Tag: news in bengali

news in bengali

  • Russia: রাশিয়ান মিসাইল হানায় ভেঙে পড়ে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান? কী বলল মস্কো?

    Russia: রাশিয়ান মিসাইল হানায় ভেঙে পড়ে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান? কী বলল মস্কো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজাখস্তানে দুর্ঘটনাগ্রস্ত আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের (Azerbaijan Airlines) বিমান ভেঙে পড়ে রাশিয়ান (Russia) মিসাইল হানায়! এমনই দাবি উঠতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকে। একাধিক মাধ্যমে দাবি করা হয়, ওই বিমানকে দূর থেকে ইউক্রেনের ড্রোন ভেবে মিসাইল ছুড়েছিল রাশিয়া। সেই কারণেই তা ভেঙে পড়ে। তবে এই ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুলল মস্কো।

    কী জানাল মস্কো (Russia)?

    রাশিয়ার (Russia) তরফে জানানো হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে, তাই আগে থেকে যেন কেউ কিছু কল্পনা না করে ফেলেন। কেউ কেউ এখনই বিষয়টি নিয়ে নানারকম দাবি করছেন, সেগুলি ঠিক নয়। নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ এভাবেই অস্বীকার করেছে মস্কো। আজারবাইজান প্রশাসন ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কাজাখস্তান প্রশাসনও আলাদাভাবে ঘটনার তদন্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। ঠিক এই আবহে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনিতে যাচ্ছিল বিমানটি।

    আরও পড়ুন: দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ জম্মু-কাশ্মীরের আঞ্জি খাদ সেতুতে রেলের সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল

    কোনও দাবিরই অকাট্য প্রমাণ মেলেনি

    বিমানটিতে (Russia) ৩৭ জন আজারবাইজানের, ১৬ জন রাশিয়ার, ৬ জন কাজাখস্তানের এবং ৩ জন কিরগিস্তানের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আকতাউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটি আকাশের মাঝপথ থেকেই ক্রমশ নীচের দিকে নামতে শুরু করে এবং তাতে আগুন লেগে যায়। প্রাথমিক অনুমান, কুয়াশার কারণে হয়তো পাইলট দিকভ্রষ্ট হয়েছিলেন। যার ফলে তিনি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। আবার কেউ কেউ মনে করেছেন পাখির ঝাঁকের সঙ্গে কোনওভাবে ধাক্কা লেগেছিল বিমানটির। তাতেই কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি তৈরি হয়। এছাড়া বিমানের ইঞ্জিনেও কোনও সমস্যা থাকতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। তবে কোনও দাবিরই (Azerbaijan Airlines) অকাট্য কোনও প্রমাণ মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে স্বরাষ্ট্র সচিব করল বাংলাদেশ

    Bangladesh: ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে স্বরাষ্ট্র সচিব করল বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজাব-উৎ-তাহারির (Hizb Ut Tahrir) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাসিমুল গাজিকে স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিয়োগ করল ইউনূস সরকার। গতকাল বুধবার ২৫ ডিসেম্বর তাঁকে এই পদে নিয়োগ করা হয়। নাসিমুল গাজির মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের এমন নিয়োগ সামনে আসতেই, জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, নাসিমুল গণি ছিলেন বাংলাদেশের বিএনপি দলের নেতা জামিরউদ্দিন সরকারের ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক। এরপরে ২০০০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা হয় হিজাব-উৎ-তাহারির  নামক এই সংগঠনের। জানা যায়, এই সংগঠনের শীর্ষ নেতা ছিলেন শহীদ গোলাম মওলা। যিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক। ২০০০ সালে বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিল বিএনপি ও জামাত-ই-ইসলামের সরকার। সেই সময় তিনি এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সালে নাসিমুল গনিকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয় সরকারি চাকরি থেকে। প্রসঙ্গত, মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কর্তা ব্যক্তিদের নিয়োগ পর্ব লেগেই রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ মৌলবাদীদের হাতেই রয়ে গিয়েছে। জামাত-ই-ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম- এই সমস্ত সংগঠনগুলিরই সক্রিয় প্রভাব দেখা যাচ্ছে সেখানে।

    ভারত বিরোধী সংগঠন

    প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিকভাবে গনির এমন নিয়োগের ফলে বিভিন্ন দেশও অসন্তুষ্ট, যার মধ্যে ভারত অন্যতম। কারণ এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে মৌলবাদী শিক্ষা প্রদান, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি, সন্ত্রাসের ফান্ডিং ইত্যাদি। ভারতের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এনআইএ এখনও পর্যন্ত ওই সংগঠনের নানা কার্যকলাপের তদন্ত করছে। তামিলনাড়ুতে এই সংগঠনের বেশ কিছু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে পরিকল্পনামাফিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং ভারত বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার।

    প্রথম থেকে টার্গেট করত শিক্ষিত যুব সমাজ

    বাংলাদেশে (Bangladesh) ২০০০ সালের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেই প্রথম কয়েক বছর দেখা যেত এই সংগঠন শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়কেই লক্ষ্যবস্তু বানাত। যুবকদের মধ্যে উগ্র ইসলামিক ভাবাদর্শ প্রচার করত। এই সংগঠন খলিফারাজ প্রতিষ্ঠার দাবিতেও আন্দোলন করত। এর পাশাপাশি দুর্নীতি অথবা অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধেও আন্দোলনে দেখা যেত এই সংগঠনকে। নিজেদের সমর্থন বাড়ানোর জন্য এমনটা করত তারা। পরবর্তীকালে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় (Bangladesh) দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় এই সংগঠন। যার ফলে মৌলবাদী সংগঠনগুলির মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pravasi Bharatiya Divas: ৮-১০ জানুয়ারি ওড়িশায় আয়োজিত হতে চলেছে ‘প্রবাসী ভারতীয় সম্মেলন’

    Pravasi Bharatiya Divas: ৮-১০ জানুয়ারি ওড়িশায় আয়োজিত হতে চলেছে ‘প্রবাসী ভারতীয় সম্মেলন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় সম্মেলন সাড়ম্বরে পালিত হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, ওড়িশার (Odisha) ভুবনেশ্বরে এই অনুষ্ঠান হবে। ভারতীয় বংশোদ্ভুতরা এবং প্রবাসী ভারতীয়রা সমস্ত দেশ থেকে হাজির হবেন এই সম্মেলনে (Pravasi Bharatiya Divas)। প্রবাসী ভারতীয়দের এই সম্মেলনের আয়োজনে ওড়িশা সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, মোদি সরকার পূর্বোদয় নীতি গ্রহণ করেছে এবং সেখানে অন্যতম রাজ্য হল ওড়িশা। প্রবাসী ভারতীয় দিবস ওড়িশায় আয়োজনের মাধ্যমে মোদি সরকার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে সেরাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন।

    কেন ৯ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় দিবস (Pravasi Bharatiya Divas)

    প্রতিবছর ৯ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় দিবস পালন করা হয়। ঐতিহাসিকভাবে ১৯১৫ সালের ৯ জানুয়ারি, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। সেই ঘটনার স্মৃতিতেই প্রতিবছর ৯ জানুয়ারি প্রবাসী ভারতীয় দিবস পালিত হয়। চলতি বছরে এটা আয়োজিত হতে চলেছে ওড়িশায় এবং প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে উঠে আসবে সেরাজ্যের উন্নয়নের নানা বিষয়। বিদেশ থেকে আগত প্রবাসী ভারতীয়রা দেখবেন ওড়িশা সরকারের উন্নয়নমূলক নানা কর্মসূচি (Pravasi Bharatiya Divas)। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের যে অর্থনৈতিক উন্নতি এবং পূর্বাঞ্চলের প্রতি সরকারের যে নীতি সেটাও পর্যবেক্ষণ করবেন প্রবাসী ভারতীয়রা।

    খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ ওড়িশা (Pravasi Bharatiya Divas)

    ওড়িশার ভুবনেশ্বরকে (Pravasi Bharatiya Divas) বলা হয় মন্দিরের শহর। প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং শিল্প – এই সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে কীভাবে এগিয়ে চলেছে ওড়িশা, সেটাই প্রচার করা হবে প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে। ওড়িশা খনিজ সম্পদেও পরিপূর্ণ। কয়লা থেকে লোহা, বক্সাইট প্রভৃতি মাটির নিচে প্রচুর পরিমাণে মজুদ রয়েছে এখানে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সারা দেশের ২৫ শতাংশ লোহাই রয়েছে ওড়িশাতে। সারাদেশে যত পরিমাণে স্টিল উৎপাদন হয়, তার দশ শতাংশই আসে ওড়িশা থেকে। লোহার পাশাপাশি অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনেও উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে ওড়িশা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maulana Masood Azhar: হৃদরোগে আক্রান্ত জঙ্গি মাসুদ আজহার, ভর্তি হাসপাতালে

    Maulana Masood Azhar: হৃদরোগে আক্রান্ত জঙ্গি মাসুদ আজহার, ভর্তি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহার (Maulana Masood Azhar) হৃদরোগে আক্রান্ত। বর্তমানে এই জঙ্গি নেতা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে সংসদে জঙ্গি হামলার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন মাসুদ আজহার (Maulana Masood Azhar)। আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে সূত্রের খবর। এরপরে তাঁকে তড়িঘড়ি পাকিস্তানের হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    করাচির কম্বাইনড মিলিটারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে লুকিয়ে থাকার সময়েই তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। সেখানে থেকেই সড়কপথে তাঁকে দ্রুত পাকিস্তানে নিয়ে আসা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, তাঁকে করাচির কম্বাইনড মিলিটারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ইসলামাবাদ থেকে কার্ডিওলজিস্টরা গিয়েছেন মাসুদকে দেখতে। সূত্রের খবর, মাসুদকে (Maulana Masood Azhar) রাওয়ালপিন্ডির সবথেকে বড় সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

    ২০১৯ সালে মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দেয় রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে দেশের সংসদে ভয়াবহ জঙ্গি (Jaish E Mohammed) হামলা হয়। এই হামলায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন মাসুদ (Maulana Masood Azhar)। বছর পাঁচেক আগে ২০১৯ সালে মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দেয় রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বের বহু দেশে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ভারতেও একাধিক মামলায় মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে এই জয়েশ প্রধান। প্রসঙ্গত মাসুদ আজহারের জন্ম পাকিস্তানে, ১৯৬৮ সালে। শুধু সংসদ হামলা নয়, ভারতে অন্যান্য জঙ্গি হামলার সঙ্গেও তাঁর নাম জড়িত রয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পাশাপাশি ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ব্রিটেনে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন মাসুদ আজহার। ২০১৬ সালে পাঠানকোট হামলা, পরবর্তীকালে ২০১৯ সালে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলাতেও মাসুদ আজহারের নাম উঠে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ জম্মু-কাশ্মীরের আঞ্জি খাদ সেতুতে রেলের সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল

    Indian Railway: দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ জম্মু-কাশ্মীরের আঞ্জি খাদ সেতুতে রেলের সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ আঞ্জি খাদ (Anji Khad Bridge) সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন করল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। প্রথম ট্রায়াল রানের ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘জম্মু কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন ডানার সংযোগ করা হল। ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল ভারতের প্রথম কেবল ব্রিজে।’’ প্রসঙ্গত, আঞ্জি খাদ সেতুর দৈর্ঘ্য হল ৪৭৩.২৫ মিটার। এই সেতুটি নদী থেকে ৩৩১ মিটার উচ্চে অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে। ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেল সেতু হল আঞ্জি খাদ।

    ছুটতে পারে বন্দে ভারত (Indian Railway)

    প্রসঙ্গত, উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি হল এই আঞ্জি খাদ রেল সেতু। মনে করা হচ্ছে, এই রুটে বন্দে ভারত পর্যন্ত ছুটতে পারে। এনিয়ে আগেই আভাস দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যদি এমনটা হয়, সেক্ষেত্রে ভারতের প্রথম কেবল সাসপেনশন ব্রিজের ওপর দিয়ে বন্দে ভারতে করে শ্রীনগর পৌঁছে যাওয়া যাবে।

    মাত্র ১১ মাসে দেশের প্রথম কেবল রেল সেতু তৈরি হয়

    জানা গিয়েছে, একটি মাত্র স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই আঞ্জি খাদ সেতু। জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় এই সেতুটি রয়েছে। এর উপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারবে ট্রেন (Indian Railway)। উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অধীনে এই রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেল প্রকল্পটি নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসেই একটি ট্যুইট বার্তায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, আঞ্জি খাদ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে, মাত্র ১১ মাসে দেশের প্রথম কেবল রেল সেতু তৈরি হয়। এই সেতুর ৯৬টি কেবলের সবকটি জোড়া হেয়েছে। এই কেবলগুলির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য হল ৬৫৩ কিলোমিটার।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ক্রিসমাস ইভে পুড়ল ঘর, গৃহহীন অন্তত ১৭ খ্রিস্টান পরিবার, কাঠগড়ায় মুসলিমরা

    Bangladesh Crisis: ক্রিসমাস ইভে পুড়ল ঘর, গৃহহীন অন্তত ১৭ খ্রিস্টান পরিবার, কাঠগড়ায় মুসলিমরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা গিয়েছিলেন ক্রিসমাসের প্রার্থনায় যোগ দিতে। সেই সময় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্তত ১৭টি বাড়িতে (Christian Homes) আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের বান্দরবান এলাকার ঘটনায় কাঠগড়ায় স্থানীয় মুসলমানরা। অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ওই খ্রিস্টান পরিবারগুলি।

    ইউনূসের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন

    গৃহহীনদের দাবি, অগ্নিকান্ডের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫ লাখ বাংলাদেশি টাকারও বেশি। বড়দিনের সকালে দেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেই সময় তিনি দিয়েছিলেন শান্তির বার্তা। তার ঠিক আগের দিন রাতের ঘটনায় ইউনূসের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একাংশ। জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তারা বান্দরবানের লামা সারাই অঞ্চলের একটি এলাকায়, যা এসপি গার্ডেন নামে পরিচিত, বসবাস করছিল। আগে এই জমিটি টংঝিরি পাড়া নামে পরিচিত ছিল, যা হাসিনা সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্তা বেনজির আহমেদ দখল করেছিলেন। আহমেদের পরিবার এই জমির নাম পরিবর্তন করে রাখে এসপি গার্ডেন।

    ক্রিসমাস ইভে বাড়িতে আগুন

    ৫ আগস্টের পর বেনজির আহমেদ এবং তার পরিবার ওই এলাকা ছেড়ে চলে গেলে, ত্রিপুরা পরিবারগুলো বসতিতে ফিরে আসে। অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটেছে ক্রিসমাস ইভে, যখন ওই পরিবারগুলির সদস্যরা চার্চে গিয়েছিলেন প্রার্থনা করতে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের দাবি জমিটি তাদের ন্যায্য অধিকারভুক্ত। তাদের অভিযোগ, এই জমিতে তাঁদের বসতি ছিল, যা আহমেদের লোকজন দখল করেছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন গঙ্গামণি ত্রিপুরা (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: বাজয়েপীর জন্মবার্ষিকীতে গুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস-উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    তিনি জানান, ১৭ নভেম্বর থেকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। তিনি বলেন, “কয়েকজন লোক আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিল। আমরা বারবার এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি পেয়েছি, কিন্তু যাওয়ার কোনও জায়গা নেই। আমাদের বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, আমরা খোলা আকাশের নীচে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের যা কিছু ছিল, সব হারিয়েছি।” লামা থানায় স্টিফেন ত্রিপুরা-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও, কোনো পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা চরমে উঠেছে। হিন্দুদের পাশাপাশি অত্যাচার চালানো হচ্ছে খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধদের ওপরও (Christian Homes)। তার পরেও ইউনূস প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • INDI: ইন্ডি জোটে বড়সড় ফাটল! কংগ্রেসকে ছেঁটে ফেলতে চায় আম আদমি পার্টি

    INDI: ইন্ডি জোটে বড়সড় ফাটল! কংগ্রেসকে ছেঁটে ফেলতে চায় আম আদমি পার্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটে (INDI) বড়সড় ফাটল! প্রশ্নের মুখে কংগ্রেসের নেতৃত্ব। আম আদমি পার্টি (AAP) কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে ইন্ডি জোট থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানাল। এই ঘটনা বিরোধী জোটের অনৈক্যকে ফের একবার সামনে আনল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সামনেই রয়েছে দিল্লির নির্বাচন, সেই আবহে এমন অনৈক্য বিজেপিকে মাইলেজ দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। জানা গিয়েছে, এই ইস্যুতে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

    আম আদমি পার্টিকে তোপ কংগ্রেসের  (INDI)

    জানা যাচ্ছে, ইন্ডি জোটের (INDI) সবচেয়ে বড় শরিক কংগ্রেসকে ছেঁটে ফেলতে চায় দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি। এ নিয়ে জোটের অন্যান্য আঞ্চলিক শরিক, যেমন সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে আপ, এমনটাই দাবি একাধিক সংবাদমাধ্যমের। প্রসঙ্গত, একদিন আগেই দিল্লির কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কড়া ভাষায় নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি, কেজরিওয়ালকে যতবার ‘মউকা’ দেওয়া হয়েছে, ততবারই তিনি ‘ধোঁকা’ দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে মাকেন দাবি করেন, ‘‘২০১৩ সালে কেজরিওয়ালকে সমর্থন করা কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। সেটাই দিল্লিতে কংগ্রেসের পতনের সবচেয়ে বড় কারণ।’’ শুধু তাই নয়, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে খোদ শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতকে প্রার্থী করা হয়েছে।

    ইন্ডি জোটে  (INDI) কংগ্রেসের চাপ বাড়ল

    এভাবে ইন্ডি জোটের বড় শরিক কংগ্রেস সরাসরি কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করছে, সেটা মেনে নিতে নারাজ আপ। জানা গিয়েছে, ক্ষুব্ধ আপ এবার ইন্ডি জোট থেকে পুরোপুরি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে একটি জোট গঠন করতে উদ্যোগী হয়েছে। যা নিয়ে অন্য দলগুলির সঙ্গে আলোচনা চায় তারা। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসও ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে উপনির্বাচন ঘিরে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব বেড়েছে। মহারাষ্ট্রেও একই অবস্থা। মহাবিকাশ আগাড়ির মধ্যে সুসম্পর্ক আগের মতো নেই। আম আদমি পার্টির বিদ্রোহে ইন্ডি জোটে কংগ্রেসের চাপ আরও খানিকটা বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Secretariat Fire: মধ্যরাতে আগুন বাংলাদেশ সচিবালয়ে, পুড়ে ছাই বহু নথি, দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    Bangladesh Secretariat Fire: মধ্যরাতে আগুন বাংলাদেশ সচিবালয়ে, পুড়ে ছাই বহু নথি, দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার যে আগুন (Bangladesh Secretariat Fire) লেগেছিল, তা কোনও ষড়যন্ত্রের অংশ না কি অন্তর্ঘাত, তা খুব তাড়াতাড়িই জানা যাবে। এমনই জানাল সে দেশের মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus) নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

    ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Bangladesh Secretariat Fire)

    বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ছ’ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। জানা গিয়েছে, আগুনের বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে রাত ১টা ৫২ মিনিটে জানানো হয়। ১টা ৫৪ মিনিটেই শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ৮টা ৫ মিনিট নাগাদ। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে পঞ্চম তলায় প্রথমে আগুন দেখা যায়।

    আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত

    পরে ধীরে ধীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওপরতলায়। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই দমকলের প্রায় আটটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে। পরে আরও ১১টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন সোহানুজ্জামান নয়ন নামে এক দমকলকর্মী। রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাঁর। যে বিল্ডিংটিতে আগুন লাগে, সেখানেই রয়েছে অর্থমন্ত্রক, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রকের অফিস, যুব ও ক্রীড়া, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়, শ্রম ও কর্মসংস্থানের অফিস। দমকল সূত্রে খবর, সচিবালয়ের ওই ভবনে আগুন লাগায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয় তলা। সেখানে থাকা বিভিন্ন নথিপত্র পুড়ে গিয়েছে বলে অনুমান।

    আরও পড়ুন: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    স্থানীয় সরকার (Bangladesh Secretariat Fire), পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রকের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভুঁইয়ার অভিযোগ, ঘটনাটি নাশকতার। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, “আমাদের ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে, তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।” তিনি আরও লিখেছেন, “স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বিগত সময়ে হওয়া অর্থ লোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমা্ণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে (Md Yunus), তা এখনও জানা যায়নি (Bangladesh Secretariat Fire)।”

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Conjunctivitis: শীতে বাড়ছে ভোগান্তি! কনজাংটিভাইটিসের আক্রমণ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    Conjunctivitis: শীতে বাড়ছে ভোগান্তি! কনজাংটিভাইটিসের আক্রমণ থেকে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুমে সেজেছে শহর থেকে জেলা! বছর শেষের উদযাপনে মেতেছেন আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ! কিন্তু তার মধ্যেই ভোগান্তি বাড়াচ্ছে নানান রোগ। সর্দি-কাশি কিংবা নানান ভাইরাস ঘটিত জ্বরের পাশপাশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কনজাংটিভাইটিসের (Conjunctivitis) মতো সমস্যা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শেষ এক সপ্তাহে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কনজাংটিভাইটিস কী? শীতে কেন এই রোগ বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কনজাংটিভাইটিস হল এক ধরনের চোখের সংক্রমণ (Eye infections)। এর ফলে চোখ ফুলে যায়। লাল হয়ে যায়। আবার চোখ থেকে লাগাতার জল পড়ে। অনেক সময় দেখতেও কষ্ট‌ হয়। চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তার অন্যতম কারণ, এই আবহাওয়ায় বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে, চোখের সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। তাছাড়া এই আবহাওয়ায় বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়। তার ফলেও সংক্রমণের ঝুঁকি এই সময়ে অনেকটাই বেড়ে যায়। এখন জেনে নিন, কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবেন?

    নিয়মিত রোদচশমার ব্যবহার জরুরি (Conjunctivitis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোদচশমার ব্যবহার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে গেলেই রোদচশমা বা সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। এমন সানগ্লাস পরতে হবে, যাতে চোখ ভালোভাবে ঢেকে থাকে। ধূলো না লাগে। হাওয়া লাগার ঝুঁকিও কম হয়। তবেই চোখের সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

    বাইরে থেকে ফিরেই চোখ ধুয়ে ফেলুন

    চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চোখ নিয়মিত পরিশ্রুত জলে পরিষ্কার করা দরকার। নিয়মিত চোখ পরিষ্কার করলে যে কোনও জীবাণু সংক্রমণের (Conjunctivitis) ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে বাইরে থেকে বাড়িতে ফেরার পরে চোখ পরিষ্কার করা জরুরি।

    চোখে হাত একদম নয় (Conjunctivitis)

    চোখে হাত দিয়ে চুলকানো একদম অস্বাস্থ্যকর বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই হাত থেকে নানান সংক্রমণ ছড়ায়। তাই হাত দিয়ে চোখ চুলকানো একেবারেই উচিত নয়। চোখে অস্বস্তি হলে বারবার জল দিয়ে পরিষ্কার করা দরকার। এছাড়া পরিষ্কার তুলো এবং গরম জল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা দরকার। এতে সংক্রমণ হলেও প্রকোপ বেশি হবে না।

    ভিড় এড়িয়ে চলুন

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ভিড় এড়িয়ে চলুন। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও সংক্রামক রোগ (Conjunctivitis) ভিড়ে বেশি ছড়ায়। কনজাংটিভাইটিস একটি সংক্রামক রোগ। এই জীবাণু ভিড়ে আরও নিজের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সংক্রমণ বাড়ায়‌। তাই চোখ লাল হয়ে গেলে, বারবার অস্বস্তি হলে কিংবা চোখ থেকে লাগাতার জল পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে নিজের ভোগান্তি কমবে। আবার অন্যের সংক্রমণের (Eye infections) ঝুঁকিও কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Veer Bal Diwas: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    Veer Bal Diwas: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালন করেন খ্রিস্টানরা। এই সময় বীর শহিদদের স্মরণ করেন পঞ্জাবিয়াত ও শিখ পন্থ অনুসরণকারীরা (Veer Bal Diwas)। ১৭০৪ সালের ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শহিদ হন চার সাহিবজাদে অজিত সিংজি, জুজহার সিংজি, জোরাওয়ার সিংজি এবং ফতেহ সিংজি। এই চারজন হলেন দশম শিখ গুরু গুরু গোবিন্দ সিংহের চার ছেলে (The Unforgettable Sacrifice)। স্নেহভরে তাঁদের সাহিবজাদে বলে ডাকা হয়।

    অসীম বীরত্ব গাথা (Veer Bal Diwas)

    এই সপ্তাহটা শিখেরা সাহিবজাদের অসীম বীরত্বের কথা স্মরণ করেন। সাহিবজাদে বলতে বোঝায় ভদ্র ও উজ্জ্বল বংশোদ্ভূত তরুণদের। ১৭০৪ সালের ২০ ডিসেম্বরের শীতের রাতে, গুরু গোবিন্দ সিংজি, তাঁর স্ত্রী মাতাজিতোজি, তাঁদের চার পুত্র, পঞ্চ পিয়ারে এবং পন্থ অনুসরণকারী বেশ কয়েকজন যোদ্ধা আনন্দপুর সাহিব দুর্গ ত্যাগ করেন। মুঘল ও পাহাড়ি রাজা তাদের নিজ নিজ ধর্মে পবিত্র কোরআন এবং গরুকে সাক্ষী রেখে শপথ করেছিল যে তারা দুর্গ আক্রমণ করবে না। তবে ২০-২১ ডিসেম্বরের রাতে, মুঘলরা তাদের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে। আনন্দপুর সাহিব থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সরসা নদীর তীরের একটি জায়গায় মুঘলরা গুরু গোবিন্দ সিংজি ও তাঁর দলের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণের জায়গাটি “পরিবার বিচোরা” নামে পরিচিত। এর স্মরণে নির্মিত গুরুদ্বারকে “গুরুদ্বার পরিবার বিচোরা সাহিব” বলা হয়। এই আক্রমণের ফলে গুরুর পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গুরু গোবিন্দি সিংজির ভাই মণি সিং দিল্লির দিকে যাত্রা করেন।

    শহিদ দুই সাহিবজাদে

    ডিসেম্বর ২১ তারিখ বিকেলে, গুরু গোবিন্দ সিংজি দুই জ্যেষ্ঠ সাহিবজাদে, পাঁচজন পাঞ্জ পিয়ারা এবং চল্লিশজন যোদ্ধাকে নিয়ে শিখ পন্থ অনুসরণ করে চমকৌর যাত্রা করেন। ডিসেম্বর ২২ তারিখে, খালসা ও জ্যেষ্ঠ সাহিবজাদারা, যারা বড় সাহিবজাদে নামে পরিচিত – মাত্র ১৮ এবং ১৪ বছর বয়সে বিশাল মুঘল সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শহিদ হন। এই যুদ্ধ ইতিহাসে চমকৌরের যুদ্ধ বা চমকৌর সাহিবের যুদ্ধ নামে পরিচিত (The Unforgettable Sacrifice)। পন্থ অনুসরণকারী ৪০ জন যোদ্ধা এবং তিনজন পাঞ্জ পিয়ারা দশ হাজার মুঘল সৈন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে জীবন দেন (Veer Bal Diwas)। গুরু গোবিন্দ সিংয়ের মতো আর এক সদস্য সংঘত সিং, গুরুর মতো পোশাক পরেন ও সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। আলোচনার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, যোদ্ধারা বিপুল মুঘল সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন, যা গুরুকে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। পরদিন সকালে শেষ যোদ্ধারা মুঘল সৈন্যদের হাতে নিহত হন। সংঘর্ষ চলাকালীন গুরু গোবিন্দ সিংয়ের দুই কনিষ্ঠ পুত্র বাবা জোরাওয়ার সিং ও ফতেহ সিং এবং তাঁদের ঠাকুরমা, মাতাজি গুজরি, অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

    আরও পড়ুন: ভারতে আসতে মুখিয়ে ওলি, ‘পাত্তা’ই দিচ্ছে না দিল্লি, কেন জানেন?

    ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করার পরিণাম

    বাবা জোরাওয়ার সিং, বাবা ফতেহ সিং এবং তাদের ঠাকুমা ১৭০৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সকালে মরিন্দার কর্মচারী জনি খান এবং মণি খান রঙ্গরের দ্বারা আটক হন। পরের দিন তাদের সিরহিন্দে পাঠানো হয়, যেখানে তাদের দুর্গের ঠান্ডা টাওয়ারে রাখা হয়। এই স্থানের স্মৃতিতে বিখ্যাত গুরুদ্বার ফতেহগড় সাহিব গড়ে উঠেছে। ১৭০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর, চমকৌর থেকে ফিরে আসা ফৌজদার নবাব ওয়াজির খান ও তার সামন্ত মিত্র মালেরকোটলার নবাব শের মুহাম্মদ খান, বাবা জোরাওয়ার সিংজি এবং বাবা ফতেহ সিংজিকে তাদের সামনে হাজির করেন। ওয়াজির খান তাঁদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি (Veer Bal Diwas) করানোর জন্য সম্পদ ও সম্মানের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সাহিবজাদারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

    প্রাণনাশের হুমকিতেও অটল

    তিনি তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। তবুও তাঁরা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। শেষমেশ এই দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। শের মুহাম্মদ নিরপরাধ শিশুদের জীবন রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করার পর, সাহিবজাদাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। তীব্র শীতের (The Unforgettable Sacrifice) মধ্যে, সাহিবজাদা জোরাওয়ার সিং এবং তার ভাই তাদের বৃদ্ধ ঠাকুমার কোলে ঠান্ডা টাওয়ারে অতিরিক্ত দুদিন কাটান। তা সত্ত্বেও দুই সাহিবজাদা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। খালসা পন্থের প্রতি অটল ও বিশ্বস্ত থেকে যান। এরপর ওয়াজির খান তাঁদের চারপাশে ইটের প্রাচীর নির্মাণের নির্দেশ দেন। জীবন্ত সমাধিস্থ হয়ে শহিদ হন দুই সাহিবজাদা।

    মারা যান মাতাজি গুজর কৌরও

    পরে যখন মাতাজি গুজর কৌর জানতে পারেন যে তাঁর ছোট দুই নাতি শহিদ হয়েছেন, শোক সহ্য করতে না পেরে সেদিনই তিনি মারা যান। ১৭০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর, সিরহিন্দের মাটিতে এই ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয়। “ছোটে সাহিবজাদে”, যাদের বয়স ছিল মাত্র ৬ এবং ৯ বছর, সিরহিন্দে মুঘলদের দ্বারা নিহত হন। ফতেহগড় সাহিব, পঞ্জাব, ভারতের এই স্থানের নাম দেওয়া হয়েছে জ্যোতি স্বরূপ গুরুদ্বার সাহিব। প্রতি বছর ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর, ফতেহগড় সাহিব গুরুদ্বারে এই শহিদদের স্মরণে শাহিদি জোড় মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটি তরুণ সাহিবজাদাদের (Veer Bal Diwas) সাহস, বীরত্ব এবং আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তার পর থেকে এই দিনটি পালিত হয় বীর বাল দিবস হিসেবে। সপ্তাহব্যাপী স্মরণ করা হয় এই তরুণ বীরদের (The Unforgettable Sacrifice)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share