Tag: news in bengali

news in bengali

  • Lighting Lamp: প্রদীপ জ্বালানোর একাধিক সুফল! গৃহে আসে লক্ষ্মী, দূর হয় রাহুর দোষ

    Lighting Lamp: প্রদীপ জ্বালানোর একাধিক সুফল! গৃহে আসে লক্ষ্মী, দূর হয় রাহুর দোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে (Hindu Dharma) পুজো পার্বণ, শুভ অনুষ্ঠান, যে কোনও উৎসবে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত (Lighting Lamp) করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত না-করলে পুজো সম্পন্ন হয় না। একইসঙ্গে বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বাড়িতে নিয়মিত প্রদীপ জ্বালালে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। শুধু তাই নয়, বাড়িতে নিয়মিত প্রদীপ জ্বালালে ধনদেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। মনে করা হয়, এই প্রদীপ জ্বালালে সমস্ত ধরনের নেতিবাচক শক্তির প্রভাব সমাপ্ত হয়। আবার বাড়ির প্রবেশদ্বারে প্রদীপ জ্বালালে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় বাড়ি থেকে। পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসে প্রদীপের আলো। বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রদীপের শিখা রাখা উচিত উত্তর বা পূর্ব দিকে। পশ্চিম দিকে কখনও প্রদীপ জ্বালাতে নেই।

    বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর সুফল-

    বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী মনে করা হয় সন্ধ্যাবেলা প্রদীপ (Lighting Lamp) জ্বালালে বাড়িতে লক্ষ্মীর আগমন হয়। এর ফলে সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।

    বাড়ির প্রবেশদ্বারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করলে সমৃদ্ধির আগমনের পথের সমস্ত বাধা দূর হয়।

    বাড়ির প্রবেশদ্বারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করলে রাহু দোষ দূর হয় বলে জানাচ্ছেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা। রাহু দোষে জীবন জর্জরিত থাকলে কোনও মন্দির বা তুলসী গাছে প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। এতে সুফল মিলবে।

    প্রদীপ জ্বালানোর সময় কোনগুলি মাথায় রাখবেন?

    জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ভাঙা প্রদীপ (Lighting Lamp) বাড়িতে কখনও ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রদীপ নষ্ট হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা বদলে ফেলতে বলছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। ভাঙা প্রদীপ ঘরে অশান্তি, নেতিবাচকতা নিয়ে আসে।

    শাস্ত্র অনুসারে, মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানোর (Lighting Lamp) সময় প্রদীপ শিখার বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। এতে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে।

    সন্ধ্যাবেলা প্রদীপ জ্বালানোর সময় জপ করতে পারেন এই মন্ত্র

    শুভং করোতি কল্যাণম্ আরোগ্যম্ ধনসম্পদা।

    শত্রুবুদ্ধিবিনাশায় দীপকায় নমোস্তুতে।।

    দীপো জ্যোতি পরংব্রহ্ম দীপো জ্যোতির্জনার্দনঃ।

    দীপো হরতু মে পাপং সন্ধ্যাদীপ নমোস্তুতে।।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Constitution Day: আজ সংবিধান দিবস! সংসদে ভাষণ শেষে সকলকে প্রস্তাবনা পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি

    Constitution Day: আজ সংবিধান দিবস! সংসদে ভাষণ শেষে সকলকে প্রস্তাবনা পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশের সংবিধান দিবস (Constitution Day)। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গৃহীত হয়েছিল ভারতের সংবিধান। সেই উপলক্ষেই মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ ও একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হাজির ছিলেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং। বক্তব্যের শেষে সকলকে সংবিধান প্রস্তাবনার (President Droupadi Murmu) পাঠ পড়ান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu)।

     সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি

    এদিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘এই সংবিধান (Constitution Day) অসামান্য মেধা, এবং তিন বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। স্বাধীনতা সংগ্রামের ফল এই সংবিধান। সেই অতুলনীয় আন্দোলনের আদর্শকেও সংবিধানে বিশেষ গুরুত্ব এবং স্থান দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের প্রস্তাবনাতেও সেই ভাবধারাকে সুস্পষ্ট রূপে সংক্ষিপ্ত ভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ন্যায়, স্বতন্ত্রতা, ক্ষমতা এবং বন্ধুতা এই আদর্শের উপরেই তৈরি হয়েছে আমাদের সংবিধান। সংবিধানের প্রত্যেকটি গুণ একে অপরের পরিপূরক।’’

    গত কয়েক বছরে পিছিয়ে পড়া জাতির উন্নয়নের জন্য বিপুল কাজ করেছে সরকার

    আর্থিক উন্নয়নের জন্য জিএসটি-এর কথাও উঠে আসে রাষ্ট্রপতির ভাষণে। তিনি (Constitution Day) বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে দেশের আর্থিক উন্নয়নের স্বার্থে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হল জিএসটি।’’ রাষ্ট্রপতি মুর্মু আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়মকে কার্যকরী করে সাংসদরা আধুনিক চিন্তা ভাবনার পরিচয় দিয়েছেন।’’ ‘গরিব জনজাতি’র উন্নতির জন্য গত কয়েক বছরে অনেক কাজ হয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি, তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে পিছিয়ে পড়া জাতির উন্নয়নের জন্য বিপুল কাজ করেছে সরকার। এখন গরিব মানুষ পাকা বাড়ি পাচ্ছেন। জল, বিদ্যুৎ, সড়কের মতো সাধারণ সুযোগ সুবিধাও উপভোগ করছেন। খাদ্য সুরক্ষা এবং চিকিৎসাও মিলছে। সমগ্র ও সমবেত বিকাশের জন্য এমন অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jama Masjid Sambhal: বাবরের নির্দেশেই কি সম্ভলের বিষ্ণু মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল? এএসআই কী বলছে?

    Jama Masjid Sambhal: বাবরের নির্দেশেই কি সম্ভলের বিষ্ণু মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল? এএসআই কী বলছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশেই কি সম্ভলের বিষ্ণু মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে? ১৮৭৫ সালের এএসআই (ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ) এবং বাবরনামা কি বলছে? উল্লেখ্য ভারতের প্রাচীন মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরির ঘটনা নতুন কিছু নয়। বাবরি মসজিদ থেকে জ্ঞানবাপি, মথুরার শাহি ইদগাহ্ থেকে বাংলার আদিনা মসজিদ, সবক্ষেত্রে মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণের নানা দৃষ্টান্ত উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমের পাতায়। উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের জামা মসজিদ (Jama Masjid Sambhal) হিন্দু মন্দির (Vishnu Temple) ছিল বলে মামলা দায়ের হয়। যার প্রেক্ষিতে সেখানে জরিপের নির্দেশ দেয় আদালত।  রবিবার এএসআই-এর পক্ষ থেকে মসজিত জরিপের কাজ করতে গেলে স্থানীয় উগ্র মুসলিম জনতা ব্যাপকভাবে পাথর-ইট বর্ষণ করে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। নামানো হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। এখন যে মসজিদ নিয়ে বিবাদ, তার সম্পর্কে বিস্তৃত রিপোর্টে কি ধরনের তথ্য উঠে এসেছে শুনলে চমকে যাবেন।

    সম্ভল কীভাবে ভগবান বিষ্ণুর অবতার ভূমি (Jama Masjid Sambhal)?

    ভগবান কল্কিকে ভগবান বিষ্ণুর দশম এবং শেষ অবতার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হিন্দু শাস্ত্রের বিশ্বাস অনুসারে, কল্কি কলিযুগ শেষ করে সত্যযুগ শুরু করতে সম্ভলে আবির্ভূত হবেন। বিভিন্ন যুগে সম্ভলের বিভিন্ন নাম ছিল। একে সত্যযুগে সম্ভলেশ্বর, ত্রেতাযুগে মহাদগিরি, দ্বাপর যুগে পিংলা এবং কলিযুগে সম্ভল বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এই স্থানেই বিষ্ণুর মন্দির নির্মাণ হয়। পরে মুসলমান শাসনে মন্দির ভেঙে মসজিদ (Jama-Masjid-Sambhal) নির্মাণ হয়।

    মসজিদের স্তম্ভ হিন্দু মন্দিরের

    ১৮৭৫ সালে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ জামা মসজিদের (Jama Masjid Sambhal) আসল তথ্য তুলে ধরেছিল। ‘ট্র্যাভেলস ইন দ্য সেন্ট্রাল দোয়াব অ্যান্ড গোরখপুর ১৮৭৪-৭৫ এবং ১৮৭৫-৭৬’-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, “মসজিদের ভিতরে ও বাইরে স্তম্ভগুলি প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের। সেগুলি প্লাস্টার দিয়ে লুকোনোর চেষ্টা করা হয়েছিল। মসজিদের স্তম্ভগুলির একটি থেকে প্লাস্টার সরানো হলে প্রাচীন লাল রঙের হিন্দু মন্দিরের নকশা বেরিয়ে আসবে। স্তম্ভের নকশা হিন্দু স্মৃতি চিহ্নবহ। মসজিদের গম্বুজ হিন্দু সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানের আমলে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদে এমন অনেক নিদর্শন রয়েছে যাতে স্পষ্ট এটি এককালে প্রাচীন হিন্দু মন্দির ছিল।”

    এই রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তৎকালীন কর্তা এসিএল কার্লাইল। তিনি স্পষ্ট করে আরও বলেন, “সম্ভলের প্রধান ভবনটি হল জামা মসজিদ, যা হিন্দুরা মূলত হরি মন্দির (Vishnu Temple) বলে দাবি করে। এটি একটি কেন্দ্রীয় গম্বুজ বিশিষ্ট ২০ ফুট বর্গাকার কক্ষ নিয়ে গঠিত, যার দুটি ডানা অসম দৈর্ঘ্যের। উত্তর দিকের একটি অংশ ৫০ ফুট ৬ ইঞ্চি, যখন দক্ষিণ দিকের অংশ মাত্র ৩৮ ফুট ১.৫ ইঞ্চি। উভয় অংশে তিনটি খিলানযুক্ত দরজা রয়েছে। যার সবকটিই বিভিন্ন প্রস্থের, ৭ ফুট থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত পরিবর্তিত।” উল্লেখ্য সম্প্রতি স্থানীয় আদালত মসজিদ সমীক্ষা কাজের নির্দেশ দিয়েছে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হবে আগামী ২৯ নভেম্বর।

    হিন্দু পক্ষের দাবি

    সম্ভলের শাহি জামা মসজিদ (Jama Masjid Sambhal) সম্পর্কে হিন্দু পক্ষের দাবি হল, এই নির্মাণ আদতে হিন্দু দেবতা হরিহরের। এএসআই সমীক্ষা করে জানিয়েছে, মসজিদ আদতে মন্দির ছিল। ব্রিটিশ রাজত্বের সময় এএসআই সার্ভে করে ১৮৭৫ সালে মসজিদ থেকে পুরাতন পুঁথির সন্ধান পেয়েছে, যা হিন্দু সংস্কৃতির আরও বড় প্রমাণ। একই ভাবে মসজিদের একটি শিলালিপি থেকে জানা গিয়েছে, ৯৩৩ হিজরিতে মসজিদ নির্মাণ করেছিল মীর হিন্দু বেগ। মীর ছিল বাবরের দরবারের লোক। এক হিন্দু মন্দিরকে মসজিদে পরিণত করে এই মুসলমান সেনা।

    বাবর নামাতে উল্লেখ

    হিন্দু পক্ষের তরফে বিবাদের আবেদনকারী হরিশঙ্কর জৈন বাবরনামার উল্লেখ করে বলেন, “এই বাবরনামা বাবর স্বয়ং লিখেছেন। ব্রিটিশ প্রাচ্যবিদ অ্যানেট বেভারিজ সেটি নিজে অনুবাদ করেছেন। পুস্তকের ৬৮৭ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, বাবরের নির্দেশ মীর হিন্দু বেগ সম্ভলের হিন্দু মন্দিরকে জামা মসজিদে (Jama Masjid Sambhal) রূপান্তর করেছিল। প্রাপ্ত শিলালিপির সঙ্গে এই তথ্য মিলে গিয়েছে। তাতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ রয়েছে মীর হিন্দু বেগ ৯৩৩ হিজরিতে এই মসজিদ নির্মাণ করেছে।

    মামলার সূত্রপাত

    সম্ভলের জেলা আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করা হয় প্রথমে। পিটিশনে বলা হয়েছে সম্ভলে অবস্থিত জামা মসজিদটি (Jama Masjid Sambhal) শতাব্দী প্রাচীন শ্রী হরিহর মন্দিরের (Vishnu Temple) উপর নির্মিত হয়েছে। এটি কার্যত ভগবান কল্কিকে উৎসর্গ করা হয়েছিল এবং মুসলমান শাসক বাবর তা ধ্বংস করে দিয়েছিল। আবেদনকারীরা বলেছেন, স্থানটি হিন্দুদের জন্য ধর্মীয় তাৎপর্য রাখে এবং মুঘল আমলে জোর করে একটি মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এই আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শঙ্কর জৈনের বাবা, হরি শঙ্কর জৈন, নয়ডার পার্থ যাদব এবং অন্যান্য আবেদনকারীরা মামলা দায়ের করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 26/11 Mumbai Attacks: আজ অভিশপ্ত ২৬/১১, মুম্বই হামলার ১৭তম বর্ষপূর্তি, ফিরে দেখা বীরদের লড়াই

    26/11 Mumbai Attacks: আজ অভিশপ্ত ২৬/১১, মুম্বই হামলার ১৭তম বর্ষপূর্তি, ফিরে দেখা বীরদের লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৬ নভেম্বর। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে সংবিধান দিবস। একইসঙ্গে এই দিনটির সঙ্গে ভারতের ইতিহাসে জড়িয়ে রয়েছে এক ভয়াবহ স্মৃতিও (26/11 Mumbai Attacks)। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ১৮ জন নিরাপত্তা কর্মীসহ ১৬৬ জন নিহত হন। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছিল ৩০০ জনেরও বেশি। আজ মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬/১১ মুম্বাই হামলায় যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদকে সমগ্র মানব সভ্যতার কলঙ্ক বলে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    করাচি থেকে সমুদ্রপথে এসেছিল জঙ্গিরা 

    ২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় (26/11 Mumbai Attacks) জঙ্গিরা মৎস্যজীবী বলে পরিচয় দিয়ে সমুদ্রপথে মুম্বই পৌঁছায়। প্রত্যেক জঙ্গিই করাচি থেকে এসেছিল। প্রথমে তারা ভারতীয় নৌকা ছিনতাই করে। এরপর কোলাবার মাছের বাজারে রাত ৮টার দিকে নামে তারা, সেখান থেকেই জঙ্গিরা পৌঁছায় ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাল রেলওয়ে স্টেশনে। একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে শুরু করে নির্বিচারে গুলি (Mumbai Attacks  2008) চালনা। আজমল কাসভ নামে এক জঙ্গি জীবিত ধরা পড়ে এবং পরবর্তীতে তার ফাঁসি হয়। মুম্বইয়ের বিভিন্ন জনবহুল স্থান, তাজ হোটেল, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট হোটেল এবং নরিমান হাউসকে টার্গেট করে তিন দিন ধরে চলে এই হামলা। নিরাপত্তা বাহিনী এবং এনএসজি কমান্ডোদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৯জন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়।

    সন্ত্রাস হামলাকে প্রতিহত করেছিলেন যে সমস্ত সাহসীরা

    তুকারাম ওমলে: মুম্বই পুলিশের একজন এএসআই ছিলেন তুকারাম ওমলে। ২৬/১১ জঙ্গি হামলায় সন্ত্রাসবাদিরা (Mumbai Attacks  2008) তাঁকে হত্যা করে। তুকারাম ওমলেই ছিলেন সেই ব্যক্তি, যিনি সম্পূর্ণ নিরস্ত্র অবস্থায় আজমল কাসভকে ধরে ফেলেন। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর দক্ষিণ মুম্বইয়ের গিরগাউন চৌপাটিতে তুকারাম ওমলেকে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। গাড়িতে আজমল কাসভকে দেখা মাত্র তুকারাম ওমলে তার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ও রাইফেল ধরে রাখে। সেই সময় কাসভ গুলি চালাতে থাকে। গুলিতে শহিদ হন তুকারাম। কিন্তু বাকি পুলিশ অফিসাররা গ্রেফতার করতে সমর্থ হন জঙ্গি আজমল কাসভকে।

    সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণন: ২০০৮ সালের মুম্বইয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলায় শহিদ হন মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণন। প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের (26/11 Mumbai Attacks) তাজ হোটেলে হামলা চালায় জঙ্গিরা এবং সেখানকার হোটেলে থাকা সমস্ত লোকেদের বন্দি করে জঙ্গিরা। সেই সময়েই অপারেশন শুরু করে এনএসজি কমান্ডোদের একটি দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন মেজর সন্দীপ উনিকৃষ্ণন। এই সন্ত্রাসী হামলাতেই শহিদ হন মেজর উন্নিকৃষ্ণন।

    হেমন্ত কারকারে: ১৯৮২ সালের আইপিএস ব্যাচের অফিসার ছিলেন হেমন্ত কারকারে। তিনি আন্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের প্রধান ছিলেন। ২৬ নভেম্বর সন্ত্রাসী হামলায় এই আইপিএস অফিসার কামা হাসপাতালের কাছে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন। একই সঙ্গে নিহত হন আইপিএস অফিসার অশোক কামতে ও এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট বিজয় সালাসকর।

    মল্লিকা জগদ: ২৬/১১ হামলার (26/11 Mumbai Attacks) সময় তাজ হোটেলে অন্যতম ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত মল্লিকা জগদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। হোটেলের জঙ্গি হামলা শুরু হতেই তিনি এবং তাঁর টিম দরজা বন্ধ করে লাইট বন্ধ করে দেন এবং সবাইকে চুপচাপ বসে থাকতে বলেন। হোটেলের ভিতরে প্রবল বিস্ফোরণ হতে থাকে। ধোঁয়ায় ধোঁয়াকার হয়ে যায় তাজ হোটেল। এর পরেও মল্লিকা জগদ শান্তভাবে বসেছিলেন এবং হোটেলের অতিথিদের তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন শান্তভাবে বসে থাকতে। ভারতের সেনাবাহিনী হোটেলে প্রবেশ করার আগে পর্যন্ত তিনি অতিথিদের আগলে রেখেছিলেন।

    করমবীর সিং কাং: ২৬/১১ হামলার (26/11 Mumbai Attacks) সময় মুম্বইয়ে তাজ হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন করমবির সিং কাং। তাঁর স্ত্রী এবং পুত্ররা ভিতরে আটকে পড়েছিলেন। পরে সন্ত্রাসী হামলায় করমবীরের স্ত্রী ও পুত্র নিহত হন। এই আঘাত সামলে নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে তিনি জঙ্গি মোকাবিলায় লড়াই শুরু করেন। হোটেলের সমস্ত কর্মী এবং অতিথিদের বাঁচাতে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে সাহায্য করেন। করমবীর সিংয়ের প্রচেষ্টাতে অজস্র মানুষকে জীবিত উদ্ধার করতে সব সক্ষম হয় দেশের সেনাবাহিনী।

    টমাস ভার্গিস: টমাস ভার্গিস ছিলেন তাজ হোটেলের একজন সিনিয়র ওয়েটার। ২৬/১১ হামলার সময় তাঁর সাহস ও বীরত্বে অজস্র মানুষের প্রাণ বাঁচে। ব্যাপক গোলাগুলির বিস্ফোরণের পর, তাজ হোটেল থেকে অতিথিদের তিনি নিচে নামতে বলেন। এরপর তাঁদেরকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন তিনি। হোটেলের সকলে চলে গিয়েছেন সেটা নিশ্চিত হওয়ার পরই তিনি তাজ হোটেল থেকে বের হন। কিন্তু শেষমেশ সন্ত্রাসবাদীরা তাঁকে হোটেলের পিছনে এক গলিতে গুলি করে হত্যা করে।

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে, সন্ত্রাসের বর্ণনা দিয়েছিলেন তাজ হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার

    প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গিয়ে সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে ২৬/১১ হামলা নিয়ে মুখ খোলেন তাজ প্যালেস হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার কে এস কাং। বিশ্ব মঞ্চে হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার বলেছিলেন, ‘‘সেই অভিশপ্ত রাতে প্রাণের বাজি রেখে হোটেলে আগত অতিথিদের রক্ষা করাই ছিল তাজ প্যালেস হোটেলের কর্মীদের একমাত্র লক্ষ্য। প্রায় ২ হাজার অতিথি এবং স্টাফরা তখন হোটেলের মধ্যে। তাজ প্যালেসে ঢুকে পড়ে চার জঙ্গি। নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে তারা। আমাদের স্টাফরা জীবন বাজি রেখে আমাদের অতিথিদের প্রাণরক্ষা করেছিলেন। সাহায্য পেয়েছিলেন কয়েকজন সাহসী পুলিশ কর্মীর।’’ তাজ প্যালেস হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে আরও বলেছিলেন, ‘‘২০০৮ সালের নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখ আমাদের কাছে এক অভিশপ্ত দিন। আমাদের হোটেলের রান্নাঘরে, লবিতে, রেস্তরাঁ, করিডরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়তে থাকেন স্টাফরা। ওঁরা মানববন্ধন তৈরি করে বুকে গুলির আঘাত নিয়েছিলেন, যাতে অতিথিরা রক্ষা পান। মনে হয়েছিল আমাদের বাড়ি আক্রান্ত, আর তাকে রক্ষা করতে হবে। আসলে ভারতীয় সংস্কৃতিতে অতিথিকে দেবতা সমান মনে করা হয়। তাই তাঁদের বাঁচাতে প্রাণপাত করেছিলেন তাজের স্টাফরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dandruff: শীত পড়তেই বাড়ছে খুসকি! কেন‌ হয় এই সমস্যা? কোন ঘরোয়া উপাদানে হবে মুশকিল আসান? 

    Dandruff: শীত পড়তেই বাড়ছে খুসকি! কেন‌ হয় এই সমস্যা? কোন ঘরোয়া উপাদানে হবে মুশকিল আসান? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়ির একরত্তি সদস্য হোক কিংবা পরিবারের সবচেয়ে প্রবীণ, শীতের আমেজ শুরু হতেই এক অদ্ভুত সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কত বয়স, ছেলে না মেয়ে-এই পরিচয় আর তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই সমস্যার জেরে নাজেহাল আট থেকে আশি। তাপমাত্রার পারদ নামতেই অনেকেই খুসকির (Dandruff) সমস্যায় কাবু। ঘন ঘন মাথা চুলকানো, অস্বস্তিবোধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যার সহজ সমাধান রয়েছে। নিয়মিত কিছু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করলেই হবে মুশকিল আসান।

    কেন শীতের শুরুতে বাড়ে খুসকি? (Dandruff)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের চামড়ার অপরিচ্ছন্নতা থেকেই খুসকির সমস্যা তৈরি হয়। অনেকেই নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করেন না। আর ধুলো ও দূষণের জেরে মস্তিষ্কের চামড়া অর্থাৎ চুলের ভিতরের অংশ অপরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। তার জেরেই তৈরি হয় খুসকির সমস্যা। তবে, এই সমস্যাকে আরও জটিল করে শুষ্ক ত্বক। ত্বক শুষ্ক হলে খুসকির সমস্যা বাড়ে। আর শীতের শুরুতে ত্বকের শুষ্কতা এমনিতেই বাড়ে। আরেক দিকে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণও বেড়ে যায়। তাই শীতের শুরুতে ভোগান্তি বাড়ায় খুসকি। তাছাড়া, অনেকের নানা ধরনের অ্যালার্জি থাকে। যার জেরেও খুসকির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতের প্রথমে অনেক সময়েই তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করার জেরে রক্তে অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে তৈরি হয় নানান ছত্রাকের সংক্রমণ। এর জেরে খুসকির মতো সমস্যাও বাড়তে থাকে। কিন্তু কীভাবে মুশকিল আসান হবে? বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে সহজেই কমতে পারে খুসকির ভোগান্তি।

    রাতভর ভেজানো নিমপাতার মিশ্রণ

    খুসকির সমস্যা কমাতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে নিমপাতা। নিমপাতা শরীরের একাধিক রোগ‌ মোকাবিলায় সাহায্য করে। খুসকি কমাতেও বিশেষ উপকারী এই নিমপাতা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১০ থেকে ১৫টা নিমপাতা সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে সেই ভেজানো নিমপাতা বেটে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। সেই মিশ্রণ মাথায় মাখলে খুসকির (Dandruff) সমস্যা অনেকটাই কমবে‌।

    মেথি বীজ এবং পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চামড়ায় লাগানো (Dandruff)

    মস্তিষ্কের চামড়ায় অর্থাৎ চুলের ফাঁকে ভালো ভাবে মেথির বীজ এবং পাতিলেবুর রসের মিশ্রণ লাগালে দ্রুত খুসকির সমস্যা কমে‌। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সারা রাত মেথির বীজ ভিজিয়ে রেখে তাকে মসৃণ ভাবে বেটে নিতে হবে। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে লেবুর রস। পাতিলেবুর রস মেশানো সেই মেথির বীজের মিশ্রন মাথায় সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন মাখলেই কমবে খুসকির (Dandruff) সমস্যা।

    তুলসী পাতা এবং আমলার ব্যবহার

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত তুলসী পাতা এবং আমলা একসঙ্গে বেটে মাথায় মাখলে খুসকি দ্রুত কমে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমলা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে‌। দশ থেকে বারোটা তুলসী পাতা ভিজিয়ে বেটে নিতে হবে। আমলার গুঁড়ো এবং তুলসী পাতা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে মাথায় মেখে অন্তত তিরিশ মিনিট রাখতে হবে। নিয়মিত এটা ব্যবহার করলেই খুসকির সমস্যা কমবে। 

    তবে এই সব ঘরোয়া উপাদান‌ (Domestic ingredients) ব্যবহারের পাশাপাশি নিয়মিত ভালোভাবে স্নান করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, চুল পরিষ্কার থাকলে, মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকলে খুসকির সমস্যা সহজেই কমানো যায়। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Subscription: গবেষণায় ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’-কে ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    One Nation One Subscription: গবেষণায় ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’-কে ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সব গবেষণাকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হবে। একই ভাবে সমান সুযোগ পাবে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) অধীনে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি গবেষণার কাজ করবে। সোমবার এমনই ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ (One Nation One Subscription) একটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শীতকালীন সংসদের অধিবেশনের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার (Modi cabinet) বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    ২০২২ সালে মোদি উল্লেখ করেছিলেন (One Nation One Subscription)  

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালে স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় গবেষণার উপর জোর দেওয়ার কথা প্রথম বলেছিলেন। ভাষণে উঠে এসেছিল ‘জয়-অনুসন্ধান’-এর কথা। আধুনিক ভারতে দেশের গবেষকরা বড় ভূমিকা নেওয়ার কথা তুলে ধরেছিলেন। ঠিক তার পরবর্তী পদক্ষেপ স্বরূপ উঠে আসল এবারের গবেষকদের কথা। গবেষণার কথা ভেবেই এবার মোদির মন্ত্রী পরিষদের নতুন প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। এই প্রকল্পের নাম ‘এক দেশ এক সাবস্ক্রিপশন’ (One Nation One Subscription)। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হল রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের কোনও বিভাজন করা হবে না। সকলে একই সংস্থার অধীনে গবেষণায় যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন। একই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে চান মোদি (Modi cabinet)। আগামী ২০২৫, ২০২৬ এবং ২০২৭ সালে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হবে।

    কেন্দ্র ৬০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার (Modi cabinet) বৈঠকে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীনে থাকা কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা নিজের গবেষণা কাজ করবেন। এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র ৬০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই টাকা ৩ বছরে খরচ করা হবে। ২০২৫ সাল থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই প্রকল্পে (One Nation One Subscription) ৬ হাজার ৩০০ প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে অনুমানিক ২ কোটি গবেষক সুবিধা পাবেন। কাজের সুবিধার জন্য বিশেষ গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা করা হবে। তথ্য এবং আইএনএফএলআইবিএনইটি (INFLIBNET) হল ইউজিসির একটি অন্তর্ভুক্ত একটি সংস্থা। এখানে ৩০টি প্রধান আন্তর্জাতিক জার্নাল প্রকাশককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রকাশকদের প্রায় ১৩ হাজার ই-জার্নাল গবেষণার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।”

    ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ স্কিমের মূল বিষয় গুলি হল–

    ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন (One Nation One Subscription) স্কিমটি গবেষণায় উৎসাহ বাড়াতে এবং ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এক একটি গবেষণা-ভিত্তিক সংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত করতে চায়। এই উদ্যোগটিতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, পরীক্ষাগারগুলিতে গবেষণা এবং নানা উদ্ভাবনী প্রচারের জন্য অনুসন্ধান কেন্দ্র বা ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (NRF) এর মতো প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে চায় কেন্দ্র সরকার।

    তথ্য ও গ্রন্থাগার নেটওয়ার্ক (INFLIBNET) গবেষণার কাজের জন্য আবশ্যক করা হবে প্রকল্পে। সেই সঙ্গে স্বায়ত্তশাসিত ইউজিসি (UGC) স্কিমটিকে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত ৬,৩০০ টিরও বেশি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলিকে সুবিধা প্রদান করবে।

    আরও পড়ুনঃ প্যান কার্ডে জুড়ছে কিউআর কোড, সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের, আরও বাড়বে সুরক্ষা

    বিকশিত ভারতের অঙ্গ এই প্রকল্প

    এই প্রকল্প (One Nation One Subscription) বিকশিত ভারত (Viksitbharat@2047), ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি বা জাতীয় শিক্ষা নীতির (NEP 2020) এবং অনুসন্ধান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (Anusandhan National Research Foundation)-এর লক্ষ্যগুলির সঙ্গে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই প্রকল্প শহর-গ্রামীণ সমস্ত শাখার ছাত্র, গবেষকেরা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লেখক তথা বরিষ্ঠ গবেষক, বিজ্ঞানী এবং নানা ধরনের জার্নালগুলিকে ব্যবহার করে নিজের গবেষণার কাজকে খুব সহজেই প্রস্তুত করতে পারবেন। অনুসন্ধান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন পর্যায়ক্রমে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’ ব্যবহার এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলির ভারতীয় লেখকদের প্রকাশনা পর্যালোচনা করবে।

    কেন্দ্রীয় উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এবং অন্যান্য মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদের এইচইআই (HEI) এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (R&D) প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের ব্যবস্থাপনায় সক্রিয়ভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলির ছাত্র, শিক্ষক এবং গবেষকদের মধ্যে এই প্রকল্পের সুবিধা এবং পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করবে। একই ভাবে সারা দেশে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান সাবস্ক্রিপশন’-এর (One Nation One Subscription) সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাত্র, শিক্ষক এবং গবেষকদের অনন্য সুবিধার সর্বাধিক ব্যবহাররের জন্য সর্ব স্তরে প্রচার চালানো হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED Raids: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার নিউ আলিপুর, জোকায় চলছে অভিযান

    ED Raids: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার নিউ আলিপুর, জোকায় চলছে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড দুর্নীতি মামলায় সকাল থেকে কলকাতা ও শহরতলির একাধিক জায়গায় ইডি হানা (ED Raids)। মঙ্গলবার সাতসকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পৌঁছে যায় নিউ আলিপুরের প্রয়াগ গোষ্ঠীর ফ্ল্যাটে। তল্লাশি অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত এর আগেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন প্রয়াগ গোষ্ঠীর (Chit Fund Case) কর্ণধার বাসুদেব বাগচী এবং তাঁর ছেলে। এই সংস্থার বিরুদ্ধে আমানতকারীদের টাকা নয় ছয় সমেত অন্যান্য আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার একইসঙ্গে তল্লাশি চলছে (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) জোকার একটি ঠিকানাতেও।

    ২০১৭ সালে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল বাসুদেবকে

    জানা গিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতির (ED Raids) অভিযোগে ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ প্রয়াগ গোষ্ঠীর কর্ণধার বাসুদেব বাগচী ও তাঁর ছেলে অভীককে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে দিল্লিতে ব্যবসা শুরু করে প্রয়াগ গোষ্ঠী। ২০১৭ সালের পর ফের একবার এই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নামতে দেখা গেল ইডিকে। জানা গিয়েছে, নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনিতে একটি আবাসনে তল্লাশি অভিযানে পৌঁছন ইডির অফিসাররা। এই আবাসনেরই ফিফথ ফ্লোরে অর্থলগ্নি ওই সংস্থার ডিরেক্টর থাকেন। তাঁরই বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    তৃণমূল আমলে রমরমা

    প্রসঙ্গত,  প্রয়াগ নামক এই সংস্থা (ED Raids) রেজিস্টার হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। এরপর এটি অর্থলগ্নি সংস্থা হয়ে ওঠে ২০০২ সালে। এর আগে এই ঘটনার তদন্ত করে সিবিআই। সিবিআই তদন্তে উঠে আসে এই সংস্থার সব থেকে বেশি বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল রাজ্যে সরকার পালাবদলের পর। ২০১৩ সালে সারদাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। এর পরে প্রয়াগ নামক এই ভুয়ো অর্থ লগ্নি সংস্থাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে আসে। প্রায় দু হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। ২০১২ সালে একাধিক হোটেল-রিসর্ট চালু হয় সেই আমানতকারীদের গচ্ছিত টাকায়। সেই বছরেই জোকায় ম্যানেজমেন্ট কলেজের কাছে ৭০ বিঘা জমির ওপর এই সংস্থা (ED Raids) তৈরি করে অ্যারিস্ট্রো ক্লাব নামে একটি সুবিশাল বিলাসবহুল রিসর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Constitution Day: আজ সংবিধান দিবস, সংসদের যৌথ কক্ষের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি

    Constitution Day: আজ সংবিধান দিবস, সংসদের যৌথ কক্ষের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গৃহীত হয়েছিল ভারতের সংবিধান। চলতি বছর সংবিধান দিবসের (Constitution Day) ৭৫তম বর্ষপূর্তি। এই দিনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu) সংসদের যৌথ কক্ষের অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন। জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সংস্কৃত এবং মৈথিলি ভাষাতেও সংবিধান প্রকাশ করবেন রাষ্ট্রপতি। এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবারই কেন্দ্রীয় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে https://constitution75.com ওয়েবসাইট, এর মাধ্যমে দেশের জনগণকে উৎসাহিত করা হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আরও বেশি করে সংবিধানকে জানার জন্য। একইসঙ্গে, ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা বিভিন্ন স্কুল, শহর এবং গ্রামে পর্যন্ত যাতে প্রত্যেকে পড়তে পারেন সে বিষয়ে উদ্যোগও নিচ্ছে মোদি সরকার।

    ২০১৫ সাল থেকে পালিত হচ্ছে সংবিধান দিবস (Constitution Day)

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল পর্যন্ত ২৬ নভেম্বরকে পালন করা হত আইন দিবস হিসেবে। কিন্তু তারপরে এই নামকরণ পরিবর্তন করা হয় ২০১৫ সালে। সে বছর থেকে ২৬ নভেম্বরকে সংবিধান দিবস (Constitution Day) হিসেবে পালন করা শুরু হয়। ১৯৪৬ সালের ৯ ডিসেম্বর সংবিধান সভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান তৈরি করতে মোট সময় লেগেছিল ২ বছর ১১ মাস ১৭ দিন। ১৯৪৯ সালে সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া গ্রহণ করা হয়। এর পর, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। প্রসঙ্গত, দেশের সংবিধান নির্মাতা ছিলেন ভীমরাও বাবাসাহেব অম্বেডকর। বাবাসাহেব অম্বেডকর ছিলেন সংবিধানের খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান। ভারতের সংবিধানকে তৈরি করতে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।

    অম্বেডকরের মূর্তি উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি

    এদিন (Constitution Day) বাবাসাহেব অম্বেডকরের একটি মূর্তি দেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে উদ্বোধন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীর মুর্মু। মূর্তিটি সাত ফুট লম্বা এবং তিন ফুট চওড়া। এছাড়া আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের সংবিধান দিবসের (Constitution Day) অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই বক্তব্য রাখবেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল, শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি সূর্যকান্ত মিশ্র সহ সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কপিল সিব্বল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু (Chinmoy Krishna Das)। ঘটনার প্রতিবাদে ফের পথে নামেন সে দেশের হিন্দুরা। সোমবার ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইসকন পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি তিনি।

    হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন চিন্ময় (Bangladesh Crisis)

    শুক্রবার রংপুরে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেন হিন্দুরা। এই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় প্রভু। সেই সময় তিনি হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। চট্টগ্রামে তিনটি মন্দির ভাঙার চেষ্টা হলে স্থানীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ সেগুলি রক্ষায় হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলেও ভাষণে উল্লেখ করেছিলেন চিন্ময়। এদিন দুপুরে গ্রেফতার করা হল তাঁকেই। 

    হিন্দুদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মুসলমানরা

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশে কট্টরপন্থী মুসলমানরা হিন্দুদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। তাদের দাবি, ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। তা না হলে ধরে ধরে হত্যা করা হবে ইসকন ভক্তদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হুমকির কথা জানিয়ে ভারত ও আমেরিকার হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন ইসকনের এক সদস্য। এর আগে গত ৫ নভেম্বর ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন চট্টগ্রামের এক মুসলমান ব্যবসায়ী। ইসকনকে জঙ্গি সংগঠনের তকমা দেন তিনি (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: ‘‘ছাপ্পা ভোট দিয়ে জেতানো বিধায়কদের শপথে থাকবে না বিজেপি ’’, সাফ জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বাড়তে থাকে। হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও বেশ কিছু মন্দির ধ্বংস করার অভিযোগও ওঠে সে দেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে। ৫ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় শতাধিক হিন্দুকে। সেদিন চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁকে গ্রেফতার করা হল এদিন। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজিউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, “তাঁকে (চিন্ময় প্রভুকে) ডিবি গ্রেফতার করেছে।” চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্রকুমার নাথ-সহ অন্যরা। তাঁরা চিন্ময়ের (Chinmoy Krishna Das) দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Constitution Day 2024: মঙ্গলে সংবিধান দিবস, সুপ্রিম কোর্টে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    Constitution Day 2024: মঙ্গলে সংবিধান দিবস, সুপ্রিম কোর্টে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস (Constitution Day 2024)। দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। এই উপলক্ষে এদিন সুপ্রিম কোর্টে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় সংবিধান। ২০১৫ সাল থেকে ২৬ নভেম্বর দিনটিকে ‘সংবিধান দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এদিন সেন্ট্রাল হলে সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

    সুপ্রিম কোর্টে বক্তব্য রাখবেন যাঁরা (Constitution Day 2024)

    সুপ্রিম কোর্টের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল, ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বি.আর. গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত, এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কপিল সিবাল। এদিকে, বিরোধী জোটের বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য (Constitution Day 2024) লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন যে সংবিধান দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উভয় কক্ষের বিরোধী দলের নেতাদের বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুন: “অফিসিয়ালি শুরু হয়ে গিয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ”, দাবি ইউক্রেনের প্রাক্তন কমান্ডারের

    কী বলছেন বিরোধীরা

    স্পিকারকে লেখা বিরোধীদের চিঠিতে লেখা হয়েছে, “আমরা সংবিধান সভা ভবনের সেন্ট্রাল হলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গে এই চিঠি লিখছি, যা ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে। আমরা জানি যে এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন। আমরা মনে করি যে সংসদীয় গণতন্ত্রের সেরা ঐতিহ্য এবং স্বার্থ বজায় রাখতে উভয় কক্ষের বিরোধী দলের নেতাদের এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া (PM Modi) উচিত।” বিরোধীদের লেখা এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন টিআর বালু, তিরুচি শিবা, কানিমোঝি, সুপ্রিয়া সুলে, রাঘব চাড্ডা, পি সন্তোষ কুমার, ইটি মোহাম্মদ বশির, কে রাধাকৃষ্ণন, রামজি লাল সুমন এবং এনকে প্রেমচন্দ্রন (Constitution Day 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share