে জেতার জন্য নিম্ন রুচির পরিচয় দিতে পারে, তারা এই ধরনের কাজ করতেই পারে। লোকসভা নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধেই আইপ্যাক লিফলেট বিলি করেছিল। আমি ভোটে হার স্বীকার করে নিচ্ছি এই সব বলে লিফলেট বিলি করেছিল আইপ্যাক।”

    কি বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বদলে যাবে, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়ান্ট কিলার (বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোয় এই খেতাব জোটে) শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টায় নকশালমুক্ত করা হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে।” তিনি বলেন, “জনগণ পুলিশটাকে বিজেপির হাতে দিয়ে দিক, আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি সোজা হয়ে গিয়েছে। জেএনইউ অনেকটা সোজা হয়ে গিয়েছে। এটা করতেও বেশিক্ষণ লাগবে না।” তিনি বলেন, “যোগীজি, হিমন্ত বিশ্বশর্মার ফরমুলায় এক ঘণ্টা লাগবে এদের সোজা করতে।”

    বিজেপিকে ওঝার সঙ্গে তুলনা

    বিজেপিকে ওঝার সঙ্গে তুলনা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, পদ্ম-পার্টি দেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নকশালদের তাড়িয়েছে। বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “এরকম অনেক নকশালপন্থী সংগঠন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় রয়েছে। এরা ভারতের সংবিধান মানে না। ভারতের বর্তমান কাঠামোকে মানে না। এদের তো জিইয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস।” এর পরেই সুকান্ত বলেন, “২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তার পরে আর এরা বেঁচে থাকবে না।” তিনিও বলেন (Jadavpur University Incident), দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এদের বিদায় করেছি, ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি এক সময় এই নকশালদের গড় ছিল। এখন আর তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।” তিনি বলেন, “বিজেপি হচ্ছে এদের ওঝা (BJP)।”

    প্রসঙ্গত, শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। অভিযোগ, এর পরে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ছাত্রদের ধাক্কা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট ডেকেছিল এসএফআই এবং ডিএসও।

    তৃতীয় পক্ষে’র হাত!

    যাদবপুরের ঘটনায় ‘তৃতীয় পক্ষে’র হাত দেখছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তাঁর বক্তব্যেই এমন ইঙ্গিত মিলেছে। ব্রাত্য বলেন, “গুন্ডামি করতে চেয়েছিল এক দল।” তিনি বলেন, “ওঁরা ঘেরাও করতে চাইছিলেন, তাতে অসুবিধা ছিল না। তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের মারধর, তৃণমূলের মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর, এগুলো হতেই পারে?” এর পরেই তিনি বলেন, “রাজনৈতিকভাবে দুর্বল ভাববেন না। আমরা রাজনৈতিকভাবেই লড়তে চাই।” তবে ভাঙচুরের ঘটনা সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই ঘটায়নি বলেও জানান তিনি। বিজেপির একাংশের দাবি, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যই বাম ও তৃণমূলের বোঝাপড়ার তত্ত্ব খাড়া করছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বাংলার মানুষ শুধু আমাদের হাতে পুলিশটা তুলে দিক। সেকু-মাকু, ওই দুটোকেই উপড়ে ফেলে দেব (BJP)! এর ঘণ্টা লাগবে (Jadavpur University Incident)।”

  • Viksit Bharat: “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত হবে উচ্চ আয়ের দেশ”, বললেন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান

    Viksit Bharat: “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত হবে উচ্চ আয়ের দেশ”, বললেন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তি হবে ২০৪৭ সালে। সেই সময় দেশকে বিকশিত ভারত (Viksit Bharat) হিসেবেই দেখার স্বপ্ন দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই লক্ষ্য পূরণে নিরন্তর কাজও করে চলেছেন তিনি। তাঁর সেই স্বপ্ন যে নিছক স্বপ্ন নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গেল ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগাড়িয়ার (Arvind Panagariya) কথায়। নয়াদিল্লিতে ৪৯তম সিভিল অ্যাকাউন্টস ডে উদযাপনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

    পানাগাড়িয়ার বক্তব্য (Viksit Bharat)

    সেখানেই পানাগাড়িয়া বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত উন্নত জাতির মর্যাদা অর্জনের পথে সুপ্রতিষ্ঠিত।” তিনি সেই বৃদ্ধির পথের কথা উল্লেখ করেন যা ভারতকে আগামী দশকে ৯.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে। তিনি জানান, ২০০৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত বর্তমান মূল্যে মার্কিন ডলারের হিসেবে গড়ে ১০.১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই গতি বজায় থাকলে, ভারতের অর্থনীতি আগামী দশ বছরে ৯.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। তিনি ম্যাক্রোইকোনমিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক শাসনকে এই বৃদ্ধির গতি বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেন।

    গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    ভারতের অর্থনৈতিক (Viksit Bharat) যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হল ২০৪৭ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১৪,০০০ মার্কিন ডলারে পৌঁছানো। বর্তমানে ভারতের মাথাপিছু আয় ২,৫৭০ মার্কিন ডলার। পানাগাড়িয়ার মতে, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন বার্ষিক ৭.৩ শতাংশ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার। তিনি বলেন, “২০২৩ সালের ডলারের মূল্যে, ভারতকে উচ্চ আয়ের মর্যাদা অর্জনের জন্য ১৪,০০০ ডলারের মাথাপিছু আয় দরকার। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থাকলে, এই লক্ষ্য পূরণ করাও সম্ভব।”

    ভারতের অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা সমর্থনকারী গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির একটি হল নিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা বৃদ্ধি। পানাগাড়িয়া বলেন, “২০৪৭ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বছরে মাত্র ০.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে, যা অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।” তিনি বলেন, “বিকশিত ভারত অভিযানের সম্ভাবনাগুলি তাই বাস্তবায়নযোগ্য থাকে।” ভারতের সামাজিক অগ্রগতির (Arvind Panagariya) ওপর জোর দিয়ে পানাগাড়িয়া বলেন, “দেশে দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, সে পরিমাপের পদ্ধতি যাই হোক না কেন (Viksit Bharat)।”

  • Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছিল। পথ খোলা ছিল দুটো – হয় পথ বদল, নয় পদত্যাগ। শেষ পর্যন্ত এই দুই বিকল্পের মধ্যে প্ল্যান এ-টাই বেছে নিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ব্রিটেন থেকে রবিবার তিনি (Zelenskyy) জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি আছেন তিনি।

    বৈঠক করতেও আপত্তি নেই (Ukraine)

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এও জানিয়েছেন, আমেরিকা যদি তাঁকে আবারও ডাকে, তাহলে ফের তিনি সেখানে যেতে প্রস্তুত। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠক করতেও আপত্তি নেই তাঁর। এই সব কিছুর পরেও অবশ্য ছোট্ট একটা শর্তও দিয়ে রেখেছেন জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কথাও শুনতে হবে। বিবেচনা করতে হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থাও। আমেরিকার সঙ্গে খনিজসম্পদ সংক্রান্ত চুক্তিকে তিনি বর্ণনা করেছেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম ধাপ হিসেবে। এক্স হ্যান্ডেলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “আমরা খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। এবং এটি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম পদক্ষেপ। তবে এটি যথেষ্ট নয়, আমাদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন।”

    ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক

    তিনি লিখেছেন, “নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক। আমরা তিন বছর ধরে যুদ্ধ করছি, এবং ইউক্রেনের জনগণের জানা প্রয়োজন যে আমেরিকা আমাদের পাশে আছে।” সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জেলেনস্কি। তাতে বলেছেন, “আমরা ইউরোপ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। একটি বিষয়ে সকলেই একমত, সকলেই শান্তি চায়। সেই কারণেই আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার। এটাই ইউরোপের অবস্থান। অবশ্যই আমরা আমেরিকাকেও গুরুত্ব দিই। ওদের কাছ থেকে আমরা অনেক সাহায্য পেয়েছি। তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ইউক্রেনের প্রতিরোধ পুরোটাই তার বন্ধু দেশগুলির সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। যে সাহায্য তারা করছে ইউক্রেন এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে। আমরা শান্তি চাই। বিরামহীন যুদ্ধ চাই না। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এই শান্তির চাবিকাঠি।”

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য

    রবিবার লন্ডনে আয়োজিত ইউরোপীয় রাষ্ট্রনেতাদের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও। সেখানে তিনি জানান, ওয়াশিংটনের বৈঠকে যা ঘটেছে, তা থেকে আমেরিকা কিংবা ইউক্রেনের কোনও লাভ হবে না। লাভ হবে রাশিয়ার। এর পরেই জেলেনস্কি বলেন, “আমাকে যদি ডাকা হয়, আমি আবার আমেরিকায় যাব। খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে এখনও আমি প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের কথাও শুনতে হবে।” ইউক্রেনের জমির মালিকানা নিয়ে তিনি যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনও (Zelenskyy) সমঝোতার পথে হাঁটবেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

    হোয়াইট হাউসে বিতণ্ডা

    প্রসঙ্গত, খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্যেই হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট। সেখানে ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। বৈঠকে তিনজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। যার জেরে বাতিল হয়ে যায় চুক্তি। মিনিট চল্লিশের ওই বৈঠক শেষেই মধ্যাহ্নভোজ না করেই হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা থেকে জেলেনস্কি সোজা চলে যান ব্রিটেনে। সেখানে তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে। পরে লন্ডনে একটি সম্মেলনেও যোগ দেন তিনি। তার পরেই জানান, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে তিনি এখনও প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেন, “আমি শুধু চাই, ইউক্রেনের অবস্থার কথাটাও শোনা হোক। বিবেচনা করা হোক। আমাদের বন্ধু দেশগুলি মনে রাখুক, এই যুদ্ধে মূল আগ্রাসী কারা, কারাই বা আগে যুদ্ধ শুরু করেছিল।”

    সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর

    আমেরিকা-ইউক্রেন (Ukraine) সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে তুলনা করে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ জেলেনস্কির আচরণকে ‘অত্যন্ত অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, চার্চিল “একটি বিশেষ মুহূর্তের নেতা ছিলেন, কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডকে পরবর্তী পর্বে রূপান্তর করতে পারেননি। বিশেষ করে শুক্রবার যা দেখলাম, তার পরে এটা পরিষ্কার নয় যে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনকে এই যুদ্ধের সমাপ্তির দিকে নিয়ে যেতে এবং আলোচনা করে আপস করতে প্রস্তুত কিনা।” ওয়াল্টজ বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য ইউক্রেন থেকে আঞ্চলিক ছাড়ের পাশাপাশি নিরাপত্তা গ্যারান্টিতে রাশিয়ার ছাড় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তবে মস্কোকে কী করতে হবে সে সম্পর্কে তিনি কোনও বিস্তারিত তথ্য দেননি।”

    আমেরিকার হাউস স্পিকার মাইক জনসনও ওভাল অফিসের বিতর্কের পর জেলেনস্কি সম্পর্কে বলেন, “হয় তিনি যেন যুক্তিসঙ্গত হন এবং কৃতজ্ঞতা সহকারে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসেন, নতুবা দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অন্য কাউকে এগিয়ে আসতে হবে (Zelenskyy)।”

    এর পরে আর কীই বা করতে পারতেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট!

  • Ramakrishna 285: “শ্রীমতীর মহাভাব, গোপীপ্রেমে কোন কামনা নাই, ঠিক ভক্ত যে, সে কোন কামনা করে না”

    Ramakrishna 285: “শ্রীমতীর মহাভাব, গোপীপ্রেমে কোন কামনা নাই, ঠিক ভক্ত যে, সে কোন কামনা করে না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে ও কলিকাতায় চৈতন্যলীলা-দর্শন

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২১শে সেপ্টেম্বর

    রাখাল, নারাণ, নিত্যগোপাল ও ছোটগোপালের সংবাদ

    “তাদের সামনে বুঝি বাবুরামকে বললুম (Ramakrishna), নারাণের জন্য আর তোর জন্য এই সন্দেশগুলি রেখে দে। তারপর গণির মা ওরা সব বললে, মা গো, নৌকাভাড়ার জন্য যা করে! আমায় বললে যে আপনি নারাণকে বলুন যাতে বিয়ে করে। সে কথায় বললুম, ও-সব অদৃষ্টের কথা। ওতে কথা দেব কেন? সকলের হাস্য (Kathamrita)

    “ভাল করে পড়াশুনা করে না; তাই বললে, আপনি বলুন, যাতে ভাল করে পড়ে। আমি বললুম, পড়িস রে। তখন আবার বলে, একটু ভাল করে বলুন। (সকলের হাস্য)

    (চুনির প্রতি) “হ্যাঁ গা, গোপাল আসে না কেন?”

    চুনি—রক্ত আমেশা হয়েছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna),—ওষুধ খাচ্ছে?

    থিয়েটার ও বেশ্যার অভিনয়—পূর্বকথা—বেলুনদর্শন ও শ্রীকৃষ্ণের উদ্দীপন 

    ঠাকুর আজ কলিকাতায় স্টার থিয়েটারে চৈতন্যলীলা দেখিতে যাইবেন। স্টার থিয়েটারে তখন যেখানে অভিনয় হইত, আজকাল সেখানে কোহিনূর থিয়েটার। মহেন্দ্র মুখুজ্জের সঙ্গে তাঁহার গাড়ি করিয়া অভিনয় দেখিতে যাইবেন। কোন্‌খানে বসিলে ভাল দেখা যায়, সেই কথা হইতেছে। কেউ কেউ বললেন, একটাকার সিটে বসলে বেশ দেখা যায়। রাম বললেন, কেন, উনি বক্সে বসবেন।

    ঠাকুর হাসিতেছেন। কেহ কেহ বলিলেন, বেশ্যারা অভিনয় করে। চৈতন্যদেব, নিতাই এ-সব অভিনয় তারা করে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদিগকে)—আমি তাদের মা আনন্দময়ী দেখব।

    “তারা চৈতন্যদেব সেজেছে, তা হলেই বা। শোলার আতা দেখলে সত্যকার আতার উদ্দীপন হয়।

    “একজন ভক্ত রাস্তায় যেতে যেতে দেখে, কতকগুলি বাবলাগাছ রয়েছে। দেখে ভক্তটি একেবারে ভাবাবিষ্ট। তার মনে হয়েছিল যে, ওই কাঠে শ্যামসুন্দর বাগানের কোদালের বেশ বাঁট হয়! অমনি শ্যামসুন্দরকে মনে পড়েছে! যখন গড়ের মাঠে বেলুন দেখতে আমায় নিয়ে গিয়েছিল, তখন একটি সাহেবের ছেলে একটা গাছে ঠেসান দিয়ে ত্রিভঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দেখাও যা, অমনি কৃষ্ণের উদ্দীপন হল; অমনি সমাধিস্থ হয়ে গেলাম!

    “চৈতন্যদেব (Ramakrishna) মেড়গাঁ দিয়ে যাচ্ছিলেন! শুনলেন, গাঁয়ের মাটিতে খোল তৈয়ার হয়! যাই শোনা অমনি ভাবাবিষ্ট হয়ে গেলেন।

    “শ্রীমতী মেঘ কি ময়ূরের কণ্ঠ দেখলে আর স্থির থাকতে পারতেন না। শ্রীকৃষ্ণের উদ্দীপন হয়ে বাহ্যশূন্য হয়ে যেতেন (Kathamrita)।”

    ঠাকুর একটু চুপ করিয়া বসিয়া আছেন। কিয়ৎক্ষণ পরে আবার কথা কহিতেছেন—“শ্রীমতীর মহাভাব। গোপীপ্রেমে কোন কামনা নাই। ঠিক ভক্ত যে, সে কোন কামনা করে না। কেবল শুদ্ধাভক্তি প্রার্থনা করে; কোন শক্তি কি সিদ্ধাই কিছু চায় না।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Cow Dung: গোবর থেকে তৈরি হচ্ছে ত্বক-বান্ধব রং, ভয় ছাড়াই মাতুন হোলিতে

    Cow Dung: গোবর থেকে তৈরি হচ্ছে ত্বক-বান্ধব রং, ভয় ছাড়াই মাতুন হোলিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই দোল উৎসব। রংয়ের এই উৎসবে শামিল হয়ে অনেকেই আক্রান্ত হন ত্বকের রোগে। মাত্রাতিরিক্ত কেমিক্যাল মেশানোর ফলেই অনেকেই স্কিন ডিজিজে ভোগেন। তবে এবার স্কিন ডিজিজের ভয় ছাড়াই (Cow Dung) মাততে পারবেন রংয়ের উৎসবে (Uttar Pradesh)। আজ আপনাদের শোনাব সেই গল্পই।

    গোবর থেকে গুলাল (Cow Dung)

    উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে রয়েছে শ্রী শাকম্ভরী কানহা উপভন গোশালা। এবাই গোবর থেকে গুলাল তৈরি করেছে। এই রং ব্যবহার করলেও চামড়ার কোনও ক্ষতি হবে না। গোশালা কর্তৃপক্ষ এই রং পাঠাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে।

    প্রাকৃতিক গোবর গুলাল’

    পুর নিগমের দাবি, এটি রাজ্যের প্রথম গোশালা যেখানে ‘প্রাকৃতিক গোবর গুলাল’ তৈরি করে এমন একটি অনন্য পরীক্ষা চালানো হয়েছে। মিউনিসিপ্যাল কমিশনার সঞ্জয় চৌহানের তত্ত্বাবধানে এই গুলাল তৈরি করা হয়েছে। গোবর থেকে তৈরি এই গুলাল হোলিতে সিন্থেটিক রঙের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করবে। রাজ্যের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী এ কে শর্মাকেও এই গুলাল পাঠানো হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। চৌহান জানান, শ্রী শাকম্ভরী কানহা উপভন গোশালা একটি আইএসও সার্টিফাইড প্রতিষ্ঠান, যা দেশজুড়ে তার নতুন নতুন পরীক্ষার জন্য পরিচিত। গোবর থেকে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি এখানে পরিবেশবান্ধব রংও তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “কানহা উপভন গোশালা রাজ্যের প্রথম গোশালা যেখানে গোবর থেকে গুলাল প্রস্তুত করা হয়েছে (Cow Dung)।”

    গৌশালা চিফ ইঞ্জিনিয়ার (নির্মাণ) বিকে সিং জানান, “গৌশালায় প্রস্তুত গুলালে গোময় গুঁড়ো, অ্যারারুট, সুগন্ধি, ফলের রঙ, বিটরুট, পালং শাক এবং হলুদের মতো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে কোনও রাসায়নিক নেই, তিনি জানিয়েছেন, এটি একটি উচ্চমানের প্রাকৃতিক গুলাল। সিং জানান, প্রাকৃতিক গোময় গুলাল চারটি রঙে প্রস্তুত করা হচ্ছে — গোলাপি, সবুজ, হলুদ এবং নীল। গৌশালার দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং কর্পোরেশনের ভেটেরিনারি ওয়েলফেয়ার অফিসার ডঃ সন্দীপ মিশ্র জানান, এই গুলাল ব্যবহারে ত্বকের কোনও ক্ষতি হবে না (Uttar Pradesh)। এই গুলাল পুরসভার স্টল, বাজার এবং অনলাইনেও পাওয়া যাবে। গুলাল মিলবে ১০০ গ্রাম, ২৫০ গ্রাম এবং ৫০০ গ্রামের প্যাকেটে (Cow Dung)।

  • Canada: ট্রুডোর পরে এবার লিবারেল পার্টির রাশ ধরছেন মার্ক কার্নি!

    Canada: ট্রুডোর পরে এবার লিবারেল পার্টির রাশ ধরছেন মার্ক কার্নি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছিল দলের অন্দরেই। ঘরে-বাইরে চাপের চোটে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী লিবারেল পার্টির (Liberal Party) নেতা জাস্টিন ট্রুডো। তবে যেহেতু এখনও নেতা নির্বাচিত হয়নি, তাই তিনিই চালাচ্ছেন দেশ।

    নেতা বদলের কারণ (Canada)

    জানা গিয়েছে, এবার লিবারেল পার্টির রাশ ধরতে চলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যাংকার মার্ক কার্নি। আগামী রবিবার তিনি দলের রাশ হাতে নিতে পারেন। নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তিনিই হবেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, চলতি বছরই রয়েছে কানাডার সাধারণ নির্বাচন। ট্রুডোকে সামনে রেখে নির্বাচনে যেতে চাইছিলেন না তাঁর দলের নেতারা। সেই কারণেই প্রয়োজন ছিল নেতা বদলের।

    সমীক্ষায় ইঙ্গিত

    মেইনস্ট্রিট রিসার্চের লিবারেল পার্টির ভোটারদের সমীক্ষায় ইঙ্গিত, কার্নি প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে পরাজিত করবেন (Canada)। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, কার্নি পেয়েছেন ৪৩ শতাংশের সমর্থন, আর ফ্রিল্যান্ডের ঝুলিতে পড়েছে মাত্র ৩১ শতাংশের সমর্থন। কার্নি ইতিমধ্যেই ট্রুডোর সঙ্গে দূরত্ব রচনা করতে শুরু করেছেন। গত মঙ্গলবার তিনি মন্ট্রিয়লে নেতৃত্ব প্রতিযোগিতার ইংরেজি ভাষার বিতর্কে তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনীতি দুর্বল ছিল। এর আগেই আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই হুমকিগুলির মুখোমুখি হয়েছি।” তাঁর নির্বাচনী ইস্তাহারে ট্রুডোর বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করা হয়েছে। কার্নির ইস্তাহারে বলা হয়েছে, অনেক কানাডিয়ান, বিশেষ করে তরুণ কানাডিয়ানরা মহামারি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্কটে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে – যা আরও খারাপ হয়েছে অভিবাসনের উল্লম্ফন ও সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের ঘাটতির কারণে।

    কার্নি নিজেকে বারবার ‘আউটসাইডার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যদিও গত বছর প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো তাঁকে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি পেশাদার রাজনীতিবিদ নই। আমি একজন বাস্তববাদী, যিনি কাজ সম্পন্ন করেন।” প্রসঙ্গত, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন (Liberal Party) কার্নি। ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের কনজারভেটিভ সরকারের অধীনে ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন (Canada)।

  • Bangladesh Crisis: হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ!

    Bangladesh Crisis: হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) দেশে ফেরাতে (Bangladesh Crisis) ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। শনিবার বিকেলে ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সরকারি আইনজীবী তথা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল হোসেন।

    সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য (Bangladesh Crisis)

    ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে।” তিনি জানান, ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে এ বিষয়ে চুক্তি রয়েছে, তাও মনে করিয়ে দেন তাজুল। বাংলাদেশের সরকারি আইনজীবী তথা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর বলেন, “হাসিনা-সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু মামলার তদন্ত রিপোর্ট আমরা মার্চ মাসের মধ্যেই হাতে পেয়ে যাব বলে আশা করছি। যদি আনুষ্ঠানিকভাবে ওই রিপোর্ট পেয়ে যাই, তাহলে এক-দেড় মাসের মধ্যেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে।”

    বিরতি ছাড়াই চলবে বিচার

    তিনি বলেন, “কতদিন ধরে তা চলবে, এখনই বলা সম্ভব নয়। নথির পরিমাণ, সাক্ষীদের বয়ান বিচার করে আদালত সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের দিক থেকে যত দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার কাজ এগোনো যায়, সেই চেষ্টা করব। কোনও বিরতি ছাড়াই চলবে ট্রাইব্যুনালের বিচার।” তাজুল বলেন, “ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। আওয়ামি লিগ সরকারই তা স্বাক্ষর করেছিল। আশা করছি, এই চুক্তির শর্ত মেনেই ভারত হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবে।”

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি কোনও সাধারণ খুনের ঘটনা নয়। এগুলি মানবতাবিরোধী অপরাধ। যার বিস্তৃতি ৫৬ হাজার বর্গমাইল। দু’হাজারেরও বেশি মানুষ এতে শহিদ হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি। আমরা দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা করছি।” প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। তাঁকে ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে চিঠিও দিয়েছে ঢাকা (Sheikh Hasina)। সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করলেও, ভারত এখনও তার জবাব দেয়নি (Bangladesh Crisis)।

LinkedIn
Share