Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 259: “দত্তাত্রেয় এঁরা ব্রহ্মদর্শন করে খবর দিতে পারেন নাই, ব্রহ্মজ্ঞানে সমাধি হলে আর ‘আমি’ থাকে না”

    Ramakrishna 259: “দত্তাত্রেয় এঁরা ব্রহ্মদর্শন করে খবর দিতে পারেন নাই, ব্রহ্মজ্ঞানে সমাধি হলে আর ‘আমি’ থাকে না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে জুলাই

    “গুণত্রয়ব্যতিরিক্তং সচ্চিদানন্দস্বরূপঃ”
    “ব্রহ্ম ত্রিগুণাতীত—মুখে বলা যায় না”

    “ব্রহ্ম কি, তা মুখে যায় না। যার হয় সে খবর দিতে পারে না। একটা কথা আছে, কালাপানিতে জাহাজ গেলে আর ফিরে না।

    “চার বন্ধু ভ্রমণ করতে করতে পাঁচিলে ঘেরা একটা জায়গা দেখতে পেলে। খুব উঁচু পাঁচিল। ভিতরে কি আছে দেখবার জন্য সকলে বড় উৎসুক হল। পাঁচিল বেয়ে একজন উঠল। উঁকি মেরে যা দেখলে, তাতে অবাক হয়ে ‘হা হা হা হা’ বলে ভিতরে পড়ে গেল। আর কোন খবর দিল না। যে-ই উঠে সে-ই ‘হা হা হা হা’ করে পড়ে যায়। তখন খবর আর কে দেবে?”

    জড়ভরত, দত্তাত্রেয়, শুকদেব—এঁদের ব্রহ্মজ্ঞান 

    “জড়ভরত, দত্তাত্রেয় এঁরা ব্রহ্মদর্শন করে আর খবর দিতে পারেন নাই, ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে সমাধি হলে আর ‘আমি’ থাকে না। তাই রামপ্রসাদ বলেছে, ‘আপনি যদি না পারিস মন তবে রামপ্রসাদকে সঙ্গে নে না।’ মনের লয় হওয়া চাই, আবার ‘রামপ্রসাদের’ অর্থাৎ অহংতত্ত্বের লয় হওয়া চাই। তবে সেই ব্রহ্মজ্ঞান হয়।”

    একজন ভক্ত—মহাশয়, শুকদেবের কি জ্ঞান হয় নাই?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেউ কেউ বলে, শুকদেব ব্রহ্মসমুদ্রের দর্শন-স্পর্শন মাত্র করেছিলেন, নেমে ডুব দেন নাই। তাই ফিরে এসে অত উপদেশ দিয়েছিলেন। কেউ বলে, তিনি ব্রহ্মজ্ঞানের পর ফিরে এসেছিলেন—লোকশিক্ষার জন্যে। পরীক্ষিৎকে ভাগবত বলবেন আরও কত লোকশিক্ষা দিবেন, তাই ইশ্বর তাঁর সব ‘আমি’র লয় করেন নাই। বিদ্যার ‘আমি’ এক রেখে দিয়েছিলেন।

    কেশবকে শিক্ষা—দল (সাম্প্রদায়িকতা) ভাল নয় 

    একজন ভক্ত—ব্রহ্মজ্ঞান হলে কি দলটল থাকে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেশব সেনের সঙ্গে ব্রহ্মজ্ঞানের কথা হচ্ছিল। কেশব বললে, আরও বলুন। আমি বললুম, আর বললে দলটল থাকে না। তখন কেশব বললে, তবে আর থাক, মশাই। (সকলের হাস্য) তবু কেশবকে বললুম, ‘আমি’ ‘আমার’ এটি অজ্ঞান। ‘আমি কর্তা’ আর আমার এই সব স্ত্রী, পুত্র, বিষয়, মান, সম্ভ্রম—এ-ভাব অজ্ঞান না হলে হয় না। তখন কেশব বললে, মহাশয়, ‘আমি’ ত্যাগ করলে যে আর কিছুই থাকে না। আমি বললুম, কেশব তোমাকে সব ‘আমি’ ত্যাগ করতে বলছি না, তুমি ‘কাঁচা আমি’ ত্যাগ কর। “আমি কর্তা” “আমার স্ত্রী-পুত্র” “আমি গুরু” —এ-সব অভিমান, “কাঁচা আমি”। এইটি ত্যাগ করে “পাকা আমি” হয়ে থাক—“আমি তাঁর দাস, আমি তাঁর ভক্ত, আমি অকর্তা, তিনি কর্তা।”

    ঈশ্বরের আদেশ পেয়ে তবে ধর্মপ্রচার করা উচিত 

    একজন ভক্ত—“পাকা আমি” কি দল করতে পারে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেশব সেনকে বললুম, আমি দলপতি দল করেছি, আমি লোকশিক্ষা দিচ্ছি—এ ‘আমি’ “কাঁচা আমি”। মত প্রচার বড় কঠিন। ঈশ্বরের আজ্ঞা ব্যতিরেকে হয় না। তাঁর আদেশ চাই। যেমন শুকদেব ভাগবতকথা বলতে আদেশ পেয়েছিলেন। যদি ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার করে কেউ আদেশ পায়—সে যদি প্রচার করে, লোকশিক্ষা দেয় দোষ নাই। তার ‘আমি’ “কাঁচা আমি” নয়—“পাকা আমি”।

    “কেশবকে বলেছিলাম, ‘কাঁচা আমি’ ত্যাগ কর। ‘দাস আমি’ ‘ভক্তের আমি’ এতে কোন দোষ নাই।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 258: “সংসারই অরণ্য, এই বনে সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুণ ডাকাত, জীবের তত্ত্বজ্ঞান কেড়ে লয়”

    Ramakrishna 258: “সংসারই অরণ্য, এই বনে সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুণ ডাকাত, জীবের তত্ত্বজ্ঞান কেড়ে লয়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে জুলাই

    “গুণত্রয়ব্যতিরিক্তং সচ্চিদানন্দস্বরূপঃ”
    “ব্রহ্ম ত্রিগুণাতীত—মুখে বলা যায় না”

    মাস্টার—দয়াও কি একটা বন্ধন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সে অনেক দূরের কথা। দয়া সত্ত্বগুণ থেকে হয়। সত্ত্বগুণে পালন, রজোগুণে সৃষ্টি, তমোগুণে সংহার। কিন্তু ব্রহ্ম সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুণের পার। প্রকৃতির পার।

    “যেখানে ঠিক ঠিক সেখানে গুণ পৌঁছিতে পারে না। চোর যেমন ঠিক জায়গায় যেতে পারে না, ভয় হয় পাছে ধরা পড়ে। সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুনই চোর। একটা গল্প বলি শুন —

    “একটি লোক বনের পথ দিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময়ে তাকে তিনজন ডাকাত এসে ধরলে। তারা তার সর্বস্ব কেড়ে নিলে। একজন চোর বললে, আর এ লোকটাকে রেখে কি হবে? এই কথা বলে খাঁড়া দিয়ে কাটতে এল। তখন আর-একজন চোর বললে, না হে কেটে কি হবে? একে হাত-পা বেঁধে এখানে ফেলে যাও। তখন তাকে হাত-পা বেঁধে ওইখানেরেখে চোরেরা চলে গেল। কিছুক্ষণ পরে তাদের মধ্যে একজন ফিরে এসে বললে, ‘আহা, তোমার কি লেগেছে? এস, আমি তোমার বন্ধন খুলে দিই।’ তার বন্ধন খুলে দিয়ে চোরটি বললে (Kathamrita), ‘আমার সঙ্গে সঙ্গে এস, তোমায় সদর রাস্তায় তুলে দিচ্ছি।’ অনেকক্ষণ পরে সদর রাস্তায় এসে বললে, ‘এই রাস্তা ধরে যাও, ওই তোমার বাড়ি দেখা যাচ্ছে।’ তখন লোকটি চোরকে বললে, ‘মশাই, আমার অনেক উপকার করলেন, এখন আপনিও আসুন, আমার বাড়ি পর্যন্ত যাবেন।’ চোর বললে, ‘না, আমার ওখানে যাবার জো নাই, পুলিসে টের পাবে।’

    “সংসারই অরণ্য। এই বনে সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুণ ডাকাত, জীবের তত্ত্বজ্ঞান কেড়ে লয় (Kathamrita)। তমোগুণ জীবের বিনাশ করতে যায়। রজোগুণ সংসারে বদ্ধ করে। কিন্তু সত্ত্বগুণ, রজস্তমঃ থেকে বাঁচায়। সত্ত্বগুণের আশ্রয় পেলে কাম-ক্রোধ এই সব তমোগুণ থেকে রক্ষা হয়। সত্ত্বগুণও আবার জীবের সংসারবন্ধন মোচন করে। কিন্তু সত্ত্বগুণও চোর, তত্ত্বজ্ঞান দিতে পারে না। কিন্তু সেই পরম ধামে যাবার পথে তুলে দেয়। দিয়ে বলে, ওই দেখ, তোমার বাড়ি ওই দেখা যায়! যেখানে ব্রহ্মজ্ঞান (Ramakrishna) সেখান থেকে সত্ত্বগুণও অনেক দূরে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৬ জানুয়ারি সারাদেশে পালিত হবে প্রজাতন্ত্র দিবস। ওই দিনই এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য। উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ওই দিন থেকে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রথম রাজ্য হতে চলেছে উত্তরাখণ্ড। যেখানে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তাই চলতি বছরের প্রজাতন্ত্র দিবস উত্তরাখণ্ডের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি একটি মাইলস্টোন হিসেবে থেকে যাবে, সে রাজ্যের ইতিহাসে।

    ২০২২ সালে বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাস ছিল ইউসিসি (Uttarakhand) 

    ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার তৈরি করে বিজেপি। নির্বাচনের পূর্বে গেরুয়া শিবির উত্তরাখণ্ডের জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিল যে, ক্ষমতায় এলে সেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হবে। এবার নিজেদের দেওয়া সেই আশ্বাসই পূরণ করতে চলেছে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে, রাজ্যের সমস্ত নাগরিকদের জন্য একই আইন চালু হবে। এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে কী কী সুবিধা মিলবে এবং এর প্রভাবই বা কী? সে নিয়েই এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।

    উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কী কী পরিবর্তন আনবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি?

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে উত্তরাখণ্ডের সমস্ত ধর্মের জন্য যে ব্যক্তিগত আইন বা পার্সোনাল ‘ল’ গুলি রয়েছে, যেমন- বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার আইন, দত্তক আইন, ভরণপোষণ সংক্রান্ত আইন- এই সমস্ত কিছুকেই সংস্কার করা হবে এবং ব্যক্তিগত আইনে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যে বৈষম্য রয়েছে সেগুলিকেও নির্মূল করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ড সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ এবং একত্রবাস এই সমস্ত কিছুকে নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রি করা হবে। তথ্য রাখা হবে একটি পোর্টালে। যে পোর্টালটি পরিচালনা করবে উত্তরাখণ্ড সরকার। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

    ● যদি কোনও পুরুষ-মহিলা একত্রবাস করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে একত্রবাসের এক মাস আগে তা রেজিস্ট্রি করাতে হবে। যদি কেউ এই নিয়মকে লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাঁদের তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ডের এই আইনের মাধ্যমে মহিলাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ● প্রসঙ্গত, এই আইনের মাধ্যমেই উত্তরাখণ্ডের জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মহিলা তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার পাবেন।

    ● এই আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হবে বহুবিবাহ প্রথাও। একের বেশি বিয়ে কোনওভাবেই করা যাবে না। যদি তা কেউ করেন তবে তা আইনত দণ্ডনীয়  অপরাধ বলে বিবেচ্য হবে।

    ● এই আইনের মাধ্যমে একত্রবাসের ফলে যদি কোনও শিশু জন্ম নেয়, তাহলে ওই শিশুকে বৈধ বলেই বিবেচনা করা হবে এবং জন্ম নেওয়া শিশু সমানভাবে উত্তরাধিকার পাবে অর্থাৎ তার পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার পাবে।

    ● একত্রবাস যদি কেউ শেষ করতে চায়, তাহলে ওই একত্রবাসের সঙ্গী এবং সঙ্গিনীকেই সেটি রেজিস্ট্রি করে জানাতে হবে এবং আইনি স্বীকৃতি নিতে হবে। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে।

    ● বহুবিবাহ এবং ইদ্দত এরফলে নিষিদ্ধ হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, যে সমস্ত মুসলিম মহিলাদের তালাক দেওয়া হয়, তাঁদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করানো হয়, এটাকেই বলা হয় ইদ্দত। এই সমস্ত কিছুই এবার বন্ধ হতে চলেছে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মাধ্যমে।

    আইনি প্রক্রিয়া হতে চলেছে সরল

    ● উত্তরাখণ্ডের নাগরিকরা (Uniform Civil Code) অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলেই, অনলাইনের মাধ্যমে নিজেদের উইল, যে কোনও আপিল বা অভিযোগ জানাতে পারবেন। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।

    ● গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত কর্মীরাই সাব-রেজিস্টার হিসেবে কাজ করবেন। তাঁরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বাস্তবায়নে।

    ● বিভিন্ন নথি যাচাই করার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সাহায্য নেবে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    ● একই সঙ্গে গড়ে তোলা হবে কমন সার্ভিস সেন্টার। জানা গিয়েছে, ঘরে ঘরে গিয়ে পরিষেবা প্রদান করবে সরকার।

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে রাজ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে কার্যকর করতে দশ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    শীর্ষ আদালতের বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়ে সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নির্বাচনে বিজেপি বিপুল জয় পেতেই শুরু হয় উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বাস্তবায়ন করার প্রস্তুতি। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুসারে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এরপরে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই কমিটি। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে কমিটি ৪০০ পাতার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেয়। প্রসঙ্গত এ সংক্রান্ত প্রস্তাব বিধানসভাতে আগেই উত্থাপন করে বিজেপি।

    ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ বিলে সই রাষ্ট্রপতির

    ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় উত্থাপন করা হয় ইউনিফর্ম সিভিল কোডের বিল। বিরোধীরা ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করে। হইহট্টগোল শুরু করে। বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ঠিক তার পরের দিনই বিলটিকে পাস করানো হয়। ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ ওই বিল রাষ্ট্রপতি সই করেন। তখন থেকেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাহিলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়। এর পরেই ইউসিসির বাস্তবায়নের জন্য জোর কদমে মাঠে নামে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। এবার ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে সে রাজ্যে বাস্তবায়িত হতে চলেছে ইউসিসি।

    চালু হতে পারে অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে

    প্রসঙ্গত, বিজেপি এই কারণে উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল রাজ্য হিসেবে সর্বত্র প্রচার চালাচ্ছে। কারণ ভারতবর্ষের প্রথম কোনও রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে পারল উত্তরাখণ্ড সরকার। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ইতিমধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন যে— অসম, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে, ইউসিসির বাস্তবায়ন কেন গুরুত্বপূর্ণ!এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করেছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি রাজ্য সভাপতি কেশবপ্রসাদ মৌর্য।

    লিঙ্গ বৈষম্য দূর হবে, প্রতিষ্ঠিত হবে নারী অধিকার

    বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে যদি এভাবেই ইউসিসি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে উঠবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কেন গুরুত্বপূর্ণ, এ কথা যখন বিজেপি নেতারা বলছেন তখনই তাঁরা উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল হিসেবে তুলনা করছেন। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই উত্তরাখণ্ডের অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রশংসা করছেন। কারণ তাঁরা মনে করছেন যে এর ফলে লিঙ্গবৈষম্য দূর হয়। এর ফলে ন্যায়বিচার আরও সহজে আসে এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি প্রশস্ত হবে। অন্যদিকে, বেশ কিছু মৌলবাদী অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োগের খবর সামনে আসতেই রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে উঠে পড়েছেন। কারণ তাঁদের মতে, এর ফলে বহুবিবাহ এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ওপর ইউসিসি প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এই সময় দেখা যাচ্ছে নারী অধিকার সংগঠন এবং মানবাধিকারের ওপর যে সমস্ত সংগঠন কাজ করে, সেগুলি ইউসিসির বিধানগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ, এর ফলে সমানভাবে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হবে এবং লিভ-ইন সম্পর্কে মহিলারা সুরক্ষিত থাকবেন।

    সমস্ত রাজ্যের নজর উত্তরাখণ্ডের ওপর 

    এখন দেখার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এই ইউসিসি কীভাবে কার্যকর হয়! যদিও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার, রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতগুলিকেই ইউসিসি কার্যকর করার দায়িত্ব ইতিমধ্যে অর্পণ করেছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রস্তুতি যখন উত্তরাখণ্ডজুড়ে চলছে, তখন ভারতের অন্যান্য অংশগুলিও এর ওপরে গভীরভাবে লক্ষ্য রাখছে। কারণ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইনি অধ্যায়। এই আইন সফল হবে নাকি ব্যর্থ! সেই ধারনাই গড়ে উঠবে আগামী ২৬ জানুয়ারির পর থেকে। উত্তরাখণ্ডে এই আইন শুধুমাত্র বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাসকেই বাস্তবায়িত করছে না, একইসঙ্গে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Excess work: সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করেন? অতিরিক্ত কাজের চাপ শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে?

    Excess work: সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করেন? অতিরিক্ত কাজের চাপ শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অফিস নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয়। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা মেপে শেষ হয় কি? বর্তমানে অধিকাংশ পেশাতেই বাড়ছে কাজের চাপ (Excess work)! বিশেষত বহুজাতিক সংস্থার কর্মীদের কাজের সময়সীমা নিয়ে অনেক সময়েই নানান বিতর্ক তৈরি হয়েছে! অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা কিংবা ভারত, সব দেশেই কর্মীরা কতক্ষণ কাজ করবেন, ছুটির পরেও অফিসকর্তার ফোন ধরবেন কিনা, শনিবার-রবিবার ছুটি পাবেন কিনা, এই সব নিয়ে নানান বিতর্ক চলছেই। আর এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছে।

    কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নয়া রিপোর্ট? (Excess work)

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বেড়ে যায়‌। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে ১৭ শতাংশ। একই সঙ্গে বাড়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও। অর্থাৎ, প্রতিদিন সাত ঘণ্টার বেশি সময় একটানা কাজ করলে তা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে শরীরে স্ট্রেস বেড়ে যায় (Pressure)। এছাড়াও একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। এমনকী অতিরিক্ত কাজের চাপে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও কমতে থাকে।

    কেন অতিরিক্ত কাজ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত কাজ (Excess work) করলে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তার প্রধান কারণ হল স্ট্রেস। তাঁরা জানাচ্ছেন, একটানা কাজ করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোন বের হয়। এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে রক্তচাপ বারবার ওঠানামা করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে রক্তবাহী শিরার কার্যক্ষমতা কমে। শরীরে ঠিকমতো রক্ত সরবরাহ হয় না। এর জেরেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। 
    কাজের চাপে অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে‌ খাওয়ার সুযোগ পান না। যা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। আর এই কারণেই ডায়াবেটিস থেকে স্থূলতা, কোলেস্টেরলের মতো একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার  ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
    সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্নায়ুর উপরেও মারাত্মক চাপ (Pressure) পড়ে বলে‌ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। একটানা স্নায়বিক চাপ নেওয়ার জেরে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে‌। ঠিকমতো বিশ্রাম না পেলেই তা গভীর প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্ক ঠিকমতো কার্যশক্তি পায় না। ফলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Excess work)

    কর্মস্থলের জেরে যাতে স্বাস্থ্যহানি না হয়, সে নিয়ে সচেতনতা জরুরি। কর্মীরা সুস্থ থাকলে তবেই কাজ ঠিকমতো হবে, এই নিয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। দরকার প্রয়োজনীয় কর্মশালা, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবার ও পেশাগত জীবনের মধ্যে ব্যালান্স হলে তবেই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। স্ট্রেস হরমোনের ভারসাম্য দেখা যাবে। যার ফলে সহজেই শরীরের একাধিক জটিল রোগ আটকানো সহজ হবে। পাশপাশি ঘুমের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। শরীর যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়, সেইভাবেই সারাদিনের রুটিন তৈরি করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 260:  “কেশব বললে, আর শিষ্যেরাও একসঙ্গে বললে, ভাগবত-ভক্ত-ভগবান, বল গুরু-কৃষ্ণ-বৈষ্ণব”

    Ramakrishna 260: “কেশব বললে, আর শিষ্যেরাও একসঙ্গে বললে, ভাগবত-ভক্ত-ভগবান, বল গুরু-কৃষ্ণ-বৈষ্ণব”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে জুলাই

    “গুণত্রয়ব্যতিরিক্তং সচ্চিদানন্দস্বরূপঃ”
    “ব্রহ্ম ত্রিগুণাতীত—মুখে বলা যায় না”

    “তুমি দল দল করছ। তোমার দল থেকে লোক ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে। কেশব বললে, মহাশয়, তিন বৎসর এ-দলে থেকে আবার ও-দলে গেল। যাবার সময় আবার গালাগালি দিয়ে গেল। আমি বললাম, তুমি লক্ষণ দেখ না কেন, যাকে তাকে চেলা করলে কি হয়?”

    কেশবকে শিক্ষা—আদ্যাশক্তিকে মানো 

    “আর কেশবকে বলেছিলাম, আদ্যাশক্তিকে মানো। ব্রহ্ম আর শক্তি অভেদ—যিনিই ব্রহ্ম তিনিই শক্তি। যতক্ষণ দেহবুদ্ধি, ততক্ষণ দুটো বলে বোধ হয়। বলতে গেলেই দুটো। কেশব কালী (শক্তি) মেনেছিল।

    “একদিন কেশব শিষ্যদের সঙ্গে এখানে এসেছিল। আমি বললাম, তোমার লেকচার শুনব। চাঁদনিতে বসে লেকচার দিলে। তারপর ঘাটে এসে বসে অনেক কথাবার্তা হল। আমি বললাম, যিনিই ভগবান তিনিই একরূপে ভক্ত। তিনিই একরূপে ভাগবত। তোমরা বল ভাগবত-ভক্ত-ভগবান। কেশব বললে, আর শিষ্যেরাও একসঙ্গে বললে, ভাগবত-ভক্ত-ভগবান। যখন বললাম, ‘বল গুরু-কৃষ্ণ-বৈষ্ণব’, তখন কেশব বললে, মহাশয়, এখন অত দূর নয়, তাহলে লোকে গোঁড়া বলবে।”

    পূর্বকথা— শ্রীরামকৃষ্ণের মূর্ছা—মায়ার কাণ্ড দেখে 

    “ত্রিগুনাতীত হওয়া বড় কঠিন। ঈশ্বরলাভ না করলে হয় না। জীব মায়ার রাজ্যে বাস করে। এই মায়া ইশ্বরকে জানতে দেয় না। এই মায়া মানুষকে অজ্ঞান করে রেখেছে। হৃদে একটা এঁড়ে বাছুর এনেছিল। একদিন দেখি, সেটিকে বাগানে বেঁধে দিয়েছে ঘাস খাওয়াবার জন্য। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হৃদে, ওটাকে রোজ ওখানে বেধে রাখিস কেন? হৃদে বললে, ‘মামা, এঁড়েটিকে দেশে পাঠিয়ে দিব। বড় হলে লাঙল টানবে।’ যাই এ-কথা বলেছে আমি মূর্ছিত হয়ে পড়ে গেলাম! মনে হয়েছিল কি মায়ার খেলা! কোথায় কামারপুকুর, সিওড়—কোথায় কলকাতা! এই বাছুড়টি যাবে, ওই পথ! সেখানে বড় হবে। তারপর কতদিন পরে লাঙল টানবে—এরই নাম সংসার,—এরই নাম মায়া!

    “অনেকক্ষণ পরে মূর্ছা ভেঙেছিল।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোটানায় বাংলাদেশ! একদিকে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে চাইছে শিক্ষিত মহল। আর একদিকে ইসলামি অ্যাজেন্ডার (Caliphate) দিকে ঝুঁকছে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis)। বাংলাদেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র বা খিলাফতে রূপান্তরিত করতে চাইছে ইসলামপন্থী, জেহাদি এবং খিলাফতকামী গোষ্ঠীগুলি।

    নেতৃত্বে ইউনূস (Bangladesh Crisis)

    এদের নেতৃত্বে রয়েছেন ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্বও। ইউনূস সরকারের এহেন আচরণে যারপরনাই উল্লসিত পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠান, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মূলত তাদেরই খুশি করতে কট্টর ভারত বিরোধিতার পন্থা নিয়েছে ইউনূস প্রশাসন। এই পরিস্থিতি ইসলামাবাদের নতুন “বাংলাদেশ ২.০”-এর আকাঙ্ক্ষাকে আরও উস্কে দিয়েছে। পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি কনফেডারেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যমে এই দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে “বাংলাদেশ ২.০”-কে “পূর্ব পাকিস্তান” হিসেবেও উল্লেখ করা হচ্ছে। তারা ১৯৭১ সালের পরবর্তী বাংলাদেশি সরকারগুলিকে “নির্মম শাসক” বলেও অভিহিত করছে (Bangladesh Crisis)।

    পাক মিডিয়ার প্রচার

    ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। যে আন্দোলনের জেরে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল, সেই ঘটনাকে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো “দশকের পর দশক ধরে চলা নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিপ্লবী আন্দোলন” বলে বর্ণনা করেছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পালিত হয়েছে পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার ৭৬তম মৃত্যু বার্ষিকী। নবাব সলিমুল্লাহ অ্যাকাডেমি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উর্দু গান ও কবিতা পরিবেশিত হয়। এতে পাকিস্তানপন্থী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্তা, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক এবং নাগরিক সমাজের সদস্যরা (Caliphate) উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে বক্তরা জিন্নাহর পাকিস্তান সৃষ্টিতে ভূমিকার উপর জোর দেন। ঢাকার ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে জিন্নাহ অ্যাভেনিউ রাখার প্রস্তাব দেন। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলি থেকে গোলাবারুদ, আরডিএক্স বিস্ফোরক এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রজেক্টাইল কিনেছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পাকিস্তানের বহুজাতিক সামরিক মহড়া “ইনডাস শিল্ড-২০২৪”-এ অংশগ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে ইসলাবমাদ থেকে চিনা-নির্মিত জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারেও খোঁজখবর (Bangladesh Crisis) করেছে।

    খিলাফতে পরিণত করার চেষ্টা

    জানা গিয়েছে, ইউনূস প্রশাসন যখন ক্রমেই বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে সচেষ্ট, তখন বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা দেশের সার্বভৌমত্ব বা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহ্যকে খাটো করার যে কোনও চেষ্টার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। তা সত্ত্বেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হিযবুত তাহরীর এবং আল কায়েদা ও আইএস-এর সহযোগী বিভিন্ন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী বাংলাদেশে ইউনূসের নেতৃত্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হিসাবে চিহ্নিত করে, পাকিস্তানের আইএসআই তাকে দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চেষ্টার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচার চালানো।

    সক্রিয় হামাসও

    বাংলাদেশের এই ডামাডোলের সুযোগ নিতে শুরু করেছে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসও। তারা রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি করেছে (Caliphate)। সেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এর আগে, বাংলাদেশের কিছু আদালত বেশ কয়েকজন সেনা কর্তাকে এক্সট্রাজুডিশিয়াল হত্যা ও জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। দেশে গোপন আটককেন্দ্র চালানোর অভিযোগ তুলে সুপরিকল্পিত প্রচার চালানো হয়েছে, যা গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সংস্থার বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: “মোদির নেতৃত্বে ভারত হবে এক বা দু’নম্বর অর্থনীতির দেশ”, বললেন চন্দ্রবাবু

    উবে গেল ‘মায়ের ডাক’

    হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের কয়েক মাস আগে, ‘মায়ের ডাক’ নামে একটি সংগঠন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক কভারেজ পাচ্ছিল। এই সংগঠনের সংগঠকরা “নিখোঁজ” পরিবারের সদস্যরা ফিরে এসেছে বলে দাবি করেছিল। হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ‘মায়ের ডাক’ হঠাৎ উবে গেল কর্পূরের মতো। এর নেপথ্যে বাইডেন প্রশাসন এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের (বিশেষ করে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস) সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা ছিল বলে অভিযোগ।

    সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞ দমসানা রণধীরণ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে (Bangladesh Crisis) জামাত-ই-ইসলামি এবং মুসলিম ব্রাদারহুড কংগ্রেস ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখে। যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ সামনে আসে, তবে এটি দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী মূলত ইসলামপন্থা এবং জেহাদবাদের ঘোরতর বিরোধী। তারা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষা করতে এবং ইসলামিক রিপাবলিক বা খিলাফত (Caliphate) প্রতিষ্ঠার যে কোনও প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” রণধীরণ বলেন, “আইএসআই-নিযুক্ত লবিস্ট এবং হামাসপন্থী আইন প্রণেতাদের কার্যকলাপ তীব্রভাবে পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরি (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 259: “দত্তাত্রেয় এঁরা ব্রহ্মদর্শন করে খবর দিতে পারেন নাই, ব্রহ্মজ্ঞানে সমাধি হলে আর ‘আমি’ থাকে না”

    Ramakrishna 259: “দত্তাত্রেয় এঁরা ব্রহ্মদর্শন করে খবর দিতে পারেন নাই, ব্রহ্মজ্ঞানে সমাধি হলে আর ‘আমি’ থাকে না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে জুলাই

    “গুণত্রয়ব্যতিরিক্তং সচ্চিদানন্দস্বরূপঃ”
    “ব্রহ্ম ত্রিগুণাতীত—মুখে বলা যায় না”

    “ব্রহ্ম কি, তা মুখে যায় না। যার হয় সে খবর দিতে পারে না। একটা কথা আছে, কালাপানিতে জাহাজ গেলে আর ফিরে না।

    “চার বন্ধু ভ্রমণ করতে করতে পাঁচিলে ঘেরা একটা জায়গা দেখতে পেলে। খুব উঁচু পাঁচিল। ভিতরে কি আছে দেখবার জন্য সকলে বড় উৎসুক হল। পাঁচিল বেয়ে একজন উঠল। উঁকি মেরে যা দেখলে, তাতে অবাক হয়ে ‘হা হা হা হা’ বলে ভিতরে পড়ে গেল। আর কোন খবর দিল না। যে-ই উঠে সে-ই ‘হা হা হা হা’ করে পড়ে যায়। তখন খবর আর কে দেবে?”

    জড়ভরত, দত্তাত্রেয়, শুকদেব—এঁদের ব্রহ্মজ্ঞান 

    “জড়ভরত, দত্তাত্রেয় এঁরা ব্রহ্মদর্শন করে আর খবর দিতে পারেন নাই, ব্রহ্মজ্ঞান হয়ে সমাধি হলে আর ‘আমি’ থাকে না। তাই রামপ্রসাদ বলেছে, ‘আপনি যদি না পারিস মন তবে রামপ্রসাদকে সঙ্গে নে না।’ মনের লয় হওয়া চাই, আবার ‘রামপ্রসাদের’ অর্থাৎ অহংতত্ত্বের লয় হওয়া চাই। তবে সেই ব্রহ্মজ্ঞান হয়।”

    একজন ভক্ত—মহাশয়, শুকদেবের কি জ্ঞান হয় নাই?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেউ কেউ বলে, শুকদেব ব্রহ্মসমুদ্রের দর্শন-স্পর্শন মাত্র করেছিলেন, নেমে ডুব দেন নাই। তাই ফিরে এসে অত উপদেশ দিয়েছিলেন। কেউ বলে, তিনি ব্রহ্মজ্ঞানের পর ফিরে এসেছিলেন—লোকশিক্ষার জন্যে। পরীক্ষিৎকে ভাগবত বলবেন আরও কত লোকশিক্ষা দিবেন, তাই ইশ্বর তাঁর সব ‘আমি’র লয় করেন নাই। বিদ্যার ‘আমি’ এক রেখে দিয়েছিলেন।

    কেশবকে শিক্ষা—দল (সাম্প্রদায়িকতা) ভাল নয় 

    একজন ভক্ত—ব্রহ্মজ্ঞান হলে কি দলটল থাকে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেশব সেনের সঙ্গে ব্রহ্মজ্ঞানের কথা হচ্ছিল। কেশব বললে, আরও বলুন। আমি বললুম, আর বললে দলটল থাকে না। তখন কেশব বললে, তবে আর থাক, মশাই। (সকলের হাস্য) তবু কেশবকে বললুম, ‘আমি’ ‘আমার’ এটি অজ্ঞান। ‘আমি কর্তা’ আর আমার এই সব স্ত্রী, পুত্র, বিষয়, মান, সম্ভ্রম—এ-ভাব অজ্ঞান না হলে হয় না। তখন কেশব বললে, মহাশয়, ‘আমি’ ত্যাগ করলে যে আর কিছুই থাকে না। আমি বললুম, কেশব তোমাকে সব ‘আমি’ ত্যাগ করতে বলছি না, তুমি ‘কাঁচা আমি’ ত্যাগ কর। “আমি কর্তা” “আমার স্ত্রী-পুত্র” “আমি গুরু” —এ-সব অভিমান, “কাঁচা আমি”। এইটি ত্যাগ করে “পাকা আমি” হয়ে থাক—“আমি তাঁর দাস, আমি তাঁর ভক্ত, আমি অকর্তা, তিনি কর্তা।”

    ঈশ্বরের আদেশ পেয়ে তবে ধর্মপ্রচার করা উচিত 

    একজন ভক্ত—“পাকা আমি” কি দল করতে পারে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেশব সেনকে বললুম, আমি দলপতি দল করেছি, আমি লোকশিক্ষা দিচ্ছি—এ ‘আমি’ “কাঁচা আমি”। মত প্রচার বড় কঠিন। ঈশ্বরের আজ্ঞা ব্যতিরেকে হয় না। তাঁর আদেশ চাই। যেমন শুকদেব ভাগবতকথা বলতে আদেশ পেয়েছিলেন। যদি ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার করে কেউ আদেশ পায়—সে যদি প্রচার করে, লোকশিক্ষা দেয় দোষ নাই। তার ‘আমি’ “কাঁচা আমি” নয়—“পাকা আমি”।

    “কেশবকে বলেছিলাম, ‘কাঁচা আমি’ ত্যাগ কর। ‘দাস আমি’ ‘ভক্তের আমি’ এতে কোন দোষ নাই।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 258: “সংসারই অরণ্য, এই বনে সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুণ ডাকাত, জীবের তত্ত্বজ্ঞান কেড়ে লয়”

    Ramakrishna 258: “সংসারই অরণ্য, এই বনে সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুণ ডাকাত, জীবের তত্ত্বজ্ঞান কেড়ে লয়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে জুলাই

    “গুণত্রয়ব্যতিরিক্তং সচ্চিদানন্দস্বরূপঃ”
    “ব্রহ্ম ত্রিগুণাতীত—মুখে বলা যায় না”

    মাস্টার—দয়াও কি একটা বন্ধন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সে অনেক দূরের কথা। দয়া সত্ত্বগুণ থেকে হয়। সত্ত্বগুণে পালন, রজোগুণে সৃষ্টি, তমোগুণে সংহার। কিন্তু ব্রহ্ম সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুণের পার। প্রকৃতির পার।

    “যেখানে ঠিক ঠিক সেখানে গুণ পৌঁছিতে পারে না। চোর যেমন ঠিক জায়গায় যেতে পারে না, ভয় হয় পাছে ধরা পড়ে। সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুনই চোর। একটা গল্প বলি শুন —

    “একটি লোক বনের পথ দিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময়ে তাকে তিনজন ডাকাত এসে ধরলে। তারা তার সর্বস্ব কেড়ে নিলে। একজন চোর বললে, আর এ লোকটাকে রেখে কি হবে? এই কথা বলে খাঁড়া দিয়ে কাটতে এল। তখন আর-একজন চোর বললে, না হে কেটে কি হবে? একে হাত-পা বেঁধে এখানে ফেলে যাও। তখন তাকে হাত-পা বেঁধে ওইখানেরেখে চোরেরা চলে গেল। কিছুক্ষণ পরে তাদের মধ্যে একজন ফিরে এসে বললে, ‘আহা, তোমার কি লেগেছে? এস, আমি তোমার বন্ধন খুলে দিই।’ তার বন্ধন খুলে দিয়ে চোরটি বললে (Kathamrita), ‘আমার সঙ্গে সঙ্গে এস, তোমায় সদর রাস্তায় তুলে দিচ্ছি।’ অনেকক্ষণ পরে সদর রাস্তায় এসে বললে, ‘এই রাস্তা ধরে যাও, ওই তোমার বাড়ি দেখা যাচ্ছে।’ তখন লোকটি চোরকে বললে, ‘মশাই, আমার অনেক উপকার করলেন, এখন আপনিও আসুন, আমার বাড়ি পর্যন্ত যাবেন।’ চোর বললে, ‘না, আমার ওখানে যাবার জো নাই, পুলিসে টের পাবে।’

    “সংসারই অরণ্য। এই বনে সত্ত্বরজস্তমঃ তিনগুণ ডাকাত, জীবের তত্ত্বজ্ঞান কেড়ে লয় (Kathamrita)। তমোগুণ জীবের বিনাশ করতে যায়। রজোগুণ সংসারে বদ্ধ করে। কিন্তু সত্ত্বগুণ, রজস্তমঃ থেকে বাঁচায়। সত্ত্বগুণের আশ্রয় পেলে কাম-ক্রোধ এই সব তমোগুণ থেকে রক্ষা হয়। সত্ত্বগুণও আবার জীবের সংসারবন্ধন মোচন করে। কিন্তু সত্ত্বগুণও চোর, তত্ত্বজ্ঞান দিতে পারে না। কিন্তু সেই পরম ধামে যাবার পথে তুলে দেয়। দিয়ে বলে, ওই দেখ, তোমার বাড়ি ওই দেখা যায়! যেখানে ব্রহ্মজ্ঞান (Ramakrishna) সেখান থেকে সত্ত্বগুণও অনেক দূরে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি অমৃত স্নানে যোগদান করবেন, জানালেন যোগী

    Mahakumbh Mela 2025: রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি অমৃত স্নানে যোগদান করবেন, জানালেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর উত্তরপ্রদেশে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিন্দু মেলার মহা আয়োজনে মহাপুণ্যস্নান অংশগ্রহণ করছেন ভারত সহ বিশ্বের সনাতনী সমাজের বহু মানুষ। এই অমৃত স্নানের মূল উদ্দেশ্য হল গঙ্গা, যমুনা (পৌরাণিক) সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে মোক্ষলাভ। পুরাণে কথিত আছে,  গঙ্গায় সমুদ্রমন্থনের ফলে উৎপন্ন অমৃতের কুম্ভ থেকে মহামুক্তির অমৃতের ফোঁটা পড়েছিল প্রয়াগরাজের এই নদীসঙ্গমে। তাই পবিত্র গঙ্গায় ডুব দিয়ে সকল পাপের স্খলন হয় এবং জগত-জীবন সব কিছুর পরিবর্তন হয়। এই মাহেন্দ্রক্ষণে সূর্য মকরে প্রবেশ করে এবং বৃহস্পতি ভালো জায়গায় অবস্থান করে, ফলে জগতবাসীর কল্যাণ হয়। সকল অশুভ শক্তির পরাজয় হয় এবং শুভ শক্তির উদয় হয়। এবার এই মহাকুম্ভের পুণ্যতিথিতে কোটি কোটি ভক্তদের সঙ্গে অমৃত স্নান যাত্রায় (Mahakumbh Mela 2025) অংশগ্রহণ করবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই কথা জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে।

    ব্যবস্থায় কমতি রাখা নিয়ে আপোশ করবেন না যোগী (Mahakumbh Mela 2025)

    ইতিমধ্যে ১৪ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা এবং ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তিতে আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং সৌদি আরব থেকে অনেক ভক্ত অমৃতস্নানে (Mahakumbh Mela 2025) অংশ নিয়েছেন। রাশিয়ার সনাতনী ভক্ত অনর্গল বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ করে মহাকুম্ভের আধ্যাত্মিক ভাবকে বিশ্বের কাছে আরও ছড়িয়ে দিয়েছেন। আগামী ২৯ জানুয়ারি রয়েছে মৌনী অমাবস্যা এবং ৩ জানুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীর অমৃত স্নান। এদিন মুখ্যমন্ত্রী যোগী জানিয়েছেন, আনুমানিক ৮-১০ কোটি পুণ্যার্থী পবিত্র গঙ্গায় স্নান করবেন। তাই যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে মেলার পরিষেবায় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং প্রয়োজনীয় যাতায়াতের বিশেষ নজর রেখেছেন তিনি। রবিবার মেলায় একটি স্থানে আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনায় সঠিক তদন্তের নির্দেশ দিয়ে প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকদের মেলার ব্যবস্থাকে আরও কড়া ভাবে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কট্টর মৌলবাদীরা আগেই কুম্ভকে টার্গেট করার হুমকি দিয়েছিল। তাই কোনও ব্যবস্থায় খামতি নিয়ে কোনও আপোশ করবেন না বলে সাফ নির্দেশ দিয়েছেন যোগী।

    রাজ্যের মন্ত্রীসভার বৈঠক ২২ জানুইয়ারি মেলাপ্রাঙ্গণে

    এদিন প্রশাসনিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath) বলেন, “বিশেষ দিনে ভালো ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য পন্টুন সেতুতে চলাচল একমুখী রাখতে হবে। মৌনী অমাবস্যা ও বসন্ত পঞ্চমীতে পুরো মেলা এলাকাকে নো-ভেহিক্যাল জোন ঘোষণা করতে হবে। ভক্তদের অনুভূতিকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং কর্মকর্তাদের অবশ্যই প্রয়োজনে কাউকে সহায়তা করতে হবে। প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি যথা সময়ে শেষ করতে হবে। একই ভাবে রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠক আগামী ২২ জানুয়ারি এই মেলাপ্রাঙ্গণেই (Mahakumbh Mela 2025) অনুষ্ঠিত হবে।”

    আরও পড়ুনঃ মহাকুম্ভে অগ্নিকাণ্ডের পরে ত্রিবেণী সঙ্গম পরিদর্শন যোগীর, দিলেন একগুচ্ছ নির্দেশিকা

    ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং পার্কিং ব্যবস্থার দিকে সজাগ নজর

    আবার মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) একটি প্রশাসনিক যোগী বৈঠকে বলেন, “প্রায় দেড় কোটি ভক্ত বর্তমানে মেলার মাঠে উপস্থিত রয়েছেন এবং ৭ কোটিরও বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই ত্রিবেণীতে পবিত্র অমৃত স্নান করেছেন। প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রচুর জনসমাগম প্রত্যাশা করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুদৃঢ় ব্যবস্থা করা হবে। আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ, পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের যথাযথ ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। ভ্রম্যমান সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং একটি সুপরিকল্পিত ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের বিশেষ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের ভালোভাবে পরিচালনার জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং পার্কিং ব্যবস্থার দিকে নজর রাখার উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

    মিডিয়া, পুলিশ এবং ভক্তদের মধ্যে সমন্বয় রাখা

    যোগী (Yogi Adityanath) মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবাগুলি উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন একই ভাবে। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে মিডিয়া, পুলিশ এবং ভক্ত সহ সকলের সঙ্গে সংযোগকে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে। মেলার টাওয়ারগুলি থেকে সব দিকে নজরদারি ঠিক করে রাখতে হবে। মেলার প্রচার প্রসারকে সঠিক ভাবে আগত ভক্তদের কাছে তুলে ধরতে হবে। জরুরি পরিষেবাগুলিকে আরও বেশি করে জনমুখী করে দিতে হবে। ভক্তরা যাতে কাছের ঘাটগুলিতে স্নান করতে পারেন এবং হাঁটার জন্য প্রয়োজনীয় দূরত্ব কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। হারিয়ে যাওয়া এবং খুঁজে পাওয়া কেন্দ্রগুলির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য স্থানীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    রেলকে বিশেষ ভাবে সক্রিয় থাকার বার্তা

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath) রেল কর্তৃপক্ষকে ২৫ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে বিশেষ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের অনুরোধ বলেছেন। ট্রেনের সময়সূচি এবং প্ল্যাটফর্ম নম্বর সম্পর্কে নিয়মিত ঘোষণার গুরুত্বের উপর জোর দেন। একটি প্ল্যাটফর্মে যদি রেলের ঘোষণা করে দেওয়া হয় বা বরাদ্দ করা হয় তাহলে তা যেন অপরিবর্তিত থাকে। নয়তো ভিড় আর অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। স্নান করার পরে, ভক্তরা তাঁদের গন্তব্যে দ্রুত ফিরে যেতে পারেন তাই ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে রেলের আধিকারিকদের পরিষেবাকে অতি সক্রিয় রাখার অনুরোধ করেন। দৈনিক ট্রেন, মেলা (Mahakumbh Mela 2025) স্পেশাল ট্রেনের জন্য আলাদা স্টেশনগুলিকে সচল রাখার উপদেশও দিয়েছেন।

         

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 257: “পণ্ডিত অনেকক্ষণ বেহুঁশ হয়ে রইল, একটু হুঁশ হবার পর, কা! কা! কা! কালী-এই শব্দ কেবল করতে লাগল”

    Ramakrishna 257: “পণ্ডিত অনেকক্ষণ বেহুঁশ হয়ে রইল, একটু হুঁশ হবার পর, কা! কা! কা! কালী-এই শব্দ কেবল করতে লাগল”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২২শে জুলাই

    দক্ষিণেশ্বর-কালীবাটীতে ভক্তসঙ্গে ব্রহ্মতত্ত্ব ও আদ্যাশক্তির বিষয়ে
    কথোপকথন—বিদ্যাসাগর ও কেশব সেনের কথা

    জ্ঞানযোগ ও নির্বাণমত 

    একটি বাগানে ছিল। আমার পণ্ডিত দেখবার ইচ্ছা হল। হৃদেকে পাঠিয়ে দিলুম জানতে, অভিমান আছে কি না? শুনলাম, পণ্ডিতের (Kathamrita) অভিমান নাই। আমার সঙ্গে দেখা হল। এত জ্ঞানী আর পণ্ডিত, তবু আমার মুখে রামপ্রসাদের গান শুনে কান্না! কথা কয়ে এমন সুখ কোথাও পাই নাই। আমায় বললে, ‘ভক্তের সঙ্গ করব এ-কামনা ত্যাগ করো, নচেৎ নানারকমের লোক তোমায় পতিত করবে।’ বৈষ্ণবচরণের গুরু উৎসবানন্দের সঙ্গে লিখে বিচার করেছিল, আমায় আবার বললে, আপনি একটু শুনুন। একটা সভায় বিচার হয়েছিল—শিব বড়, না, ব্রহ্মা বড়। শেষে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা পদ্মলোচনকে জিজ্ঞাসা (Kathamrita) করলে। পদ্মলোচন এমনি সরল, সে বললে, ‘আমার চৌদ্দপুরুষ শিবও দেখে নাই, ব্রহ্মাও দেখে নাই।’ কামিনী-কাঞ্চনত্যাগ শুনে আমায় একদিন বললে, ‘ও-সব ত্যাগ করেছ কেন? এটা টাকা, এটা মাটি—এ ভেদবুদ্ধি তো অজ্ঞান থেকে হয়।’ আমি কি বলব—বললাম, কে জানে বাপু, আমার টাকা-কড়ি ও-সব ভাল লাগে না।”

    বিদ্যাসাগরের দয়া—কিন্তু অন্তরে সোনা চাপা 

    “একজন পণ্ডিতের ভারী অভিমান ছিল। ঈশ্বরের (Kathamrita) রূপ মানত না। কিন্তু ঈশ্বরের কার্য কে বুঝবে? তিনি আদ্যাশক্তিরূপে দেখা দিলেন। পণ্ডিত অনেকক্ষণ বেহুঁশ হয়ে রইল। একটু হুঁশ হবার পর, কা! কা! কা! (অর্থাৎ কালী) এই শব্দ কেবল করতে লাগল।”

    ভক্ত—মহাশয়, বিদ্যাসাগরকে দেখেছেন(Kathamrita), কিরকম বোধ হল?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—বিদ্যাসাগরের পাণ্ডিত্য আছে, দয়া আছে, কিন্তু অর্ন্তদৃষ্টি নাই। অন্তরে সোনা চাপা আছে, যদি সেই সোনার সন্ধান পেত, এত বাহিরের কাজ যা কচ্ছে সে-সব কম পড়ে যেত; শেষে একেবারে ত্যাগ হয়ে যেত। অন্তরে হৃদয়মধ্যে ঈশ্বর আছেন—এ-কথা জানতে পারলে তাঁরই ধ্যান চিন্তায় মন যেত। কারু কারু নিষ্কামকর্ম অনেকদিন করতে করতে শেষে বৈরাগ্য হয়, আর ওইদিকে মন যায়; ঈশ্বরে মন লিপ্ত হয়।

    “ঈশ্বর বিদ্যাসাগর যেরূপ কাজ করছে সে খুব ভাল (Kathamrita)। দয়া খুব ভাল। দয়া আর মায়া অনেক তফাত। দয়া ভাল, মায়া ভাল নয়। মায়া আত্মীয়ের উপর ভালবাসা—স্ত্রী, পুত্র, ভাই, ভগিনী, ভাইপো, ভাগনে, বাপ, মা এদেরই উপর। দয়া সর্বভূতে সমান ভালবাসা।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share