Tag: news in bengali

news in bengali

  • Saif Ali Khan: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    Saif Ali Khan: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের বাড়িতেই ধারালো ছুরি দিয়ে কোপানো হল বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানকে (Saif Ali Khan)। জখম অভিনেতাকে হাসপাতালে (Lilavati Hospital) ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বুধবার রাত ২টো নাগাদ সইফের বাড়িতে আক্রমণ চালায় এক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই এই দুষ্কৃতী হানা দিয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ। তারপরে ওই দুষ্কৃতী অভিনেতা সইফকে ছুরি দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। এরপরেই জখম অভিনেতাকে ভর্তি করা হয় মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে।

    কীভাবে হামলা

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের বান্দ্রায় যে আবাসনে অভিনেতা (Saif Ali Khan) থাকেন, সেটির নাম ‘সৎগুরু শরণ বিল্ডিং’। এই আবাসনেই থাকেন সইফের স্ত্রী তথা বলিউড অভিনেত্রী করিনা কপূর। সঙ্গে থাকেন তাঁর সন্তান, আট বছরের তৈমুর এবং চার বছরের জাহাঙ্গির। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতী যখন অভিনেতার বাড়িতে হানা দেয়, সেই সময় ঘুমোচ্ছিলেন অভিনেতা এব‌ং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা। জানা গিয়েছে, রাত আড়াইটে নাগাদ দুষ্কৃতি বাড়িতে ঢোকে। এরপর আলমারি খুলে চুরি করতে থাকে, এমন সময় শব্দ হয়। তাতেই জেগে যান পরিচারকরা। এরপর চিৎকার করলে দুষ্কৃতি পালানোর চেষ্টা করে। তখনই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সইফ। দুষ্কৃতীর সঙ্গে একেবারে মুখোমুখি হয়ে যান তিনি। তখনই ভয় পেয়ে দুষ্কৃতী সইফের ওপরে হামলা করে। তাঁকে ছুরি মেরে পালায়।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    জানা গিয়েছে, বান্দ্রা থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকে দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। এই প্রসঙ্গে এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সইফ (Saif Ali Khan) আলি খান লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এটা স্পষ্ট নয় যে, তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে, না কি ডাকাতের সঙ্গে ধস্তাধস্তির জেরে তিনি আহত হয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। একই সঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।”

    ৬ জায়গায় আঘাত পেয়েছেন অভিনেতা

    লীলাবতী হাসপাতালের ডাক্তার নীরজ উত্তমানি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ সইফকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অভিনেতার শরীরে ছ’টি ক্ষত রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি ক্ষত গভীর বলে জানিয়েছেন নীরজ। শিরদাঁড়াতেও অভিনেতা আঘাত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  ED Raid: ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণাকাণ্ডে হাওড়ায়, বেহালায় অভিযান ইডির

     ED Raid: ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণাকাণ্ডে হাওড়ায়, বেহালায় অভিযান ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরে ইডি হানা (ED Raid)। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি কলকাতার বেহালাতেও চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, শিবপুরের (Howrah) এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার তদন্তের কারণে এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে দীপক জৈন নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা।

    ডিসেম্বর মাসে সঞ্জয় সুরেখা নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও চলেছিল তল্লাশি

    এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে সঞ্জয় সুরেখা নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও চলেছিল তল্লাশি (ED Raid)। তখন ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ২ কোটি টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয় ২টি গাড়ি। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাঙ্ক প্রতারণার সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবারের ইডি হানা।

    বিভিন্ন সংস্থার নাম করে আর্থিক লেনদেন চালানো হত

    স্টিল কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণার (ED Raid) অভিযোগ রয়েছে। এই কোম্পানি বিভিন্ন সংস্থার নাম করে আর্থিক লেনদেন চালাত বলে অভিযোগ। সেই মামলার তদন্তেই আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অভিযানে নামে ইডি। হাওড়ার (ED Raid) পাশাপাশি বেহালার একটি আবাসনে পৌঁছে গিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছে তল্লাশি।

    ২০২২ সাল থেকে তদন্তে ইডি

    এই মামলায় আদালতে ইডি আগেই অভিযোগ করেছিল, ১০ বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক আমানত তছরুপ করা হয়েছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় সুরেখাকে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করে ইডির দাবি ছিল, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৬টি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬২০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে শতাধিক ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। ২০২২ সালে সিবিআইয়ের এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    Rahul Gandhi: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস শুধু বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়, বরং পুরো ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করছে।” আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। বুধবার দিল্লিতে (Indian State) এআইসিসির সদর দফতরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাহুল। সেখানেই তিনি ‘দেশদ্রোহিতা’র কথা বলেন।

    কী বললেন রাহুল? (Rahul Gandhi)

    রাহুল বলেন, “ভাববেন না আমরা একটি ন্যায্য লড়াই করছি। আপনি যদি মনে করেন আমরা বিজেপি এবং আরএসএস নামক একটি রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাহলে জেনে রাখুন তারা আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দখল করেছে। এখন আমরা শুধু বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়, বরং ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করছি।”

    নির্বাচন কমিশনকে নিশানা

    তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের কার্যপদ্ধতি নিয়ে অস্বস্তিতে আছি। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রায় এক কোটি নতুন ভোটারের হঠাৎ উপস্থিতি সমস্যাজনক। বিধানসভা নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছেন তাঁদের নাম এবং ঠিকানা-সহ ভোটার তালিকা সরবরাহ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। অথচ নির্বাচন কমিশন এই তথ্য সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় একটি গুরুতর সমস্যা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব স্বচ্ছ হওয়া।”  তিনি (Rahul Gandhi) বলেন, “নির্বাচন কমিশন কেন ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করতে রাজি হবে না? আমাদের তালিকা না দিয়ে তারা কোন উদ্দেশ্য সাধন করছে, এবং কেন তারা এটা গোপন রাখছে? স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। কেন এটা ঘটেছে, তা ব্যাখ্যা করা তাদের পবিত্র দায়িত্ব।”

    আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ইন্দোরের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন। ভাগবতকে (Indian State) নিশানা করতে গিয়েই ভারত বিরোধিতার কথা বলেন রাহুল (Rahul Gandhi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mahakumbh Mela 2025: কুম্ভমেলায় ৫০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ, ১৩০০০ ট্রেনের মহা আয়োজন ভারতীয় রেলের

    Mahakumbh Mela 2025: কুম্ভমেলায় ৫০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ, ১৩০০০ ট্রেনের মহা আয়োজন ভারতীয় রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) ভারতীয় রেল যেন কল্পতরু। উত্তর প্রদেশ সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল মেলায় ৪০-৪৫ কোটি মানুষের সমাগম হবে। তাই ভারতীয় রেল তীর্থযাত্রীদের পরিষেবায় ৫০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ১৩০০০ ট্রেন এবং ৫৫০টি টিকিট কাউন্টার সহ আরও একাধিক ব্যবস্থা করেছে রেল। ত্রিবেণী সঙ্গমের স্নানের আয়োজনকে আরও নিরাপদ এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল। ১৪ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমার দিন থেকে মেলার পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে, চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত। দেশ এবং বিদেশের প্রচুর সাধু-সন্ত, সন্ন্যাসী, মুনিঋষি, যোগী, তান্ত্রিক এবং সাধারণ ভক্ত প্রতিদিন গঙ্গায় ডুব দিয়ে মোক্ষলাভের বাসনা চরিতার্থ করতে সমবেত হচ্ছেন।

    ১৮৬৯টি ট্রেন স্বল্প-দূরত্বের ট্রেন চলছে (Mahakumbh Mela 2025)

    পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মহামিলন মেলার (Mahakumbh Mela 2025) যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেলের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। জানা গিয়েছে, আগের কুম্ভমেলা থেকে এবারের মহাকুম্ভে প্রায় ৪-৫ গুণ বেশি ভক্ত সমাগম হবে। তাই জাতীয় পরিবহণ ব্যবস্থা হিসেবে মেলার জন্য ১৩,০০০টি ট্রেন চালানোর কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ১০,০০০টি ট্রেন নিয়মিত চলবে এবং ৩১৩৪টি ট্রেন বিশেষ ট্রেন হিসবে চালানো হবে। ভারতীয় রেল ১৮৬৯টি ট্রেন স্বল্প-দূরত্বে চালাবে এবং ৫৫৯ রিং ট্রেন চালানো হবে। এই কুম্ভে তীর্থযাত্রীদের যাতে যাওয়া-আসায় সমস্যা না হয় তাই মালবাহী ট্রেনগুলিকে ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর হয়ে ঘুরপথে চালানোর কথা জানানো হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভব্য মহাকুম্ভকে দিব্য মহাকুম্ভ করতে রেল যে কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছে না, এসব ব্যবস্থাই তার বড় প্রমাণ। 

    ৩৭০০ কোটি টাকার দুটি বড় প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছে রেল

    ভারতীয় রেল মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) পরিষেবা দেওয়ার কাজে ৩৭০০ কোটি টাকা দুটি বড় প্রকল্পে খরচ করেছে। তার মধ্যে রয়েছে বারাণসী থেকে প্রয়াগরাজ গঙ্গা সেতু এবং ফাফামাউ থেকে জাংহাই প্রকল্পের জন্য খরচ দ্বিগুণ করে কাজ করার কথা জানিয়েছে রেল। যেহেতু মেলায় প্রায় ৫০ কোটি মানুষের আয়োজনের লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে, তাই বিশেষ ভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পরিবহণের ওপর স্বভাবিক ভাবেই নজর দিতে হয়েছে। ব্যাপক ভিড়কে সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য রেলের সময়সূচির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপদে পুণ্য স্নানের জন্য আরও একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    রেলের কর্মীদের ২৪ ঘণ্টা সজাগ রাখা হয়েছে

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) প্রয়াগরাজ অঞ্চলে মোট ১১৭৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ২৩টি কেন্দ্রে ১ লক্ষ মানুষের থাকার জন্য শিবির নির্মাণ করা হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের দ্রুত রেলের টিকিট দিতে রঙিন টিকিট এবং বারকোড যুক্ত ইউটিএস মেশিনে টিকিট পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় তীর্থযাত্রীদের সব রকম সুবিধা দিতে রেলওয়ে পুলিশ, নিরাপত্তা কর্মী, যন্ত্রচালক, ইঞ্জিনিয়র, বিদ্যুৎ পরিচালনার কর্মী, এবং আরও একাধিক বিভাগের কর্মীদের ২৪ ঘণ্টা সজাগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ব্যবস্থায় আপতকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় মেডিক্যাল পরিষেবা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার মতো জরুরি পরিষেবা কেন্দ্র এবং বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্র গড়া হয়েছে।

    ২২টি ভাষায় একটি পথ নির্দেশিকা

    প্রয়াগরাজ শহরে যাত্রীদের পরিষেবা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে রেলওয়ে ৪৮টি প্ল্যাটফর্ম এবং ২১টি ফুট ওভার ব্রিজের অতরিক্ত সুবিধা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১৫১টি মোবাইল ইউটিএস কাউন্টার খোলা হয়েছে। আরও ৫৫৪টি টিকিট কাউন্টারে সরাসরি টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সড়ক ও রেলের মধ্যে যোগাযোগকে সরল করতে ২১টি আরওবি নির্মাণ করেছে রেল। ন’টি প্রধান স্টেশনে মোট ১২টি ভাষায় রেল ঘোষণার ব্যবস্থা করেছে। মোট ২২টি ভাষায় একটি পথ নির্দেশিকা বিষয়ক পুস্তিকাও চালু করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সেখানে দেওয়া হয়েছে। পুণ্যার্থীদের পুণ্যস্নানকে সুরক্ষিত (Mahakumbh Mela 2025) এবং আরও নিরাপদ করতে রেলের এই বিরাট আয়োজন এখন রেকর্ড গড়ার পথে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    Yogi Adityanath: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে ভিটে ছাড়া হয়েছিলেন ৪৭ বছর আগে (Sambhal)। ফিরলেন ৪৭ বছর পরে। তাঁদের ভিটেয় ফেরালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। ১৯৭৮ সালে হিংসার কারণে ভিটে ছেড়েছিলেন সম্ভলের বহু হিন্দু পরিবার। সেই সময় উচ্ছেদ হওয়া তিনটি হিন্দু পরিবারের জমির মালিকানা পুনরুদ্ধার করল যোগী প্রশাসন। এই তিন পরিবার হিংসায় হারিয়েছিলেন তাঁদের প্রিয়জনদের। বেহাত হয়ে গিয়েছিল ভিটেও। সেই জমিই ফেরত পেলেন তাঁরা।

    সম্ভল হিংসা (Yogi Adityanath)

    ১৯৭৮ সালে সম্ভল হিংসা উত্তরপ্রদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ অধ্যায়। সেবার প্রায় ২৫০ জন হিন্দুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল বা জীবন বাঁচাতে তাঁদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই হিংসায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তুলসী রামের পরিবার। দলিত এই হিন্দুর মৃত্যুর পর প্রাণের ভয়ে ঘরদোর ছেড়ে পালান ওই এলাকার হিন্দুরা। আশ্রয় নেন চন্দৌসি এবং অন্যান্য জায়গায়। জমি-ভিটে বেহাত হয়ে যাওয়ায় একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। হিন্দুদের কেড়ে নেওয়া জমিতে স্কুল গড়ে তোলে মুসলমানরা।

    কী বলছেন খুন হওয়া তুলসির পরিবার

    তুলসির পরিবারের সদস্য অমরিশ কুমার। সেদিনের সেই বর্বরতার সাক্ষী তিনি। বলেন, “দাঙ্গার সময় আমার দাদুকে খুন করা হয়েছিল। এরপর আমাদের আর কোনও উপায় ছিল না। বাড়ি, জমি-জিরেত, জীবিকা— সব কিছু ফেলে রেখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম।” তিনি বলেন, “হিংসা থেমে যাওয়ার পর ভিটেয় ফেরার চেষ্টা করেছিলাম। আমাদের তাড়া করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের বলা হয়েছিল, এখানে আমাদের আর কোনও জায়গা নেই।” বেহাত হয়ে যাওয়া জমি ফিরে পেয়ে যারপরনাই খুশি অমরিশ। বলেন, “আজ, আমরা ন্যায়বিচারের অনুভূতি (Yogi Adityanath) নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি। জমি অবশেষে আবার আমাদের হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ভারতের হুঁশিয়ারির পরই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইল জুকারবার্গের সংস্থা মেটা

    জমি ফিরে পেয়েছেন আশা দেবীও। তিনি বলেন, “রোডওয়েজ বাস স্টেশনের পিছনে আমাদের প্রায় ২.২৫ বিঘা জমি ছিল। অন্যরা দখল করে নিয়েছিল। সেখানে একটা স্কুল তৈরি করা হয়েছিল।” তিনি বলেন, “আমরা যখনই আমাদের ন্যায্য অধিকার ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করেছি, আমাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও, সবসময় মনে হতো সিস্টেম আমাদের কষ্টের প্রতি উদাসীন।” প্রসঙ্গত, দিন (Sambhal) কয়েক আগেই এই মামলাগুলি রি-ওপেন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 251: “এই শুন, এরই নাম নিরাকার সচ্চিদানন্দ-দর্শন, বিশুদ্ধচক্র ভেদ হলে সকলি আকাশ”

    Ramakrishna 251: “এই শুন, এরই নাম নিরাকার সচ্চিদানন্দ-দর্শন, বিশুদ্ধচক্র ভেদ হলে সকলি আকাশ”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    শ্রীযুক্ত অধর সেনের বাটীতে কীর্তনানন্দে

    রামালাল (Ramakrishna) আবার গাইলেন:

    ভবদারা ভয়হরা নাম শুনেছি তোমার,
    তাইতে এবার দিয়েছি ভার তারো তারো না তারো মা।
    তুমি মা ব্রহ্মাণ্ডধারী ব্রহ্মাণ্ড ব্যাপিকে,
    কে জানে তোমারে তুমি কালী কি রাধিকে,
    ঘটে ঘটে তুমি ঘটে আছ গো জননী,
    মূলাধার কমলে থাক মা কুলকুণ্ডলিনী।
    তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো নামে স্বাধিষ্ঠান,
    চতুর্দল পদ্মে তথায় আছ অধিষ্ঠান,
    চর্তুদলে থাক তুমি কুলকুণ্ডলিনী,
    ষড়দল বজ্রাসনে বস মা আপনি।
    তদূর্ধ্বেতে নাভিস্থান মা মণিপুর কয়,
    নীলবর্ণের দশদল পদ্ম যে তথায়,
    সুষুম্নার পথ দিয়ে এস গো জননী,
    কমলে কমলে থাক কমলে কামিনী।
    তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো সুধা সরোবর,
    রক্তবর্ণের দ্বাদশদল পদ্ম মনোহর,
    পাদপদ্মে দিয়ে যদি এ পদ্ম প্রকাশ।
    (মা), হৃদে আছে বিভাবরী তিমির বিনাশ।
    তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো নাম কণ্ঠস্থল,
    ধূম্রবর্ণের পদ্ম আছে হয়ে ষোড়শদল।
    সেই পদ্ম মধ্যে আছে অম্বুজে আকাশ,
    সে আকাশ রুদ্ধ হলে সকলি আকাশ।
    তদূর্ধ্বে ললাটে স্থান মা আছে দ্বিদল পদ্ম,
    সদায় আছয়ে মন হইয়ে আবদ্ধ।
    মন যে মানে না আমার মন ভাল নয়,
    দ্বিদলে বসিয়া রঙ্গ দেখয়ে সদায়।
    তদূর্ধ্বে মস্তকে স্থান মা অতি মনোহর,
    সহস্রদল পদ্ম আছে তাহার ভিতর।
    তথায় পরম শিব আছেন আপনি,
    সেই শিবের কাছে বস শিবে মা আপনি।
    তুমি আদ্যাশক্তি মা জিতেন্দ্রিয় নারী,
    যোগীন্দ্র মুনীন্দ্র ভাবে নগেন্দ্র কুমারী।
    হর শক্তি হর শক্তি সুদনের এবার,
    যেন না আসিতে হয় মা ভব পারাবার।
    তুমি আদ্যাশক্তি মাগো তুমি পঞ্চতত্ত্ব,
    কে জানে তোমারে তুমি তুমিই তত্ত্বাতীত।
    ওমা ভক্ত জন্য চরাচরে তুমি সে সাকার,
    পঞ্চে পঞ্চ লয় হলে তুমি নিরাকার।

    নিরাকার সচ্চিদানন্দ দর্শন—ষট্‌চক্রভেদ—নাদভেদ ও সমাধি 

    শ্রীযুক্ত রামলাল যখন গাহিতেছেন (Kathamrita):

    “তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো নাম কণ্ঠস্থল,
    ধূম্রবর্ণের পদ্ম আছে হয়ে ষোড়শদল।
    সেই পদ্ম মধ্যে আছে অম্বুজে আকাশ,
    সে আকাশ রুদ্ধ হলে সকলি আকাশ।”

    তখন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারকে বলিতেছেন—

    “এই শুন, এরই নাম নিরাকার সচ্চিদানন্দ-দর্শন। বিশুদ্ধচক্র ভেদ হলে সকলি আকাশ।”

    মাস্টার—আজ্ঞে হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—এই মায়া-জীব-জগৎ পার হয়ে গেলে তবে নিত্যতে পৌঁছানো যায়। নাদ ভেদ হলে তবে সমাধি হয়। ওঁকার সাধন করতে করতে নাদ ভেদ হয়, আর সমাধি হয়।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yoon Suk Yeol: গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    Yoon Suk Yeol: গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরখাস্ত করা হয়েছিল আগেই। এবার গ্রেফতার করা হল দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে (Yoon Suk Yeol)। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছিল। শেষমেশ বুধবার তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় ইওলকে। সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন সিওলের হান্নাম ডংয়ের বাসভবন থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্টের গাড়ি বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্নীতি-বিরোধী এজেন্সির কার্যালয়ে। সেই গ্রেফতারির পরে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তরফে দাবি করা হয়, সাংবিধানিক শৃঙ্খলা, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন ফেরানোর ক্ষেত্রে এটা (ইওলকে গ্রেফতার) হল প্রথম পদক্ষেপ।

    সরকারি বাসভবনে হানা (Yoon Suk Yeol)

    এর আগেও একবার ইওলকে গ্রেফতার করতে তাঁর সরকারি বাসভবনে হানা দিয়েছিল পুলিশ ও দুর্নীতি দমন শাখা। যদিও বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পিএসএসের কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে সেবার তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। এদিনও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ইওলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পিএসএস কর্মীরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে টানাপোড়েন চলে দু’পক্ষে। ইওলের গ্রেফতারি আটকাতে তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। তাঁদের সরিয়েই ৩ হাজার পুলিশ নিয়ে বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢোকেন তদন্তকারীরা। তার পরে ইওলকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ।

    ইওলের আইনজীবীর বক্তব্য

    ইওলের (Yoon Suk Yeol) আইনজীবী জানান, এদিনই ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতি তদন্ত অফিসে হাজিরা দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন ইওল। তবে তার আগেই তাঁকে এভাবে গ্রেফতার করাটা দেশবাসী ভালোভাবে নেবেন না। ইওল স্বয়ং দাবি করেন, তিনি সব সময়ই তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ছিলেন। তবে তাঁর এই গ্রেফতারি দেশে আইনের শাসন ভেঙে পড়ার উদাহরণ।

    আরও পড়ুন: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি

    দেশে মার্শাল ল বা সামরিক আইন জারি করার কারণে ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত। ৩ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইওল বলেছিলেন, তিনি সারা দেশে সামরিক আইন বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পরেই ইওলকে বরখাস্তের দাবি তোলেন বিরোধীরা। পার্লামেন্টে বরখাস্তের প্রস্তাবও আনেন তাঁরা। ১৪ ডিসেম্বর ভোটাভুটি হয়। হেরে যান প্রেসিডেন্ট (South Korea)। তার জেরেই বরখাস্ত হতে হয় তাঁকে (Yoon Suk Yeol)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Army Day: ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সাহস ও আত্মবলিদানকে কুর্ণিশ রাষ্ট্রপতি মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Indian Army Day: ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সাহস ও আত্মবলিদানকে কুর্ণিশ রাষ্ট্রপতি মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৭৭তম সেনা দিবসে (Indian Army Day) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (President Murmu-PM Modi)। ভারতীয় সেনার সাহস, শৌর্য, উৎসর্গ, আত্মবলিদান এবং পরাক্রম নিয়ে ব্যাপক প্রশংসার কথা উঠে এসেছে রাষ্ট্রনেতাদের কথায়। জেনারেল কেএম কারিয়াপ্পার স্মরণে প্রতি বছর ১৫ জানুয়ারি সেনা দিবস উদ্‌যাপিত হয়। তিনি দেশের প্রথম ফিল্ড মার্শাল হয়েছিলেন। ১৯৪৯ সালে জেনারেল এফআরআর বুচারের কাছ থেকে সেনা প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তিনিই ছিলেন প্রথম ভারতীয় যিনি সেনাপ্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।

    সেনাদের প্রতি আমরা ঋণী (Indian Army Day)

    রাষ্ট্রপতি মুর্মু (President Murmu-PM Modi) এদিন সেনার একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এরপর সেনাদের (Indian Army Day) উদ্দেশে তাঁদের যুদ্ধ, পরাক্রম, বীরত্বের বিষয়ে ব্যাপক প্রশংসা করেন। নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি বলেন, “ভারতের সেনা বাহিনী দেশের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তায় বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের সৈন্যদের কারণেই দেশের প্রগ্রতি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অক্ষত রয়েছে। সেনার সাহস এবং বীরত্ব বহিঃদেশের শক্তিকে প্রতিহত করে। সীমান্তকে সব সময় অতন্দ্রপ্রহরী সুরক্ষিত রাখে সেনার পরিশ্রম। যে কোনও রকমের সন্ত্রাস এবং জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সেনার অভিযান নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। দেশের পক্ষ থেকে আত্মবিলদানকারী প্রত্যেক সেনাকর্মীকে আমি হৃদয় থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের এবং সেই পরিবারবর্গের প্রতি আমরা ঋণী। আমি চাই ভারতীয় সেনা তাঁদের সকল কাজে সাফল্য অর্জন করুক। সকল প্রচেষ্টাগুলিতে স্বার্থক লাভ করুক।”

    প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানবিক সহায়তা দেন সেনা

    অপর দিকে প্রধানমন্ত্রী মোদি (President Murmu-PM Modi) ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army Day) দৃঢ়সংকল্প, পেশাদারিত্ব এবং উৎসর্গকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সশস্ত্র বাহিনী এবং তাঁদের পরিবারের কল্যাণে আমাদের সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে দ্রুত পালনে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আজ সেনা দিবসে আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অদম্য সাহসকে অভিনন্দন জানাই, যাঁরা আমাদের দেশের নিরাপত্তার কাজ করছেন, তাঁদের ত্যাগের কথাও স্মরণ করি। প্রতিদিন কোটি কোটি ভারতীয়দের নিরাপত্তার কাজে সেবা প্রদান করে থাকেন সেনা কর্মীরা। ভারতীয় সেনাবাহিনী দৃঢ়সংকল্পে পেশাদারিত্বে এবং উৎসর্গের প্রতীক। আমাদের সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও মানবিক সহায়তা প্রদানে একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকেন সেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: পূর্ণ মহাকুম্ভের বিরাট ব্যবস্থাপনায় মোদি-যোগীর ভূয়সী প্রশংসা সাধু-মুনি-ঋষিদের

    Mahakumbh Mela 2025: পূর্ণ মহাকুম্ভের বিরাট ব্যবস্থাপনায় মোদি-যোগীর ভূয়সী প্রশংসা সাধু-মুনি-ঋষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) আসর বসেছে প্রয়াগরাজে। এর বিরাট আয়োজন, ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও অসাধারণ পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Modi-Yogi) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সাধুসন্ত, মুনিঋষি ও যোগী-সন্ন্যাসীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই মেলা ব্যাতিক্রমী, আধ্যাত্মিক উদ্দীপনার আকর্ষণীয় মোক্ষধাম।

    এক কথায় অসাধারণ ব্যবস্থা (Mahakumbh Mela 2025)

    সাধুরা জানান, এই মহাকুম্ভকে বিরল স্বর্গীয় আনন্দধাম বলে উল্লেখ করেছেন। এখানে মোদিজি এবং যোগীজি নিরবচ্ছিন্ন ব্যবস্থাপনাকে কার্যকর করেছেন। মেলায় কোটি কোটি ভক্তদের সমাবেশ এবং পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে। জগৎ গুরু স্বামী রামভদ্রাচার্য বলেন, “মহাকুম্ভ ২০২৫ (Mahakumbh Mela 2025) সালের জন্য রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা এক কথায় অসাধারণ। এত বড় সঙ্গম স্নান, এত বিপুল সংখ্যক ভক্তদের আগমন, সুশৃঙ্খল এবং সংগঠিত ব্যবস্থাপনায় আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এর প্রসারতা এবং ব্যাপকতার জন্য তাঁদের কাজ সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। সরকার এবং প্রশাসনকে (Modi-Yogi) আমাদের পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।”

    আরও পড়ুনঃ মনের শান্তির খোঁজে নিয়েছিলেন সন্ন্যাস! মহাকুম্ভে হাজির ‘আইআইটি বাবা’

    সূর্যের উত্তরায়ণ থেকে জীবনের শুভকাজের সূচনা হয়

    ঋষিকেশের পারমার্থ নিকেতন আশ্রমের ধর্মগুরু স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী বলেন, “পূর্ণ মহাকুম্ভ হল সকল সনাতন ধর্মের মানুষের কাছে একটি অমরত্ব এবং মহামুক্তি মোক্ষের উৎসব। মহাকুম্ভের বৈচিত্র্যের ভাবনা সকল হিন্দুকে একত্রিত করে। লক্ষ লক্ষ মানুষের মহামিলন মেলা হল এই মহাকুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025)। আমি সকল সনাতনীকে মেলায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। এই ত্রিবেণী সঙ্গমে নদীর যেমন অনন্ত স্রোত প্রবাহিত হয়ে চলেছে, ঠিক একই ভাবে হিন্দু ধর্ম আদি অনন্ত কাল ধরে প্রবাহিত হয়ে চলেছে। এই সূর্যের উত্তরায়ণ থেকে জীবনের শুভকাজের সূচনা হয়। যে কোনও দিক বা গতির বদল হলে মানসিকতা এবং ভাবনারও বিরাট পরিবর্তন হয় এবং সেই সঙ্গে পরিবেশেরও বিরাট পরিবর্তন আসে। আমাদের সমগ্র জাতির চেতনায় পরিবর্তন আসলে সমাজ-দেশ-রাষ্ট্র সব কিছুর পরিবর্তন হয়। দেশের বিকাশ এবং উন্নয়ন হয়। ভারতবর্ষ আগামী দিনে তাঁদের তরুণ প্রজন্মের শক্তির পূর্ণ প্রতিফলন ঘটাবে। মোদি এবং যোগীজির (Modi-Yogi) নেতৃত্ব আমাদের এই পরিবর্তনের সুর ধরিয়ে দিয়েছেন।”

    মোদিজির নেতৃত্বে হিন্দু ধর্মে বিরাট জোয়ার

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেছেন, “আমি ১৯৮২ সাল থেকে কুম্ভমেলায় যোগদান করছি। অর্ধকুম্ভ এবং পূর্ণকুম্ভ পেয়েছি জীবনে। তবে প্রয়াগরাজের কোলে এই পূর্ণ মহাকুম্ভমেলা (Mahakumbh Mela 2025) বিরাট আনন্দের। মা গঙ্গার বক্ষে একটি নগর বসানো হয়েছে। এটি একই সঙ্গে একটি বিরল এবং শুভ মুহূর্ত। আখড়া থেকে সন্তরা যখন সুশৃঙ্খল ভাবে স্নানের জন্য এগিয়ে যান, তখন ভক্তরা রাস্তায় ফুল সংগ্রহ করেন পরম যত্নে। এই পবিত্র স্নানে মেলে মহামুক্তি। মোদিজির (Modi-Yogi) নেতৃত্বে হিন্দু ধর্মে বিরাট জোয়ার এসেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Tram: ট্রামকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে, বন্ধ করতে হবে লাইন বোজানর কাজ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Kolkata Tram: ট্রামকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে, বন্ধ করতে হবে লাইন বোজানর কাজ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম (Kolkata Tram) নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল মমতার সরকারের। রাজ্য সরকারকেই ট্রাম বাঁচানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে, উদ্যোগী হতে হবে। ঠিক এই নির্দেশ দিয়ে অবিলম্বে লাইন বোজানোর কাজ বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার বিষয়ে ছবি-সহ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

    রাজ্যের সদিচ্ছা থাকা একান্ত প্রয়োজন (Kolkata Tram)

    কলকাতা শহরে ট্রামের পরিষেবা এবং লাইন তুলে ফেলার একটি মামলায় প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) একটি পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “ট্রাম একটি ঐতিহ্যবাহী যাত্রী পরিষেবা। তুলে দেওয়া খুব সহজ কাজ, কিন্তু বহুদেশে ট্রাম চলে। কোথাও কোথাও রাস্তার একেবারে মাঝখান দিয়ে লাইন করা রয়েছে। রাজ্যে ট্রামকে (Kolkata Tram) বাঁচাতে সরকারকে অনেক বেশি উদ্যোগী হতে হবে। এর জন্য সদিচ্ছা থাকা একান্ত প্রয়োজন।”

    দুই জায়গায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

    কলকাতায় ট্রাম (Kolkata Tram) পরিষেবাকে অব্যাহত রাখতে একটি সামাজিক সংগঠন মামলা করেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সংস্থার পক্ষে থেকে অভিযোগ ছিল, রাস্তায় যাতে ট্রাম চলতে না পারে, তাই কালীঘাট, ভবানীপুর, জাজেস কোর্ট, খিদিরপুরের ট্রামলাইনে পিচ ঢেলে বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বন্ধ করার কাজ নিয়ে রাজ্য সরকারকে ধাক্কার মুখে পড়তে হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) টিএস শিবজ্ঞানম নির্দেশ দেন, “দুই জায়গায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। উপর তলার হাত না থাকলে এই ভাবে বুজিয়ে ফেলা যায় না।” তবে রাজ্যের তরফ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার কোনও কাজ করা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    লাইন তুলে দিতে প্রস্তুত সরকার

    এখন বিভিন্ন রকমের জটিলতা কাটিয়ে কীভাবে ট্রামকে সচল রাখা যায়, সেই কাজ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে পুলিশ, পরিবহণ দফতর, কলকাতা পুরসভা, রাজ্য পরিবহণ নিগম সহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা। প্রত্যেক সংস্থার লোকজনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা রুটে চলে ট্রাম (Kolkata Tram)। এখন এগুলিকেও তুলে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। একইভাবে অভিযোগ আরও করা হয়, আদালতের (Calcutta High Court) নানা সুপারিশ এবং পরামর্শকে অমান্য করছে রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share