Tag: news in bengali

news in bengali

  • RSS: শুক্রবার মথুরায় সঙ্ঘের বৈঠক শুরু, বাংলাদেশি হিন্দুদের নিরাপত্তা সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা

    RSS: শুক্রবার মথুরায় সঙ্ঘের বৈঠক শুরু, বাংলাদেশি হিন্দুদের নিরাপত্তা সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল শুক্রবার মথুরায় (Mathura) শুরু হচ্ছে আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠক। এই বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বঞ্চিত শ্রেণির কাছে পৌঁছানো, জাতীয় স্তরের বিভিন্ন ইস্যু, জম্মু-কাশ্মীরের ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি, বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তাহীনতা, ওটিটি প্লাটফর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ— এই সমস্ত কিছুই আলোচিত হবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠকে। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া এই বৈঠকে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হবে আরএসএস-এর (RSS) শতবর্ষে অনুষ্ঠিত হতে চলা নানা কর্মসূচি নিয়েও।

    সারা দেশ থেকে যোগ দেবেন ৩৯৩ জন পদাধিকারী

    জানা গিয়েছে, সারা দেশ থেকে মোট ৩৯৩ জন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পদাধিকারী, এই বৈঠকে যোগ দেবেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়া দশমীর ভাষণেই সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত বিবিধ ইস্যু স্থির করে দিয়েছিলেন, সে নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হবে এই বৈঠকে।

    কী জানালেন সুনীল আম্বেকর?

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সঙ্ঘের এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে যে সমাজকে কিভাবে সংঘটিত করা যায়, একসঙ্গে সমাজে কীভাবে থাকা যায়, যে কোনও ধরনের গুজবের মোকাবিলা করে। এর পাশাপাশি, ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলির কন্টেন্টগুলি শিশুদের মনে যেভাবে খারাপ প্রভাব ফেলছে, সে নিয়েও আলোচনা হবে। একইসঙ্গে সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ কিভাবে গড়ে তোলা যায়, সে নিয়েও হবে আলোচনা। একই সঙ্গে সুনীল আম্বেকর আরও জানিয়েছেন, এই বৈঠকে আলোচনা হবে ভারতের মহান সন্তানদের জীবনী ও সে বিষয়ে সঙ্ঘের কর্মসূচি (Mathura) নিয়েও। মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, বিরসা মুণ্ডা, অহল্যাবাঈ হোলকার, রানি দুর্গাবতীদের নিয়ে আলোচনা হবে। জানা যাচ্ছে, সঙ্ঘের এই বৈঠকেই আগামী বছরের বিজয়া দশমী কীভাবে উদযাপন করা হবে, সে নিয়েও আলোচনা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে নতি স্বীকার, বাংলাদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ

    Bangladesh Crisis: বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে নতি স্বীকার, বাংলাদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে নতি স্বীকার করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis)! প্রবল আন্দোলনের জেরে দেশছাড়া হয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তার দল আওয়ামী লীগের ছাত্রশাখা ছাত্রলীগকে (Chhatra League) নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এবং সেটাও আন্দোলনকারীদের চাপে। বুধবার মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। লিখিত বিবৃতিতে একই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর দফতরের সিনিয়র সচিব মহম্মদ আবদুল মোমেনও।

    কী বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে (Bangladesh Crisis)

    সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচারী শাসনকালে বাংলাদেশ ছাত্র লীগ খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন, হস্টেলে সিট নিয়ে ব্যবসা, টেন্ডার দুর্নীতি, ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার মতো নানা ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। একাধিক মামলায় ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্তরা অভিযুক্ত হিসেবেও প্রমাণিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং শতাধিক নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার তথ্যপ্রমাণ সরকারের কাছে রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর অধীনে সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে।’’

    আরও পড়ুন: “পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি”, জিনপিংকে মোদি

    নতুন করে শুরু আন্দোলন

    প্রসঙ্গত, সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ, আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনকে জঙ্গি তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা-সহ পাঁচ দফা দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন (Bangladesh Crisis)। ওই দিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির বাসভবন ‘বঙ্গভবনে’র বাইরে অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের একাংশের সংঘর্ষও হয়। বুধবার আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই (Chhatra League) ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ইউনূস সরকার (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: পারাদ্বীপ থেকে ৩৩০ কিমি দূরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা! উদ্বেগ দক্ষিণবঙ্গ, ওড়িশায়

    Cyclone Dana: পারাদ্বীপ থেকে ৩৩০ কিমি দূরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা! উদ্বেগ দক্ষিণবঙ্গ, ওড়িশায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কতটা গতিতে আছড়ে পড়বে সাইক্লোন ‘দানা’ (Dana)? এ নিয়েই আশঙ্কার প্রহর গুণছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন। আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিগত ৬ ঘণ্টায় উপকূলের দিকে আরও ৯০ কিলোমিটার এগিয়ে এসেছে দানা, প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে দানার দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কিলোমিটার। ধামারা থেকে ‘দানা’র দূরত্ব ৩৬০ কিমি। বাংলার সাগরদ্বীপ থেকে ৪২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে অতি শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কাল ভোরের মধ্যে ওড়িশায় ল্যান্ডফল করবে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যে ওড়িশায় সাড়ে দশ লাখেরও ওপর মানুষকে সরিয়েছে বিজেপি সরকার (Odisha BJP Govt)।

    দানা (Dana) মোকাবিলায় ওড়িশাতে প্রস্তুত বিজেপির মোহন চরণ মাঝির সরকার

    দানা (Dana) মোকাবিলায় ওড়িশাতে প্রস্তুত বিজেপির মোহন চরণ মাঝির সরকার। সমস্ত জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সকাল ১১টার মধ্যে ল্যান্ডফলের জায়গা সম্পূর্ণভাবে খালি করানোর। সাংবাদিক সম্মেলনে মোহন চরণ মাঝি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য। ওড়িশার (Odisha Bjp Govt) মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, তাঁরা যেন উদ্বিগ্ন না হন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩ হাজার গ্রামকে চিহ্নিত করেছে ওড়িশা সরকার (Odisha BJP Govt)। সেখান থেকেই ১০ সাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ জন মানুষকে দানার আগে সরানো হয়েছে।

    কোথায় আছড়ে পড়বে দানা (Dana)?

    পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ মধ্যরাত থেকে কাল ভোরের মধ্যে ওড়িশায় ল্যান্ডফল। ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Dana)। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি। সরাসরি আঘাত না হানলেও, ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে লন্ডভন্ড হতে পারে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাও। আগাম সতর্কতা হিসেবে খালি করে দেওয়া হয়েছে দিঘা, মন্দারমণি-সহ পর্যটনস্থলগুলো। বাংলায় ঝড়ের মোকাবিলায় তৎপর মোদি সরকার। মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ-এর ৯টি দল। দুর্যোগের মোকাবিলা করতে তৈরি রেলও। দুর্যোগ থেকে বাঁচতে ১৪ ঘণ্টার জন্য শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ১৯০টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার বাতিল করা হয়েছে একাধিক দূর পাল্লার ট্রেনও। বন্ধ রাখা হচ্ছে উড়ান পরিষেবাও। বৃহস্পতিবার ১৫ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে বিমান চলাচল। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relationship: “পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি”, জিনপিংকে মোদি

    India China Relationship: “পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি”, জিনপিংকে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পারিস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতাই দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নয়া দিশা দেখাবে।” চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (India China Relationship) শেষে একথাই জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি সপ্তাহেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রহরা দেওয়া নিয়ে চুক্তি হয়েছে ভারত চিনের মধ্যে। তার পরেই রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) মুখোমুখি হয়েছেন মোদি ও জিনপিং।

    পার্শ্ববৈঠক (India China Relationship)

    বুধবার পড়শি এই দুই রাষ্ট্রনেতার পার্শ্ববৈঠকও হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে ফাঁকে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দেশের মানুষের জন্য। পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বিশ্বে শান্তি এবং স্থিরতা আনতে দু’দেশের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    জিনপিংয়ের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ভারত-চিন সম্পর্ক কেবল আমাদের জনগণের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথনির্দেশিকা স্থির করবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত (India China Relationship) চার বছরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যে ইস্যুগুলি নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে একমত হতে পেরেছে দু’টি দেশ। এই বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। সীমান্ত এলাকায় শান্তি, স্থিরতা বজায় রাখাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার।” 

    চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, “চিন ও ভারত উভয়ই প্রাচীন সভ্যতা, প্রধান উন্নয়নশীল দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দু’দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই আমাদের মধ্যে মতবিরোধের ক্ষেত্রগুলি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    প্রসঙ্গত, প্রায় পাঁচ বছর পরে ফের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন মোদি ও জিনপিং। এর আগে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়েছে এই দুই রাষ্ট্রনেতার। উনিশে তামিলনাড়ুর মহাবলিপূরমে দেখা হয়েছিল মোদি-জিনপিংয়ের। ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ সম্মেলনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গেও দেখা হয়েছিল এই দুই রাষ্ট্রনেতার। তবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হল (BRICS Summit) এই প্রথম।

    এখন দেখার, ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relationship) বরফ গলে কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ফণী থেকে আমপান, গত ২৫ বছরে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ওড়িশায়, বাদ যায়নি বাংলাও

    Cyclone Dana: ফণী থেকে আমপান, গত ২৫ বছরে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ওড়িশায়, বাদ যায়নি বাংলাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফণী থেকে বুলবুল সহ আমপানের মতো প্রায় ২৫ বছরে ডজনখানেক ঘূর্ণিঝড় দেখেছে ওড়িশা (Odisha)। এই রাজ্য বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত। তাই নিম্নচাপ, ঝড়, তুফান প্রতি বছর একটা বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাজ্য বাংলার প্রতিবেশী। ওড়িশার প্রভাব বাংলায় তাই ব্যাপক ভাবে পড়ে। প্রত্যেক বছরে ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় এই দুই রাজ্য। বাংলাও আয়লা, আমপান ঝড়ে প্রভাবিত হয়েছিল। এবার আসছে দানা (Cyclone Dana)। কতটা পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি করবে তা আছড়ে পড়ার পরই নির্ণয় করা যাবে।

    সুপার সাইক্লোন ছিল ভয়ঙ্কর (Cyclone Dana)

    ওড়িশা আর ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) যেন সমর্থক হয়ে গিয়েছে। উপকূলে ব্যাপক পরিমাণে সম্পত্তি এবং প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই আগে ভাগেই উপকূলের গ্রাম থেকে মানুষকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই রাজ্যে আগে যেসব ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১৯৯৯ সালে ‘সুপার সাইক্লোন’। টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলেছিল। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ২৬৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ওই সময় সবথেকে বেশি ক্ষতিহয়েছিল জগতসিংহপুর। সমুদ্রের কাছে অদূরে পদমপুরে গ্রামগুলি তছনছ হয়ে গিয়েছিল। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। সমুদ্রে ভেসে গিয়েছিল বহু গ্রাম। মৃত্যু হয়েছিল মোট ৮১১৯ জনের। এবার ওই ঝড়ের আতঙ্ক যেন ফের একবার ফিরে এসেছে। দানার আতঙ্কে মানুষের ঘুম উড়ে গিয়েছে।

    গোপালপুরে এই ঝড়ের গতি ছিল ২৪০ কিমি

    এই ১৯৯৯ সালের ঝড়ের (Cyclone Dana) পর ওড়িশা (Odisha) রাজ্যের এখনও পর্যন্ত মোট ১২টি ঝড় দেখা গিয়েছে। ২০১৩ সালে ১২ অক্টোবর ‘ফাইলিন’ আঘাত হেনেছিল ওড়িশায়। ঝড়ে বাড়িঘর, চাষের জমি, দোকান, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে গঞ্জাম, পুরী, খুর্দা জেলায় ব্যাপক ধবংসলীলা চলে। গোপালপুরে এই ঝড়ের গতি ছিল ২৪০ কিমি। ২০১৪ সালে ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল হুদহুদ। ১২ অক্টোবর বিশাখাপত্তনমে আছড়ে পড়েছিল। গজপতি, মালকানগিরি, নবরং, করাপুট জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১৮৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ২০১৮ সালে ২১ সেপ্টেম্বর আছড়ে পড়েছিল ‘দায়ে’। ওড়িশার গোপালপুরে ব্যাপক ভাবে ঝড় হয়েছিল। ঝড়ের গতি ছিল ৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ২০১৮ সালের অক্টোবরের ঝড়ের নাম ছিল ‘তিতলি’। অন্ধ্রপ্রদেশের তিতিলিতে আছড়ে পড়েছিল ঝড়। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিমি। ২০১৯ সালে ৩ মে ওড়িশার পুরীতে ঝড় হয়েছে ফণী। ২০৫ কিমি প্রতি ঘণ্টায় আছড়ে পড়েছিল। এর প্রভাব হয়েছিল মারাত্মক। ২০১৯ সালে ৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনায় বুলবুল তাণ্ডব করেছিল। একই ভাবে ঝড়ে বালেশ্বর, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড়ের গতি ছিল ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ২০২০ সালে দীঘা ও হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়েছিল আপমান। গতি ছিল ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি করেছিল।

    আরও পড়ুনঃ জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্ধ হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, তৈরি ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল

    দানাও ভয়ঙ্করী হবে

    ২০২১ সালের ২৬ মে ওড়িশার (Odisha) ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যানে আছড়ে পড়েছিল ‘ইয়াস’ (Cyclone Dana) । অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলায় ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আছড়ে পড়েছিল। বাতাসের গতিছিল ১০০ কিমি। ২০২২ সালের ১১ মে যে ঝড়ের প্রভাব ফেলেছিল তা হল ‘অশনি’। এবার দানা ওড়িশার পুরী এবং সাগরদ্বীপের মাঝামাঝিতে আছড়ে পড়ার কথা। ঝড়ের গতিবেগ হওয়ার কথা ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shivraj Singh Chouhan: দেশের ৯৫ শতাংশ জমি ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে, জানালেন শিবরাজ সিং চৌহান

    Shivraj Singh Chouhan: দেশের ৯৫ শতাংশ জমি ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে, জানালেন শিবরাজ সিং চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর স্বপ্ন ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র। তাঁর স্বপ্নের ভারতকে ডিজিটাল করতে একাধিক পদক্ষেপও করেছেন তিনি। তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত ইউপিআই দেশ তো বটেই, বিদেশেও সমাদৃত হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন যাতে আরও বেশি আয়েশি করা যায়, দিনরাত তারই চেষ্টা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ‘৯৫ শতাংশ গ্রামের জমিই ডিজিটাইজড’ (Shivraj Singh Chouhan)

    প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্নের ডিজিটাইজেশনের (Bhu AADHAAR) প্রভাব কতদূর পৌঁছেছে, তা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan)। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “দেশের ৯৫ শতাংশ গ্রামের জমিই ডিজিটাইজড করা হয়েছে।” এতদিন ছিল কাগুজে নথি। এবার থেকে জমি সংক্রান্ত হিসেব নিকেশের তথ্য মিলবে ডিজিটাল মাধ্যমেও। তাই জমি সংক্রান্ত নথি পেতে আর অযথা ঝক্কি পোহাতে হবে না জমির মালিকদের। শিবরাজ জানান, দেশের মোট ৬ লাখ ২৬ হাজারটি গ্রামের জমি ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, “দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ গ্রামে সরকারি খরচে সব তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। কমপক্ষে ৫ হাজার সাব রেজিস্ট্রার অফিসে এই জমির রেকর্ড থাকছে।”

    আরও পড়ুন: নাসরাল্লার পর সপ্তাহ তিনেক আগেই নিকেশ হাসেম সফিদ্দিন, দাবি ইজরায়েলের

    ভূ-আধার

    জানা গিয়েছে, ২২.৩ মিলিয়ন ম্যাপের ডিজিটাইজেশন হয়েছে। তৈরি হয়েছে ১৪০ মিলিয়ন ইউনিক ল্যান্ড পার্সেল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা ভূ-আধার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা অ্যাকিউরেসি ইমপ্রুভ করতে পারি, পারি স্বচ্ছতা বজায় রাখতে, দেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষের ল্যান্ড রেকর্ডও রাখতে পারি অনায়াসেই।”  মন্ত্রী (Shivraj Singh Chouhan) জানান, দেশের প্রায় সব গ্রামের নথিগুলো ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি সরকার প্রায় ৫ হাজার সাব রেজিস্ট্রার অফিসকে কম্পিউটারাইজড করেছে। এতে জমি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আরও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ১৪০ কোটি অনন্য জমি পার্সেল শনাক্তকরণ নম্বর, যা ভূ-আধার (Bhu AADHAAR) নামে পরিচিত, জারি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় উপকৃত হবেন জমির মালিক, ক্রেতা এবং অন্যান্য অংশীদাররা (Shivraj Singh Chouhan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 173: “অনুরাগের ঐশ্বর্য কি কি? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া সাধুসেবা, ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন”

    Ramakrishna 173: “অনুরাগের ঐশ্বর্য কি কি? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া সাধুসেবা, ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ষোড়শ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল
    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ ও ব্রাহ্মগণ—প্রেমতত্ত্ব

    কিয়ৎক্ষণ পরে কলিকাতা হইতে কয়েকটি পুরাতন ব্রাহ্মভক্ত আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তন্মধ্যে একজন—শ্রীযুক্ত ঠাকুরদাস (Ramakrishna) সেন। ঘরে অনেকগুলি ভক্তের সমাগম হইয়াছে। ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন। সহাস্যবদন, বালকমূর্তি। উত্তরাস্য হইয়া বসিয়াছেন। ব্রাহ্মভক্তদের সঙ্গে আনন্দে আলাপ করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ব্রাহ্ম ও অন্যান্য ভক্তদের প্রতি)—তোমরা ‘প্যাম’ ‘প্যাম’ কর; কিন্তু প্রেম কি সামান্য জিনিস গা? চৈতন্যদেবের ‘প্রেম’ হয়েছিল। প্রেমের দুটি লক্ষণ। প্রথম—জগৎ ভুল হয়ে যাবে (Kathamrita)। এত ঈশ্বরেতে ভালবাসা যে বাহ্যশূন্য! চৈতন্যদেব “বন দেখে বৃন্দাবন ভাবে, সমুদ্র দেখে শ্রীযমুনা ভাবে।”

    দ্বিতীয় লক্ষণ—নিজের দেহ যে এত প্রিয় জিনিস, এর উপরও মমতা থাকবে না, দেহাত্মবোধ একেবারে চলে যাবে।

    ঈশ্বরলাভের (Ramakrishna) কতকগুলি লক্ষণ আছে। যার ভিতর অনুরাগের ঐশ্বর্য প্রকাশ হচ্ছে তার ঈশ্বরলাভের আর দেরি নাই।

    অনুরাগের ঐশ্বর্য কি কি? বিবেক, বৈরাগ্য, জীবে দয়া সাধুসেবা, সাধুসঙ্গ, ঈশ্বরের নামগুণকীর্তন, সত্যকথা—এই সব।

    এই সকল অনুরাগের লক্ষণ দেখলে ঠিক বলতে পারা যায়, ঈশ্বর দর্শনের আর দেরি নাই। বাবু কোন খানসামার বাড়ি যাবেন, এরূপ যদি ঠিক হয়ে থাকে, খানসামার বাড়ির অবস্থা দেখে ঠিক বুঝতে পারা যায়! প্রথমে বন-জঙ্গল কাটা হয়, ঝুলঝাড়া হয়; ঝাঁটপাট দেওয়া হয়। বাবু নিজেই সতরঞ্চি, গুড়গুড়ি এই সব পাঁচরকম জিনিস পাঠিয়ে দেন। এই সব আসতে দেখলেই লোকের বুঝতে বাকি থাকে না, বাবু এসে পড়লেন বলে।”

    একজন ভক্ত—আজ্ঞে, আগে বিচার করে কি ইন্দ্রিয়নিগ্রহ করতে হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—ও এক পথ আছে। বিচারপথ। ভক্তিপথেও অন্তরিন্দ্রিয় নিগ্রহ আপনি হয়। আর সহজে হয়। ঈশ্বরের উপর যত ভালবাসা আসবে, ততই ইন্দ্রিয়সুখ আলুনী লাগবে।

    যেদিন সন্তান মারা গেছে, সেই শোকের উপর স্ত্রী-পুরুষের দেহ-সুখের দিকে কি মন থাকতে পারে?

    একজন ভক্ত—তাঁকে ভালবাসতে (Kathamrita) পারছি কি?

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 172: “ওদের দেশে বড় জলকষ্ট। তুমি সেখানে একটা পুষ্করিণী কাটাও না কেন”

    Ramakrishna 172: “ওদের দেশে বড় জলকষ্ট। তুমি সেখানে একটা পুষ্করিণী কাটাও না কেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    গৃহস্থ ও কর্মযোগ

    ঠাকুরবাড়িতে (Ramakrishna) শ্রীশ্রীভবতারিণী, শ্রীশ্রীরাধাকান্ত ও দ্বাদশ শিবের পূজা শেষ হইল। ক্রমে ভোগারতির বাজনা বাজিতেছে। চৈত্রমাস দ্বিপ্রহর বেলা। ভারী রৌদ্র। এই মাত্র জোয়ার আরম্ভ হইয়াছে। দক্ষিণদিক হইতে হাওয়া উঠিয়াছে। পূতসলিলা ভাগীরথী এইমাত্র উত্তরবাহিনী হইয়াছেন। ঠাকুর আহারান্তে কক্ষমধ্যে একটু বিশ্রাম করিতেছেন। রাখালের দেশ বসিরহাটের কাছে। দেশে গ্রীষ্মকালে বড় জলকষ্ট।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মণি মল্লিকের প্রতি)—দেখ রাখাল বলছিল, ওদের দেশে বড় জলকষ্ট (Kathamrita)। তুমি সেখানে একটা পুষ্করিণী কাটাও না কেন। তাহলে কত লোকের উপকার হয়। (সহাস্যে) তোমার তো অনেক টাকা আছে, অত টাকা নিয়ে কি করবে? তা শুনেছি, তেলিরা নাকি বড় হিসাবী। (ঠাকুরের ও ভক্তগণের হাস্য)

    মণিলাল মল্লিকের বাড়ি কলিকাতা সিন্দুরিয়াপটি। সিন্দুরিয়াপটির ব্রাহ্মসমাজের সাংবাৎসরিক উৎসব উপলক্ষে তিনি অনেককে নিমন্ত্রণ করিয়া থাকেন। উৎসবে শ্রীরামকৃষ্ণকে নিমন্ত্রণ করিয়া থাকেন। মণিলালের বরাহনগরে একখানি বাগান আছে। সেখানে তিনি প্রায় একাকী আসিয়া থাকেন ও সেই সঙ্গে ঠাকুরকে দর্শন করিয়া যান। মণিলাল যথার্থ হিসাবী লোক বটে! সমস্ত গাড়িভাড়া করিয়া বরাহনগরে প্রায় আসেন না; ট্রামে চাপিয়া প্রথমে শোভাবাজারে আসেন, সেখানে শেয়ারের গাড়িতে চাপিয়া বরাহনগরে আসেন। অর্থের অভাব নাই; কয়েক বৎসর পরে গরিব ছাত্রদের ভরণপোষণের জন্য এককালে প্রায় পঁচিশ হাজার টাকা বন্দোবস্ত করিয়া দিয়াছিলেন।

    মণিলাল চুপ (Kathamrita) করিয়া রহিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে এ-কথা ও-কথার পর, কথার পিঠে বলিলেন, “মহাশয় পুষ্করিণীর কথা বলছিলেন। তা বললেই হয়, তা আবার তেলি-ফেলি বলা কেন?”

    ভক্তেরা (Ramakrishna) কেহ কেহ মুখ টিপিয়া হাসিতেছেন। ঠাকুরও হাসিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IRCTC: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা, ৩০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করল রেল, দেখুন সেই তালিকা

    IRCTC: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা, ৩০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করল রেল, দেখুন সেই তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana) আগামী বৃহস্পতিবার তীব্রতার সঙ্গে আছড়ে পড়বে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ঝড় তীব্রতর হবে বলে আশঙ্কা থাকায় রেলের তরফে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা। আইআরসিটিসি (IRCTC) বাতিল ট্রেনের তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৩০০ টিরও বেশি ট্রেন বাতিল হয়েছে। আসুন জেনে নিই কোন কোন ট্রেন তালিকায় রয়েছে।

    ২৩ এবং ২৫ অক্টোবর বাতিল ট্রেন (IRCTC)

    দক্ষিণ পূর্ব রেল (IRCTC) এখনও পর্যন্ত মোট ১৫০টিরও বেশি এক্সপ্রেস এবং যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করেছে। বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস, কামাখ্যা-যশোবন্তপুর এসি এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-ভুবনেশ্বর শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। বাতিল করা ট্রেনগুলি আগামী ২৩ অক্টোবর এবং ২৫ অক্টোবরের মধ্যে মূল স্টেশনগুলি ছাড়ার জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, “ঝড়ের গতি এবং পরিস্থিতির প্রয়োজন হলে এই ক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে চলা আরও বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হতে পারে। রেলের এই ক্ষেত্র পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্য জুড়ে বিস্তৃত।”

    আর কোন কোন ট্রেন বাতিল?

    রেল (IRCTC) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশা থেকে ছাড়া বা ওপর দিয়ে যাওয়া ১৯৮টি ইস্ট কোস্ট ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ, শালিমার পুরী, কামাখ্যা-বেঙ্গালুরু, নিউ দিল্লি-ভুবনেশ্বর, খড়গপুর-ভিলুপুরম, হাওড়া-ভুবনেশ্বর, শালিমার-হায়দারবাদ, হাওড়া-পুরী। আবার ইস্টার্ন রেলওয়েতে পাটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, কলকাতা-পুরী, পুরী-কলকাতা, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি সহ বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল হয়েছে। একই ভাবে বাতিল হওয়া আরও কিছু নম্বর সহ ট্রেন হল–

    আরও পড়ুন: কল্যাণের ‘নাটক’! ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিতর্কে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে রক্তাক্ত

    ২২৩২৯ হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস

    ২২৩৩০ আসানসোল-হলদিয়া এক্সপ্রেস

    ১২৫৫২ কামাখ্যা-এসএমভিবি বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস        

    ২২৬৪৪ পাটনা-এরনাকুলাম এক্সপ্রেস

    ৩১০১ কলকাতা–পুরী এক্সপ্রেস স্পেশাল       

    ৩১০২ পুরী-কলকাতা এক্সপ্রেস স্পেশাল       

    ২২৫০৪ ডিব্রুগড়- কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস       

    ২২৫০৩ কন্যাকুমারী-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস        

    ১২৫০৯ এসএমভিবি বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস        

    ৩৪২৯ সেকেন্দ্রাবাদ-মালদা টাউন এক্সপ্রেস       

    ৩৪৩০ মালদা টাউন-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস     

    ১৮৪১৯ পুরী-জয়নগর এক্সপ্রেস      

    ২২২০২ পুরী-শিয়ালদহ দুরন্ত এক্সপ্রেস        

    ৩২৩০ পাটনা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশাল

    ১২৫১৪ শিলচর-সেকেন্দ্রাবাদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস       

    ১৫২২৭ এসএমভিবি বেঙ্গালুরু-মুজফফরপুর এক্সপ্রেস  

    ১৩৪১৮ মালদা টাউন-দিঘা এক্সপ্রেস 

    ১৩৪১৭ দিঘা-মালদা টাউন এক্সপ্রেস

    আরব সাগরে অগাস্টের শেষের দিকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উত্তর ভারত মহাসাগরের অববাহিকায় এটি দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana)। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kartarpur Sahib Corridor: ভারতীয়দের জন্য বন্ধ হবে না কার্তারপুর সাহিব করিডর, চুক্তি বাড়ল আরও ৫ বছর

    Kartarpur Sahib Corridor: ভারতীয়দের জন্য বন্ধ হবে না কার্তারপুর সাহিব করিডর, চুক্তি বাড়ল আরও ৫ বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের জন্য বন্ধ হবে না কার্তারপুর সাহিব দরজা (Kartarpur Sahib Corridor)। শিখদের অন্যতম প্রধান পবিত্র ধর্মস্থল হল এই কার্তারপুর। শিখ ধর্ম মতে এই স্থানের গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছেন। তাঁর স্মৃতি বিজড়িত জায়গা শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পুণ্যস্থান। দেশ ভাগের পর এই স্থান পশ্চিম পাঞ্জাব তথা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এবার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি পুনরায় স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    শত্রুতার খানিকটা অবসান (Kartarpur Sahib Corridor)

    পাকিস্তানের শত্রু মনোভাব এবং ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কাজের জন্য উভয় দেশের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। সংখ্যালঘু হিন্দু-শিখের ওপর অত্যাচারে পাকিস্তানের ভূমিকা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এবার এই শত্রুতাকে ভুলে, দুই দেশের মধ্যে শিখ ধর্মাবলম্বীদের কথা মাথায় রেখে কার্তারপুর (Kartarpur Sahib Corridor) ধর্মস্থলে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধিতে স্বাক্ষর হয়েছে। এই কার্তারপুর করিডর চুক্তির মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানো হল। দুই দেশই এই চুক্তির মাধ্যমে শত্রুতার খানিকটা অবসান ঘটাতে পেরেছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেজ্ঞরা। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চুক্তির কথা তাঁর এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন।

    পাকিস্তান সরকার ২০ ডলার ফি নেয়

    মাত্র কয়েকদিন আগেই জয়শঙ্কর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানিজেশনের একটি বৈঠকে যোগদান করেছেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবনহ উপ-প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এই সফরের পর দুই দেশের মধ্যে কার্তারপুর করিডর নিয়ে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে ইসলামাবাদের জোর করে অতরিক্ত ফি বাড়ানো নিয়ে দুইদেশের মধ্যে আলোচনা করা চলছে।

    আরও পড়ুনঃ কল্যাণের ‘নাটক’! ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিতর্কে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে রক্তাক্ত

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকে ভারতের বাইরে চলে যায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ। এরপর থেকে শিখ ধর্মের পুণ্যার্থীরা দাবি করেন, কার্তারপুরের (Kartarpur Sahib Corridor) গুরুদোয়ারায় যেন দর্শন করতে যেতে পারা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হোক। এরপর কেন্দ্রের মোদি সরকারের উদ্যোগে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাকিস্তান সরকার একটি করিডরের মধ্যে দিয়ে কার্তারপুর দর্শনের সুযোগ করে দেয়। এই চুক্তির মেয়াদ মঙ্গলবার থেকে ৫ বছর আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ধর্মস্থলে যেতে পাকিস্তান সরকার ২০ ডলার ফি নেয়। এবার থেকে এই ফি মুকুব করার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আগামী ৫ বছরের জন্য শ্রীকর্তারপুর সাহিব করিডরের চুক্তির মেয়াদ বাড়াল ভারত-পাকিস্তান। শিখদের পবিত্র ধর্মীয়স্থানে যাতায়াতের সুযোগ তৈরির লক্ষ্য়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কাজ করে চলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share