Tag: news in bengali

news in bengali

  • Sandeshkhali: নির্যাতিতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে পুলিশি নিরাপত্তা, গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্দেশ কোর্টের

    Sandeshkhali: নির্যাতিতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে পুলিশি নিরাপত্তা, গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্দেশ কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক মহিলাকে গণধর্ষণের (Gang Rape Case) অভিযোগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এবার এই মর্মে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতা। তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কাও করেছিলেন। বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতিতার বাড়িতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। পরবর্তী শুনানি সোমবার। এদিন পুলিশ তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। পাল্টা রাজ্য পুলিশের দাবি তদন্ত এগিয়েছে অনেকটা, দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে হিন্দু বাড়ির বউদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে  দেশ জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। সেই মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  

    সুরক্ষা চেয়ে দ্বারস্থ কলকাতা হাইকোর্টে (Sandeshkhali)

    জানা গিয়েছে,সন্দেশলখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা গতকাল অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় ব্লক তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে অত্যচার চালিয়েছে তাঁর ওপর। এরপর নির্যাতিতা নিজে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মূল অভিযুক্তকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি। এমন কী অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, নির্যাতিতাকে (Gang Rape Case) থানায় অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য উল্টে হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর নির্যাতিতা ভয়ে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে সুরক্ষা চেয়ে দ্বারস্থ হন।

    আরও পড়ুনঃ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই

    শাসক দলের নেতাদের দৌরাত্ম্য নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা (Gang Rape Case) বলেন, “এলাকার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আমি সন্দেশখালি পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমাকে থ্রেট করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের পুলিশ কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না। উল্টে তৃণমূল নেতার হয়ে কাজ করছে। তাই আমি এখন নিরুপায়। অত্যন্ত অসহায়বোধ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি এখন। আমি চাই দোষীরা উপযুক্ত সাজা পাক। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার এখন জেলে থাকার কথা কিন্তু এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। আমি মহামান্য আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: প্রয়াগরাজে এবার ‘সবুজ মহাকুম্ভ’, ১ হাজারের বেশি পরিবেশবিদদের হবে মহাসঙ্গম

    Mahakumbh Mela 2025: প্রয়াগরাজে এবার ‘সবুজ মহাকুম্ভ’, ১ হাজারের বেশি পরিবেশবিদদের হবে মহাসঙ্গম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে পূর্ণমহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) স্নান শুরু হতে চলেছে। এবার মেলায় কোনও পরিবেশ দূষণকারী (Environmentalists) জিনিসকে সম্পূর্ণ বর্জন করা হয়েছে। মেলায় প্রকৃতির বাস্তুতান্ত্রিক পরিবেশে ভারসাম্য বজায় রাখার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মেলায় এবার ১০০০ জনের বেশি পরিবেশ বান্ধব সমাজকর্মীদের মহাসঙ্গম হবে। সারা দেশ থেকে পরিবেশের সচেতনতা মূলক প্রতিযগিতায় যাঁরা সাফল্য লাভ করেছেন তাঁদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে বলা হয়েছে ‘সবুজ মহাকুম্ভ’।

    প্রকৃতি, গাছপালা, পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জল নিয়ে আলোচনা হবে (Mahakumbh Mela 2025)

    প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি এই মহাকুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025) নগরে সারা দেশের প্রায় ১০০০ জনের বেশি পরিবেশবিদ (Environmentalists) এবং জলসংরক্ষণ সচেতন কর্মীদের একটি সম্মেলন করা হবে। এই আয়োজনে বিশেষ ভাবে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ভারতের পরিবেশ সচেতনতা, পরিবেশ বান্ধব ভাবনাকে বড় করে দেখানো হবে। এই কর্মকাণ্ডে বিশেষ ভাবে আয়োজক হিসেবে থাকবে শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান্যাস সংগঠন। একে বলা হয়েছে ‘সবুজ মহাকুম্ভ’। এদিনের এই অনুষ্ঠানে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রকৃতি, গাছপালা, পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জল এবং পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আলোচনা হবে। জলবায়ু এবং দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যার বিষয়কেও আলোকপাত করা হবে। সকল বিশেষজ্ঞ দ্বারা গঠনমূলক একটি পদক্ষেপের সূচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    পৃথিবীকে আরও স্বচ্ছ এবং সুন্দরের ভাবনা থাকবে

    তবে এই ‘সবুজ কুম্ভমেলা’-য় (Mahakumbh Mela 2025) আলোচনা, সচেতনতা এবং পদক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষা-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আগত ভক্তদের সচেতনতার কথা তুলে ধরা হবে। একই ভাবে মেলায় নানা প্রদর্শনী এবং মডেলের ব্যবহার করা হবে। পরিবেশকর্মী (Environmentalists) রাম বাবু তিওয়ারি বলেন, “সবুজ মহাকুম্ভের প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে। সারা দেশের পরিবেশবিদ এবং বিজ্ঞানীরা এই কর্মযজ্ঞে যোগদান করবেন। পৃথিবীকে কীভাবে আরও স্বচ্ছ এবং সুন্দর করা যায় তা নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।” উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এদিকে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই বিরাট মেলায় ৪৫ কোটি তীর্থযাত্রী, ভক্ত এবং পুণ্যার্থীদের সমাগম হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 244: “স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ”

    Ramakrishna 244: “স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে জুন

    শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের মন্দিরে রাখাল মাস্টার প্রভৃতির সঙ্গে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আজ কলিকাতায় বলরামের বাটীতে শুভাগমন করিয়াছেন। মাস্টার কাছে বসিয়া আছেন, রাখালও আছেন। ঠাকুরের ভাবাবেশ হইয়াছে। আজ জ্যৈষ্ঠ কৃষ্ণা পঞ্চমী; সোমবার (১২ই আষাঢ়), ২৫শে জুন, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ; বেলা প্রায় ৫টা হইয়াছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভাবাবিষ্ট)—দেখ, আন্তরিক ডাকলে স্ব-স্বরূপকে দেখা যায়। কিন্তু যতটুকু বিষয়ভোগের বাসনা থাকে, ততটুকু কম পড়ে যায়।

    মাস্টার—আজ্ঞা, আপনি যেমন বলেন ঝাঁপ দিতে হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আনন্দিত হইয়া—ইয়া!

    সকলে চুপ করিয়া আছেন, ঠাকুর আবার কথা কহিতেছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—দেখ, সকলেরই আত্মদর্শন হতে পারে।

    মাস্টার—আজ্ঞা, তবে ঈশ্বর কর্তা, তিনি যে ঘরে যেমন করাচ্ছেন। কারুকে চৈতন্য করছেন, কারুকে অজ্ঞান করে রেখেছেন।

    স্ব-স্বরূপ দর্শন, ঈশ্বরদর্শন বা আত্মদর্শনের উপায়—আন্তরিক প্রার্থনা—নিত্যলীলা যোগ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—না। তাঁকে ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা করতে হয়। আন্তরিক হলে তিনি প্রার্থনা শুনবেই শুনবেন।

    একজন ভক্ত—আজ্ঞা হাঁ—‘আমি’ যে রয়েছে, তাই প্রার্থনা করতে হবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—লীলা ধরে ধরে নিত্যে যেতে হয়; যেমন সিঁড়ি ধরে ধরে ছাদে উঠা। নিত্যদর্শনের পর নিত্য থেকে লীলায় এসে থাকতে হয়। ভক্তি-ভক্ত নিয়ে। এইটি পাকা মত।

    “তাঁর নানারূপ, নানালীলা—ঈশ্বরলীলা, দেবলীলা, নরলীলা, জগৎলীলা; তিনি মানুষ হয়ে অবতার হয়ে যুগে যুগে আসেন, প্রেমভক্তি শিখাবার (Kathamrita) জন্য। দেখ না চৈতন্যদেব। অবতারের ভিতরেই তাঁর প্রেম-ভক্তি আস্বাদন করা যায়। তাঁর অনন্ত লীলা—কিন্তু আমার দরকার প্রেম, ভক্তি। আমার ক্ষীরটুকু দরকার। গাভীর বাঁট দিয়েই ক্ষীর আসে। অবতার গাভীর বাঁট।”

    ঠাকুর (Ramakrishna) কি বলিতেছেন (Kathamrita) যে, আমি অবতীর্ণ হইয়াছি, আমাকে দর্শন করিলেই ঈশ্বরদর্শন করা হয়? চৈতন্যদেবের কথা বলিয়া ঠাকুর কি নিজের কথা ইঙ্গিত করিতেছেন?

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্তে বন্দুক উঁচিয়ে বিএসএফ তাড়া করতেই দে দৌড় অনুপ্রবেশকারীরা

    BSF: ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্তে বন্দুক উঁচিয়ে বিএসএফ তাড়া করতেই দে দৌড় অনুপ্রবেশকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি, ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ (India Bangladesh Border) সীমান্তেও ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আহত হয়েছেন একাধিক বিএসএফ (BSF) জওয়ান। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পাল্টা বন্দুক উঁচিয়ে তাড়া করে ভাগিয়ে দেয় অনুপ্রবেশকারীদের। ঘটনা ঘটেছে ত্রিপুরার কালীশহর মাগুরোলি পঞ্চায়েত এলাকার পানিসাগরের ৪৭ নম্বর পিলায়। বিএসএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশি চোরাকারবারি এবং দুষ্কৃতীরা কয়েকদিন ধরেই সীমান্ত এলাকায় পাচারে সক্রিয় হয়েছে, বাঁধা দিলে ব্যাপক গোলমাল বাঁধে।

    সীমান্তে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘাতে বিএসএফ-এর (BSF)

    বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় বসার পর থেকেই ওই দেশের কারাগার থেকে বহু জঙ্গি ছাড়া পেয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরাট উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতের গোয়েন্দারা বিএসএফকে সতর্ক থাকতে বলেছে। সীমান্ত (India Bangladesh Border) পেরিয়ে বেশ কিছু জঙ্গি এপার বাংলায় এসে নাশকতামূলক চক্রের কাজে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে গ্রফতারও হয়েছে। সম্প্রতি ত্রিপুরা সীমান্তে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘাতের ফলে ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পিএমজি বন্দুক নিয়ে অনুপ্রবেশকারী এবং চোরাকারবারিদের তাড়া করেছিল বাহিনী। উল্টে দুষ্কৃতীরা হাতে বাঁশ, লাঠি, নিয়ে জওয়ানদের উপর চড়াও হয়। জওয়ানদের হাতের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। এরপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে জওয়ানদের আঘাত করার চেষ্টা করে অনুপ্রবেশকারীরা। এরপর ঘটনাস্থলে বিএসএফের অতিরিক্ত ফোর্স এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। জওয়ানরা বন্দুক উঁচিয়ে তাড়া করলে পালিয়ে প্রাণ বাঁচায় অনুপ্রবেশকারীরা। এদিকে, অন্য এক অভিযানে সীমান্ত থেকে ১৯ হাজারের বেশি গগলস্ উদ্ধার করেছে বিএসএফ। এইগুলির আনুমানিক বাজার মূল্যপ্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা। বাহিনীর অনুমান, চোরাকারবারীরা এই গগলসগুলি চোরাচালান করছিল।

    আরও পড়ুনঃভারতের জমি দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, ইউনূস সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

    সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী বিএসএফ

    উল্লেখ্য সীমান্ত এলাকায় পাচারকাজ রুখতে বিএসএফ (BSF) অত্যন্ত সক্রিয়। নানা সময়ে চোরাকারবারিদের কাছ থেকে সোনা, রুপো এবং নানা ধরনের মাদক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। গত ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে বিতারিত করার পর থেকেই পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে চলেছে বিএসএফ। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরা যে কোনও সময়ে কাঁটাতার টপকে এপারে আসতে পারে। তাই এমতাবস্থায় সীমান্ত নিয়ে বাংলাদেশের চোরাকারবারি (India Bangladesh Border) এবং জঙ্গিদের কড়া বার্তা দিয়েছে বিএসএফ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: যুক্তরাষ্ট্রে মিশবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড! আমেরিকার সীমানা বাড়াতে চান ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

    Donald Trump: যুক্তরাষ্ট্রে মিশবে কানাডা, গ্রিনল্যান্ড! আমেরিকার সীমানা বাড়াতে চান ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বাড়ানোর অ্যাজেন্ডা শুরু করে দিলেন আমেরিকার হবু প্রেসিন্ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তার আগেই তিনি শুরু করে দিলেন ‘কাজ’! তাঁর দাবি, কানাডা (Canada) হতে চলেছে আমেরিকার ৫১তম স্টেট (প্রদেশ)। কেবল মুখের কথাই নয়, এ সংক্রান্ত ম্যাপও শেয়ার করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    কানাডা আমেরিকারই! (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে দুটি ম্যাপ শেয়ার করেছেন ট্রাম্প। একটিতে তিনি দেখিয়েছেন, কানাডা আমেরিকারই অন্তর্গত আর একটি স্টেট। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর কানাডা দখলে তিনি অর্থনৈতিক বাহিনী পাঠাবেন বলেও দাবি করেছেন সাংবাদিক সম্মেলনে। তাঁর প্রতিশ্রুতি, তিনি মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকার উপসাগর’ রাখবেন এবং নেটো মিত্রদের কাছ থেকে অনেক বেশি প্রতিরক্ষা ব্যয় দাবি করবেন। তিনি বলেন, “কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র এক সঙ্গে হলে, সেটা সত্যিই অসাধারণ কিছু হবে।” হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আপনি যদি সেই কৃত্রিমভাবে আঁকা লাইনটি (মার্কিন-কানাডা সীমান্ত) সরিয়ে দেন এবং দেখেন এটি কেমন দেখায়, তবে এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও অনেক ভালো হবে।” ট্রাম্প কানাডিয়ান পণ্য ও দেশের সামরিক সাহায্যের জন্য আমেরিকার ব্যয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেন, “ওয়াশিংটন তার থেকে কোনও উপকার পায় না।” এই প্রথম নয়। গতমাসেও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার জোর সওয়াল করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি, তিনি সেই সময়ে ট্রুডোকে ‘কানাডার গভর্নর’ বলেও অভিহিত করেছিলেন।

    পানামা খাল পুনরুদ্ধার!

    প্রেস কনফারেন্সে ট্রাম্প পানামা খাল পুনরুদ্ধার ও ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ড অধিকার করার কথাও (Canada) বলেন। সীমান্ত বাড়ানোর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি তিনি। হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্যই আমাদের প্রয়োজন মধ্য আমেরিকার বাণিজ্য পথ এবং ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল অধিকার করা। পানামা খাল আমাদের সামরিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।” প্রসঙ্গত, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেই ট্রাম্প (Donald Trump) পানামা খাল সংযুক্ত করার ইচ্ছে পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। পানামা খাল দিয়ে যাওয়া মার্কিন জাহাজগুলি থেকে অন্যায়ভাবে ফি আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ট্রাম্প জানান, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মাঝখান দিয়ে প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরকে যুক্ত করা এই গুরুত্বপূর্ণ খালটি পরিচালনার কাজে চিনের কোনও খবরদারি তিনি বরদাস্ত করবেন না। পানামা প্রশাসন এই খালটির পরিচালন ব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে না পারলে আমেরিকা সেটির নিয়ন্ত্রণভার নিজের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

    পানামা খালের গুরুত্ব

    সমুদ্রপথে সারা বিশ্বের মোট পণ্য পরিবহণের প্রায় ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে পানামা খাল ব্যবহার করা হয়। আমেরিকা ছাড়াও পানামা খাল মূলত ব্যবহার করে চিন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এই খাল ব্যবহার করলে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ উপকূল ঘুরে যেতে হয় না বলে সাশ্রয় হয় সময় ও জ্বালানি। নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, আমাদের নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যের প্রতি অত্যন্ত অন্যায় ও অবিবেচক আচরণ করা হচ্ছে। পানামা যে ফি নিচ্ছে, তা হাস্যকর (Canada)। আমাদের দেশকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। ট্রাম্প বলেছিলেন, এই চ্যানেলটি চালাবে শুধুমাত্র পানামা, চিন বা অন্য কেউ নয়। পানামা যদি কাজটা সুরক্ষিত, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্যভাবে করতে না পারে, তাহলে আমরা দাবি করব, বিনা প্রশ্নে পানামা খাল সম্পূর্ণভাবে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক।   

    মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদল!

    এদিন ট্রাম্প বলেন, “আমরা মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে আমেরিকার উপসাগর রাখব, যা একটি সুন্দর নাম। এটি অনেক অঞ্চলের ধারণা দেয়। আমেরিকার উপসাগর। কী সুন্দর একটি নাম এবং এটি যথার্থও।” নেটো সদস্যদের তাদের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পাঁচ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত বলেও মনে করেন ট্রাম্প। বলেন, “আমি মনে করি, নেটোর ৫ শতাংশ থাকা উচিত। তারা সবাই এটা করতে পারে (Canada)। ২ শতাংশ না হয়ে তাদের উচিত ৫ শতাংশে পৌঁছানো (Donald Trump)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pranab Mukherjee: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রণব-কন্যার, ঘোর বিপাকে কংগ্রেস

    Pranab Mukherjee: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রণব-কন্যার, ঘোর বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়ালেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee) কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। অস্বস্তির কারণ দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছিলেন প্রণব-কন্যা। সেই ছবি তিনি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    অস্বস্তিতে কংগ্রেস (Pranab Mukherjee)

    সেই ছবিই অস্বস্তিতে ফেলেছে সোনিয়া গান্ধীর দলকে। দিন কয়েক আগে মনমোহনের প্রতি বিজেপি সরকার সম্মান প্রদর্শন করছে না বলে তোপ দেগেছিল কংগ্রেস। সেই সময় বোমা ফাটিয়েছিলেন প্রণব-পুত্রী। শর্মিষ্ঠা বলেছিলেন, স্মৃতিসৌধের দাবি তোলা দূরের কথা, তাঁর বাবার মৃত্যুর পর কংগ্রেস কর্মসমিতি একটা শোকসভা পর্যন্ত করেনি। এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা। এবার আরও একবার গান্ধী পরিবারকে বিপাকে ফেললেন প্রণব-কন্যা।

    স্মৃতিসৌধের জন্য জমি

    ফেরা যাক খবরে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণের পর তাঁর স্মৃতিসৌধের জন্য জমি দেওয়ার দাবি তুলেছিল কংগ্রেস। তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চাপানউতোর চলেছিল সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে। শেষমেশ ভারত সরকার স্মৃতিসৌধের জন্য জমি চিহ্নিত করার কথা ঘোষণা করে। তবে সেই জমি মনমোহনের জন্য নয়, প্রণবের (Pranab Mukherjee) স্মৃতিসৌধের জন্য। ১ জানুয়ারি শর্মিষ্ঠাকে চিঠি লিখে এ কথা জানিয়ে দেয় ভারত সরকারের আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। প্রণব-কন্যাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রণবের জন্য রাষ্ট্রীয় স্মৃতি কমপ্লেক্সের মধ্যেই স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ছবি শর্মিষ্ঠা পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। জানিয়েছেন, ভারত সরকার তাঁর বাবার স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: “আমি যার দিকে তাকাই, ধ্বংস হয়ে যায়,” কাকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

    এক্স হ্যান্ডেলে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, “আমরা কোনও আর্জি না জানানো সত্ত্বেও বাবার জন্য স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হচ্ছে। এটা আরও বেশি করে ভালো লেগেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই অপ্রত্যাশিত কিন্তু প্রকৃতই সহৃদয় আরচণ আমাকে খুবই স্পর্শ করেছে।” শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, “বাবা বলতেন, রাষ্ট্রীয় সম্মান চাইতে নেই। আপনা থেকেই পেতে হয়। বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ আমি। বাবা এখন যেখানে, তিনি প্রশংসা ও সমালোচনার বাইরে। এর কোনও প্রভাবই তাঁর ওপর পড়বে না। কিন্তু ওঁর মেয়ে হিসেবে আনন্দ প্রকাশের ভাষা নেই আমার কাছে (PM Modi)।” প্রণব-কন্যার এই পোস্টেই বেকায়দায় কংগ্রেস (Pranab Mukherjee)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV: শিশুরাই কি ‘চিনা ভাইরাস’-এর সহজ টার্গেট? সন্তান আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    HMPV: শিশুরাই কি ‘চিনা ভাইরাস’-এর সহজ টার্গেট? সন্তান আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে চিনা ভাইরাসের দাপট। যার পোশাকি নাম হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (HMPV)। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। সচেতন থাকলেই হবে। অযথা আতঙ্কের দরকার নেই। তবুও কর্ণাটক থেকে পশ্চিমবঙ্গ চিনা ভাইরাসের কবলে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শিশুরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই উদ্বেগ আরও বাড়ছে। যদিও চিকিৎসকদের একাংশ আশ্বস্ত করছেন, বাড়তি আতঙ্ক অপ্রয়োজনীয়!

    কেন শিশুরাই এই ভাইরাসের সহজ টার্গেট? (HMPV)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনা ভাইরাসের দাপট শিশুদের দেহেই বেশি। ভারতের পাশপাশি চিনেও শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা সহজেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তার প্রধান কারণ রোগ প্রতিরোধ শক্তিতে ঘাটতি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের দেহে রোগ প্রতিরোধ‌ শক্তি তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তাই যে কোনও ভাইরাস শিশুদের দেহে সহজেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস তাই সহজেই শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধতে পেরেছে। ভারতেও যেসব শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তারা অধিকাংশ সদ্যোজাত। জন্মের পরেই শিশুর দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি তেমন কিছুই থাকে না। ফলে এই ভাইরাস শিশুর দেহে সহজেই আক্রমণ করে।

    অধিকাংশ শিশু নিয়মিত স্কুল যায়। আবার মাঠে বা বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে অনেকে বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করে। এর ফলে সংক্রমণ রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই শিশুদের জন্য এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকছে।

    তাছাড়া, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের এই আবহাওয়ায় শিশুদের প্রত্যেক বছরই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এবছরে সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই চিনা ভাইরাস। তাই বাড়তি ভোগান্তির ঝুঁকি থাকছে।

    তবে, শুধুমাত্র শিশুরাই নয়। প্রাপ্তবয়স্ক বিশেষত প্রবীণদেরও ভোগাতে পারে এই চিনা ভাইরাস (HMPV)। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকলেই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এখন‌ অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক কিডনির সমস্যা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানান সমস্যায় ভোগেন। তাদের কো-মরবিটি রয়েছে। তাই যে কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে।

    সন্তান আক্রান্ত হলে কী করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ভাইরাসের উপসর্গ সর্দি-কাশি এবং জ্বর। এই সময়ে আবহাওয়ার তারতম্যের জেরে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। কিন্তু শিশু বেশ কয়েকদিন সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে আক্রান্ত হলে দ্রুত শিশু রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তাঁর পরামর্শ মতোই নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিশু (HMPV) ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। আক্রান্ত হলে শিশুকে আলাদা ভাবে রাখাই উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাতে পরিবারের অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে। পাশপাশি শিশুও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে স্কুল পাঠানো উচিত নয় বলেও‌ জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাছাড়া, যদি শিশুর শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। না হলে বাড়িতে থেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন এখনই উদ্বেগ নয়? (HMPV)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস নিয়ে এখনও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাস নতুন নয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কীভাবে রোগ মোকাবিলা করা যাবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। এই ভাইরাস এখনও নতুন প্রজাতি তৈরি করেনি। তাই এই নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। বরং সচেতনতা জরুরি। রোগ যাতে বেশি না ছড়ায়, সে দিকে সতর্কতা থাকা দরকার। হাঁচি-কাশি হলে হাত দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকা দেওয়া উচিত। তাছাড়া বাইরে থেকে ফিরে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা, পরিচ্ছন্ন জামা-কাপড় পরা, বাড়ির পরিবেশ‌ পরিষ্কার রাখার দিকে নজরদারি জরুরি। তাহলে সহজেই এই ধরনের ভাইরাসের মোকাবিলা করা যাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Makar Sankranti 2025: ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি, জানুন দিনটির মাহাত্ম্য

    Makar Sankranti 2025: ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি, জানুন দিনটির মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই মকর সংক্রান্তি। হিন্দু ধর্মে (Hindu Dharma) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল এই উৎসব। জানা গিয়েছে, চলতি বছরে মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2025) পালিত হবে ১৪ জানুয়ারি। জ্যোতিষীরা জানাচ্ছেন, ওই দিনে সূর্যদেব দুপুর ২টো ৫৮ মিনিট নাগাদ মকর রাশিতে গমন করবেন। শাস্ত্রবিদদের মতে, মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti 2025) দিন সকালে উঠে যে কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করা খুবই শুভ বলে মানা হয়। জ্যোতিষীদের মতে, মকর সংক্রান্তির বিশেষ দিনেই সূর্যদেব ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে গমন করেন। প্রচলিত বিশ্বাস, এই দিনে পবিত্র রীতিতে স্নান ও দান করলে ব্যক্তি জীবনের সমস্ত অশান্তি ঝামেলা দূর হয় এবং ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সংক্রান্তি শব্দের অর্থ হল মাসের শেষ তারিখ। সেই রীতি অনুযায়ী, পৌষ মাসের শেষ দিনে পালিত হওয়ার জন্য এদিনটিকে পৌষ সংক্রান্তিও বলা হয়।

    পৌরাণিক আখ্যান (Makar Sankranti 2025)

    প্রতি হিন্দু ঘরেই পালন করা হয় মকর সংক্রান্তি উৎসব। এদিন নানা নিয়মকানুন পালন করা হয়। কিন্তু আমাদের জানতে হবে পৌষ সংক্রান্তির উদ্ভব কিভাবে? কেনই বা পালন করা হয় এই বিশেষ দিন? পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, মকর সংক্রান্তির দিনে পিতা সূর্য, তাঁর পুত্র শনিদেবকে নিয়ে নিজের বাড়িতে গমন করেন। এছাড়াও কথিত রয়েছে, এই দিনই মহাভারতের ভীষ্ম পিতামহ ভীষ্ম ইচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করেছিলেন। দেবতাদের সঙ্গে অসুরদের দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তিও হয়েছিল মকর সংক্রান্তির দিনে। এই দিনেই অসুরদেরকে বধ করে শুভ শক্তির বিস্তার ঘটেছিল। তাই যেকোনও শুভ কাজ এই দিনে শুরু করা উচিত বলে মনে করেন অনেকে।

    সংক্রান্তি শব্দের অর্থ হল মাসের শেষ তারিখ

    হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2025) শব্দের অর্থ হল মাসের শেষ তারিখ। সেইমতো শেষ দিনে পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি পালন করা হয়। প্রতি বাঙালি প্রতি হিন্দু বাড়িতেই এদিন পিঠেপুলি তৈরি করা হয়। আবার জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, সংক্রান্তি শব্দের অর্থ হচ্ছে গমন করা। প্রতিবেদনের প্রথমে যেমনটা বলা হয়েছে যে এই দিন সূর্যদেব ধনু রাশি থেকে গমন করেন মকর রাশিতে। বহু হিন্দু বাড়িতে এই দিন নানারকমের মিষ্টি ও গুড়ের পদ তৈরি করা হয়। এর পাশাপাশি মকর সংক্রান্তির আগের দিন থেকে ঘরদুয়ার পরিষ্কার করা হয়। গ্রামবাংলায় এখনও বাড়িগুলিতে আলপনা দেওয়ার রীতিও দেখা যায়। আবার এই দিন বহু জায়গায় ঘুড়ি ওড়ানোর রীতিও দেখা যায়। প্রচলিত নিয়ম বলছে, মকর সংক্রান্তির রাতে অন্যত্র বাস করা উচিত নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JMB: খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃতকে বহরমপুর জেলে জেরা অসম এসটিএফ-এর, জেএমবি-এবিটির যোগ কতটা?

    JMB: খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃতকে বহরমপুর জেলে জেরা অসম এসটিএফ-এর, জেএমবি-এবিটির যোগ কতটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে (Khagragarh Blast) ধৃতকে জেরা করতে বহরমপুর জেলে অসম এসটিএফ। অভিযুক্ত তারিকুল ইসলাম ওরফে সুমনকে জেরা করছেন এসটিএফের সদস্যরা। সাম্প্রতিককালে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য থেকে যে জঙ্গি (JMB) ধরপাকড় করা হচ্ছে তাতে বারবার প্রশ্ন উঠছে খাগড়াগড় প্রসঙ্গ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তরা আরও বিরাট নাশকতামূলক ষড়যন্ত্র করছে। পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে জেলে বসেই নাকি ছক কষছে তারা। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে খাগড়াকাণ্ডে ধৃত জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র কী সম্পর্ক, তাদের নেটওয়ার্কের  নাড়ি নক্ষত্র জানতে তারিকুলকে জেরা করছেন গোয়েন্দারা। শোনা যাচ্ছে, তারিকুলকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও জানাতে পারে অসম পুলিশ। এই খবরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    খাগড়াগড়ের জঙ্গিরা ষড়যন্ত্রে সংযুক্ত (JMB)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে বাংলাদেশি জঙ্গিদের (Khagragarh Blast) প্রত্যক্ষ মদতে একটি বড় পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই ঘটনায় খাগড়াগড়ের জঙ্গিরা ষড়যন্ত্রে সংযুক্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই গোটা ঘটনার মধ্যে প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে তারিকুল। মাত্র কয়েকদিন আগেই আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা এবিটি-র বেশ কিছু জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, জেলবন্দি তারিকুলই (JMB) জেল থেকে বিভিন্ন সময়ে নির্দেশ দেওয়ার কাজ করত। আবার ধৃত আব্বাস আলির সঙ্গেও একাধিকবার কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলায় নাশকতা মূলক ছক অব্যাহত রাখেছে বলে মনে করছে গোয়েন্দা সংস্থা।

    জেএমবি-র সঙ্গে কীভাবে সমন্বয়ে রেখে কাজ করত?

    মুর্শিদাবাদের জঙ্গি (JMB) সন্দেহে হরিহরপাড়া থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়েছে আব্বাস আলি ও মিনারুল শেখকে। এরপর নওদা থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হয় সাজিবুল ইসলাম ও মোস্তাকিম শেখকে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জেএমবি-র সঙ্গে কীভাবে সমন্বয়ে রেখে কাজ করত, সেই সব বিষয়ে জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা। আবার  রাজ্যের একাধিক জেলে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং এবিটি-র বেশ কয়েকজন জঙ্গি বন্দি রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু বাংলাদেশের জঙ্গিরাও রয়েছে। গোয়ান্দা সূত্রে খবর, তারিকুলের সঙ্গে মুর্শিদবাদ থেকে ধৃত এবিটি সদস্য মনিরুল শেখ আব্বাস আলির যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। তা থেকেই স্পষ্ট, জেলে বন্দি ওই জঙ্গিরা তাদের সংগঠনের কাজে খুব সক্রিয় ছিল। তাই এবার তারিকুলকে (Khagragarh Blast) এবার হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে অসম এসটিএফ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis22: চূড়ান্ত অনাচার! ক্ষোভে পদত্যাগ করতে হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকেও!

    Bangladesh Crisis22: চূড়ান্ত অনাচার! ক্ষোভে পদত্যাগ করতে হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকেও!

    অনেকেই বলছেন, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বেছে বেছে যেমন মন্দির এবং ধর্মস্থানে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়িতে, একই সঙ্গে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে গণপিটুনি এবং খুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু অথবা বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ। সারা বিশ্ব দেখছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের স্বরূপ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। প্রথম খণ্ডে আমরা ১২টি পর্বে তুলে ধরেছিলাম নানা অত্যাচারের কাহিনি। এবার সেসব নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ দশম পর্ব।

     

     আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব-১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসেই পতন হয় হাসিনা সরকারের (Bangladesh Crisis22)। তারপর থেকেই ভুলন্ঠিত হয় গণতন্ত্র। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সর্বত্র চলে হামলা। প্রশ্নের মুখে পড়ে মানবতা (Targeting Minority)। এ নিয়ে ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা সমেত প্রত্যেক দেশই সরব হয়। বাংলাদেশের মানবতা বিপন্ন নিয়ে  ব্রিটেনের পার্লামেন্টেও প্রশ্ন ওঠে। সেখানকার কয়েকজন সাংসদ এ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis22) সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে ইউনূস সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা যায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।

    লঙ্ঘিত মানবাধিকার 

    প্রসঙ্গত, অগাস্ট মাসের পর থেকে বাংলাদেশে শুরু হয় জঙ্গলের রাজত্ব। সেখানে নারী, শিশু, বিরোধী দল ও সংখ্যালঘুদের অধিকার ছিল না বললেই চলে। দলে দলে সংখ্যালঘুরা সীমান্তে জড়ো হতে থাকেন দেশ ছাড়ার জন্য। একইভাবে কয়েকজন হিন্দু তো নিজেদের জীবন বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপই দিয়ে দেন। শুধুমাত্র তাই নয়, বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মের প্রতিষ্ঠানগুলির ওপরে হামলা ও সন্ন্যাসীদের ওপর পুলিশি হয়রানির ঘটনা সামনে আসে। সারা বিশ্বের হিন্দুরা সরব হন এমন ঘটনায়। এই আবহে গত ২৫ নভেম্বর সে দেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে। শুধু তাই নয়, ইসকনের একের পর এক শাখাতে হামলা চলতে থাকে। বিচারের নামে প্রহসন শুরু হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি জেলে রয়েই গিয়েছেন। গত ২ জানুয়ারি তাঁর জামিনের আবেদন খরিজ করে দেন চট্টগ্রাম আদালতের বিচারক। এখানেই ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তোলে ইউনূসের বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis22) জঙ্গিরা নিরাপত্তা পায়, জঙ্গিদেরকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়। সমালোচনার মুখে পড়েও বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বে চলা ইউনূস সরকার কোনওভাবেই চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে থাকা দেশদ্রোহিতার অভিযোগ সরায় না।

    পদত্যাগ করেন বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

    বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইউনূস সরকারের জমানায় বাংলাদেশের মানবাধিকার। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের এমন মানবাধিকার বিরোধী ঘটনাগুলি যখন ঘটতে থাকে, ঠিক তখনই আবাক করার মতো ঘটনা ঘটে বাংলাদেশের হিউম্যান রাইটস কমিশনে। হিউম্যান রাইটস কমিশন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis22) একটি স্বশাসিত সংস্থা। বাংলাদেশে ইউনূস সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর, তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কমলউদ্দিন আহমেদ সমেত আরও পাঁচ জন সদস্য ইস্তফা দেন। কারণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছিলেন যে বাংলাদেশের বেড়ে চলা মানবাধিকার বিরোধী ঘটনাই তাঁদেরকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। মানবাধিকার কমিশনের যে সেখানে কোনও ভূমিকা নেই, তাদের কোনও গুরুত্ব নেই তা কমলউদ্দিন আহমেদ সহ ৫ সদস্যের পদত্যাগেই প্রমাণিত হয়। নিজেদের পদত্যাগপত্রে মানবাধিকার কমিশনের সদস্য়রা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে জানিয়েছিলেন, কীভাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার ধ্বংস হয়েছে এবং প্রশ্নের মুখে পড়েছে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা।

    কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগেই বেরিয়ে আসে বাংলাদেশের আসল চেহারা 

    এতে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis22) মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা সমেত বিশ্বের তাবড় দেশগুলি যে অভিযোগ তুলেছিল তা সত্য। বিদেশি শক্তির তরফ থেকে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে যে দাবি করা হয়, তাতেই সিলমোহর দেয় বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের ৫ সদস্যের পদত্যাগ। বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা পদত্যাগ করাতে প্রমাণিত হয় যে বাংলাদেশে সত্যিই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে কেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সহ সদস্যরা পদত্যাগ করলেন সে বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটে জামাত-বিএনপির নেতৃত্বে চলতে থাকা ইউনূস সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share