Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 164: “যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়…নদী কত জীবের পিপাসা শান্তি করে”

    Ramakrishna 164: “যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়…নদী কত জীবের পিপাসা শান্তি করে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও গৃহস্থধর্ম

    প্রায় সাড়ে পাঁচটা-ছয়টা হইল। ঠাকুর (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে নিজের ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় বসিয়া আছেন। ভক্তদের দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কেদারাদি ভক্তদের প্রতি)—সংসারত্যাগী সাধু—সে তো হরিনাম করবেই। তার তো আর কোন কাজ নাই। সে যদি ঈশ্বরচিন্তা (Kathamrita) করে তো, আশ্চর্যের বিষয় নয়। সে যদি ঈশ্বরচিন্তা না করে, সে যদি হরিনাম না করে তাহলে বরং সকলে নিন্দা করবে।

    সংসারী লোক যদি হরিনাম করে, তাহলে বাহাদুরি আছে। দেখ, জনক রাজা খুব বাহাদুর। সে দুখানি তরবার ঘুরাত। একখানা জ্ঞান ও একখানা কর্ম। এক দিকে পূর্ণ ব্রহ্মজ্ঞান, আর-একদিকে সংসারে কর্ম করছে। নষ্ট মেয়ে সংসারের সব কাজ খুঁটিয়ে করে, কিন্তু সর্বদাই উপপতিকে চিন্তা করে।

    সাধুসঙ্গ সর্বদা দরকার, সাধু ঈশ্বরের সঙ্গে আলাপ (Kathamrita) করে দেন।

    কেদার—আজ্ঞে হাঁ! মহাপুরুষ (Ramakrishna) জীবের উদ্ধারের জন্য আসেন। যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়। অথবা যেমন নদী বা তড়াগ, কত জীবের পিপাসা শান্তি করে।

    ক্রমে ভক্তেরা গৃহে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হইলেন। একে একে সকলে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন ও তাঁহার পদধূলি গ্রহণ করিলেন। ভবনাথকে দেখিয়া ঠাকুর বলিতেছেন, তুই আজ আর যাস নাই। তোদের দেখেই উদ্দীপন!

    ভবনাথ এখনও সংসারে প্রবেশ করেন নাই। বয়স উনিশ-কুড়ি, গৌরবর্ণ, সুন্দর দেহ। ঈশ্বরের (Ramakrishna) নামে তাঁহার চক্ষে জল আসে। ঠাকুর তাঁহাকে সাক্ষাৎ নারায়ণ দেখেন।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আইএমএ-র ডাকে দেশজুড়ে সব মেডিক্যাল কলেজে প্রতীকী অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা

    RG Kar Incident: আইএমএ-র ডাকে দেশজুড়ে সব মেডিক্যাল কলেজে প্রতীকী অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার দেশজুড়ে সব মেডিক্যাল কলেজে চলছে প্রতীকী অনশন (RG Kar Incident)। এই অনশনের (Symbolic Hunger Strike) ডাক দিয়েছিল আইএমএ হেডকোয়ার্টার জুনিয়র ডক্টর্স নেটওয়ার্ক। প্রতীকী এই অনশন হবে ১২ ঘণ্টার। সকাল ৬টায় শুরু হওয়া প্রতীকী অনশন চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। আরজি করকাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতেই এই কর্মসূচি।

    উত্তরপ্রদেশ থেকে কেরল চলছে অনশন

    আইএমএ দেশের অন্যতম বড় চিকিৎসক সংগঠন। তাদেরই জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের ডাকে চলছে এই অনশন। উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে কেরল, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জুনিয়র ডাক্তারেরা তাতে শামিল হয়েছেন। লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, কেরলের ভেঞ্জরামোদুতে শ্রী গোকুলম মেডিক্যাল কলেজ-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে চলছে ১২ ঘণ্টার অনশন (Symbolic Hunger Strike)। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার অনশন চলছে দেশ জুড়ে। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে— ‘শোনো বাংলা, শোনো ভারত’। কয়েকদিন আগেই, ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চে এসেছিলেন আইএমএ-র সর্বভারতীয় সভাপতি আরভি অশোকন (RG Kar Incident)। ‘আমরণ অনশনে’ বসে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের পরিস্থিতি নিয়ে নিজে দেখে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

    প্রতীকী কর্মবিরতি 

    এদিকে, বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, অ্যাপোলো, মণিপাল, মেডিকা, আরএন টেগোর, ফর্টিস এবং পিয়ারলেসের পর এবার আংশিক কর্মবিরতি (RG Kar Incident) পালন করছেন উডল্যান্ডসের চিকিৎসকরা। আংশিক কর্মবিরতি পালন করছেন সিএমআরআই, বিএম বিড়লা, কোঠারি এবং বেহালার নারায়ণ মেমরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসকরাও। সল্টলেকের মণিপাল এবং পিয়ারলেস হাসপাতালেও চলছে আংশিক কর্মবিরতি। সোমবার স্বাস্থ্য ভবনে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন চিকিৎসকরা (RG Kar Incidents)। বৈঠক চলে ঘণ্টা আড়াই।

    পেনডাউন পিয়ারলেসে

    তার পরেও মেলেনি সমাধান সূত্র। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে ১০ দফা দাবি না মেটা পর্যন্ত অচলাবস্থা চলবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-সহ চিকিৎসক সংগঠনগুলো। সোম ও মঙ্গলবার পেনডাউন করছেন পিয়ারলেস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বুধবার পর্যন্ত নন-ইমারজেন্সি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। এই মর্মে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ১১২ জন চিকিৎসক।

    আরও পড়ুন: কানাডার কূটনীতিককে তলব ভারতের, কেন জানেন?

    এদিকে, সময় যত গড়াচ্ছে, ততই ধর্মতলার মঞ্চে এক এক করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনশনরত চিকিৎসকরা। তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা চিকিৎসক সমাজ। তারা চায়, এই পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসকদের সমস্যা সমাধানে নামুক প্রশাসন। রাজ্য প্রশাসনকে বারবার সেকথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হলেও, সদর্থক কোনও ভূমিকা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

    অনশনরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছে ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখেছে তারা। তাতে বলা হয়েছে, ‘ব্রিটিশ শাসনের পর বাংলায় অন্ধকারতম সময়। সমাধান না মিললে অনশনকারীরা (Symbolic Hunger Strike) মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবেন (RG Kar Incidents)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • RG Kar Case: বাথরুমে যাওয়ার সময় হারান জ্ঞান, আরও এক অনশনরত চিকিৎসক ভর্তি হাসপাতলে

    RG Kar Case: বাথরুমে যাওয়ার সময় হারান জ্ঞান, আরও এক অনশনরত চিকিৎসক ভর্তি হাসপাতলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাথরুমে যাওয়ার সময় পথেই জ্ঞান হারালেন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তার তনয়া পাঁজা। অবস্থা সঙ্কটজনক বুঝে আরও এক আন্দোলনকারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। টানা নয়দিনের অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। সোমবার সকাল থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তনয়া কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Hospital) ইএনটি (নাক, কান, গলা সংক্রান্ত) বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক। তবে আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Case) ন্যায় বিচারের দবিতে এখনও অনড় অনশনকারী ডাক্তাররা।

    শরীরের কিটোন বডির মাত্রা বেড়ে গিয়েছে (RG Kar Case)

    জানা গিয়েছে, তনয়াকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত সিসিইউতে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। তাঁর ব্লাড প্রেসার অনেক কমে গিয়েছে। শরীরের কিটোন বডির মাত্রা বেড়ে গিয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ঘন ঘন তাঁর মাথা ঘুরছিল। উঠতে বসতে কষ্ট হচ্ছিল, মাথা ঘুরিয়ে উঠছিল। এমনকি, শুয়ে থাকলেও মাথা ঘুরছিল তাঁর। সম্প্রতি তাঁর যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে তনয়ার রক্তচাপ কমে হয়েছে ৯৮/৭০। নাড়ির গতি ৭৮ এবং ক্যাপিলারি ব্লাড গ্লুকোজ় (সিবিজি) বা রক্তে শর্করার মাত্রা ৬৩। মূত্রে কিটোন বডি বেড়েছে, পরিমাণ ৩+। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিবিজি ৬০-এর নীচে নেমে গেলে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। ফলে তাঁর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ডাক্তাররা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অভয়ার সুবিচারের দাবিতে এখনও এই অনশন মঞ্চে সাধারণ জনতার ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল।

    আরও পড়ুনঃ এবার অনশন-কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সরকারি হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিৎসকদেরও

    একাধিক আরও ডাক্তার অসুস্থ!

    গত পাঁচ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন (RG Kar Case) শুরু করেছিলেন তনয়া। পরবর্তীতে যোগদান করেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। এরপর গত বৃহস্পতিবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অনশনের সময় যত বাড়তে বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে একে একে ডাক্তার অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্যরাও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি হন। তাঁদেরও অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। আবার গত শনিবার উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজে অনশনে বসেছিলেন আলোক বর্মা। তাঁর সঙ্গে আরও এক জুনিয়র ডাক্তার অনশনে ছিলেন, তাঁর নাম শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incidents: এবার অনশন-কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সরকারি হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিৎসকদেরও

    RG Kar Incidents: এবার অনশন-কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সরকারি হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিৎসকদেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ন্যায্য। সেই দাবি পূরণ না হলে, সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতার পথে হাঁটতে পারেন মেডিক্যাল কলেজগুলির অধ্যাপক-চিকিৎসকরাও (Doctors Protest)। প্রয়োজনে তাঁরাও করতে পারেন অনশন, অবস্থান, কর্মবিরতি। সোমবার (RG Kar Incidents) এসএসকেএম-এ বৈঠকের পর এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন সরকারি হাসপাতালের প্রফেসর চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ ও জুনিয়র ডাক্তারদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তাঁরা।

    দ্রোহের কার্নিভালে আমন্ত্রণ মুখ্যসচিবকেই (RG Kar Incidents)

    স্বাস্থ্যভবনে গতকাল মুখ্যসচিবের ডাকা বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র। মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকেই ‘দ্রোহের কার্নিভালে’ আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের প্রতিনিধিরা। তার ওপর সরকারি অধ্যাপক-চিকিৎসকদের এহেন হুঁশিয়ারিতে মঙ্গলবারের জোড়া কার্নিভাল নিয়ে আরও জোরালো হল রাজ্য সরকার ও চিকিৎসকদের সংগঠনের সংঘাত। মঙ্গলবারই রেড রোডে হবে পুজো কার্নিভাল। এই উৎসব বয়কট করে এদিন দ্রোহের কার্নিভালের ডাক দিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। যদিও প্রথম থেকেই ডাক্তারদের কার্নিভালের অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি দেয়নি পুলিশও। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এদিন কোনও মিছিল করা যাবে না (RG Kar Incidents)।

    কী বলছেন অধ্যাপক-চিকিৎসকরা

    এহেন আবহে সোমবার এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজে বৈঠকে বসেন রাজ্যের প্রায় সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিৎসকরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মঙ্গলবার দ্রোহের কার্নিভাল ও জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন অধ্যাপক চিকিৎসকরা। এসএসকেএমের অধ্যাপক চিকিৎসক গৌতম দাস বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছি। দাবি পূরণ না হলে… অসহযোগিতা।” অধ্যাপক চিকিৎসক অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, “টিচারদের ইলেকটেড বডি চাই, তাহলে অনাচার আটকানো যাবে।”

    আরও পড়ুন: হরিয়ানায় ১৭ অক্টোবর শপথ নেবে বিজেপি সরকার, দিনটির গুরুত্ব জানেন?

    দ্রোহের কার্নিভালের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমাদের আটকানো যাবে না। আগেই আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। মঙ্গলবার আমাদের কর্মসূচি হচ্ছেই। প্রসঙ্গত, এদিন বিকেলে সাড়ে ৪টেয় যখন রেড রোডে পুজো কার্নিভালের প্রস্তুতি চলবে, তখন বিকেল ৪টেয় ধর্মতলায় জমায়েতের ডাক দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। রাণি রাসমণি রোডে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা (Doctors Protest)। সূত্রের খবর, ধর্মতলা সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে (RG Kar Incidents)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: বেনজির সংঘবদ্ধতা! মঙ্গলেও প্রতীকী কর্মবিরতি চলছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে

    RG Kar Case: বেনজির সংঘবদ্ধতা! মঙ্গলেও প্রতীকী কর্মবিরতি চলছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে বেনজির দৃশ্য দেখা গেল কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন কর্মসূচি এখনও ন্যায় বিচারের দাবি সহ মোট ১০ দফা দাবিতে অনড়। মঙ্গলবার জুড়ে চলবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে আগেই টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। সোমবার প্রথম দিনেই একগুচ্ছ হাসপাতলে প্রতীকী কর্মবিরতির শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারেও সেই কর্মসূচি চলছে।

    প্রতিবাদের চিত্র অত্যন্ত বিরল (RG Kar Case)

    চিকিৎসক মহলের মতে এই সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ কার্যত বেনজির। আগেও বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। সবটাই স্বতন্ত্রভাবে হয়েছে। একজন চিকিৎসক তরুণীকে (RG Kar Case) ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায়, এই প্রথম গোটা চিকিৎসক মহল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তবে ন্যায় বিচারের ঘটনায় একত্রিত হয়ে এই ভাবে প্রতিবাদের চিত্র অত্যন্ত বিরল। একজোট হয়ে কর্মবিরতির ঘটনা শুধু কলকাতায় পালিত হচ্ছে না, একই ভাবে হাওড়া, কোচবিহার সহ একাধিক জেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    কোন কোন বেসরকারি হাসপাতালে বন্ধ পরিষেবা

    সোমবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আটচল্লিশ ঘণ্টা প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ রাখা হবে। অ্যাপোলো, মণিপাল, মেডিকা, আর এন টেগোর, ফর্টিস, চার্নক, পিয়ারলেস, উডল্যান্ডস মাল্টি স্পেশালিটি, সিএমআরআই, বিএম বিড়লা, কোঠারি এবং বেহালার নারায়াণা স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বুধবার তাঁরা সকাল ৬টা পর্যন্ত আংশিক কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যে পিয়ারলেস হাসপাতালে ১২ ঘণ্টার অনশন করেন চিকিৎসকরা। একই ভাবে হাওড়ার নারায়াণা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে প্রতীকী অনশন এবং কর্মবিরতি পালন করা হয়েছিল। তবে জরুরি পরিষেবা মিলেছে সেখানে। বন্ধ ছিল ওপিডি। মানস খাঁ নামক এক চিকিৎসক বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাতে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁরা কর্মবিরতি পালন করছি। অনশনের জেরে একে একে ডাক্তাররা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। চাই সরকারি হস্তক্ষেপে দ্রুত এই অচলাবস্থা মিটে যাক। আরজি করের ঘটনার দ্রুত বিচার (RG Kar Case) হোক।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    বৈঠক ফলপ্রসূ নয়

    অপর দিকে, ১০ দফা দাবি নিয়ে গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছেন বেশ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার (RG Kar Case)। সোমবার ছিল অনশনের নবম দিন। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দুজন জুনিয়ার ডাক্তার অনশন কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন। সকল অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থা ইতিমধ্যে সঙ্কটজনক। নানা রকম জটিলতা দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে বিষয় নিয়ে সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিবেচনার কথা বলেছেন সিনিয়র ডাক্তারদের এক অংশ। আর যদি সময় মতো কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে বড়সড় আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। আইএমএ ডাক্তার সংগঠনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দেশ জুড়ে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক হলেও জুনিয়র ডাক্তার এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে জটিলতা কাটেনি। আইএমএ-সহ ১২টি চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। কিন্তু বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। সিনিয়র ডাক্তাররা হতাশা প্রকাশ করেছেন। অপর দিকে মুখ্যসচিব নেতিবাচক মানতে নারাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Trudeaus Preposterous Imputations: কানাডার কূটনীতিককে তলব ভারতের, কেন জানেন?

    Trudeaus Preposterous Imputations: কানাডার কূটনীতিককে তলব ভারতের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রুডোর অযৌক্তিক অভিযোগের কারণে কানাডার কূটনীতিককে তলব করল ভারত (Trudeaus Preposterous Imputations)। সোমবার কানাডিয়ান কূটনীতিক স্টিউয়ার্ট হুইলারকে তলব করেছিল নয়াদিল্লি (India)। ঘটনায় এদিন ফের একবার তলানিতে ঠেকল ভারত-কানাডা সম্পর্ক।

    নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়া (Trudeaus Preposterous Imputations)

    মাস কয়েক আগে কানাডায় খুন হয় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় কানাডা সরকার সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারের দিকে ইঙ্গিত করায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরকারের এই পদক্ষেপ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও অযৌক্তিক। এই ঘটনায় স্টিউয়ার্টকে তলব করে ভারত। বৈঠক শেষে কানাডিয়ান এই কূটনীতিক বলেন, “ভারত সরকারের এজেন্ট ও কানাডার মাটিতে একজন কানাডিয়ান নাগরিককে হত্যার মধ্যে সম্পর্কের বিশ্বাসযোগ্য ও অকাট্য প্রমাণ দিয়েছে কানাডা।” তিনি বলেন, “তারা যা বলেছিল, তা মেনে চলা ও খতিয়ে দেখার সময় এসেছে ভারতের। আমাদের দেশ ও দেশবাসী উভয়েরই স্বার্থে কানাডা ভারতকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    প্রসঙ্গত, ট্রুডোর অভিযোগকে রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতকে অপমান করার একটা ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার বলেও জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। প্রসঙ্গত, রবিবার কানাডা সরকারের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে যাঁদের স্বার্থ জড়িত, সেই তালিকায় ভারতীয় হাই কমিশনারও রয়েছেন। কানাডার আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থী খালিস্তানি গোষ্ঠীগুলির সমর্থন পাওয়ার জন্য ট্রুডো সরকার নতুন করে নিজ্জর বিতর্ক সামনে নিয়ে আসছে বলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিমত।

    আরও পড়ুন: হরিয়ানায় ১৭ অক্টোবর শপথ নেবে বিজেপি সরকার, দিনটির গুরুত্ব জানেন?

    খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে ভারত। এর প্রায় তিন বছর পরে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। নিজ্জর খুনে ভারতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন ট্রুডো। তার পর থেকেই চিড় ধরে দুই দেশের সম্পর্কে। ঘটনার পর খালিস্তানপন্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য কানাডাকে দোষারোপ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী (India) নরেন্দ্র মোদি (Trudeaus Preposterous Imputations)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nobel Prize: অর্থনীতিতে নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন তিন মার্কিন

    Nobel Prize: অর্থনীতিতে নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন তিন মার্কিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অর্থনীতিতে (Economics) নোবেল প্রাইজ (Nobel Prize) পাচ্ছেন তিনজন। সোমবার তাঁদের নাম ঘোষণা করল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। এবার অর্থনীতিতে যাঁদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে তাঁরা হলেন, তুরস্ক বংশোদ্ভূত ড্যারন অ্যাসেমোগলু, ইংল্যান্ডের সাইমন জনসন এবং আমেরিকার জেমস এ রবিনসন। এঁরা প্রত্যেকেই আমেরিকার নাগরিক। ড্যারন ও সাইমন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে গবেষণারত। আর জেমস শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক।

    নোবেল কমিটির বক্তব্য (Nobel Prize)

    নোবেল কমিটির (অর্থনীতি) চেয়ারম্যান জ্যাকব সভেনসন বলেন, “দুই দেশের মধ্যে আয়ের পার্থক্য কমানো এই সময়ের একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই তিন অর্থনীতিবিদ দেখিয়েছেন, সেই অসাম্য দূর করতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলির বড় ভূমিকা রয়েছে। যে সব দেশের সামাজিক রীতিনীতিগুলি শোষণমূলক, সেই সব সমাজ বিশেষ সমৃদ্ধিশালী হয়ে উঠতে পারে না। গবেষণার মাধ্যমে তা-ই দেখিয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। অর্থনীতিতে ২০২৪ সালের নোবেল প্রাপক তিনজনের গবেষণার বিষয় – দেশীয় সমৃদ্ধিতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা। সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলি কীভাবে তৈরি হয়, সামগ্রিক সমৃদ্ধিকে কীভাবে প্রভাবিত করে, তা নিয়েই গবেষণা করেছেন এই তিন অর্থশাস্ত্রবিদ (Nobel Prize)।

    আরও পড়ুন: হরিয়ানায় ১৭ অক্টোবর শপথ নেবে বিজেপি সরকার, দিনটির গুরুত্ব জানেন?

    কমিটির ব্যাখ্যা

    নোবেল পুরস্কার কমিটির ব্যাখ্যা, যখন ইউরোপিয়রা বিশ্বের নানা দেশে উপনিবেশ বিস্তার করা শুরু করেছিল, তখন সেই সব সমাজের প্রতিষ্ঠানগুলিতে বদল আসে। সুবিধার জন্য সে সব দেশে নয়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলে ইউরোপিয়রাই। কিন্তু দেখা গেল, যে উপনিবেশগুলি সেই সময় সমৃদ্ধ ছিল, সেগুলি এখন দরিদ্র, আর যে উপনিবেশগুলিতে সেই সময় দারিদ্র ছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে। নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, সংঘবদ্ধ সমাজের ক্ষমতা কখনও একচেটিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার চেয়েও বেশি শক্তিশালী। এই পরিস্থিতি এড়াতে শাসক নানা স্বল্প মেয়াদি অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়। তাই দীর্ঘ মেয়াদি পরিবর্তন হয় না। তখন অসাম্য ঘোচানোর একটাই বিকল্প, সেটা হল, শাসক যদি নিজেই জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয় (Economics) অর্থাৎ ক্ষমতার হস্তান্তর ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা (Nobel Prize)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Haryana: হরিয়ানায় ১৭ অক্টোবর শপথ নেবে বিজেপি সরকার, দিনটির গুরুত্ব জানেন?

    Haryana: হরিয়ানায় ১৭ অক্টোবর শপথ নেবে বিজেপি সরকার, দিনটির গুরুত্ব জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ অক্টোবর হরিয়ানায় (Haryana) শপথ নেবে বিজেপি (BJP) সরকার। এ নিয়ে তৃতীয়বার হরিয়ানায় সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার পাঁচকুলার সেক্টর ৫ এর প্যারেড গ্রাউন্ডে হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে সম্মতি পেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা ১৭ অক্টোবর পাঁচকুলায় শপথ নেবেন। বিজেপির এটাই চিরাচরিত রীতি।”

    কেন ১৭ অক্টোবর? (Haryana)

    প্রশ্ন হল, কেন ১৭ অক্টোবর দিনটিকে বেছে নেওয়া হল শপথ গ্রহণের দিন হিসেবে? ১৭ অক্টোবর দিনটি এ বছর বাল্মিকী দিবস হিসেবে পালিত হবে। রামায়ণ-স্রষ্টার জন্ম দিবস হওয়ায় এই দিনটি ছুটি থাকে রাজ্যে। বাল্মিকী জয়ন্তী দিনটি পালিত হয় ‘পারগত দিবস’ হিসেবে। পালন করেন বাল্মিকী ধর্মীয় সম্প্রদায়। চান্দ্র মাস গণনা অনুযায়ী প্রতি বছর দিনটি পাল্টে যেতে থাকে। চলতি বছর এটি পড়েছে ১৭ অক্টোবর। হরিয়ানায় লোকসভার আসন রয়েছে ১০টি। তার মধ্যে পাঁচটিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে পদ্মময় হরিয়ানা।

    বিজেপি সরকার

    সূত্রের খবর, নয়াব সিং সাইনির নেতৃত্বে সরকার গঠন করবে বিজেপি (Haryana)। সাইনি ওবিসি সম্প্রদায়ের। বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া সরকার ফিরলে সাইনিকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল পদ্ম শিবির। সেই মতো ওই দিন সকাল ১০টায় তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেবে বিজেপি সরকার। প্রসঙ্গত, হরিয়ানা বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৪৮টি আসন। কংগ্রেসের চেয়ে ১১টি আসন বেশি। এ রাজ্যে এবার কংগ্রেস পেয়েছে ৩৭টি আসন। উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধীর দল পেয়েছিল ৩১টি আসন। রাজ্যের তিন নির্দল বিধায়ক দেবেন্দ্র কাডিয়ান, রাজেশ জুন এবং সাবিত্রী জিন্দল সরকার গড়তে সমর্থন করছে বিজেপিকে।

    আরও পড়ুন: মঙ্গলে এসসিও সামিটে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর, কোন বার্তা দেবেন?

    পদ্ম শিবিরের এক প্রবীণ নেতা বলেন, “বিজেপি সব সময় পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে গুরুত্ব দিয়েছে। গুরুত্ব দিয়েছে দলিতদেরও।” তিনি বলেন, “অন্যান্য রাজনৈতিক দল এই সব শ্রেণির কাছে পৌঁছানোর ভাব দেখায়, পৌঁছায় না। কিন্তু ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত এই সব শ্রেণির মানুষের কল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে।” বাল্মিকী জয়ন্তীর গুরুত্ব প্রসঙ্গে খট্টর বলেছিলেন, “অন্ত্যোদয় ও সামাজিক ঐক্য স্থাপন আমাদের সরকারের লক্ষ্য। বাল্মিকীর রাম রাজ্যের ভিশনকে আমরা বাস্তবায়িত করতে চাইছি (BJP)। দেশকে বিশ্ব শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে বাল্মিকীর শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে (Haryana)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

     

  • Weather Update: বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়, লক্ষ্মীপুজোতে ফের নিম্নচাপের আভাস, ভাসবে জেলা

    Weather Update: বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়, লক্ষ্মীপুজোতে ফের নিম্নচাপের আভাস, ভাসবে জেলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার থেকেই বাংলায় বর্ষা বিদায়, কিন্তু লক্ষ্মীপুজোর (Lakshmi Puja) আগে ফের নিম্নচাপের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই বর্ষণে ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। ঠিক এমনটাই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দুর্গাপুজোর আগেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে ব্যাপক ভাবে বৃষ্টির শিকার হয়েছিল গোটা রাজ্য। এমন কী ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল। এবার লক্ষ্মী পুজোর মধ্যে আবহাওয়া কেমন থাকবে? আসুন জেনে নিই।

    আবহওয়া দফতর সূত্রে খবর (Weather Update)

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের (Weather Update) পরোক্ষ প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়বে। এরফলে প্যাচপাচে গরমে কষ্ট বাড়বে। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাস্প ঢুকে স্থানীয় ভাবে মেঘলা আকাশ থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। তবে উপকূলের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার শহর কলকাতায় কার্নিভাল, এদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। লক্ষ্মীপুজোর আগে উপকূলের দুই এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি এবং বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    বর্ষা বিদায়

    আবার রবিবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা বিদায়ের ইঙ্গিত মিলেছে বাংলা থেকে। দক্ষিণ এবং উত্তরবঙ্গের সব জেলা থেকে বর্ষা (Weather Update) বিদায় নিয়েছে। ফলে বঙ্গে বর্ষার বৃষ্টির সম্ভাবনা আর নেই। আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, আপাতত আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের তেমন কোনও ইঙ্গিত নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং কালিম্পং সহ পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি হবে। বাকি জেলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

    আরও পড়ুন: বাংলার আন্দোলনকে সমর্থন, মঙ্গলবার দেশজুড়ে অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা, সিদ্ধান্ত আইএমএ-এর

    কলকাতার কেমন আবহাওয়া?

    কলকাতার আবহাওয়া থাকবে পরিষ্কার (Weather Update)। সন্ধ্যের পর আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। দিন এবং রাতের তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধি হতে পারে। রবিবার রাতে তাপমাত্রা ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি। দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩২.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৬৫ থেকে ৯৪ শতাংশ। আগামী শুক্রবার থেকে কলকাতার সহ দক্ষিণবঙ্গের শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে।  

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rainwater Plan: বৃষ্টির জলকে ধরে রাখতে দেশজুড়ে ১০ লক্ষ জলাধার নির্মাণের বিরাট পরিকল্পনা কেন্দ্রের

    Rainwater Plan: বৃষ্টির জলকে ধরে রাখতে দেশজুড়ে ১০ লক্ষ জলাধার নির্মাণের বিরাট পরিকল্পনা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ফোঁটা জলও যাতে নষ্ট না হয় সেই জন্য ভারত সরকার বৃষ্টির জলকে (Rainwater Plan) ধরে রাখার জন্য নতুন পরিকল্পনা শুরু করেছে। খরার প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে এবং প্রান্তিক এলাকায় গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহে প্রবল জলসঙ্কট থেকে নিবৃত্তি পেতে নয়া যোজনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, জল সঞ্চয় জন ভাগিদারি অর্থাৎ জেএসবি নামে একটি প্রকল্পে বৃষ্টির জলকে সঞ্চয়ের মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। ভূ-গর্ভস্থ জল যাতে পুনরায় বাড়ানো যায় সেই কথা ভেবেই সরকারের এই পরিকল্পনা। যদিও দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ‘মন কি বাত’ বেতার অনুষ্ঠানে বৃষ্টির জল সঞ্চয়ের বিষয়ে উদ্যোগ, উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা নিয়ে একাধিক বার বক্তব্য রেখেছিলেন।

    ১০ লক্ষ জল সঞ্চয়ের জলাধার (Rainwater Plan)

    জানা গিয়েছে, বৃষ্টির জল সঞ্চয়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার আগামী বছরে প্রায় ১০ লক্ষ জলাধার (Rainwater Plan) বা রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং স্ট্রাকচার তৈরির পরিকল্পনা করেছে। মূল উদ্দেশ্য হল, ভূগর্ভের অন্দরে জলের পুনঃপূরণ বৃদ্ধি করা। এই অভিযান মূলত জলসঙ্কটের মধ্যে থাকা জেলাগুলিতে সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন রকম চেক ড্যাম, পারকোলেশন ট্যাঙ্ক এবং জলাধার কূপ নির্মাণ করা হবে। ফলে বর্ষার জলকে ধরে রেখে যাতে এলাকার মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটে, সেই প্রচেষ্টা চালানো হবে।

    আরও পড়ুনঃ সন্দীপ ও তাঁর আত্মীয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবৈধ লেনদেনের খোঁজ! জেরা করবে ইডি

    ২৫৬টি জলাবদ্ধ জেলায় কাজ শুরু

    জল সঞ্চয় জন ভাগিদারি প্রকল্পের মূল কথাই হল “ক্যাচ দ্য রেইন-হোয়্যার ইট ফলস হোয়েন ইট ফলস” অর্থাৎ বৃষ্টির জল ধরো-যখন এটি বর্ষিত হয় আর যেখানে বর্ষিত হয়। এই প্রচারাভিযানে ২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ২৫৬টি জলাবদ্ধ জেলায় কাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, আমাদের লক্ষ্য হল বৃষ্টির জলকে ধরে রেখে অ্যাকুইফার বা পাথরে সঞ্চয়, বোরওয়েল বা কূপ সঞ্চয়, সিআইআর সঞ্চয়, শিল্প সংস্থা, নাগরিক সংস্থার মাধ্যমে কীভাবে জলকে সংরক্ষণ করে সুরক্ষিত করা যায় সেই বিষয়ে ভাবনা রাখা। একই ভাবে উপযুক্ত পদক্ষেপে ভবিষ্যতের জলকে নিরাপদ (Rainwater Plan) রাখাও প্রধান চাহিদার অঙ্গ। সমষ্টিগত সঞ্চয়ের মাধ্যমেই এক এক ফোঁটা ফোঁটা জলের সঞ্চয় হতে পারে এবং মানুষের মৌলিক চাহিদাকে সুনিশ্চিত করাই প্রকল্পের প্রধান কাজ।

    গুজরাটে আশি হাজার জলাধার নির্মাণ হবে

    এই বিষয়ে গুজরাটে ব্যাপক সাফল্যের কথা উঠে এসেছে। গত মাসে সুরাটে এই প্রকল্পের সিদ্ধান্তকে কার্যকর হয়েছে। এই রাজ্যের এক এক গ্রামে বৃষ্টির জল কীভাবে সঞ্চয় করা যায়, তার জন্য পাঁচটি করে জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে। একই ভাবে পুরসভা এলাকায় অন্তত ১০,০০০ জলাধার (Rainwater Plan) নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। তবে সামনের বছর ৮০,০০০ জালাধার পরিকাঠামো নির্মাণ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক থেকে বলা হয়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের একই ভাবে জল সঞ্চয়ের পরিকল্পনা করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share