Tag: news in bengali

news in bengali

  • Delhi: বৃষ্টির জেরে দিল্লিতে কিছুটা কমল দূষণের মাত্রা, কড়া বিধি নিষেধ হল শিথিল

    Delhi: বৃষ্টির জেরে দিল্লিতে কিছুটা কমল দূষণের মাত্রা, কড়া বিধি নিষেধ হল শিথিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি এবং এনসিআর অঞ্চলে (Delhi) বেশ কয়েকদিন ধরেই হালকা বৃষ্টি চলছে। এরই ফলে দিল্লির বাতাসের গুণগত মানের (AQI) বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত দিল্লির বাতাসের দূষণমাত্রা একসময় ভয়ানক পর্যায়ে ছিল। এদিকে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমতেই দিল্লি এবং এনসিআর কড়া বিধি নিষেধ শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

    দিল্লির (Delhi) এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) নেমে এসেছে ৩২৪-এ

    কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বা সিপিসিবি যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির (Delhi) এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) নেমে এসেছে ৩২৪-এ। অন্যদিকে, দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্যানেলের কমিশনার জানিয়েছেন, দিল্লির বাতাসের গুণগত মানের সূচক আগের চেয়ে অনেকটাই চেয়ে উন্নত হয়েছে। ভয়ানক পর্যায় থেকে তা নেমেছে। সেই কারণে দিল্লি এবং তাঁর সংলগ্ন এলাকায় জারি করা বিধিনিষেধ আপাতত শিথিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্যানেলের কমিশনার।

    অক্টোবর মাসের গোড়া থেকেই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসের গোড়া থেকেই দিল্লিতে (Delhi) দূষণের মাত্রা ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে। নভেম্বর মাসে দিল্লি এবং এনসিআর এলাকায় চালু করা হয় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ (জিআরএপি-৪)। এর পর ডিসেম্বরে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমলে কড়া বিধি শিথিল করা হল কিছুটা। একিউআই শূন্য থেকে ৫০ হলে তা ভালো ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০ হলে মাঝারি, ২০১ থেকে ৩০০ খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০ খুব খারাপ, ৪০১ থেকে ৫০০ ভয়ানক বলে ধরা হয়। প্রসঙ্গত, বৃষ্টির কারণে দিল্লির একিউআর দাঁড়িয়েছে ৩২৪-এ। একিউআর ভয়ঙ্কর হলে দিল্লি-এনসিআরে পাথর ভাঙা, নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়। প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস অনলাইনে চালু করা হয়। একিউআই ৪৫০ ছাড়ালে অন্যরাজ্যের গাড়ি দিল্লির রাস্তায় চলতে পারে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pranab Mukherjee: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    Pranab Mukherjee: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) প্রয়াণের পরপরই শুক্রবার বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এই আবহে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee) কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে তিনি দাবি করেন, তাঁর পিতা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর শোক জ্ঞাপনের জন্য কোনও ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়নি।

    শর্মিষ্ঠার এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট

    শর্মিষ্ঠা নিজের পোস্টে লেখেন, ‘‘বাবা যখন মারা গেলেন, তখন শোক জ্ঞাপনের জন্যে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকার প্রয়োজনও মনে করেনি। আমাকে সেই সময় এক সিনিয়র কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টদের জন্যে এমনটা করা হয় না। যদিও সেটা মিথ্যা। পরে আমি বাবার ডায়েরি থেকে জানতে পেরেছিলাম, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কেআর নারায়ণের প্রয়াণে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই সময় শোক বার্তা ড্রাফ্ট করেছিলেন বাবা নিজেই।’’

    প্রণব মুখোপাধ্যায়কে (Pranab Mukherjee) বঞ্চনা

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিল্লিতে দলের সদর দফতরেই বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে মল্লিকার্জুন খাড়গে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপালরা। সেই বৈঠকেই মনমোহনের শেষকৃত্য নিয়ে আলোচনা হয়। এই আবহে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পরে কেন এমন বৈঠক ডাকা হয়নি, সেই প্রশ্ন তুললেন প্রণব কন্যা (Pranab Mukherjee)। আগেও একাধিক মহলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছে,  প্রণব মুখোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রীও হতে দেয়নি কংগ্রেস!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষ, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে চাল পাঠাচ্ছে ভারত

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষ, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে চাল পাঠাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বিরোধী (India) স্লোগানে মুখর হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। দেশের হাল ধরেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। এই সরকারই ভারত থেকে আমদানি করা চালের প্রথম চালান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশ ক্রমেই ঝুঁকছে পাকিস্তানের দিকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। স্বাধীন হতে সাহায্য করেছিল বাংলাদেশকে। 

    পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ! (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশ যে ক্রমেই পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে, তার অন্যতম বড় প্রমাণ বাংলাদেশ সম্প্রতি করাচি বন্দর থেকে আসা দুটি জাহাজকে স্বাগত জানিয়েছে। চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর একটি কন্টেনারবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটল। এই পরিবর্তনের মাঝেও, ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করে চলেছে। জানা গিয়েছে, ‘এমভি তানাইস ড্রিম’ নামের একটি জাহাজ ২৬ ডিসেম্বর চৌদ্দগ্রাম বন্দরে ভিড়তে চলেছে। জাহাজটি ২৪,৬৯০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে যাচ্ছে। উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় এই চাল আমদানি করা হয়েছে। এই চালানটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘাটতি পূরণের জন্য পাঠানো হচ্ছে। কেবল এই সাহায্যই নয়, বৈরিতা সত্ত্বেও আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্কটকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত (Bangladesh Crisis)। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অর্থনৈতিক সঙ্কট অথবা রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তার পরেও বাংলাদেশে চলছে সংখ্যালঘু নির্যাতন।

    হিন্দুর ঘরে আগুন

    বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হচ্ছে ব্যাপক অত্যাচার। কখনও কোনও হিন্দুর ঘরে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন, কখনও বা হিন্দু বাড়ির মেয়ে-বউদের তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে মুসলমানরা। ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন বহু হিন্দু তরুণী। ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের মন্দির। লুটতরাজ চালানো হচ্ছে হিন্দুদের দোকানদানিতে। সে দেশের মুসলমানদের অত্যাচারে পূর্ব পুরুষদের (India) ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে অন্যত্র। সেই ভিটে দখল করে নিচ্ছে অত্যাচারীরা। অভিযোগ, এই সব ঘটনার পেছনেও রয়েছে জমি হাঙরদের হাত (Bangladesh Crisis)। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে ভারত বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে।

    ৫০ হাজার টন চাল 

    এই আর্থিক সহায়তা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য বরাদ্দ করা হয়। যার জেরে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা থাকে অব্যাহত। ২৩ ডিসেম্বর ইউনূস অভ্যন্তরীণ সঙ্কট মোকাবিলায় জরুরি সাহায্যের জন্য ভারতের কাছে আবেদন জানান। সঙ্গে সঙ্গে ভারত ৫০ হাজার টন চাল পাঠিয়ে দেয়। যার জেরে কঠিন সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)। ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারত বাংলাদেশকে ৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি স্বল্পসুদী ঋণ অনুমোদন করে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত চলাকালীন ভারত অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে আঞ্চলিক সংহতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে। ৯ মার্চ, ২০২২ তারিখে ভারত সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে আটকে পড়া নজন বাংলাদেশি নাগরিককে সফলভাবে উদ্ধার করে।

    মুক্তিযুদ্ধ

    করোনা অতিমারীর সময় ভারত বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ সাহায্য করে। ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে আইএনএস সাবিত্রী চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ে গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট সরবরাহ করে। মহামারির সংকটময় পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করে। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে ভারত বাংলাদেশে পাঠায় ১.২ মিলিয়ন অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ডোজ। ওই দিনই ভারত বাংলাদেশকে ১০৯টি জীবনদায়ী অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়। কেবল এখনই নয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়, ভারত মুক্তি বাহিনীকে সিদ্ধান্তমূলক সামরিক সহায়তা প্রদান করে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ভারতের এই হস্তক্ষেপের ফলে ৯৩ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করে (Bangladesh Crisis)। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর বিধ্বংসী ঘূর্ণঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেই সময়ও ভারত ১ মিলিয়ন ডলারের ত্রাণ প্যাকেজ দেয়। এর মধ্যে ছিল খাবার, ওষুধ, তাঁবু এবং কম্বল-সহ জরুরি জিনিসপত্র।

    আরও পড়ুন: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    এহেন সাহায্যের পরেও ভারত-বিরোধী মনোভাব পোষণ করে চলেছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। চলছে নিরন্তর হিন্দু নির্যাতন (India)। ২০২৪ সালের ২১শে ডিসেম্বর নাটোর সদর উপজেলার (Bangladesh Crisis) কাশাডাঁপুর শ্মশানঘাটের পাশে ৫৫ বছর বয়সী এক মন্দিরের পুরোহিত তরু কুমার দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুরোহিতকে হত্যা করার আগে হামলাকারীরা মন্দিরের দানবাক্সগুলি লুট করে। তারই আগের দিন ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলায় তিনটি হিন্দু মন্দিরকে টার্গেট করে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করে চারটি মূর্তি। ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে কুষ্টিয়া জেলায় একটি হিন্দু পরিবার প্রাণের ভয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪-এ সুনামগঞ্জে জনৈক আকাশ দাসের ওপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইস্কনের দুটি মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা (Bangladesh Crisis)। হিন্দুদের ওপর এত অত্যাচার সত্ত্বেও পড়শির প্রতি দায়িত্ব পালনে অটল নরেন্দ্র মোদির ভারত (India)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 1: অগাস্টেই শুরু হয় জঙ্গলের রাজত্ব, বাংলাদেশজুড়ে চলতে থাকে গণপিটুনিতে হত্যা NO 1 Do not publish

    Bangladesh Crisis 1: অগাস্টেই শুরু হয় জঙ্গলের রাজত্ব, বাংলাদেশজুড়ে চলতে থাকে গণপিটুনিতে হত্যা NO 1 Do not publish

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ প্রথম পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৫ অগাস্ট বিএনপি ও জামাতের ষড়যন্ত্রে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা (Bangladesh Crisis 1)। দখল হয় গণভবন। এরপর থেকেই বাংলাদেশে নেমে আসে অরাজকতা। সে দেশে ইউনূস সরকারের আমলে কার্যত জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয় বাংলাদেশ। বেড়ে যায় গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা। হাসিনা সরকারের পতনের ঠিক পরেই দুইজন ছাত্রনেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। যাঁদের মধ্যে একজন হলেন তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের কাঠালতোড়ি ইউনিয়নের পাথরঘাটার উপজেলার বরগুনার বাসিন্দা। তোফাজ্জলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অন্য আরেকজন হলেন শামিম আহমেদ। যাঁর অপর নাম হচ্ছে শামিম মোল্লা। তাঁকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয় বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলিগের নেতা ছিলেন শামিম। বিএনপি-জামাতের কাছে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হতেই এমন আক্রমণ নেমে আসে।

    কী বলছে সেদেশের সংবাদমাধ্যমগুলির রিপোর্ট?

    বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলিও সরব হয় গণপিটুনির ঘটনায়। একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট সামনে আসে। বাংলাদেশের (Targeting Minority) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই ৩৬টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অপর এক সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার তাদের রিপোর্টে জানাচ্ছে যে হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫৩টি ঘটনা ঘটেছে গণপিটুনির, যার মধ্যে ৪৪টিতেই মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে অপর এক সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, অগাস্টের ৫ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ পর্যন্ত ৪৪টি গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২১টি সংঘটিত হয়েছে অগাস্ট মাসে। বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে সেপ্টেম্বর মাসেই গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার সংখ্যা ২০। অক্টোবর মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬।

    জেলায়-জেলায় পরিসংখ্যান (Bangladesh Crisis 1)

    বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদসংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজধানী ঢাকাতে হাসিনা সরকারের পতনের ৩৮ দিনের মাথায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গণপিটুনিতে।

    দিনাজপুর জেলায় তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে অগাস্ট মাসের ১১ তারিখ। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখেও ওই জেলায় তিনজন গণপিটুনিতে মারা যান।

    বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় ৩১ অগাস্ট একজনকে ও ১৮ সেপ্টেম্বর অন্য একজনের মৃত্যু হয় গণপিটুনিতে।

    রাজশাহী জেলাতে প্রাক্তন ছাত্রলিগের নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৭ সেপ্টেম্বর।

    চট্টগ্রামে একজন স্থানীয় বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১ সেপ্টেম্বর।

    বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলাতে একজন বয়স্ক মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সেপ্টেম্বর মাসে।

    বাংলাদেশের খুলনাতে ৪০ বছর বয়স্ক একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৪ সেপ্টেম্বর।

    বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৬ সেপ্টেম্বর।

    বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলাতে একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১২ সেপ্টেম্বর।

    বাংলাদেশের গাজীপুর ও বরিশালে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। একজনকে হত্যা করার অগাস্টে, অপরজনকে সেপ্টেম্বরে।

    বাংলাদেশের নাটোরে ৩৬ বছর বয়সি একজন পুরুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ২ অগাস্ট।

    বাংলাদেশের টাঙ্গাইল ও খাগড়াছাড়িতেও গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৫ সেপ্টেম্বর অন্যদিকে অপরজনকে খাগড়াছাড়িতে হত্যা করা হয় ১৮ সেপ্টেম্বর।

    গণপিটুনির কারণ কী কী? (Bangladesh Crisis 1)

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই ধরনের গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার একাধিক কারণ রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলি নিচে আলোচনা করা হল-

    রাজনৈতিক কারণ

    প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রে হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পরেই আওয়ামি লিগের সঙ্গে কর্মী-সমর্থকদের ওপর ব্যাপক সন্ত্রাস নেমে আসে। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদেরকে টার্গেট করতে থাকে বাংলাদেশের মৌলবাদী তথা বিএনপি-জামাতের নেতৃত্ব।

    আইন-শৃঙ্খলার অবনতি

    জামাত-বিএনপি নেতৃত্বে বাংলাদেশের মসনদ দখল হওয়া মাত্রই সে দেশে জঙ্গলের রাজত্ব শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি নজরে আসতে থাকে। সে দেশে প্রশাসন বলে আর কিছুই বাকি ছিল না, যখন হাসিনা সরকারকে পদচ্যুত করা হয়। এই অবস্থায় সুযোগ নিতে শুরু করে বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠন ও বিএনপি জামাতের মতো রাজনৈতিক দলগুলি।

    গুজব (Bangladesh Crisis 1)

    গুজব একটা বড়সড় কারণ গণপিটুনিতে হত্যার। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সমাজমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয় এবং এতেই বাড়তে থাকে বাংলাদেশে হিংসা এবং গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Karnataka: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    Karnataka: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মহত্যা করেছেন বছর ছাব্বিশের এক ঠিকাদার। তিনি কর্নাটকের (Karnataka) মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়্গের (Priyank Kharge) ঘনিষ্ট সহযোগী রাজু কাপনুরের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। সচিন নামের ওই ঠিকাদারের দেহ উদ্ধার হয় বিডার জেলার ভল্কি তালুকের কট্টিটুঙ্গাঁও গ্রামে রেললাইনের ওপর থেকে।

    উদ্ধার সুইসাইড নোট

    মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার হয় সাত পাতার একটি সুইসাইড নোটও। ওই নোটে তিনি রাজুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনার জেরে তোলপাড় কর্নাটকের রাজনৈতিক মহল। সুইসাইড নোটে সচিন জানিয়েছেন, রাজু যখন কালাবুরাগি পুরসভার কর্পোরেটর ছিলেন, তখন তাঁকে একটি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ লাখ টাকারও বেশি প্রতারণা করেছেন। টেন্ডার কিংবা টাকা কোনওটাই তাঁকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আরও এক কোটি টাকা না দিলে রাজুর ক্ষতি করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সুইসাইড নোট প্রকাশ্যে আসায় কর্নাটকের ঠিকাদারদের দুরাবস্থার একটি অন্ধকার অধ্যায় উন্মোচিত হল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সচিনের দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ। ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন ওই ঠিকাদারের পরিবার। সুইসাইড নোটে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে সচিনের পরিবারের তরফে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের নেতারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন, করলেন স্মৃতিচারণও

    বিপাকে মন্ত্রী

    ঘনিষ্ট সহযোগীর (Karnataka) নাম জড়ানোয় বিপাকে পড়েছেন কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি এই পরিস্থিতি সম্পর্কে সবে মাত্র জানতে পেরেছি। এটি কংগ্রেস দল বা আমার ঘনিষ্ঠ সহযোগীর সঙ্গে সম্পর্কিত হোক না কেন, আমি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি চাইছি। সত্য উদ্ঘাটনে তদন্ত করা হবে। ধামাচাপা দেওয়া হবে না।” সচিনের তোলা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রিয়ঙ্ক। মন্ত্রীর কথায় অবশ্য আশ্বস্ত হতে পারছেন না সে রাজ্যের মানবাধিকার কর্মী ও বিরোধী নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, যথেষ্ট রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি ও নিরপেক্ষ তদন্ত (Priyank Kharge) ছাড়া দুর্নীতি ও ঠিকাদারদের আত্মহত্যার এই চক্র অব্যাহত থাকতে পারে (Karnataka)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার ঠিকাদারদের জীবিকার সঙ্গে খেলা করছে। আমাদের রাজ্যের সামনে থাকা বহু সমস্যার সমাধান করার বদলে, কংগ্রেস সরকার অব্যাহতভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করছে এবং দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • RSS: ‘‘দেশের প্রতি তাঁর অবদান আজীবন মনে থাকবে’’, মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানাল আরএসএস

    RSS: ‘‘দেশের প্রতি তাঁর অবদান আজীবন মনে থাকবে’’, মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানাল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ৭ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (Manmohan Singh)। তাঁর প্রয়াণে শোকাতুর গোটা দেশ। এই আবহে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধার্ঘ জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)।

    মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে গোটা দেশ শোকাহত 

    এ দিন আরএসএসের (RSS) তরফে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বলা হয়, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা প্রবীণ নেতা ডঃ সর্দার মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) প্রয়াণে গোটা দেশ শোকাহত। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ তাঁর পরিবার ও অগুনতি অনুরাগীদের সমবেদনা জানাচ্ছে।” আরএসএসের তরফে আরও বলা হয়, “সাধারণ ঘর থেকে উঠে এসেও তিনি দেশের সর্বোচ্চ পদে পৌঁছেছিলেন। দেশের প্রতি তাঁর অবদান আজীবন মনে রাখা হবে। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।”

    নিজের বাড়িতেই সংজ্ঞাহীন হয়ে যান তিনি

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান আরএসএসের সর সঙ্ঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত ও দত্তাত্রেয় হোসাবলে। প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মনমোহন সিং। নিজের বাড়িতেই সংজ্ঞাহীন হয়ে যান তিনি। এমন পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি দিল্লির এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সবরকমের চেষ্টা করা হলেও, শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন চিকিৎসকরা। রাত ৯টা ৫১ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh)।

     

    আরও পড়ুন: বিশ্বের নেতারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন, করলেন স্মৃতিচারণও

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ABVP: ‘‘দেশ গঠনের কাজ করছে এবিভিপি’’, বললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি

    ABVP: ‘‘দেশ গঠনের কাজ করছে এবিভিপি’’, বললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা এবিভিপির (ABVP) ৪৯তম রাজ্য সম্মেলনে হাজির ছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। সেখানেই তিনি জানান যে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এমন একটি সংগঠন, যারা দেশ গঠনের কাজ করে চলেছে নিরন্তরভাবে। এবিভিপির জ্ঞান-চরিত্র-একতা আদর্শের কথাও তিনি তুলে ধরেন এদিন। তিনি আরও জানান, শিক্ষা এবং সমাজের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রসঙ্গত, এবিভিপি ওড়িশার ৪৯তম রাজ্য সম্মেলন শুরু হয় কটকের ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এবং সেখানেই একথা বলতে শোনা যায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে (Odisha CM)। মোহন মাঝি আরও বলেন, ‘‘জাতীয় স্বার্থে, জাতির পুনর্গঠনে দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে বহন করে চলেছে এবিভিপি।’’

    যে কোনও নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয় ওড়িশায়

    একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ওড়িশা সরকারের (ABVP) ছাত্রদরদী বিভিন্ন নীতির কথাও এদিন তুলে ধরেন নিজের বক্তব্যে। তিনি জানান, পরীক্ষা ব্যবস্থায়ও স্বচ্ছতা আনা হয়েছে ওড়িশায়। যে কোনও নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয় ওড়িশায়। এর পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ নিয়েও এদিন কথা বলেন তিনি। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপের ব্যবস্থাও ওড়িশায় রয়েছে বলে নিজের ভাষণে উল্লেখ করেন তিনি।

    রাজ্য সম্মেলনে হাজির ছিলেন এবিভিপি (ABVP) ওড়িশার রাজ্য সম্পাদক অরিজিৎ পট্টনায়ক

    ওড়িশায় পরবর্তী অ্যাকাডেমিক বছর থেকে বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের বক্তব্যে মোহন চরণ মাঝি আরও জানান, আগামী দিনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ছাত্র নেতৃত্বকেই ভবিষ্যতে ওড়িশার দায়িত্ব নিতে হবে। প্রত্যেক ছাত্র নেতৃত্বকে তিনি তাঁদের কর্তব্য এবং সমাজের দায়বদ্ধতাও স্মরণ করান। রাজ্য সম্মেলনে হাজির ছিলেন এবিভিপি (ABVP) ওড়িশার রাজ্য সম্পাদক অরিজিৎ পট্টনায়ক। তিনি সংগঠনের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন। ওড়িশা এবিভিপি এক লাখ সদস্য করাতে পেরেছে বলে তিনি নিজের রিপোর্টে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এই অ্যাকাডেমিক বছরে ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ জন পড়ুয়া সংগঠনে নাম লিখিয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raja Bikramjit Ghosh: বাঙালি রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষের অমিত বিক্রম গাথা জানেন?

    Raja Bikramjit Ghosh: বাঙালি রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষের অমিত বিক্রম গাথা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির সুলতানকে (Delhi sultanate) প্রতিহত করেছিলেন বাঙালি রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষ (Raja Bikramjit Ghosh)। বাংলার মঙ্গলকোটের সদগোপ শাসক বিক্রমজিৎ। তাঁর সাহস ও দৃঢ় সঙ্কল্পের গল্প আজও ফেরে লোকের মুখে মুখে। চতুর্দশ শতাব্দীর এই শাসক পরিচিত ছিলেন বিক্রম কেশরী নামে। দিল্লির সুলতানদের একাধিক আক্রমণ তিনি রুখে দিয়েছিলেন অমিত বিক্রমে। 

    মঙ্গলকোট গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র (Raja Bikramjit Ghosh)

    সেন ও দেব বংশের পতনের পর, উত্তর দিক থেকে বারবার আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। শেষ সেন রাজা মধু সেন এবং দেব রাজা দনুজ রায়ের মৃত্যুর ফলে এই অঞ্চলে নেতৃত্বের শূন্যতা সৃষ্টি হয়। সেই সময়ই একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষ। মঙ্গলকোট ছিল বাংলার গোপভূম অঞ্চলে অবস্থিত। রাজা বিক্রমজিতের শাসন কালে এটি একটি সমৃদ্ধশালী এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল। ঐতিহাসিকভাবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। এখান থেকেই লঙ্কা (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা), বার্মা (অধুনা মায়ানমার), থাইল্যান্ড-সহ দূরবর্তী অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন পরিচালনা হত।

    কুলদেবী ছিলেন মা অভয়া চণ্ডী

    ঐতিহাসিকভাবে বাংলায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছিল সদগোপদের। মেদিনীপুর রাজ, নারায়ণগড় রাজ, বলরামপুর রাজ, নাড়াজোল রাজ এস্টেটের মতো বিশিষ্ট এস্টেট ও সমগ্র অঞ্চলের অন্যান্য জমিদারি নিয়ন্ত্রণ করতেন এই সদগোপরা। মঙ্গলকোটের সদগোপ শাসক পরিবার গৌড়িয় বৈষ্ণব ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত ছিল। এঁদের কুলদেবী ছিলেন মা অভয়া চণ্ডী। ত্রয়োদশ (Raja Bikramjit Ghosh) শতাব্দীর শেষ ভাগ ও চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বাংলায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছিল দিল্লির সুলতানরা। বাংলায় তারা বারংবার হানা দিয়েছিল। এই সময়ই রুখে দাঁড়ান মঙ্গলকোটের রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষ। সদগোপ সম্প্রদায়ের এই রাজার বাধায় পিছু হটে দিল্লির  মুসলমান শাসকরা। মঙ্গলকোটের ওপর প্রথম বড় ধরনের আক্রমণ হয় ১৩০৩ সালে। নেতৃত্ব দেন উজবেক গাজি। এই বাহিনী মঙ্গলকোটের পশ্চিমাঞ্চলের জঙ্গলে শিবির গড়ে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।মা অভয়া চণ্ডীর একনিষ্ঠ ভক্ত রাজা বিক্রমজিৎ তাঁর সদগোপ যোদ্ধাদের সংগঠিত করে পাল্টা আক্রমণ করেন। প্রবল যুদ্ধে পরাস্ত হয় হানাদারেরা। বহু সৈন্যের মৃত্যু হয়। রাজা বিক্রমজিতের আদেশে তাদের মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয় অজয়ের জলে।

    আরও পড়ুন: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    বিক্রমজিতের বিক্রম

    ১৩০৩ থেকে ১৩২৭ সালের মধ্যে দিল্লির সুলতানরা অন্তত ১৭ বার মঙ্গলকোট আক্রমণ করেছিল। এই ১৭ বারই বুক চিতিয়ে লড়াই করে শত্রুদের মুখের মতো জবাব দিয়ে মঙ্গলকোট রক্ষা করেছিলেন বিক্রমজিৎ। আক্রমণকারীদের মধ্যে বিশিষ্ট সাত হানাদার হল মহম্মদ, হাজি ফিরোজ, গুলাম পাঠান, মহম্মদ ইসমাইল গাজি, আব্দুন্নাহ গুজরাটি, মকচুম বিলায়ে এবং গজনাভি। বিক্রমজিতের নেতৃত্বে এই যুদ্ধগুলি কেবল সদগোপ যোদ্ধাদের সামরিক দক্ষতাই প্রদর্শন করেনি, রাজা বিক্রমজিতের কৌশলগত প্রজ্ঞাও প্রতিপন্ন করেছে। অমিত বীরত্বের কারণে তাঁকে “বিক্রম কেশরী” উপাধিতে ভূষিত করা হয় (Raja Bikramjit Ghosh)। দিল্লির সুলতানদের বিশাল সম্পদ এবং নিরলস প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, রাজা বিক্রমজিতের শাসনকালে তারা মঙ্গলকোটকে বশীভূত করতে ব্যর্থ হয়।

    সনাতন ধর্ম রক্ষায় ছিলেন একনিষ্ঠ

    রাজা বিক্রমজিৎ কেবল একজন যোদ্ধাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সংস্কৃতি ও সনাতন ধর্মের একজন পৃষ্ঠপোষকও। তাঁর দরবারে উদযাপিত হত গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্য। গীতগোবিন্দ ছিল ভক্তির কেন্দ্রীয় গ্রন্থ। তিনি বাংলার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য বজায় রাখতে জানও বাজি রেখেছিলেন। মুসলমান শাসকদের আধিপত্যের মধ্যেও মাথা উঁচু করে সনাতন ধর্ম রক্ষায় অটল ছিলেন বিক্রমজিৎ। রাজা বিক্রমজিতের (Raja Bikramjit Ghosh) মৃত্যুর পর নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় মঙ্গলকোট। অস্থায়ীভাবে এই অঞ্চল দখল করে অটোমান হানাদারেরা। তারা এখানে নিহত জেনারেলদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে সমাধি নির্মাণ করে। যা তাদের বিজয়গাথা ঘোষণা করে। তাদের জয় ছাপিয়ে গিয়েছিল বিক্রমজিতের জয়। কারণ যতদিন তিনি বেঁচেছিলেন, ততদিন মঙ্গলকোটে দাঁত ফোটাতে পারেননি দিল্লির সুলতানরা। মুসলমাদের (Delhi sultanate) ওই সমাধি কি বিক্রমজিতের বিজয়গাথাও ঘোষণা করে না (Raja Bikramjit Ghosh)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: ‘‘ডিএমকে পরাস্ত না হওয়া পর্যন্ত জুতো পরব না’’, সংকল্প তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান আন্নামালাইয়ের

    BJP: ‘‘ডিএমকে পরাস্ত না হওয়া পর্যন্ত জুতো পরব না’’, সংকল্প তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান আন্নামালাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন ও ক্ষমতাসীন ডিএমকে সরকারকে সরানো না পর্যন্ত তিনি জুতো পরবেন না, এমনই সংকল্প নিলেন তামিলনাড়ুর বিজেপির (BJP) সভাপতি কে আন্নামালাই (K Annamalai)। এর পাশাপাশি তাঁর আরও ঘোষণা, আজ শুক্রবার নিজের বাড়ির সামনে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাবেন এবং নিজেকে ছয়বার চাবুক মারবেন।

    ৪৮ দিন অনশনের কথা ঘোষণা তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধানের (BJP) 

    প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কলেজ ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কে আন্নামালাই (BJP) তোপ দাগেন ডিএমকে সরকারকে। বৃহস্পতিবারই সাংবাদিক সম্মেলনে, কে আন্নামালাই ঘোষণা করেন যে তিনি নিজের বাড়ির সামনেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন এবং নিজেকে ছয়বার চাবুক মারবেন। এর পাশাপাশি আজ শুক্রবার থেকে ৪৮ দিন অনশন করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। ডান হাতে জুতো নিয়েই তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

    তামিলনাড়ুর মহিলারা নিরাপদ নন

    আন্নামালাই (BJP)  ডিএমকে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে আরও জানান যে এই রাজ্য আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি বলে কিছু নেই। ‘‘যারা বেআইনি কার্যকলাপ করে তাদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে তামিলনাড়ু’’, একথাও বলতে শোনা যায় তাঁকে। তিনি (K Annamalai) আরও বলেন, ‘‘তামিলনাড়ুতে মহিলারা মোটেও নিরাপদ নন, কারণ এখানকার পুলিশ প্রশাসন বিরোধীদের চুপ করতে ব্যস্ত থাকে সর্বদা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manmohan Singh: প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, শোক প্রকাশ মোদির

    Manmohan Singh: প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, শোক প্রকাশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাত ন’টা ১৫ মিনিটে দিল্লির এইমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh)। পরিবার সূত্রে খবর, তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ তাঁকে দিল্লি এইমসের এমারজেন্সি ডিপার্টমেন্টে ভর্তি করা হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুকালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত টানা দশ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। এছাড়া, ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮৫ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের দায়িত্ব সামলান তিনি (Former Prime Minister)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে আজ শুক্রবার সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোকপালনের ঘোষণা করেছে মোদি সরকার।

    শোক প্রকাশ মোদির

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স হ্যান্ডলে মোদি জানান, প্রায়ই তাঁদের মধ্যে কথা হত। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দেশের প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘দেশের অনত্যম সেরা একজন নেতা মনমোহন সিংহের প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। খুব সাধারণ একটা পরিবার থেকে উঠে দেশের সম্মানীয় নেতা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। হয়ে উঠেছিলেন একজন বলিষ্ঠ অর্থনীতিবিদও। তিনি একজন সফল অর্থমন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। সংসদে তাঁর একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে প্রভূত ভূমিকা নিয়েছিলেন।’’

    সংক্ষিপ্ত জীবনী

    ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জন্মেছিলেন মনমোহন সিং। বর্তমান পাকিস্তানে গাহতে জন্মেছিলেন তিনি। তিনি পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করেন। কেমব্রিজেও পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। ভারত সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, প্ল্যানিং কমিশনে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে দেশের অর্থনীতির নব রূপায়নে তাঁর ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে আছে আজও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share