Tag: news in bengali

news in bengali

  • Russia: চার স্ত্রী রাখার ফতোয়া নাকচ করেছে রাশিয়ারই প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী

    Russia: চার স্ত্রী রাখার ফতোয়া নাকচ করেছে রাশিয়ারই প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম বিশ্বে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার (Russia) একটি প্রগতিশীল মুসলিম গোষ্ঠী। রাশিয়ার শীর্ষ ইসলামিক (Muslim) সংস্থা মুসলিম পুরুষদের দুই বা ততোধিক বিয়ে বা স্ত্রী (Four Wives) রাখার সিদ্ধান্তকে নাকচ করার কথা ঘোষণা করেছে। তবে এই সিদ্ধান্ত শুধু রাশিয়ার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় গোটা বিশ্বে ইসলামিক রাষ্ট্রের সামনে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক ধর্ম বিশেষজ্ঞরা।

    সাধারণত মুসসিম পার্সোনাল ল’বোর্ড বা শরিয়া শাসন চারটি করে বিয়ের অনুমতি দিয়ে থাকে। গোটা বিশ্বে পশ্চিম থেকে পূর্বে সর্বত্র এই নিয়ম অক্ষরে অক্ষের পালন করা হয়। যদিও গবেষকরা মনে করেছেন, গোটা বিশ্বে বাকি ধর্মের তুলানায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের একটি বড় কারণ হল একাধিক বিবাহ এবং বহু সন্তান উৎপাদন নীতি। তাই প্রগতিশীল মুসলিম সংগঠনের ভাবনা ইতিবাচক।

    ১৭ ডিসেম্বর ফতোয়া জারি হয়েছিল (Russia)!

    রাশিয়ার (Russia) ইসলামিক সংস্থার পক্ষ থেকে আগে ১৭ ডিসেম্বর একটি ফতোয়া বা ধর্মীয় বিধি জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, সমস্ত পরিস্থিতিতে মুসলিম পুরুষরা একাধিক স্ত্রী (Four Wives) রাখাতে পারবেন। সেই সঙ্গে আরও বলা হয় একজন মুসলমানের চারটি স্ত্রী থাকতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে সকলের জন্য আলাদা আলাদা থাকার জায়গা সহ সমান ভাবে বস্তুগত উপলব্ধতাকে প্রাধ্যান্য দিতে হবে। এরপর রাশিয়ার মুসলিমদের ধর্মীয় সংগঠনের কাউন্সিল অফ স্কলারের নতুন ঘোষণা হয় যে এই চার স্ত্রী রাখার নির্দেশ রাশিয়ার আইনের সঙ্গে কোনও রকম ভাবে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শারিয়া নিয়ম দেশের আইনের পরিপন্থী। ইসলামিক এই ফতোয়াকে অবিলম্বে প্রত্যহার করতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে এই বার্তা ছড়িয়ে পড়লে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চাঞ্চাল্য তৈরি হয়।

    চার বিয়ে ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে

    রাশিয়ার (Russia) ইসলামিক কাউন্সিল অফ স্কলারের নতুন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক প্রগতিশীল মানুষ। আবার রাশিয়ার পার্লামেন্টারি ফ্যামিলি অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান নিনা ওস্তানিনা বলেন, “রাশিয়ায় বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। এটি আমাদের মূল নৈতিকতা এবং ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে।”

    উল্লেখ্য, ভারতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার পাশাপাশি ‘মুসলিম (Muslim) পার্সোনাল ল’বোর্ড নামে একটি আলাদা ক্ষেত্র রয়েছে। কংগ্রেসের আমল থেকে দেশের সংবিধানকে আড়ালে রেখে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। একইভাবে ওয়াকফ বোর্ডও সক্রিয় রয়েছে দেশে। বিশেষজ্ঞরা ইসলামের শরিয়া শাসনকে আগ্রাসী ও হিংসাত্মক বলেছেন। তবে ভারতের কোনও প্রগতিশীল মুসলিম সংগঠন দুই বা ততোধিক স্ত্রী রাখা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Naga sadhu: মুঘল-ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সনাতনধর্ম রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন নাগা সন্ন্যাসীরা!

    Naga sadhu: মুঘল-ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সনাতনধর্ম রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন নাগা সন্ন্যাসীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে বহিরাগত বর্বর আক্রমণকারী পাঠান, মুঘল এবং ব্রিটিশদের বিরদ্ধে প্রত্যক্ষ লড়াই করেছিলেন নাগা সাধুরা (Naga sadhu)। জুনাগড়ের অত্যাচারী নিজাম শাসক সাধুদের বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেছিলেন। বহু সাধু সন্ন্যাসীদের হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু যাঁরা বেঁচে ছিলেন তাঁরাই তৈরি করেছিলেন জুনা আখড়া। যুগে যুগে যখনই সনাতন ধর্ম (Sanatan Dharma) গভীর সঙ্কটে পড়েছে নাগারা রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। মুসলমান আক্রমণ এবং লুটের হাত থেকে অনেক মন্দির ও মঠ রক্ষা করেছিলেন তাঁরা। আফগান পাঠান শাসক আহমেদ শাহ আবদালি মথুরা-বৃন্দাবন লুণ্ঠন করতে এলে নাগা সাধুরা বিরাট প্রতিবাদ গড়ে তোলেন। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রও ধারণ করেন নাগা সন্ন্যাসীরা। 

    সনাতন ধর্মের রক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে (Naga sadhu)

    ১৪৪ বছর পর এবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হবে মহাকুম্ভ। ইতিমধ্যেই বিশ্বের এই বৃহৎ ধর্মীয় (Sanatan Dharma) সমাবেশে অনেক আখড়ার মুনি, ঋষি, সাধু-সন্ন্যাসীরা আসতে শুরু করেছেন। ভারতীয় মার্শাল আর্টিস্ট এবং ধর্মীয় সন্ন্যাসীদের জন্য সম্প্রদায়িক ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিক পরম্পরা মেনে মঠ কেন্দ্রীক একটি আখড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে ভক্তদের থাকা-খাওয়া এবং প্রশিক্ষণের সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে। এখানে কুম্ভমেলার অনুষ্ঠানের সঙ্গে মার্শাল আর্ট অনুশীলনের একটি বিরাট জায়গা ঠিক করা হয়েছে। অনেকেই প্রশিক্ষণ নেবেন আবার দিয়েও থাকবেন প্রশিক্ষণ। মূল লক্ষ্য হল হিন্দু সমাজের আত্মরক্ষা। সাধারণত নাগারা (Naga sadhu) তাঁদের গলায়, শরীরের চারপাশে রুদ্রাক্ষ এবং অন্যান্য অলঙ্কার পরিধান করেন। তাঁদের হাতে থাকে তলোয়ার, শঙ্খ এবং ত্রিশূলও। 

    সব রকম অপশক্তির সঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত

    এই আখড়ার মধ্যে ভৈরব আখড়া অন্যতম। এটিকে পঞ্চ দশনম জুনা আখড়াও বলা হয় এবং এটি ১৩টি আখড়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়। এটি নাগা সন্ন্যাসীদের (Naga sadhu) একটি প্রধান আখড়া। এখানকার সাধুরা যোদ্ধা সন্ন্যাসী। ভগবান শিবের উপাসক তাঁরা। সন্ন্যাসীদের দেহে ছাই-মাখার জন্য বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিকতা এবং পরাক্রমের গৌরবময় ইতিহাস ধারণ করেন তাঁরা। নাগা সাধুরা সর্বদা তলোয়ার, ত্রিশূল, বর্শা বহন করে থাকেন। তাঁরা মুঘল থেকে ব্রিটিশ পর্যন্ত সমস্ত বহিঃশত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। সনাতন হিন্দু (Sanatan Dharma) ধর্ম রক্ষার জন্য সব রকম অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত থাকেন এই সাধুরা। এই জুনা আখড়ায় একটি অস্ত্রাগারও রয়েছে, যেখানে ৪০০ বছরের পুরনো অস্ত্রও সংরক্ষিত রয়েছে। নাগা সাধুরা মহাকুম্ভ উদযাপনের সময় এই অস্ত্রগুলি নিয়ে আসেন এবং প্রদর্শনী করেন। 

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    ১১৪৫ সালে জুনা আখড়া প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়

    জুনা আখড়া হল শৈব সম্প্রদায়ের সাতটি আখড়ার একটি। ১১৪৫ সালে উত্তরাখণ্ডের কর্ণ প্রয়াগে প্রথম এই মঠ নির্মাণ হয়েছিল। আবার কেউ কেউ মনে করেন এই মঠ ১২৫৯ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। পরবর্তীকালে ১৮৬০ সালে সরকারি নথিভুক্ত হয় আখড়া। ভগবান শিব বা তাঁর রুদ্র অবতার, ভগবান দত্তাত্রেয়, জুনা আখড়ার মূর্তি। এর সদর দফতর এবং প্রধান কেন্দ্র বারাণসীতে অবস্থিত। আরও একটি মন্দিরের আশ্রম হরিদ্বারের মহামায়া মন্দিরের কাছে নির্মিত হয়েছিল। এখন এই নাগাদের (Naga sadhu) আখড়াগুলোতে প্রায় ৫ লাখ নাগা সাধু রয়েছেন। নাগা সাধুরা হিন্দু ধর্মের উত্থানকে সাহায্য করার জন্য ধর্মগ্রন্থগুলিতে যেমন পারদর্শী, ঠিক তেমনি যুদ্ধ-অস্ত্রশস্ত্রেও প্রশিক্ষিত তাঁরা। তখন থেকেই আখড়া চলছে তাঁদের। বলা হয়ে থাকে আদি শঙ্করাচার্যের নির্দেশনায় গঠিত হয়েছিল এবং পরে মুসলিম আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধেও অনেক যুদ্ধ করেছিল এই আখড়ার সন্ন্যাসীরা।

    জুনা আখড়ার ইতিহাস

    জানা গিয়েছে, নাগা সাধুরা (Naga sadhu) গুজরাটের জুনাগড়ের নিজামের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন। নিজাম ও তাঁর বাহিনী নাগাদের দ্বারা পরাজিত হয়েছিল। তিনি সাধুদের সামরিক দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বলেও জানা গেছে। এই শাসককে সন্ন্যাসীদের সামনে মাথা নত হতে হয়েছিল এবং একটি চুক্তিতে আমন্ত্রণ জানাতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। জুনা আখড়ার মহারাজ মহন্ত হরি গিরি বলেন, “আখড়ার সন্ন্যাসীরা (Sanatan Dharma) একটি চুক্তির জন্য নিজামের কাছে গিয়েছিলেন। জুনাগড় সন্ন্যাসীদের হাতে তুলে দেওয়ার অজুহাতে একটি নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে সেই খাবারে বিষ মিশিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছিল শয়তান শাসক। এর ফলে শত শত সন্ন্যাসী প্রাণ হারিয়েছিলেন। যাঁরা বেঁচে ছিলেন তাঁরাই জুনা আখড়া তৈরি করেছিলেন।”

    জাহাঙ্গীরের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন নাগারা

    একবার মুঘল শাসক জাহাঙ্গীর প্রয়াগরাজ কুম্ভমেলায় যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে গুজব উঠেছিল। তখন শৈব ও বৈষ্ণব তপস্বীরা একসঙ্গে একটি দেওয়াল নির্মাণ করেন এবং তা থেকে গোপন যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন সন্ন্যাসীরা (Naga sadhu)। একজন সন্ন্যাসী জাহাঙ্গীরকে মারতে ছুরিও ব্যবহার করেছিলেন। মুঘলদের প্রতি নাগাদের ক্রোধ ছিল অদম্য। পঞ্চ দশনম জুনা আখড়ার অষ্ট কৌশল মহন্ত যোগানন্দ গিরি বলেন, “যে নাগা সন্ন্যাসীরা (Sanatan Dharma) অস্ত্র বহন করেন, তাঁরা মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। একই ভাবে ব্রিটিশ শাসন কালেও লড়াই করেছিলেন তাঁরা। অস্ত্রগুলিকে আমরা বিরাট সম্মানের সঙ্গে রাখি।”

    প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। আর মাত্র হাতে কয়েকটা দিন বাকি। মকর সংক্রান্তি থেকে শুরু হবে পুণ্যস্নান। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ সরকার কড়া নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং এলাকা পরিদর্শন করে সব রকম প্রস্তুতি নিরীক্ষণ করেছেন। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি ভক্ত সমাগম হবে এই রাজ্যে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Neem Stick: দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নিম দাঁতন! শক্ত হয় মাড়ি, দূরে থাকে ব্যাকটেরিয়া

    Neem Stick: দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নিম দাঁতন! শক্ত হয় মাড়ি, দূরে থাকে ব্যাকটেরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গেই মানব সমাজ তার পুরনো অভ্যাসের দিকেই ফিরে চলেছে। কারণ এই অভ্যাসগুলি সম্পূর্ণটাই প্রাকৃতিক এবং বিশুদ্ধ উপাদানে পরিপূর্ণ। সেই রকমই একটি অভ্যাস হল নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজা (Neem Stick)। প্রাচীন ভারতে নিম দাঁতন (Dental Health) দিয়ে দাঁত মাজার চল ছিল। বর্তমান আমলে তা আবার ফিরে আসছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিম গাছ দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং ভারতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়েছে। স্থানীয়ভাবে নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজার রীতিকে বলা হয় নিম দাঁতন। 

    নিম দাঁতন (Neem Stick) রাসায়নিক মুক্ত

    নিম দাঁতন করার অন্যতম উপকারিতা হল যে এটি সম্পূর্ণভাবে রাসায়নিক মুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব। এর পাশাপাশি প্লাস্টিকের যে টুথব্রাশ আমরা ব্যবহার করি তার বিকল্প হিসেবেও কাজ করে নিম দাঁতন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে নিম হল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। এই কারণে নিম দাঁতন যে কোনও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও প্রতিরোধ করে। এছাড়া নিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান, যা মাড়িকে শক্ত করে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    নিম দাঁতন (Neem Stick) দিয়ে দাঁত মাজার উপকারিতা

     ক্যাভিটিস প্রতিরোধ: নিম দাঁতন দিয়ে দাঁত মাজলে, তা ক্যাভিটিস প্রতিরোধ করে।

    মাড়ি মজবুত: বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে প্রতিদিন নিম দাঁতন দিয়ে দাঁত মাজলে মাড়ি মজবুত হয় এবং মাড়িতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।

    মুখে দুর্গন্ধ আনতে দেয় না: নিমের প্রাকৃতিক উপাদানে এর পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধ আনতে দেয় না।

    এছাড়াও দাঁতের সাদা রং অপরিবর্তিত রাখে, দাঁতের যে কোনও অংশ ফুলে ওঠা রোধ করতে নিম দাঁতন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

    কীভাবে ব্যবহার করবেন নিম দাঁতন

    প্রথমেই ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ একটি নিম দাঁতন নিতে হবে, ঠিক পেন্সিলের আকারের।

    এরপরে তার যে কোনও একটি প্রান্ত চিবিয়ে নিতে হবে।

    এটা যখন ব্রাশের আকৃতির হয়ে যাবে, তখন ধীরে ধীরে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে।

    নিম ডাল (Neem Stick) ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন

    মাউথফ্রেশনার-সহ নানা ধরনের কৃত্রিম উপায়ে সাময়িক কিছু উপকার হলেও,তা কখনওই দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হতে পারে না। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য নিম ডাল খুবই উপযোগী, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    নিমডাল ব্যবহারের আগে খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

    গাছের ডালকে অবশ্যই ভালো করে ভেঙে ব্যবহার করতে হবে।

    নিমডালে দাঁত মাজার আগে সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা বাঞ্ছনীয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

  • RG Kar: ধর্ষণ-খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই সেমিনার হলে, বিস্ফোরক তথ্য কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্সের রিপোর্টে

    RG Kar: ধর্ষণ-খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই সেমিনার হলে, বিস্ফোরক তথ্য কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্সের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেমিনার রুমেই (RG Kar Rape and Murder) কি খুন হয়েছিলেন আরজি করের (RG Kar) চিকিৎসক পড়ুয়া? নাকি অন্য কোথাও খুন করে ওখানে ফেলে রাখা হয়েছিল? ফের নতুন করে এই প্রশ্ন উঠছে। সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্সের রিপোর্ট। ১২ পাতার এই রিপোর্টে বলা হচ্ছে সকলের নজর এড়িয়ে সেমিনার রুমে প্রবেশ করা ও অপরাধ করে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এখানে ২৪ ঘণ্টা হাসপাতাল চালু থাকে। সেক্ষেত্রে সেই সেমিনার হলে কেউ ঢুকবে আর কেউ জানতে পারবেন না এটা কীভাবে সম্ভব? রিপোর্টে আরও বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। যে ম্যাট্রেসে পাওয়া গিয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ সেখানে ধর্ষণ খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন মেলেনি। এ নিয়েই সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে সিএফএসএল রিপোর্টে। সেমিনার রুমে প্রতিরোধের বা ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই। এখানেই উঠছে প্রশ্ন সত্যি কি সেমিনার রুমে খুন, ধর্ষণ হয়েছিল নাকি অন্য কোথাও? তবে কি অন্য কোথাও ধর্ষণ খুন করে সেমিনার রুমে নিয়ে আসা হয়েছিল দেহ?

    কী বললেন অনিকেত মাহাতো? (RG Kar)

    এই ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘৪ ও ৫ নম্বর পয়েন্ট দেখে আমাদের যা মনে হচ্ছে ওই জায়গায় ম্যাট্রেসে কোনও ধস্তিধস্তির চিহ্ন নেই। আমরা এটা আগে বলেছি। এখন সিএফএসএল রিপোর্টও সেটা বলছে। সেমিনার রুমেও ধস্তাধস্তির (RG Kar) কোনও চিহ্ন নেই। সেই সঙ্গেই ওই সেমিনার রুমে কেউ ঢুকবেন অথচ কেউ দেখতে পাবেন না এই সম্ভাবনা ক্ষীণ। এটাও উল্লেখ করা হয়েছে সিএফএসএল রিপোর্টে।’’

    তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা 

    চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, ম্যাট্রেস পরিপাটি করে বিছানো ছিল। জলের বোতল, ল্যাপটপ এগুলির কি পজিশন বদলানো হয়েছিল? সঞ্জয় রায় ঢুকল আর কেউ তা জানতে পারল না এটা কীভাবে সম্ভব? আদৌ সঞ্জয় রায় কি একলা নাকি, আরও কেউ। ওখানেই কি খুন হয়েছে নাকি অন্য কোথাও? তবে কি তথ্য প্রমাণ লোপাট (RG Kar) হয়েছে? প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলায় সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরের মেইতি রাজা পামহেইবা গ্রহণ করেছিলেন হিন্দু ধর্ম, দীক্ষা নেন বৈষ্ণব ধর্মগুরুর কাছে

    Manipur: মণিপুরের মেইতি রাজা পামহেইবা গ্রহণ করেছিলেন হিন্দু ধর্ম, দীক্ষা নেন বৈষ্ণব ধর্মগুরুর কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে খবরের শিরোনামে রয়েছে মণিপুর (Manipur)। সে রাজ্যে কুকি-মেইতেই বিবাদকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। তবে ইতিহাস বলছে মণিপুর অতীতে একটি মেইতেই রাজ্য ছিল। উত্তর-পূর্ব ভারতের সবুজ উপত্যকায় মোড়া, পার্বত্য এই রাজ্যে কান পাতলে আজও শোনা যায় পামহেইবা নামের একজন রাজার কথা। তাঁকে ডাকা হত গরিব নেওয়াজ নামে। মণিপুরজুড়ে (Manipur) একটি ব্যাপক আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা তিনি গড়ে তুলতে পেরেছিলেন। ভারতীয় ইতিহাসে এই মেইতেই রাজার উল্লেখযোগ্য নাম রয়েছে।

    পামহেইবা ১৭০৯ সালে রাজা হন (Manipur) 

    মণিপুরের ইতিহাস থেকে জানা যায়, পামহেইবা ১৭০৯ সালে রাজা হন। সে সময়ে মণিপুরের (Manipur) নাম ছিল কাংলেইপাক। এই নামটি অবশ্য মেইতেই সম্প্রদায়ের দেওয়া। সে রাজ্যের জনগণের স্থানীয় সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল এই নাম। পামহেইবারের পিতার নাম ছিল চারাইরংবার। জানা যায়, চারাইরংবার ভারতের অন্যান্য অংশে হিন্দু রাজ্যগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সংযোগ গড়ে তুলেছিলেন এবং তিনিও হিন্দুরীতিতে বিশ্বাস রাখতেন। তাঁর সেই নীতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান পামহেইবার।

    ১৭১৭ সালে নেন দীক্ষা

    জানা গিয়েছে, পামহেইবার নিজে হিন্দু (Hinduism) ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। যার একটা ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল মেইতেই সমাজের মধ্যে। ১৭১৭ সালে রাজা পামহেইবার বঙ্গদেশের সিলেটের একজন বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারক শান্তি দাসের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের সংস্পর্শে আসেন। পামহেইবার অচিরেই চৈতন্য মহাপ্রভুর অনুসারী হয়ে ওঠেন এবং গুরু শান্তি দাসের নির্দেশনায় গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত, হিন্দুধর্ম গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে মেইতেই জনগণও ব্যাপকভাবে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে শুরু করেন। এর ফলে সেখানকার আচার-অনুষ্ঠান রীতিনীতি সবকিছুতেই ব্যাপক হিন্দু ছোঁয়া দেখা যায়। ঐতিহাসিকরা বলেন যে রাজার সংস্কৃত বা হিন্দু নাম ছিল গোপাল সিং। তিনি অসংখ্য মন্দির তৈরি করে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর শাসনকালে মণিপুরে (Manipur) শিব, দুর্গারও পুজোর প্রচলন শুরু হয়। এর পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণু, গণেশ এবং অন্যান্য হিন্দু দেবতাও ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • LIC: এলআইসির কাছে ৮৮০ কোটি টাকা দাবিহীন, কীভাবে গ্রাহকেরা আবেদন করবেন জানেন?

    LIC: এলআইসির কাছে ৮৮০ কোটি টাকা দাবিহীন, কীভাবে গ্রাহকেরা আবেদন করবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলআইসির (LIC) হাতে রয়েছে দাবিহীন ৮৮০ কোটি টাকা। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে জীবন বিমার পলিসির। কিন্তু টাকার কোনও দাবিদার নেই। সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ হয়েছে সংসদে। তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। এখন দাবি না করা বিমার টাকা কীভাবে (How to Apply) গ্রাহক পেতে পারেন সেই বিষয়েও জানিয়েছেন তিনি। আসুন জেনে নিই কীভাবে আবেদন করবেন। 

    গ্রাহকের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া বিমা সংস্থার দায়িত্ব (LIC)

    কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থা ‘লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’ (LIC)–র মেয়াদ উত্তীর্ণ পলিসির দাবিহীন অর্থের তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “মোট ৩.৭২ লক্ষ গ্রাহক পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে টাকার দাবি করেননি। ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৮০.৯৩ কোটি টাকা। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ টাকার অঙ্ক কমানোর চেষ্টা করছে এলআইসি। তবে এই টাকা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া বিমা সংস্থার প্রধান কর্তব্য।”

    এলআইসির দাবিহীন টাকাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়

    জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে মেয়াদ উত্তীর্ণ এলআইসি পলিসির দাবিহীন অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৫২ কোটি টাকা। ঠিক তার পরের অর্থবর্ষে ২০২২-২৩ সালে সেই অঙ্ক বেড়ে ৮৯৭ কোটি হয়েছে। সেই সঙ্গে গত আর্থিক বছরেই নিম্নমুখী হয়েছে সূচক। ফলে তা ৮৮০.৯৩ কোটিতে নেমেছে। সাধারণত এলআইসি, পলিসির দাবিহীন টাকাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমত, যাঁরা পলিসির (LIC) মেয়াদ শেষে টাকার দাবি করছেন না। দ্বিতীয় শ্রেণিতে রয়েছে মৃত্যু পরবর্তী দাবি বা ডেথ ক্লেম। এর আবেদন প্রয়াত গ্রাহকের আপনজন বা পরিবারের সদস্যদের করতে হয়। তবে পলেসিতে নাম নমিনি হিসাবে থাকতে হবে। আর তিন হল, পেআউট সংগ্রহে ব্যর্থ হওয়া গ্রাহক। তিন বা তার বেশি বছর সময় ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ পলিসির টাকার জন্য আবেদন না করলে, ওই টাকাকে দাবিহীন হিসাবে উল্লেখ করে এলআইসি।

    কীভাবে (How to Apply) আবেদন করবেন?

    টানা ১০ বছর টাকার দাবি না করলে সিনিয়র সিটিজ়েন ওয়েলফেয়ার তহবিলে তা স্থানান্তরিত করে রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থা (LIC)। প্রসঙ্গত, এই দাবিহীন টাকার জন্য আবেদন করা যায়।

    ১> প্রথমেই এলআইসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে।

    ২> ওয়েবসাইটটির হোমপেজেই মিলবে ‘কাস্টমার সার্ভিস’ নামের অপশন।

    ৩> এর পর তার ভিতরে গেলে ‘অনক্লেইম্ড অ্যাকাউন্ট অফ পলিসিহোল্ডার’ বলে একটি অপশন দেখতে পাবেন গ্রাহক।

    ৪> এবার সেখানে ক্লিক করতে হবে তাঁকে। ওই অপশনে ঢুকে পলিসি নম্বর, নাম, জন্ম তারিখ এবং প্যান কার্ড নম্বর দিয়ে লগ ইন করবেন গ্রাহক। এরপর ডাউনলোড। নিকটবর্তী এলআইসি সেন্টারে জমা দিলে টাকা পাবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: দিল্লি পুলিশের অনুপ্রবেশকারী বিরোধী অভিযান, শনাক্ত ১৭৫জন বাংলাদেশি

    Delhi Police: দিল্লি পুলিশের অনুপ্রবেশকারী বিরোধী অভিযান, শনাক্ত ১৭৫জন বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi Police) অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্তকরণের কাজে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। গত ১২ ঘণ্টায় দিল্লি পুলিশ ১৭৫ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছে, যারা কোনও রকম নথি ছাড়াই বসবাস করছিল দিল্লিতে। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে এই অভিযান শুরু হয় ১১ ডিসেম্বর। গত পরশু অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর নতুন করে ফের একবার অভিযানে নামে দিল্লি পুলিশ।

    চলতি মাসের গোড়ার দিকেই নির্দেশিকা জারি করেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর 

    চলতি মাসের গোড়ার দিকে দিল্লির (Delhi Police) লেফটেন্যান্ট গভর্নর একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। সেখানে জানানো হয়েছিল যে অবৈধভাবে যে সব অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বসবাস করছে দিল্লিতে, তাদের শনাক্ত করতে হবে। এরপরেই অপারেশনে নামে পুলিশ।

    কী বলছেন দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) উচ্চ পদস্থ কর্তা 

    দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) এক উচ্চপদস্থ কর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই ধরনের অভিযান করতে স্থানীয় থানা থেকেও পুলিশ আধিকারিকদের যেমন প্রতিনিধি হিসেবে রাখা হয়েছে, তেমনি জেলার স্তরেও প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে ফরেন সেলকেও। এই সব কিছু মিলিয়ে একটা টিম তৈরি করা হয়। পুলিশের এই দল প্রত্যেক বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে এবং তাদের বৈধ নথিপত্র পরীক্ষা করে। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রে স্থানীয় ইনফর্মারদেরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    আগামীদিনেও চলবে এমন অভিযান

    তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা (Delhi Police) এই সব ডকুমেন্টগুলি পরীক্ষা করেন। পরে ক্রস চেকিং করা হয় সেগুলিকে। তথ্য নেওয়া হয় সন্দেহভাজনদের (Bangladeshi) প্রতিবেশী এবং স্থানীয় ইনফরমারদের কাছ থেকেও। জানা গিয়েছে, যে ১৭৫ জন অনুপ্রবেশকারী বৈধ কোনও কাগজপত্রই দেখাতে পারেনি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশের কর্তারা সংবাদ মাধ্যমকে এও জানিয়েছেন যে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। কারণ যেখানে দেশের স্বার্থ জড়িয়ে আছে, সেই সেই সব ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে। এই অপারেশন চলতেই থাকবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mini Pakistan: হিন্দুরা চলে যাচ্ছেন, মিনি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে আলিগড়ের বানিয়াপাড়া!

    Mini Pakistan: হিন্দুরা চলে যাচ্ছেন, মিনি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে আলিগড়ের বানিয়াপাড়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিগড়ের (Aligarh) বানিয়াপাড়া থেকে একে একে করে সরে যাচ্ছে হিন্দু পরিবার। এক সময় এই এলাকাকে বলা হত শহরের বৃন্দাবন। ১২টি প্রাচীন মন্দিরের জন্য এই (Mini Pakistan) এলাকা বিখ্যাত। এখানেই রয়েছে বাঁকে বিহারীর মন্দির। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তাহীনতা ও সাম্প্রদায়িক অশান্তির কারণে এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন হিন্দুরা।   

    মন্দির নগরী বানিয়াপাড়া (Mini Pakistan)

    দিল্লি গেট থানার অন্তর্গত বানিয়াপাড়া ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় দিক থেকে বিশাল গুরুত্ব বহন করে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন মন্দির। এর মধ্যে রয়েছে গোবিন্দজির মন্দির, লক্ষ্মণজির মন্দির, সত্যনারায়ণজির মন্দির, শনিদেবের মন্দির এবং তিনটি দেবী মন্দির। বাঁকে বিহারীর মন্দিরও রয়েছে এই এলাকায়। বৃন্দাবনের শ্রদ্ধেয় সন্ন্যাসী হরিদাসজির সঙ্গে সম্পৃক্ত এই মন্দির। এই এলাকাটি হরিদাস নগর নামে পরিচিত। এখানে পাঁচটি প্রাচীন কুয়া রয়েছে, যা এখনও ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হয়।

    মুসলমানের বাড়বাড়ন্ত

    একসময় এই এলাকায় বাস (Mini Pakistan) ছিল বৈশ্য ও ব্রাহ্মণ পরিবারের। গত কয়েক বছরে এর জনসংখ্যার গঠনে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বাড়তে থাকা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও ইসলামিক বসতি বৃদ্ধির কারণে হিন্দু পরিবারগুলির মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রায় ২৫০টি হিন্দু পরিবারের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রায় এক ডজন পরিবার তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। সেগুলো এখন তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ডেমোগ্রাফিক ডেটা তৈরির আহ্বান অমিত শাহের

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঁকে বিহারী মন্দির দেখতে এক সময় দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসতেন এখানে। সাম্প্রদায়িক হিংসার জেরে ইদানিং কমে গিয়েছে ভক্তদের আনাগোনা। বনিয়াপাড়ার পরিস্থিতি আরও জটিল।  কারণ এলাকার শ্যাম চৌক ও চিরাগ চিয়ানের মতো এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। স্থানীয় হিন্দু পরিবারগুলি নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।বনিয়াপাড়ার জনসংখ্যা হ্রাস শুধু এক স্থানান্তরের গল্প নয়, এটি তার ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য রক্ষার চ্যালেঞ্জগুলির একটি স্মারকও। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে টিকে থাকা প্রাচীন মন্দির ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলি এখন অবহেলা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে (Aligarh)। ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা (Mini Pakistan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal: সম্ভলে ১৫০ বছরের পুরানো কূপে খনন কাজ চালাচ্ছে এএসআই

    Sambhal: সম্ভলে ১৫০ বছরের পুরানো কূপে খনন কাজ চালাচ্ছে এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে (Sambhal) ৪৬ বছর পর শিব-হনুমান মন্দির পুনরায় খোলার পরে, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI) বিভাগের খনন কাজের ফলে চান্দৌসি এলাকায় একটি কূপ আবিষ্কার হয়েছে। এই কূপটি অতি প্রাচীন বলে মনে করা হয়েছে। উল্লেখ্য এই এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। এখানে ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎ চুরি হওয়ার কারণে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালালে হিন্দু মন্দির এবং কূপের সন্ধান মেলে।

    মার্বেল ও ইট দিয়ে তৈরি তল (Sambhal)

    সম্ভল (Sambhal) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেন্দ্র পেনসিয়া বলেন, “কূপটি প্রায় ৪০০ বর্গ মিটার এলাকা নিয়ে বিস্তৃত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে চারটি কক্ষ রয়েছে। সেই সঙ্গে স্থাপনাটিতে মার্বেল দিয়ে তৈরি কয়েক তলা নির্মাণ করা অবস্থায় রয়েছে। সমীক্ষায় এটিকে ‘আহ-বাওলি তালাব’-এর নামে নথিভুক্ত করা হয়েছে। বলা হয় যে এই বাওলিটি বিলারির রাজার পিতামহের সময়ে নির্মিত হয়েছিল। মার্বেল এবং উপরের তলা ইট দিয়ে তৈরি হয়েছে কূপটি। বিষয়টি সরকারি নজরে আনা হয়েছে এবং পুরো কাঠামোটি উন্মোচনের (ASI) পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক সফর! ভারত কুয়েতের মধ্যে ৪টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত

    ১৫০ বছরের পুরাতন কূপ

    জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেন্দ্র আরও বলেছেন, “কূপের কাঠামোটি সম্পূর্ণ কাদায় আচ্ছাদিত হয়ে রয়েছে, তাই পুরনিগমের কর্মীরা উপরের মাটি অপসারণের কাজ করছে। বর্তমানে মাত্র ২১০ বর্গ মিটার বাইরে রয়েছে এবং বাকি অংশ দখল করা হয়েছে। দ্রুত এলাকায় অবৈধ দখল অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই কূপের কাঠামোটি আনুমানিক ১৫০ বছরেরও বেশি পুরানো হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।”

    পুরনিগমের (Sambhal) নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার সোনকার বলেছেন, “এখানে আগে হিন্দুদের বাসস্থান ছিল। মাটির নীচে একটি বড় কূপ রয়েছে। খননের কাজ চলছে। আমরা দ্রুত সেটি উদ্ধার করব। এটি উদ্ধার হলে আরও নানা তথ্য মিলবে। ” জেলার অন্য আর এক জায়গায় এএসআই পাঁচটি মন্দির এবং ১৯টি কূপের সমীক্ষার (ASI) কাজও করছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tripura: দেশের প্রথম জৈব গ্রাম ত্রিপুরার দাসপাড়া, বায়োগ্যাসে রান্না, সৌরচালিত সরঞ্জাম

    Tripura: দেশের প্রথম জৈব গ্রাম ত্রিপুরার দাসপাড়া, বায়োগ্যাসে রান্না, সৌরচালিত সরঞ্জাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার (Tripura) সিপাহিজলা জেলার ৬৪টি পরিবারের একটি ছোট্ট গ্রাম নয়া নজির তৈরি করেছে। এই জনপদ দেখিয়েছে উদ্যোগ নিলে কীভাবে পরিবেশবান্ধব ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে কোনও গ্রাম। ভারতের প্রথম স্বনির্ভর জৈব গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ত্রিপুরার দাসপাড়া (Indias First Bio Village)। পুনর্নবীকরণ শক্তির উৎস, পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতির মেলবন্ধনে দাসপাড়া হয়ে উঠতে পেরেছে দেশের প্রথম স্বনির্ভর জৈব গ্রাম।

    বায়ো ভিলেজ- ২.০ কর্মসূচি প্রথম চালু করা হয়েছিল ২০১৮ সালে (Tripura)

    প্রসঙ্গত, বায়ো ভিলেজ- ২.০ কর্মসূচি প্রথম চালু করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। ত্রিপুরা সরকারের এমন কর্মসূচি নেওয়ার পিছনে উদ্দেশ্য ছিল জৈব চাষের প্রচার করা। প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ছিল উন্নত প্রজাতির গবাদি পশুর চাষ, সৌর চালিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং শক্তি সংরক্ষণ করতে পারে এমন বৈদ্যুতিক ডিভাইস। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা রাজ্যের (Tripura) ছোট্ট গ্রাম হল দাসপাড়া। এখানকার ৭৫ শতাংশ মানুষই কৃষি ও মৎস্য চাষের ওপর নির্ভরশীল। তাঁরা বিভিন্ন জৈব পদ্ধতিকে এখানে গ্রহণ করেছেন। ফলে সেখানকার গ্রামবাসীরা দূষণবিহীন একটি পরিবেশ উপভোগ করতে পারছেন। মাটি থেকে জল, হাওয়া সবকিছুই এখানে বিশুদ্ধ।

    বাড়িগুলিতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন সৌর চালিত সরঞ্জাম

    কৃষির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে দাসপাড়ার বাড়ি এবং মাঠগুলিও পরিবেশ বান্ধব ও শক্তির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বাড়িগুলিতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন সৌর চালিত সরঞ্জাম। গৃহস্থরা ব্যবহার করেন বায়োগ্যাস সিস্টেম। দাসপাড়ার মানুষজন বায়োগ্যাসকে ব্যবহার করেন তাড়াতাড়ি এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য বানানোর জন্য। এরই মাধ্যমে কার্বনের ব্যবহারও অনেকাংশ কমে গিয়েছে সেখানে এবং একটি বিকল্প রান্না পদ্ধতিরও (Indias First Bio Village) সন্ধান দিতে পেরেছে দাসপাড়া।

    বেড়েছে রোজগার

    জৈব গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া দাসপাড়া (Tripura) অর্থনৈতিকভাবেও উন্নত হয়েছে। পুনর্নবীকরণ শক্তির ব্যবহার, জৈব পদ্ধতিতে চাষ-আবাদের ফলে দাসপাড়ার প্রত্যেকটি বাড়ির রোজগার ৫ থেকে ১৫  হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একইসঙ্গে জৈব পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে দাস পাড়ার মানুষজনের খাদ্য নিরাপত্তাও এসেছে। নতুন পদ্ধতিতে, কৃষকদের চাষের দক্ষতাও বেড়েছে। মৌমাছি প্রতিপালন, মাশরুম চাষ ইত্যাদিও করেন দাসপাড়ার মানুষজন।

    ১০০টি জৈব গ্রাম তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার

    জৈবগ্রাম হিসেবে দাসপাড়া নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনেরও। লন্ডনের ক্লাইমেট গ্রুপ নামের একটি এনজিও, দাসপাড়ার পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিগুলিকে বিশ্বের ১০টি সবথেকে বেস্ট প্র্যাকটিসের মধ্যে অন্যতম বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। দাসপাড়ার এমন সাফল্য, ত্রিপুরায় অন্যান্য জৈবগ্রাম গড়ে তুলতে সাহায্য করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্রের খবর, ত্রিপুরা সরকার ১০০টির মতো জৈবগ্রাম তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। বর্তমানে সেখানে জৈবগ্রাম রয়েছে দশটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share