Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 251: “এই শুন, এরই নাম নিরাকার সচ্চিদানন্দ-দর্শন, বিশুদ্ধচক্র ভেদ হলে সকলি আকাশ”

    Ramakrishna 251: “এই শুন, এরই নাম নিরাকার সচ্চিদানন্দ-দর্শন, বিশুদ্ধচক্র ভেদ হলে সকলি আকাশ”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    শ্রীযুক্ত অধর সেনের বাটীতে কীর্তনানন্দে

    রামালাল (Ramakrishna) আবার গাইলেন:

    ভবদারা ভয়হরা নাম শুনেছি তোমার,
    তাইতে এবার দিয়েছি ভার তারো তারো না তারো মা।
    তুমি মা ব্রহ্মাণ্ডধারী ব্রহ্মাণ্ড ব্যাপিকে,
    কে জানে তোমারে তুমি কালী কি রাধিকে,
    ঘটে ঘটে তুমি ঘটে আছ গো জননী,
    মূলাধার কমলে থাক মা কুলকুণ্ডলিনী।
    তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো নামে স্বাধিষ্ঠান,
    চতুর্দল পদ্মে তথায় আছ অধিষ্ঠান,
    চর্তুদলে থাক তুমি কুলকুণ্ডলিনী,
    ষড়দল বজ্রাসনে বস মা আপনি।
    তদূর্ধ্বেতে নাভিস্থান মা মণিপুর কয়,
    নীলবর্ণের দশদল পদ্ম যে তথায়,
    সুষুম্নার পথ দিয়ে এস গো জননী,
    কমলে কমলে থাক কমলে কামিনী।
    তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো সুধা সরোবর,
    রক্তবর্ণের দ্বাদশদল পদ্ম মনোহর,
    পাদপদ্মে দিয়ে যদি এ পদ্ম প্রকাশ।
    (মা), হৃদে আছে বিভাবরী তিমির বিনাশ।
    তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো নাম কণ্ঠস্থল,
    ধূম্রবর্ণের পদ্ম আছে হয়ে ষোড়শদল।
    সেই পদ্ম মধ্যে আছে অম্বুজে আকাশ,
    সে আকাশ রুদ্ধ হলে সকলি আকাশ।
    তদূর্ধ্বে ললাটে স্থান মা আছে দ্বিদল পদ্ম,
    সদায় আছয়ে মন হইয়ে আবদ্ধ।
    মন যে মানে না আমার মন ভাল নয়,
    দ্বিদলে বসিয়া রঙ্গ দেখয়ে সদায়।
    তদূর্ধ্বে মস্তকে স্থান মা অতি মনোহর,
    সহস্রদল পদ্ম আছে তাহার ভিতর।
    তথায় পরম শিব আছেন আপনি,
    সেই শিবের কাছে বস শিবে মা আপনি।
    তুমি আদ্যাশক্তি মা জিতেন্দ্রিয় নারী,
    যোগীন্দ্র মুনীন্দ্র ভাবে নগেন্দ্র কুমারী।
    হর শক্তি হর শক্তি সুদনের এবার,
    যেন না আসিতে হয় মা ভব পারাবার।
    তুমি আদ্যাশক্তি মাগো তুমি পঞ্চতত্ত্ব,
    কে জানে তোমারে তুমি তুমিই তত্ত্বাতীত।
    ওমা ভক্ত জন্য চরাচরে তুমি সে সাকার,
    পঞ্চে পঞ্চ লয় হলে তুমি নিরাকার।

    নিরাকার সচ্চিদানন্দ দর্শন—ষট্‌চক্রভেদ—নাদভেদ ও সমাধি 

    শ্রীযুক্ত রামলাল যখন গাহিতেছেন (Kathamrita):

    “তদূর্ধ্বেতে আছে মাগো নাম কণ্ঠস্থল,
    ধূম্রবর্ণের পদ্ম আছে হয়ে ষোড়শদল।
    সেই পদ্ম মধ্যে আছে অম্বুজে আকাশ,
    সে আকাশ রুদ্ধ হলে সকলি আকাশ।”

    তখন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারকে বলিতেছেন—

    “এই শুন, এরই নাম নিরাকার সচ্চিদানন্দ-দর্শন। বিশুদ্ধচক্র ভেদ হলে সকলি আকাশ।”

    মাস্টার—আজ্ঞে হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—এই মায়া-জীব-জগৎ পার হয়ে গেলে তবে নিত্যতে পৌঁছানো যায়। নাদ ভেদ হলে তবে সমাধি হয়। ওঁকার সাধন করতে করতে নাদ ভেদ হয়, আর সমাধি হয়।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yoon Suk Yeol: গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    Yoon Suk Yeol: গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরখাস্ত করা হয়েছিল আগেই। এবার গ্রেফতার করা হল দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে (Yoon Suk Yeol)। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছিল। শেষমেশ বুধবার তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় ইওলকে। সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন সিওলের হান্নাম ডংয়ের বাসভবন থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্টের গাড়ি বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্নীতি-বিরোধী এজেন্সির কার্যালয়ে। সেই গ্রেফতারির পরে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তরফে দাবি করা হয়, সাংবিধানিক শৃঙ্খলা, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন ফেরানোর ক্ষেত্রে এটা (ইওলকে গ্রেফতার) হল প্রথম পদক্ষেপ।

    সরকারি বাসভবনে হানা (Yoon Suk Yeol)

    এর আগেও একবার ইওলকে গ্রেফতার করতে তাঁর সরকারি বাসভবনে হানা দিয়েছিল পুলিশ ও দুর্নীতি দমন শাখা। যদিও বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পিএসএসের কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে সেবার তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। এদিনও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ইওলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পিএসএস কর্মীরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে টানাপোড়েন চলে দু’পক্ষে। ইওলের গ্রেফতারি আটকাতে তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। তাঁদের সরিয়েই ৩ হাজার পুলিশ নিয়ে বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢোকেন তদন্তকারীরা। তার পরে ইওলকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ।

    ইওলের আইনজীবীর বক্তব্য

    ইওলের (Yoon Suk Yeol) আইনজীবী জানান, এদিনই ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতি তদন্ত অফিসে হাজিরা দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন ইওল। তবে তার আগেই তাঁকে এভাবে গ্রেফতার করাটা দেশবাসী ভালোভাবে নেবেন না। ইওল স্বয়ং দাবি করেন, তিনি সব সময়ই তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ছিলেন। তবে তাঁর এই গ্রেফতারি দেশে আইনের শাসন ভেঙে পড়ার উদাহরণ।

    আরও পড়ুন: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি

    দেশে মার্শাল ল বা সামরিক আইন জারি করার কারণে ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত। ৩ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইওল বলেছিলেন, তিনি সারা দেশে সামরিক আইন বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পরেই ইওলকে বরখাস্তের দাবি তোলেন বিরোধীরা। পার্লামেন্টে বরখাস্তের প্রস্তাবও আনেন তাঁরা। ১৪ ডিসেম্বর ভোটাভুটি হয়। হেরে যান প্রেসিডেন্ট (South Korea)। তার জেরেই বরখাস্ত হতে হয় তাঁকে (Yoon Suk Yeol)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Army Day: ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সাহস ও আত্মবলিদানকে কুর্ণিশ রাষ্ট্রপতি মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Indian Army Day: ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সাহস ও আত্মবলিদানকে কুর্ণিশ রাষ্ট্রপতি মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৭৭তম সেনা দিবসে (Indian Army Day) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (President Murmu-PM Modi)। ভারতীয় সেনার সাহস, শৌর্য, উৎসর্গ, আত্মবলিদান এবং পরাক্রম নিয়ে ব্যাপক প্রশংসার কথা উঠে এসেছে রাষ্ট্রনেতাদের কথায়। জেনারেল কেএম কারিয়াপ্পার স্মরণে প্রতি বছর ১৫ জানুয়ারি সেনা দিবস উদ্‌যাপিত হয়। তিনি দেশের প্রথম ফিল্ড মার্শাল হয়েছিলেন। ১৯৪৯ সালে জেনারেল এফআরআর বুচারের কাছ থেকে সেনা প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তিনিই ছিলেন প্রথম ভারতীয় যিনি সেনাপ্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।

    সেনাদের প্রতি আমরা ঋণী (Indian Army Day)

    রাষ্ট্রপতি মুর্মু (President Murmu-PM Modi) এদিন সেনার একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এরপর সেনাদের (Indian Army Day) উদ্দেশে তাঁদের যুদ্ধ, পরাক্রম, বীরত্বের বিষয়ে ব্যাপক প্রশংসা করেন। নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি বলেন, “ভারতের সেনা বাহিনী দেশের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তায় বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের সৈন্যদের কারণেই দেশের প্রগ্রতি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অক্ষত রয়েছে। সেনার সাহস এবং বীরত্ব বহিঃদেশের শক্তিকে প্রতিহত করে। সীমান্তকে সব সময় অতন্দ্রপ্রহরী সুরক্ষিত রাখে সেনার পরিশ্রম। যে কোনও রকমের সন্ত্রাস এবং জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সেনার অভিযান নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। দেশের পক্ষ থেকে আত্মবিলদানকারী প্রত্যেক সেনাকর্মীকে আমি হৃদয় থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের এবং সেই পরিবারবর্গের প্রতি আমরা ঋণী। আমি চাই ভারতীয় সেনা তাঁদের সকল কাজে সাফল্য অর্জন করুক। সকল প্রচেষ্টাগুলিতে স্বার্থক লাভ করুক।”

    প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানবিক সহায়তা দেন সেনা

    অপর দিকে প্রধানমন্ত্রী মোদি (President Murmu-PM Modi) ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army Day) দৃঢ়সংকল্প, পেশাদারিত্ব এবং উৎসর্গকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সশস্ত্র বাহিনী এবং তাঁদের পরিবারের কল্যাণে আমাদের সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে দ্রুত পালনে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আজ সেনা দিবসে আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর অদম্য সাহসকে অভিনন্দন জানাই, যাঁরা আমাদের দেশের নিরাপত্তার কাজ করছেন, তাঁদের ত্যাগের কথাও স্মরণ করি। প্রতিদিন কোটি কোটি ভারতীয়দের নিরাপত্তার কাজে সেবা প্রদান করে থাকেন সেনা কর্মীরা। ভারতীয় সেনাবাহিনী দৃঢ়সংকল্পে পেশাদারিত্বে এবং উৎসর্গের প্রতীক। আমাদের সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও মানবিক সহায়তা প্রদানে একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকেন সেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: পূর্ণ মহাকুম্ভের বিরাট ব্যবস্থাপনায় মোদি-যোগীর ভূয়সী প্রশংসা সাধু-মুনি-ঋষিদের

    Mahakumbh Mela 2025: পূর্ণ মহাকুম্ভের বিরাট ব্যবস্থাপনায় মোদি-যোগীর ভূয়সী প্রশংসা সাধু-মুনি-ঋষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) আসর বসেছে প্রয়াগরাজে। এর বিরাট আয়োজন, ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও অসাধারণ পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Modi-Yogi) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সাধুসন্ত, মুনিঋষি ও যোগী-সন্ন্যাসীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই মেলা ব্যাতিক্রমী, আধ্যাত্মিক উদ্দীপনার আকর্ষণীয় মোক্ষধাম।

    এক কথায় অসাধারণ ব্যবস্থা (Mahakumbh Mela 2025)

    সাধুরা জানান, এই মহাকুম্ভকে বিরল স্বর্গীয় আনন্দধাম বলে উল্লেখ করেছেন। এখানে মোদিজি এবং যোগীজি নিরবচ্ছিন্ন ব্যবস্থাপনাকে কার্যকর করেছেন। মেলায় কোটি কোটি ভক্তদের সমাবেশ এবং পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে। জগৎ গুরু স্বামী রামভদ্রাচার্য বলেন, “মহাকুম্ভ ২০২৫ (Mahakumbh Mela 2025) সালের জন্য রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা এক কথায় অসাধারণ। এত বড় সঙ্গম স্নান, এত বিপুল সংখ্যক ভক্তদের আগমন, সুশৃঙ্খল এবং সংগঠিত ব্যবস্থাপনায় আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এর প্রসারতা এবং ব্যাপকতার জন্য তাঁদের কাজ সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। সরকার এবং প্রশাসনকে (Modi-Yogi) আমাদের পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।”

    আরও পড়ুনঃ মনের শান্তির খোঁজে নিয়েছিলেন সন্ন্যাস! মহাকুম্ভে হাজির ‘আইআইটি বাবা’

    সূর্যের উত্তরায়ণ থেকে জীবনের শুভকাজের সূচনা হয়

    ঋষিকেশের পারমার্থ নিকেতন আশ্রমের ধর্মগুরু স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী বলেন, “পূর্ণ মহাকুম্ভ হল সকল সনাতন ধর্মের মানুষের কাছে একটি অমরত্ব এবং মহামুক্তি মোক্ষের উৎসব। মহাকুম্ভের বৈচিত্র্যের ভাবনা সকল হিন্দুকে একত্রিত করে। লক্ষ লক্ষ মানুষের মহামিলন মেলা হল এই মহাকুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025)। আমি সকল সনাতনীকে মেলায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। এই ত্রিবেণী সঙ্গমে নদীর যেমন অনন্ত স্রোত প্রবাহিত হয়ে চলেছে, ঠিক একই ভাবে হিন্দু ধর্ম আদি অনন্ত কাল ধরে প্রবাহিত হয়ে চলেছে। এই সূর্যের উত্তরায়ণ থেকে জীবনের শুভকাজের সূচনা হয়। যে কোনও দিক বা গতির বদল হলে মানসিকতা এবং ভাবনারও বিরাট পরিবর্তন হয় এবং সেই সঙ্গে পরিবেশেরও বিরাট পরিবর্তন আসে। আমাদের সমগ্র জাতির চেতনায় পরিবর্তন আসলে সমাজ-দেশ-রাষ্ট্র সব কিছুর পরিবর্তন হয়। দেশের বিকাশ এবং উন্নয়ন হয়। ভারতবর্ষ আগামী দিনে তাঁদের তরুণ প্রজন্মের শক্তির পূর্ণ প্রতিফলন ঘটাবে। মোদি এবং যোগীজির (Modi-Yogi) নেতৃত্ব আমাদের এই পরিবর্তনের সুর ধরিয়ে দিয়েছেন।”

    মোদিজির নেতৃত্বে হিন্দু ধর্মে বিরাট জোয়ার

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেছেন, “আমি ১৯৮২ সাল থেকে কুম্ভমেলায় যোগদান করছি। অর্ধকুম্ভ এবং পূর্ণকুম্ভ পেয়েছি জীবনে। তবে প্রয়াগরাজের কোলে এই পূর্ণ মহাকুম্ভমেলা (Mahakumbh Mela 2025) বিরাট আনন্দের। মা গঙ্গার বক্ষে একটি নগর বসানো হয়েছে। এটি একই সঙ্গে একটি বিরল এবং শুভ মুহূর্ত। আখড়া থেকে সন্তরা যখন সুশৃঙ্খল ভাবে স্নানের জন্য এগিয়ে যান, তখন ভক্তরা রাস্তায় ফুল সংগ্রহ করেন পরম যত্নে। এই পবিত্র স্নানে মেলে মহামুক্তি। মোদিজির (Modi-Yogi) নেতৃত্বে হিন্দু ধর্মে বিরাট জোয়ার এসেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Tram: ট্রামকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে, বন্ধ করতে হবে লাইন বোজানর কাজ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Kolkata Tram: ট্রামকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে, বন্ধ করতে হবে লাইন বোজানর কাজ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম (Kolkata Tram) নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল মমতার সরকারের। রাজ্য সরকারকেই ট্রাম বাঁচানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে, উদ্যোগী হতে হবে। ঠিক এই নির্দেশ দিয়ে অবিলম্বে লাইন বোজানোর কাজ বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার বিষয়ে ছবি-সহ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

    রাজ্যের সদিচ্ছা থাকা একান্ত প্রয়োজন (Kolkata Tram)

    কলকাতা শহরে ট্রামের পরিষেবা এবং লাইন তুলে ফেলার একটি মামলায় প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) একটি পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “ট্রাম একটি ঐতিহ্যবাহী যাত্রী পরিষেবা। তুলে দেওয়া খুব সহজ কাজ, কিন্তু বহুদেশে ট্রাম চলে। কোথাও কোথাও রাস্তার একেবারে মাঝখান দিয়ে লাইন করা রয়েছে। রাজ্যে ট্রামকে (Kolkata Tram) বাঁচাতে সরকারকে অনেক বেশি উদ্যোগী হতে হবে। এর জন্য সদিচ্ছা থাকা একান্ত প্রয়োজন।”

    দুই জায়গায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

    কলকাতায় ট্রাম (Kolkata Tram) পরিষেবাকে অব্যাহত রাখতে একটি সামাজিক সংগঠন মামলা করেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সংস্থার পক্ষে থেকে অভিযোগ ছিল, রাস্তায় যাতে ট্রাম চলতে না পারে, তাই কালীঘাট, ভবানীপুর, জাজেস কোর্ট, খিদিরপুরের ট্রামলাইনে পিচ ঢেলে বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বন্ধ করার কাজ নিয়ে রাজ্য সরকারকে ধাক্কার মুখে পড়তে হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) টিএস শিবজ্ঞানম নির্দেশ দেন, “দুই জায়গায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। উপর তলার হাত না থাকলে এই ভাবে বুজিয়ে ফেলা যায় না।” তবে রাজ্যের তরফ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার কোনও কাজ করা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    লাইন তুলে দিতে প্রস্তুত সরকার

    এখন বিভিন্ন রকমের জটিলতা কাটিয়ে কীভাবে ট্রামকে সচল রাখা যায়, সেই কাজ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে পুলিশ, পরিবহণ দফতর, কলকাতা পুরসভা, রাজ্য পরিবহণ নিগম সহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা। প্রত্যেক সংস্থার লোকজনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা রুটে চলে ট্রাম (Kolkata Tram)। এখন এগুলিকেও তুলে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। একইভাবে অভিযোগ আরও করা হয়, আদালতের (Calcutta High Court) নানা সুপারিশ এবং পরামর্শকে অমান্য করছে রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Liquor Policy Case: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি

    Liquor Policy Case: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় (Liquor Policy Case) দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদন মিলেছে। দিন কয়েক আগেই দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার অনুমোদন মিলেছিল। এবার মিলল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদনও। ঘটনার জেরে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেজায় বিপাকে পড়লেন কেজরিওয়াল।

    আদালতে ২০০ পাতার চার্জশিট (Liquor Policy Case)

    ওই মামলায় জুলাই মাসেই আদালতে ২০০ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। তাতে অভিযুক্ত করা হয়েছিল কেজরিওয়াল ও তাঁর দলকে। নিম্ন আদালত জানিয়েছিল, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার মতো যথেষ্ট তথ্য রয়েছে ওই চার্জশিটে। এর পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আদালতে তাঁর বক্তব্য ছিল, তিনি জনপ্রতিনিধি। জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে সরকারের আগাম অনুমতি নিতে হয়। ইডি তা করেনি।

    দিল্লির উপরাজ্যপালকে চিঠি ইডির

    মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। এর পরেই (Liquor Policy Case) আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) বিচারের অনুমতি চেয়ে দিল্লির উপরাজ্যপালকে চিঠি দেয় ইডি। সেই চিঠিতেও ইডি দাবি করে, আবগারি মামলায় কিংপিন ও মূল ষড়যন্ত্রকারী কেজরিওয়ালই।

    আরও পড়ুন: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    গত ২১ মার্চ পিএমএলএ-এর অধীনে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। ১৭ মে একটি চার্জশিটে কেজরিওয়ালের নাম করেই ইডি দাবি করে, নির্দিষ্ট কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে নেওয়া ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৪৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার করতে। ইডির দাবি, কেজরিওয়াল জাতীয় আহ্বায়ক এবং আপের জাতীয় এক্সিকিউটিভ মেম্বার হিসেবে তহবিল ব্যবহারের জন্য চূড়ান্তভাবে দায়ী। তিনিই আপের নেপথ্যে থাকা মূল মস্তিষ্ক। বর্তমানে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত কেজরিওয়াল। ঠিক এই সময়ই অমিত শাহের মন্ত্রকের অনুমোদনের দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejriwal) যে নতুন করে বিপাকে পড়লেন, তা বলাই বাহুল্য (Liquor Policy Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 250: “গোবিন্দ, গোবিন্দ, সচ্চিদানন্দ, হরিবোল! হরিবোল! নাম করিতেছেন, আর যেন মধু বর্ষণ হইতেছে”

    Ramakrishna 250: “গোবিন্দ, গোবিন্দ, সচ্চিদানন্দ, হরিবোল! হরিবোল! নাম করিতেছেন, আর যেন মধু বর্ষণ হইতেছে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    শ্রীযুক্ত অধর সেনের বাটীতে কীর্তনানন্দে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) অধরের বাড়ি আসিয়াছেন। রামলাল, মাস্টার, অধর আর অন্য অন্য ভক্ত তাঁহার কাছে অধরের বৈঠকখানায় বসিয়া আছেন। পাড়ার দু-চারিটি লোক ঠাকুরকে দেখিতে আসিয়াছেন (Kathamrita)। রাখালের পিতা কলিকাতায় আছেন—রাখাল সেইখানেই আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (অধরের প্রতি)—কই রাখালকে খবর দাও নাই?

    অধর—আজ্ঞে হাঁ, তাঁকে খবর দিয়াছি।

    রাখালের জন্য ঠাকুরকে ব্যস্ত দেখিয়া অধর দ্বিরুক্তি না করিয়া রাখালকে আনিতে একটি লোক সঙ্গে নিজের গাড়ি পাঠাইয়া দিলেন।

    অধর ঠাকুরের কাছে বসিলেন। আজ ঠাকুরকে দর্শনজন্য অধর ব্যাকুল হইয়াছেন। ঠাকুরের এখানে আসিবার কথা পূর্বে কিছু ঠিক ছিল না। ঈশ্বরের ইচ্ছায় তিনি আসিয়া পড়িয়াছেন।

    অধর—আপনি অনেকদিন আসেন নাই। আমি আজ ডেকেছিলাম(Kathamrita),—এমন কি চোখ দিয়ে জল পড়েছিল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)(প্রসন্ন হইয়া, সহাস্যে)—বল কি গো!

    সন্ধ্যা হইয়াছে। বৈঠকখানায় আলো জ্বালা হইল। ঠাকুর জোড় হস্তে জগন্মাতাকে প্রণাম করিয়া নিঃশব্দে বুঝি মূলমন্ত্র করিলেন। তৎপরে মধুর স্বরে নাম করিতেছেন। বলিতেছেন, গোবিন্দ, গোবিন্দ, সচ্চিদানন্দ, হরিবোল! হরিবোল! নাম করিতেছেন, আর যেন মধু বর্ষণ হইতেছে। ভক্তেরা অবাক্‌ হইয়া সেই নাম-সুধা পান করিতেছেন। শ্রীযুক্ত রামলাল (Ramakrishna) এইবার গান গাইতেছেন:

    ভুবন ভুলাইলি মা, হরমোহিনী।
    মূলাধারে মহোৎপলে, বীণাবাদ্য-বিনোদিনী।
    শরীর শারীর যন্ত্রে সুষুম্নাদি ত্রয় তন্ত্রে,
    গুণভেদ মহামন্ত্রে গুণত্রয়বিভাগিনী ॥
    আধারে ভৈরবাকার ষড়দলে শ্রীরাগ আর,
    মণিপুরেতে মহ্লার, বসন্তে হৃৎপ্রকাশিনী
    বিশুদ্ধ হিল্লোল সুরে, কর্ণাটক আজ্ঞাপুরে,
    তান লয় মান সুরে, তিন গ্রাম-সঞ্চারিণী।
    মহামায়া মোহপাশে, বদ্ধ কর অনায়াসে,
    তত্ত্ব লয়ে তত্ত্বাকাশে স্থির আছে সৌদামিনী।
    শ্রীনন্দকুমারে কয়, তত্ত্ব না নিশ্চয় হয়,
    তব তত্ত্ব গুণত্রয়, কাকীমুখ-আচ্ছাদিনী।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) থেকে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Illegal Immigrants) আটক করেছে এটিএস। জানা গিয়েছে, তারা পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তামিলনাড়ুর তিরুপুর এবং কোয়েম্বত্তুর জেলার গ্রামীণ এলাকা থেকে এই সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ৫ অগাস্ট থেকে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে অনুপ্রবেশের মুক্তাঞ্চল করে নাশকতামূলক চক্রান্তের ছক কষে জঙ্গি কার্যকলাপকে সক্রিয় করা হচ্ছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল। 

    পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshi Illegal Immigrants)

    গোয়েন্দাদের তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিএস-এর মোট ৫টি টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Illegal Immigrants) গ্রেফতার করেছে। আরও জানা গিয়েছে, মাত্র কয়েক মাস আগেই এই জঙ্গিরা এই এলাকায় বসবাস শুরু করেছিলেন। তিরুপুর জেলার পাল্লাদাম এলাকা থেকে ২৮ জন এবং বীরপান্ডি এবং নাল্লুর থানায় মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিরুপুরে পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন এই অনুপ্রবেশকারীরা। বাংলাদেশ থেকে এই অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে, এরপর জাল নথি তৈরি করে আধার কার্ড বানিয়ে তিরুপুরে (Tamil Nadu) চলে যায়। গোটা অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন আনন্দকুমার তিরুপতি এবং এরপর তিনি পাল্লাদম পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    নাশকতামূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা?

    বাংলাদেশের (Bangladeshi Illegal Immigrants) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মহম্মদ হিউনূস ক্ষমতায় বসার পর থেকেই লাগাতার হিন্দু এবং আওয়ামি লিগকে টার্গেট করছে কট্টর মৌলবাদীরা। দেশের একাধিক কারাগার ভেঙে জঙ্গিরা উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে, জামাত শিবির এবং জেএমবির জঙ্গিরাও অতি সক্রিয় উঠেছে। তাঁরা ভারতে ঢুকে নাশকতা মূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে এই ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। ইতিমধ্যে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela 2025: অঘোরী কারা? তাঁদের গুরু কে? কীভাবে সাধক হয়ে সিদ্ধি লাভ করেন?

    Maha Kumbh Mela 2025: অঘোরী কারা? তাঁদের গুরু কে? কীভাবে সাধক হয়ে সিদ্ধি লাভ করেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা, যমুনা ও (পৌরাণিক) সরস্বতীর মিলনস্থল ত্রিবেণী সঙ্গমে কোটি কোটি ভক্তদের পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh Mela 2025)। এই মহামিলন মেলায় শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈব, গণপাত্য এবং সৌর উপাসকেরা সমবেত হবেন। এক এক সাধু বিশেষ ব্রত নিয়ে ঈশ্বরের আরাধনা করছেন। তাঁদের কাছে জীবনের চরম লক্ষ্য হল মুক্তি। এই মেলাকে ঘিরে দেশের সাধুদের সঙ্গে বিদেশের সাধুরাও সমবেত হয়েছেন। তবে সাধুদের মধ্যে নাগারা যেমন রয়েছেন, ঠিক তেমনি অঘোরীরাও রয়েছেন। অঘোরীরা (Aghori) তান্ত্রিক এবং যোগাচারে সাধনা করে থাকেন।

    শিবের উপাসনা করেন অঘোরীরা (Mahakumbh Mela 2025)

    মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) আসা অঘোরী (Aghori) সাধুদের নিয়ে সাংসারিক জীবনের বসবাসকারী ভক্তসমাজের মধ্যে একটা কৌতূহল রয়েছে। সাধনার কোন স্তরে পৌঁছে গেলে অঘোরী হওয়া যায়, তা নিয়ে একটা জিজ্ঞাসা থাকেই। পৌরাণিক ভাবে বলা হয়েছে যে, অঘোর বলতে বোঝায় যাঁরা শিবের উপাসনা করেন। এমনটাই বিশ্বাস করা হয় আদিদেব ভগবান শিবের কাছ থেকেই অঘোরীদের জন্ম হয়েছে। মূলত এই সাধাকরা তন্ত্র এবং যোগাভ্যাস করে থাকেন। একান্ত ভাবেই তাঁরা শৈব ভক্ত। শিবের ভক্ত দত্তাত্রেয় ঋষিকে অঘোর শাস্ত্রের গুরু বলা হয়। আবার এই দত্তাত্রয়কে শিবের অবতার বলা হয়। তাঁকে আবার যোগের ঈশ্বর বলা হয়।

    অঘোরীরা শ্মশানে থাকেন

    অঘোর সাধুদের মধ্যে সবচেয়ে মান্যতা দেওয়া হয় বাবা কিনারামকে (Aghori)। ১৬০১ সালে উত্তরপ্রদেশের চান্দুলিতে জন্ম হয়েছিল তাঁর। নানা অলৌকিক গল্প প্রচলিত ছিল। বলা হয় নিজে থেকে চলতে চলতেই নাকি বালিয়ার কাছে কামেশ্বর ধামে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সারা ভারত ভ্রমণ করেছেন এবং গুজরাটের গিরনার পাহাড়ে ধ্যানে সিদ্ধিলাভ করেন। শেষে কাশী ধামে এসেছিলেন। তবে অঘোরীরা শ্মশানে থাকেন। মূলত তিন ধরনের পুজো করেন। তবে তাঁদের সাধনায় শিব এবং শবের সাধনা রয়েছে। অসমের কামাখ্যাধাম, বাংলায় তারাপীঠ, নাসিকের ত্রম্বকেশ্বর, উজ্জয়িনীর চক্রতীর্থে এই সাধনার পুণ্যভূমি। এই সাধকরা মদ, মাংস এবং মৈথুন নিয়ে সাধনা করেন এবং মৃতদেহে পা দিয়ে সাধনা করে থাকেন। কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) তাঁদের বিরাট যোগদান থাকে।

    অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী

    লৌকিক ভাবে কথিত রয়েছে একাবার কাশীর রাজা হাতিতে চড়ে ভ্রমণ করছিলেন। রাজা রাস্তায় কিনারামকে অঘোরী (Aghori) বেশে দেখে দেওয়ালের কাছে সরে যেতে বলেন, কিন্তু দেখা যায় হাতিগুলি সমানেই দেওয়ালে ঘোরাঘুরি করছে, ভুল বুঝে রাজা শেষে ক্ষমা চান। অঘোরীরা সময়ে সময়ে মায়াবী এবং অলৌকিক শক্তির অধিকারী হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: মেলে অপার শান্তি, মন হয় পবিত্র, জানুন মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের মাহাত্ম্য

    Maha Kumbh 2025: মেলে অপার শান্তি, মন হয় পবিত্র, জানুন মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ১৩ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ। প্রশাসনের অনুমান, মহাকুম্ভকে (Maha kumbh 2025) কেন্দ্র করে ৪৫ থেকে ৫০ কোটি ভক্তের সমাবেশ হতে পারে। ইতিমধ্যে সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। মুসলিম দেশগুলির মধ্যেও সবচেয়ে বেশি ট্রেন্ডিং চলছে মহাকুম্ভ সার্চে। সবচেয়ে বেশি সার্চ হয়েছে পাকিস্তানে, এরপর কাতার। প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি শুরু হওয়া মহাকুম্ভ চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ভারতবর্ষের সনাতন পরম্পরা, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে প্রয়াগরাজে। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভে শাহি স্নানের এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ১৩ জানুয়ারি মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার দিনে সম্পন্ন হয়েছে প্রথম শাহি স্নান। মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির দিনে সম্পন্ন হয়েছে দ্বিতীয় শাহি স্নান (Maha kumbh 2025)। পরবর্তী শাহি স্নান সম্পন্ন হবে ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যার দিন। মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের (Mauni Amavasya) এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে এবং এক আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। কেন মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নান এত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য ঠিক কী রয়েছে , এই নিয়ে আমরা আজকে আলোচনা করব।

    আভ্যন্তরীণ শুদ্ধিকরণ ও পবিত্রতা (Maha kumbh 2025)

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌনী শব্দটি এসেছে মৌনতা থেকে। যার আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় নীরবতা। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌনী অমাবস্যার দিন (Maha kumbh 2025) নীরবতা পালন করলে মানসিক স্বচ্ছতা এবং অভ্যন্তরীণ শান্তি বিরাজ করে ব্যক্তির মধ্যে। একই সঙ্গে তাঁরা জানাচ্ছেন যে, গঙ্গা যমুনা ও সরস্বতীর নদীর যে সঙ্গমস্থল, যা প্রয়াগরাজ নামে পরিচিত, সেখানে মৌনী অমাবস্যায় পবিত্র স্নান করলে আত্মা শুদ্ধ হয় এবং অতীতের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি মেলে।

    মোক্ষলাভ করা যায় মৌনী অমাবস্যা স্নানে

    অনেক শাস্ত্র বিশেষজ্ঞের মতে, মৌনী অমাবস্যায় পবিত্র নদীর জলে আধ্যাত্মিক শক্তি বিরাজ করে এবং জল ঐশ্বরিক হয়ে ওঠে। তাই এই দিনে যদি কেউ স্নান করে তাহলে তাঁর মোক্ষলাভ (Maha kumbh 2025) হয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, এই সময়ে স্নান করলে মোক্ষলাভ করতে পারেন ভক্তরা।

    জৈনগুরু ঋষভদেবের কাহিনি

    জানা যায়, মৌনী আমাবস্যার (Maha kumbh 2025) অন্য আরেকটি গুরুত্ব রয়েছে। এই হল সেই পবিত্র মুহূর্ত যে সময়ে জৈন ধর্মের একজন তীর্থঙ্কর ঋষভদেব তিনি নদীতে স্নান করে, তাঁর নীরবতার ব্রত শেষ করেছিলেন। জানা যায়, পরবর্তীকালে ঋষভদেবের পথকেই অনুসরণ করেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। তাঁর দেখানো পথই অনুসরণ করে আজও মৌনী ব্রত পালন করে থাকেন অনেক জৈন সম্প্রদায়ের মানুষ।

    মুক্তি হয় পূর্বপুরুষদেরও

    শাহিস্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভে। এই সময়ে সাধু সন্তরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন শোভাযাত্রা বের করেন এবং পবিত্র জলে স্নান করে তারপরেই তাঁদের দিনের শুরু করেন। সমস্ত সাংসারিক মানুষকে এই আচার পালন করার জন্য তাঁরা অনুপ্রাণিত করেন। মনে করা হয় এই দিনে যে সমস্ত মানুষ স্নান করেন, তাঁরা শুধুমাত্র নিজের কর্মকে শুদ্ধ করেন না, তাঁরা তাঁদের পূর্ব পুরুষদেরও উদ্ধার করেন এবং তাঁদের মুক্তির পথে নিয়ে যান।

    ধুয়ে যায় সমস্ত অহঙ্কার

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌনী অমাবস্যার ব্রত পালন এবং পবিত্র নদীতে স্নান করলে পরে নিজের সমস্ত অহংকার ধুয়ে যায় এবং মানুষজন নিজেদের পার্থিব আসক্তি ত্যাগ করতে সক্ষম হন। নিজেদের আধ্যাত্মিক উন্নতিতে মৌনী অমাবস্যা স্নানের এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

    ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভ

    মহাকুম্ভমেলা হল বিশ্বের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয়, সামজিক এবং সাংস্কৃতিক মহামিলন মেলা। প্রতি ১২ বছর এক যোগে পূর্ণকুম্ভের আয়োজন হয়ে থাকে। আর প্রতি বছর যে মেলা হয়, তাকে বলা হয় কুম্ভ। ছয় বছরে একবার কুম্ভকে বলা হয় অর্ধকুম্ভ। প্রতি ১২ বছরে অনুষ্ঠিত কুম্ভকে বলা হয় পূর্ণকুম্ভমেলা। আবার ১২টি পূর্ণকুম্ভ অতিক্রান্ত হয়ে বা ১৪৪ বছর পর যে পূর্ণকুম্ভমেলা আসে, তাকে বলা হয় মহাকুম্ভ মেলা। এই কুম্ভ মূলত চারটি জায়গায় চক্রাকারে অনুষ্ঠিত হয়। জায়গাগুলি হল, উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা, যমুনা ও (পৌরাণিক) সরস্বতী নদী সঙ্গমে প্রয়াগরাজ (Triveni Sangam), উত্তরাখণ্ডের গঙ্গা নদীর তীরে হরিদ্বার, মধ্যপ্রদেশের শিপ্রা নদীর তীরে উজ্জয়িনী এবং মহারাষ্ট্রের গোদাবরীর তীরে নাসিকে। সব জায়গায় মূলত নদী সঙ্গমে মেলা বসে এবং পুণ্যস্নান সম্পন্ন হয়। এই বছর পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলা আয়োজিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share