Tag: news in bengali

news in bengali

  • Sheikh Hasina: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফাই দেননি শেখ হাসিনা! এ কী কথা শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি?

    Sheikh Hasina: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফাই দেননি শেখ হাসিনা! এ কী কথা শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর ছেলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেননি শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিনেরও দাবি, হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, এমন কোনও প্রামাণ্য নথি তাঁর কাছে নেই। সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন মাস। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকারউজ জামান জানিয়েছেন, হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও হাসিনার ছেলে কিংবা রাষ্ট্রপতির দাবি ভিন্ন।

    কী বলছেন রাষ্ট্রপতি? (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৭(ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হলে ইস্তফাপত্র পাঠাতে হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের দৈনিক ‘মানবজমিন’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শাহবুদ্দিন জানান, হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে তাঁকে কিছুই জানাননি। সেনাপ্রধান ওয়াকারকেও তিনি এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনিও সুস্পষ্টভাবে তাঁকে কিছু জানাতে পারেননি বলেই দাবি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির। শাহবুদ্দিন বলেন, “ওয়াকারও জানিয়েছিলেন, তিনি শুনেছেন হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।” তবে সেটা হাসিনা রাষ্ট্রপতিকে জানানোর সময় পাননি বলেই অনুমান ওয়াকারের।

    শাহবুদ্দিনের দাবি

    শাহবুদ্দিন জানান, ৫ অগাস্ট (এদিনই দেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ফোন এসেছিল। বলা হয়েছিল, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বঙ্গভবনে আসবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। ঘণ্টাখানেক পরেই আবারও ফোন এসেছিল। এবার তাঁকে জানানো হয় হাসিনা আর যাচ্ছেন না রাষ্ট্রপতি ভবনে (বঙ্গভবন)।

    হাসিনার (Sheikh Hasina) ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছিলেন, “আমার মা কোথাও লিখিতভাবে পদত্যাগ করেননি।” হাসিনা নিজেও এ ব্যাপারে কিছু জানাননি। এবার রাষ্ট্রপতিও জানিয়ে দিলেন, হাসিনার পদত্যাগের প্রামাণ্য কোনও নথি বঙ্গভবনে নেই। প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার খবর।

    আরও পড়ুন: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    ওই সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গিয়েছেন, এটাই সত্য। এই বিষয়ে যাতে কখনও কোনও প্রশ্ন না ওঠে, সেজন্য (Bangladesh Crisis) সুপ্রিম কোর্টের মতামতও নেওয়া হয়েছে (Sheikh Hasina)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Organ Donor: শরীর থেকে বের করা হচ্ছিল হৃদযন্ত্র, আচমকা জেগে উঠলেন ‘মৃত’ অঙ্গদাতা!

    Organ Donor: শরীর থেকে বের করা হচ্ছিল হৃদযন্ত্র, আচমকা জেগে উঠলেন ‘মৃত’ অঙ্গদাতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীর থেকে হৃদযন্ত্র (Organ Donor) বের করার সময় হঠাৎই জেগে উঠলেন ‘মৃত’। অঙ্গদান করতে গিয়ে এখন খবরের শিরোনামে আমেরিকা (America)। অপারেশন টেবিলেই ‘মৃত’ ব্যক্তি আচমকা নড়েচড়ে বসেন। কিন্তু তারপরেও অস্ত্রোপচার চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবার। এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছে চিকিৎসক মহলে।

    টেবিলেই ছটফট করতে থাকেন (Organ Donor)

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে। আমেরিকার (America) কেন্টাকিতে এই ঘটনা ঘটেছিল। টিজে হুভার নামের এক ব্যক্তি বেশি পরিমাণে মাদক সেবন করেছিলেন। এরপর নিজে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর হুভারকে ব্যাপটিস্ট হেলথ রিচমন্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয়। এরপর অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি (Organ Donor) প্রতিস্থাপন যোগ্য কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এরপর অপারেশন টেবিলে তোলা হলে আচমকা নড়েচড়ে বসেন তিনি। আমেরিকার নিউ ইয়র্ক (America) পোস্ট এই বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, অস্ত্রোপচার করতে গেলে হুভারের শরীরে প্রাণের অস্তিত্ব মেলে বলে জানান হাসপাতালের কর্মীরা। রীতিমতো টেবিলেই ছটফট করতে থাকেন তিনি। এমন কী তাঁর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ার কথাও বলেন হাসপাতালের কর্মীরা। এক কর্মী আরও বলেন, “অঙ্গদানকারী ওই রোগীর অবস্থা দেখে দুই চিকিৎসক পিছু হটেন। কিন্তু তখনও রোগীর শরীর থেকে অঙ্গ বের করতে রাজি হননি দুই চিকিৎসক। তবুও কেন্টাকি অর্গ্যান ডোনার অ্যাফিলিয়েটস-এর পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমন কী রোগীর দেহে ওষুধ প্রয়োগ করে নিস্তেজ করে শরীর থেকে অঙ্গ বের করে নেওয়া হয়।” উল্লেখ্য এই ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মী।

    আরও পড়ুনঃ এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    চোখ খোলার অর্থ বেঁচে থাকা নয়

    এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক নাতাশা মিলার বলেন, “ওই সময় অত্যন্ত ছটফট করছিলেন হুভার। আমি স্পষ্ট দেখতে পেয়েছি ওর চোখ দিয়ে জল পড়ছিল। হৃদযন্ত্র (Organ Donor) অঙ্গদানের উপযুক্ত কিনা যখন পরীক্ষা করা হচ্ছিল, সেই সময় জেগে উঠেছিলেন হুভার।” আবার হুভারের দিদি ডনা বোরার বলেন, “আইসিইউ থেকে যখন বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই সময় ভাই চোখ খুলেছিলেন। হাসপাতালে জানালে ওরা আমায় বলে, চোখ খোলা রিফ্লেক্স মাত্র। চোখ খোলার অর্থ বেঁচে থাকা নয়। হয় তো বেঁচে ছিলেন দাদা, বোঝাতে চেয়েছিলেন।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত শরীরের সব অঙ্গ কেটে বের করা হয়নি। কোডা-র কর্মীদের মধ্যে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন। কেউ কেউ আবার হাসপাতাল থেকে পদত্যাগও করেন।

    তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করছেন। কেন্টাকির অ্যাটার্নি জেনারেল বলেন, গোয়েন্দারা তদন্ত করছেন। তবে হুভার এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তবে সবকিছু স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: আতঙ্ক কাটাতে হাসপাতালের লাশকাটা ঘরেই শুরু হয়েছিল মা কালীর আরাধনা!

    Kali Puja 2024: আতঙ্ক কাটাতে হাসপাতালের লাশকাটা ঘরেই শুরু হয়েছিল মা কালীর আরাধনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শবদেহ রাখা হত। হাসপাতাল অন্যত্র সরে গেলেও ঘরটি রয়ে যায় পুরনো জায়গাতেই। তাই শবঘর বা লাশকাটা ঘর নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের বেশ ভালোরকম আতঙ্ক ছিল। সেই ভয়ের জন্য বালুরঘাটের প্রাইভেট বাসস্ট্যান্ড এলাকা এড়িয়ে চলতেন বাসিন্দারা। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাটাতেই শুরু হয় কালীপুজো। সেই থেকে কালিকাই ভয়-ভীতি কাটিয়েছেন সাধারণের। বালুরঘাট শহরের এই দেবী জাগ্রত (Kali Puja 2024) হিসেবে পরিচিত। চৈত্র সংক্রান্তিতে বাৎসরিক পুজো হলেও, কার্তিক মাসের প্রথম অমাবস্যায় মায়ের পুজো ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা তৈরি হয়।

    বছর ৫০ আগে এই পুজোর সূচনা (Kali Puja 2024)

    বালুরঘাট শহরের প্রাইভেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার এই পুজো মোটরকালী পুজো নামে পরিচিত। এটি তেমন প্রাচীন না হলেও এর অতীত বেশ সমৃদ্ধ। প্রায় বছর ৫০ আগে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন গাড়ি অর্থাৎ মোটর মালিকরা। স্থানীয়ভাবে আগে গাড়ির প্রচলিত শব্দ ছিল মোটর। বর্তমানে যেখানে মোটরকালী পুজো হয়, সেখানে আগে ছিল ফুটানিগঞ্জের হাট। এর কিছুটা দূরে ছিল পশ্চিম দিনাজপুরের জেলা হাসপাতালটি। আর হাসপাতালের লাশকাটা ঘরটি ছিল ফুটানিগঞ্জের হাটের মধ্যে। পরবর্তীতে জেলা হাসপাতালটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রঘুনাথপুর এলাকায়। কিন্তু ফুটানিগঞ্জের হাটের মধ্যে থাকা লাশকাটা ঘর এবং লাশ বহনকারী গাড়ি থেকে যায় পরিত্যক্ত অবস্থায়। এই লাশকাটা ঘরের অদূরে ছিল একটি প্রাইভেট গাড়ির স্ট্যান্ড। দিনের বেলা কিছু গাড়ি চলাচল করত। সপ্তাহে হাটের দিন বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষ ওই চত্বরে যাওয়ার সাহস পেত না। ভূতের ভয় সাংঘাতিকভাবে কাজ করত সাধারণ মানুষের মধ্যে।

    লাশকাটা ঘরে মা কালীর মুর্তি

    আতঙ্ক কাটাতে এগিয়ে আসেন এলাকার প্রবীণরা। জুজু সরাতে স্ট্যান্ডের বাস মালিকরা পরিত্যক্ত লাশকাটা ঘরে মা কালীর মুর্তি (Kali Puja 2024) স্থাপন করেন। নাম দেওয়া হয় মোটরকালী। এরপর থেকে পাঁঠাবলি ও অনান্য নিয়ম মেনে নিষ্ঠা সহকারে পূজিতা হয়ে আসছেন মোটরকালী। তবে মন্দিরে মায়ের পুজোর আগে ঘাটপু্জো দিতে হয় পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রেয়ী খাঁড়িতে। সেখানেই নাকি ঈশ্বরীয় কিছু ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন বহু মানুষ। কথিত আছে যেখানে ঘাটকালীর পুজো দেওয়া হয়, সেখানকার জল নাকি শুকোয় না কখনও। পরীক্ষামূলক ভাবে সেচ লাগিয়েও তা সম্ভব হয়নি বলে প্রমাণ হয়েছে। খরার সময় আশেপাশে জল শুকিয়ে গেলেও জল থেকে যায় আত্রেয়ী খাঁড়িতে।

    বছরে দু’বার মায়ের পুজো (Kali Puja 2024)

    এই বিষয়ে মন্দিরের পুরোহিত বলেন, এই মন্দির বহু পুরনো। মানুষের মধ্যে ভুতের ভয় কাটাতে এইখানে (Balurghat) এই মায়ের পুজো শুরু হয়েছিল। মায়ের পুজো দেবার পর মানুষের মধ্যে ভুতের ভয় কাটে। তারপর থেকে বছরে দুবার মায়ের পুজো হয়। চৈত্র সংক্রান্তিতে মায়ের বাৎসরিক পুজো হয় ও কার্তিক মাসের প্রথম অমাবস্যায় মায়ের পুজো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 170: “শ্রীমুখে ঈশ্বরকথা বই আর কিছুই নাই; মন সর্বদা অন্তর্মুখ… ঈশ্বর সত্য, আর সমস্ত অনিত্য”

    Ramakrishna 170: “শ্রীমুখে ঈশ্বরকথা বই আর কিছুই নাই; মন সর্বদা অন্তর্মুখ… ঈশ্বর সত্য, আর সমস্ত অনিত্য”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

     চতুর্দশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে — মণিলাল ও কাশীদর্শন

    আইস ভাই, আজ আবার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে দর্শন করিতে যাই। তিনি ভক্তসঙ্গে কিরূপ বিলাস করিতেছেন, ঈশ্বরের ভাবে সর্বদা কিরূপ সমাধিস্থ আছেন দেখিব। কখন সমাধিস্থ, কখন কীর্তনানন্দে মাতোয়ারা আবার কখন বা প্রাকৃত লোকের ন্যায় ভক্তের সহিত কথা কহিতেছেন, দেখিব। শ্রীমুখে ঈশ্বরকথা বই আর কিছুই নাই; মন সর্বদা অন্তর্মুখ, ব্যবহার পঞ্চমবর্ষীয় বালকের ন্যায়। প্রতি নিঃশ্বাসের সহিত মায়ের নাম করিতেছেন। একেবারে অভিমানশূন্য পঞ্চমবর্ষীয় বালকের ন্যায় ব্যবহার। পঞ্চমবর্ষীয় বালক বিষয়ে আসক্তিশূন্য, সদানন্দ, সরল ও উদার প্রকৃতি। এক কথা (Kathamrita)—“ঈশ্বর সত্য, আর সমস্ত অনিত্য”, দুইদিনের জন্য। চল, সেই প্রেমোন্মত্ত বালককে দিখিতে যাই। মহাযোগী! অনন্ত সাগরের তীরে একাকী বিচরণ করিতেছেন। সেই অনন্ত সচ্চিদানন্দ-সাগরমধ্যে কি যেন দেখিতেছেন! দেখিয়া প্রেমে উন্মত্ত হইয়া বেড়াইতেছেন।

    আজ রবিবার, ৮ই এপ্রিল, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ, ২৬শে চৈত্র, প্রাতঃকাল। এই যে ঠাকুর বালকের ন্যায় বসিয়া আছেন। কাছে বসিয়া একটি ছোকরা ভক্ত—রাখাল।

    মাস্টার আসিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুরের (Ramakrishna) ভ্রাতুষ্পুত্র রামলাল আছেন, কিশোরী ও আরও কয়েকটি ভক্ত আসিয়া জুটিলেন। পুরাতন ব্রাহ্মভক্ত শ্রীযুক্ত মণিলাল মল্লিক আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে প্রণাম করিলেন।

    মণি মল্লিক কাশীধামে গিয়াছিলেন। তিনি ব্যবসায়ী লোক, কাশিতে তাঁহাদের কুঠি আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হ্যাঁগা, কাশীতে গেলে, কিছু সাধু-টাধু দেখলে?

    মণিলাল—আজ্ঞে হাঁ, ত্রৈলঙ্গ স্বামী, ভাস্করানন্দ—এঁদের সব দেখতে গিছলাম।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কিরকম সব দেখলে বল?

    মণিলাল—ত্রৈলঙ্গ স্বামী সেই ঠাকুরবাড়িতেই আছেন, মণিকর্ণিকার ঘাটে বেণীমাধবের কাছে। লোকে বলে, আগে তাঁর উচ্চ অবস্থা ছিল। কত আশ্চর্য আশ্চর্য কার্য করতে পারতেন। এখন অনেকটা কমে গেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ও-সব বিষয়ী লোকের নিন্দা।

    মণিলাল—ভাস্করানন্দ সকলের সঙ্গে মেশেন, ত্রৈলঙ্গ স্বামীর মতো নয়—একেবারে কথা বন্ধ (Kathamrita)।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Fake Buddhist Monk: ১০ বছর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সেজে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন! গয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশি

    Fake Buddhist Monk: ১০ বছর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সেজে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন! গয়ায় গ্রেফতার বাংলাদেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর (Fake Buddhist Monk) ভেক ধরে টানা প্রায় ১০ বছর ভারতে গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার বিহারের গয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Gaya airport) থেকে আটক করা হয় তাঁকে। ধৃত এই অসাধু যুবকের নাম বাবু জো বড়ুয়া ওরফে রাজীব দত্ত। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনায় রীতিমতো অবাক পুলিশ।

    চতুর ভাবে পুলিশকে ধুলো দিয়ে ছিলেন (Fake Buddhist Monk)

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এত বছর ধরে নিজের আসল পরিচয় গোপন করে বুদ্ধ গয়ায় (Gaya airport) ঘাঁটি গেড়েছিলেন ওই বাংলাদেশি যুবক। এখনেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না। রীতিমতো আটঘাট বেঁধে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছিলেন ওই যুবক। দীর্ঘদিন অত্যন্ত চতুরভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আস্তানা গেড়ে ছিলেন।

    তাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল

    জানা গিয়েছে, শনিবার ভারত থেকে তাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই যুবক (Fake Buddhist Monk)। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে প্রশ্ন করলে তাঁর বক্তব্যের মধ্যে একাধিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। আধিকারিকরা প্রশ্ন করতেই একে একে সত্য কথা উগড়ে দেন জাল সন্ন্যাসী। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশের অবশ্য দাবি, বিমানবন্দরে দেখেই কর্তব্যরত অভিবাসন আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। আচরণ খুব একটা সুবিধাজনক বলে মনে হয়নি। তবে সন্ন্যাসীর কাছে ভারতের পাসপোর্ট উদ্ধার হয় (Fake Buddhist Monk)। নিজেই শিকার করেন যে তিনি ভারতীয় নয়, বাংলাদেশি। বেআইনি ভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। তবে জেরায় আরও বেশকিছু পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। এক একটি পাসপোর্টে আলাদা আলাদা পরিচয় রয়েছে তাঁর। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ স্বরূপ আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডও বাজেয়াপ্ত করা হয়। একইভাবে ভারত এবং তাইল্যান্ডের মুদ্রা পাওয়া যায় তাঁর কাছ থেকে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় ইউরো এবং মার্কিন ডলারও।

    আরও পড়ুনঃ আজ আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবস, নেতাজিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অমিত শাহের

    পুলিশের বক্তব্য

    গয়ার সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেণ্ট অফ পুলিশ আশিস ভারতী বলেন, “ধৃত ব্যক্তি (Fake Buddhist Monk) আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। সেই পরিচয় গোপন করে গত ১০ বছর ধরে তিনি ভারতে বসবাস করছিলেন। তাঁর কাছে ভারতে থাকার ভিসা ছিল না। বাংলাদেশের বৈধ পাসপোর্টও ছিল না। একাধিক ভুয়ো ও জাল নথি উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা তাঁকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPI in Maldives: এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    UPI in Maldives: এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হাসি হাসল ভারতই! ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা এবার চালু হতে চলেছে দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপেও (UPI in Maldives)। অনলাইনে টাকা লেনদেন বা কোনও কিছু কেনাকাটা করতে ভারতে ব্যবহার করা হয় ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস, সংক্ষেপে ইউপিআই (UPI)। এই ব্যবস্থারই সুবিধা এবার মিলবে মলদ্বীপে। ফলে মলদ্বীপ বেড়াতে গিয়ে আর নগদ লেনদেনর ঝক্কি পোহাতে হবে না ভারতীয়দেরও। সম্প্রতি এই মর্মে ঘোষণা করেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু (Md Muizzu)।

    মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী (Md Muizzu)

    মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী। তাঁর আমলে নানা কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে মলদ্বীপের। তার জেরে মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেন ভারতীয় পর্যটকরা। পেটে টান পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রের। কারণ ফি বছর যত পর্যটক মলদ্বীপ বেড়াতে যান, তার সিংহভাগই ভারতীয়। এর পরেই নড়েচড়ে বসে মুইজ্জু প্রশাসন। চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতে আসেন তিনি। নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। সেখানেই মলদ্বীপকে ডিজিটাল ও আর্থিক দিক থেকে সহায়তার আশ্বাস দেয় নয়াদিল্লি। তার পরেই দ্বীপরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় ভারতীয় ইউপিআই (UPI in Maldives) ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    চালু হচ্ছে ইউপিআই

    দেশে ইউপিআই চালু করার আগে একটি কেন্দ্রীয় সহায়তা ব্যবস্থা চালু করার কথা ঘোষণা করেন মুইজ্জু। জানিয়ে দেন, দ্বীপরাষ্ট্রের সমস্ত ব্যাঙ্ক, টেলিকম সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে ওই ব্যবস্থার অধীনে আনা হবে। অর্থমন্ত্রক, প্রযুক্তি মন্ত্রক-সহ একাধিক মন্ত্রককে ইউপিআই চালু করার বিষয়ে একত্রে কাজ করতে বলা হয়েছে।মলদ্বীপ সরকারের আশা, দেশে এই ব্যবস্থা চালু (UPI in Maldives) হলে অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে। বৃদ্ধি পাবে আর্থিক লেনদেন। ডিজিটাল পরিকাঠামোও উন্নত হবে আগের চেয়ে ঢের বেশি। মুইজ্জু (Md Muizzu) সরকারের তরফে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    এর আগেও একবার ভারত সফরে এসেছিলেন মুইজ্জু। সেবার মলদ্বীপে রুপে কার্ড চালু করেছিল ভারত। প্রতিবছর যে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় পর্যটক মলদ্বীপ বেড়াতে যান, তাঁদের জন্যই চালু হয়েছিল ওই রুপে কার্ড। ভারত ভ্রমণে আসা মলদ্বীপের পর্যটকরাও (UPI in Maldives) এই কার্ডের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। রুপে কার্ডের পর এবার সে দেশে চালু হয়ে গেল ইউপিআই সিস্টেম (Md Muizzu)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NCERT: ‘সাথী পোর্টাল’ চালু এনসিইআরটি-র, বিনামূল্যে কোচিং পাবেন জেইই-নিট পরীক্ষার্থীরা

    NCERT: ‘সাথী পোর্টাল’ চালু এনসিইআরটি-র, বিনামূল্যে কোচিং পাবেন জেইই-নিট পরীক্ষার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইঞ্জিনিয়ারিং (JEE), মেডিক্যাল (NEET) এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT) ‘সাথী পোর্টাল ২০২৪’ (Sathee Portal) চালু করেছে। পোর্টালে হিন্দি, ইংরেজি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় অধ্যয়ন করা এবং নিখরচায় কোচিং-এর সুব্যবস্থা রয়েছে। এই কোচিং ক্লাসের সুবিধা নিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

    উপকৃত হবেন ৪.৩৭ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী (NCERT)

    ‘সাথী’ (Sathee Portal) প্ল্যাটফর্ম একটি সম্পূর্ণ অনলাইন ব্যবস্থা, যা শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই অনলাইন কোচিং-এ বিনামূল্যে পাঠ্যক্রমের উপকরণ, ভিডিও পাঠ, মক টেস্ট এবং বিশেষজ্ঞ দ্বারা নির্দেশিকা প্রদান করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মটি সমাজের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে। তবে এই কোচিং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি ২০২০)-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, সরকার এই বিনামূল্যে কোচিং প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগগুলিতে শিক্ষা গ্রহণে সমানাধিকার দেওয়ার ভাবনাকে সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ‘সাথী’ পোর্টালে মাধ্যমে পড়াশুনার উপকরণ সরবরাহ করে সরকার শিক্ষাগত বৈষম্য কমাতে এবং দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগের প্রচার করতে চায়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে উপকৃত হতে ৪.৩৭ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী এখনও পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    এনসিইআরটি সাথি পোর্টাল কীভাবে কাজ করে?

    এনসিইআরটি (NCERT) ‘সাথী পোর্টাল’ (Sathee Portal)-এ সাইন আপ করার পরে, শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন বা এসএসসি-র মতো পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। লাইভ পাঠদান, অনুশীলন, এনসিইআরটি-ভিত্তিক বই এবং সমাধানসূত্র সূচক ভিডিওগুলিকে দেখা এবং পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। একই ভাবে সীমিত ইন্টারনেট সংযোগ যুক্ত এলাকাগুলিতে পড়ুয়াদের এই পরিষেবা দিতে সম্পূর্ণ কোচিং ক্লাসের প্রোগ্রামকে ডিটিএইচ (DTH) চ্যানেলের মাধ্যমেও সম্প্রচার করা হবে। পোর্টালে একটি চ্যাটবক্স উপলব্ধ থাকবে, যাতে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন রাখতে সহায়ক হয় এবং দ্রুত সমাধান সূত্রও দেওয়া হবে। রবিবার এবং সরকারি ছুটির দিন ছাড়া পোর্টালটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করবে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার অপার সম্ভাবনার রাস্তা খুলে যাবে।

    সাথী পোর্টালের মূল বৈশিষ্ট্য

    জেইই (JEE) এবং অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে সাহায্য করার জন্য ৪৫ দিনের ক্র্যাশ কোর্স চালু করা হয়েছে। সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই ধরনের কোচিং (NCERT) উপলব্ধ হলে ছাত্রছাত্রীরা দারুণভাবে উপকৃত হবেন। একই ভাবে গেট (GATE), ক্যাট (CAT), এবং ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষার প্রার্থীদের জন্যও পোর্টালটি ভীষণ ভাবে কার্যকরী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার আইআইটি (IIT), এনআইটি (NIT) এবং এইমস (AIIMS)-এর মতো জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির ক্লাস করাবেন। এতে শিক্ষার্থীরা ভীষণ ভাবে উপকৃত হবেন। লাইভ ইন্টারেক্টিভ সেশনের মাধ্যমে গাইডেন্স দেওয়া হবে। যেখানে পরামর্শদাতা শিক্ষক এবং সিনিয়র ছাত্ররাও অংশগ্রহণকারীদের সহায়তা প্রদান করতে পারবেন।

    একাধিক আঞ্চলিক ভাষায় হবে কোচিং

    পোর্টালটিতে (NCERT) ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন এবং এসএসসি সম্পর্কিত বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় ভিডিও লেকচার উপলব্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার পটভূমিতে শিক্ষার্থীরা বিষয়বস্তু বুঝতে দারুণ ভাবে উপকৃত হবেন। একই ভাবে একটি এআই-চালিত স্ব-মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে, যা শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি মূল্যায়ন করতে সহায়ক হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্বলতাগুলি সনাক্ত করে তার সমাধানেরও ব্যবস্থা থাকবে। একই ভাবে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা মক টেস্ট এবং সমস্যা সমাধানের সেশনও রয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার অভিজ্ঞতা দেবে।

    আরও পড়ুনঃ মোদি সরকারের উন্নয়ন যজ্ঞ রোধ করাই লক্ষ্য! কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত ডাক্তার সহ ৭

    কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন?

    ‘সাথী’ পোর্টালে (Sathee Portal) নাম নথিভুক্ত করতে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করুন। যথা-

    ১> প্রথমে sathee.prutor.ai লিঙ্কটি অনুসরণ করে অফিসিয়াল ভাবে এনসিইআরটি (NCERT) ওয়েবসাইটে যান।

    ২> এরপর আপনার নাম, ইমেল ঠিকানা, এবং পূর্ববর্তী একাডেমিক বিবরণ প্রবেশ করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

    ৩> তারপর আপনি যে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে চান তা বেছে নিন, যেমন- জেইই (JEE), নিট (NEET) বা এসএসসি (SSC)।

    একবার রেজিস্ট্রেশন (Sathee Portal) হয়ে গেলে, আপনি লাইভ সেশনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। স্ব-মূল্যায়ন সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারবেন এবং ভিডিও লেকচারগুলি দেখার সুযোগ পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    Arvind Kejriwal: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দেশের রাজা নন। নিছক জমিদারও নন। ভারতের একটা অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। এখন অবশ্য সেই কুর্সিটাও নেই। তবে রয়ে গিয়েছে তাঁর সাধের শিশমহল (Sheesh Mahal)। যে মহলের অন্দরে উঁকি দিলে মানসপটে ভেসে উঠতে বাধ্য রাজতন্ত্রের জমকালো ছবি। যাঁর বাসভবন নিয়ে এত ধানাই পানাই তাঁর দলের নামের গায়ে মাটির গন্ধ – আম আদমি পার্টি। সেই দলের নেতার বাসভবন দেখলে মনে হয় না, তাঁর দল সত্যিকারেরই আম আদমির। কারণ বাড়িটার প্রতিটি ইটে, কড়ি বর্গায়ও বড়লোকি গন্ধ।

    কেজরিওয়ালের কীর্তি ফাঁস

    দিল্লির ৬ নম্বর ফ্ল্যাগস্টাফ রোডে বাড়িটার নামই শিশমহল। গত ৯ বছর ধরে এখানেই বাস করছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন কেজরি। তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে অতিশি মারলেনাকে। স্বাভাবিকভাবেই তার আগে রাজ্যের পূর্ত দফতর ওই মহলের আসবাবপত্রের একটা তালিকা প্রকাশ করেছে। যা দেখে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) প্রথমবার নজরে আসেন ২০২৩ সালের মে মাসে, যখন সংবাদমাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত বিলাসিতায় করদাতাদের অর্থ অপচয়ের বিবরণ ফাঁস হয়ে যায়।

    বিজেপির নিশানা আপ সুপ্রিমোকে (Arvind Kejriwal)

    পিডব্লুডির তালিকা দেখার পরে আপ সুপ্রিমোকে নিশানা করেছেন বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, “এই হচ্ছে বৈদ্যুতিক নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী এবং গ্যাজেটসের তালিকা, যেগুলো ইনস্টল করা হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের শিশমহলে (Sheesh Mahal)।” মালব্য আরও লিখেছেন, “বিস্ময়ের আরও আছে। সেন্সর-সজ্জিত পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় টোটো স্মার্ট টয়লেট রয়েছে। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেটা খোলা-বন্ধ হয়। রয়েছে হিটেড সিট, ওয়্যারলেস রিমোট ডিওডোরাইজার এবং অটোমেটিক ফ্ল্যাশিং। এই জাতীয় টয়লেট সিটের দাম ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।”

    আরও পড়ুন: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    শিশমহলের (Sheesh Mahal) অন্দরে

    একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক শিশমহলের অন্দরে। ১৬টা ভয়েস কন্ট্রোলড আল্ট্রা স্লিম স্মার্ট ৪কে টিভি রয়েছে, দাম ৬৪ লাখ টাকা। সাড়ে ১৯ লাখের স্মার্ট এলইডি-ও রয়েছে। ফ্রিস্ট্যান্ডিং লুমিনেয়ার রয়েছে, মূল্য ৯.২ লাখ। ৪ লাখ টাকা দামের ওএসএডিএ ফুল বডি ম্যাসেজ চেয়ারও রয়েছে। রয়েছে ১০ লাখ টাকা দামের রিক্লাইনার সোফা, ৮টি মোটোরাইজড রিক্লাইনার সোফা রয়েছে ১০ লাখ টাকা দামের, বোস লাউডস্পিকার রয়েছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দামের। দুটো স্মার্ট রেফ্রিজারেটর রয়েছে ৯ লাখ টাকা দামের। এই রেফ্রিজারেটরের মধ্যেই রয়েছে ইনবিল্ট টিভি এবং এআই ভিশন স্ক্রিন। ৯ লাখ টাকা দামের ৭৩ লিটারের স্টিম ওভেনও রয়েছে শিশমহলে (Sheesh Mahal)।

    দামি গ্যাজেটসে সাজানো অন্দর

    কেজরিওয়ালের বাংলোতে (Arvind Kejriwal) ৫০ লিটারের মাইক্রোওয়েভ ওভেন রয়েছে, যার দাম ৬ লাখ টাকা। ৬ লাখ টাকা দামের দুটো মাউন্টেড হুডস ১৪০ সেমি স্টেনলেস স্টিল চিমনিও রয়েছে। বিওএসসিএইচ সিরিজের ৮ বিল্ট ইন কফি মেশিন রয়েছে, মূল্য আড়াই লাখ টাকা। তিনটে হট ওয়াটার জেনেরেটর রয়েছে, মূল্য সাড়ে ২২ লাখ টাকা। ১৫ কোটি টাকা মূল্যের সুপিরিয়র ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটারি ইনস্টলেশনও রয়েছে। ২.১ লাখ টাকা দামের এলজির ১২ কেজি ফ্রন্ট লোড অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনও রয়েছে শিশমহলে (Sheesh Mahal)। এসএস রেলিং, স্টিয়ারকেস কভারিং রয়েছে ১.২ কোটি টাকা মূল্যের। রয়েছে ২০টি গ্র্যান্ড এজেড ব্রাশ এন্ট্রাস স্কোনস আউটডোর লাইট, মূল্য ১০ লাখ টাকা। উডেন ও গ্লাসডোর উইথ অটোমেটিক স্লাইডিং সেন্সর রয়েছে ৭০ লাখ টাকা দামের। ২৪টি ডেকোরেটিভ পিলার রয়েছে, যার মূল্য ৩৬ লাখ টাকা। জানালার পর্দা রয়েছে ৮০টি, মূল্য ৪ থেকে ৫.৬ কোটি টাকা। সুপিরিয়র ওয়াটার সাপ্লাই রয়েছে ১৫ কোটি টাকার।

    আপ সুপ্রিমোর চমক!

    ২০১৩ সালে কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেছিলেন তিনি ও তাঁর দলের মন্ত্রীরা সরকারি বাংলো ব্যবহার করবেন না। তার পরিবর্তে তাঁরা ব্যবহার করবেন ছোট ছোট সরকারি ফ্ল্যাট। আপ সুপ্রিমোর সেই প্রতিশ্রুতি যে নিছকই চমক, তাঁর বাংলোর ছবিই তার প্রমাণ। ১৩ হাজার স্কোয়ার ফিট এলাকজুড়ে রয়েছে শিশমহল (Sheesh Mahal)। এর মধ্যে লন রয়েছে ৩৯৯ স্কোয়ার ফিট। সমস্ত ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা মেলে সেখানে।

    ‘অপারেশন শিশমহল’ নাম দিয়ে একটি খবর প্রকাশ করে ‘টাইমস নাও’-ও। সেখানেও দেখানো হয় শিশমহলের (Sheesh Mahal) অন্দরের সাজসজ্জা। যে অন্দরসজ্জা দেখলে হয়তো হাত কামড়াতেন রাজা-রাজড়ারাও। কারণ রাজার ঘরে যে ধন আছে…।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    BJP: দুয়ারে উপনির্বাচন, রাজ্যের পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধের আর্জি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে উপনির্বাচন। রাজ্যের পাঁচ জেলার ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে হবে নির্বাচন। তার ঠিক আগে আগেই আবাস যোজনার (Awas Yojana) সমীক্ষার শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সমীক্ষার কাজ হওয়ার কথা ২১ অক্টোবর, চলবে এ মাসেরই ৩০ তারিখ পর্যন্ত। এহেন পরিস্থিতিতে যে পাঁচ জেলায় নির্বাচন, সেই জেলাগুলিতে আবাস যোজনার সমীক্ষা বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিল বিজেপি (BJP )।

    দুয়ারে উপনির্বাচন (BJP)

    প্রকল্পের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। অভিযোগ, সেই প্রকল্পেরই নাম বদলে বাংলা আবাস যোজনা করেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। সোমবার, ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এই যোজনায় সমীক্ষার কাজ। রাজ্যের প্রতিটি জেলায়ই সমীক্ষা করবেন সমীক্ষকরা। অথচ ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন রয়েছে রাজ্যের পাঁচ জেলার ছটি বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রগুলি হল নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা, মাদারিহাট এবং সিতাই। এই ছয় কেন্দ্র যে জেলাগুলির মধ্যে পড়ে সেগুলি হল, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার।

    অকাল নির্বাচন

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই ছয় কেন্দ্রের বিধায়কই লোকসভায় প্রার্থী হন এবং জয়ী হয়ে সাংসদ হন। সেই কারণেই অকাল নির্বাচনের আয়োজন। লোকসভা নির্বাচনের পর এতদিন হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও, উপনির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই রাজ্য সরকার আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ শুরু করছে বলে অভিযোগ (BJP)। ওই পাঁচ জেলায় আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ আপাতত বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। পদ্ম পার্টির সাফ কথা, এই সমীক্ষার সময় বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সরাসরি ভোটারদের প্রলোভিত করা যাবে। ভোটাররাও প্রলোভিত হবেন। তাই নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে এই সমীক্ষা বন্ধ রাখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিক কমিশন।    

    আরও পড়ুন: ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ মেলা, প্রয়াগরাজে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    কী বলছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    সমীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনামা এবং বিজেপির দাবি সম্বলিত চিঠি ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। পাল্টা চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকারও। তাদের আর্জি, ওই পাঁচ জেলায় সমীক্ষার কাজ নির্বাচনী বিধি থেকে ছাড় দেওয়া হোক। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই পাঁচ জেলায় সমীক্ষার কাজ আপাতত বন্ধ রাখতে চিঠি দেওয়া হয়েছে কমিশনে। এটি সরাসরি মডেল কোড অফ কন্ডাক্টকে ভায়োলেট করছে। লক্ষাধিক টাকার বাড়ি দেব এই মর্মে সার্ভে (Awas Yojana) করা মানে ভোটারদের প্রভাবিত করা (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে মোদি, প্রায় ৬১০০ কোটি টাকার ২৩টি প্রকল্পের শিলান্যাস

    Uttar Pradesh: নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে মোদি, প্রায় ৬১০০ কোটি টাকার ২৩টি প্রকল্পের শিলান্যাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) নিজের সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসীতে (Uttar Pradesh) চক্ষু হাসপাতালের উদ্বোধন করে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে সমর্পণ করলেন। এই কর্মসূচিতে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হাসপাতালের একাধিক বিভাগ এবং ব্যবস্থার কথা বলে নানাবিধ পরামর্শ দেন মোদি। একই ভাবে এদিন আরও একাধিক প্রকল্পে রাজ্যবাসীর জন্য প্রায় ৬১০০ কোটি টাকার বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন।

    মোট ২৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন (Uttar Pradesh)

    রবিবার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) একদিনের সফরসূচি এবং কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বারাণসীর বিভাগীয় কমিশনার কৌশল রাজ শর্মা বলেন, “নরেন্দ্র মোদি একদিনে মোট ২৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্প এবং স্মার্ট মিশনের আওতায় মোট ২১০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বারাণসী স্পোর্টস কমপ্লেক্সের পুনর্নির্মাণ দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায় উদ্বোধন করেন। এই ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ হল, খেলোয়াড়দের জন্য অত্যাধুনিক সুবিধা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স, খেলোয়াড়দের জন্য হস্টেল, একটি ক্রীড়া বিজ্ঞান কেন্দ্র, বিভিন্ন খেলাধুলার অনুশীলনের ক্ষেত্রে ইনডোর শুটিং রেঞ্জ এবং আরও একাধিক সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে।”

    আরও পড়ুনঃ মহারাষ্ট্রে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, রয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ

    একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা (PM Modi) 

    একই ভাবে মোদি আরও একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। আগ্রা বিমানবন্দরের (Uttar Pradesh) জন্য ৫৭০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের নিউ সিভিল এনক্লেভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। দ্বারভাঙা বিমানবন্দরের জন্য ৯১০ কোটি টাকা এবং শিলিগুড়িতে ১৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাগডোগরা বিমানবন্দরের জন্য নতুন টার্মিনাল ভবনও উদ্বোধন করেছেন। একই ভাবে রেওয়া বিমানবন্দর, অম্বিকাপুরের মা মহামায়া বিমানবন্দর এবং সারসাওয়া বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবনও উদ্বোধন করেছেন তিনি। যার অনুমানিক খরচ হবে প্রায় ২২০ কোটি টাকা। তবে এই বিমানবন্দরগুলির পরিকাঠামো এবং ডিজাইন আঞ্চলিক পরিকাঠামোর উপর নির্ভর করেই নির্মাণ করা হবে। আনুমানিক ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share