Tag: news in bengali

news in bengali

  • Air Pollution: দিল্লির দূষণকে সামনে রেখে সব রাজ্যকে সতর্কবার্তা, নবান্নকেও চিঠি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    Air Pollution: দিল্লির দূষণকে সামনে রেখে সব রাজ্যকে সতর্কবার্তা, নবান্নকেও চিঠি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির দূষণ (Air Pollution) নিয়ে কড়া বার্তা কেন্দ্রের। এবার বায়ুদূষণকে সামনে রেখে সব রাজ্যকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণেরে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry)। এই চিঠিতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ-সহ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের কথা বলা হয়েছে। দূষণ জনিত সমস্যার মোকাবিলার কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মমতার সরকারকেও চিঠি পাঠিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    নবান্নে এসে পৌঁছেছে চিঠি (Air Pollution)

    সদ্য সমাপ্ত উৎসবের মরসুমের পরই বায়ুদূষণের (Air Pollution) কবলে নাজেহাল দিল্লি সহ আরও বড় বড় শহর। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) পক্ষ থেকে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই মর্মে চিঠি এসে পৌঁছেছে নবান্নে। সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে চিঠিটি পাঠিয়েছেন সচিব পুণ্যসলিলা শ্রীবাস্তব। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “গত কয়েক বছরে দেশের বায়ুদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বায়ুদূষণের প্রভাবে শুধুমাত্র অসুস্থতাই নয়, শ্বাসযন্ত্র প্রভাবিত হয়ে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা তৈরি করছে। একই ভাবে কার্ডিয়োভাস্কুলার সিস্টেমেও বড়সড় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সব রোগের মোকাবিলা করতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরগুলিকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

    শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব

    বায়ুদূষণ (Air Pollution) বড়সড় প্রভাব ফেলতে যে চলেছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Union Health Ministry) আগে থেকেই চিঠি দিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা দিয়েছে। দূষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত ১৯ অক্টোবর রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। চিঠিতে জনসচেতনতা এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কারণ বায়ুদূষণ শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং প্রবীণ নাগরিকদের স্বাস্থ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এই দূষণজনিত রোগে আক্রান্ত হলে কী করণীয়, সেই বিষয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারের জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করে প্রচার-প্রসার করার কথা বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরির নির্দেশিকা

    এই শীতকালের শুরুতে কেবল শহর নয়, গ্রামীণ এলাকায় দূষণের (Air Pollution) প্রকোপ কীভাবে পড়তে চলেছে সেই বিষয়েও আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার (Union Health Ministry)। ‘ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হিউম্যান হেল্‌থ’ (এনপিসিসিএইচএইচ)-এর অধীনে শহরতলি এবং জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ইতিমধ্যে দিল্লিতে যে ভাবে দূষণের মাত্রা ছড়িয়েছে তাতে কেন্দ্রের উদ্বেগ ক্রমশ বেড়েই চলছে। এনপিসিএইচএইচ-এর একটি বায়ুদূষণের প্রতিবেদনে খারাপ প্রভাবের প্রসঙ্গের কথা বলতে গিয়ে বলা হয়েছে, ভারতের মোট মৃত্যুর ১৮ শতাংশ বায়ুদূষণ জনিত কারণে ঘটছে। এই বায়ুদূষণের জেরে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ ৩৪.৫%, ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ ২৯.২%, স্ট্রোক ১৬.২% এবং নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ১১.২% বলে জানানো হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Winter infections: তাপমাত্রার পারদ নামতেই বাড়ছে সংক্রমণ! হাঁচি-কাশি-গলাব্যথার মতো নানা উপসর্গে কাবু?

    Winter infections: তাপমাত্রার পারদ নামতেই বাড়ছে সংক্রমণ! হাঁচি-কাশি-গলাব্যথার মতো নানা উপসর্গে কাবু?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরেই বদলে গিয়েছে আবহাওয়া। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমেছে। তবে আবহাওয়ার এই বদলে‌ বাড়ছে ভোগান্তি। বিশেষত প্রবীণদের একাংশ বাড়তি ভোগান্তির শিকার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ষাটোর্ধ্বদের অধিকাংশের হাঁচি-কাশি-গলাব্যথার মতো নানান উপসর্গ (Winter infections) দেখা দিচ্ছে। আবার ফুসফুসের নানান সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে। ফলে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। একাধিক ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরে জ্বরও হচ্ছে। 

    কেন এই আবহাওয়ায় বাড়ছে নানা রোগের দাপট? (Winter infections)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু এবং বয়স্কদের মধ্যেই নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে‌। তবে এই বছরে বয়স্কদের ভোগান্তি বেশ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক নানা ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের জেরে জ্বরে আক্রান্ত। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে বক্ষঃরোগের দাপট। শ্বাসনালীতে সংক্রমণও দেখা দিচ্ছে। যার জেরে হাঁচি-কাশির মতো সমস্যা হচ্ছে। নানান অ্যালার্জি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শহরের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় আক্রান্ত প্রবীণ রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষত ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্তদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।

    এই ভোগান্তির অন্যতম কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। এর জেরে একদিকে তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ করেই কমে যায়। আবার, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। আর সব মিলিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে একাধিক ভাইরাস। ফলে ভোগান্তি (Sneezing-cough-sore throat) বাড়ে। তার উপরে প্রবীণদের মধ্যে ফুসফুসের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই আবহাওয়াতে ভোগান্তি বাড়ছে।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিশেষত বয়স্কদের সুস্থ থাকার জন্য বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের অনেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় ভোগেন (Winter infections)। তার জন্য নিয়মিত ওষুধ খান। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। সেই ওষুধের ডোজে হেরফের করা চলবে না। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। নিয়মিত কিছু শারীরিক কসরত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের শুরুতে অনেকেই পেশি ও রক্ত সঞ্চালনের নানা সমস্যায় ভোগেন। তাই নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক কসরত নিয়মিত করা জরুরি। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। শরীর সুস্থ থাকবে।

    জল পর্যাপ্ত খাওয়া জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ পড়ে যাওয়ায় অনেকেই জল খেতে চান না। ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের (Winter infections) ঝুঁকিও কমানো সহজ হয়।

    খাবারে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সহজপাচ্য খাবার নিয়মিত খেতে হবে। তবে ব্যালান্স ডায়েট জরুরি। অর্থাৎ ভাত-রুটির সঙ্গে পরিমিত সব্জি, প্রাণীজ প্রোটিন যেমন মাছ-ডিম-মাংস নিয়মিত খাওয়া দরকার। সঙ্গে অবশ্যই রাখতে হবে দুধ কিংবা দুগ্ধজাত কোনও খাবার। তাহলে শরীর সহজে এনার্জি পাবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বজায় থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: নাগপুরের রেশমবাগের ডাক্তার হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরে শুরু আরএসএসের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির

    RSS: নাগপুরের রেশমবাগের ডাক্তার হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরে শুরু আরএসএসের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস (RSS) ২৫ দিনের বিশেষ কার্যকর্তা বিকাশ বর্গ শুরু করেছে নাগপুরের রেশমবাগের ডাক্তার হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরে (Dr. Hedgewar)। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণবর্গের সাধারণ যে কাঠামো তার থেকে এই বর্গ কিছুটা আলাদা। এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্যে হল, ব্যক্তি মনে রাষ্ট্রীয় ঐক্য এবং সহানুভূতির পুনঃজাগরণ ঘটানো। সামাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঙ্ঘের স্বয়ং সেবকদের পূর্ণ সমর্পণের ভাবনা নিয়ে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।

    মোট ৮৬৮ জন অংশ গ্রহণ করেন (RSS)

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আরএসএস-এর (RSS) সহ সরকার্যবাহ কৃষ্ণগোপালজি, মুকুনন্দজি এবং রামদত্তাজি। একই ভাবে উপস্থিত ছিলেন, অখিল ভারতীয় সহ সেবা প্রমুখ এবং বর্গ পালক রাজকুমারজি মাতালে। এছাড়াও ছিলেন, যোধপুর প্রান্ত সঙ্ঘচালক হরদয়াল ভার্মাজিও উপস্থিত ছিলেন। সকলেই ভারত মায়ের মূর্তিতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরের (Dr. Hedgewar) এই প্রশিক্ষণ বর্গে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে মোট ৮৬৮ জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২৫ দিন ধরে এই প্রশিক্ষণ শিবির চলবে। শিবির সমাপ্ত হবে ১২ ডিসেম্বর। এই বর্গে সামজিক সচেতনতা এবং দায়িত্ব-কর্তব্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

    মানুষের সেবা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রই প্রকৃত ধর্ম

    রেশমবাগের ডাক্তার হেডগেওয়ার (Dr. Hedgewar) স্মৃতি মন্দিরের (RSS) এই প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, বর্গের পালক রাজকুমারজি মাতালে বলেন, “সমাজ জীবনে ব্যক্তি নির্মাণ একান্ত প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, দেশপ্রেম এবং পরস্পর সহাবস্থান একান্ত অপরিহার্য। সঙ্ঘে এই প্রশিক্ষণ একান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে একাধিক প্রদেশে প্রশিক্ষণ বর্গেরও আয়োজন করা হয়। তবে নাগপুরের এই বর্গ বিশেষ বর্গ। একে কার্যকর্তা প্রশিক্ষণ বর্গ বলা হয়। অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা শিক্ষা গ্রহণ করবেন এবং এরপর বাস্তব জীবনে গিয়ে তার প্রয়োগ করবেন। মানুষের সেবা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রই প্রকৃত ধর্ম। মহতি শাখা থেকে ডাক্তারজি কাজ শুরু করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন যে কোনও ভালো কাজ করতে গেলে নানা বাধা আসে। উপহাস, সমালোচনা হয়। কিন্তু পরে পরেই গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ে। আজ সঙ্ঘ সামাজিক কাজে মানুষের মনে বিরাট জায়গা করে নিয়েছে। যারা প্রথমে সমালোচনা করেছে, তারা আজ সঙ্ঘের কাজে যোগদান করছে।”

    ১৯২৫ সালে নাগপুরে বিজয় দশমীর দিনে স্থাপনা

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (RSS) ১৯২৫ সালে নাগপুরে বিজয় দশমীর দিনে স্থাপনা করেছিলেন ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার (Dr. Hedgewar)। কলকাতায় ডাক্তারি পড়তে এসেছিলেন তিনি। বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতি, যুগান্তর দল, গুপ্ত সমিতির সঙ্গে পরিচিত হন। স্বাধীনতার আন্দোলনে যোগদান করেন। দেশ রক্ষা ধর্ম রক্ষার প্রয়োজন অনুভব করেন। এরপর হিন্দু সমাজকে রক্ষার জন্য আরএসএস স্থাপনা করেন নাগপুরে। ১৯২৭ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রশিক্ষণ বর্গ শুরু করেন। প্রথম প্রশিক্ষণে মাত্র ১৭ জন যোগদান করেছিলেন। একমাত্র জরুরি অবস্থা এবং করোনার সময় প্রশিক্ষণ শিবির বন্ধ ছিল। বর্গের ধারার এখনও প্রবাহ বয়ে চলছে।

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    অধিক কাজের জন্য অধিক কার্যকর্তা

    সময়ের প্রয়োজন এবং সমাজের চাহিদাকে সামনে রেখে সঙ্ঘ নিজের প্রশিক্ষণেও পরিবর্তন এনেছে। কঠিন সঙ্কটে কী করণীয়, কীভাবে অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখে সংগ্রাম করতে হয় সেই বিষয়ে বিশেষ শিক্ষা দেওয়া হয়। একই ভাবে ভারতীয় ইতিহাসবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি এবং পরম্পরা-ঐতিহ্যের বিশেষ পাঠ দেওয়া হয়। শুধু সমাজের সামালোচনাই নয়, সেই সঙ্গে গঠন মূলক ইতিবাচক সমাধানের রাস্তার কথাও বলতে হয়। এই বছর থেকে সঙ্ঘের শতবর্ষ কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। প্রত্যেক গ্রাম, নগর এবং শহরে সঙ্ঘকাজকে (RSS) নিয়ে যাওয়ার বিরাট পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাই অধিক কাজ এবং অধিক কাজের জন্য বেশি সংখ্যক মানুষকে যোগদান করানো প্রধান কাজ বলে মনে করে আরএসএস। তাই স্বয়ং সেবকদের সমাজের সকল স্তরে ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Pollution: দিল্লিতে বায়ু দূষণের জের, সব শ্রেণির ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Delhi Pollution: দিল্লিতে বায়ু দূষণের জের, সব শ্রেণির ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি দূষণের (Delhi Pollution) মাত্রা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। শীতের মরশুমের আগেই স্বাভাবিক জনজীবন বিশেষ ভাবে ব্যাহত হয়ে পড়েছে। সোমবার ছিল দিল্লিতে বছরের দুষিততম দিন। সেদিনই, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজধানীর স্কুলগুলিতে সব শ্রেণির ক্লাস অনলাইনে করতে হবে। মঙ্গলবার থেকেই এই নিয়ম কার্যকর করা হয়। একই ভাবে দিল্লি এবং রাজধানী-লাগোয়া তিন রাজ্যের একাংশে স্কুল বন্ধ রাখার কথা বলে প্রশাসনকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

    কেন দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস খোলা? সুপ্রিম-প্রশ্ন  (Delhi Pollution)

    নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী রাজধানীতে (Delhi Pollution) কেবলমাত্র একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল খোলা রাখার নির্দেশ জারি করেছিল দিল্লির আপ সরকার। বাকি শ্রেণির জন্য অনলাইন ক্লাসের নির্দেশ জারি হয়েছিল। কিন্তু দিল্লি আপ সরকারের এই নির্দেশ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ে। বিচারপতি অভয় এএস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহর বেঞ্চ-এর প্রশ্ন তোলেন, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির (School) পড়ুয়াদের ফুসফুস কি আলাদা? এর পরই, সব শ্রেণির ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

    স্কুল বন্ধ মানে পড়াশুনা বন্ধ নয়

    সুপ্রিম কোর্ট, দিল্লি ছাড়াও জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের মধ্যে থাকা হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের বেশ কিছু অঞ্চলেও স্কুল (School) বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পড়ুয়াদের দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে স্কুল বন্ধ মানে পড়াশুনা বন্ধ এমন কিছু ভাবনা নয়। সশরীরে স্কুলে উপস্থিত না থাকলেও অনলাইনে বাড়িতে বসে ক্লাস করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্র্যাপ-৪) চালু করেছে দিল্লি সরকার (Delhi Pollution)। আট দফা বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়েছে। প্রথমে প্রাথমিক স্কুলগুলির ক্লাস অনলাইনে করানোর নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির আপ সরকার। পরে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস করানোর কথা বলা হয়।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    কোর্টের প্রশ্ন

    সোমবারের শুনানিতে আপ সরকারকে ধমক দেন বিচারপতিদ্বয়। তাঁরা জানতে চান, দূষণ (Delhi Pollution) নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে এত বিলম্ব কেন করছে প্রশাসন? সেই সঙ্গে আরও বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চতুর্থ পর্যায়ের ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্র্যাপ-৪) বহাল রাখতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া তা তোলা যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tirupati: তিরুপতি মন্দিরের বড় সিদ্ধান্ত, কর্মকাণ্ড থেকে বাদ অহিন্দুরা, প্রাঙ্গণে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক বিবৃতি

    Tirupati: তিরুপতি মন্দিরের বড় সিদ্ধান্ত, কর্মকাণ্ড থেকে বাদ অহিন্দুরা, প্রাঙ্গণে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক বিবৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি (Tirupati) ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে যে কোনও রকমের কাজে আর নিযুক্ত থাকতে পারবেন না অহিন্দুরা। সোমবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিরুপতি মন্দিরের পরিচালন সংস্থা। প্রসঙ্গত, তিরুপতি মন্দিরের পরিচালন সংস্থার নাম হল তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (টিটিডি)। এমন প্রস্তাব পাশ করার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের (Tirupati Temple) চেয়ারম্যান বিআর নাইডু। তবে এখনও পর্যন্ত সঠিক তথ্য জানা যায়নি, ঠিক কতজন অহিন্দু কর্মচারী সেখানে নিযুক্ত রয়েছেন। স্থানীয় একটি সূত্র ইতিমধ্যে সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছে, মন্দিরের দৈনন্দিন ও প্রশাসনিক নানা রকমের কাজের জন্য অন্তত ৭,০০০ স্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন। এই কর্মচারীদের মধ্যে অন্তত ৩০০ জন অ-হিন্দু সম্প্রদায়ের। প্রসঙ্গত, স্থায়ী কর্মী ছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি তিরুমালা মন্দিরের (Tirupati) ১৪ হাজার অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। প্রসঙ্গত, মন্দির কমিটি এও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তিরুমালা পাহাড়ে কোনও রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া যাবে না।

    সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বেশিরভাগ কর্মচারী সংগঠন

    মন্দির কর্তৃপক্ষের পাশ করা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মন্দিরের অ-হিন্দু কর্মচারীদের হয় স্বেচ্ছাবসর নিতে হবে, না হলে তাঁদের অন্য সরকারি দফতরে বদলি করা হবে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বেশিরভাগ কর্মচারী সংগঠনই। একটি কর্মচারী সংগঠনের মতে, তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম-এর যে বিধির কথা এতদিন বলা হচ্ছিল, এতদিনে তা কার্যকর করা হল। প্রসঙ্গত, গত ৩১ অক্টোবরই তিরুমালা তিরুপতি (Tirupati Temple) দেবস্থানমের চেয়ারম্যান করা হয় বিআর নাইডুকে। তারপরেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, গোটা মন্দিরের প্রশাসন হিন্দুদের দ্বারাই পরিচালনা করা হবে।

    সাম্প্রতিক লাড্ডু বিতর্ক (Tirupati)  

    প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তিনবার তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের আইনেও বদল করা হয়েছিল। সে সময় বলা হয়েছিল যে মন্দির পরিচালন করবেন হিন্দুরাই। কিন্তু এর পরেও বহু অহিন্দু সম্প্রদায়ের কর্মচারী মন্দিরের প্রশাসনিক নানা কাজে নিযুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এরপরে চন্দ্রবাবু নাইডুর সরকার ক্ষমতায় আসতেই ফের বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তারপরে আবার লাড্ডু বিতর্কে সংবাদ শিরোনামে এসেছিল তিরুপতি মন্দির। তেলুগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুর অভিযোগ, পূর্বতন জগন্মোহন রেড্ডি সরকারের আমলে প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ঘি এর সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হত। এক্ষেত্রে গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির জুলাই মাসের রিপোর্ট উদ্ধৃত করেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষার ইস্যুটি ফের সামনে চলে আসে।

    সংবিধানসম্মত সিদ্ধান্ত

    প্রসঙ্গত, তিরুমালা তিরুপতি (Tirupati) দেবস্থানমের এই প্রস্তাব ইতিমধ্যে অন্ধপ্রদেশ সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল সোমবারই প্রস্তাব পাঠানো হয়। মন্দির কমিটি যে প্রস্তাব পাশ করেছে সেখানে ভারতের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ১৬(৫) অনুচ্ছেদই প্রতিফলিত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি শুধুমাত্র সেই ধর্মেরই ব্যক্তিদের নিয়োগ করবে, যাঁদের ওই মন্দির প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে। এরফলে পবিত্রতা রক্ষা করা যায় ধর্মস্থানের।

    সম্প্রতি অন্ধ্রের হাইকোর্টের রায়

    জানা গিয়েছে, তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের (Tirupati Temple) এই বৈঠক সেখানকার অন্নময় ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী হিন্দু মন্দির হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রসঙ্গত, ওই বৈঠকের প্রস্তাব হাতে পেতেই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ঘোষণা করেছেন, মন্দিরের সমস্ত অহিন্দু কর্মচারীদের স্বেচ্ছা অবসর স্কিম দেওয়া হবে অথবা তাঁদেরকে অন্য সরকারি বিভাগে স্থানান্তর করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রায় প্রতিটি কর্মচারী সংগঠনই এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তারা এক্ষেত্রে বলছেন যে অন্ধ্রপ্রদেশ এনডাউসমেন্ট অ্যাক্ট, টিটিডি অ্যাক্ট এবং ১৯৮৯ সালের একটি সরকারি আদেশের সঙ্গেও এই নির্দেশ সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অন্ধ্র হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ করে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যে সমস্ত কর্মী কাজ করবেন, তাঁদেরকে ওই প্রতিষ্ঠানের যে বিশ্বাস সেটাকে মেনে চলতে হবে। মনে করা হচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণে আরও ত্বরান্বিত হয়েছে মন্দির কমিটির এই সিদ্ধান্ত।

    সরছে বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে অ্যাকাউন্ট 

    একই সঙ্গে তিরুমালা তিরুপতি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মন্দিরের আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে তাদের সমস্ত অ্যাকাউন্ট সরকারি ব্যাঙ্কে স্থানান্তর করা হবে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা।
    জানা গিয়েছে, বর্তমানে তিরুপতি মন্দিরের দেবতা দর্শন করতে দর্শনার্থীদের অপেক্ষা করতে হয় কুড়ি থেকে ত্রিশ ঘণ্টা। মন্দির কমিটি এই বিষয়টি নিয়েও বিবেচনা করছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে অপেক্ষার সময় দুই থেকে তিন ঘণ্টা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় তাও ভাবা হচ্ছে।

    রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া যাবে না তিরুমালা পাহাড়ে 

    একইসঙ্গে ভারতবর্ষের গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দিরে আধ্যাত্মিকতা এবং অরাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখতেও উদ্যোগী হয়েছে মন্দির সমিতি। ঠিক এই কারণে সেজন্য বোর্ড আরও কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিরুমালা মন্দিরে কোনও রকমের রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মন্দির সমিতির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাঙ্গণে যে কোনও রাজনৈতিক দল তাদের অ্যাজেন্ডা যদি প্রচার করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    একইসঙ্গে, তিরুমালা মন্দিরের ব্রহ্মোৎসবে অংশগ্রহণকারী কর্মচারীদের ভাতা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কমিটি। তিরুপতি মন্দিরের আশেপাশের বাসিন্দারা প্রতি মাসের প্রথম মঙ্গলবার বিশেষ দর্শন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Moody’s: বাংলাদেশের ঋণমান ফের কমাল মুডি’স, ইউনূসের দেশের অর্থনীতির পূর্বাভাসও ‘নেতিবাচক’

    Moody’s: বাংলাদেশের ঋণমান ফের কমাল মুডি’স, ইউনূসের দেশের অর্থনীতির পূর্বাভাসও ‘নেতিবাচক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladeshs Ratings) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ। এহেন আবহে প্রকাশ্যে এল আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডি’স-এর রিপোর্ট (Moody’s)। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান এবং সিনিয়র আনসিকিওরড রেটিংস ‘বি ১’ থেকে কমিয়ে ‘বি ২’ করেছে। স্বল্পমেয়াদি ঋণমান রেটিংসকে ‘নট প্রাইম’ বা ‘শ্রেষ্ঠ গুণসম্পন্ন নয়’ করা হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস স্থিতিশীল থেকে কমিয়ে করা হয়েছে নেতিবাচক। এর আগে, গত মে মাসে বাংলাদেশের ঋণমান এক ধাপ কমিয়ে ‘বিএ৩’ থেকে ‘বি১’-এ নামিয়ে দেয় মুডি’স।

    রাজনৈতিক ঝুঁকি (Moody’s)

    মুডি’স সোমবার জানিয়েছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার ফলে সরকার পরিবর্তন হয়েছে, যা রাজনৈতিক ঝুঁকি বাড়িয়েছে এবং নিম্নতর প্রবৃদ্ধি তৈরি করেছে। এর ফলে সরকারি অস্থিরতার ঝুঁকি, বৈশ্বিক ভঙ্গুরতা এবং ব্যাঙ্কিং খাতের ঝুঁকি বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী এই রেটিং সংস্থা জানিয়েছে, চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং দুর্বল প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে তার ঘাটতি পূরণের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে স্বল্পমেয়াদি অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য করছে, যা আদতে বাড়াচ্ছে লিক্যুইডিটি ঝুঁকি।

    মুডিসে’র বক্তব্য

    মুডি’স (Moodys) জানিয়েছে, সম্পদের গুণগত মানের ওপর উচ্চ ঝুঁকি ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় কাঠামোগতভাবে দুর্বল মূলধন ও লিক্যুইডিটিকে আরও জোরদার করে, সার্বভৌম সরকারের জন্য সম্ভাব্য দায়বদ্ধতার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। উন্নত রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ বিতরণ করা সত্ত্বেও, গত কয়েক বছরে মজুত অর্থ ধারাবাহিকভাবে কমে যাওয়ায় বহিরাগত ঝুঁকি দুর্বল রয়ে গিয়েছে।

    উচ্চ সামাজিক ঝুঁকি, একটি সুস্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপের অভাব, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক উত্তেজনার পুনরুত্থান রাজনৈতিক ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মুডি’স জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে আরও নীচে নেমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এটি দেশের দুর্বল আর্থিক অবস্থাকে আরও চাপের মুখে ফেলতে পারে, বাড়িয়ে তুলতে পারে বহিরাগত ঝুঁকি।

    আরও পড়ুন: ‘‘এক দশকে দেশের ২৫ কোটি মানুষের দারিদ্রতা দূর করা গিয়েছে’’, জি২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    এই ঝুঁকিগুলি তৈরি হয়েছে দুর্বল দেশীয় চাহিদা এবং সাম্প্রতিক প্রতিবাদ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সরবরাহে বাধা থেকে। এটি রফতানি সম্ভাবনা অনিশ্চিত করে তুলছে, নষ্ট করছে রেডিমেড পোশাক ক্ষেত্রের সম্ভাবনাকে। মুডি’স এও জানিয়েছে, যদিও অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিস্তৃত সংস্কার অ্যাজেন্ডার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবুও তার বাস্তবায়ন ক্ষমতা অনিশ্চিত রয়ে গিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও উচ্চ বেকারত্ব (Bangladeshs Ratings) মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে দুর্বল হয়ে পড়বে বাংলাদেশের (Moodys) রাজনৈতিক ভিত্তি। তাতে বিপদ বাড়বে বই কমবে না!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • CCI: গোপনীয়তা নীতি লঙ্ঘন, হোয়াটসঅ্যাপকে ২১৩ কোটি জরিমানা করল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিসিআই

    CCI: গোপনীয়তা নীতি লঙ্ঘন, হোয়াটসঅ্যাপকে ২১৩ কোটি জরিমানা করল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিসিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তা নীতি নিয়ে অভিযোগ, প্রতিযোগিতা কমিশন বা সিসিআইয়ের (CCI) তরফে ২১৩.১৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হল জুকেরবার্গের সংস্থাকে। অভিযোগ, হোয়াট্‌সঅ্যাপ গোপনীয়তা নীতি বদলের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার নিয়ম ভাঙছে, তাই এই জরিমানা বলে জানিয়েছে সিসিআই (CCI)। জুকেরবার্গের সংস্থা অবশ্য জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি নিয়ে আবেদন করা হবে। জুকেরবার্গের সংস্থা মেটাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতেও বলা হয়েছে। নয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপকে ইউজারদের ডেটা শেয়ার করতে হলে বিস্তৃত ব্যাখ্যা দিতে হবে।

    ব্যবহারকারীদের তথ্য মেটার অন্য অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছিল হোয়াটসঅ্যাপ

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে গোপনীয়তা নীতি বদল করে হোয়াটসঅ্যাপ। সিসিআইয়ের অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তা নীতি বদল করার পর বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে মেটা (Meta) পরিচালিত অ্যাপ্লিকেশনগুলির সঙ্গে ব্যবহারকারীর তথ্য ভাগ করে নেওয়া হচ্ছিল। প্রতিযোগিতা কমাতেই এমনটা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে সিসিআই (CCI)। এর পরেই মেটার ওপর ২১৩ কোটির জরিমানার বোঝা চাপায় এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা গিয়েছে, গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ ও সেগুলি ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মতো মেটার শাখার সঙ্গে ভাগ করা থেকে বিরত থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপকে। কেন্দ্রীয় সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপকে এভাবে ডেটা শেয়ার করার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

    আবেদন জানাবে মেটা (Meta)

    অন্যদিকে সিসিআইয়ের (CCI) এই অভিযোগের বিরুদ্ধেই এবার আবেদন করার কথা জানাল মেটা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেটার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্থা সিসিআইয়ের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত নয় এবং তারা আবেদন করতে চায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Crisis: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    Manipur Crisis: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ নীরবতা ভাঙলেন মণিপুরের (Manipur Crisis) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (Biren Singh)। মেইতেই পরিবারের ছ’জন নারী ও শিশুকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনাকে তিনি অভিহিত করেছেন ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে। তিনি জানান, অপরাধীদের ধরতে চলছে চিরুনি তল্লাশি। ১১ নভেম্বর সশস্ত্র বেশ কিছু জঙ্গি হামলা চালায় একটি ত্রাণ শিবিরে। কয়েকদিন পরে ওই শিবিরের মেলে আটজন মেইতেই বাসিন্দার দেহ। এই ঘটনার পর সিআরপিএফের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ১০ জন জঙ্গির। 

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী (Manipur Crisis)

    ১১ নভেম্বরের ঘটনা প্রসঙ্গে ভিডিও বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি গভীর দুঃখ ও ক্ষোভ নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। জিরিবামে নিরীহ তিন শিশু ও তিন মহিলাকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। পরে উদ্ধার হয় তাঁদের দেহ। এমন বর্বরোচিত কাজ কোনও সভ্য সমাজে স্থান পেতে পারে না।” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই জঙ্গিদের খোঁজার কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই তাদের কাঠগড়ায় তোলা হবে। আমরা তাদের অমানবিক কাজের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত থামব না।”

    বাহিনীর প্রশংসা

    সিআরপিএফ এবং রাজ্য বাহিনীর প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন (Manipur Crisis), “সিআরপিএফ এবং রাজ্যের বাহিনীর অসাধারণ সাহস এবং তাদের কর্তব্যের প্রতি অঙ্গীকারের জন্য আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আমার কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ, যাঁরা রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।” তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ২০ কোম্পানি সিএপিএফ পাঠিয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার ও শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আরও ৫০টি কোম্পানি পাঠানো হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন পুতিন

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সংঘাত চলছে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রশ্ন নিয়ে।” তাঁর অভিযোগ, এই সংঘাতের বীজ বপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, পি চিদম্বরম কর্তৃক জোমি রেভলিউশনারি আর্মি (জেডআরএ)-এর সঙ্গে একটি ‘সাসপেনশন অফ অপারেশন্স’ চুক্তি করার মাধ্যমে।জানা গিয়েছে, বর্তমান সংঘাত শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে, বীরেন সিংহ সরকার জেডআরএ-সহ দুই কুকি-জো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে করা ওই চুক্তি থেকে সরে এসেছিল। এই গোষ্ঠীগুলি বনের জমি দখলকারীদের মধ্যে আন্দোলনকে প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ ওঠে। তার (Biren Singh) জেরেই বাতিল করা হয় চুক্তি (Manipur Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির, কী কথা হল?

    PM Modi: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জি২০ শীর্ষ বৈঠকে আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। সাক্ষাতের মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘‘ওঁর (বাইডেন) সঙ্গে দেখা করে আমি সব সময়েই খুশি!’’

    নিজেদের মধ্যে কুশল বিনিময়ের পর উষ্ণ করমর্দনও করেন দুই রাষ্ট্রনেতা 

    প্রসঙ্গত, ১৮-১৯ নভেম্বর ব্রাজিলে (Brazil G20 Summit) আয়োজিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শনিবারই দেশ থেকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। রবিবার প্রথমে তিনি যান নাইজেরিয়া। সোমবার পৌঁছেছেন ব্রাজিলে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে রয়েছেন আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চিন, আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। সেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মোদির। নিজেদের মধ্যে কুশল বিনিময়ের পর উষ্ণ করমর্দনও করেন দুই রাষ্ট্রনেতা।

    চলতি বছরে তিনবার সাক্ষাৎ হল মার্কিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে

    উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসেও আমেরিকায় আয়োজিত চতুর্দেশীয় অক্ষ বা ‘কোয়াড’ সদস্য রাষ্ট্রগুলির বৈঠকেও মোদি-বাইডেন সাক্ষাৎ হয়েছিল। তার আগে চলতি বছরের জুন মাসে ইতালিতে আয়োজিত জি৭ শীর্ষ সম্মেলনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই শেষ বারের মতো মোদির মুখোমুখি হলেন বাইডেন এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    গত বছর প্রথা মতো ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের হাতে ‘গাভেল’ তুলে দেন মোদি

    সোমবার রিও ডি জেনিরোতে পৌঁছনোর পর বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে তাঁকে (প্রধানমন্ত্রী মোদি) উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রবাসীরা। সংস্কৃত শ্লোক সুর করে পাঠ করেন কয়েক জন নারী-পুরুষ। প্রত্যেকের পরনে ছিল ভারতীয় পোশাক। গুজরাটের ঐতিহ্যবাহী ডান্ডিয়া নৃত্যও প্রদর্শন করা হয়। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে জি২০ শীর্ষ (Brazil G20 Summit) বৈঠকের আয়োজন দেশ ছিল ভারত। দিল্লিতে গত বছরের ১০ নভেম্বর সেই বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সভাপতিত্বের ‘গাভেল’ তুলে দেন। প্রথা মেনে এ বারের শীর্ষ বৈঠকের আয়োজক দেশ ব্রাজিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়ল পাকিস্তানের জাহাজ, কী এল কার্গো শিপে, রহস্য!

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়ল পাকিস্তানের জাহাজ, কী এল কার্গো শিপে, রহস্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন। দেশ চালাতে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis)। সেই সরকারের প্রধান করা হয়েছে মহম্মদ ইউনূসকে। মুদ্রাস্ফীতি-সহ নানা সমস্যার সমাধানে সেই ইউনূসই ব্যর্থ বলে জানিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক একটি ক্রাইসিস গ্রুপ।

    ব্যর্থ ইউনূস (Bangladesh Crisis)

    সদ্য প্রকাশিত এক (Pak Ships) প্রতিবেদনে তারা সতর্ক করে দিয়েছে এই বলে যে, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ। এই ব্যর্থতা আরও জটিল হয়ে উঠেছে নানা অছিলায় ইউনূসের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ইচ্ছার স্পষ্ট ইঙ্গিতের কারণে। প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে, এই সব বিষয় শেষ পর্যন্ত দেশটিকে দীর্ঘস্থায়ী সামরিক শাসনের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ইউনূস প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখাতে না পারায় উদ্বিগ্ন সে দেশের সেনাবাহিনী।

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন

    এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন এবং ইউনূসকে লক্ষ্য করে ওয়াশিংটনের কঠোর পদক্ষেপের সম্ভাবনায়ও উদ্বেগে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তারা। ইউনূস বহুদিন ধরেই বিল এবং হিলারি ক্লিনটন এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কয়েকজন শীর্ষ নেতা এবং জর্জ সোরোসের মিত্র হিসেবে পরিচিত। ট্রাম্প প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। ইউনূস ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা, হিযবুত তাহরির ও হেফাজতে ইসলামের মতো চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী এবং জেনারেল ওয়াকের উজ জামানের মতো সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে বলে অনুমান।

    জারি হতে পারে সামরিক শাসন!

    এই ধরনের (Bangladesh Crisis) নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি এড়াতে, জেনারেল জামানের সহকর্মীরা দ্রুত ইউনুসের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সামরিক শাসন জারি করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছেন বলে খবর। এদিকে, ইউনুস সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করা হলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খোলাখুলি হুমকি দিচ্ছে সেনাবাহিনীর ইসলামপন্থী গোষ্ঠী। তাদের মতে, এটি বাংলাদেশে ভারতের প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠার নয়া সুযোগ সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশের আকাশে যখন এমন অনিশ্চয়তার মেঘ ঘনাচ্ছে, তখন পাকিস্তান ইউনূস ও তাঁর উপদেষ্টাদের পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন একটি কৌশল অবলম্বন করেছে। এই কৌশল অনুযায়ী, সামরিক বাহিনী যদি অভ্যুত্থান ঘটায় তবে সশস্ত্র সংঘাতের দিকে এগোতে প্রস্তুত তারা।

    আরও পড়ুন: ‘‘এক দশকে দেশের ২৫ কোটি মানুষের দারিদ্রতা দূর করা গিয়েছে’’, জি২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    বাংলাদেশে ভিড়ল পাক জাহাজ

    মিডিয়া সূত্রে খবর, পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে একটি কার্গো জাহাজ (Pak Ships) ১৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে এই প্রথম সরাসরি যোগাযোগ হল সমুদ্রপথে। ঘটনায় উদ্বেগে ভারত। পাকিস্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ উপস্থিত ছিলেন ওই কার্গো জাহাজ নোঙরের সময়। তিনি বলেন, “এটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ। এই নয়া রুট সাপ্লাই চেনকে আরও কার্যকর করবে, কমাবে পরিবহণের সময় এবং দ্বার খুলবে উভয় দেশের নতুন ব্যবসায়িক সুযোগের।”

    ভারতের দুই পড়শির ‘সামুদ্রিক যোগাযোগ’

    বাংলাদেশ প্রশাসন এই (Bangladesh Crisis) ‘সামুদ্রিক যোগাযোগ’কে স্বাগত জানিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে এই বাণিজ্যের পরিমাণ নেমে গিয়েছিল ৮০০ মার্কিন মিলিয়ন ডলারে নীচে। ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম দুই দিকের দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সরাসরি সামুদ্রিক যোগাযোগ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। কারণ এই রাজ্যগুলি অবস্থিত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি। গত ২৯ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান থেকে আসা সব চালান কাস্টমস পরিদর্শন ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হবে। এর আগে, ১০ সেপ্টেম্বর পাক হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। জানা গিয়েছে, একই ধরনের গোপন বৈঠক হয়েছে পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং ইউনূস ও তাঁর দুই উপদেষ্টা – নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সাজিব ভুঁইয়ার সঙ্গেও। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলাম ও ভূঁইয়া হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত। হাসিনা বিরোধী বিদ্রোহের শীর্ষ কমান্ডারদের মধ্যেও ছিলেন তাঁরা।

    কী ছিল চালানে?

    জানা গিয়েছে, চট্টগ্রামে নোঙর করা জাহাজের ২০০ কন্টেইনারের চালানটি কড়া পুলিশ প্রহরায় এবং ইউনূসের অনুগামী ছাত্র-কর্মীদের উপস্থিতিতে নামানো হয়। সঙ্গে সঙ্গেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় অজানা জায়গায়। দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও জানে না, চালানে কী ছিল, সেগুলি নিয়েই বা যাওয়া হল কোথায়।
    সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, জুলাই-অগাস্টে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল, যা প্রথমে ছাত্রদের সংরক্ষণ সংস্কার আন্দোলনকে সামনে রেখে হয়েছিল, তার কয়েক মাস আগে নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, ড. আসিফ নজরুল এবং আরও কয়েকজন ব্যক্তি কাতার এবং দুবাই সফর করেছিলেন। সেখানে তাঁরা ডোনাল্ড লু, জর্জ সোরোস এবং পাকিস্তানি আইএসআইয়ের (Pak Ships) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বলেও খবর (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share