Tag: news in bengali

news in bengali

  • Manipur Violence: অশান্ত মণিপুর, জ্বালিয়ে দেওয়া হল অসম রাইফেলসের ক্যাম্প

    Manipur Violence: অশান্ত মণিপুর, জ্বালিয়ে দেওয়া হল অসম রাইফেলসের ক্যাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur Violence) ফের নিশানা করা হল অসম রাইফেলসকে। শনিবারই মণিপুরের কামজং জেলায় অসম রাইফেলসের একটি ঘাঁটিতে ভাঙচুরের পর আগুন লাগিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। জানা গিয়েছে, শনিবার হংবেং এলাকার নাগা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় কাঠ কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন। সেই সময় কাঠবোঝাই গাড়িটি আটকে দেন অসম রাইফেলসের (Assam Rifles) জওয়ানরা। তখন থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ।

    গেলজাং মহকুমার একাংশে শনিবার থেকেই জারি করা হয়েছে কার্ফু

    ঘটনার জেরে মণিপুরের (Manipur Violence) কাংপোকপি জেলার গেলজাং মহকুমার একাংশে শনিবার থেকেই জারি করা হয়েছে কার্ফু। জেলা প্রশাসন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত কার্ফু বলবৎ থাকবে। দিন কয়েক আগেই কাংকোপকি জেলায় পুলিশের এক ডেপুটি কমিশনারের দফতরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে, তারপরে ফের সামনে এল এমন ঘটনা। এই ঘটনায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শনিবারই বৈঠকে বসেন সে রাজ্যের রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লা এবং সিআরপিএফ আধিকারিকেরা।

    ২০২৩ সালের মে মাস থেকে উত্তপ্ত মণিপুর 

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার জেরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur Violence)। কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিলের আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। মাঝে অবশ্য বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল অশান্তি। পরে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের জেলায় জেলায়। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও চালানো হয় হামলা (Manipur Violence)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর সোনমার্গ সফরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন ওমর, ‘অপেক্ষায় আছি’, বললেন মোদি

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর সোনমার্গ সফরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন ওমর, ‘অপেক্ষায় আছি’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই জম্মু-কাশ্মীর সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উদ্বোধন করবেন শ্রীনগর-লাদাখ জাতীয় সড়ক প্রকল্পের আওতায় সোনমার্গের জেডমোরহ সুড়ঙ্গের। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে তুঙ্গে প্রস্তুতি। চারিদিকে সাজোসাজো রব। প্রস্তুতি-পর্ব খতিয়ে দেখতে ময়দানে স্বয়ং কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে কাশ্মীরে চলা উন্নয়নকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। কাশ্মীরে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন পোস্টের উত্তরও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, আকূল আগ্রহে তিনি অপেক্ষা করছেন সোনমার্গে যাওয়ার জন্য।

    মোদির (PM Modi) এক্স হ্যান্ডলের পোস্ট 

    এক্স মাধ্যমে ওমর আবদুল্লার পোস্ট শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘সোনমার্গ যাওয়ার জন্য আকূল আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আর আপনি এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে সেখানকার স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটনের বিষয়ে একদম ঠিক দিকটিই তুলে ধরেছেন।’’ প্রসঙ্গত, তিন মাস আগেই এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গিয়েছে। অবশেষে এবার হতে চলেছে উদ্বোধন। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের আরও একটি অন্যতম সুড়ঙ্গ প্রকল্প জোজিলা টানেল তৈরি হয়ে যাবে আগামী বছরের মধ্যেই।

    কেন্দ্রের প্রকল্পে উন্নয়ন হবে এলাকার, মনে করেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, এদিনই সোনমার্গের জেডমোরহ সুড়ঙ্গের কাছে পৌঁছে যান ওমর। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আগমনের প্রস্তুতি কেমন চলছে, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখেন তিনি। পরে এক্স হ্যান্ডলে তাঁর সোনমার্গের কিছু মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে ওমর লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সোনমার্গ কতটা তৈরি তা খতিয়ে দেখতেই সেখানে গিয়েছিলাম। জেডমোরহ সুড়ঙ্গের উদ্বোধনের মাধ্যমে সোনমার্গে গোটা বছরই এবার ভিড় বাড়বে পর্যটকদের। উন্নয়ন হবে এলাকার। যার জেরে আর স্থানীয় মানুষজনদেরও এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে না। এছাড়াও, এবার কার্গিল ও লেহ-তে যাওয়ার ঝক্কি অনেকটাই কমবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: “সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সাম্প্রদায়িক নয়”, ইউনূসের দাবিতে নিন্দার ঝড়

    Bangladesh: “সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সাম্প্রদায়িক নয়”, ইউনূসের দাবিতে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সাম্প্রদায়িক নয়, সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।” অন্তত এমনই দাবি করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। নোবেলজয়ী এহেন মন্তব্যে নিন্দার ঝড় বিশ্বজুড়ে।

    প্রশ্ন হল, হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়প্রভুকে মিথ্যা মামলা, হিন্দু (Minority Hindu) মন্দির ভাঙচুর, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ, খুন, বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি সবটাই শুধু রাজনৈতিক চক্রান্ত? কেন দুর্গাপুজোর সময় এবং বিসর্জনের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখার ফাতোয়া জারি করেছিল ইউনূস প্রশাসন? কেন উত্তরায় দুর্গাপুজা করলে মিছিল করে মৌলবীরা খুনের স্লোগান দিয়েছিল? কেন ইসকন মন্দিরে জগন্নাথদেবকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল? কেন সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় হিন্দুদের পিষে মারার নিদান দেওয়া হয়েছিল? এই সব প্রশ্নের ভিত্তি কি সাম্প্রদায়িক, নাকি কেবল রাজনৈতিক? অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে তার সঠিক বিশ্লেষণ দেওয়া হয়নি। ফলে শাক দিয়ে মাছ যে ঢাকা যায় না, তা ইউনূস প্রশাসন আরও একবার প্রমাণ করল বলেও ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    শুধুমাত্র ১.৫৯ শতাংশ ঘটনা সাম্প্রদায়িক কারণে ঘটেছে (Bangladesh)!

    বাংলাদেশ (Bangladesh) নিউজ আউটলেট ঢাকা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “পুলিশ তদন্তে জানিয়েছে দেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মোট হামলা ও ভাঙচুরের রিপোর্ট করা ১৪১৫টি ঘটনার মধ্যে ৯৮.৪ শতাংশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। শুধুমাত্র ১.৫৯ শতাংশ ঘটনা সাম্প্রদায়িক কারণে ঘটেছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রচার বিভাগের মুখপাত্র সূত্রে পুলিশের অনুসন্ধানের এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ১৭৬৯টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১৪১৫টি ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে। ৩৫৪টি মামলার তদন্ত এখনও চলছে। তদন্ত করা মামলাগুলির মধ্যে ১২৫৪ টি প্রমাণিত হয়েছে এবং ১৬১টি ক্ষেত্রে প্রমাণে তথ্যের অভাব রয়েছে। তবে মোট মামলার মধ্যে ১৪৫২টি ঘটনা ঘটেছিল এক দিনেই।”

    ৩ দিনের ২০৫টি হামলা (Bangladesh)!

    আসুন তাহলে দেখে নিই, কীভাবে হামলার পরম্পরা চলেছে ওই দেশে। বাংলাদেশ (Bangladesh) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার মোট ২০১০টি ঘটনা ঘটেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঘটনার সংখ্যা আরও অনেক বেশি। হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর ৩ দিনের মধ্যে হিন্দু মন্দির, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে উগ্র মুসলিমরা। ৬০ জনের বেশি হিন্দু শিক্ষক, অধ্যাপককে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী এবং ব্লগার আসাদ নূর বলছেন, “হিন্দুদের জামাতে-ইসলামী-তে যোগদান করতে বাধ্য করা হচ্ছে।” আবার বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিন একাধিক বার হিন্দু নির্যাতন নিয়ে তোপ দেগেছেন। তাঁর দাবি, বিএনপি, হিজবুল তেহেরির এবং জামাত শিবির বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করতে চাইছে। ৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে গণেশ ঠাকুরের শোভাযাত্রায় হিন্দু (Minority Hindu) ভক্তদের ওপর হামলা করা হয়েছিল। দুর্গাপুজোর সময় ময়মনসিংহে ইয়াসিন মিয়া নামক এক ব্যক্তি গৌরীপুর শহরের পুজোয় হামলা চালায়। ঋষিপাড়া বারোয়ারি পুজো মণ্ডপে, মানিকাদি পালপাড়া বারোয়ারিতে ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর কট্টর মুসলমানরা হামলা করেছিল। দুর্গার পুজোর অষ্টমীতে ঢাকার তাঁতি বাজার এলাকায় পেট্রোল বোমা মারা হয়েছিল পুজো মন্দিরে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার সময়। এক কথায়, সাম্প্রদায়িকতার আগুনে হিন্দু জীবন চূড়ান্ত বিপর্যস্ত।

    মহাশ্মশান কালী মাতা মন্দিরে আক্রমণ জেহাদিদের

    ৩রা অক্টোবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জে গোপীনাথ জিউর আখড়া দুর্গাপূজো মণ্ডপে হিন্দু দেবদেবীর ৭টি মূর্তি ভাঙা হয়। ৫ নভেম্বর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের হাজারি গলিতে হিন্দুদের ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। ২৯ নভেম্বর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার পাথরঘাটায় হিংস্র মুসলিম জনতা হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করে ৩টি মন্দির ভেঙে দেয়। মুসলমানরা যে হিন্দু ধর্মীয় স্থানগুলোকে টার্গেট করেছিল তার মধ্যে রয়েছে শান্তনেশ্বরী মাতৃ মন্দির, শনি মন্দির এবং কালীবাড়ি মন্দির। শুক্রবার নমাজের পরপরই ওখানে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে মুন্নি সাহা নামে বিশিষ্ট হিন্দু সাংবাদিককে পুলিশ মিথ্যা মামলায় আটক করেছিল। তাঁর দোষ, হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলেছেন। ১৩ ডিসেম্বর একদল জেহাদি মহাশ্মশান কালী মাতা মন্দিরে আক্রমণ করেছিল। সেখানে ৭টি দেবতার মূর্তি ভাঙচুর করে তারা। চুরি করেছিল মন্দিরের বিগ্রহের সোনার গয়না। 

    আরও পড়ুনঃ ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    গুজব রটিয়ে ও ইসলামকে অবমাননার অজুহাতে আক্রমণ

    ১৯ ডিসেম্বর, ময়মনসিংহ (Bangladesh) জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় আলাল উদ্দিন নামে একজন মুসলিম ব্যক্তি পলাশকান্দা কালী মন্দিরে একটি মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। এখানকার আজহারুল নামে এক ৩৭ বছর বয়সী মুসলিম ব্যক্তি বেশ কয়েকটি দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। একই ভাবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু এবং তাঁর  সহযোগীদের সাম্প্রতিক সময়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে ইউনূস প্রশাসন। সকল হিন্দু সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা এবং ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ মামলা দিয়ে হিন্দু বিক্ষোভ দমন করার কাজ তীব্র গতিতে করছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই ভাবে আবার গুজব রটিয়ে এবং ইসলামকে অবমাননার অজুহাতে হিন্দুদের ওপর হামলার একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। হৃদয় পাল, উৎসব মন্ডল, পার্থ বিশ্বাস পিন্টু, আকাশ দাস এবং উত্সব কুমার গায়নের ওপর সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি হিন্দু নিপীড়নের উজ্জ্বল উদাহরণ। হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হিংসা, ভুয়ো মামলা দিয়ে কঠিন নির্যাতন করা হচ্ছে প্রতিদিন।

    মহিলা অন্তর্বাস হাতে নিয়ে উল্লাসে মেতেছিল জামাত!

    গত ৫ অগাস্ট থেকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। ‘কোটা’ বনাম ‘মেধাবী’ আন্দোলনের অন্তরালে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের গণভবন লুট করেছে কট্টর মৌলবাদীরা। একই ভাবে একজন ৭৫ বছরের মহিলা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ‘অন্তর্বাস’ হাতে নিয়ে উল্লাস করেছে ওই দেশের জামাত শিবিরের সমর্থকেরা। বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙচুর এবং মাথায় মূত্র ত্যাগের ঘটনায় বিরাট নিন্দার ঝড় উঠেছিল। আন্দোলনের আড়ালে ছিল ক্ষমতা দখলের অসৎ উদ্দেশ্য। হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে ক্ষমতায় বসেছেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর থেকেই আওয়ামি লিগ এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগাতার আক্রমণ হয়ে চলছে। অপরদিকে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে লাগাতার চট্টগ্রাম বন্দরের মালামাল আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোপনে অস্ত্র আমদানি করেছে ইউনূস প্রশাসন। দেশের অভ্যন্তরে ঢাকায় ভারতবিরোধী ভাবনার স্পষ্ট উচ্চারণ হচ্ছে। সীমান্তে বিজিপি ভারতের বিএসএফের সঙ্গে আচরণ বদলে ফেলেছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং ভারতের জমি দখলের চেষ্টা করছে জেএমবির জঙ্গিরা। আর ঢাকা সহ একাধিক জেলায় মন্দির ভাঙচুর, লুটপাট, ধর্ষণ, খুন, হত্যা (Minority Hindu) ইত্যাদি ঘটে চলেছে। তবুও নির্লজ্জ ইউনূস নিজের কৃতকর্মের জন্য কোনও অনুতাপ করেননি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ট্রাম্পের শপথ গ্রহণে হাজির থাকবেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    Donald Trump: ট্রাম্পের শপথ গ্রহণে হাজির থাকবেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের তরফে হাজির থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। রবিবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে এনিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানেই জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতকে। ভারতের  প্রতিনিধি হিসেবে এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন ট্রাম্প (Donald Trump) 

    প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জানুয়ারি সোমবার আমেরিকার ৪৭-তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ওই দিনই আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিতে চলেছেন জেডি ভ্যান্স। জানা গিয়েছে, এই সফরে আমরিকার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলবেন জয়শঙ্কর। এছাড়া, এই কর্মসূচিতে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গেও বাক্যবিনিময়ও করবেন তিনি। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিও।

    মোদিকে একাধিকবার বন্ধু বলে সম্বোধন করেছেন ট্রাম্প (Donald Trump)

    উল্লেখ্য, প্রকাশ্যে একাধিকবার মোদিকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ২০ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের সামনে শপথ গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। উপস্থিত থাকবেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমন্ত্রণ পেয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জ্যাভিয়ার মিলেই, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সহ  অন্যনান্যরা। ওয়াশিংটন ডিসি-তে এই অনুষ্ঠান হবে বলে জানা গিয়েছে। তার পরে প্রেসিডেন্টের কক্ষে গিয়ে রীতি মেনে কিছু এগজিকিউটিভ অর্ডারে সই করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে স্ট্যাটুটায়ারি হলে আয়োজন করা হবে মধ্যাহ্নভোজের। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের। ওইদিনই পেনসিলভেনিয়া অ্যাভিনিউ ধরে চলবে কুচকাওয়াজ। শেষে ‘ইনগরাল বলস’ দিয়ে শেষ হবে গোটা অনুষ্ঠান। তারপরেই সরকারি ভাবে কাজ শুরু করবে নতুন প্রশাসন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের আগমনে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খুবই ভালো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Los Angeles: “বিষাক্ত ধোঁয়া এড়াতে বাড়িতে থাকুন”, বিধ্বংসী দাবানলে বিধ্বস্ত লস এঞ্জেলেস

    Los Angeles: “বিষাক্ত ধোঁয়া এড়াতে বাড়িতে থাকুন”, বিধ্বংসী দাবানলে বিধ্বস্ত লস এঞ্জেলেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা লস এঞ্জেলেস (Los Angeles) জুড়ে বিধ্বংসী দাবানলের (Devastating Fire) কারণে সরকার পক্ষের তরফে গভর্নর চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছেন। আগুনে পুড়ে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, “আপনারা বিষাক্ত ধোঁয়া এড়াতে বাড়িতে থাকুন”। একইভাবে এখনও পর্যন্ত ১২০০০ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মারাত্মক আগুন থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সরকারি সংস্থা দুর্গতদের সাহায্য এবং উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

    ৩৯০০০ একর জমিতে আগুন (Los Angeles)

    জানা গিয়েছে, লস এঞ্জেলেসে দাবানলের (Devastating Fire) কারণে দৈনন্দিন জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে ৩৯০০০ একর জমিতে জ্বলছে আগুন। ১৩৫০ কোটি থেকে ১৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পত্তি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই দাবানল সব থেকে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এখন সকল স্কুল, কলেজ, বিনোদনের জায়গা, হোটেল, রেস্তোরা বন্ধ। খেলাধুলা, কামিউনিটি ইভেন্ট বাতিল করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এবং বিপর্যয় কবলিত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং নেভানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইটন ফায়ার ৫৬ বর্গ কিমি, দ্যা পালিসেডস ফায়ার সমৃদ্ধি প্যাসিফিক প্যালিসেডস আশপাশের এলাকাকে ব্যাপক ভাবে ধ্বংস করেছে। প্রচুর পরিমাণ গাছপালা, বাড়িঘর এবং প্রাকৃতিক সম্পত্তি আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।

    গলা ব্যথা এবং মাথাব্যথায় প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন

    স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সকল বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এঞ্জেলেস ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক হেলথের প্রধান অনীশ মহাজন বলেন, “আমরা সবাই দাবানলের ধোঁয়ার সংস্পর্শের মধ্যে পড়ে গিয়েছি। এই ধোঁয়ায় ছোট কণা, গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের মিশ্রণ রয়েছে। সূক্ষ্মকণাগুলি শরীরে প্রবেশ করে নাক এবং গলাকে প্রভাবিত করবে। তীব্র জ্বালা অনুভব হবে। ফলে গলাব্যথা এবং মাথাব্যথায় প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ইতিমধ্যে হশেরিফ রবার্ট লুনা প্যাসাডেনায় একটি পারিবারিক সাহায্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই দাবানল আবার সান ফ্রান্সিসকোর একটি বড় এলাকাকে পুড়িয়ে দিয়েছে।

    ট্রাম্পকে পরিদর্শনের আর্জি

    ক্যালিফোর্নিয়ার (Los Angeles) গভর্নর গ্যাভিন নিউজম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দাবানলে (Devastating Fire) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের অনুরোধ করেছেন। দুর্গত এবং আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। নিজের এক্স হ্যান্ডলে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, “ভয়াবহ দাবানলে প্রচুর মানুষের বাড়িঘর পুড়ে গিয়েছে। মানুষ নিজের জীবন নিয়ে বিপন্নবোধ করছেন। সরকার পক্ষ এবং একাধিক নানা বেসরকারি সংস্থা সবরকমভাবে সাহায্যের জন্য মাঠে নেমে পড়েছে। অযথা কেউ আতঙ্কিত হবেন না এবং সবরকম গুজব থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলুন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistani Nuclear Scientists Abducted: ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    Pakistani Nuclear Scientists Abducted: ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের লাগানো বিষবৃক্ষে ফল ধরতে শুরু করেছে! ভারতে নিত্য অশান্তি জিইয়ে রাখতে লাগাতার জঙ্গিদের মদত দিয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistani Nuclear Scientists Abducted) সরকার। যিনিই মসনদে বসেছেন, তিনিই দেশের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরাতে অক্সিজেন জুগিয়ে গিয়েছেন বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে। এবার সেই জঙ্গিফাঁদে পড়েই অপহৃত পরমাণু বিজ্ঞানীদের ছাড়াতে কার্যত নাকানি চোবানি খাচ্ছে পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফের সরকার।

    টিটিপির হানা তেজস্ক্রিয় খনিতে (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)

    ঘটনার সূত্রপাত দিন দুই আগে। তেহরিক-ই-তালিবান, সংক্ষেপে টিটিপির (TTP Terrorists) কয়েকশো জঙ্গি দিনে-দুপুরে হানা দেয় পাকিস্তানের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম খনিতে। সশস্ত্র জঙ্গিদের রণমূর্তি দেখে পালিয়ে যায় খনি প্রহরারত নিরাপত্তারক্ষীরা। বিনা বাধায় খনিতে লুটপাট চালায় জঙ্গিরা। যাওযার সময় সঙ্গে নিয়ে যায় প্রচুর ইউরেনিয়াম। পণবন্দি করে ১৬ জন পাক পরমাণু বিজ্ঞানী-সহ মোট ১৮ জনকে। এই খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পাক রেঞ্জার্স এবং আধা কমান্ড বাহিনী। জঙ্গিদের দেখে প্রাণ বাঁচাতে গা-ঢাকা দেয় তারা। অসহায়ের মতো জঙ্গিদের সঙ্গে যেতে বাধ্য হন পাক পরমাণু বিজ্ঞানীরা। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা-সহ পশ্চিম দুনিয়া। ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পাক বিজ্ঞানীদের অপহরণ করেছে টিটিপি। পরে তাঁদের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের অনুমান, ইউরেনিয়ামের সাহায্যে এবার শক্তিশালী বোমা তৈরির চেষ্টা করবে টিটিপি। তাই খনি থেকে ইউরেনিয়াম লুট করেছে তারা (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)।

    সুপ্ত ইচ্ছে পূরণ হবে জঙ্গিদের!

    দীর্ঘ সময় ধরে পরমাণু বোমা তৈরির সুপ্ত ইচ্ছে পোষণ করেছে বহু জঙ্গি নেতা। একই সঙ্গে বিজ্ঞানী ও তেজস্ক্রিয় লুট করে সেই স্বপ্ন সফল করতে পারে জঙ্গিরা। জঙ্গি সংগঠনগুলি পরমাণু বোমা তৈরি করলে বিশ্বজুড়ে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হবে বলেই শঙ্কা মার্কিন গোয়েন্দাদের। এর আগেও পাক সেনাবাহিনীর হাতে থাকা পারমাণবিক হাতিয়ারের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। আমেরিকার বহু বিশেষজ্ঞই ইসলামাবাদের কাছে আণবিক অস্ত্র থাকাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করেন। ইউরেনিয়াম খনি লুট এবং বিজ্ঞানীদের অপহরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লিও।

    মুখ পোড়ার ভয়

    বিশ্বে মুখ পোড়ার ভয়ে প্রথমে বিজ্ঞানীদের অপহরণের কথা স্বীকার করেনি পাক সরকার। পরে অবশ্য জঙ্গি-কবল থেকে বিজ্ঞানীদের মুক্ত করতে শাহবাজ শরিফের সরকার দর কষাকষি করছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। যদিও এ ব্যাপারে অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি পাক সরকারের তরফে। তবে টিটিপি (TTP Terrorists) জঙ্গিরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রাণ বাঁচাতে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে কাতর আর্জি জানাচ্ছেন পাকিস্তানের অপহৃত ১৬ জন বিজ্ঞানী এবং দুই ইঞ্জিনিয়র।

    টিটিপির গুচ্ছের শর্ত

    এদিকে পণবন্দিদের জীবিত ছেড়ে দিতে গুচ্ছের শর্ত দিয়েছে টিটিপি জঙ্গিরা (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে পাক ফৌজকে। মুক্তি দিতে হবে পাক জেলে বন্দি টিটিপির সমস্ত নেতা ও যোদ্ধাকে। আর পাক-আফগান সীমান্তের ‘ডুরান্ড লাইন’ বাতিল করে নয়া সীমান্ত নির্ধারণ করতে হবে। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে বড়সড় হামলা চালায় টিটিপি। মৃত্যু হয়েছিল পাক সেনা বাহিনীর এক মেজর-সহ বেশ কয়েকজন জওয়ানের। বদলা নিতে ২৫ ডিসেম্বর আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে এয়ারস্ট্রাইক চালায় পাকিস্তানের বায়ুসেনা। পরে পাকিস্তান দাবি করে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন জানায়, পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন শিশু ও মহিলা-সহ প্রায় ৫০ জন। এর পরেই সীমান্তে কয়েক হাজার জঙ্গি পাঠিয়ে দেয় তালিবানরা। তালিবান এবং টিটিপি জঙ্গিদের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি পাক সেনা। এই ঘটনার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই পরমাণু বিজ্ঞানীদের অপহরণ করে টিটিপি বুঝিয়ে দিল পাক সেনার তুলনায় তারা কতটা শক্তিশালী।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

    গত ডিসেম্বর (TTP Terrorists) থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে টিটিপি ও পাক সেনার মধ্যে। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে জঙ্গির তকমা দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের অভিযোগ, আড়ালে থেকে টিটিপিকে (Pakistani Nuclear Scientists Abducted) ক্রমাগত মদত দিয়ে চলেছে তালিবান প্রশাসন। জঙ্গিদের তারা আশ্রয়ও দিচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে ইসলামাবাদ ও কাবুলের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক চালানোর পরে পরেই সীমান্তে অন্তত দুটি পাক চৌকি দখল করে টিটিপির জঙ্গিরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেই ভিডিও-ও। চাপে পড়ে পাক সরকার জানায়, চৌকিগুলি খালি ছিল।

    ২০২১ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসে তালিবান। সেই সময় উল্লাস করেছিল পাকিস্তান। তবে ইসলামাবাদের সেই আনন্দ অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কারণ ‘ডুরান্ড লাইন’কে কোনওদিনই মান্যতা দেয়নি তালিবান। তারাই নিয়মিত অক্সিজেন জুগিয়ে গিয়েছে টিটিপিকে (TTP Terrorists)। সেই টিটিপিই কালি লেপে দিল পাক সরকারের মুখে (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Masterda Surya Sen: আজ ‘মাস্টারদা’র আত্মবলিদান দিবস, ১২ জানুয়ারি ফাঁসি হয় বিপ্লবী সূর্য সেনের

    Masterda Surya Sen: আজ ‘মাস্টারদা’র আত্মবলিদান দিবস, ১২ জানুয়ারি ফাঁসি হয় বিপ্লবী সূর্য সেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মাস্টারদা (Masterda Surya Sen) সূর্য সেনের আত্মবলিদান দিবস।  ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি তাঁর ‘ফাঁসি’ হয়। ফাঁসির আগে মাস্টারদার ওপর নৃশংস অত্যাচার চালায় ব্রিটিশ পুলিশ। পিটিয়ে হাতুড়ি দিয়ে সূর্য সেনের দাঁত ও নখ ভাঙা হয়। গোটা শরীরের হাড়পাঁজরা টুকরো টুকরো করা হয়। সেই অবস্থাতেই তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। মৃত্যু ঘোষণার পরে সূর্য সেনের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিয়ে সৎকারের ব্যবস্থাও করা হয়নি।

    জন্ম ১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ (Masterda Surya Sen) 

    জানা যায়, বিপ্লবী সূর্য সেনের (Masterda Surya Sen) আসল নাম সূর্যকুমার সেন। ডাকনাম ছিল কালু। ১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তাঁর মায়ের নাম ছিল শশীবালা সেন এবং পিতার নাম রাজমণি সেন। জানা যায়, পিতা-মাতার অকালপ্রয়াণের পর কাকা গৌরমণি সেনের কাছে বড় হন মাস্টার দা সূর্য সেন। দয়াময়ী উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়, নন্দনকাননের ন্যাশনাল হাইস্কুল, চট্টগ্রাম কলেজ ও পরে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে তিনি পড়তে আসেন বলে জানা যায়। বহরমপুর থেকে থেকে বিএ পাশ করে চট্টগ্রামে (Chittagong) ফিরে ন্যাশনাল হাইস্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি।

    মাথার দাম ঘোষণা করা হয় ১০ হাজার

    পরে দেওয়ানবাজারে উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে গণিত শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। এ সময় থেকেই বিপ্লবীদলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বাড়তে থাকে। তখনই তিনি হয়ে ওঠেন ‘মাস্টারদা’ (Masterda Surya Sen)। ইংরেজ শাসকের কাছে ত্রাস হয়ে ওঠেন তিনি। ইতিহাসের পাতায় আজও যা লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। ব্রিটিশদের ত্রাস মাস্টারদার (Masterda Surya Sen) মাথার দাম প্রথমে ৫০০০ টাকা এবং পরবর্তীতে ১০,০০০ টাকা ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, গৈরলা গ্রামে ক্ষীরোদপ্রভা বিশ্বাসের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকাকালীন তাঁকে ধরে ব্রিটিশ পুলিশ।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: মহাকাশে দুই উপগ্রহের হ্যান্ডশেক! ইসরোর ‘স্পেস ডকিং’ এগোল আরও একধাপ

    ISRO: মহাকাশে দুই উপগ্রহের হ্যান্ডশেক! ইসরোর ‘স্পেস ডকিং’ এগোল আরও একধাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে দুটি কৃত্রিম উপগ্রহকে (Satellite) হ্যান্ডশেক করাতে চায় ইসরো (ISRO)। এক্ষেত্রে ‘স্পেস ডকিং’ পরীক্ষা করানো হয়। আজ রবিবার ভোরে সেই পরীক্ষাতে আরও এক ধাপ এগিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। দুটি উপগ্রহকে তিন মিটার পর্যন্ত কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তার পর ফের আবার তাদের পিছিয়ে আনা হয়। ইসরো জানিয়েছে, রবিবারের তথ্য বিশ্লেষণের পরে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, স্পেস ডকিংয়ের পরীক্ষামূলক প্রচেষ্টা ১৫ মিটার এবং তিন মিটার পর্যন্ত সফল হয়েছে। তারপর ফের আবার সেগুলিকে নিরাপদ দূরত্বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আরও তথ্য বিশ্লেষণের পর স্পেস ডকিং প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে নলে জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

    শনিবার রাত ১২টার পর থেকেই ডকিং প্রক্রিয়া শুরু হয় (ISRO)
     
    জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১২টার পর থেকেই ডকিং প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথমে দু’টি কৃত্রিম উপগ্রহকে (ISRO) নিয়ে যাওয়া হয় ১৫ মিটার ব্যবধান পর্যন্ত। তারপর আরও কাছাকাছি এগিয়ে যায় তারা। ইসরোর (Satellite)  তরফে জানানো হয়েছে, দু’টি উপগ্রহের মধ্যে যখন দূরত্ব তিন মিটার হয়, তখনই তাদের থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    কী এই স্পেস ডকিং?

    ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে জানানো হয়েছে দু’টি কৃত্রিম উপগ্রহ স্পেডেক্স ১ (চেজার) এবং স্পেডেক্স ২ (টার্গেট) একই গতিবেগে ছুটবে। দূরত্বও একই পাড়ি দেবে তারা। এরপর মহাকাশে একই উচ্চতায় পৌঁছবে তারা। ৪৭০ কিলোমিটার উচ্চতায় একই বিন্দুতে একত্রিত হবে তারা। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার নাম স্পেস ডকিং।

    গত ৩০ ডিসেম্বর পিএসএলভি-সি৬০ রকেট উৎক্ষেপণ করে ইসরো

    ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এই পরীক্ষার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের (ISRO) পিএসএলভি-সি৬০ রকেট উৎক্ষেপণ করে ইসরো। ওই রকেটের প্রধান পেলোড হিসেবেই পাঠানো হয়েছিল স্পেডেক্স ১ এবং ২-কে। জানা গিয়েছে, ২৪টি সেকেন্ডারি পেলোডও পাঠানো হয়েছিল সেসময়। পিএসএলভি-সি৬০ মিশনের প্রধান রয়েছেন জয়কুমার। তিনি জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে নিজস্ব আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সেই লক্ষ্যপূরণের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল এই স্পেস ডকিং। স্পেস ডকিং সফল হলে মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে ইসরো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Expired Saline: স্যালাইনের বিষক্রিয়ায় মেদিনীপুরে মৃত প্রসূতি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    Expired Saline: স্যালাইনের বিষক্রিয়ায় মেদিনীপুরে মৃত প্রসূতি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইনের বিষক্রিয়ায় (Expired Saline) মৃত্যু প্রসূতির, হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও চারজন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে একের পর এক রাজনৈতিক দল ও তাদের ছাত্র সংগঠন। মমতা জমানার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলে তোপ দেগেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিও। চিকিৎসা পরিকাঠামোয় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে তারা।

    তোপ বিজেপির

    দলের এক্স হ্যান্ডলে এনিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। সেখানে লেখা হয়েছে- ‘‘মমতা জমানার লজ্জাজনক বেহাল অবস্থা সামনে এসেছে। একজন গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু হয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনে (Expired Saline)। আরও কয়েকজন তাঁদের জীবন বাঁচাতে লড়াই করছেন। মায়েদের জীবনের বিনিময়ে এটাকেই কি উন্নয়ন বলে? এমন গাফিলতির কারণে হাসপাতালগুলিই মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।’’

    মৃত মামনি রুইদাস (Expired Saline)

    মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুতে একের পর এক মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ, নিম্নমানের স‌্যালাইন ও ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে রোগীদের। স‌্যালাইনের বোতলে ছত্রাকও (Expired Saline) মজুত ছিল বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। গত শুক্রবার সকালে মারা যান মামনি রুইদাস(২০) নামে এক প্রসূতি (Pregnant Woman Dies)। জানা গিয়েছে, বুধবারই এক সন্তানের জন্ম দেন মামনিদেবী। তারপরেই তাঁর অবস্থার অবনতি শুরু হয়। ভর্তি করা হয় আইসিইউ-তে। শুক্রবারই মারা যান তিনি। জানা যাচ্ছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনের কারণে অসুস্থ হয়েছেন আরও চারজন, তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 247: “বাটীতে ফিরিয়া গিয়া ভাবিয়া দেখিলেন যে, সংস্কার সম্বন্ধে এখনও তাঁহার পূর্ণ বিশ্বাস হয় নাই”

    Ramakrishna 247: “বাটীতে ফিরিয়া গিয়া ভাবিয়া দেখিলেন যে, সংস্কার সম্বন্ধে এখনও তাঁহার পূর্ণ বিশ্বাস হয় নাই”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতা রাজপথে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) গাড়ি করিয়া দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়ি হইতে বাহির হইয়া কলিকাতা অভিমুখে আসিতেছেন। সঙ্গে রামলাল ও দু-একটি ভক্ত। ফটক হইতে বহির্গত হইয়া দেখিলেন চারিটি ফজলি আম হাতে করিয়া মণি পদব্রজে আসিতেছেন। মণিকে দেখিয়া গাড়ি থামাইতে বলিলেন। মণি গাড়ির উপর মাথা রাখিয়া প্রণাম করিলেন।

    শনিবার, ২১শে জুলাই, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ, (৬ই শ্রাবণ), আষাঢ় কৃষ্ণা প্রতিপদ, বেলা চারিটা। ঠাকুর অধরের বাড়ি যাইবেন, তৎপরে শ্রীযুক্ত যদু মল্লিকের বাটী, সর্বশেষে ৺খেলাৎ ঘোষের বাটী যাইবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মণির প্রতি, সহাস্যে)—তুমিও এস না—আমরা অধরের বাড়ি যাচ্ছি।

    মণি যে আজ্ঞা বলিয়া গাড়িতে উঠিলেন।

    মণি ইংরেজী পড়িয়াছেন, তাই সংস্কার মানিতেন না, কিন্তু কয়েকদিন হইল ঠাকুরের নিকটে স্বীকার করিয়া গিয়াছিলেন যে, অধরের সংস্কার ছিল তাই তিনি অত তাঁহাকে ভক্তি করেন। বাটীতে ফিরিয়া গিয়া ভাবিয়া দেখিলেন যে, সংস্কার সম্বন্ধে এখনও তাঁহার পূর্ণ বিশ্বাস হয় নাই। তাই ওই কথা বলিবার জন্যই আজ ঠাকুরকে দর্শন করিতে আসিয়াছেন। ঠাকুর কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আচ্ছা, অধরকে তোমার কিরূপ মনে হয়?

    মণি—আজ্ঞে, তাঁর খুব অনুরাগ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—অধরও তোমার খুব সুখ্যাতি করে।

    মণি কিয়ৎক্ষণ চুপ (Kathamrita) করিয়া আছেন; এইবার পূর্বজন্মের কথা উত্থাপন করিতেছেন।

    কিছু বুঝা যায় না—অতি গুহ্যকথা 

    মণি—আমার ‘পূর্বজন্ম’ ও ‘সংস্কার’ এ-সব তাতে তেমন বিশ্বাস নাই; এতে কি আমার ভক্তির কিছু হানি হবে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তাঁর সৃষ্টিতে সবই হতে পারে এই বিশ্বাস থাকলেই হল; আমি যা ভাবছি — তাই সত্য; আর সকলের মত মিথ্যা; এরূপ ভাব আসতে দিও না। তারপর তিনিই বুঝিয়ে দিবেন।

    “তাঁর কাণ্ড মানুষে কি বুঝবে? অনন্ত কাণ্ড! তাই আমি ও-সব বুঝতে আদপে চেষ্টা করি না। শুনে রেখেছি তাঁর সৃষ্টিতে সবই হতে পারে। তাই ও-সব চিন্তা না করে কেবল তাঁরই চিন্তা করি। হনুমানকে জিজ্ঞাসা করেছিল, আজ কি তিথি, হনুমান বলেছিল (Kathamrita), ‘আমি তিথি নক্ষত্র জানি না, কেবল এক রাম চিন্তা করি।’

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share