Tag: news in bengali

news in bengali

  • Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)! কানাডার একটি সংবাদপত্রের দাবি, আজ, সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। নিতান্তই যদি তা না হয়, তবে চলতি সপ্তাহে বুধবারের আগেই লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করবেন ট্রুডো। সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’ এমনতর দাবি করলেও, প্রধানমন্ত্রীর দফতর কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

    মুখ রক্ষা করার চেষ্টা ট্রুডোর! (Justin Trudeau)

    দলীয় সদস্যপদ ছাড়ার পরেও তিনি প্রধানমন্ত্রী থেকে যাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, চলতি বছর অক্টোবরে কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হওয়ার কথা। বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ওই নির্বাচনে ট্রুডোর দলের পরাজয় এক প্রকার অবশ্যম্ভাবী। হারতে পারেন ট্রুডো স্বয়ংও। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই আগেভাগে পদত্যাগ করে মুখ রক্ষা করতে চাইছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। কানাডার সংসদের বহু সাংসদ ট্রুডোর অপসারণ চাইছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিন, চাইছেন তাঁর দলের সাংসদরাও। এমতাবস্থায় ট্রুডোর কাছে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর

    ২০১৩ সালে লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ট্রুডো। গত ৯ বছর ধরে তিনি রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। নানা কারণে বর্তমানে তাঁর জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। তাঁর আন্তর্জাতিক নীতি নিয়েও দেশের মধ্যেই সমালোচিত হয়েছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে ট্রুডোর (Justin Trudeau) দল গোহারা হারবে বলে বিভিন্ন নির্বাচনী সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে। আগামী নির্বাচনে কানাডায় কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় আসছে বলেও জানিয়েছে ওই সমীক্ষা। এহেন পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে হঠাৎই পদত্যাগ করেন কানাডার উপমুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার পর থেকে দেশের অভ্যন্তরে ট্রুডো-বিদ্বেষ বাড়ছে বই কমছে না।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    সমস্যা মেটানোর যে কোনও চেষ্টা ট্রুডো করেননি, তা নয়। মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন তিনি। তার পরেও অব্যাহত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার চাপ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রুডো পদত্যাগ করলে এগিয়ে আনা হতে পারে সাধারণ নির্বাচন। ততদিন কে চালাবেন দেশ, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। ভারত বিরোধিতার খেসারত কি ট্রুডোকে (Justin Trudeau) গদি হারিয়েই দিতে হবে? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই (Canada)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bihar: ৫০০ বছরের পুরনো শিবমন্দির উদ্ধার পাটনায়, ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিতে মুখরিত ভক্তরা

    Bihar: ৫০০ বছরের পুরনো শিবমন্দির উদ্ধার পাটনায়, ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিতে মুখরিত ভক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাটনার (Bihar) নারায়ণ বাবু স্ট্রিটে উদ্ধার হয়েছে একটি পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন শিবমন্দির। মন্দির আবির্ভূত হতেই স্থানীয়দের মধ্যে তুমুল উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা নজরে আসে। ধ্বনিত হয় ‘হর হর মহাদেব’। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরটি প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। মন্দিরের গর্ভগৃহ এখনও সম্পূর্ণ ভাবে অক্ষত। ভিতরে একটি বড় শিবলিঙ্গ এবং পায়ের ছাপ রয়েছে। 

    মন্দিরটি আনুমানিক পঞ্চদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল (Bihar)

    গত ৫ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে একটি ভূমি ধসের কারণে এই শিব মন্দিরটি উদ্ধার হয়েছে। মন্দিরের দেওয়াল গ্রানাইট শিলা দিয়ে তৈরি বলে জানা গিয়েছে। এরপর আশে পাশের এলাকাকে আরও খনন করলে মন্দিরের গাত্রে থাকা সুন্দর সুন্দর কারুকার্য প্রকাশ পেয়েছে। একই ভাবে মন্দিরে আরও নানা সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। মন্দিরের মধ্যে সব থেকে আকর্ষিণীয় দিকটি হল শিবলিঙ্গ। জানা গিয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহে যে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে তা অষ্টধাতু দিয়ে নির্মিত। বিশেজ্ঞরা মনে করছেন, মন্দিরটি আনুমানিক পঞ্চদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এখন এই মন্দিরকে নিয়ে এলাকার শৈব ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে ঘটনা জানাজানি হতেই প্রচুর লোকজন মন্দির দর্শন করার জন্য উপস্থিত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, মন্দিরটি যেখানে উদ্ধার হয়েছে সেখানটা মূলত একটা পরিত্যক্ত জায়গা ছিল। তবে আগে থেকেই জায়গাটা একটি মঠের অন্তর্গত ছিল। এই জায়গাকে কিছু লোকজন একটি আবর্জনার স্তূপ বানিয়ে রেখেছিল।

    শিবশম্ভু জেগে উঠেছেন

    পাটনার (Bihar) স্থানীয়দের বক্তব্য, মন্দিরের পাশেই থাকতেন একজন পুরোহিত। তবে তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা জায়গাকে ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করেন। এরপর ফাঁকা জায়গা পেয়ে এলাকার মানুষ আবর্জনার স্তূপ করে ফেলে। কিন্তু, এই মাটির নীচে যে এত বড় এত প্রাচীন মন্দির লুকিয়ে ছিল, তা সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্দির উদ্ধারের বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন ‘‘বাবা ভোলা নাথ কৃপা করেছেন’’। আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘‘শিবশম্ভু জেগে উঠেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: অবশেষে ভারতীয় বাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা স্বীকার পাকিস্তানের, কে দিলেন বিবৃতি?

    Pakistan: অবশেষে ভারতীয় বাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা স্বীকার পাকিস্তানের, কে দিলেন বিবৃতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে ঢুকে মার! সে কি সহজে স্বীকার করা যায়! পাকিস্তান (Pakistan) বারবার অস্বীকার করেছে ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক অথবা ২০১৯ সালে ভারতের করা এয়ার স্ট্রাইকের কথা। কিন্তু অবশেষে তারা স্বীকার করল ভারত সে দেশের ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (Surgical Strike) করেছিল। কীভাবে স্বীকার করল পাকিস্তান? পাকিস্তানের এক জনপ্রিয় সাংবাদিক হলেন নাজম শেঠি। তিনিই এক সাক্ষাৎকারে একথা স্বীকার করেন।

    আরও পড়ুন: ভারত-বিরোধিতাই হল কাল! কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ট্রুডোর, এগিয়ে আসছে নির্বাচন?

    পাকিস্তান আন টোল্ড নামের একটি অ্যাকাউন্ট পোস্ট করে ওই সাক্ষাৎকার

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান (Pakistan) ভারতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল। এই সাক্ষাৎকারের একটি ছোট অংশ ইতিমধ্যেই বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ভারতের করা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা বলতে শোনা যাচ্ছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, নাজম শেঠি পাকিস্তানের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম সাংবাদিক। পাকিস্তানি এই সাংবাদিকের বয়ান ইতিমধ্যে পোস্ট করা হয়েছে ‘পাকিস্তান আন টোল্ড’ নামের একটি এক্স হ্য়ান্ডেলের অ্যাকাউন্ট থেকে।

    কী বললেন নাজম শেঠি

    সাক্ষাৎকারে নাজম শেঠিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তান আর্মি আফগানিস্তানে যে পদ্ধতিতে হামলা চালাচ্ছে, সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক তারা ভারতের কাছেই শিখেছে। ওই ভিডিওতে এই পাক সাংবাদিক আরও বলেন, ‘‘ভারত পাকিস্তানের (Pakistan) ভিতরে ঢুকে যেমন হামলা করেছিল, পাকিস্তানও আফগানিস্তানের ভিতরে ঢুকে তাই করছে।’’ ইতিমধ্যে পাক সাংবাদিকের এমন মন্তব্যের ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vice Chancellor: শিক্ষা জগতের বাইরের বিশিষ্টরাও হতে পারবেন উপাচার্য, নয়া বিধি আনছে কেন্দ্র

    Vice Chancellor: শিক্ষা জগতের বাইরের বিশিষ্টরাও হতে পারবেন উপাচার্য, নয়া বিধি আনছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য (Vice Chancellor) হওয়ার যোগ্যতা মানে বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। নয়া বিধিতে বলা হয়েছে, সমাজের যে কোনও পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিই হতে পারবেন উপাচার্য। একই সঙ্গে নয়া বিধি অনুযায়ী, উপাচার্য নিয়োগে ক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে আচার্যদের। নতুন বিধি অনুসারে, সার্চ কমিটির তৈরি প্যানেল থেকে একজনকে বেছে নিতে পারবেন আচার্যরা। মানে অন্য কোনও পক্ষের মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। এছাড়া, অধ্যাপক, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের নিয়মেও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে চলেছে ইউজিসি। সেই সংক্রান্ত খসড়াও প্রকাশ করা হয়েছে।

    রাজ্যপাল ছাড়া অন্যান্যরাও হতে পারেন উপাচার্য (Vice Chancellor) 

    নতুন বিধিতে সাফভাবে জানানো হয়েছে, আচার্য বলতে শুধুমাত্র রাজ্যপালদেরই বিবেচনা করা হবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আচার্য করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উপাচার্য (Vice Chancellor) পদে পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে রবীন্দ্রভারতী এবং আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা জগতের বাইরের মানুষ রয়েছেন। রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। আলিয়ার উপাচার্য একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তা। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর বিশেষ ক্ষমতাবলে ওই দুই উপাচার্যকে নিয়োগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা জাহির করতে বিল পেশ বিধানসভায় (Vice Chancellor)

    সাধারণভাবে রাজ্যপালই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের ভূমিকা পালন করে থাকেন। এই আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Education) রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের আশায়, রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে উপাচার্য করার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিলও পেশ করেছে শাসক দল। যদিও রাজ্যপাল বিলটিতে সম্মতি না দেওয়ায় সেটি কার্যকর করা যায়নি। এরই মধ্যে কেন্দ্রের এই নয় খসড়া বিধি সামনে এল। সমাজের নানা পেশার গুণিজনদের উপাচার্য করার প্রস্তাবটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, এরফলে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সমাজের সব অংশের সম্পৃক্ততা বাড়বে। নতুন নতুন ধারণায় সমৃদ্ধ হবে উচ্চশিক্ষা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Makar Sankranti 2025: মকর সংক্রান্তির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা পৌরাণিক কাহিনি, কেন স্নান গুরুত্বপূর্ণ জানেন?

    Makar Sankranti 2025: মকর সংক্রান্তির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা পৌরাণিক কাহিনি, কেন স্নান গুরুত্বপূর্ণ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti 2025) সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। বলা হয়, এদিন থেকেই সূর্য দক্ষিণায়ন থেকে উত্তরায়ণের দিকে ক্রমে ক্রমে সরে যায়। ফলে দিন বড় হতে শুরু করে এবং রাত ছোট হয়। হিন্দুশাস্ত্র মতে এইদিনে স্নান করলে সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়। একই ভাবে স্নানের পর জল সূর্য দেবতার উদ্দেশে নিবেদন করলে দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যায়। এ দিনের মাহাত্ম্যকথা সম্পর্কে একাধিক গল্প পাওয়া যায়। এই দিনটি সূর্য উপাসনা, উপবাস, শ্রীকৃষ্ণ ও মাতা যশোদার সঙ্গে জড়িত। মহাভারতের (Mythological Stories) পিতামহ ভীষ্ম নিজের দেহ ত্যাগের জন্য এই মকর সংক্রান্তির জন্য দিনকে বেছে নিয়েছিলেন। আসুন এবার যেনে নিই এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব কী।

    পিঠে, পুলি, পায়েস রান্না হয় মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti 2025)

    মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2025) হিন্দু ক্যালেন্ডার মতে প্রতি বছর পৌষ মাসের সংক্রান্তির (শেষ) দিনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ইংরেজি মতে, তা ১৪ বা ১৫ জানুয়ারি তারিখ হয়ে থাকে। এ বছর মকর সংক্রান্তি পড়েছে ১৪ জানুয়রি। সারা ভারতে মকর সংক্রান্তি পালিত হয়। তবে দেশের এক এক রাজ্যে এক এক নামে এই উৎসবের নামকরণ করা হয়েছে। যেমন-দক্ষিণ ভারতের কেরল, তামিলনাড়ুতে এই উৎসবের নাম হয়েছে ‘পোঙ্গল’, কর্নাটকে নাম হয়েছে ‘সংক্রান্তি’, হারিয়ানায় নাম হয়েছে ‘মাঘি’, গুজরাট, উত্তরাখণ্ডে নাম হয়েছে ‘উত্তরায়ণ’, উত্তর প্রদেশ, বিহারে নাম হয়েছে ‘খিচড়ি’। তবে মকর নামেই সারাদেশে ব্যাপক ভাবে পরিচিত হয়েছে। বাংলায় নাম হয়েছে মকর সংক্রান্তি। হিন্দু বাঙালির ঘরে ঘরে এদিন পিঠে, পুলি, পায়েস রান্না হয়। রাধাকৃষ্ণের পুজো এবং বাড়িতে গরু বা গো-মাতার পুজো করা হয়। মেয়েরা ব্রত কথা পাঠ করে, গ্রামে-গঞ্জে বসে লোকগীতি, বাউল ও নাম কীর্তনের আসর। সব চেয়ে বড় মেলা বসে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির আশ্রমে এবং বীরভূমের কেন্দুলিতে জয়দেবের মেলা। পুরাণ অনুযায়ী, মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গা ভগীরথকে অনুসরণ করে সাগরে কপিল মুনির আশ্রমে মিলিত হয়েছিলেন।

    সূর্য পুজোর একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে

    এই মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti 2025) সঙ্গে সূর্য পুজোর একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সূর্য হল শক্তির প্রতীক। যাদের রাশিতে সূর্যের অবস্থান ঠিক থাকে না তাদের সূর্য নারায়ণকে নমস্কার করে জল তর্পণ করতে হয়। সূর্যের চলনের উপর নির্ভর করে সকল নিয়ম কানুনকে মেনে চলতে হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সংক্রান্তি মানে সূর্যের রাশি পরিবর্তন। মকর সংক্রান্তিতে, সূর্য দেবতা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ধনু রাশি থেকে বের হয়ে মকর রাশিতে প্রবেশ করে। তাই এই দিনটিকে উত্তরায়ণ বলা হয়। শাস্ত্রে উত্তরায়ণের দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়েছে। এই দিনে পবিত্র নদীতে স্নান, দান ও পুজো করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। মনে করা হয় উত্তরায়ণে এদিন প্রাণ উৎসর্গ বা দেহ ত্যাগ করলে সরাসরি মোক্ষ লাভ পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস।

    আরও পড়ুনঃ পান্নুনের সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র, সিদ্ধান্ত বহাল রাখল ট্রাইব্যুনাল

    যশোদা শ্রীকৃষ্ণকে পুত্ররূপে পেতে উপবাস করেছিলেন

    মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti 2025) এবং সূর্যদেবের উপাসনার সঙ্গে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং যশোদার সঙ্গে জড়িত। পৌরাণিক কাহিনী (Mythological Stories) অনুযায়ী, যশোদা শ্রীকৃষ্ণকে পুত্ররূপে পাওয়ার জন্য মকর সংক্রান্তির দিন উপবাস করেছিলেন। সাধারণত শ্রীরাম ত্রেতাযুগে বনবাস থেকে ফিরে আসার পর, কৈকেয়ী তাঁকে বলেছিলেন যে, পরবর্তী জীবনে আমার গর্ভে যেন জন্মগ্রহণ করেন। আমি যেন আপনার মা হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারি। সেই সময়ে ভগবান মাতা কৈকেয়ীর সকল মনোবাসনা পূর্ণ করেন। রাণীমার আশীর্বাদে রামচন্দ্র জানিয়েছেন, মা তুমি কষ্ট পেয় না। কৈকেয়ীর অনুরোধে তাঁর গর্ভেই জন্মগ্রহণ করবে। পুত্র হিসেবে তিনি ডাকতে পারবেন। এই কারণেই দ্বাপরে ভগবান রাম, মা দেবকীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু ঘটনাক্রমে দেবকির গর্ভে জন্ম নিলেও যশোদার কাছে মানুষ হন কৃষ্ণ। তাই শ্রীকৃষ্ণকে যশোদা নন্দনও বলা হয়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kumbh Mela 2025: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    Kumbh Mela 2025: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আঁটসাঁট করা হচ্ছে প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলা (Kumbh Mela 2025)। মেলায় (Prayag) হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন কানাডাবাসী খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গুরুপতবন্ত সিংহ পান্নুন। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, কয়েকটি ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের নিশানায়ও রয়েছে এই মহাকুম্ভ। তাই মহাকুম্ভের নিরাপত্তায় এনএসজি কমান্ডো বাহিনী ও স্নাইপার প্লাটুন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। কুম্ভমেলার ইতিহাসে এই প্রথম বার এমন আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    নাশকতা দমন টিম (Kumbh Mela 2025)

    জানা গিয়েছে, এবার মহাকুম্ভে মোতায়েন করা হচ্ছে মোট ২৬টি নাশকতা দমন টিম। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কমান্ডো বাহিনী ও কেন্দ্রীয় আধাসেনার স্পেশাল ফোর্সের পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছে উত্তরাখণ্ড পুলিশের দুটি বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইউনিট। ড্রোনের সাহায্যে নজরদারির ব্যবস্থাও থাকবে। থাকবে বুলেটপ্রুফ আউটপোস্টও। বিশেষভাবে নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে শাহি স্নানের জায়গা, মন্দির এবং গাড়ির পার্কিং লটগুলিতে। কুম্ভমেলায় ব্যাপক ভিড় হয় সাধুদের। সেই সাধুর ছদ্মবেশে জঙ্গিরা যাতে হামলা চালাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে আখড়া-সন্ন্যাসীদের আধারকার্ড সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

    শাহি স্নান

    কুম্ভে বিশেষ পুণ্যতিথির স্নানকে শাহি স্নান বলে। এবার মেলা শুরু হবে ১৩ জানুয়ারি, চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই ৪৪ দিনের মধ্যে শাহি স্নানের দিন রয়েছে ৬টি। এর মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌনি অমাবস্যার শাহি স্নান। এই শাহি স্নানের দিনগুলিতে ব্যাপক ভিড় হবে বলে আশা উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের (Kumbh Mela 2025)। সেই ভিড়ের সুযোগ নিয়ে হানা দিতে পারে অশুভ শক্তি। তাই আঁটসাঁট করা হচ্ছে মেলা চত্বর।

    আরও পড়ুন: “দিল্লিকে বিকশিত ভারতের রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রয়াগরাজের মেলাস্থলের আয়তন ৩২ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি। রয়েছে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমের বিস্তীর্ণ জলরাশি। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জল পুলিশের বিশেষ বাহিনীকে। প্রসঙ্গত, প্রতি ১২ বছর অন্তর হয় পূর্ণকুম্ভ। ৬ বছর অন্তর হয় অর্ধকুম্ভ। আর ১৪৪ বছর পর হয় মহাকুম্ভ। ২০১৩ সালে হয়েছে পূর্ণকুম্ভ। ২০১৯ সালে হয়েছে অর্ধকুম্ভ। এবার হতে চলেছে মহাকুম্ভ মেলা (Prayag)। সেই কারণেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা (Kumbh Mela 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মাথায় রহস্যময় ড্রোনের চক্কর, চাঞ্চল্য

    Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মাথায় রহস্যময় ড্রোনের চক্কর, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জায়গাটা ‘নো-ফ্লাইং’ জোন। তাই এরোপ্লেনও ওড়ে না। আর সেখানেই কিনা শীতের ভোর রাতে আধ ঘণ্টা ধরে চক্কর কাটল রহস্যময় ড্রোন (Drone)! কথা হচ্ছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) নিয়ে। রবিবার ভোর রাতে ওই মন্দিরের ওপরই চক্কর কাটল ড্রোন। ড্রোন ওড়ানোর নেপথ্যে কে বা কারা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়েছে ওড়িশার বিজেপি সরকার।

    কী বলছেন আইনমন্ত্রী? (Jagannath Temple)

    পুরীর পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে তদন্তও। রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বলেন, “মন্দিরে ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ। যাঁরা মন্দিরের নিরাপত্তা ভঙ্গ করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে।” তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে, ভ্লগাররা মন্দিরে ড্রোন উড়িয়েছেন। কিন্তু এর নেপথ্যে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।” মন্ত্রী বলেন, “পুরীর এসপি তদন্তকারী দল গঠন করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। আমি আশা করি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হবে এবং ড্রোনটি বাজেয়াপ্ত করা হবে।”

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এদিন ভোর ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ ড্রোনটি জগন্নাথ মন্দিরের ওপর চক্কর কাটতে থাকে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। আধ ঘণ্টা পরে আর ড্রোনটির খোঁজ মেলেনি (Jagannath Temple)। মন্ত্রী জানান, পুরীর পুলিশ সুপারকে গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তাই মন্দির চত্বরে ওয়াচ টাওয়ারে সর্বক্ষণের জন্য পুলিশ মোতায়েন রাখার কথা জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: মহাকাশে ফলবে বরবটি! অঙ্কুরোদ্গম করে বিশ্বকে তাক লাগাল ইসরো

    ড্রোন বিধিমালা, ২০২১ এর অধীনে ওড়িশার জগন্নাথ মন্দিরকে নো ফ্লাইং জোন হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এই নো ফ্লাইং জোন মন্দির চত্বরে ড্রোন উড়তে দেখে জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ (Jagannath Temple)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

      

  • Pannun: পান্নুনের সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র, সিদ্ধান্ত বহাল রাখল ট্রাইব্যুনাল

    Pannun: পান্নুনের সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র, সিদ্ধান্ত বহাল রাখল ট্রাইব্যুনাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা পান্নুনের (Pannun) ‘শিখ ফর জাস্টিস’ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ৩ জানুয়ারি কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল বেআইনি কার্যকলাপ আইন মামলা সম্পর্কিত ট্রাইব্যুনাল (UAPA Tribunal)। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনুপ কুমার মেনদিরাত্তা কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। প্রসঙ্গত, শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনকে প্রথমবারের জন্য বেআইনি ঘোষণা করা হয় ২০১৯ সালে। তার কারণ, সেই সময় এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বেআইনি কার্যকলাপের বিভিন্ন ধারায়। সেই সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল এইচডি সঞ্জয় এবং আইনজীবী রজত নায়ার এই সংগঠনের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ সামনে আনেন।

    কী জানালেন বিচারপতি 

    বিচারপতি অনুপ কুমার মেনদিরাত্তা নিজের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের (Pannun) বিরুদ্ধে যথেষ্ট এবং পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে যে তারা একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং তারা বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রচার চালায়। শুধুমাত্র তাই নয়, বিচারপতি নিজের পর্যবেক্ষণ আরও জানিয়েছেন, শিখ ফর জাস্টিস সংগঠন পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গেও যোগসূত্র রেখে চলে। এর পাশাপাশি তারা পাঞ্জাবে জঙ্গি কার্যকলাপও চালায়।

    প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও খুনের হুমকি 

    শুধুমাত্র তাই নয়, বিচারপতি নিজের পর্যবেক্ষণে আরও জানান যে, এই সংগঠন আন্তর্জাতিকভাবে পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তারা বেআইনি অস্ত্র পাচার করে। একইসঙ্গে এই সংগঠন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খুন করার হুমকিও দিয়েছে। শিখ বিদ্রোহের জন্য উস্কানিও (Pannun) দিয়েছে এই সংগঠন। জাতি দাঙ্গা বাধানোর উস্কানি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে এই  সংগঠনের বিরুদ্ধে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরগুলিতেও হামলা চালানোর হুমকি

    নিজের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনালের (UAPA Tribunal) বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, এই সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলেছে যে তারা দেশের তেরঙ্গা পতাকা পোড়ানোর উস্কানি জুগিয়েছে শিখ সমাজকে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতর তথা রেলওয়েতে হামলা চালানোরও হুমকি (Pannun)  দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “দিল্লিকে বিকশিত ভারতের রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “দিল্লিকে বিকশিত ভারতের রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত দশ বছরে দিল্লি যে সরকার দেখেছে, তা বিপর্যয়ের (AAP) চেয়ে কম কিছু নয়।” রবিবার দিল্লির রোহিণীর জাপানিজ পার্কে ‘পরিবর্তন র‍্যালি’-তে ভাষণ দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই সভায় বিজেপিকে একটা সুযোগ দেওয়ার আবেদনও জানান তিনি।

    বিকশিত ভারতের রাজধানী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা দিল্লিকে বিকশিত ভারতের রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি দিল্লির জনগণের কাছে আবেদন করছি যে দিল্লির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বিজেপিকে একটি সুযোগ দিন। দিল্লিকে উন্নত করতে পারে কেবল বিজেপি।” এর পরেই তিনি বলেন, “গত দশ বছরে দিল্লি যে সরকার দেখেছে, তা বিপর্যয়ের চেয়ে কম কিছু নয়। এখন দিল্লিতে শুধু শোনা যায়, ‘আপ-দা’ (বিপর্যয়) নয় সহ্য করব, বদলে দেব। দিল্লি উন্নয়ন চায় এবং দিল্লির জনগণ বিজেপির ওপর আস্থা রাখে।”

    দিল্লির অবদান অপরিহার্য

    প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ উদ্বোধন করার পরে এই জনসভায় বক্তব্য রাখতে এসেছেন। আগামী পঁচিশ বছর সমগ্র দেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং বিকশিত ভারত মিশনে দিল্লির অবদান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি বলেন, “আমি এখানে হাজার হাজার কোটি টাকার দিল্লির উন্নয়ন প্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং উদ্বোধন করার পরেই এসেছি। আমরা এখন ২০২৫ সালে আছি। আগামী ২৫ বছর দিল্লি এবং পুরো দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ২৫ বছর ভারত একটি বিকশিত ভারত (Viksit Bharat) হিসেবে গড়ে তোলার সাক্ষী হবে। আমরা এর অংশ হব। এই বছরগুলি ভারতকে আধুনিকায়নের নতুন যুগে নিয়ে যাবে। শীঘ্রই সেই সময় আসছে যখন ভারত বিশ্বের তৃতীয় অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে, এবং দিল্লির অবদান এর জন্য অপরিহার্য।”

    আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, গায়ক অভিজিৎকে আইনি নোটিশ

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মানুষ বিজেপিকে বিশ্বাস করে। কারণ এটি এমন একটি দল যা সুশাসনে বিশ্বাস করে। বিজেপি প্রতিটি নাগরিকের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য নিবেদিত।” তিনি বলেন, “দিল্লিতে এখন কেবল একটাই আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ‘আপনি অন্যায় সহ্য করবেন না, পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।’ এখন (AAP) দিল্লি উন্নয়নের জমি চায় এবং আমি আনন্দিত যে দিল্লি বিজেপির ওপর আস্থা রাখে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

      

  • Tirupati Temple: ২০২৪ সালে তিরুপতি দর্শন করেছেন  ২ কোটি ৫৫ লক্ষ ভক্ত, চুল দান করেছেন ৯৯ লক্ষ

    Tirupati Temple: ২০২৪ সালে তিরুপতি দর্শন করেছেন ২ কোটি ৫৫ লক্ষ ভক্ত, চুল দান করেছেন ৯৯ লক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে তিরুপতি (Tirupati Temple) দর্শন করতে গিয়েছেন ২ কোটি ৫৫ লক্ষ ভক্ত। তিরুপতির মন্দিরে প্রণামী হিসেবে এক বছরে ১৩৬৫ কোটি টাকার সামগ্রী জমা পড়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে হুণ্ডিতে নগদ টাকা, সোনাদানা মিলিয়ে সেখানে ১৩৯১ টাকা মিলেছিল। ২০২৪ সালে সেই অঙ্ক কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৬৫ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য ২০২২ সালে ১২৯১.৬৯ কোটি টাকা নগদ এবং সোনা, রূপো জমা পড়েছিল হুণ্ডিতে।

    ৬ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ অন্নপ্রসাদ পেয়েছেন (Tirupati Temple)

    এই তিরুপতি মন্দিরে (Tirupati Temple) প্রতিদিন ভক্তেরা হুণ্ডি বা প্রণামী বাক্সে ভেঙ্কটেশ্বরকে নগদ, সোনা, রূপো, বিদেশি মুদ্রা দেন। সেই প্রণামী বাক্স নতুন পরাকামণি মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই গণনা করা হয় ভক্তদের দান। সোনা, রূপা সব মূল্যবান ধাতু আলাদা করে বিশেষ লকারে রেখে দেওয়া হয়। প্রতিমাসে লকার থেকে সে সব সোনারূপো একবার করে টিটিডির কোষাগারে পাঠানো হয়। একটি পরিসংখ্যান বলছে, ভক্তদের মধ্যে ৯৯ লক্ষ জন চুল (99 Lakh Donated Hair) দান করেছেন। ১২ কোটি ১৪ লক্ষ লাড্ডু বিক্রি করা হয়েছে। ৬ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ অন্নপ্রসাদ পেয়েছেন।

    আরও পড়ুনঃ মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, গায়ক অভিজিৎকে আইনি নোটিশ

    অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে ৫০ কোটি টাকা

    জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে টিটিডি তিরুপতি মন্দিরের (Tirupati Temple) বাজেটে ৫১৪১.৭৪ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করেছিল। কর্মীদের বেতন, ভাতা দেওয়ার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৭৭৩ কোটি টাকা। মন্দিরের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রকল্পের জন্য ১০৮.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। টিটিডির অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১১৩.৫০ কোটি টাকা। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের তহবিল থেকে মন্দিরের জন্য দেওয়া হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে পাশে থাকার জন্য এই টাকা দিয়েছিল মন্দির ট্রাস্ট।

    জানা গিয়েছে ব্যাঙ্কে টিটিডি মোট ১১ হাজার ৩২৯ কেজি সোনা জমা রেখেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তারা ১,০৩১ কেজি সোনা জমা করেছিল। টিটিডি আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত ৩ বছরে চার হাজার কেজি সোনা ব্যাঙ্কে জমা করা হয়েছে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share