Tag: news in bengali

news in bengali

  • RG Kar Case: অনিকেতের শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়! সঙ্কট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ডাক্তার সংগঠনের

    RG Kar Case: অনিকেতের শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়! সঙ্কট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ডাক্তার সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনিকেতের শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়। আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডে অনশনরত চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর অবস্থা ভীষণ আশঙ্কাজনক। কোমায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ভেবেই মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamta Banerjeee) সংবেদনশীল হতে আবেদন জানিয়ে চিঠি সিনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স-এর। অভয়ার ন্যায় বিচার সহ মোট ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখনও পর্যন্ত সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানায়নি। ফলে চিকিৎসক মহল প্রতিবাদে গণইস্তফাও দিতে শুরু করেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েবে না তো? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মনে।

    ধীরে ধীরে শরীরের অঙ্গ বিকল হওয়ার সম্ভাবনা (RG Kar Case)

    আন্দোলনে অনশনরত চিকিৎসকদের (RG Kar Case) শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে মত প্রকাশ করেছেন ডাক্তাররা। জানা গিয়েছে, অনিকেতের দেহে কিটোন বডির উপস্থিতি মিলতে শুরু করেছে। কিটোন বডির পরিমাণ ৩+। এই পরিমাণ বাড়তে থাকলে কিটোন অ্যাসিডোসিস হয়ে কোমায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধীরে ধীরে শরীরের অঙ্গ বিকল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে লিভারের মধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। চিন্তায় রয়েছেন অনেক চিকিৎসক। কিন্তু এখনও নিজেদের দাবি নিয়ে অনড় রয়েছেন অনেকেত সহ আরও অনিকেত চিকিৎসক। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অনশনকারীদের মধ্যে আরও অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদিকে ইতিমধ্যে টানা ১১৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে অনশনের সময়। এসএসকেএম থেকে চার সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। একইভাবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একদিন আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দেখতে গিয়েছেন। যদিও গত বুধবার স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর ইস্যুতে ‘গণইস্তফা’ দিলেন এসএসকেএম-এর ৪০ জন চিকিৎসক!

    অচলাবস্থা ও পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করবেন মমতা?

    অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar Case) পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে চিকিৎসক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক পুণ্যব্রত গুণ এবং হীরালাল কোনার, মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamta Banerjeee) চিঠি লিখে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অচলঅবস্থা এবং পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান তাঁরা। ইতিমধ্যে অনিকেতের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে। কিন্তু বাকি জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন এখনও চলছে। সিনিয়র ডাক্তারদের মতে, জটিল অবস্থার কথা বিবেচনা করে আলোচনায় আসা একান্ত প্রয়োজন। উল্লেখ্য গত শনিবার সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইতিমধ্যে ৬ দিন পার হয়ে গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আরজি কর ইস্যুতে ‘গণইস্তফা’ দিলেন এসএসকেএম-এর ৪০ জন চিকিৎসক!

    RG Kar Case: আরজি কর ইস্যুতে ‘গণইস্তফা’ দিলেন এসএসকেএম-এর ৪০ জন চিকিৎসক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরজি কর (RG Kar Case) ইস্যুতে ‘গণইস্তফা’ (Mass resignation) দিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা। অভয়ার ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে বড় পদক্ষেপ তাঁদের। বৃহাস্পতিবার এই হাসপাতালের ৪০ জন সিনিয়র ডাক্তার এই গণইস্তফা পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। অপর দিকে সরকার পক্ষকে এখনও ১০ দফা দাবি নিয়ে কোনও সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। ফলে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠছে ক্রমশ।

    ডাক্তারদের দাবি মেটাতে সরকার পক্ষ ব্যর্থ (RG Kar Case)

    গণইস্তফা পত্রে স্বাক্ষর করে এসএসকেএম-এর সিনিয়র ডাক্তাররা বলেন, “আরজি কর ইস্যুতে (RG Kar Case) অনশনকারী ডাক্তারদের দাবি মেটাতে সরকার পক্ষ ব্যর্থ। আমরা সেই জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে তাঁর মানে এই নয় যে এখনই পরিষেবা বন্ধ করা হবে। আমাদের পত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাবো। সরকারের উচিত আরও সংবেদনশীল হওয়া। অবিলম্বে সব দাবি মেনে নেওয়া উচিত।” উল্লেখ্য বুধবার একই ভাবে গণপদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের মোট ৩৪ জন সিনিয়র ডাক্তার। একইভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তাররা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যদি কোনও ইতিবাচক ভূমিকা না গ্রহণ করে সরকার, তাহলে এখানেও গণইস্তফা দেওয়া হবে। আবার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারাও।

    আরও পড়ুন: এক যুগের অবসান! রতন টাটার প্রয়াণে শোক বার্তা সচিন, সলমন, রোহিত-নীরজদের 

    আরজি করে ৫০ জনের গণইস্তফা

    গত মঙ্গলবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা ইস্তফা দিয়েছেন। এখানে প্রায় ৭৫ জন সিনিয়র ডাক্তার গণইস্তফা (Mass resignation) দিয়েছিলেন। আবার মঙ্গলবার আরজি কর হাসপাতালের প্রায় ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণইস্তফা দিয়েছিলেন। এইভাবেই একাধিক জেলা হাসপাতালেও এই ইস্তফা ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালে মোট ৫০ জন জুনিয়র ডাক্তার নিজেরা জুনিয়রদের পাশে দাঁড়িয়ে গণইস্তফা দিয়েছেন। উৎসবমুখর দুর্গাপুজোতে আরজি কর হাসপাতলের চিকিৎসক-তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) ন্যায় বিচারের আন্দোলন থেমে নেই। সপ্তমীর দিন কলেজ স্ট্রিটে পুলিশকে ঘিরে বিরাট বিক্ষোভ হয়। কলেজ স্কোয়ার পুজো মণ্ডপের সামনেই আন্দোলনকারীরা জমায়েত করে সুবিচারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ratan Tata: শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রতন টাটা ভর্তি মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে

    Ratan Tata: শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রতন টাটা ভর্তি মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটা (Ratan Tata) সংকটজনক অবস্থায় ভর্তি মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সূত্র মারফত এই খবর জানা গিয়েছে। যদিও টাটা গোষ্ঠীর তরফ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি ঘোষণা করা হয়নি। প্রসঙ্গত, রতন টাটার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সোমবারই গুজব ছড়ায়। তখন টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান নিজেই এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করে জানান যে এই খবর গুজব। তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে নিয়মিত চেকআপ করাতেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলেই জানান। এই আবহে দুদিনের মাথায় ফের তাঁর অসুস্থতার খবর সামনে এল।

    ২০০৮ সালে পেয়েছিলেন পদ্মবিভূষণ সম্মান (Ratan Tata)

    প্রসঙ্গত, রতন টাটা ভারতবর্ষের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি (Ratan Tata) এই সম্মান পান। এর আগে ২০০০ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ পুরস্কার দেওয়া হয়। ছাত্র জীবনে তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীকালে জেআরডি টাটার উত্তরসূরি হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি টাটা সন্সের দায়িত্ব নেন ১৯৯১ সালে। ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্ম হয় রতন টাটার (Ratan Tata Health Update) এবং তিনি একজন ভারতীয় শিল্পপতি বলে পরিচিত। ১৯৯০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিনি টাটা (Ratan Tata) গ্রুপকে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীকালে ২০১৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ফের তিনি ওই দায়িত্ব সামলান। বর্তমানে তিনি নানারকম সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

    আইসিইউ-তে ভর্তির খবরও ছড়ায় গত সোমবার

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, রবিবার গভীর রাতে রতন টাটাকে (Ratan Tata) মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিছু সংবাদমাধ্যম আর এক কদম এগিয়ে আরও দাবি করে, আচমকা তাঁর (টাটার) শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু সোমবার সকালেই এই সব জল্পনা উড়িয়ে দেন খোদ শিল্পপতি নিজেই। তিনি জানান, এ সবই ভুয়ো খবর। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারণে নিয়মমাফিক চেক-আপের জন্যই তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: ফের ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা, রায়বরেলীতে লাইনের ওপর রাখা হল সিমেন্টের ব্লক

    Uttar Pradesh: ফের ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা, রায়বরেলীতে লাইনের ওপর রাখা হল সিমেন্টের ব্লক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রায়বরেলীতে। রেললাইনের ওপর সিমেন্টের ব্লক ফেলে রাখা হয়েছিল বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই ট্র্যাক ধরে তখন ছুটে আসছিল একটি মালগাড়ি। রেললাইনের ওপরে সিমেন্টের ব্লকগুলি পড়ে থাকতে দেখেই মালগাড়ি থামান চালক। তবুও সেগুলির সঙ্গে ধাক্কা লাগে মালগাড়ির। চালক যদি সময়মতো ব্রেক না কষতেন, তা হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।

    মধ্যপ্রদেশের সাতনা থেকে আসছিল মালগাড়িটি

    রেল সূত্রে (Uttar Pradesh) জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে একটি মালগাড়ি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কুন্দনগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। সেটি মধ্যপ্রদেশের সাতনা থেকে আসছিল। এই রুটের রায়বরেলী-প্রয়াগরাজ রেল ডিভিশনের লক্ষ্মণপুর এবং দরিয়াপুর স্টেশনের মাঝে রেললাইনের ওপরেই সিমেন্টের ব্লক ফেলে রাখা হয় বলে জানা গিয়েছে। রাত্রি ১১টা নাগাদ চালক হঠাৎ দেখতে পান রেললাইনের ওপরে কিছু পড়ে রয়েছে। আপৎকালীন ব্রেক কষে মালগাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই সিমেন্টের ব্লকে ধাক্কা লাগে মালগাড়ির।

    গত রবিবার রায়বরেলীতে (Rae Bareli) একই প্রচেষ্টা করা হয় 

    খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় রেলপুলিশ এবং রেল সুরক্ষা বাহিনী। প্রসঙ্গত, গত রবিবারই এই রায়বরেলীতেই (Uttar Pradesh) ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টা করা হয়। রেললাইনের ওপর প্রচুর পরিমাণ মাটি ফেলে রাখা হয়েছিল। সেখানকার রঘুরাজ সিং স্টেশনের কাছেই ঘটনাটি ঘটে। চালক দেখতে পেয়েই ট্রেন থামিয়ে দেন। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পায় যাত্রিবাহী ট্রেন। কখনও গুজরাত, কখনও মধ্যপ্রদেশ আবার কখনও উত্তরপ্রদেশে ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কখনও রেললাইনের ওপর গ্যাস সিলিন্ডার রেখে, কখনও সিমেন্টের ব্লক, কখনও লোহার পাত, কখনও বা মাটি ফেলে ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গুজরাতে রেললাইনে লোহার রড রাখার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল ২ জনকে। কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। মধ্যপ্রদেশে ভেস্তে দেওয়া গিয়েছিল আরও বড় নাশকতার ছক। সে রাজ্যের বুরহানপুরে যে লাইন দিয়ে সেনাকর্মীদের ট্রেন যাওয়ার কথা ছিল সেখানে ট্র্যাক থেকে উদ্ধার হয়েছিল বেশ কিছু ডিটোনেটর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Narendra Modi: “কংগ্রেস চায় ভারতের হিন্দু ভোট ভাগ হোক, এটাই বিভাজনের রাজনীতি”, আক্রমণ মোদির

    Narendra Modi: “কংগ্রেস চায় ভারতের হিন্দু ভোট ভাগ হোক, এটাই বিভাজনের রাজনীতি”, আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস (Congress) চায় ভারতের হিন্দু ভোট ভাগ হোক, এটাই তাদের বিভাজনের রাজনীতি।” হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ঠিক এভাবেই তীব্র আক্রমণ করলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কংগ্রেস দেশে জাতপাত এবং তোষণের রাজনীতি করে সুবিধা নিতে চাইছে, কিন্তু দেশের সজাগ নাগরিক গণতান্ত্রিক নির্বাচনে যোগ্য জবাব দিয়েছেন, এই কথাও তুলে ধরেন তিনি। উল্লেখ্য, হরিয়ানাতে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। তাই ওই রাজ্যের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি। একই ভাবে মহারাষ্ট্রে বুধবার ৭৬ হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন তিনি।

    ঠিক কী বললেন মোদি (Narendra Modi)?

    এদিন নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার কথা মনে করিয়ে মহারাষ্ট্রের একটি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) বলেন, “কংগ্রেস (Congress) কার্যত ঘৃণার রাজনীতি করছে। যে দল স্বাধীনতার পর থেকে দেশে একক ভাবে দীর্ঘ সময়ের জন্য রাজত্ব করেছে, তারা আজ ক্ষমতায় ফিরে আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিদিন মানুষের মনে হিংসার বীজ বপন করে চলেছে। দেশের স্বাধীনতার পর থেকে মহাত্মা গান্ধী আঁচ করতে পেরেছিলেন, কংগ্রেসের আগামী পন্থা কী হতে চলেছে। একই ভাবে হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের ফলাফল দেখে আগামী দিনে মহারাষ্ট্রের মানুষকে উন্নয়নের পথকেই বেছে নিতে হবে। হিন্দু সমাজ একত্রিত হলে দেশ অখণ্ড থাকবে। তাই বিজেপি এবং এনডিএ জোটের ওপর মানুষের আস্থা রাখতে হবে।”

    আরও পড়ুন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা, পদ্ধতিবিদ্যা নোবেল বর্ণনা হপফিল্ড ও হিন্টন

    আর কী বললেন মোদি?

    এদিন একই ভাবে কংগ্রেসের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) বলেন, “সামাজিক বিভাজন এবং বিশেষ সমাজের মানুষকে তোষণ করে ক্ষমতায় যেতে চায় কংগ্রেস। ওরা হিন্দু সমাজকে ভাঙার কাজ করে গিয়েছে কেবলমাত্র। সর্বজন হিতায়-সর্বজন সুখায়, এই আদর্শের কথা কোনও দিন কল্পনা করেনি কংগ্রেস। কংগ্রেস বার বার প্রমাণ করেছে যে তারা হল একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনৈতিক দল। মুসলমান সমাজকে কেবলমাত্র ভোটব্যাঙ্ক হিসেবেই বিচার করেছে। ভোটের কথা ভেবে, ভোটের অঙ্ককে মাথায় রেখে ভোট ব্যাঙ্ককে শাক্তিশালী করেছে। গোটা সমাজের জন্য কিছুই করেনি। এই দলের কাছে উন্নয়ন বলে কোনও শব্দ নেই। আজ গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশ, বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতিতে পৌঁছে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন। এই সম্পদকে নিয়ে কোনও সময় কংগ্রেস সরকার ভাবেনি।”

    একই ভাবে শিরডিতে নতুন টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি। ৭৬ হাজার কোটি টাকার একাধিক জনমুখী প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদি। একই ভাবে ডক্টর বাবা সাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, শিরডি বিমান বন্দর এবং মেডিক্যাল কলেজের শিলান্যাস করেন। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 162: “বিষয়ীদের মধ্যে থাকা, বিষয়ীদের ঔরসে জন্ম, এমন ভক্তি—জ্ঞান হয় কেমন করে?”

    Ramakrishna 162: “বিষয়ীদের মধ্যে থাকা, বিষয়ীদের ঔরসে জন্ম, এমন ভক্তি—জ্ঞান হয় কেমন করে?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, নিত্যসিদ্ধ ও কৌমার বৈরাগ্য

    যদি বল, বিষয়ীদের মধ্যে থাকা, বিষয়ীদের ঔরসে জন্ম, তবে এমন ভক্তি—এমন জ্ঞান হয় কেমন করে? তার মানে আছে। বিষ্ঠাকুড়ে যদি ছোলা পড়ে, তাহলে তাতে ছোলাগাছই হয়। সে ছোলাতে কত ভাল কাজ হয়। বিষ্ঠাকুড়ে পড়েছে বলে কি অন্য গাছ হবে?

    আহা, রাখালের স্বভাব আজকাল কেমন হয়েছে। তা হবে নাই বা কেন? ওল যদি ভাল হয়, তার মুখিটিও ভাল হয়। (সকলের হাস্য) যেমন বাপ, তার তেমনি ছেলে!

    মাস্টার (একান্ত গিরীন্দ্রের প্রতি)—সাকার-নিরাকারের কথাটি ইনি কেমন বুঝিয়ে দিলেন। বৈষ্ণবেরা বুঝি কেবল সাকার বলে?

    গিরীন্দ্র—তা হবে। ওরা একঘেয়ে।

    মাস্টার—নিত্য সাকার, আপনি বুঝেছেন? স্ফটিকের কথা? আমি ওটা ভাল বুঝতে পারছি না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—হ্যাঁগা, তোমরা কি বলাবলি কচ্ছ?

    মাস্টার ও গিরীন্দ্র একটু হাসিয়া চুপ করিয়া রহিলেন।

    বৃন্দে ঝি (রামলালের প্রতি)—ও রামলাল, এ-লোকটিকে এখন খাবার দেও, আমার খাবার তার পরে দিও।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—বৃন্দেকে খাবার এখনও দেয় নাই?

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    পঞ্চবটীমূলে কীর্তনানন্দে

    অপরাহ্নে ভক্তেরা পঞ্চবটীমূলে কীর্তন করিতেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহাদের সহিত যোগদান করিলেন। আজ ভক্তসঙ্গে মার নামকীর্তন করিতে করিতে আনন্দে ভাসিলেন:

    শ্যামাপদ-আকাশেতে মন ঘুড়িখান উড়তেছিল ৷
    কলুষের কুবাতাস পেয়ে গোপ্তা খেয়ে পড়ে গেল ॥
    মায়াকান্নি হল ভারী, আর আমি উঠাতে নারি ৷
    দারাসুত কলের দড়ি, ফাঁস লেগে সে ফেঁসে গেল ॥
    জ্ঞান-মুণ্ড গেছে ছিঁড়ে, উঠিয়ে দিলে অমনি পড়ে ৷
    মাথা নেই সে আর কি উড়ে, সঙ্গের ছজন জয়ী হল ॥
    ভক্তি ডোরে ছিল বাঁধা, খেলতে এসে লাগল ধাঁধা ৷
    নরেশচন্দ্রের হাসা-কাঁদা, না আসা এক ছিল ভাল ॥

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ“ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 161: “মুখের দিকে তাকিয়ে দেখ…অন্তরে ঈশ্বরের নাম জপ করে কিনা, তাই ঠোঁট নড়ে”

    Ramakrishna 161: “মুখের দিকে তাকিয়ে দেখ…অন্তরে ঈশ্বরের নাম জপ করে কিনা, তাই ঠোঁট নড়ে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, নিত্যসিদ্ধ ও কৌমার বৈরাগ্য

    রাখালের বাপ বসিয়া আছেন (Kathamrita)। রাখাল আজকাল ঠাকুরের (Ramakrishna) কাছে রহিয়াছেন। রাখালের মাতাঠাকুরানীর পরলোকপ্রাপ্তির পর পিতা দ্বিতীয় সংসার করিয়াছেন। রাখাল এখানে আছেন, তাই পিতা মাঝে মাঝে আসেন। তিনি ওখানে থাকাতে বিশেষ আপত্তি করেন না। ইনি সম্পন্ন ও বিষয়ী লোক, মামলা মোকদ্দমা সর্বদা করিতে হয়। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে উকিল, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ইত্যাদি আসেন। রাখালের পিতা তাঁহাদের সঙ্গে আলাপ করিতে মাঝে মাঝে আসেন। তাঁহাদের নিকট বিষয়কর্ম সম্বন্ধে অনেক পরামর্শ পাইবেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাঝে মাঝে রাখালের বাপকে দেখিতেছেন। ঠাকুরের ইচ্ছা—রাখাল তাঁর কাছে দক্ষিণেশ্বরে থাকিয়া যান।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (রাখালের বাপ ও ভক্তদের প্রতি)—আহা, আজকাল রাখালের স্বভাবটি কেমন হয়েছে! ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখ—দেখতে পাবে, মাঝে মাঝে ঠোঁট নড়ছে। অন্তরে ঈশ্বরের নাম জপ করে কিনা, তাই ঠোঁট নড়ে।

    এ-সব ছোকরারা নিত্যসিদ্ধের থাক। ঈশ্বরের (Ramakrishna) জ্ঞান নিয়ে জন্মেছে। একটু বয়স হলেই বুঝতে পারে, সংসার গায়ে লাগলে আর রক্ষা নাই। বেদেতে হোমাপাখির কথা আছে, সে পাখি আকাশেই থাকে, মাটির উপর কখন আসে না। আকাশেই ডিম পাড়ে। ডিম পড়তে থাকে; কিন্তু এত উঁচুতে পাখি থাকে যে, পড়তে পড়তে ডিম ফুটে যায়। তখন পাখির ছানা বেরিয়ে পড়ে, সেও পড়তে থাকে। তখনও এত উঁচু যে পড়তে পড়তে ওর পাখা উঠে ও চোখ ফোটে। তখন সে দেখতে পায় যে, আমি মাটির উপর পড়ে যাব! মাটিতে পড়লেই মৃত্যু! মাটি দেখাও যা, অমনি মার দিকে চোঁচা দৌড়। একবারে উড়তে আরম্ভ করে দিল। যাতে মার কাছে পৌঁছতে পারে। এক লক্ষ্য মার কাছে যাওয়া।

    এ-সব ছোকরারা ঠিক সেইরকম। ছেলেবেলাই সংসার দেখে ভয় (Kathamrita)। এক চিন্তা—কিসে মার কাছে যাব, কিসে ঈশ্বরলাভ হয়।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 160: “ঠাণ্ডার গুণে যেমন সাগরের জল বরফ হয়ে ভাসে…বরফের চাঁই সাগরের জলে ভাসে”

    Ramakrishna 160: “ঠাণ্ডার গুণে যেমন সাগরের জল বরফ হয়ে ভাসে…বরফের চাঁই সাগরের জলে ভাসে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    গোস্বামী সঙ্গে সর্বধর্ম-সমন্বয়প্রসঙ্গে

    সাকার না নিরাকার 

    (গোস্বামীর প্রতি)—তা ঈশ্বর শুধু সাকার বললে কি হবে। তিনি শ্রীকৃষ্ণের (Ramakrishna) ন্যায় মানুষের মতো দেহধারণ করে আসেন, এও সত্য, নানারূপ ধরে ভক্তকে দেখা দেন, এও সত্য। আবার তিনি নিরাকার, অখণ্ড সচ্চিদানন্দ, এও সত্য। বেদে তাঁকে সাকার নিরাকার দুই বলেছে, সগুণও বলেছে, নির্গুণও বলেছে (Kathamrita)।

    কিরকম জান? সচ্চিদানন্দ যেন অনন্ত সাগর। ঠাণ্ডার গুণে যেমন সাগরের জল বরফ হয়ে ভাসে, নানা রূপ ধরে বরফের চাঁই সাগরের জলে ভাসে; তেমনি ভক্তিহিম লেগে সচ্চিদানন্দ-সাগরে সাকারমূর্তি দর্শন হয়। ভক্তের জন্য সাকার। আবার জ্ঞানসূর্য উঠলে বরফ গলে আগেকার যেমন জল, তেমনি জল। অধঃ ঊর্ধ্ব পরিপূর্ণ। জলে জল। তাই শ্রীমদ্ভাগবতে সব স্তব করেছে—ঠাকুর, তুমিই সাকার তুমিই নিরাকার; আমাদের সামনে তুমি মানুষ হয়ে বেড়াচ্ছ, কিন্তু বেদে তোমাকেই বাক্য-মনের অতীত বলেছে।

    তবে বলতে (Kathamrita) পার, কোন কোন ভক্তের পক্ষে তিনি নিত্য সাকার। এমন জায়গা আছে, যেখানে বরফ গলে না, স্ফটইকের আকার ধারণ করে।

    কেদার—আজ্ঞে, শ্রীমদ্ভাগবতে ব্যাস তিনটি দোষের জন্য ভগবানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এক জায়গায় বলেছেন, হে ভগবন্‌ (Ramakrishna) তুমি বাক্য মনের অতীত, কিন্তু আমি কেবল তোমার লীলা—তোমার সাকাররূপ—বর্ণনা করেছি, অতএব অপরাধ মার্জনা করবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—হাঁ, ঈশ্বর সাকার আবার নিরাকার, আবার সাকার-নিরাকারেরও পার। তাঁর ইতি করা যায় না।

    আরও পড়ুনঃ “ভক্তেরা দাঁড়াইয়া খোল-করতাল লইয়া কীর্তন করিতেছেন, ঠাকুরের দৃষ্টি স্থির”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Iran Israel Conflict: ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত চরমে! ভূ-গর্ভে কি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান?

    Iran Israel Conflict: ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত চরমে! ভূ-গর্ভে কি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হঠাৎ কেঁপে উঠল ইরান-ইজরায়েল (Iran Israel Conflict) ভূমিখণ্ড। তাহলে কি মাটির নীচেই গোপন পরমাণু পরীক্ষা (Weapon Test) করে ফেলল ইরান? উল্লেখ্য, এই বছরের ৫ অক্টোবর ইরান এবং ইহুদিদের ভূমিখণ্ডে বিরাট কম্পন অনুভূতি হতেই সামজিক মাধ্যমে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। ভূ-গর্ভে কি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল ইরান? এই প্রশ্নের উত্তর মনে হয় মিলল এবার। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে আচমকা হামাস আক্রমণ করলে পশ্চিম বিশ্বে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও ইহুদিদের দাবি, হামাস, হিজবুল্লার মতো জঙ্গি সংগঠনকে পরোক্ষ মদত দেয় ইরান।

    রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৫ (Iran Israel Conflict)

    একসঙ্গে একাধিক ইসলামি শক্তিপক্ষের বিরুদ্ধে একাই অস্তিত্বের লড়াই করছে ইহুদিরা (Iran Israel Conflict)। এবার তাদের আরও সঙ্কটে ফেলেতে শিয়া মুসলমান রাষ্ট্র ইরান পরমাণু অস্ত্রকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। এই বোমার আতঙ্কে কার্যত যুদ্ধের তীব্রতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার ৫ অক্টোবর স্থানীয় সময় রাত ১১ টা নাগাদ আচমকা কেঁপে ওঠে ইরানের সেমনান প্রদেশের আরাদান শহর। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪.৫। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ইজারায়েলের মাটিও কেঁপে উঠেছিল। তবে দুই কম্পন একই সময়ে হয়েছিল কিনা, তা এখন জানার বিষয়। তবে আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, মাটির ১০ কিমি গভীরে ছিল কম্পনের কেন্দ্রস্থল। মাত্র ১১০ কিমি দূরে ছিল ইরানের রাজধানী তেহরান। আবার এই কম্পন সম্পর্কে ইউরোপীয় ভুমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র ইএমএসসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১২ টা নাগাদ ইহুদি ভুখণ্ডে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। তবে কম্পনের মাত্রা ছিল খুব সামান্য। তাহলে কি আনবিক যুদ্ধ (Weapon Test) আসন্ন মধ্যপ্রাচ্যে?

    বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কড়া হুশিয়ারি

    আমেরিকা জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রের খুব কাছেই এই কম্পন হয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় নাকি পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ, এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে আনবিক হাতিয়ার তৈরি করছে ইরান। যেহেতু প্রতিরক্ষা গবেষণার কাছেই এই ঘটনা ঘটেছে, তাই ভূগর্ভের নীচে এই পরীক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বিষয়ক গবেষকরা। একই ভাবে এটা খুব চিন্তার বিষয়। অক্টোবরের প্রথমেই ইজরায়েলের (Iran Israel Conflict) উপর প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল ইরান। কিন্তু তার বেশিরভাগটাই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইজরায়েল। একই ভাবে এই আক্রমণের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইহুদিদের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে ইরান পারমানবিক অস্ত্রের ব্যবহার করলে ইজরায়েলও পাল্টা শক্তির ব্যবহারে পিছিয়ে থাকবে যে না, তা বলা বাহুল্য। ইতিমধ্যে হামাস, হিজবুল্লার কোমর ভেঙে দিয়েছে ইজরায়েল।

    আরও পড়ুনঃকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা, পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন

    নটাঞ্জ হল ইরানের বড় পরমাণু কেন্দ্র

    ইরানের সবচেয়ে বড় পরমাণু কেন্দ্র (Weapon Test) হল নটাঞ্জ। ইহুদিরা নানা সময় টার্গেটে রেখেছে। অপর দিকে আমেরিকাও বারবার বিরোধিতা করেছে ইরানের (Iran Israel Conflict)। এই দুই দেশের গুপ্তচরদের নজরকে উপেক্ষা করে মাটির তলায় নটাঞ্জ কেন্দ্র তৈরি করেছে ইরান, এমনটাই দাবি আমেরিকার। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন ছবি প্রকাশ্যে আসেনি। পাল্টা ইরানও কোন বক্তব্য জারি করেনি। কিন্তু ইরানের বেশ কিছু এলাকায় জমিতে ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এখনও কোনও দেশ আমেরিকার মতো পরমাণু বোমার হামলা চালায়নি । তবে এই শক্তির অধিকারী রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, ইজরায়েল। এখন ইরান-ইজরায়েল সংঘাত আগামী দিনে কোন পথে যায় তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • J.P. Nadda: “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থার পরিচয় হল এই জয়”, হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পর বললেন নাড্ডা

    J.P. Nadda: “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থার পরিচয় হল এই জয়”, হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পর বললেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রাজনৈতিক ঐতিহ্যের পরিবর্তন করেছেন।” হরিয়ানাতে তৃতীয় বার বিজেপির অভূতপূর্ব জয়ের পর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J.P. Nadda)। একই ভাবে জম্মু-কাশ্মীরে একক ভাবে বিরোধী দলের স্বীকৃতি পেয়ে বিরাট চমক দিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার, দিল্লিতে ভোটের ফলাফলে, নবরাত্রির শুভলগ্নের আনন্দঘন পরিবেশে অত্যন্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

    কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচারে কান দেয়নি  মানুষ (J.P. Nadda)

    ৯০ বিধানসভা আসনে বিজেপি পেয়েছে ৪৮টি আসন। এককভাবে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে রাজ্যে নয়া নজির গড়েছে বিজেপি। এই শুভক্ষণে দলের হয়ে নড্ডা (J.P. Nadda), পরিবর্তনের কাণ্ডারি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) কৃতিত্বের শিরোপা দিয়েছেন। এদিন সদর দফতরে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থার পরিচয় হল এই জয়। হরিয়ানাতে বিরাট জয় এসেছে এবং জম্মু-কাশ্মীরেও আমাদের ভোট বেড়েছে। কংগ্রেস সব সময় মিথ্যা প্রচার করেছে। জনগণ তাদের কোথায় কোনও কান দেয়নি। দেশের মতো হরিয়ানায়ও তৃতীয় বারের মতো সরকার গড়বে বিজেপি।”

    আরও পড়ুনঃ হরিয়ানায় খাতাই খুলতে পারল না ‘আপ’, হাজার বাধার মুখেও অপ্রতিরোধ্য বিজেপি

    কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্ত দল

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J.P. Nadda) কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, “কংগ্রেস এখন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অপরাধীদের দল হিসেবে বিরাট স্বীকৃতি লাভ করেছে। কংগ্রেস স্বজনপোষণ এবং জাতপাতের রাজনীতি করে। সমাজে কীভাবে বিভাজন বাড়বে এবং মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা তৈরি হবে, সেই চেষ্টাই করে থাকে।” একই ভাবে আম আদমি পার্টির তীব্র সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “আপ হরিয়ানায় কোনও আসন পায়নি। তাদের দুর্নীতির প্রতিফল হিসেবে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অপর দিকে আমাদের গত বারের তুলনায় ভোটের শতাংশ বেড়েছে।” নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বাকি ৯০ আসনের মধ্যে হরিয়ানাতে কংগ্রেস পেয়েছে ৩৭টি আসন, আইএনএলডি পেয়েছে ২টি আসন এবং নির্দলীয় ভাবে মোট ৩টি আসন পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share