Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 232: “বায়ুতে সুগন্ধ দুর্গন্ধ সবরকমই থাকে, কিন্তু বায়ু নিজে নির্লিপ্ত…সৃষ্টিই এইরকম; ভালমন্দ, সদসৎ”

    Ramakrishna 232: “বায়ুতে সুগন্ধ দুর্গন্ধ সবরকমই থাকে, কিন্তু বায়ু নিজে নির্লিপ্ত…সৃষ্টিই এইরকম; ভালমন্দ, সদসৎ”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই জুন

    দক্ষিণেশ্বরে দশহরাদিবসে গৃহস্থাশ্রমকথা-প্রসঙ্গে

    রাখাল, অধর, মাস্টার, রাখালের বাপ, বাপের শ্বশুর প্রভৃতি 

    একজন ভক্ত—ঈশ্বর (Ramakrishna) যদি সবই করছেন, তবে ভালমন্দ, পাপ-পুণ্য—এ-সব বলে কেন? পাপও তাহলে তাঁর ইচ্ছা?

    রাখালের বাপের শ্বশুর—তাঁর ইচ্ছা আমরা কি করে বুঝব?

    “Thou Great First Cause least understood”— Pope.

    শ্রীরামকৃষ্ণ—পাপ-পুণ্য আছে, কিন্তু তিনি নিজে নির্লিপ্ত। বায়ুতে সুগন্ধ দুর্গন্ধ সবরকমই থাকে, কিন্তু বায়ু নিজে নির্লিপ্ত। তাঁর সৃষ্টিই এইরকম; ভালমন্দ, সদসৎ; যেমন গাছের মধ্যে কোনটা আমগাছ, কোনটা কাঁঠালগাছ, কোনটা আমরাগাছ। দেখ না দুষ্ট লোকেরও প্রয়োজন আছে। যে-তালুকের প্রজারা দুর্দান্ত, সে-তালুকে একটা দুষ্ট লোককে পাঠাতে হয়, তবে তালুকের শাসন হয়।

    আবার গৃহস্থাশ্রমের (Kathamrita) কথা পড়িল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—কি জানো, সংসার করলে মনের বাজে খরচ হয়ে পড়ে। এই বাজে খরচ হওয়ার দরুন মনের যা ক্ষতি হয়, সে ক্ষতি আবার পূরণ হয়, যদি কেউ সন্ন্যাস করে। বাপ প্রথম জন্ম দেন, তারপরে দ্বিতীয় জন্ম উপনয়নের সময়। আর-একবার জন্ম হয় সন্ন্যাসের সময়। কামিনী ও কাঞ্চন এই দুটি বিঘ্ন। মেয়েমানুষে আসক্তি ঈশ্বরের পথ থেকে বিমুখ করে দেয়। কিসে পতন হয়, পুরুষ জানতে পারে না। যখন কেল্লায় যাচ্ছি, একটুও বুঝতে পারি নাই যে, গড়ানে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। কেল্লার ভিতর গাড়ি পৌঁছুলে দেখতে পেলুম, কত নিচে এসেছি। আহা, পুরুষদের বুঝতে দেয় না! কাপ্তেন বলে, আমার স্ত্রী জ্ঞানী! ভূতে যাকে পায়, সে জানে না যে, ভূতে পেয়েছে! সে বলে, বেশ আছি! (সকলে নিস্তব্ধ)

    “সংসারে শুধু যে কামের ভয়, তা নয়। আবার ক্রোধ আছে। কামনার পথে কাঁটা পড়লেই ক্রোধ।”

    “মাস্টার—আমার পাতের কাছে বেড়াল নুলো বাড়িয়ে মাছ নিতে আসে, আমি কিছু বলতে পারি না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কেন! একবার মারলেই বা, তাতে দোষ কি? সংসারী ফোঁস করবে! বিষ ঢালা উচিত নয়। কাজে কারু অনিষ্ট যেন না করে। কিন্তু শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য ক্রোধের আকার দেখাতে হয়। না হলে শত্রুরা এসে অনিষ্ট করবে। ত্যাগির ফোঁসের দরকার নাই।

    একজন ভক্ত—মহাশয়, সংসারে তাঁকে পাওয়া বড়ই কঠিন দেখছি। কটা লোক এরকম হতে পারে? কি! দেখতে তো পাই না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—কেন হবে না? ও-দেশে শুনেছি, একজন ডেপুটি, খুব লোক—প্রতাপ সিং; দান-ধ্যান, ঈশ্বরে ভক্তি, অনেক গুণ আছে। আমাকে লতে পাঠিয়েছিল (Kathamrita)। এইরকম লোক আছে বইকি।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 231: “তেঁতুল মনে করলে মুখে জল সরে, পুরুষের পক্ষে স্ত্রীলোক আচার তেঁতুলের মতো”

    Ramakrishna 231: “তেঁতুল মনে করলে মুখে জল সরে, পুরুষের পক্ষে স্ত্রীলোক আচার তেঁতুলের মতো”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৫ই জুন

    দক্ষিণেশ্বরে দশহরাদিবসে গৃহস্থাশ্রমকথা-প্রসঙ্গে

    রাখাল, অধর, মাস্টার, রাখালের বাপ, বাপের শ্বশুর প্রভৃতি 

    আজ দশহরা (২রা আষাঢ়), জৈষ্ঠ শুক্লা দশমী, শুক্রবার, ১৫ই জুন, ১৮৮৩। ভক্তেরা শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) দর্শন করিতে দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে আসিয়াছেন। অধর, মাস্টার দশহরা উপলক্ষে ছুটি পাইয়াছেন।

    রাখালের বাপ ও তাঁহার শ্বশুর আসিয়াছেন। বাপ দ্বিতীয় সংসার করিয়াছিলেন। ঠাকুরের নাম শ্বশুর অনেকদিন হইতে শুনিয়াছেন। তিনি সাধক লোক, শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন করিতে আসিয়াছেন। ঠাকুর আহারান্তে ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন। রাখালের বাপের শ্বশুরকে এক-একবার দেখিতেছেন (Kathamrita)। ভক্তেরা মেঝেতে বসিয়া আছেন।

    শ্বশুর—মহাশয়, গৃহস্থাশ্রমে কি ভগবান লাভ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—কেন হবে না? পাঁকাল মাছের মতো থাক। সে পাঁকে থাকে, কিন্তু গায়ে পাঁক নাই। আর ঘুষকীর মতো থাক। সে ঘরে-কন্নার সব কাজ করে কিন্তু  মন উপপতির উপর পড়ে থাকে। ঈশ্বরের (Ramakrishna) উপর মন ফেলে রেখে সংসারের কাজ সব কর। কিন্তু বড় কঠিন। আমি ব্রহ্মজ্ঞানীদের বলেছিলুম, যে-ঘরে আচার তেঁতুল আর জলের জালা সেই ঘরেই বিকারের রোগী! কেমন করে রোগ সারবে? আচার তেঁতুল মনে করলে মুখে জল সরে। পুরুষের পক্ষে স্ত্রীলোক আচার তেঁতুলের মতো। আর বিষয় তৃষ্ণা সর্বদাই লেগে আছে; ওইটি জলের জালা। এ তৃষ্ণার শেষ নাই। বিকারের রোগী বলে, এক জালা জল খাব! বড় কঠিন। সংসারে নানা গোল। এদিকে যাবি, কোঁস্তা ফেলে মারব; ওদিকে যাবি, ঝাঁটা ফেলে মারব; এদিকে যাবি জুতো ফেলে মারব। আর নির্জন না হলে ভগবানচিন্তা হয় না। সোনা গলিয়ে গয়না গড়ব তা যদি গলাবার সময় পাঁচবার ডাকে, তাহলে সোনা গলানো কেমন করে হয়? চাল কাঁড়ছ একলা বসে কাঁড়তে হয়। এক-একবার চাল হাত করে তুলে দেখতে হয়, কেমন সাফ হল। কাঁড়তে কাঁড়তে যদি পাঁচবার ডাকবে, ভাল কাঁড়া কেমন করে হয়?

    উপায়—তীব্র বৈরাগ্য; পূর্বকথা—গঙ্গাপ্রসাদের সহিত দেখা 

    একজন ভক্ত—মহাশয়, এখন উপায় কি?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আছে। যদি তীব্র বৈরাগ্য হয়, তাহলে হয়। যা মিথ্যা বলে জানছি, রোখ করে তৎক্ষণাৎ ত্যাগ কর। যখন আমার ভারী ব্যামো, গঙ্গাপ্রসাদ সেনের কাছে লয়ে গেল। গঙ্গাপ্রসাদ বললে, স্বর্ণপটপটি খেতে হবে, কিন্তু জল খেতে পাবে না; বেদানার রস খেতে পার। সকলে মনে করলে, জল না খেয়ে কেমন করে আমি থাকব। আমি রোখ কল্লুম আর জল খাব না। ‘পরমহংস’! আমি তো পাতিহাঁস নই—রাজহাঁস! দুধ খাব।

    “কিছুদিন নির্জনে থাকতে হয়। বুড়ী ছুঁয়ে ফেললে আর ভয় নাই। সোনা হলে তারপরে যেখানেই থাক। নির্জনে থেকে যদি ভক্তিলাভ (Kathamrita) হয়, যদি ভগবানলাভ হয়, তাহলে সংসারেও থাকা যায়। (রাখালের বাপের প্রতি) তাই তো ছোকরাদের থাকতে বলি। কেননা, এখানে দিন কতক থাকলে ভগবানে ভক্তি হবে। তখন বেশ সংসারে গিয়ে থাকতে পারবে।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Human Trafficking: ভিসা ছাড়াই বেআইনি ভাবে কানাডা হয়ে আমেরিকায় মানুষ পাঠানোর বড় চক্রের হদিশ ইডির

    Human Trafficking: ভিসা ছাড়াই বেআইনি ভাবে কানাডা হয়ে আমেরিকায় মানুষ পাঠানোর বড় চক্রের হদিশ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিসা ছাড়াই বেআইনি ভাবে ভারতীয়দের (Human Trafficking) কানাডা হয়ে আমেরিকায় পাঠানোর কাজে জড়িত একটি চক্র নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি)। এই চক্রের সঙ্গে শুধুমাত্র এদেশেই ৩৫০০ এজেন্ট এই বেআইনী কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই হল গুজরাতের লোক। এতে বিপুল পরিমাণে আর্থিক দুর্নীতির কথাও তদন্তে উঠে এসেছে। এই অবৈধ ভাবে লোক পাঠানোর তদন্তে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। আসুন একবার জেনে নিই।

    আমেরিকায় প্রবেশ করাতে ৫৫-৬০ লাখ টাকা নেয়া হতো (Human Trafficking)

    এক এক জনকে অবৈধ (Human Trafficking) ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করাতে ৫৫-৬০ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা। কানাডা সীমান্ত হয়ে ভারতীয়দের অবৈধ ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করানোর চক্রের তথ্য আগেও অনেকবার উঠে এসেছে। এবার ইডি জানিয়েছে, “এই চক্রের সঙ্গে কানাডার কিছু কলেজ এবং ভারতের বেশ কয়েকটি সংস্থা জড়িত রয়েছে। যাদের অবৈধ ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করানো হতো, তাদের আগেই কানাডার কলেজে ভর্তি করে দেওয়া হতো। কানাডার ১১২টি কলেজ এবং আরও ১৫০টি আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে পাচার চক্রকে শক্তপোক্ত করা হয়েছে। তাদের জন্য কানাডার ভিসার ব্যবস্থাও করা হতো। ইতিমধ্যে মুম্বই, নাগপুর, গান্ধীনগর এবং ভদোদরার আটটি জায়গায় হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। তাতে মুম্বইয়ের দু’টি সংস্থা এবং নাগপুরের একটি সংস্থার এই অবৈধ চক্রের সঙ্গে যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এখনও পর্যন্ত ১৭০০ জন এজেন্ট শুধু গুজরাটে রয়েছে। 

    আরও পড়ুনঃ বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    কানাডা-আমেরিকা সীমান্তে চার ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছিল

    ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি কানাডা-আমেরিকা সীমান্তে চার ভারতীয়ের মৃত্যু (Human Trafficking) হয়। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। বাড়ি ছিল গুজরাতের একটি গ্রামে। অবৈধ ভাবে কানাডার সীমান্ত পার করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছিল। মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছিল ভবেশ অশোকভাই পাটেলের নাম। আমেদাবাদ পুলিশের দায়ের করা মামলার ভিত্ততে তদন্তে নামে ইডি। এই ঘটনার সঙ্গে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির মামলার প্রেক্ষিতে আসরে নেমে তদন্তের কাজ শুরু করেছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cough and cold: শহর জুড়ে সর্দি-কাশির দাপট! নাজেহাল আট থেকে আশি! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    Cough and cold: শহর জুড়ে সর্দি-কাশির দাপট! নাজেহাল আট থেকে আশি! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা লেগেই আছে। কখনও রাতের দিকে বাড়ছে তাপমাত্রা, আবার কখনও ভোরে শীতের আমেজে মুড়ে যাচ্ছে আশপাশ। আর তার মাঝেই ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি।শিশু থেকে বয়স্ক, অধিকাংশ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সর্দি-কাশি (Cough and cold)। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশে এই কাশির দাপট আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক সপ্তাহে কাশির ভোগান্তি বেড়েছে। ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগ শিশু এবং প্রবীণ নাগরিক।

    কেন বাড়ছে কাশির দাপট? (Cough and cold)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার খামখেয়ালির জন্যই সর্দি-কাশির দাপট বেড়েছে। কখনও গরম আবার কখনও ঠান্ডা, আবহাওয়ার এই রকমফেরে বাতাসে নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ে। এর ফলে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে কাশির ভোগান্তি বাড়ে। তাছাড়া, এই সময়ে বাতাসে ধুলিকণার পরিমাণ বাড়ে। তাই কাশির সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাশি আসলে অ্যালার্জির প্রকাশ। শ্বাসনালীতে যে কোনও রকম সংক্রমণ কিংবা অ্যালার্জি হলে কাশি হয়। এই সময়ে আবহাওয়ার বারবার পরিবর্তনের জেরেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এখন দেখা যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান উপশম করবে?

    লেবু এবং কিউই জাতীয় ফল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি যথেষ্ট থাকলে বিভিন্ন ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় নিয়মিত লেবু এবং কিউই জাতীয় ফল খাওয়া জরুরি। এই দুই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই নিয়মিত এই দুই ফল খেলে কাশির (Cough and cold) ভোগান্তিও কমবে।

    রান্নায় আদা

    রান্নায় আদার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালীর সংক্রমণ কমাতে (Suffering) আদা খুবই উপকারী। কাশির অন্যতম কারণ শ্বাসনালীর সংক্রমণ। তাই এই সময়ে নিয়মিত আদা খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে।

    এলাচ ও লবঙ্গ (Cough and cold)

    এলাচ এবং লবঙ্গের মতো মশলা নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার করলে কাশির উপশম হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাচ এবং লবঙ্গ, এই দুই মশলা ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারি। ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় এই মশলা। তাই এই সময়ে এই দুই মশলা রান্নায় থাকলে নানান ভাইরাস ঘটিত রোগের ঝুঁকি কমবে। কাশির দাপট ও কমবে। 
    সকালে এক চামচ মধু নিয়ম করে খেলে কাশির ভোগান্তি অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশির দাপট কমাতে ও এই আবহাওয়ায় শরীরকে সুস্থ রাখতে মধু বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মধু খেলে শরীর সুস্থ থাকে।

    তুলসী পাতা

    কাশির দাপট কমাতে বিশেষ সাহায্য করে তুলসী পাতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তুলসী পাতায় রয়েছে একাধিক উপাদান। তুলসী পাতা খেলে শরীরের একাধিক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্তি ঘটে‌। তাই কাশি-সর্দির (Cough and cold) বিরুদ্ধে মোকাবিলা ও সহজ হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Alam: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি টাইকুন এস আলমের?

    S Alam: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি টাইকুন এস আলমের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি টাইকুন। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর সম্পদ। নষ্টও করা হয়েছে বর্তমানে সিঙ্গাপুরবাসী এই ব্যবসায়ীর (Bangladesh) সম্পত্তি। এসব ফেরত না দিলে আন্তর্জাতিকভাবে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এস আলম (S Alam) নামের ওই ব্যবসায়ী। সম্পদ ও বিনিয়োগ নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ছ’মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলম।

    আন্তর্জাতিক সালিসি

    এই সময়ের মধ্যে বিষয়টির নিষ্পত্তি না হলে আন্তর্জাতিক সালিসিতে যাবেন তিনি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারে তাঁর সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে বলে দাবি আলমের। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ও একাধিক উপদেষ্টার কাছে বিরোধ নিষ্পত্তির নোটিশ পাঠিয়েছেন এস আলম। সেই নোটিশেই বেঁধে দেওয়া হয়েছে ছ’মাস। আওয়ামি লিগ সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গিয়েছে বলে দাবি ইউনূস সরকারের।

    কী বলা হয়েছে নোটিশে

    নোটিশে বলা হয়েছে, এই ক্ষতি আদায়ে সাইফুল আলম আন্তর্জাতিক আইনি প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ২০০৪ সালের দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে। ১৮ ডিসেম্বর জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে, এস আলমের পরিবার ২০১১ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ২০২০ সালে তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মার্কিন আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল অ্যান্ড সুলিভানের আইনজীবীরা এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকাণ্ড ও অবহেলার কারণে বিনিয়োগকারীদের অর্থাৎ এস আলম গ্রুপের বিনিয়োগ ও সম্পদমূল্য সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

    বিনিয়োগ চুক্তি

    বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনকালে সরকার প্রধানের ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। এর মধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম একাই দেশের বাইরে পাচার করেছেন হাজার কোটি মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ব্যাঙ্ক ডাকাতির এটাই সব চেয়ে বড় ঘটনা।” তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এস আলম গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।” অন্যদিকে সাইফুল (Bangladesh) বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এস আলম গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে ভীতি প্রদর্শনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চুক্তির প্রেক্ষিতে তাঁর সুরক্ষা প্রাপ্য।”

    কোটি কোটি টাকা পাচার!

    বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বক্তব্য, বিষয়গুলি তদন্তাধীন। তাই এ ব্যাপারে তারা কোনও মন্তব্য করবে না। হাসিনা সরকারের আমলে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ ইউনূস প্রশাসনের। প্রশ্ন হল, শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন যদি তিনি বিদেশে টাকা পাচার করেন, তাহলে তখন কেন কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা কিংবা বিরোধীরা এই অভিযোগ তোলেননি? প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর হাসিনার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে এভাবে জনমানসে হাসিনার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে চাইছেন হাসিনা বিরোধীরা।

    শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ

    বাংলাদেশে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছিল ইউনূসের বিরুদ্ধে। তিনি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান। ইউনূস-সহ চারজনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই সময় বাংলাদেশের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেছিলেন, “সাক্ষ্যপ্রমাণে ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। ফলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলেই আশা করছি।”

    আরও পড়ুন: বসের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান। মামলার নথি অনুসারে, আইএফডি কর্তারা ২০২১ সালের ১৬ অগাস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশ কিছু ত্রুটি খুঁজে পান। সেই বছরেরই ১৯ অগাস্ট গ্রামীণ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি। কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনও গঠন করা হয়নি। কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল, তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ (Bangladesh) করা হয়নি।

    সেই ইউনূসই বাজেয়াপ্ত করছেন অন্য ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি (S Alam)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 230: “মন যখন চতুর্থভূমিতে উঠে অনাহত পদ্মে, জীবাত্মাকে তখন শিখার ন্যায় দর্শন হয়”

    Ramakrishna 230: “মন যখন চতুর্থভূমিতে উঠে অনাহত পদ্মে, জীবাত্মাকে তখন শিখার ন্যায় দর্শন হয়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১০ই জুন

    বেলঘরের ভক্তকে শিক্ষা—ব্যাকুল হয়ে আর্জি কর—ঠিক ভক্তের লক্ষণ

    “তোমরা এত কষ্ট করে এখানে এসেছ, তোমরা ঈশ্বরকে (Ramakrishna) খুঁজে বেড়াচ্ছ। সব লোক বাগান দেখেই সন্তুষ্ট, বাগানের কর্তার অনুসন্ধান করে দু-একজন। জগতের সৌন্দর্যই দেখে, কর্তাকে খোঁজে না।”

    হঠযোগ, রাজযোগ ও বেলঘরের ভক্ত—ষড়চক্র ভেদ ও সমাধি 

    (গায়ককে দেখাইয়া)—ইনি ষড়চক্রের গান গাইলেন। সে-সব যোগের কথা। হঠযোগ আর রাজযোগ। হঠযোগী শরীরের কতকগুলো কসরৎ করে; উদ্দেশ্য—সিদ্ধাই, দীর্ঘ আয়ু হবে, অষ্টসিদ্ধি হবে; এই সব উদ্দেশ্য। রাজযোগের উদ্দেশ্য—ভক্তি, প্রেম, জ্ঞান, বৈরাগ্য। রাজযোগই ভাল।

    “বেদান্তের সপ্তভূমি, আর যোগশাস্ত্রের ষড়চক্র অনেক মেলে। বেদের প্রথম তিনভূমি, আর ওদের মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর। এই তিন ভূমিতে গুহ্য, লিঙ্গ, নাভির মনের বাস। মন যখন চতুর্থভূমিতে উঠে অর্থাৎ অনাহত পদ্মে, জীবাত্মাকে তখন শিখার ন্যায় দর্শন হয়, আর জ্যোতিঃদর্শন হয়। সাধক বলে, ‘এ কি! এ কি!’

    “পঞ্চভূমিতে মন উঠলে, কেবল ঈশ্বরের (Ramakrishna) কথাই শুনতে ইচ্ছা হয়। এখানে বিশুদ্ধচক্র। ষষ্ঠভূমি আর আজ্ঞাচক্র এক। সেখানে মন গেলে ঈশ্বরদর্শন হয়। কিন্তু যেমন লণ্ঠনের ভিতর আলো—ছুঁতে পারে না, মাঝে কাচ ব্যবধান আছে বলে।

    “জনক রাজা পঞ্চভূমি থেকে ব্রহ্মজ্ঞানের উপদেশ দিতেন। তিনি কখনও পঞ্চমভূমি, কখনও ষষ্ঠভূমিতে থাকতেন।

    “ষড়চক্র ভেদের পর সপ্তমভূমি। মন সেখানে গেলে মনের লয় হয়। জীবাত্মা পরমাত্মা (Kathamrita) এক হয়ে যায়—সমাধি হয়। দেহবুদ্ধি চলে যায়, বাহ্যশূন্য হয়; নানা জ্ঞান চলে যায়; বিচার বন্ধ হয়ে যায়।

    “ত্রৈলঙ্গ স্বামী বলেছিল, বিচারে অনেক বোধ হচ্ছে; নানা বোধ হচ্ছে। সমাধির পর শেষে একুশদিনে মৃত্যু হয়।

    “কিন্তু কুলকুণ্ডলিনী জাগরণ না হলে চৈতন্য হয় না!”

    ঈশ্বরদর্শনের লক্ষণ 

    “যে ঈশ্বরলাভ (Kathamrita)  করেছে, তার লক্ষণ আছে। সে হয়ে যায়—বালকবৎ, উন্মাদবৎ, জড়বৎ, পিশাচবৎ। আর তার ঠিক বোধ হয় ‘আমি যন্ত্র আর তিনি যন্ত্রী; তিনিই কর্তা, আর সকলেই অকর্তা।’ শিখরা যেমন বলেছিল, পাতাটি নড়ছে সেও ঈশ্বরের ইচ্ছা। রামের ইচ্ছাতেই সব হচ্ছে—এই বোধ। তাঁতী যেমন বলেছিল, রামের ইচ্ছাতেই কাপড়ের দাম এক টাকা ছয় আনা, রামের ইচ্ছাতেই ডাকাতি হল; রামের ইচ্ছাতেই ডাকাত ধরা পড়ল। রামের ইচ্ছাতেই আমাকে পুলিশে নিয়ে গেল, আবার রামের ইচ্ছাতেই আমাকে ছেড়ে দিল।”

    সন্ধ্যা আগত প্রায়। ঠাকুর একবারও বিশ্রাম করেন নাই। ভক্তসঙ্গে অবিশ্রান্ত হরিকথা হইতেছে। এইবার মণিরামপুর ও বেলঘরের ভক্তেরা ও অন্যান্য ভক্তেরা তাঁহাকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিয়া, ঠাকুরবাড়িতে (Ramakrishna)  ঠাকুরদের দর্শন করিয়া নিজ নিজ স্থানে প্রত্যাগমন করিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ২০৪০ সালের মধ্যেই চাঁদে ভারতীয় নভোচারীকে অবতরণ করাবে ইসরো!

    ISRO: ২০৪০ সালের মধ্যেই চাঁদে ভারতীয় নভোচারীকে অবতরণ করাবে ইসরো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO)-এর চেয়ারম্যান এস সোমানাথের (S Somanath) মতে, “ভারত একটি উচ্চাকাঙ্খী মহাকাশ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে। যার লক্ষ্য হল ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে একজন নভোচারীকে অবতরণ কারনো।” উল্লেখ্য, ভারতই একমাত্র দেশ যা চন্দ্রযান ৩কে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে ল্যান্ডিং করাতে পেরেছে। অত্যন্ত কম খরচে এই অভিযান চালিয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ইসরো।

    দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গিতে বাজেট অনুমোদন মোদির (ISRO)

    ইসরো কর্ণধারের এই ঘোষণায় যারপরনাই খুশি বিভিন্ন মহল। ভারতের মহাকাশ সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এবং অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য চলতি বছরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ইসরো (ISRO)-র প্রকল্পের জন্য ৩১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন করেছে। ফলে আগামী ২৫ বছর ধরে দেশের মহাকাশ প্রচেষ্টার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গির রোডম্যাপকে বাস্তবায়নের কাজ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ হিন্দুরা চলে যাচ্ছেন, মিনি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে আলিগড়ের বানিয়াপাড়া!

    ২৫ বছরের জন্য একটি রোড ম্যাপের পরিকল্পনা

    ইসরো (ISRO) প্রধান সোমনাথ (S Somanath) একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আমরা যে মিশনগুলি সম্পন্ন করেছি তাতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির রোডম্যাপ বিরাট সহযোগী হয়েছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই বছরটি আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত বছর ছিল। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মহাকাশ কর্মসূচির বিষয়ে আমাদের আগামী ২৫ বছরের জন্য একটি রোড ম্যাপ পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। এই রোডম্যাপের অংশ হিসাবে, ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে তার নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন স্থাপন করবে। এর একটি পর্যায় সম্পন্ন করে করা হবে ২০২৮ সালের মধ্যে একটি স্পেস স্টেশন মডিউল চালু করার মাধ্যমে। আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ রূপে অপারেশনের মঞ্চ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গির যদি চূড়ান্ত পরিণতি হয় তাহলে ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে সফল ভাবে অবতরণ করানো যাবে।”

    ২৫০টির বেশি মহাকাশ স্টার্টআপ কাজ করছে

    ইসরো (ISRO) প্রধান সোমনাথ (S Somanath) আরও বলেন, “যখন আমরা দেশের স্বাধীনতার শততম বর্ষ উদযাপন করব, তখন একটি ভারতীয় পতাকা চাঁদে উড়বে এবং সেই সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষও চাঁদে পৌঁছে যাবেন। একই ভাবে তাঁকে নিরাপদে আবার দেশের মাটিতে ফিরিয়েও আনাও হবে, আর এটাই আমাদের বিরাট কর্মযজ্ঞ হবে। তাই আমাদের লক্ষ্য হল ২০৪০ সাল। আগামী দিনে চন্দ্রযান ৪-সহ একাধিক প্রস্তুতিমূলক মিশন পরিচালিত হবে ইসরোর তরফ থেকে। স্পেস প্রোগ্রামে বৈজ্ঞানিক সাফল্য ব্যাপক ভাবে এসেছে। ২৫০টির বেশি মহাকাশ স্টার্টআপগুলি বর্তমানে উদ্ভাবনী শক্তির জোগানে কাজ করছে। ইতিমধ্যে অগ্নিকুল কসমস একটি তরল-চালিত সাব-অরবিটাল রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। মহাকাশে ব্যয় করা প্রতি টাকার খরচ বাড়িয়ে ২.৫২ টাকা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • History Of Christmas: যীশুর জন্মের আগে থেকেই ক্রিসমাস পালনের রীতি ছিল ইউরোপে!

    History Of Christmas: যীশুর জন্মের আগে থেকেই ক্রিসমাস পালনের রীতি ছিল ইউরোপে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস উৎসব (History Of Christmas) পালিত হয়। এই পবিত্র উৎসবে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকে। বাঙালির কাছে ক্রিসমাস মানে ঘুরতে যাওয়া, পিকনিক করা। ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস উৎসব পালনের রীতি বিশ্বে অনেক পুরনো। এর যেমন একটা ধর্মীয় বিষয় রয়েছে। তেমনই ক্রিসমাসে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রকৃতিও দেখা যায়। খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে এই দিনে তাঁদের উপাস্য যীশু জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যীশু হলেন একজন ধর্মীয় নেতা, যাঁর শিক্ষা মেনে চলেন খ্রিস্টানরা। এদিন  ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়। একে অপরকে উপহার বিনিময় করেন খ্রিস্টানরা। গির্জায় গিয়ে তাঁরা প্রার্থনা করেন। পরিবারের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার রীতিও দেখা যায়। এদিন তাঁরা এও বিশ্বাস করেন যে সান্তাক্লজ এসে তাঁদের উপহার দিয়ে যাবেন।

    কীভাবে শুরু হয়েছিল ক্রিসমাস পালন (Christmas)?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যীশুর আগমনের (History Of Christmas) কয়েক শতাব্দী আগেই প্রথমদিকে ইউরোপীয়রা শীতকালে এই দিনটি পালন করতেন। ২২ ডিসেম্বরের পর থেকেই উত্তর গোলার্ধে ধীরে ধীরে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়তে থাকে এবং রাতের দৈর্ঘ্য কমতে থাকে। সূর্যালোকের সময় বাড়ার ফলে, এই সময়েই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে উৎসব পালন করার রীতি দেখা যেত। অন্যদিকে, ইউরোপের অন্যতম দেশ স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় ২১ ডিসেম্বর থেকেই বড়দিন পালনের রীতি দেখা যেত। এই সময়ে তাঁরা বাড়িতে আগুন জ্বালাতেন এবং ১২ দিন ধরে পালন করা হত বড়দিন। ডিসেম্বরে শেষে ইউরোপে যিশুখ্রিস্টের জন্মের আগে থেকেই উৎসবের এমন মেজাজ দেখা যেত। এই সময় তাঁরা গবাদি পশুকে হত্যা করে, তাদের মাংস খেত। সঙ্গে থাকত মদ এবং বিয়ার। অন্যদিকে জার্মানিতে শীতকালের মাঝামাঝি সময়ে তাদের দেবতা উডেনকে সম্মান জানাতে বড়দিন পালন করা হত, জার্মান জাতির বিশ্বাস ছিল যে ওডেন আকাশ পথে গমন করতেন এবং মানুষের ভাগ্য় নির্ধারণ করতেন।

    রোমে সাটুরনালিয়া দেবতার সম্মানে পালন করা হত উৎসব

    অন্যদিকে, রোমে এই উৎসব এক মাস (History Of Christmas) ধরে পালন করা হত। রোমান ধর্মে কৃষি দেবতা ছিলেন সাটুরনালিয়া। তাঁরই সম্মানে শীতকালের মাঝামাঝি সময়ে শুরু করে পুরো একমাস ধরে পালন চলত উৎসব। এই সময়ে ক্রীতদাসদেরও সাময়িক স্বাধীনতা দেওয়া হত। তাঁদের ছুটি দেওয়া হত। একই সঙ্গে শীতকালে রোমানরা জুভেনালিয়া নামের একটি উৎসব পালন করতেন। এই উৎসবে রোমান শিশুদের সম্মান একটি ভোজের ব্যবস্থা করা হত এবং সেখানকার উচ্চ বংশজাতরা ২৫ ডিসেম্বর সূর্যদেবতা মিত্রার জন্মদিন পালন করতেন। বিশ্বাস করা হয়, মিত্রা হলেন একজন শিশু দেবতা। যিনি একটি শিলা থেকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মিত্রার জন্মদিন ছিল বছরের সবচেয়ে পবিত্র দিন। তাই এটা স্পষ্ট, শুধুমাত্র যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবেই যে বড়দিন এমনটা নয়, বড়দিন পালনের ইতিহাস দেখলে আমরা বুঝতে পারছি যে যীশুর জন্মের আগেও বড় দিন পালনের রীতি ইউরোপে ছিল।

    প্রথমদিকে যীশুর জন্ম সেভাবে উদযাপন করা হয়নি

    প্রথমদিকে যীশুর জন্ম সেভাবে উদযাপন করা হয়নি। চতুর্থ শতাব্দীতে গির্জার সঙ্গে যুক্ত ধর্মীয় কর্তা ব্যক্তিরা প্রথম যীশুর জন্মদিনকে ছুটি হিসেবে পালন করা সিদ্ধান্ত নেন। জানা যায়, বাইবেলে যীশুখ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে কোনও তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। অন্যদিকে কিছু সূত্রে দাবি করা হয়, যে যীশুখ্রিস্টের জন্ম হয়েছিল বসন্ত কালে। তবুও পোপ জুলিয়াস-১, ২৫ ডিসেম্বর বেছে নেন যীশুখ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে। এর পরবর্তীকালে এই প্রথাটি ৪৩২ সালের মধ্যে মিশরে এবং ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকেই ২৫ ডিসেম্বর যীশুখ্রীষ্টের জন্মদিন হিসেবে পালন করা হতে থাকে। অর্থাৎ শীতকালীন উৎসবের যে প্রথা সেই রীতি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে থাকে ইউরোপ। শীতকালীন উৎসবটা কেন্দ্রীভূত হতে থাকে যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবে। এখানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন গির্জার ধর্ম প্রচারকরা। তাঁরা সেভাবেই ২৫ ডিসেম্বর যীশুখ্রীষ্টের জন্মদিন হিসেবে ঘোষণা করেন।

    ইংল্যান্ড আমেরিকায় নিষিদ্ধ হয়েছিল ক্রিসমাস 

    অন্যদিকে, ১৭ শতকের একেবারে গোড়ার দিকে ইউরোপে ক্রিসমাস (History Of Christmas) উদযাপনের পদ্ধতি অনেকটাই বদলে যায়। ১৬৪৫ সালে ইংল্যান্ড দখল করেন অলিভার ক্রোমওয়েলের বাহিনী। এই সময় তাঁরা অবক্ষয় থেকে ইংল্যান্ডকে বাঁচানোর জন্য সে দেশের জনগণকে প্রতিশ্রুতি দেন। সেই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই তাঁরা ক্রিসমাসকে বাতিল বলে ঘোষণা করেন। পরবর্তীকালে রাজা দ্বিতীয় চার্লস ইংল্যান্ডের সিংহাসনে বসলে, ফের ক্রিসমাসের প্রচলন শুরু হয়। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম দিকে ক্রিসমাস ছুটির দিন ছিল না। ১৬৫৯ থেকে ১৬৮১ সাল পর্যন্ত সে দেশের বস্টনে বড়দিন উদযাপন নিষিদ্ধ ছিল। যে কেউ ক্রিসমাস পালন করলে তাঁকে জরিমানা পর্যন্ত করা হত। পরবর্তীকালে উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে আমেরিকায় ক্রিসমাস পালন শুরু হয়।

    সান্তাক্লজের ইতিহাস

    অন্যদিকে ক্রিসমাস উৎসবের সঙ্গে জড়িত রয়েছে সান্তাক্লজ। আবার সান্তাক্লজ নামের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, সেন্ট নিকোলাস নামে এক সন্ন্যাসীর কথা। যিনি ২৮০ খ্রিস্টাব্দে তুরস্কে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে জানা যায়। সেন্ট নিকোলাস, তাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সমস্ত সম্পদ দরিদ্র এবং অসুস্থদের সাহায্য করার জন্য বিতরণ করেছিলেন। এই সময় তিনি গ্রামাঞ্চলগুলিতে ভ্রমণ করতেন ও সেখানকার বাচ্চা ছেলে, অসুস্থ রোগী এবং নাবিকদের কাছে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বিতরণ করে দিয়েছিলেন। সেই সময়ে ওই সেন্ট নিকোলাস সকলের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত হতে থাকেন। পরবর্তীকালে অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে নিউইয়র্কে সেন্ট নিকোলাস আমেরিকার সংস্কৃতির মধ্যে প্রবেশ করেন। সেন্ট নিকোলাসকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাচ নাগরিকরা সেন্টার ক্লাস নামে ডাকতেন। পরবর্তীকালে সেন্টার ক্লাস নাম থেকে আসে সান্তাক্লজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Joe Biden: সাজা প্রাপ্ত ৪০ জন অপরাধীর মধ্যে ৩৭ জনের জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব বাইডেনের

    Joe Biden: সাজা প্রাপ্ত ৪০ জন অপরাধীর মধ্যে ৩৭ জনের জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব বাইডেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড (Death Penalty) প্রাপ্ত ৪০ জন অপরাধীদের মধ্যে ৩৭ জনের জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব করেছেন। একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “আমার এই সিদ্ধান্তের জন্য কোনও ভুল বুঝবেন না। আমি এই খুনিদের নিন্দা জানাই, তাদের ঘৃণ্য কাজের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের জন্য শোক জানাই। এই অকল্পনীয় এবং অপূরণীয় ক্ষতির শিকার সমস্ত পরিবারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।”

    ট্রাম্প দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বাইডেনর ঘোষণা(Joe Biden)

    একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে বাইডেন (Joe Biden) নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “আমি আগের চেয়ে আরও বেশি নিশ্চিত যে আমাদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। আমি বিবেকের কাছে ঠিক থাকতে চাই। আমি সকলের পাশে দাঁড়াতে চাই। তবে নতুন প্রশাসনকে মৃত্যুদণ্ড আবার শুরু করতে পারে।” মৃত্যুদণ্ডের সমর্থনকারী প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসেরও কম সময় আগে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই ভাবে শাস্তি মকুবের পরিকল্পনা করেছেন। এটা অনেক ইঙ্গিতপূর্ণ।

    আরও পড়ুনঃ চার স্ত্রী রাখার ফতোয়া নাকচ করেছে রাশিয়ারই প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী

    কোন তিন বন্দির মৃত্যুদণ্ড মাপ হয়নি?

    ডেথ পেনাল্টি ইনফরমেশন সেন্টারের তরফে বলা হয়েছে, আমাদের সংস্থা অলাভজনক সংস্থা। আমাদের লক্ষ্য মিডিয়া, নীতিনির্ধারকদের সেবা করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে মৃত্যুদণ্ডের (Death Penalty) সাজাপ্রাপ্ত বন্দি-সহ সব মিলিয়ে ২২৫০ জন বন্দি রয়েছে। ৪০ জনের মধ্যে ৩৭ জনের ফাঁসি মকুব করা হয়েছে। আর বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ এবং ঘৃণ্য গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ৩ জনের মধ্যে জোখার সারনায়েভ এক জন। সে ম্যাসাচুসেটসে ২০১৩ সালের বোস্টন ম্যারাথন বোমা হামলা চালিয়েছিল। যাতে তিনজন নিহত হয়েছিল। দ্বিতীয় ব্যক্তি হল ডিলান রুফ। সে ২০১৫ সালে চার্লসটন, সাউথ ক্যারোলিনার একটি গির্জায় নয়জন উপাসককে হত্যা করেছিল। আর এক আসামী হল রবার্ট বোয়ার্স, যে ২০১৮ সালে পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গের একটি সিনাগগে ১১ জনকে হত্যা করেছিল।

    বাইডেন (Joe Biden), একজন ক্যাথলিক, মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহারের বিরোধিতা করেছেন এবং তাঁর প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রীয় মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ আরোপ করেছে। হোয়াইট হাউস রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করে একটি নোটে বলেছেন, “তাঁর আজকের পদক্ষেপ পরবর্তী প্রশাসনকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বাধা দেবে, যা বর্তমান নীতি ও অনুশীলনের অধীনে হস্তান্তর করা হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Deep State: ক্লাব অফ রোমের মাধ্যমে উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করেছিলেন মনমোহন সিং?

    Deep State: ক্লাব অফ রোমের মাধ্যমে উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করেছিলেন মনমোহন সিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্লোবাল গভর্ন্যান্সের মেকানিজমের আড়ালে রয়েছে একটি গোপন ক্ষমতার নেটওয়ার্ক, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং প্রভাবশালী কার্যকলাপ (Bharats Shadowed Role)। ডিপ স্টেট (Deep State) নামে পরিচিত এই শব্দটি, অতি বৃহৎ সংস্থা, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং নীতিনির্ধারকদের লুকোনো যোগসূত্রকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এরাই দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব ঘটনাপ্রবাহের গতিপথ পরিচালনা করেছে।

    ভারতের শ্যাডোড রোল (Bharat’s Shadow Role)

    ক্লাব অব রোম (CoR), ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (WEF) এবং তাদের সমর্থকরা কীভাবে নির্ধারিত অ্যাজেন্ডার মাধ্যমে মানবতাকে পুনর্গঠন করতে কাজ করছে, তা জানা যায় তাদের ভূমিকা দেখলে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নীরব কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনিই এই গ্লোবালিস্ট ভিশনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।ভারতের এই শ্যাডো রোলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯৬৮ সালের ২৬ এপ্রিল কানাডায়, ১৭তম বিল্ডারবার্গ বৈঠকের সময়। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে “ডিপ স্টেট”-এর নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার অ্যাজেন্ডাকে ত্বরান্বিত করা হবে। এটি একটি একক বিশ্ব সরকারের কল্পনা করেছিল। ডেভিড রকফেলারের নির্দেশে ইতালীতে প্রতিষ্ঠিত হয় ক্লাব অব রোম (CoR)। এটি একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, যা এই লক্ষ্যে নীতিমালা প্রস্তুতের জন্য দায়ী। রকফেলার ফাউন্ডেশন উদারভাবে এই প্রচেষ্টাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: গুরদাসপুর গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে খলিস্তানপন্থী নেতা জগজিৎ সিং! আইএস যোগ সন্দেহ

    ক্লাব অব রোম

    ১৯৭২ সালে ক্লাব অব রোম (CoR) তাদের যুগান্তকারী প্রতিবেদন, দ্য লিমিটস টু গ্রোথ প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন বিশ্ব জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের একটি ভীতিকর ধারণা প্রবর্তন করে, যেখানে কঠোর গ্লোবাল গভর্ন্যান্সের অধীনে ১-২ বিলিয়ন জনসংখ্যার একটি লক্ষ্য প্রস্তাব করা হয়। এই নথি জনসংখ্যা হ্রাস, বন্ধ্যত্ব প্রচার এবং ভীতিপ্রদর্শনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নীতির ভিত্তি হয়ে ওঠে। ক্লাব অব রোমের সুপারিশ দ্রুত গ্লোবাল গভর্ন্যান্সের মধ্যে প্রবেশ করে। পৃথিবী একের পর এক এমন ঘটনাবলীর সাক্ষী হয়, যা এই লক্ষ্যগুলির সঙ্গে অদ্ভুতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই ঘটনাগুলি হল, ১৯৭৩ সালে আরব-ইজরায়েল যুদ্ধ, ১৯৭৫-৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীর অধীনে ভারতে কুখ্যাত নির্বীজকরণ অভিযান, ১৯৭৯ সালে এইডস মহামারীর আবির্ভাব, ক্যান্সার ও জীবাণুমুক্তকরণের ওষুধ আবিষ্কার ইত্যাদি (Bharats Shadowed Role)।

    মনমোহন সিং

    এই সময়ে ভারতের অর্থনৈতিক নীতিগুলি প্রধানত মনমোহন সিংয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। তিনি তখন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। ক্লাব অফ রোম কৌশল নির্ধারণ করেছিল। আর হেনরি কিসিঞ্জারের পরামর্শে ক্লাউস শোয়াব এটি বাস্তবায়িত করেছিলেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (WEF) মাধ্যমে। শোয়াব ১৯৭১ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হয় যা ডিপ স্টেটের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নেতাদের এক সারিতে ফেলে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বৈশ্বিক বাস্তবায়নের মুখ হয়ে ওঠে, আর ক্লাব অফ রোম পর্দার আড়াল থেকে পরিচালনা করতে থাকে। তারা একসঙ্গে যে কাজগুলি করেছিল সেগুলি হল, দুর্বল অর্থনীতিগুলিতে উদারীকরণ, বেসরকারিকরণ এবং বিশ্বায়ন কার্যকর করা, রাষ্ট্রসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মাধ্যমে জননীতিগুলিকে আকার দেওয়া, যার সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

    উদারীকরণের স্থপতি!

    মনমোহন সিং ভারতের অর্থনৈতিক উদারীকরণের স্থপতি হিসেবে পরিচিত। ক্লাব অফ রোমের (CoR) সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এই বৈশ্বিক অ্যাজেন্ডার প্রতি একটি লুকানো আনুগত্য প্রকাশ করে। ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরে ছিলেন মনমোহন সিং। তিনি ছিলেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, অর্থমন্ত্রকের সেক্রেটারি, ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান। পরবর্তীকালে তিনিই হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Bharats Shadowed Role)। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয় ভারতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক সংস্কার হয়। এই সংস্কারগুলি বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়, বরং এটি ডিপ স্টেট দ্বারা পরিচালিত একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনার অংশ। একই সময়ে বিভিন্ন দেশে উদারীকরণ নীতিগুলির গ্রহণযোগ্যতা এই ঘটনাগুলির পেছনের সুপরিকল্পিত নকশাকে (Deep State) প্রমাণ করে।

    অর্থনৈতিক ত্রাতা!

    মনমোহন সিংকে অর্থনৈতিক ত্রাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু আসলে কি তাই? তিনি বহিরাগত শক্তির দ্বারা নির্ধারিত একটি অ্যাজেন্ডা কার্যকর করছিলেন মাত্র। ২০০৪ সালে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উত্থান ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের প্রভাবকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। ঘটনাগুলি যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে, তা আমাদের ২০৩০ এর অ্যাজেন্ডার দিকে নিয়ে যায়, যেখানে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চাইছে ডিপ স্টেট (Deep State)। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আখ্যান থেকে ডিজিটাল আইডি পর্যন্ত, CoR এবং WEF এমন একটি ভবিষ্যৎ তৈরি করছে, যেখানে ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে বৃহৎ পুঁজির শাসনের অধীন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share