Tag: news in bengali

news in bengali

  • Bangladesh Crisis: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    Bangladesh Crisis: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হাল ধরেছিলেন নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস (Yunus Government)। ক্ষমতায় এসেই প্রথম যে কাজটি তিনি করেছিলেন, সেটা হল বিএনপি সুপ্রিমো খালেদা জিয়ার বন্দিদশা ঘোচানো। খালেদাকে মুক্ত করে বিএনপির ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছিল ইউনূস প্রশাসন। শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস জমানায় নিশ্চিন্তে চলতে থাকে সংখ্যালঘু পীড়ন। তাতে আরও উল্লসিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের মৌলবাদীরা।

    ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে! (Bangladesh Crisis)

    হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁর দল আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর ব্যাপক হিংসার ঘটনাও ঘটে। ছন্নছাড়া হয়ে যায় হাসিনার সাধের আওয়ামি লিগ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ফাঁকেই ক্ষমতা আঁকড়ে বসে থাকার পরিকল্পনা ছকে ফেলেন ইউনূস! বাংলাদেশের রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, খালেদাকে মুক্তি দিয়ে এবং মৌলবাদীদের সমর্থন কুড়িয়ে ‘হিরো’ বনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইউনূস। তবে ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে যাওয়ায় দেশে সাধারণ নির্বাচন আপাতত করাতে চাইছে না সে দেশের তদারকি সরকার। দিন কয়েক আগে স্বয়ং ইউনূসের কথায়ই মিলেছিল তার ইঙ্গিত। তিনি বলেছিলেন, “২০২৫ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন করা হবে।

    বিএনপির সাফ কথা

    ইউনূসের এহেন মন্তব্যের পরেই খালেদার দল বিএনপি বুঝে গিয়েছিল ঘুঁটি সাজাতেই নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস। তার জেরে বিএনপির সঙ্গে ইউনূসের দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশে নয়া ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমাদের দল (বিএনপি) এই চক্রান্তের সামনে মাথা নত করবে না।” শনিবার ছিল বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দেন ফখরুল। তিনি বলেন, “এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের সামনে আমরা মাথা নত করব না। সব জায়গায় বৈষম্য রয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে। বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে জনগণের সরকার যাতে প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।”

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ফখরুলের এহেন বাক্য-বাণের আগে বিএনপি (Bangladesh Crisis) অভিযোগ তুলেছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইউনূস সরকার নানা টালবাহানা করে জাতীয় সংসদের নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে (Yunus Government)। এই পরিস্থিতিতে ফখরুল আবার ‘জনগণের সরকার’ তৈরির কথা মনে করিয়ে দিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতি সম্বন্ধে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁদের একাংশের মতে, মূলত দুটো কারণে দেশে সাধারণ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস। এক, ইউনূস ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা যতটা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেন। আর দুই, ইউনূসরা নিজেরাই একটি দল গঠন করতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। হাসিনার দেশ ছাড়া, তাঁর দলের ছন্নছাড়া হওয়া, খালেদার অসুস্থতা, মাস দুয়েকের জন্য চিকিৎসা করাতে তাঁর লন্ডনে চলে যাওয়া ইউনূসের কাছে বিরাট একটা সুযোগ। এই সুযোগে ইউনূস দল গঠনের কাজটা করে নিতে চাইছেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে ইউনূসের নয়া দল যাতে শেকড় গাড়তে পারে, তাই ‘টাইম কিল’ করছেন ইউনূস ও তাঁর অনুগামীরা।

    বিএনপির ভয়ঙ্কর অভিযোগ

    বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “বিএনপিকে ক্ষমতায় আসা থেকে বিরত রাখতে বর্তমানে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও চাল চালা হচ্ছে। সেই কারণেই মহম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করছেন না।” গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত হয়েছিল এডিএসএম এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। তখনই তারা জানিয়েছিল, নতুন একটি রাজনৈতিক দল গড়া হবে। এই নতুন দলটির সদস্য সংগ্রহ, দেশজুড়ে শাখা স্থাপন, সম্পদ সংগ্রহ এবং একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণের মাধ্যমে সংগঠিত হতে সময় লাগবে।

    ফের ‘রাজপক্ষের দল’ !

    বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ওসমান ফারুক বলেন, “এটা স্পষ্ট যে মহম্মদ ইউনূস ও এডিএসএম নেতারা, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, নির্বাচন স্থগিত করতে চান যতক্ষণ না নতুন ‘রাজপক্ষের দল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউনূস এবং তাঁর সহকর্মীরা সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।” আরও একধাপ এগিয়ে ফখরুল বলেন, “এটি (ইউনূস-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) একটি অনির্বাচিত সরকার। তাই এটি বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।” তিনি বলেন, “সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না।”

    জামাতের প্রভাব বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের (Bangladesh Crisis) মতে, ইউনূসের আমলে জামাতের প্রভাব ক্রমশ বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়েছে জামাত ঘনিষ্ঠদের। এই সব কারণে ইউনূস প্রশাসনের ওপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিএনপি। খালেদার দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামাতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে পাক সেনার হয়ে কাজ করছিলেন। রাজাকার ঘাতক বাহিনীর নেতা হিসেবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামাত নেতার বিরুদ্ধে। ইউনূস জমানায় সেই জামাতের প্রতিপত্তি বাড়তে থাকা নিয়েও (Yunus Government) বিএনপি ক্ষুব্ধ।

    কী বলছে বিএনপি?

    আলমগীর বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছিল একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক নির্বাচন সংস্কার সম্পন্ন করার নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট নিয়ে, যা সংসদীয় নির্বাচন পরিচালনার পূর্বশর্ত। দেশের সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ইত্যাদিতে বড় ধরনের সংস্কার শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত সরকার ও জাতীয় সংসদ করতে পারে। বড় ধরনের সংস্কার করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়।” আলমগীর খালেদার ছেলে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তারেক লন্ডনে থাকেন। তবে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তদারকি সরকারকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে আলামগীর বলেন, “শীঘ্রই একটি দৃঢ় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হলে মানুষকে রাস্তায় নামার ডাক দেবে আমার দল।” বিএনপির আর এক ভাইস প্রেসিডেন্ট শওকত মাহমুদ বলেন, “নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনে ইউনূসের সমর্থন দেওয়া নৈতিক ও নীতিগতভাবে ভুল।”

    আরও পড়ুন: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    অরাজনৈতিক হওয়া উচিত

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ইউনূস একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এই সরকারের কাজ সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক হওয়া উচিত। এর ম্যান্ডেটও সীমিত। নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনে সমর্থন দেওয়া এবং নতুন দলটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করার অজুহাত দেওয়া খুবই ভুল। গ্রহণযোগ্যও নয়। ইউনূস যে খেলা খেলছেন, তা বুঝতে পারছেন বাংলাদেশের মানুষ।” আলমগীর বলেন, “নির্বাচনী সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির কাজ হল সংস্কারের সুপারিশ করা। কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাব দেওয়া (Bangladesh Crisis) শোভন নয়।”

    বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত!

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভাষ্যকার সাদাকাত আলি বলেন, “বিএনপি এবং ইউনূসের মধ্যে একটি তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হওয়া স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কারণ ইউনূস দিন দিন আরও সাহসী হয়ে উঠছেন।” তিনি বলেন, “ইউনূস এখনও পর্যন্ত চুপ ছিলেন। কারণ তিনি নিজের জন্য সমর্থন সংগঠিত করার আগে বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্যে সংঘাতে জড়াতে চাননি। তবে এটি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। কারণ তিনি (Yunus Government) ইসলামপন্থীদের এবং অন্যদের সমর্থন পেয়েছেন। শীঘ্রই তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানবেন (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Places of Worship Act:  ১৯৯১ সালের ধর্মস্থান আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল সন্ত সমিতি

    Places of Worship Act:  ১৯৯১ সালের ধর্মস্থান আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল সন্ত সমিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হল অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি (Akhil Bhartiya Sant Samiti)। ১৯৯১ সালের ধর্মস্থান আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গেল তারা। এই আইন (Places of Worship Act) অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট তারিখে কোনও ধর্মস্থানের চরিত্র যেমন ছিল, তা বদলে অন্য ধর্মস্থানে রূপান্তরিত করা যাবে না। ধর্মস্থান আইনের এই মূল ধারণাকেই চ্যালেঞ্জ করছে অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি। তার কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে, এই আইনের তিন ও চার নম্বর ধারাতে যা উল্লেখ রয়েছে তা বাস্তবিক পক্ষে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। ভারতীয় সংবিধান যে সমতার অধিকার, বাক স্বাধীনতার অধিকার, ধর্মাচরণের (Places of Worship Act)  অধিকার দেয় তার পরিপন্থী এই আইন।

    কী বলছে ৩ ও ৪ নম্বর ধারা (Places of Worship Act) 

    সংগঠনের সদস্যরা জানিয়েছেন যে, এই আইন সংবিধানের মূল কাঠামোকেই আঘাত করছে। প্রসঙ্গত, ওই আইনের ৩ ও ৪ নম্বর ধারায় (Akhil Bhartiya Sant Samiti) স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে, কোনও ব্যক্তি বা কোনও গোষ্ঠী কোনওভাবেই যে কোনও ধর্মস্থানের চরিত্রকে বদল করতে পারবেন না, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত যা হয়ে আছে।

    এই আইনের আওতায় চলছে ১৮ মামলা (Places of Worship Act) 

    জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন মন্দির ও মসজিদ নিয়ে এই আইনের আওতায় ১৮টি মামলা আদালতে পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরার শাহী ইদগা সংক্রান্ত আবেদনও রয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের মার্চে এই আইন (Places of Worship Act)  নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। সম্প্রতি, এক মামলাকারী অশ্বিনী উপাধ্যায় তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালের ধর্মস্থান আইনের ২,৩ ও ৪ নম্বর ধারা খারিজ করা উচিত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 242: “কৃষ্ণ অর্জুনকে বলছেন—তুমি যুদ্ধ করবে না, কি বলছ?—তোমার প্রকৃতিতে তোমায় যুদ্ধ করাবে”

    Ramakrishna 242: “কৃষ্ণ অর্জুনকে বলছেন—তুমি যুদ্ধ করবে না, কি বলছ?—তোমার প্রকৃতিতে তোমায় যুদ্ধ করাবে”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পেনেটীর মহোৎসবক্ষেত্রে রাখাল, রাম, মাস্টার,

    ভবনাথ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৮ই জুন

    শ্রীযুক্ত নবদ্বীপ গোস্বামীর প্রতি উপদেশ

    শ্রীগৌরাঙ্গের মহাভাব, প্রেম ও তিন দশা 

    অপরাহ্ন। রাখাল, রাম প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ঠাকুর মণি সেনের বৈঠকখানায় বসিয়া আছেন। নবদ্বীপ গোস্বামী প্রসাদ পাওয়ার পর ঠাণ্ডা হইয়া বৈঠকখানায় আসিয়া ঠাকুরের কাছে বসিয়াছেন (Kathamrita)।

    শ্রীযুক্ত মণি সেন ঠাকুরের গাড়িভাড়া দিতে চাহিলেন। ঠাকুর তখন বৈঠকখানায় একটি কৌচে বসিয়া আছেন আর বলিতেছেন, “গাড়িভাড়া ওরা (রাম (Ramakrishna) প্রভৃতিরা) নেবে কেন? ওরা রোজগার করে।”

    এইবার ঠাকুর নবদ্বীপ গোস্বামীর সহিত ঈশ্বরীয় কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (নবদ্বীপের প্রতি)—ভক্তি পাকলে ভাব—তারপর মহাভাব—তারপর প্রেম—তারপর বস্তুলাভ (ঈশ্বরলাভ)।

    “গৌরাঙ্গের—মহাভাব, প্রেম।”

    “এই প্রেম হলে জগৎ তো ভুল হয়ে যাবেই। আবার নিজের দেহ যে এত প্রিয় তাও ভুল হয়ে যায়! গৌরাঙ্গের এই প্রেম হয়েছিল। সমুদ্র দেখে যমুনা ভেবে ঝাঁপ দিয়ে পড়ল (Kathamrita)।

    “জীবের মহাভাব বা প্রেম হয় না—তাদের ভাব পর্যন্ত। আর গৌরাঙ্গের তিনটি অবস্থা হত। কেমন?”

    নবদ্বীপ—আজ্ঞা হাঁ। অন্তর্দশা, অর্ধবাহ্যদশা আর বাহ্যদশা।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—অন্তর্দশায় তিনি সমাধিস্থ থাকতেন। অর্ধবাহ্যদশায় কেবল নৃত্য করতে পারতেন। বাহ্যদশায় নামসংকীর্তন করতেন।

    নবদ্বীপ তাঁহার ছেলেটিকে আনিয়া ঠাকুরের সঙ্গে আলাপ করিয়া দিলেন। ছেলেটি যুবা পুরুষ — শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তিনি ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন।

    নবদ্বীপ—ঘরে শাস্ত্র পড়ে। এ-দেশে বেদ একরকম পাওয়াই যেত না। মোক্ষমূলর ছাপালেন, তাই তবু লোকে পড়ছে।

    পাণ্ডিত্য ও শাস্ত্র—শাস্ত্রের সার জেনে নিতে হয় 

    শ্রীরামকৃষ্ণ—বেশি শাস্ত্র পড়াতে আরও হানি হয়।

    “শাস্ত্রের সার জেনে নিতে হয়। তারপর আর গ্রন্থের কি দরকার!

    “সারটুকু জেনে ডুব মারতে হয়—ঈশ্বরলাভের (Kathamrita) জন্য।

    “আমায় মা জানিয়ে দিয়েছেন, বেদান্তের সার—ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা। গীতার সার—দশবার গীতা বললে যা হয়, অর্থাৎ ‘ত্যাগী, ত্যাগী’।”

    নবদ্বীপ—‘ত্যাগী’ ঠিক হয় না, ‘তাগী’ হয়। তাহলেও সেই মানে। তগ্‌ ধাতু ঘঞ্‌ = তাগ; তার উত্তর ইন্‌ প্রত্যয়—তাগী। ‘ত্যাগী’ মানেও যা ‘তাগী’ মানেও তাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—গীতার সার মানে—হে জীব, সব ত্যাগ করে ভগবানকে পাবার জন্য সাধন কর।

    নবদ্বীপ—ত্যাগ করবার মন কই হচ্ছে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তোমরা গোস্বামী, তোমাদের ঠাকুর সেবা আছে,—তোমাদের সংসার ত্যাগ করলে চলবে না। তাহলে ঠাকুর সেবা কে করবে? তোমরা মনে ত্যাগ করবে।

    “তিনিই লোকশিক্ষার জন্য তোমাদের সংসারে রেখেছেন—তুমি হাজার মনে কর, ত্যাগ করতে পারবে না—তিনি এমন প্রকৃতি তোমায় দিয়েছেন যে, তোমায় সংসারে কাজই করতে হবে।

    “কৃষ্ণ অর্জুনকে বলছেন (Kathamrita)—তুমি যুদ্ধ করবে না, কি বলছ?—তুমি ইচ্ছা করলেই যুদ্ধ থেকে নিবৃত্ত হতে পারবে না, তোমার প্রকৃতিতে তোমায় যুদ্ধ করাবে।”

     আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bharatpol Portal: লক্ষ্য ইন্টারপোলের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি, ‘ভারতপোল’ পোর্টাল উদ্বোধন অমিত শাহের

    Bharatpol Portal: লক্ষ্য ইন্টারপোলের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি, ‘ভারতপোল’ পোর্টাল উদ্বোধন অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশের আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলিকে দিয়ে নানা অপরাধ দমনের জন্য একাধিক স্তরে কাজ করে যাচ্ছে। ঠিক এই কাজকে এবার আরও অগ্রগতি দিতে দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ‘ভারতপোল’ (Bharatpol Portal) নামক এক বিশেষ পোর্টাল চালু করেছেন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ সংক্রান্ত মামলার তদন্তকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন। এই পোর্টাল সোমবার দিল্লি থেকে চালু করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই অভিনব ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, রাজ্য পুলিশ এবং ইন্টারপোলের সঙ্গে সমন্বয় ও সংযোগ রেখে কাজ করবে। আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে যে কোনও তদন্তে খুব কার্যকারী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন।

    আন্তর্জাতিক তদন্তকে একটি নতুন যুগে নিয়ে যাবে (Bharatpol Portal)

    পোর্টালের (Bharatpol Portal) উদ্বোধন করে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “ভারতপোল পোর্টাল আমাদের দেশের আন্তর্জাতিক তদন্তকে একটি নতুন যুগে নিয়ে যাবে। এতদিন সিবিআই, ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করার জন্য একমাত্র সংস্থা ছিল। এবার থেকে ভারতপোলে ভারতের প্রতিটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনী খুব সহজেই ইন্টারপোলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করার সুযোগ পাবে। কাজে এখন অনেক গতি আসবে। যে সমস্ত লাল সতর্কীকরণ এবং একাধিক আরও নানা সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে সেগুলিকে খুব সহজেই ইন্টারপোলের সহযোগিতায় কাজ করা যাবে।”

    আরও পড়ুনঃ হু হু করে নামবে তাপমাত্রা, বুধবার থেকে ঠান্ডা বাড়বে বাংলায়

    আগাম সতর্কতা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে

    আমিত শাহ (Amit Shah) আরও বলেন, “সাইবার-অপরাধ, আর্থিক দুর্নীতি, অনলাইন জিহাদ, সংগঠিত অপরাধ, মাদক পাচার, মানব পাচার ইত্যাদি সহ আন্তর্জাতিক অপরাধের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ অপরাধগুলিকে তদন্তে দ্রুত গতি এবং দমন বিষয়ে সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেছে। এই ধরনের সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য ভারতপোল পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। আজ তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট উদ্বোধনের মাধ্যমে বিশেষ কাজের সূচনা করা হল। এই ভারতপোল পোর্টালের (Bharatpol Portal) মাধ্যমে দেশের পুলিশ বিভাগগুলি বিভিন্ন ধরণের আন্তর্জাতিক সমস্যা বা তদন্ত নিয়ে নজরদারি এবং বিশ্লেষণ করতে পারবে। এই পোর্টালের মাধ্যমে আবার আগে থেকে কোনও অপরাধ সংঘটিত করার বিষয়ে প্রতিরোধ করারও একটা দিকও উল্লেখযোগ্যভাবে থাকবে। ফলে আগাম সতর্কতা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার একটা বিশেষ কৌশল গ্রহণ করা যাবে। আন্তর্জাতিক ভাবে যেকোনও ঘটনার তথ্য আদান-প্রদান এবং তথ্য জোগাড় করার একটা বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে। বিশ্লেষণ আরও সঠিক এবং সুন্দর ভাবে করতে সুবিধা মিলবে। দাগী এবং দোষীদের একদিকে যেমন শনাক্তকরণ করবে, ঠিক তেমনিই ভাবে একটি বিশেষ ব্যবস্থার দিকেও ঝুঁকতে হবে।”

    ১৯৫টি দেশের ইন্টারপোলের চ্যানেলের সুবিধা মিলবে

    এই ভারতপোলের (Bharatpol Portal) মাধ্যমে ভারত যেমন আন্তর্জাতিক বিশ্বে অপরাধীদের খোঁজ করবে, তেমনি ভারতের মধ্যে যদি কোথাও আন্তর্জাতিক অপরাধী লুকিয়ে থাকে, তাহলে তাঁদেরও শনাক্ত করতে এই পোর্টাল বেশ উপযোগী হবে। ইন্টারপোলের সঙ্গে সংযুক্তির পাশাপাশি আরও ১৯৫টি দেশের মধ্যে থাকা ইন্টারপোলের বিশেষ চ্যানেলকে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও গ্রহণ করতে পারবে ভারতীয় একাধিক তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তাই তথ্য আদানপ্রদান এবং নিরাপত্তা সুরক্ষার বিষয়টি বিশেষ ভাবে কাজ কাজ করবে পোর্টাল।

    ৩৫ জন সিবিআই অফিসারকে বিশেষ সম্মানের মেডেল দেওয়া হল

    এদিন দিল্লিতে এই অনুষ্ঠানের মধ্যে মোট ৩৫ জন সিবিআই অফিসারকে বিশেষ সম্মানের মেডেল দিয়ে সম্মানিত করেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বিশেষ করে তদন্তে বিরাট সাফল্য এবং নজির গড়ার জন্য সুরক্ষা কর্মী এবং অফিসারদের বিশেষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন তিনি। এদিন একইভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিদেশ মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, ডিওপিটি, সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ সংস্থাগুলি-সহ বিভিন্ন বিভাগের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ঊর্ধ্বতন আধিকারিকেরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV Outbreak: ‘‘এইচএমপিভি নতুন কোনও ভাইরাস নয়’’, দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে ভিডিও বার্তা নাড্ডার

    HMPV Outbreak: ‘‘এইচএমপিভি নতুন কোনও ভাইরাস নয়’’, দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে ভিডিও বার্তা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি নতুন কোনও ভাইরাস (HMPV Outbreak) নয়। দেশবাসীর উদ্বেগ দূর করতে এক ভিডিও বার্তায় সোমবার এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা।

    ভিডিও বার্তায় কী বললেন নাড্ডা?

    নিজের ভিডিও বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখনই চিন্তার পরিস্থিতি হয়নি।’’ জনসাধারণের উদ্দেশে নিজের বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট করেছেন যে এইচএমপিভি (HMPV Outbreak) নতুন কোনও ভাইরাস নয়। এটি ২০০১ সালে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল এবং এটি বহু বছর ধরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এইচএমপিভি বাতাসের মাধ্যমে, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।’’ নাড্ডা মনে করিয়ে দিয়েছেন, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যদি হঠাৎ করে খুব বেড়ে যায়, তাহলেও সামাল দেওয়ার জন্য তৈরি আছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

    পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারত, জানালেন নাড্ডা (JP Nadda) 

    তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এটি সব বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করতে পারে। শীত ও বসন্তের প্রথম দিকে ভাইরাসটি (HMPV Outbreak) বেশি ছড়ায়।’’ নিজের বিবৃতিতে নাড্ডা বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলিতে, চিনে এইচএমপিভির ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য মন্ত্রক, আইসিএমআর এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের তরফে চিনের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলির পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।’’ তিনি জানান, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও ভারতের সঙ্গে কথা বলছে। তারাও তাদের রিপোর্ট দিল্লিকে দেবে। প্রসঙ্গত, চিনও সেখানে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণকে একটি ‘শীতকালীন সংক্রমণ’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে। নাড্ডা আরও জানান, চিনের পরিস্থিতির ওপর অবিরাম নজর রাখছে কেন্দ্র। নজর রাখা হচ্ছে অন্য প্রতিবেশী দেশগুলিতেও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-ও সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে পদক্ষেপ করেছে। হু শীঘ্রই ওই ভাইরাসের বিষয়ে তাদের তথ্য ভারতকে পাঠাবে বলেও আশ্বস্ত করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা (জেডিইউ) ভুল করে দু’বার ভুল পথে চলে গিয়েছিলাম। এখন আমরা সব সময় এনডিএর সঙ্গেই থাকব এবং উন্নয়নমূলক কাজে মনোনিবেশ করব।” সাফ জানিয়ে দিলেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউয়ের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব বলেছিলেন, “নীতীশ কুমারের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা। তাঁরও উচিত দরজা খুলে রাখা। এতে উভয়পক্ষের যাতায়াত সহজ হবে।”

    ভুল ‘কবুল’ নীতীশের (Nitish Kumar)

    এই প্রসঙ্গেই ভুল ‘কবুল’ নীতীশের। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি ভুল করে তাদের সঙ্গে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি আমার পুরানো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি।” বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহিলাদের অবস্থা আগে কেমন ছিল? আমরা যখন ‘জীবিকা দিদি’ প্রকল্প শুরু করেছিলাম – মহিলারা খুশি হয়েছিলেন। যখনই তাঁদের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাঁদের সাহায্য করা হয়।” এর পরেই ভুল স্বীকার নীতীশের। তিনি বলেন, “তারা (বিরোধী) মহিলাদের জন্য কোনও কাজ করেছে? আমরা সকলের জন্য কাজ করেছি – হিন্দু, মুসলিম, উচ্চবর্ণ, পশ্চাদপদ, দলিত বা মহিলা – যেই হোক না কেন। মানুষের এটা মনে রাখা উচিত।”

    লালু সরকারের সমালোচনা

    লালুপ্রসাদ সরকারের সমালোচনা করে নীতীশ (Nitish Kumar) বলেন, “২০০৫ সালের আগে বিহারের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। সন্ধ্যার পর মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত। হাসপাতালে চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না। রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ ছিল। শিক্ষার অবস্থা ভালো ছিল না। রাজ্যে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর পাওয়া যেত।” ২০১৫ সালে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই জোটই সরকার গঠন করেছিল বিহারে।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    ২০১৭ সালে জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এনডিএতে ফিরে যান নীতীশ। ২০২২ সালের অগাস্টে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের ওই জোটে ফিরে যান তিনি। পরে ফেরেন এনডিএ-তে। এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার পর যে বিহারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন নীতীশ। পরে বলেন, “আগে বিহারের যে কোনও প্রান্ত থেকে মানুষের পাটনা পৌঁছতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগত, এখন তা কমে ৫ ঘণ্টা হয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য (Bihar) সব ধরনের কাজ করা হচ্ছে (Nitish Kumar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: ‘মেলায় হারিয়ে যাওয়া…’! কুম্ভমেলায় হারানোদের খুঁজে বের করবে উচ্চ-প্রযুক্তির এআই

    Mahakumbh Mela 2025: ‘মেলায় হারিয়ে যাওয়া…’! কুম্ভমেলায় হারানোদের খুঁজে বের করবে উচ্চ-প্রযুক্তির এআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড-টলিউডের সিনেমার গল্পে মেলায় গিয়ে পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং পরে আবার মিলিত হওয়ার অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এবার এই কুম্ভে “মেলায় হারিয়ে যাওয়া”-এই প্রাচীন উক্তিকে ভুল প্রমাণিত করতে উদ্যোগী হয়েছে যোগী প্রশাসন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চালিত উচ্চ-প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেলায় হারানো এবং খুঁজে পাওয়ার পঞ্জিকরণ করার বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা জানানো হয়েছে। ফলে মেলায় প্রিয়জন বা আপনজনদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রবাদকে নস্যাৎ করবে এই নয়া প্রযুক্তি (Yogi Administration)। ২০২৫ সালের কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) কোটি কোটি হিন্দুদের সর্ববৃহৎ মহাসঙ্গম হবে। তাই বাচ্চা থেকে বয়স্ক নাগরিকরা যাতে হারিয়ে না যান বা হারিয়ে গেলে যাত্র দ্রুত সন্ধান করা যায়, সেই জন্য অভিনব প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। ফলে ‘যোগী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ এই কথাও কার্যকর হবে বলে মনে করছেন আদিত্যনাথের ভক্তরা।

    সহায়তা কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে ১৯২০ (Mahakumbh Mela 2025) 

    ভারতবর্ষ একটি বহু মিলনমেলার দেশ। এখানে প্রত্যেক রাজ্য, প্রত্যেক জেলা এমনকি প্রত্যেক গ্রামে এক এক সময়ে মেলা হয়ে থাকে। মেলায় অংশ গ্রহণ করে থাকেন দুরদূরান্তের লোকজন। মেলার মহালোকারণ্য, সাজসজ্জা এবং গোলোক ধাঁধায় অনেক মানুষের, বিশেষ করে শিশুদের হারিয়ে যাওয়ার একটা ঘটনা সব জায়গায় ঘটে থাকে। তার মধ্যে তীর্থ ক্ষেত্রের মহামেলায় মানুষ হারিয়ে যাওয়া একটি বড় সমস্যা ছিল দেশবসীর কাছে। এবার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) তীর্থযাত্রীদের ডিজিটাল নিবন্ধীকরণের প্রচেষ্টা করা হয়েছে। মেলা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে হারানো এবং প্রাপ্তির কম্পিউটারাইজড রেজিস্ট্রেশন করা হবে। এই সহায়তা কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে ১৯২০। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির পরিবার এবং আত্মীয়ের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্ক স্থাপন করে ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়।

    কুম্ভের ঐশ্বরিক ও মহৎ ভাবনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয়

    সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট জ্ঞান প্রকাশ বলেন, “আমাদের ইচ্ছে কুম্ভকে ঐশ্বরিক ও মহৎ ভাবনাকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো। কম্পিউটারাইজড প্রযুক্তির ব্যবহার করে হারানো এবং প্রাপ্তির বিশেষ সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এই প্রয্যুক্তি বিভিন্ন উপায়ে খোঁজ বা অনুসন্ধান করে থাকে। যেমন-১০ বছর আগেকার তুলায় এখন কেমন হয়েছে ছবি, সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে ছবির মিল বা অমিল ইত্যাদি বিষয়ে তথ্যের অনুসন্ধান দেবে। মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসবেন, বিভিন্ন উপভাষায় কথা বলবেন। এই অনুষ্ঠান চলাকালীন, কম্পিউটারাইজড সিস্টেমের মাধ্যমে তাঁদের ভাষা হিন্দি বা ইংরেজিতে অনুবাদ করা হবে। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের থাকার জন্য একটি নির্ধারিত জায়গায় পাওয়া যাবে। যেখানে প্রায় ১০০টি শয্যা বিশিষ্ট একটি কক্ষ থাকবে। যদি শিশুরা তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে তাদের সাময়িক কষ্ট নিবারনের জন্য একটি বিনোদনের কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৪ মাওবাদী, শহিদ এক ডিআরজি হেড কনস্টেবল

    পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে যথাস্থানে পৌঁছে দেবে

    সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট জ্ঞান প্রকাশ আরও বলেন, “একটি কেন্দ্রে চিকিৎসকদের একটি দল মানসিক ভাবে সান্ত্বনা দেওয়ার কাজ করবেন। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং পরিষেবারও ব্যবস্থা করা হবে।” অপর দিকে, এই কেন্দ্রে নথিভুক্তিকরণ বা রেজিশট্রেশনের (Yogi Administration) জন্য সব সময় ১০ জন করে ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন। আরও সহায়তার জন্য একটি পুলিশ ডেস্ক এবং পুনরায় ফিরে পাওয়ার আলাদা ডেস্ক থাকবে। কেউ যদি মেলায় হারিয়ে যায় তাহলে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করলে এই কেন্দ্র থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে প্রথমে পরিচয় যাচাই করবে এবং তাকে নিরাপদে যথা স্থানে পৌঁছে দেবে।

    ১২ বছর পর পালিত হচ্ছে মহাকুম্ভ

    উল্লেখ্য, মহাকুম্ভ প্রতি ১২ বছরে একবার আসে, আর পূর্ণ কুম্ভ আসে ১৪৪ বছরে। এবার মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে পূর্ণ কুম্ভও। এই বছর আগামী মকর সংক্রান্তি ১৩ জানুয়ারী থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হবে। এই মেলায় প্রচুর ভক্তদের উপস্থিতির আশা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা রোধ করতে জেলা প্রশাসন ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ করে ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে। মেলায় আগুনের ঘটনা এড়ানোর জন্য সতর্কীকরণ করা হয়েছে।

    পাপমুক্তি এবং মোক্ষ দেয় কুম্ভস্নান

    পুরাণে কথিত রয়েছে, সমুদ্র মন্থনের ফলে যে অমৃত উঠেছিল তার এক ফোঁটা অমৃত ত্রিবেণী সঙ্গমে পড়েছিল। তাই ধরাধাম থেকে মুক্তি পেতে তীর্থযাত্রীরা কুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) ত্রিবেণী সঙ্গম-গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর (পৌরাণিক) সঙ্গমস্থলে ছুটে আসেন। পাপমুক্তি এবং মোক্ষ (মুক্তি) লাভের বাসনা বিশ্বাস করে পবিত্র স্নান করে থাকেন। মহাকুম্ভ মেলা ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ হিসাবে চিহ্নিত। এবার ৪৫ কোটিরও বেশি তীর্থযাত্রীদের মহাগমন ঘটবে বলে জানা গিয়েছে। মেলার সব রকম প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানিয়েছে যোগী প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Assembly Election 2025: ৫ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ, গণনা ৮-ই, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল কমিশন

    Delhi Assembly Election 2025: ৫ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ, গণনা ৮-ই, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের (Delhi Assembly Election 2025) দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে কমিশনের (Election Commission) তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে রাজধানীতে। এক দফাতেই ভোট হবে দিল্লিতে। ৮ ফেব্রুয়ারি হবে ভোটগণনা।

    মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন থাকছে ১৭ জানুয়ারি

    মঙ্গলবার কমিশনের (Election Commission) তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১০ জানুয়ারি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। জানা গিয়েছে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Election 2025) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন থাকছে ১৭ জানুয়ারি। পরের দিনই সম্পন্ন হবে স্ক্রুটিনি। এরপর ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করার সময় দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন ফের একবার  ইভিএম নিয়ে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের জবাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন এদিন জানিয়েছে, ৪২ বার আদালত ভরসা রেখেছে ইভিএমের প্রতি।

    ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৫৮ 

    প্রসঙ্গত, এর আগেই গতকাল ৬ জানুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Election 2025)মোট ভোটার সংখ্যা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বের করা হয়েছে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। ওই তালিকায় দেখা যাচ্ছে দিল্লিতে ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৫৮। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Election 2025) বিজেপি তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে। কারণ আবগারি দুর্নীতিতে ২০২৪ সালের মার্চ মাসেই গ্রেফতার হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অন্যদিকে, অপর এক মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াও দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন ওই একই অভিযোগে। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে আপ সরকার বিধ্বস্ত। এই দুর্নীতির প্রভাব ভোট বাক্সে (Delhi Assembly Election 2025) পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। প্রসঙ্গত, মামলা বিচারাধীন থাকার কারণে বসিরহাটে এখনই কোনও উপনির্বাচন হবে না বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। 

    আরও পড়ুন: ৫০০ বছরের পুরনো শিবমন্দির উদ্ধার পাটনায়, ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিতে মুখরিত ভক্তরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 243: “যাঁর চৈতন্যে জগৎ চৈতন্য হয়ে রয়েছে,—তাঁর চিন্তা করে কেউ কি অচৈতন্য হয়?”

    Ramakrishna 243: “যাঁর চৈতন্যে জগৎ চৈতন্য হয়ে রয়েছে,—তাঁর চিন্তা করে কেউ কি অচৈতন্য হয়?”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পেনেটীর মহোৎসবক্ষেত্রে রাখাল, রাম, মাস্টার,

    ভবনাথ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৮ই জুন

    শ্রীযুক্ত নবদ্বীপ গোস্বামীর প্রতি উপদেশ

    শ্রীগৌরাঙ্গের মহাভাব, প্রেম ও তিন দশা 

    সমাধিস্থ শ্রীরামকৃষ্ণ—গোস্বামীর যোগ ও ভোগ 

    “কৃষ্ণ অর্জুনের সহিত কথা কহিতেছেন—এই কথা বলিতে বলিতে ঠাকুর (Ramakrishna) আবার সমাধিস্থ হইতেছেন। দেখিতে দেখিতে সমস্ত স্থির—চক্ষু পলকশূন্য। নিঃশ্বাস বহিতেছে কি না বহিতেছে বুঝা ঝায় না। নবদ্বীপ গোস্বামী, তাঁহার পুত্র ও ভক্তগণ অবাক্‌ হইয়া দেখিতেছেন।

    কিঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হইয়া ঠাকুর নবদ্বীপকে বলিতেছেন:

    “যোগ ভোগ। তোমরা গোস্বামীবংশ তোমাদের দুই-ই আছে।

    “এখন কেবল তাঁকে প্রার্থনা কর, আন্তরিক প্রার্থনা—‘হে ঈশ্বর, তোমার এই ভুবনমোহিনী মায়ার ঐশ্বর্য—আমি চাই না—আমি তোমায় চাই (Kathamrita)।’

    “তিনি তো সর্বভূতেই আছেন—তবে ভক্ত কাকে বলে? যে তাঁতে থাকে—যার মন-প্রাণ-অন্তরাত্মা সব, তাঁতে গত হয়েছে।”

    “ঠাকুর (Ramakrishna) এইবার সহজাবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছেন। নবদ্বীপকে বলিতেছেন:

    “আমার এই যে অবস্থাটা হয় (সমাধি অবস্থা) কেউ কেউ বলে রোগ। আমি বলি যাঁর চৈতন্যে জগৎ চৈতন্য হয়ে রয়েছে,—তাঁর চিন্তা করে কেউ কি অচৈতন্য হয়?”

    শ্রীযুক্ত মণি সেন অভ্যাগত ব্রাহ্মণ ও বৈষ্ণবদের বিদায় করিতেছেন—কাহাকে এক টাকা, কাহাকে দুই টাকা—যে যেমন ব্যক্তি।

    ঠাকুরকে পাঁচ টাকা দিতে আসিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ বলিলেন (Kathamrita):

    “আমার টাকা নিতে নাই।”

    মণি সেন তথাপি ছাড়েন না।

    ঠাকুর তখন বলিলেন, যদি দাও তোমার গুরুর দিব্য। মণি সেন আবার দিতে আসিলেন। তখন ঠাকুর যেন অধৈর্য হইয়া মাস্টারকে বলিতেছেন, “কেমন গো নেব?” মাস্টার ঘোরতর আপত্তি করিয়া বলিলেন, “আজ্ঞা না—কোন মতেই নেবেন না।”

    শ্রীযুক্ত মণি সেনের লোকেরা তখন আম সন্দেশ কিনিবার নাম করিয়া রাখালের হস্তে টাকা দিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মাস্টারের প্রতি)—আমি গুরুর দিব্য দিয়েছি।—আমি এখন খালাস। রাখাল নিয়েছে সে এখন বুঝুগগে।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে গাড়িতে আরোহণ করিলেন (Kathamrita)—দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ফিরিয়া যাইবেন।

    নিরাকার ধ্যান ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ 

    পথে মতিশীলের ঠাকুরবাড়ি। ঠাকুর মাস্টারকে অনেকদিন হইল বলিতেছেন—একসঙ্গে আসিয়া এই ঠাকুরবাড়ির ঝিল দর্শন করিবেন—নিরাকার ধ্যান কিরূপ আরোপ করিতে হয়, শিখাইবার জন্য।

    ঠাকুরের খুব সর্দি হইয়াছে। তথাপি ভক্তসঙ্গে ঠাকুরবাড়ি দেখিবার জন্য গাড়ি হইতে অবতরণ করিলেন।

    ঠাকুরবাড়িতে (Ramakrishna) শ্রীগৌরাঙ্গের সেবা আছে। সন্ধ্যার এখনও একটু দেরি আছে। ঠাকুর ভক্তসঙ্গে শ্রীগৌরাঙ্গ-বিগ্রহের সম্মুখে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন।

    এইবার ঠাকুরবাড়ির পূর্বাংশে যে ঝিল আছে তাহার ঘাটে আসিয়া ঝিল ও মৎস্য দর্শন করিতেছেন। কেহ মাছগুলির হিংসা করে না, মুড়ি ইত্যাদি খাবার জিনিস, কিছু দিলেই বড় বড় মাছ দলে দলে সম্মুখে আসিয়া ভক্ষণ করে—তারপর নির্ভয়ে আনন্দে লীলা করিতে করিতে জলমধ্যে বিচরণ করে।

    ঠাকুর মাস্টারকে বলিতেছেন, “এই দেখ, কেমন মাছগুলি। এইরূপ চিদানন্দ-সাগরে এই মাছের ন্যায় আনন্দে বিচরণ করা।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)! কানাডার একটি সংবাদপত্রের দাবি, আজ, সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। নিতান্তই যদি তা না হয়, তবে চলতি সপ্তাহে বুধবারের আগেই লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করবেন ট্রুডো। সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’ এমনতর দাবি করলেও, প্রধানমন্ত্রীর দফতর কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

    মুখ রক্ষা করার চেষ্টা ট্রুডোর! (Justin Trudeau)

    দলীয় সদস্যপদ ছাড়ার পরেও তিনি প্রধানমন্ত্রী থেকে যাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, চলতি বছর অক্টোবরে কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হওয়ার কথা। বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ওই নির্বাচনে ট্রুডোর দলের পরাজয় এক প্রকার অবশ্যম্ভাবী। হারতে পারেন ট্রুডো স্বয়ংও। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই আগেভাগে পদত্যাগ করে মুখ রক্ষা করতে চাইছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। কানাডার সংসদের বহু সাংসদ ট্রুডোর অপসারণ চাইছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিন, চাইছেন তাঁর দলের সাংসদরাও। এমতাবস্থায় ট্রুডোর কাছে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর

    ২০১৩ সালে লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ট্রুডো। গত ৯ বছর ধরে তিনি রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। নানা কারণে বর্তমানে তাঁর জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। তাঁর আন্তর্জাতিক নীতি নিয়েও দেশের মধ্যেই সমালোচিত হয়েছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে ট্রুডোর (Justin Trudeau) দল গোহারা হারবে বলে বিভিন্ন নির্বাচনী সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে। আগামী নির্বাচনে কানাডায় কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় আসছে বলেও জানিয়েছে ওই সমীক্ষা। এহেন পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে হঠাৎই পদত্যাগ করেন কানাডার উপমুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার পর থেকে দেশের অভ্যন্তরে ট্রুডো-বিদ্বেষ বাড়ছে বই কমছে না।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    সমস্যা মেটানোর যে কোনও চেষ্টা ট্রুডো করেননি, তা নয়। মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন তিনি। তার পরেও অব্যাহত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার চাপ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রুডো পদত্যাগ করলে এগিয়ে আনা হতে পারে সাধারণ নির্বাচন। ততদিন কে চালাবেন দেশ, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। ভারত বিরোধিতার খেসারত কি ট্রুডোকে (Justin Trudeau) গদি হারিয়েই দিতে হবে? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই (Canada)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share