Tag: news in bengali

news in bengali

  • Vikram Misri: ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, জানাল বিদেশ মন্ত্রক

    Vikram Misri: ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, জানাল বিদেশ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ (Bangladesh) সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে চলছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননাও হচ্ছে। গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। তার জেরে তপ্ত বাংলাদেশ। এহেন আবহে পড়শি দেশে যাচ্ছেন বিক্রম। শুক্রবার বিক্রমের বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করা হয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশমন্ত্রকের কার্যনির্বাহী সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিক্রম। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ভারতের বিদেশ সচিব।

    কী বললেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র (Vikram Misri)

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আগামী ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন বিদেশ সচিব। তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য – ফরেন অফিস কনসালটেশন। বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার এটা আমাদের প্রয়াস।” তিনি বলেন, “সেখানে বাংলাদেশের বিদেশ সচিবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ জড়িত এমন সব ইস্যুতে আলোচনা হবে। শুধু বাংলাদেশের বিদেশ সচিবের সঙ্গে নয়, বিক্রম মিস্রি আরও একাধিক বৈঠক করবেন।” চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “চিন্ময় দাসের আইনি অধিকার নিশ্চিত করা হবে।” বিদেশ মন্ত্রকের আশা, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বিচার হবে।

    আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    তপ্ত আবহেই ঢাকা যাচ্ছেন বিক্রম

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তী কালে অভিযোগ ওঠে, আদালতে মামলা লড়ার সুযোগও পাননি চিন্ময়। তাঁর হয়ে যাঁরা মামলা লড়তে চেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকের (Vikram Misri) ওপর হামলা হয়েছে। হামলা হয়েছে চিন্ময়ের আইনজীবীর ওপরও। তাঁর হয়ে যাতে কোনও আইনজীবী সওয়াল না করেন, তা নিশ্চিত করতে রীতিমতো হুমকিও দেয় কট্টরপন্থীরা। যার জেরে চিন্ময়ের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলা মুলতুবি করে দেওয়া হয় এক মাসের জন্য। এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতের তরফে ইউনূস প্রশাসনের প্রতি বিশেষ বার্তাও পাঠানো হয়। এহেন আবহেই ঢাকা সফরে যাচ্ছেন (Bangladesh) ভারতের বিদেশ সচিব (Vikram Misri)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 212: “রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে, নূতন বাঘটা বললে, বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা..বনে চলে আয়”

    Ramakrishna 212: “রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে, নূতন বাঘটা বললে, বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা..বনে চলে আয়”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    মণিলাল প্রভৃতি সঙ্গে — ঠাকুর “অহেতুক কৃপাসিন্ধু”

    আহারের পর ঠাকুর একটু বিশ্রাম করিতেছেন। গাঢ় নিদ্রা নয়, তন্দ্রার ন্যায়। শ্রীযুক্ত মণিলাল মল্লিক (পুরাতন ব্রহ্মজ্ঞানী) আসিয়া ঠাকুরকে (Ramakrishna) প্রণাম করিলেন ও আসন গ্রহণ করিলেন। ঠাকুর তখনও শুইয়া আছেন। মণিলাল এক-একটি কথা কহিতেছেন। ঠাকুরের অর্ধনিদ্রা অর্ধজাগরণ অবস্থা। এক-একবার উত্তর দিতেছেন (Kathamrita)।

    মণিলাল—শিবনাথ নিত্যগোপালকে সুখ্যাতি করেন। বলেন, বেশ অবস্থা।

    ঠাকুর তখনও শুইয়া—চক্ষে যেন নিদ্রা আছে। জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “হাজরাকে ওরা কি বলে?” ঠাকুর উঠিয়া বসিলেন। মণিলালকে ভবনাথের ভক্তির কথা বলিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—আহা, তার কি ভাব! গান না করতে করতে চক্ষে জল আসে। হরিশকে দেখে একেবারে ভাব। বলে, এরা বেশ আছে। হরিশ বাড়ি ছেড়ে এখানে মাঝে মাঝে থাকে কিনা।

    মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “আচ্ছা ভক্তির কারণ কি? ভবনাথ এ-সব ছোকরার কেন উদ্দীপন হয়?”

    মাস্টার চুপ করিয়া আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কি জানো? মানুষ সব দেখতে একরকম, কিন্তু কারুর ভিতর ক্ষীরের পোর! যেমন পুলির ভিতর কলাইয়ের ডালের পোরও থাকতে পারে, ক্ষীরের পোরও থাকতে পারে, কিন্তু দেখতে একরকম। ঈশ্বর জানবার ইচ্ছা, তাঁর উপর প্রেমভক্তি — এরই নাম ক্ষীরের পোর।

    গুরুকৃপায় মুক্তি ও স্বরূপদর্শন—ঠাকুরের অভয়দান 

    এইবার ঠাকুর ভক্তদের অভয় দিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মাস্টারের প্রতি)—কেউ কেউ মনে করে, আমার বুঝি জ্ঞানভক্তি হবে না, আমি বুঝি বদ্ধজীব। গুরুর কৃপা হলে কিছুই ভয় নাই। একটা ছাগলের পালে বাঘ পড়েছিল। লাফ দিতে গিয়ে, বাঘের প্রসব হয়ে ছানা হয়ে গেল। বাঘটা মরে গেল, ছানাটি ছাগলের সঙ্গে মানুষ হতে লাগল। তারাও ঘাস খায়, বাঘের ছানাও ঘাস খায়। তারাও “ভ্যা ভ্যা” করে, সেও “ভ্যা ভ্যা” করে (Kathamrita)। ক্রমে ছানাটা খুব বড় হল। একদিন ওই ছাগলের পালে আর-একটা বাঘ এসে পড়ল। সে ঘাসখেকো বাঘটাকে দেখে অবাক্‌! তখন দৌড়ে এসে তাকে ধরলে। সেটাও “ভ্যা ভ্যা” করতে লাগলে। তাকে টেনে হিঁচড়ে জলের কাছে নিয়ে গেল। বললে, “দেখ, জলের ভিতর তোর মুখ দেখ—ঠিক আমার মতো দেখ। আর এই নে খানিকটা মাংস—এইটে খা।” এই বলে তাকে জোর করে খাওয়াতে লাগল। সে কোন মতে খাবে না—“ভ্যা ভ্যা” করছিল। রক্তের আস্বাদ পেয়ে খেতে আরম্ভ করলে। নূতন বাঘটা বললে, “এখন বুঝিছিস, আমিও যা তুইও তা; এখন আয় আমার সঙ্গে বনে চলে আয়।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করবে যোগী প্রশাসন

    Mahakumbh 2025: প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করবে যোগী প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) মেলায় হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হবে। গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর মিলন সঙ্গমে ত্রিবেণীতে পুষ্প বর্ষণ করে আধ্যাত্মিক পরিবেশকে আরও চমকপ্রদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পুরাণে উল্লেখ রয়েছে দেবতা এবং অসুরের মিলিত চেষ্টায় সমুদ্র মন্থনের ফলে যে অমৃত উৎপন্ন হয়েছিল, সেই অমৃতের একটি ফোঁটা এই সঙ্গমস্থলে পড়েছিল। তাই এই প্রয়াগরাজের (Prayagraj) পুণ্যভূমিতে স্নান করলে হিন্দু শাস্ত্র মতে সকল পাপের বিনাশ হয় এবং মোক্ষ প্রাপ্তি হয়।

    যোগী উদ্যোগ নিয়েছেন (Mahakumbh 2025)

    এই বছর প্রয়াগরাজে (Prayagraj) মহাকুম্ভকে (Mahakumbh 2025) পূর্ণ কুম্ভ যোগও বলা হয়। ১২ বছর পরপর যে কুম্ভ হয় তাই এবার অনুষ্ঠিত হবে উত্তরপ্রদেশে। মেলার প্রস্তুতি এখন জোর কদমে চলছে। উদ্বোধনে মেলার আধ্যাত্মিক পরিবেশকে আরও চিত্তাকর্ষণীয় করতে এইবারে আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হবে। এই কর্মকাণ্ডকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়ে করার নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতীয় হিন্দুদের মহামিলন ক্ষেত্র হল এই কুম্ভমেলা। এই মেলার আভা এবং মহিমাকে বৃদ্ধি করতে এই বিশেষ ভাবনা বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশকে ভাগ করে পৃথক হিন্দুদেশ গড়ার দাবি ভারতের প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    প্রশাসনের বক্তব্য

    প্রয়াগরাজের (Prayagraj) বিভাগীয় কমিশনার বিজয়কান্তি বিশ্বাস পন্ত জানিয়েছেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে অতীতেও কুম্ভ মেলা, মাঘ মেলা এবং কানওয়ার যাত্রায় অসংখ্য ধর্মীয় তীর্থযাত্রীদের উপর পুষ্পবৃষ্টি করে শোভা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এবার এই ঐতিহ্যের প্রথাকে আসন্ন মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) মেলায়ও পালন করা হবে। তবে এই পুষ্প বর্ষণ কেবল মাত্র সঙ্গমের ঘাটেই করা হবে না, মেলা প্রাঙ্গণে গঙ্গার সমস্ত ঘাটে এই পুষ্পবৃষ্টি করা হবে।”

    মেলার প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে

    উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে যোগীর সরকার গঠনের পর থেকেই ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক নানা ক্ষেত্রে একাধিক বড় বড় পদক্ষেপ দেখা গিয়েছে। ধর্ম জাগরণ, সংস্কৃতির পুনঃস্মরণ, মঠ মন্দিরকে সংরক্ষণ করা সহ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে যোগী সরকারকে। তবে প্রশাসনিক ভাবে বলা হয়েছে, আসন্ন মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) মেলায় দেশে-বিদেশ থেকে আনুমানিক ৪০ কোটি মানুষের জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মেলার প্রস্তুতিকে ঘিরে নিরাপত্তা, সুরক্ষা-সহ একাধিক পরিষেবার কাজ চূড়ান্ত বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Office Schemes: পোস্ট অফিসে এখন ঝুঁকি ছাড়াই পাবেন ৭-৮ শতাংশ সুদ, জেনে নিন এই স্কিমগুলি

    Post Office Schemes: পোস্ট অফিসে এখন ঝুঁকি ছাড়াই পাবেন ৭-৮ শতাংশ সুদ, জেনে নিন এই স্কিমগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি শেয়ার বাজারে অস্থিরতা থেকে সরকারি প্রকল্পে (Post Office Schemes) টাকা বিনিয়োগ করে বেশি পরিমাণের রিটার্ন পেতে চাইছেন? তাহলে আজই পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করুন। কোনও রকম ঝুঁকি ছাড়াই (Without Risk) পাবেন ৭-৮ শতাংশের বেশি সুদ। পোস্ট অফিসে এরকম আকর্ষণীয় ৮টি স্কিম রয়েছে। আসুন জেনে নেই স্কিমগুলি সম্পর্কে।

    স্কিম গুলি কী কী

    পোস্ট অফিসে (Post Office Schemes) যে ৮ প্রকার স্কিমগুলি রয়েছে তা হল-পিপিএফ (পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড), মাসিক আয় অ্যাকাউন্ট, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম, পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (এনএসসি), কিষাণ বিকাশ পত্র (কেভিপি) এবং সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট (এসএসএ)। এই স্কিমগুলিতে বিনিয়োগকারীরা সুদের আয় থেকে আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-র অধীনে এক বছরে ১.৫ লক্ষ পর্যন্ত ছাড়ের সুবিধা পেতে পারেন। প্রকল্পগুলিতে সাধারণ স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের অন্তর্গত।

    পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (Post Office Schemes)

    এই স্কিমে (Post Office Schemes) প্রতি বছর ৭.১ শতাংশ সুদ প্রদানের কাজ করে থাকে। আর্থিক বছরে সর্বনিম্ন বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ। পিপিএফ থেকে টাকা তোলার জন্য বিধিনিষেধ রয়েছে। কারণ গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খোলার বছর বাদ দিয়ে পাঁচ বছর পর টাকা তুলতে পারেন। এখানে টাকা তোলার পরিমাণ নির্ভর করে চতুর্থ বছরের শেষে বা তার আগের বছরের শেষে জমার পরিমাণে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।

    মাসিক আয় অ্যাকাউন্ট

    এই স্কিমে (Post Office Schemes) ৭.৪ শতাংশ সুদ দেয়। ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০০ টাকা৷ একটি মাসিক আয়ের অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক বিনিয়োগের পরিমাণ সিঙ্গল অ্যাকাউন্টে ৯ লাখ এবং জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ।

    সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম

    এই স্কিমে (Post Office Schemes) বার্ষিক ৮.২ শতাংশ সুদ দেয়। অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখের বেশি রাখা যাবে না। ১০০০ টাকা গুণিতকে এককালীন বিনিয়োগ করা যায়।

    পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট

    এই প্রকল্পে ব্যক্তিগত বা যৌথ অ্যাকাউন্টে (Post Office Schemes) বার্ষিক ৪ শতাংশ করে রিটার্ন দেয়। তবে খাতা খোলার জন্য সর্বনিম্ন ৫০০ টাকার প্রয়োজন।

    আরও পড়ুনঃ সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ?

    পোস্ট অফিস রেকারিং অ্যাকাউন্ট

    এই স্কিমে বার্ষিক ৬.৭ শতাংশ করে সুদ (Without Risk) দিয়ে থাকে। তবে কেউ কেউ সর্বনিম্ন ১০০ জমা করতে পারে। তবে এখানে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা নেই।

    ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট

    এই স্কিমে (Post Office Schemes) বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি ৭.৭ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়। একজন সর্বনিম্ন ১০০০ বিনিয়োগ করতে পারেন। এখানে অবশ্য সর্বোচ্চ জমার কোনও সীমা নেই।

    সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট

    এটি বার্ষিক ৮.২ শতাংশ সুদ দেয়। একজন আর্থিক বছরে সর্বনিম্ন ২৫০ এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ জমা করতে পারবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vijay Diwas 2024: সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ?

    Vijay Diwas 2024: সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ?

    সুশান্ত দাস

     

    আশঙ্কা ছিল। এবার তৈরি হল ধোঁয়াশা। প্রতি বছর ’৭১-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন উদযাপন করতে ‘বিজয় দিবস’ (Vijay Diwas 2024) পালন করে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। বিশেষ করে এই দিনটির উদযাপনে বাড়তি উদ্দীপনা দেখা যায় কলকাতাস্থিত সেনার ইস্টার্ন কমান্ডে (Army Eastern Command)। কারণ, এই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর (1971 Victory Day) ইস্টার্ন কমান্ডের তৎকালীন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার সামনে আত্মসমর্পণ করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে নিয়াজি। 

    ভারতীয় সেনার পাক-জয়ের বর্ষপূর্তি

    ভারতীয় সেনার পাক-জয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের স্মরণে প্রতি বছর নিয়ম করে এই দিবস (Vijay Diwas 2024) পালিত হয়ে আসছে। আর এই উৎসবে যোগ দিতে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের (Bangladeshi Muktijoddhas) দল, বাংলাদেশ সেনার পদস্থ কর্তারা এবং তাঁদের পরিবার-পরিজন উপস্থিত হন কলকাতায়। এমনকী, উপস্থিত থাকেন সেদেশের মন্ত্রী থেকে শুরু করে কলকাতাস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার। 

    ‘‘এ বিষয়ে পরে জানানো হবে’’

    কিন্তু, এ বছর ছন্দপতন। কারণ, আগামী ১৬ ডিসেম্বর, ভারতীয় সেনার আয়োজিত বিজয় দিবসের (Vijay Diwas 2024) অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কোনও প্রতিনিধিদল হয়ত আসছে না। হয়ত, এই শব্দ ব্যবহার করতে হল কারণ, শুক্রবার সেনার তরফে স্পষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি এ বিষয়ে। এদিন কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামস্থিত সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের কর্তা মেজর জেনারেল অফ জেনারেল স্টাফ (এমজিজিএস) মোহিত শেঠকে আসন্ন বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি ছোট্ট উত্তরে বলেন, ‘‘এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।’’ ফলত, সেনার এই কথায় ধোঁয়াশা জিইয়ে থাকল।

    বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল আসবে কি?

    তবে, সেনার অন্য সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বছর বিজয় দিবস (Vijay Diwas 2024) অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনী বা বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনা কার্যত নেই। ফোর্ট উইলিয়ামের এক সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও), বিদেশ মন্ত্রক বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এখনও কোনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি। কোনও বার্তা আসেনি বাংলাদেশের তরফেও। ফলে, বিষয়টা কার্যত পরিষ্কার যে— ভারতীয় সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ। 

    উপস্থিত না থাকার কারণ?

    উপস্থিত না থাকার কারণ? সেটা আরও পরিষ্কার। ফোর্ট উইলিয়ামের কোনও সেনাকর্তা এ বিষয়ে মুখ না খুললেও, তা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্স জানার প্রয়োজন নেই। কারণটা অবশ্যই, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলা কূটনৈতিক টানাপোড়েন। যার শুরুটা হয়েছিল শেষ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই। পরবর্তীকালে, যা আরও জটিল আকার ধারণ করে যখন প্রতিবেশি রাষ্ট্রে নির্বিচারে হিন্দু-নিধন ও নিপীড়ন শুরু করে দেয় কট্টরপন্থী ইসলামি মৌলবাদীরা। হামলা চলেছে মন্দিরে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিগ্রহ। লোপাট হচ্ছে গয়না। ভূলুণ্ঠিত হিন্দু মা-বোনেদের আব্রু। যত্রতত্র লুটপাট করা হয়েছে হিন্দুদের সম্পত্তি। নির্বিচারে হত্যালীলা চলেছে। কোথাও জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, যখন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় দাস প্রভুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীর মামলা ঠুকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কারণ, তিনি সেদেশে অত্যাচারিত ও দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হিন্দুদেরকে লড়াইয়ের সাহস জুগিয়েছিলেন। অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য হিন্দুদেরকে আহ্বান করেছিলেন চিন্ময়। ভারতের তরফে তাঁর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করা হয়। 

    বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ বৃদ্ধি

    শুধু সেদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের ওপর মৌলবাদীরা হামলা চালাচ্ছে তাই নয়। পদ্মাপাড়ে ক্রমাগত বাড়তে থাকা ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের ঘটনাতেও অসন্তুষ্ট দিল্লি। সম্প্রতি, সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে যে, সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ভারতীয় পতাকা সকলে পায়ে মাড়িয়ে তার ওপর দিয়ে হাঁটছে। আবার, আগরতলা থেকে কলকাতাগামী বাসে হামলা চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। বাসে ভারতীয় যাত্রীদের হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রভাব গিয়ে পড়ে আগরতলায়। হামলার প্রতিক্রিয়ায় আগরতলাস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাই-কমিশনের দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে উত্তেজিত জনতা (Vijay Diwas 2024)। কয়েকজন ভিতরেও ঢুকে পড়ে। ভারত কিন্তু, এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেও, বাসে হামলার ঘটনায় কোনও দুঃখপ্রকাশ করেনি বর্তমানে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তদারকি সরকার। এখানে এখন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করছে পাকিস্তান। যাদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে একাত্তরে যুদ্ধ (1971 Bangladesh Liberation War) করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল সেদেশের মানুষ। বাংলাদেশের বন্দরে এখন আসছে পাকিস্তানের জাহাজ। ৫৩ বছরে এই প্রথম। কারণ, এই বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশ নয়। বর্তমানে তারা পুরোটাই চালিত হচ্ছে মৌলবাদী জামাত ও কট্টরপন্থী বিএনপির নির্দেশমতো।

    ভুল বার্তা এড়াতেই কি?

    এই পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থেকে থাকে, তাহলে তা আদ্যান্ত যথার্থ। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের মধ্যে, বিশেষ করে বঙ্গবাসীদের ও বাংলাভাষীদের মধ্যে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ নিয়ে একটা নেতিবাচক ভাবধারা জন্মেছে। অধিকাংশের মনে রাগ, ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, সেনার অনুষ্ঠানে (Vijay Diwas 2024) বাংলাদেশের উপস্থিত হলে হয়ত একটা ভুল বার্তা যেত জনমানসে। দেশের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা বিলক্ষণ জানেন ও বোঝেন যে, দেশবাসীর ভাবাবেগে অবশ্যই আঘাত লাগবে। ফলে, অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য তাঁরা যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে, তা সমর্থনযোগ্য। 

    দুদেশের কূটনৈতিক যুদ্ধ

    সেনার এক প্রাক্তন কর্তা দাবি করেন, মুক্তিযোদ্ধারা (Bangladeshi Muktijoddhas) বর্তমান বাংলাদেশে আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা কেউ আসতে চাইছেন না। বা আসা সম্ভব নয়। এটা আংশিক সত্য হলেও, পুরোটা নয়। কারণ, মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যক্তিগতস্তরে আমন্ত্রণ পাঠানো হয় না। যা করা হয়, ভারতের প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে। ফলত, যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই মুহূর্তে সৌহার্দ্যের সম্পর্ক কার্যত রসাতলে, যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক যুদ্ধ চলছে, তাদের এই আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর কোনও গ্রহণযোগ্য যুক্তি নেই। যে দেশে ভারতীয় পতাকার অসম্মান হয়, বিজয় দিবসের (Vijay Diwas 2024) উদযাপনে সেই দেশের প্রতিনিধিদলকে এদেশে ডেকে এনে অতিথি আপ্যায়ন করার কোনও প্রয়োজন আছে কি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahaparinirvan Diwas: আম্বেদকরের কাছে ভারতীয় আধ্যাত্মবাদই সামজিক সাম্যতার মূলসূত্র, মার্কসবাদ নয়, কেন জানেন?

    Mahaparinirvan Diwas: আম্বেদকরের কাছে ভারতীয় আধ্যাত্মবাদই সামজিক সাম্যতার মূলসূত্র, মার্কসবাদ নয়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৬ ডিসেম্বর বাবা সাহেব আম্বেদকরের (Dr. Ambedkar) মহাপ্রয়াণ দিবস (Mahaparinirvan Diwas)। তিনি ভারতের সংবিধানের খসড়া রচনা করে পিছিয়ে থাকা বর্গের মানুষের অধিকার এবং কর্তব্য নিয়ে দীর্ঘ সংগ্রাম করেছিলেন। সামাজিক বৈষম্য, ন্যায় বিচার, জাতপাত, অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন করেছিলেন। আজের দিনকে তাই সামাজিক সমতা দিবসও বলা হয়। তাঁকে পণ্ডিত নেহেরু পরিচালিত কংগ্রেস সরকার সেই মান্যতা কোনও দিন দেয়নি। তবে তিনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করলেও, ভারতীয় সংস্কৃতিকে ত্যাগ করেননি, বৌদ্ধ ধর্মকে গ্রহণ করেছিলেন। একই ভাবে পাশ্চাত্য মার্কসবাদ এবং কমিউনিজেমের মিথ্যাচার, বৈষম্য, বিভাজন, লিঙ্গ বৈষম্যের, পুঁজিবাদ, শ্রেণী শত্রুর মতো ভাবনার বিরুদ্ধে নিজের স্পষ্ট মত রেখেছিলেন।

    ভারতীয় সভ্যতার একটা গড়ন রয়েছে (Mahaparinirvan Diwas)

    বাবা সাহেব (Mahaparinirvan Diwas) খুব নিবিড় ভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন যে ভারতের সংস্কৃতি, সমাজতত্ত্ব, দর্শন, আধাত্মবাদকে পাশ্চাত্য ভাবনার আদলে দেখলে চলবে না। প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের ভূ-খণ্ডের স্থান-কাল-পাত্র এক রকম নয়। মার্কসের শ্রেণী সংগ্রাম, ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ, পুঁজি, উদ্বৃত্ত মূল্য, শ্রেণী শোষণের এবং দুনিয়ার মজদুর এক হও – এই সব ভাবনা দিয়ে ভারতীয় সমাজ-সংস্কৃতি এবং জীবন অভিপ্রায়কে বোঝা সম্ভব নয়। পুঁজিবাদকে উৎখাত করতে শ্রেণী সংগ্রাম, বিপ্লবের ভাবনা ইউরোপে কাজ করলেও ভারতবর্ষের সমাজ মনের পরিবর্তন এই ভাবে সম্ভব নয়। ভারতীয় জতি, বর্ণ, ধর্মের নানা সাংস্কৃতিক স্তরের মাত্রা রয়েছে। ভারতীয় সভ্যতার নিজেস্ব কিছু মানদণ্ড রয়েছে তাকে নজর না রেখে পাশ্চাত্য ভাবনাকে চাপিয়ে দেওয়াকে কোনও দিন ঠিক বলে মনে করতেন না বাবা সাহেব (Dr. Ambedkar)। কারণ ভারতীয় সভ্যতার নিজেস্ব গড়ন রয়েছে। ভারতীয় সমাজের সমস্যাকে সমাধান করতে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন।

    কমিউনিজেম সামজিক বৈষম্যের জন্মদেয়

    মার্কসবাদী তাত্ত্বিকেরা বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে সমাজের সাম্যতাকে ব্যাখ্যা করে থাকেন। কিন্তু বাবা সাহেব (Dr. Ambedkar) মানতেন যে বৌদ্ধ ধর্মের সাম্য, করুণা, অহিংসার সঙ্গে কমিউনিজেম বা মার্কসবাদের তেমন কোনও সামঞ্জস্য নেই। কারণ মার্কসবাদ যেভাবে সামাজিক অর্থনীতি, শ্রমিক, পুঁজিবাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নির্মাণ করে শ্রেণীশোষণকে হাতিয়ার করে বিপ্লববাদের জন্ম দিয়ে পরিবর্তন আনতে চায়, তাতে কতকগুলি আরও গভীর সমস্যার জন্ম দেয়। সমাজের সর্বহারা তত্ত্বের মধ্যে দিয়ে এক বর্গের মানুষের সঙ্গে অপর আরেক বর্গের মানুষের মধ্যে বিরাট প্রভেদ সৃষ্টি হয়। এই আর্থিক পরিবর্তন এবং বিপ্লবের সঙ্গে বৌদ্ধধর্মের অহিংসা, সাম্য এবং করুণার কোনও সম্পর্ক নেই। কামিউনিজেম দ্বারা সামাজিক বর্ণ বৈষম্য, জাতি বৈষম্য এবং আর্থিক বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পায়। হিংসা বাড়ে, বিপ্লবের নামে যুদ্ধ সংগ্রাম হয়। সমাধানের কোনও রাস্তা আসে না। অপর দিকে বৌদ্ধ ধর্ম অনেক বেশি শান্তিপূর্ণ সামাজিক অবস্থানের কথা বলে। নির্বাণ (Mahaparinirvan Diwas) বা মুক্তি বা সংযম ব্যক্তি নির্ভর, তা ব্যক্তি থেকে সমাজের মুক্তির কথা বলে।

    আধ্যাত্মবাদের মধ্যে কীভাবে লুকিয়ে রয়েছে সাম্যবাদ

    বাবা সাহেব (Dr. Ambedkar) বৌদ্ধ ধর্মের প্রাসঙ্গিকতাকে ভারতের জন্য আদর্শ বলে মনে করেছিলেন। কারণ এই ধর্ম অশান্তি নয় সম্প্রীতি এবং অহিংসার কথা বেশি বলে। সামাজিক ন্যায় বিচার সহানুভূতি দিয়ে আন্তরিক কাঠামোকে নির্মাণ করা প্রয়োজন। সাম্য এবং ভাতৃত্বনীতির উপর মূল্যবোধের কাঠামোকে নির্মাণ করতে হবে। তিনি বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে বলেছিলেন, “বৌদ্ধধর্ম হল একটি সর্ব শ্রেষ্ঠ উপহার, যা ভারত বিশ্ববাসীকে দিয়েছে। এই ধর্ম আমাদের শেখায় যে অসমতার নিরাময় হিংসার দ্বারা নয়, পরস্পরের মধ্যে শান্তি, ভালোবাসা এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে সম্ভব।” ফলে বৌদ্ধ ধর্মই পারে একমাত্র সামাজিক ভাবে জাতপাতের শৃঙ্খলকে ভেঙে ফেলতে। সত্যকারের সাম্যবাদী সমাজ গঠনের চাবিকাঠি ভারতীয় দর্শন এবং আধ্যাত্মবাদের মধ্যে কীভাবে লুকিয়ে রয়েছে, তার অন্বেষণ করেছেন তিনি। তাই বাবা সাহেব নির্বাণের (Mahaparinirvan Diwas) আগের মুহূর্ত পর্যন্ত মার্কসবাদকে গ্রহণ করেননি। গ্রহণ করেছেন ভারতীয় ধর্ম দর্শন এবং সংস্কৃতিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    Bangladesh: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাগাতার বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু নিধন অব্যাহত। এবার চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে এক হিন্দু মহিলাকে (Hindu woman) নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে মৃত মহিলা চিন্ময় প্রভুর সনাতন জাগরণ মঞ্চের সদস্যা ছিলেন। জামাত, বিএনপি, হিজবুল তাহেরির, ছাত্র শিবির, ইউনূস প্রশাসন এবং সেনা বাহিনী একযোগে অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, মন্দির ভাঙা ইত্যাদিতে যে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এক কথায় পাকিস্তানের মতো এবার বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়।

    সনাতন জাগরণ মঞ্চের সদস্য ছিলেন (Bangladesh)

    গত বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রাম (Bangladesh) বিভাগের খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নিজের বাড়িতে চুমকিরানি দাস নামে এক হিন্দু মহিলাকে (Hindu woman) নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর ছেলের নাম প্রান্ত দাস। তিনি খাগড়াছড়ির সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক। তাঁকেও খুব মারধর করা হয়। প্রথমে দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে মাথায় আঘাত করে চুমকিকে। এরপর একে একে শরীর থেকে গয়না খুলে নেওয়া হয়। গলায় থাকা তুলিসীর মালা পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়। ঘরের টাকা পয়সা লুট করে নেওয়া হয়। আরও জানা গিয়েছে, তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের সদস্য হিসেবে হিন্দু অস্তিত্ব রক্ষার দাবি তুলেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে হিন্দু ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায়ও নেমেছিলেন। তবে হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে গ্রেফতার করার পর থেকেই প্রতিবাদীদের নানা ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। এবার শিকার হলেন চুমকি।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে তুরস্কের ড্রোন মোতায়েন করল বাংলাদেশ, সতর্ক ভারত

    লাগাতার হিন্দু নিধন চলছেই

    জানা গিয়েছে, আগে সামাজিক মাধ্যমেও বেশ কয়েকবার হুমকি দেওয়া হয়েছিল চুমকি দেবীকে। হিন্দু সংগঠনের সব রকম কর্মকাণ্ডকে প্রশাসনিক ভাবে যেমন কঠোর ভাবে দমন করা হচ্ছে, একই ভাবে কট্টর মুসলমান মৌলবাদীরা প্রকাশ্যে হিন্দু নিধনের কর্মযজ্ঞকেও নেতৃত্ব দিচ্ছে। অপর দিকে শান্তির জন্য নোবেল প্রাপক মহম্মদ ইউনূস হিংসাকে প্রশ্রয় দিয়ে উৎসাহদানের কাজ করছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীদের পর্যন্ত আদালতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। চলছে লাগাতার খুন-ধর্ষণ। এক কথায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। 

    উল্লেখ্য মাত্র কিছু দিন আগেই খাগড়াছড়িতে (Bangladesh) মৌলবাদীরা আক্রমণ করে বৌদ্ধ চাকমা এবং হিন্দু ত্রিপুরী সম্প্রদায়ের উপর হামলা করেছিল। সেখানে দুষ্কৃতীরা ২০০টির বেশি দোকান, বাড়ি, মঠ, মন্দির পুড়িয়ে দিয়েছিল। একই ভাবে ওই অঞ্চলের সংখ্যালঘু ৩ জন বৌদ্ধকে খুনের ঘটনাও ঘটেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jayanagar Rape: ৬২ দিনের মাথায় জয়নগরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মুসলিম যুবককে ফাঁসির নির্দেশ

    Jayanagar Rape: ৬২ দিনের মাথায় জয়নগরের নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মুসলিম যুবককে ফাঁসির নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরে (Jayanagar Rape) নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ৬২ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা শোনাল বারুইপুর আদলাত। সেইসঙ্গে মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায়ও ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুল পড়ুয়া নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করেছিল এক মুসলিম যুবক (Muslim Youth)। ঘটনা ঘটার পর থেকেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো ছিল। ফলে স্থানীয় জনতা ব্যাপক ভাবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করে। এমনকী পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে ঝাঁটাপেটা পর্যন্ত করেন গ্রামবাসীরা।

    ওই নাবালিকা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল (Jayanagar Rape)!

    গত ৪ অক্টোবর জয়নগরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্যরাজনীতি ব্যাপক ভাবে উত্তাল হয়ে পড়েছিল। ওই নাবালিকা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মূল অভিযুক্তের নাম মুস্তাকিন (Muslim Youth)। টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার সময় ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে প্রথমে মুখ চেপে ধর্ষণ করা হয় এবং এরপর নির্মমভাবে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়। শরীরে মোট ৩৭টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা এবং রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে স্থানীয় ফাঁড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে স্থানীয় জনতার বিরুদ্ধে। যদিও পাল্টা স্থানীয় জনতার দাবি, পুলিশ প্রথম থেকেই কেসটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছিল না। পুলিশ যদি আগেই করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঠিক করে পদক্ষেপ গ্রহণ করত, তাহলে হয়তো এমন পরিণতি হতো না। প্রতিবাদে মানুষের ক্ষোভের আগুনের আঁচ পড়ে থানার উপর। স্থানীয় জনতার দাবি, সবটাই ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই না।

    আরও পড়ুনঃ ক্ষমতা দেখালেন তৃণমূল নেত্রী! ছেলে- আত্মীয় পরিজন মিলে ৯ জনের আবাস যোজনার তালিকায় নাম, সরব বিজেপি

    নৃশংস-বিরল ঘটনা

    মামলার রায়দানের পর সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নৃশংস ঘটনা (Jayanagar Rape)। বিরল ঘটনা, তাই ফাঁসির আবেদন করেছিলাম আমরা। বিচারক দোষীকে ফাঁসির সাজাই দিয়েছেন। এই মামলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ডিএনএ প্রোফাইল মিলে গিয়েছে। ফলে সন্দেহের আর কোনও অবকাশই থাকে না।” ঘটনার তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত মুসলিম যুবককে গত ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়েছিল। ৭ অক্টোবর তদন্ত সিট গঠন করা হয়। এরপর ২৫ দিনের মাথায় গত ৩০ অক্টোবর চার্জশিট গঠন করা হয়। অবশেষে ৫ ডিসেম্বর মুস্তাকিনকে দোষী সাবস্ত্য করা হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 211: “রামলীলা দেখতে গেলুম…সাক্ষাৎ সীতা, রাম, লক্ষ্মণ, হনুমান, বিভীষণ, তাদের সব পূজা করতে লাগলুম”

    Ramakrishna 211: “রামলীলা দেখতে গেলুম…সাক্ষাৎ সীতা, রাম, লক্ষ্মণ, হনুমান, বিভীষণ, তাদের সব পূজা করতে লাগলুম”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িমধ্যে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৪ঠা জুন

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের প্রেমোন্মাদ ও রূপদর্শন

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—উঃ, কি অবস্থাই গেছে! প্রথম যখন এই অবস্থা হল দিনরাত কোথা দিয়ে যেত, বলতে পারিনা। সকলে বললে, পাগল হল। তাই তো এরা বিবাহ দিলে। উন্মাদ অবস্থা;—প্রথম চিন্তা হল, পরিবারও এইরূপ থাকবে, খাবে-দাবে। শ্বশুরবাড়ি গেলুম, সেখানে খুব সংকীর্তন। নফর, দিগম্বর বাঁড়ুজ্যের বাপ এরা এল! খুব সংকীর্তন। এক-একবার ভাবতুম, কি হবে। আবার বলতুম, মা, দেশের জমিদার যদি আদর করে, তাহলে বুঝব সত্য। তারাও সেধে এসে কথা (Kathamrita) কইত।

    পূর্বকথা—সুন্দরীপূজা ও কুমারীপূজা—রামলীলা-দর্শন—গড়ের মাঠে বেলুনদর্শন—সিওড়ে রাখাল-ভোজন—জানবাজারে মথুরের সঙ্গে বাস 

    “কি অবস্থাই গেছে। একটু সামান্যতেই একেবারে উদ্দীপন হয়ে যেত। সুন্দরীপূজা কল্লুম! চৌদ্দ বছরের মেয়ে। দেখলুম, সাক্ষাৎ মা। টাকা দিয়ে প্রণাম কল্লুম।

    “রামলীলা দেখতে গেলুম। একেবারে দেখলুম, সাক্ষাৎ সীতা, রাম, লক্ষ্মণ, হনুমান, বিভীষণ। তখন যারা সেজেছিল, তাদের সব পূজা করতে লাগলুম।

    “কুমারীদের এনে তখন পূজা করতুম। দেখতুম, সাক্ষাৎ মা।

    “একদিন বকুলতলায় দেখলুম, নীল বসন পরে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে, বেশ্যা। দপ্‌ করে একেবারে সীতার উদ্দীপন। ও মেয়েকে ভুলে গেলুম; কিন্তু দেখলুম, সাক্ষাৎ সীতা লঙ্কা থেকে উদ্ধার হয়ে রামের (Ramakrishna) কাছে যাচ্ছেন। অনেকক্ষণ বাহ্যশূন্য হয়ে সমাধি অবস্থা হয়ে রইল।

    “আর-একদিন গড়ের মাঠে বেড়াতে গিছলুম। বেলুন উঠবে—অনেক লোকের ভিড়। হঠাৎ নজরে পড়ল, একটি সাহেবের ছেলে গাছে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ত্রিভঙ্গ হয়ে। যাই দেখা, অমনি শ্রীকৃষ্ণের উদ্দীপন। সমাধি হয়ে গেল।

    “সিওড়ে রাখাল-ভোজন করালুম। তাদের হাতে হাতে সব জলপান দিলুম (Kathamrita)! দেখলুম, সাক্ষাৎ ব্রজের রাখাল। তাদের জলপান থেকে আবার খেতে লাগলুম!

    “প্রায় হুঁশ থাকত না। সেজোবাবু জানবাজারের বাড়িতে নিয়ে দিন কতক রাখলে। দেখতে লাগলুম, সাক্ষাৎ মার দাসী হয়েছি। বাড়ির মেয়েরা আদবেই লজ্জা করত না, যেমন ছোট ছেলেকে বা মেয়েকে দেখলে কেউ লজ্জা করে না। আন্দির সঙ্গে—বাবুর মেয়েকে জামাই-এর কাছে শোয়াতে যেতুম।

    “এখনও একটু তাতেই উদ্দীপন হয়ে যায়। রাখাল জপ করতে করতে বিড় বিড় করত। আমি দেখে স্থির থাকতে পারতুম না। একেবারে ইশ্বরের উদ্দীপন হয়ে, বিহ্বল হয়ে যেতুম।”

    ঠাকুর প্রকৃতিভাবের কথা আরও বলিতে লাগিলেন। আর বললেন, “আমি একজন কীর্তনীয়াকে মেয়ে-কীর্তনীর ঢঙ সব দেখিয়েছিলুম। সে বললে (Kathamrita)  ‘আপনার এ-সব ঠিক ঠিক। আপনি এ-সব জানলেন কেমন করে’।”

    এই বলিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) ভক্তদের মেয়ে-কীর্তনীয়ার ঢঙ দেখাইতেছেন। কেহই হাস্য সংবরণ করিতে পারিলেন না।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Beef-Ban: অসমে নিষিদ্ধ হয়েছে গোমাংস, এবার বন্ধের দাবি উঠল বিহার-ওড়িশায়

    Beef-Ban: অসমে নিষিদ্ধ হয়েছে গোমাংস, এবার বন্ধের দাবি উঠল বিহার-ওড়িশায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে নিষিদ্ধ হয়েছে গোমাংস (Beef-Ban) খাওয়া। হোটেল-রেস্তরাঁ বা বিবাহের অনুষ্ঠানে করা যাবেনা গরুর মাংসের পরিবেশন। গত বুধবার এই কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এই ঘোষণায় গোমাতাকে রক্ষা করার স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। এবার অসমের পথে বাকি রাজ্যগুলি হাঁটতে চাইছে। অসমের পর এবার বিহার এবং ওড়িশায় (Bihar-Orissa) উঠল গোমাংস বন্ধের ডাক। এই সিদ্ধান্ত গো প্রেমীদের মধ্যে বিরাট উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে।

    বিহারে গো হত্যা বন্ধের দাবি (Beef-Ban)

    অসমে গোমাংস (Beef-Ban) নিষিদ্ধ হতেই বৃহস্পতিবার বিহারেও গরুর মাংস নিষিদ্ধ করা উচিত বলে দাবি তোলা হয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের দলের সাংসদ দিলেশ্বর কামাইত বলেন, “অসম সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিহারেও গরুর মাংস নিষিদ্ধ করা উচিত।” উল্লেখ্য আগে বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিং গরুর মাংস নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “নেহেরুই ছিলেন সমস্ত সমস্যার মূল। নেহেরু যদি ভারতে গোহত্যা নিষিদ্ধ করতেন তাহলে আজকের এই অবস্থা হতো না। কংগ্রেস সরকার সবসময় হিন্দু বিরোধী ছিল।”

    আরও পড়ুনঃ আজাদ ময়দানে চাঁদের হাট, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ

    ওড়িশায় বন্ধের পথে গো মাংস

    অপর দিকে ওড়িশাতেও (Bihar-Orissa) পরিকল্পনা চলছে, অসমের পথে হেঁটেই গোমাংস (Beef-Ban) নিষিদ্ধ করবে। এই রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বলেন, “গোহত্যা নিয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট। আইন আনতে চলেছি আমরা। গোহত্যা বন্ধের জন্য আইন আনা হবে।” আবার ওড়িশার প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী গোকুলানন্দ মল্লিক বলেন, “আমরা যদি এমন কোনও ঘটনার কথা জানতে পারি (গো মাংস সংক্রান্ত) তবে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নেব। মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির কাছেও আমরা দাবি তুলব।” উল্লেখ্য এই রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ। ধরা পড়লে ২ বছরের জেল এবং ১০০০০ টাকা জরিমানা বা উভয়ই সাজা দেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য বিজেপি সাংসদ প্রতাপ চন্দ্র সড়ঙ্গি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের কাছে অনুরোধ করেছিলেন রাজ্যে যেন গো হত্যার আইন দারুণ ভাবে কার্যকর করা হয়।

    ওড়িশা রাজ্যের পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার বছরে ২০০টির বেশি গরু পাচার এবং গোমাংস পাচারের ঘটনা ঘটেছে। অপর দিকে স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোমাংসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক উস্কানি এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। গোমাংস নিয়ে বিবাদ হওয়ায় এবার এই মাংস বন্ধের পরিকল্পনা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share