Tag: news in bengali

news in bengali

  • AAP: ভাড়া চাইলেই খুনের হুমকি, আপের অফিসে তালা ঝোলালেন বাড়ির মালিক

    AAP: ভাড়া চাইলেই খুনের হুমকি, আপের অফিসে তালা ঝোলালেন বাড়ির মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিটা (AAP) কি উঠেই যাবে এবার? এমনই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে (Bhopal)। প্রশ্ন ওঠার একাধিক কারণও রয়েছে। এর এক নম্বর কারণ যদি হয় দিল্লিতে দলের গোহারা হার, তবে দু’নম্বর কারণ পঞ্জাবে দলের টালমাটাল পরিস্থিতি। এমতাবস্থায় মধ্যপ্রদেশের ভোপালে আবার কেজরিওয়ালের দলের অফিস সিল করে দেওয়ার মতো বিষফোঁড়াও রয়েছে।

    অফিসের দরজায় মোটা তালা (AAP)

    ঘটনাটি তবে খুলেই বলা যাক। ভোপালের সুবাস নগর এলাকায় রয়েছে আম আদমি পার্টির অফিস। যে বাড়িতে অফিসটি রয়েছে, সেটি ভাড়া বাড়ি। বাড়ির মালিক মঙ্গলানি। জানা গিয়েছে, এই বাড়িরই ভাড়া মেটায়নি দল। দেওয়া হয়নি বিদ্যুতের বিলও। তাই অফিসের দরজায় মোটা একটা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বাড়ির মালিক। বাড়ির মালিকের অভিযোগ, পার্টির সদস্যরা বারবার ভাড়া ও বিল দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছিলেন। তাঁকে না জানিয়ে গোপনে অফিস থেকে কিছু জিনিসপত্রও নিয়ে চলে গিয়েছেন পার্টির লোকজন।

    বাড়ির মালিকের পাওনা

    তাঁর দাবি, তিন মাসের বাড়ি ভাড়া বাবদ ৬০ হাজার টাকা এখনও পাওনা তাঁর (AAP)। বাকি রয়েছে বিদ্যুতের বিলও। ছ’মাসের বিদ্যুৎ বিল বাবদ পার্টির কাছে বাড়ির মালিকের পাওনা ১৩ হাজার টাকা। তিনি বলেন, “চার-পাঁচ মাস আগে আমার বাড়িটা লিজে নিয়েছিল আম আদমি পার্টি। তার পর থেকে অনেক কষ্টে তারা মাত্র দু’মাসের ভাড়া দিয়েছে। বকেয়া রয়েছে তিন মাসের ভাড়া। তারা রাতে চোরের মতো এসে আমার অনুমতি ছাড়াই সব জিনিসপত্র নিয়ে চলে যাচ্ছে।”

    তাঁর অভিযোগ, “ফোন করে বকেয়া ভাড়া চাইলেই আমাকে তারা হুমকি দেয়।” তিনি বলেন, “আমি আইনত সঠিক অবস্থানেই রয়েছি। আমি কোনও ভুল করিনি। ভাড়ার জন্য ফোন করলেই তারা আমাকে হুমকি দেয়। আমাকে বলেই তারা বাড়ি খালি করে দেবে বলেও আশ্বাস দেয়।” তিনি বলেন, “তারা কেজরিওয়ালের নাম করেই আমাকে ভয় দেখায়। তারা বলে, সরকার কাউকে হত্যা করতে পারে। আর সেটা (Bhopal) কেউ জানতেও পারবে না।” স্থানীয় থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছেন বাড়ির মালিক (AAP)।

  • Ramakrishna 284: “‘সরল’ এইকথা বলিতে বলিতে ঠাকুর যেন আনন্দে পরিপূর্ণ হইলেন”

    Ramakrishna 284: “‘সরল’ এইকথা বলিতে বলিতে ঠাকুর যেন আনন্দে পরিপূর্ণ হইলেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে ও কলিকাতায় চৈতন্যলীলা-দর্শন

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২১শে সেপ্টেম্বর

    রাখাল, নারাণ, নিত্যগোপাল ও ছোটগোপালের সংবাদ

    আজ রবিবার, (শুক্লা দ্বিতীয়া) ৬ই আশ্বিন, ১২৯১, ২১শে সেপ্টেম্বর, ১৮৮৪। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) ঘরে অনেকগুলি ভক্ত সমবেত হইয়াছেন। রাম, মহেন্দ্র মুখুজ্জে, চুনিলাল, মাস্টার ইত্যাদি অনেকে আছেন।

    চুনিলাল সবে শ্রীবৃন্দাবন হইতে ফিরিয়াছেন। সেখানে তিনি ও রাখাল বলরামের সঙ্গে গিয়াছিলেন। রাখাল ও বলরাম এখনও ফেরেন নাই। নিত্যগোপালও বৃন্দাবনে আছেন। ঠাকুর চুনিলালের সহিত বৃন্দাবনের কথা কহিতেছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—রাখাল কেমন আছে?

    চুনি—আজ্ঞে, তিনি এখন আছেন ভাল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—নিত্যগোপাল আসবে না?

    চুনি—বলরামবাবু বলেছেন, ভাল উপযুক্ত লোকের সঙ্গে পাঠিয়ে দেব। নাম দেন নাই।

    ঠাকুর মহেন্দ্র মুখুজ্জের সঙ্গে নারাণের কথা কহিতে লাগিলেন। নারাণ স্কুলে পড়ে। ১৬।১৭ বৎসর বয়স। ঠাকুরের কাছে মাঝে মাঝে আসে। ঠাকুর বড় ভালবাসেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—খুব সরল; না?

    ‘সরল’ এইকথা বলিতে বলিতে ঠাকুর যেন আনন্দে পরিপূর্ণ হইলেন।

    মহেন্দ্র—আজ্ঞে হাঁ, খুব সরল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তার মা সেদিন এসেছিল। অভিমানী দেখে ভয় হল। তারপর তোমরা এখানে আসো, কাপ্তেন আসে,—এ-সব সেদিন দেখতে পেলে। তখন অবশ্য ভাবলে যে, শুধু নারাণ আসে আর আমি আসি, তা নয়। (সকলের হাস্য) মিছরি এ-ঘরে ছিল তা দেখে বললে, বেশ মিছরি! তবেই জানলে (Kathamrita), খাবার-দাবার কোন অসুবিধা নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ— সিদ্ধাই থাকা এক মহাগোল। ন্যাংটা আমায় শিখালে — একজন সিদ্ধ সমুদ্রের ধারে বসে আছে, এমন সময় একটা ঝড় এল। ঝড়ে তার কষ্ট হল বলে সে বললে, ঝড় থেমে যা। তার বাক্য মিথ্যা হবার নয়। একখানা জাহাজ পালভরে যাচ্ছিল। ঝড় হঠাৎ থামাও যা আর জাহাজ টুপ করে ডুবে গেল। এক জাহাজ লোক সেই সঙ্গে ডুবে গেলো। এখন এতগুলি লোক যাওয়াতে যে পাপ হল, সব ওর হলো। সেই পাপে সিদ্ধাইও গেল, আবার নরকও হলো।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • BJP: বিজেপিতে নাড্ডার উত্তরসূরী কে? জাতীয় সভাপতি পদে ‘দক্ষিণের সুষমা স্বরাজ’!

    BJP: বিজেপিতে নাড্ডার উত্তরসূরী কে? জাতীয় সভাপতি পদে ‘দক্ষিণের সুষমা স্বরাজ’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) শেষ হতে চলেছে নাড্ডা জমানা। চলতি মাসের ১৫ বা ১৬ তারিখে ঘোষণা হতে পারে পদ্ম-পার্টির নয়া জাতীয় সভাপতির নাম। নাড্ডার উত্তরসূরি (New President) কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। জানা গিয়েছে, এবার কোনও পুরুষ নন, বিজেপির জাতীয় সভাপতি হতে পারেন কোনও মহিলা।

    দৌড়ে দুই মহিলা (BJP)

    গেরুয়া শিবিরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, “যা প্রত্যাশিত, পার্টি এই শীর্ষ পদে একজন মহিলাকে নিয়োগ করতে চায়। দক্ষিণ ভারত থেকেই কাউকে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এতে দক্ষিণী রাজ্যগুলির জনগণের কাছে শক্তিশালী সাংগঠনিক বার্তা দেওয়া যাবে।” যদি দক্ষিণ ভারত থেকে কোনও মহিলাকে বেছে নেওয়া হয় জাতীয় সভাপতি পদে, তাহলে ওই পদে বসতে পারেন অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপি প্রধান দগ্গুবতী পুরন্দেশ্বরী। বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় সভাপতি তথা কোয়েম্বাটুরের বিধায়ক বনাথি শ্রীনিবাসনও রয়েছেন জাতীয় সভাপতি পদের দৌড়ে।

    দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নাড্ডা

    জাতীয় সভাপতি পদে নাড্ডার মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। তার পরেও দলের দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন তিনি। বিজেপির সাংগঠনিক নিয়মবিধি অনুযায়ী, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের কাজ শেষ হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের কাজে হাত দেওয়া যাবে না। জানা গিয়েছে, দেশের অন্তত ৫০ শতাংশ রাজ্যে সভাপতি নির্বাচনের পরেই ঘোষণা করা হবে সর্বভারতীয় সভাপতির নাম। পার্টি সূত্রে খবর, জেপি নাড্ডার উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অভ্যন্তরীণ ঐক্যমত্য গড়ে তুলেই নেওয়া হবে।

    পদ্ম-পার্টি (BJP) সূত্রে খবর, জাতীয় সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন পুরন্দেশ্বরী। বছর ছেষট্টির পুরন্দেশ্বরী ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপির প্রধান। তিনি ‘দক্ষিণের সুষমা স্বরাজ’ নামে পরিচিত। তিনি বাগ্মী। পাঁচটি ভাষায় সাবলীলভাবে বক্তৃতা দিতে পারেন তিনি। বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও তুঙ্গে।

    দৌড়ে রয়েছেন বনাথি শ্রীনিবাসনও। বিজেপির এক নেতার কথায়, “তাঁর নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি জনসংযোগ কর্মসূচি সফল হয়েছে। তিনি দলের কৌশলবিদও। তাঁর ওপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” বিজেপির এক প্রবীণ নেতার কথায়, যদি কোনও মহিলা প্রার্থী জাতীয় সভাপতি পদে নির্বাচিত না হন, তাহলে (New President) দৌড়ে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভূপেন্দ্র যাদব এবং বিনোদ তাওড়ে। তবে ঠিক কে হবেন নাড্ডার উত্তরসূরি, তা জানা যাবে আর সপ্তাহ দুয়েক পরেই (BJP)।

  • PM Modi: “ভারতকে জানতে চায় বিশ্ব, খবর তৈরি করার প্রয়োজন নেই”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ভারতকে জানতে চায় বিশ্ব, খবর তৈরি করার প্রয়োজন নেই”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে জানতে চায় বিশ্ব। সারা বিশ্ব থেকে মানুষ ভারতে আসতে আগ্রহী।” শনিবার এনএক্সটি কনক্লেভ ২০২৫-এ ভাষণ দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “আজ ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে প্রতিদিন ইতিবাচক খবর তৈরি হয় – এটি আলাদা করে তৈরি করার কোনও প্রয়োজন নেই।” ভারতের বৃহৎ পরিসরের অনুষ্ঠানগুলিকে দক্ষতার সঙ্গে আয়োজন করার ওপরও জোর দেন তিনি। মহাকুম্ভের মতো অনুষ্ঠানের উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রতিদিন নতুন নতুন খবর গড়া হচ্ছে। তাই ভারতের খবর তৈরি করার প্রয়োজন নেই (NXT Conclave 2025)।”

    বিশ্ব বিস্মিত (PM Modi)

    ২৬ ফেব্রুয়ারি ছিল মহা শিবরাত্রি। এদিন প্রয়াগরাজের পূর্ণকুম্ভে অমৃতস্নান করেন কয়েক কোটি ভক্ত। সে প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কীভাবে কোটি কোটি মানুষ নদীর তীরে একটি অস্থায়ী শহরে একত্রিত হয়ে পবিত্র স্নান করেন, তা দেখে বিশ্ব বিস্মিত। এটি ভারতের সংগঠনের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতার পরিচয় বহন করে।” প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছিল গত ১৩ জানুয়ারি। শেষ হয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। গঙ্গা-যমুনা ও সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে সব মিলিয়ে স্নান করেছেন ৬৬.২১ কোটি পুণ্যার্থী।

    এআই নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী প্রধানমন্ত্রীর

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অর্থনীতিতে ভারতের বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান প্রভাবের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এআই সম্মেলনের সহ-আয়োজক ছিল (PM Modi)। এটি ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এখন পরবর্তী এআই সম্মেলন আয়োজক হিসেবে ভারতের পালা। এআইয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি খাতে বিপ্লব ঘটিয়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

    তিনি বলেন, “ভারত এখন সেমিকন্ডাক্টর এবং এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার তৈরি করছে এবং এর সুপারফুড যেমন মাখানা এবং শ্রীঅন্ন (মিলেট), আয়ুষ পণ্য এবং যোগ সারা বিশ্বে গ্রহণ করা হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন প্রধান অটোমোবাইল উৎপাদক দেশ হিসেবেও উঠে এসেছে। এর প্রতিরক্ষা রফতানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।” তিনি বলেন, “ভারত যেমন আছে, তাকে তেমনভাবেই উপস্থাপন করা উচিত, কোনও রং ছাড়াই (NXT Conclave 2025)। এর কোনও সাজসজ্জার প্রয়োজন নেই। এই দেশের প্রকৃত গল্পগুলো তামাম বিশ্বে পৌঁছানো উচিত (PM Modi)।”

  • India: জানুয়ারিতে দেশে বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    India: জানুয়ারিতে দেশে বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের (GST Collections) পরিমাণ। গত জানুয়ারি মাসে গ্রস এবং নিট দুটি ক্ষেত্রেই বেড়েছে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ। গত ডিসেম্বরে এই বৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ৭.৩ শতাংশ এবং ৩.৩ শতাংশ। এনসিএইআর-এর মাসিক পর্যালোচনা অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ছিল (India) যথাক্রমে ১২.৩ এবং ১০.৯ শতাংশ। উৎপাদন ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।

    পিএমআই বৃদ্ধি পেয়েছে (India)

    জানুয়ারিতে এই ক্ষেত্রে পিএমআই বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৭.৭ শতাংশ। এটি আরও বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। যদিও পরিষেবা ক্ষেত্রের পিএমআই রয়ে গেছে ৫৬.৫ শতাংশে। এনসিএইআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল পুনম গুপ্তা বলেন, “মূল্যস্ফীতির মডারেশন আরও নীতিগত সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কৃষি ক্ষেত্রেও বহুল প্রতীক্ষিত স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে, যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য আশাব্যঞ্জক।” ২০২৪-২৫ রবি মরশুমে গত ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বপন স্বাভাবিক, বপন এলাকার ১০৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যেখানে ধান ও ডাল জাতীয় শস্যের বপন যথাক্রমে ১০১.২ শতাংশ ও ১০০.৩ শতাংশে পৌঁছেছে।

    প্রবৃদ্ধির হার

    তবে ব্যাঙ্ক ঋণের প্রবৃদ্ধির হার ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ১১.২ শতাংশে সীমাবদ্ধ ছিল। তার আগের ডিসেম্বরে এই হার ছিল ২০.২ শতাংশ। ব্যাঙ্কগুলি থেকে এনবিএফসি-তে ঋণও কমে গিয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ১৫ শতাংশ থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ৬.৭ শতাংশে নেমে আসে। গুপ্ত বলেন, “এনবিএফসি-র মাধ্যমে ভোক্তা অর্থায়ন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (SME) খাতে অর্থায়নের (India) একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে, ঋণের এই ধীর প্রবৃদ্ধির হার দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে।”

    এর প্রেক্ষিতে, নির্ধারিত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির এনবিএফসি-তে প্রদত্ত এক্সপোজারের ওপর ঝুঁকি পুনরুদ্ধারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে তিনি স্বাগত জানান। এনসিএইআরয়ের ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, “আর একটি বিষয় যা নজরে রাখা প্রয়োজন, তা হল বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের প্রবাহের ধারাবাহিক বহির্গমন।” তিনি বলেন, “প্রায়োগিক গবেষণা দেখায় যে এফআইআই প্রবাহ প্রধানত বাহ্যিক কারণ দ্বারা চালিত হয়, অভ্যন্তরীণ কারণের তুলনায়, এবং এই কারণে এটি যথেষ্ট অস্থির প্রকৃতির। অতীতের মতো, ভারতের এফআইআই প্রবাহের বর্তমান বিপরীত প্রবণতা একটি বৈশ্বিক ঘটনা এবং এটি অন্যান্য অনেক (GST Collections) উদীয়মান বাজার থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের সঙ্গেও সম্পর্কিত (India)।”

  • Bomb Blast: এবার পাকিস্তানে ‘জিহাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে’ই বিস্ফোরণ, হত উপাচার্য-সহ অন্তত ৬

    Bomb Blast: এবার পাকিস্তানে ‘জিহাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে’ই বিস্ফোরণ, হত উপাচার্য-সহ অন্তত ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জিহাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে’ই বিস্ফোরণ (Bomb Blast)। হত অন্তত ৬ জন। পাকিস্তানের (Pakistan) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসার ঘটনা। ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে মাদ্রাসার মধ্যে থাকা মসজিদে। সেই সময় শুক্রবার নমাজ সবে শুরু হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ওই মাদ্রাসার উপাচার্য তথা ধর্মীয় নেতা মৌলানা হামিদুল হক হাক্কানি। বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন অন্তত ২০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা পাকিস্তানের পুলিশ-প্রশাসনের।

    কী বলছে প্রশাসন? (Bomb Blast)

    উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের এই অংশ তালিবান অধ্যুষিত। মাদ্রাসার সঙ্গে তালিবানের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অতীতে এই মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন পাক তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মতো জঙ্গি-নেতাও। অনুমান, নমাজ আদায়ের সময় ঘটানো হয়েছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। যদিও ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন। খাইবার পাখতুনখোয়ার ইনস্পেক্টর জেনারেল জুলফিকর হামিদ সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে করা হচ্ছে, মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। সম্ভবত উপাচার্য হাক্কানিই নিশানা ছিল হামলাকারীদের।”

    হত উপাচার্য হাক্কানি

    সূত্রের খবর, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আক্কোরা খাট্টাক জেলায় রয়েছে মাদ্রাসাটি। মাদ্রাসাটির সঙ্গে যোগ রয়েছে আফগান তালিবানদের। ১৯৪৭ সালে মাদ্রাসাটি তৈরি করেছিলেন হাক্কানিয়ার বাবা মৌলানা আবদুল হক হাক্কানিয়া। বাবার মৃত্যুর পরে উপাচার্য হয়েছিলেন হাক্কানি। তিনি জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম (সামি)-র প্রধান। গত বছর পাকিস্তানের ধর্মীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন হাক্কানি (Bomb Blast)। সেখানে তিনি তালিবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন।

    মাদ্রাসাটি ‘জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামেই পরিচিত

    এই মাদ্রাসাটি ‘জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামেই পরিচিত। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যায় নাম জড়িয়েছিল এই মাদ্রাসার পড়ুয়াদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এবার সেই মাদ্রাসায়ই ঘটল বিস্ফোরণ। এবং মারা গেলেন খোদ উপাচার্যই! হাক্কানি একজন রাজনীতিবিদও। তিনি ২০০২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।

    ঘটনাটিকে জঙ্গি হামলা বলে নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, “কাপুরুষের মতো এই জঘন্য ঘটনা রেয়াত করা হবে না। এই সন্ত্রাসবাদের যোগ্য জবাব আমরা দেব।”

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে বড়সড় জঙ্গি দমন অভিযান চালায় পাক সেনা। খতম হয় ৩০ জন জঙ্গি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিরা তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান সংগঠনের সদস্য। ফলে (Pakistan) এই হামলায় ওই সংগঠনের হাত উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা (Bomb Blast)।

  • Joe Biden: ইউএসএআইডির টাকা গিয়েছে হামাস, তালিবান, আল কায়েদার হাতে! কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    Joe Biden: ইউএসএআইডির টাকা গিয়েছে হামাস, তালিবান, আল কায়েদার হাতে! কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা গিয়েছে জঙ্গিদের হাতে! বিশ্বের মার্কামারা জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতে পৌঁছেছে এই টাকা। জঙ্গিদের এই তালিকায় রয়েছে কুখ্যাত হামাস, তালিবান এবং আল কায়েদাও। ঘটনাটিকে মার্কিন কংগ্রেসের আইনপ্রণেতারা ‘জাতীয় লজ্জা’ এবং ‘মার্কিন করদাতাদের সঙ্গে বিপজ্জনক বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে অভিহিত করেছেন (Joe Biden)।

    অর্থ সাহায্যে উদ্বেগ (Joe Biden)

    জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (USAID) মাধ্যমে বিলি করা বৈদেশিক সাহায্য খরচ হয়েছে ওই খাতে। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে এক শুনানি হয়। শিরোনাম ছিল ‘আমেরিকা লাস্ট: কীভাবে বিদেশি সাহায্য সারা বিশ্বে মার্কিন স্বার্থকে দুর্বল করেছে’। ইউএসএআইডি কীভাবে করদাতাদের অর্থ খরচ করেছে, তা খতিয়ে দেখতেই আয়োজন করা হয়েছিল শুনানির। এই শুনানিতে প্রতিনিধি টিম বারচেট এবং মার্জোরি টেলর গ্রিন ইজরায়েলের ওপর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দেওয়া ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    করদাতার অর্থ হামাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে!

    বাইডেন প্রশাসনকে নিশানা করে বারচেট বলেন, “করদাতার অর্থ হামাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমাদের সরকার অন্ধভাবে কোটি কোটি ডলার সেই অঞ্চলে পাঠাচ্ছে, যা আদতে একটি জঙ্গি সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অবমাননাকর ব্যাপার। এই প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এটা নিশ্চিত করতে যে আমাদের সাহায্য সেই লোকরাই অপব্যবহার করছে, যারা আমেরিকা ও ইজরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চায়।” এক্সপার্ট উইটনেস রোমান সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলেন, “শিথিল তদারকি এবং জরুরি অনুমোদনের কারণে ইউএসএআইডি তহবিল গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এড়িয়ে গিয়েছে।”

    কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “‘জরুরি ব্যবহার’ বিধানের কারণে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ, গাজার দিকে পাঠানো প্রায় ৯০ শতাংশ মার্কিন সাহায্য হামাস-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে চলে গিয়েছে। এটি অযৌক্তিক। সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির আগে পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কার্যত হামাসের টিকে থাকায় ইন্ধন জুগিয়েছে।” বারচেট বলেন, “বাইডেন প্রশাসন এখনও আফগানিস্তানে প্রতি সপ্তাহে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠাচ্ছে। এই অর্থের প্রধান উপভোক্তা তালিবান এবং আল কায়েদা।”

    তালিবানের কাছে নিলামে তোলা হয়

    এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন (Joe Biden), “প্রতি সপ্তাহে চার্টার জেটের মাধ্যমে আফগানিস্তানে করদাতাদের ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ পাঠানো হচ্ছে। এই নগদ অর্থ এরপর তালিবানের কাছে নিলামে তোলা হয়, যারা তাদের অংশ কেটে নেওয়ার পর বাকি অর্থ এনজিওগুলির মধ্যে বিলি করে। এই এনজিওগুলি পরে তালিবানকে ‘কর’ দিতে বাধ্য হয়, যা আদতে জঙ্গি শাসনব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে।” রোমানও বলেন, “আমাদের কাছে এমন প্রমাণও রয়েছে যেখানে মার্কিন সহায়তা পরোক্ষভাবে সোমালিয়ার আল-শাবাব, সুদানের হামজি নেটওয়ার্ক, হামাস, ইসলামিক জিহাদ, হিজবুল্লা, কাতাইব হিজবুল্লা এবং সিরিয়ার হায়াত তাহরির আল-শামকে সমর্থন করেছে।” তিনি বলেন, “ইউএসএইড কার্যত বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সংগঠনগুলোর জন্য একটি নগদ অর্থের পাইপলাইন হয়ে উঠেছে।” গ্রিনের অভিযোগের আঙুল আবার ইউক্রেনের দিকে।

    “আমরা একে দুর্নীতি বলি”

    তিনি জানান, জো বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ইউএসএইড (USAID) তহবিল ব্যবহার করে তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনকে ইউক্রেনে দুর্নীতির তদন্ত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, “যখন জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তাঁর ছেলে হান্টার ইউক্রেনের একটি জ্বালানি কোম্পানি, বুরিসমার বোর্ডে ছিলেন, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় প্রসিকিউটর জেনারেল ভিক্টর শোকিন বুরিসমার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “তখন বাইডেন (Joe Biden) হুমকি দেন যে শোকিনকে বরখাস্ত না করলে ১ বিলিয়ন ডলার ইউএসএআইডি অনুদান আটকে দেওয়া হবে। এটা সব ভিডিওতে ধরা আছে।” সাক্ষী প্রিমোরাক বলেন, “আমরা একে দুর্নীতি বলি।”

    ইউএসএআইডির ভূমিকার নিন্দা

    ইউএসএআইডির ভূমিকার নিন্দা করে গ্রিন বলেন, “ইউএসএআইডি-প্রণোদিত শাসন পরিবর্তনের সবচেয়ে বিস্তৃত উদাহরণগুলোর একটি হল বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার জন্য সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করা।” তিনি বলেন, “আমেরিকাকে নিরাপদ করার পরিবর্তে ইউএসএআইডির অর্থ শেষ পর্যন্ত এমন কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে পৌঁছে যায়, যারা পরবর্তীকালে মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে চলে যায় (Joe Biden)।”
    রিপাবলিকান প্রতিনিধি এরিক বার্লিসন বলেন, “এটি আমেরিকান করদাতাদের প্রতি একটি লজ্জাজনক বিশ্বাসঘাতকতা। ইউএসএআইডি (USAID) সম্পূর্ণভাবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে এবং এর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “আমরা এটা কখনওই মেনে নেব না যে আমেরিকান নাগরিকরা যখন জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে সংগ্রাম করছেন, তখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার চলে যাচ্ছে জঙ্গিদের অর্থায়নে।”

  • Ramakrishna 282: “দুর্যোধনেরা গন্ধর্বের কাছে বন্দী হলে যুধিষ্ঠিরই উদ্ধার করলেন”

    Ramakrishna 282: “দুর্যোধনেরা গন্ধর্বের কাছে বন্দী হলে যুধিষ্ঠিরই উদ্ধার করলেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    সপ্তদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    পূর্বকথা—শম্ভু মল্লিকের অনাশক্তি—মহাপুরুষের আশ্রয়

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মুখুজ্জে প্রভৃতিকে)—কাপ্তেনের ঠিক সাধকের অবস্থা (Kathamrita)।

    “ঐশ্বর্য (Ramakrishna) থাকলেই যে তাতে আসক্ত হতেই হবে, এমন কিছু নয়। শম্ভু (মল্লিক) বলত, ‘হৃদু, পোঁটলা বেঁধে বসে আছি!’ আমি বলতাম কি অলক্ষণে কথা কও! —

    “তখন শম্ভু বলে, ‘না,— বলো, এ-এব ফেলে যেন তাঁর কাছে যাই!’

    “তাঁর ভক্তের ভয় নাই। ভক্ত তাঁর আত্মীয়। তিনি তাদের টেনে নেবেন। দুর্যোধনেরা গন্ধর্বের কাছে বন্দী হলে যুধিষ্ঠিরই উদ্ধার করলেন। বললেন, আত্মীয়দের ওরূপ অবস্থা হলে আমাদেরই কলঙ্ক (Kathamrita)।”

    ঠাকুরবাড়ির ব্রাহ্মণ ও পরিচারকগণ মধ্যে ভক্তিদান 

    প্রায় নয়টা রাত্রি হইল। মুখুজ্জে ভ্রাতৃদ্বয় কলিকাতা ফিরিবার জন্য প্রস্তুত হইতেছেন। ঠাকুর একটু উঠিয়া ঘরে ও বারান্দায় পাদচারণ করিতে করিতে বিষ্ণুঘরে উচ্চ সংকীর্তন হইতেছে শুনিতে পাইলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করাতে একজন ভক্ত (Ramakrishna) বলিলেন, তাহাদের সঙ্গে লাটু ও হরিশ জুটিয়াছে। ঠাকুর বলিলেন, ও তাই!

    ঠাকুর বিষ্ণুঘরে আসিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ভক্তেরাও আসিলেন। তিনি শ্রীশ্রীরাধাকান্তকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন।

    ঠাকুর দেখিলেন যে, ঠাকুরবাড়ির ব্রাহ্মণেরা—যারা ভোগ রাঁধে, নৈবেদ্য করে দেয়, অতিথিদের পরিবেশন করে এবং পরিচারকেরা, অনেকে একত্র মিলিত হইয়া নাম সংকীর্তন করিতেছে। ঠাকুর একটু দাঁড়াইয়া তাহাদের উৎসাহ বর্ধন করিলেন।

    উঠানের মধ্য দিয়া ফিরিয়া আসিবার সময় ভক্তদের বলিতেছেন(Kathamrita) —

    “দেখো, এরা সব কেউ বেশ্যার বাড়ি যায়, কেউ বাসন মাজে!”

    ঘরে আসিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) নিজ আসনে আবার বসিয়াছেন। যাঁহারা সংকীর্তন করিতেছিলেন, তাঁহারা আসিয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Potassium: পটাশিয়ামের অভাবেই বাড়ছে রোগ? কোন খাবার থেকে পাওয়া যাবে এই উপাদান?

    Potassium: পটাশিয়ামের অভাবেই বাড়ছে রোগ? কোন খাবার থেকে পাওয়া যাবে এই উপাদান?

    মাধ্যম ডেস্কঃ শরীরে রক্ত প্রবাহ ঠিকমতো রাখতে কিংবা স্নায়ুর কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য সবচেয়ে জরুরি উপাদান পটাশিয়াম (Potassium Lack)। হৃদযন্ত্র থেকে কিডনি, শরীরের একাধিক অঙ্গ সক্রিয় ও কার্যকরী রাখতেও পটাশিয়াম বিশেষ প্রয়োজন। তাই শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে একাধিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়‌। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি একাধিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সকলেই কমবেশি পটাশিয়ামের অভাবে ভুগছেন। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। স্নায়ু ও পেশির নানান রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে। নিয়মিত পটাশিয়ামের চাহিদাও পূরণ হচ্ছে না। কিন্তু সাধারণ কিছু ঘরোয়া খাবারেই (Food) সহজে এই চাহিদা পূরণ সম্ভব।

    নিয়মিত কত পরিমাণ পটাশিয়াম প্রয়োজন (Potassium Lack)?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়সের উপরে পটাশিয়ামের প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে। শিশুদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্ক বিশেষত প্রবীণ নাগরিকদের পটাশিয়ামের (Potassium Lack) প্রয়োজনীয়তা বেশি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, ১৯ বছরের বেশি মহিলাদের ২.৬ মিলিগ্রাম এবং পুরুষদের ৩.৪ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম নিয়মিত জরুরি।

    কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পটাশিয়াম হল শরীরের গুরত্বপূর্ণ একটি ইলেক্ট্রোলাইট উপাদান। এই উপাদান দেহের স্নায়ু ও পেশির জন্য বিশেষ জন্য উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই উপাদান স্নায়ুকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। পেশিকেও মজবুত করে। নিয়মিত হাঁটাচলার জন্য এই উপাদান যেমন প্রয়োজন, তেমনি যে কোনও বিষয় মনে রাখার জন্য, স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে এবং মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতেও পটাশিয়াম (Potassium Lack) জরুরি। কিডনির জন্য ও পটাশিয়াম অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হলে কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে। পাশাপাশি শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রোলাইট উপাদান রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ সাহায্য করে। তাই শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে‌ যায়।

    কোন খাবার থেকে সহজেই পটাশিয়ামের জোগান সম্ভব?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু খাবার (Food) সহজেই পটাশিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারে। তাদের মধ্যে তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কাঠবাদাম! পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের বাদামেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ (Potassium Lack)। ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন সহ একাধিক খনিজ পদার্থের জোগান দেয় বাদাম। তবে কাঠবাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। তাই নিয়মিত অন্তত পাঁচটা কাঠবাদাম খেলে শরীরে সহজেই পটাশিয়ামের জোগান‌ পাওয়া যাবে।

    টক দই শরীরের জন্য খুবই উপকারী

    নিয়মিত টক দই খেলে শরীরে সহজেই পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দই (Food) শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পটাশিয়ামের মতো উপাদানের চাহিদা পূরণ করে টক দই। কমলালেবু বা অ্যাভোকাডোর মতো ফল নিয়মিত খেলেও সহজেই পটাশিয়ামের অভাব পূরণ হয়‌।‌ কারণ এই সব ফলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম (Potassium Lack) থাকে। পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পালং শাক বিশেষ সাহায্য করে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। মুসুর ডালেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। তাই নিয়মিত ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে মুসুর ডাল খেলেও পটাশিয়াম পাওয়া যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Chandra Shekhar Azad: আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের আত্মবলিদান দিবস, চেনেন এই দেশপ্রেমিককে?

    Chandra Shekhar Azad: আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের আত্মবলিদান দিবস, চেনেন এই দেশপ্রেমিককে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন চন্দ্রশেখর আজাদ (Chandra Shekhar Azad)। তিনি হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা রাম প্রসাদ বিসমিলের ফাঁসির সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসি হয় রোশন সিং, রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী এবং আশফাকুল্লা খানের। এরপর আজাদ হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনকে বদলে করেন হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন (HSRA)। তাঁর নির্ভীক নেতৃত্ব (Death Anniversary) এবং স্বাধীনতার লক্ষ্যে অবিচল প্রতিশ্রুতি তাঁকে ভারতের ইতিহাসের অন্যতম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।

    বিশ্বাসঘাতকতার শিকার (Death Anniversary)

    ১৯৩১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এলাহাবাদের আলফ্রেড পার্কে (বর্তমানে আজাদ পার্ক) এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেন ঠিক করেছিলেন তিনি। যদিও বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হন আজাদ। পার্কে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ পুলিশ ঘিরে ফেলে তাঁকে। তীব্র গুলির লড়াই হয়। দুজন ব্রিটিশ অফিসার জখম হন। গুলিবিদ্ধ হন আজাদও। সঙ্গে সঙ্গেই শহিদ হন তিনি। আজাদ অঙ্গীকার করেছিলেন, কখনওই ব্রিটিশদের হাতে জীবিত অবস্থায় ধরা দেবেন না। সেই ইচ্ছে পূরণ হয় তাঁর। এভাবে শহিদ হয়ে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অমর হয়ে রয়ে গেলেন আজাদ।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    চন্দ্রশেখর আজাদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘মাতৃভূমির অপরাজেয় সন্তান চন্দ্রশেখর আজাদ তাঁর জীবনের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে মাতৃভূমির প্রতি দায়িত্বের কোনও সীমা নেই।’’ তিনি লেখেন, “আজাদজির আত্মত্যাগ, যিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে তরুণদের সক্রিয়ভাবে যুক্ত করে ব্রিটিশ সরকারের নিদ্রা ভঙ্গ করেছিলেন, স্বাধীনতার স্ফুলিঙ্গকে এক মহান শিখায় পরিণত করেছিলেন (Chandra Shekhar Azad)। অমর শহিদ ও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদকে তাঁর শহিদ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।”

    আজাদকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি শ্রদ্ধা জানান আজাদকে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে আজাদের অবদানের কথাও তুলে ধরেন তিনি। লেখেন, “ভারত মায়ের অমর সন্তান, মহান বিপ্লবী এবং সাহসী শহিদ চন্দ্রশেখর আজাদের ত্যাগ স্বাধীনতা আন্দোলনকে নতুন শক্তি দিয়েছিল। তাঁর সাহসিকতার কাহিনি ভারতীয় স্বাধীনতার ইতিহাসে এক স্বর্ণালী অধ্যায়, যা প্রতিটি ভারতীয়র মধ্যে দেশপ্রেমের আগুন জাগিয়ে রাখবে। আজ তাঁর শহিদ দিবসে তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি!”

    বিজেপি জাতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, “অমর শহিদ চন্দ্রশেখর আজাদের শহিদ দিবসে, যিনি মাতৃভূমির জন্য নিজের সব কিছু উৎসর্গ (Death Anniversary) করেছিলেন, সেই অতুলনীয় সাহস ও ত্যাগের নায়কের প্রতি আমি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই (Chandra Shekhar Azad)।”

LinkedIn
Share