Tag: news in bengali

news in bengali

  • Gandhi Jayanti 2024: পাঁচবার মনোনয়নেও পাননি শান্তিতে নোবেল, জানুন গান্ধীজির অজানা কথা

    Gandhi Jayanti 2024: পাঁচবার মনোনয়নেও পাননি শান্তিতে নোবেল, জানুন গান্ধীজির অজানা কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচবার মনোনয়নেও পাননি শান্তি নোবেল পুরস্কার (Nobel Peace Prize)। অথচ, তাঁর নামে বিশ্বজুড়ে রয়েছে ১০১টি রাস্তা। আবার তিনিই পেয়েছেন টাইম ম্যাগাজিনের ‘ম্যান অফ দ্য ইয়ার’ শিরোপা। তিনি আর কেউ নন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তাঁর অহিংসার আদর্শ এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে গান্ধীর জন্মদিন ২ অক্টোবরকে (Gandhi Jayanti 2024) আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আসুন জেনে নিই মহাত্মা গান্ধীর জীবনের নানা জানা-অজানা কাহিনি।

    আইনজীবী হিসেবে আন্দোলন শুরু (Gandhi Jayanti 2024)

    দক্ষিণ আফ্রিকার সামন্ততান্ত্রিক দাস প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন দিয়ে নিজের রাজনৈতিক সংঘর্ষময় জীবন শুরু করেছিলেন গান্ধীজি। আইনজীবী হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের হয়ে লড়াই করে ছিলেন। এরপর ভারতে এসে পরাধীন ব্রিটিশ ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে সরব হন। তবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে আন্দোলনের মূলমন্ত্র ছিল অহিংসা। তাঁর (Gandhi Jayanti 2024) আদর্শের কথা দেশ-বিদেশের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা হয়ে থাকে। গোটা বিশ্বকে আন্দোলন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ভাষা হিসেবে অহিংসা দ্বারা কীভাবে সাফল্য পেতে হয়, সেই ভাবনাকে ভারত থেকে বিশ্বের কাছে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিশ্ব তাঁর মতকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণও করেছে। কিন্তু তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার (Nobel Peace Prize) পাননি। তবে একবার-দুবার নয়, পরপর পাঁচ-পাঁচবার তাঁকে মনোনীত করা হলেও, শেষ পর্যন্ত এই সম্মান প্রাপকের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। অবশ্য এই গল্প অনেকের কাছেই অজানা।

    বিশ্বজুড়ে রয়েছে ১০১টি রাস্তা তাঁর নামে

    গুজরাটের পোরবন্দর এলাকায় ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী (Gandhi Jayanti 2024)। ভারত তথা বিশ্বের যে কোনও স্থানে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং মানবাধিকার হরণ হলে অহিংসার পথে আন্দোলনে নেমেছেন তিনি। নিপীড়িত, শোষিত মানুষের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সব সময় অধিকার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। ঔপনিবেশিক পরাধীন ভারতেকে মুক্ত করতে একাধিক স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বদেশী আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন, লবণ সত্তাগ্রহ আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন, অগাস্ট আন্দোলন সহ একাধিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ব্রিটিশ সরকার একাধিকবার তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করেছিল। এমনকী পূর্ণ স্বরাজের দাবিতে আমরণ অনশন পর্যন্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “চোখের বদলে চোখ নিলে গোটা বিশ্বটাই একদিন অন্ধ হয়ে যাবে।” তাঁর জন্মদিনকে স্মরণে রেখে ইউনাইটেড নেশনস আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। গান্ধীজির নামে বিশ্বজুড়ে রয়েছে ১০১টি রাস্তা। ভারতের বিভিন্ন অংশ জুড়ে ৫৩টি এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আরও ৪৮টি রাস্তা রয়েছে তাঁর নামে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘মহাত্মা’ উপাধি দিয়েছিলেন। তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন, ফোর্ড মোটরসের কর্ণধার হেনরি ফোর্ড।

    আরও পড়ুনঃ তাঁর আওয়াজই তাঁর পরিচয়! জন্মদিনে স্মরণ ‘নাইটিঙ্গল অফ ইন্ডিয়া’ লতাজিকে

    নানা মহলে সমালোচনা

    তবে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমন ইতিবাচক প্রভাব ছিল তাঁর, ঠিক তেমনিই দেশভাগে নেতিবাচক প্রভাবের কথাও সামালোচকরা করে থাকেন। যদিও দেশভাগের আগে নিজের শরীরকে দুই টুকরোর কথা বললেও শেষ পর্যন্ত নিজের ভাবনায় স্থির থাকতে পারেননি গান্ধী (Gandhi Jayanti 2024)। ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট পাকিস্তান এবং ভারত বিভাজন হয়। মুসলিম লিগের লাহোর প্রস্তাবের দ্বিজাতিতত্ত্বের ভাবনাকে শেষ পর্যন্ত পরোক্ষভাবে মান্যতা দিয়েছিলেন তিনি। সশস্ত্র বিপ্লবীদের সমর্থন করেননি। ব্রিটিশদের কাছে তাঁর আবেদনে অনেক বিপ্লবীদের ফাঁসির সাজা মুক্ত হয়ে যেতে পারত। কিন্তু সদর্থক ভূমিকা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে, দেশভাগের পর পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে পারেননি তিনি। নেহরুর থেকে বেশি ভোট পেয়েও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল কেন প্রধানমন্ত্রী হতে পারলেন না, এইসব প্রশ্ন তোলেন সমালোচকরা। অবশেষে ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীজিকে গুলি করে হত্যা করেন নাথুরাম গডসে। তবে বর্তমান সময়ে তাঁর অহিংসার আদর্শ একান্তভাবে প্রয়োজনীয়। তাই তাঁকে এখনও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, মমতাকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, মমতাকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে হচ্ছিল মশাল মিছিল। রবিবার মিছিল করছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যাদবপুরে একটি মিছিল থেকে হঠাৎই কেউ বা কারা স্লোগান দেয় ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ (Kashmir Mange Azadi Slogan)। ঘটনায় বাম-তৃণমূলকে আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত? (BJP)

    তিনি বলেন, “অতি বামেরা মূল আন্দোলনকে (আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন) হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছে। সেটা করা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনেই। কারণ তারা জানে, এই স্লোগানগুলো উঠলে সাধারণ মানুষ আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসবে।” তিনি বলেন, “কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ আজাদি চায় না। তারা ভারতবর্ষকে নিয়ে খুশি আছে। এরাই নির্বাচনের সময় ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান তুলেছিল। এরা সামনে বামপন্থী, পেছনে তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী-সমর্থক।”

    তোপ শুভেন্দুরও

    ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, “পুলিশ তো এ নিয়ে কিছুই করবে না। এরাই নির্বাচনের সময় ‘নো ভোট টু মোদি’ স্লোগান তোলে। এরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাষ করা। মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যে দেশবিরোধী-রাষ্ট্রদ্রোহীদের লালন-পালন করছেন। এই কাজের সঙ্গে তাঁর দলেরও একটা অংশ যুক্ত রয়েছে। এটা আসলে দেশের মধ্যে আর (Kashmir Mange Azadi Slogan) একটা দেশ তৈরির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে (BJP)।”

    ডাক্তাররা চুপ কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    বিজেপি (BJP) নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি প্রশ্ন তুলেছেন এই ইস্যুতে ডাক্তাররা চুপ কেন, তা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার প্রতিবাদের মিছিল থেকে আজাদি স্লোগান উঠলেও ডাক্তারবাবুরা কথা বলেন না কেন? তাঁরা বিভিন্ন সময় প্রেস কনফারেন্স করেন, মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করে তার ডিটেইল্স সবাইকে দেন। তাঁদের অরাজনৈতিক মিছিলে বামপন্থী এবং অতি বাম ছাড়া সবাই ব্রাত্য সেটাও তারা বুঝিয়ে দেন। ভালো কথা, কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকি দিয়ে যে স্লোগান (Kashmir Mange Azadi Slogan) ওঠে সেই স্লোগানের বিপক্ষে একটা কথাও জুনিয়র ডাক্তারদের বলতে শোনা গেল না কেন?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: মহালয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৭ জেলায়, মাসের প্রথম সপ্তাহে কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    Weather Update: মহালয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৭ জেলায়, মাসের প্রথম সপ্তাহে কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে বঙ্গপোসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের (Weather Update) কারণে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছিল গোটা রাজ্যে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা এই বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। একই ভাবে উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং তরাই অঞ্চলেও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। তবে নিম্নচাপের প্রভাব কেটে যাওয়ায় আপাতত স্বস্তি। একই ভাবে রাজ্যে দুর্গাপুজোর আগে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। মহালয়া (Mahalaya) থেকে তেমন কোনও পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত না থাকলেও  এদিনেই আবার উত্তরবঙ্গের ৩ জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঠিক এমনিই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    উত্তরের তিন জেলায় হলুদ সতর্কতা (Weather Update)

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি (Weather Update) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া সংক্রান্ত তেমন কোনও সতর্কতা জারি হয়নি। কিন্তু কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছিল। একই ভাবে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তিস্তার জলে বিপদ সংকেত বেড়েছে। কিন্তু বর্তমানে দুর্যোগ কেটে গিয়েছে। কিন্তু সোমবার থেকেই পাহাড়ের আকাশ ছিল ঝলমলে। কিন্তু তবুও বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রপাত সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিংম্পয়ে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। এই জেলাগুলিতে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। সেই সঙ্গে উত্তরের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।

    দক্ষিণের ৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা

    মঙ্গলবার দক্ষিণের চার জেলায় বৃষ্টিপাতের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলির মধ্যে হল উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলা। তবে আগামী রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বর্ষণের তেমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দেশ থেকে বর্ষা ইতিমধ্যে বিদাই নিতে শুরু করেছে। আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে বাতাসে অল্প অল্প করে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমতে শুরু করবে এবং সেই সঙ্গে এই মাসের শেষ থেকেই আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে শীতের আগমন ঘটবে।

    আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোতে গভীর রাতেও মিলবে মেট্রো, জানুন চতুর্থী থেকে একাদশীর সময়সূচি

    মহালয়ার দিনে কেমন তাপমাত্রা থাকবে?

    মঙ্গলবার ২ অক্টোবর হল মহালয়া (Mahalaya)। পিতৃপুরুষের উদ্দেশে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে স্মৃতি তর্পণ করা হবে। পিতৃপক্ষ থেকে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ থাকবে রোদ ঝলমলে (Weather Update)। কিন্তু আবার আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, দুএক জায়গায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩.৮ ডিগ্রি বেশি হবে। একই ভাবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৭ ডিগ্রি বেশি থাকবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: দুর্গাপুজোতে গভীর রাতেও মিলবে মেট্রো, জানুন চতুর্থী থেকে একাদশীর সময়সূচি

    Kolkata Metro: দুর্গাপুজোতে গভীর রাতেও মিলবে মেট্রো, জানুন চতুর্থী থেকে একাদশীর সময়সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন, এরপর বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গোৎসব। ইতিমধ্যে পুজোর প্রস্তুতি ঘিরে ব্যস্ততা তুঙ্গে। মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দর্শন করে আনন্দকে উপভোগ করা পুজোতে বাঙালির প্রধান আকর্ষণীয় দিক। কেনাকাটা থেকে ঠাকুর দেখা, সব মিলিয়ে যাতায়েত ব্যবস্থার দিকে নজর দিয়ে মেট্রো রেলের তরফ থেকে একাধিক ঘোষণা করা হয়েছে। পুজোকে কেন্দ্র করে চতুর্থী থেকে একাদশী পর্যন্ত চলবে মেট্রো (Kolkata Metro)। একই সঙ্গে পুজোর মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত চলবে ট্রেন। দর্শনার্থীদের জন্য সুখবর।

    সপ্তমী থেকে নবমী ২৪৮টি মেট্রো চলবে (Kolkata Metro)

    পুজোর সময় ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার দর্শনার্থীদের আর চিন্তা করতে হবে না। কলকাতা মেট্রো সপ্তমী থেকে নবমীর ভোর পর্যন্ত মিলবে মেট্রো ট্রেন। একই ভাবে ষষ্ঠী এবং দশমীতে পাওয়া যাবে মাঝরাত পর্যন্ত মেট্রো। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়, “চতুর্থী থেকেই মেট্রোর সূচিতে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এই সূচি পরিবর্তন চলবে ত্রয়োদশী পর্যন্ত। গভীর রাত পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়ার জন্য বাকি দিনের তুলনায় কিছুটা মেট্রো কম চলবে। চতুর্থী, পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীতে আপ এবং ডাউন মিলিয়ে চলবে ২৮৮টি ট্রেন। সপ্তমী থেকে নবমী ওই শাখায় চলবে ২৪৮টি ট্রেন। দশমীতে ১৭৪, একাদশীতে ১৩০টি করে পরিষেবা দেওয়া হবে। দ্বাদশী এবং ত্রয়োদশীতে আপ এবং ডাউন লাইন মিলিয়ে ট্রেন চলবে মোট ২৩৬টি।

    চতুর্থী-পঞ্চমীতে সময়সূচি

    চতুর্থী এবং পঞ্চমীতে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী ব্লু লাইনের প্রথম মেট্রো (Kolkata Metro) চলবে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে। দমদম থেকে একই সময়ে ছাড়া হবে ট্রেন। দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত প্রথম মেট্রো সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে চলা শুরু হবে। একইভাবে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৭টায়। দমদম এবং কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।

    ষষ্ঠীর দিনে সময়সূচি

    ষষ্ঠীতে শেষ মেট্রো (Kolkata Metro) চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১১ টা ৪৮ মিনিটে। একই ভাবে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে ১১ টা ৫০ মিনিটে। আবার দমদম থেকে কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১২টায়।

    সপ্তমী-নবমী পর্যন্ত সূচি

    সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত দুপুর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত চলবে ট্রেন (Kolkata Metro)। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাওয়ার প্রথম মেট্রো শুরু হবে দুপুর ১টায়। স্পেশ্যাল মেট্রো চালানো হবে এই সময়ে। দমদম-কবি সুভাষ এবং কবি সুভাষ-দমদম পর্যন্ত শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে ভোর ৪টেয়। দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার শেষ মেট্রো কবি সুভাষ মিলবে ভোর ৩টে ৪৮ মিনিটে।

    দশমীতে স্পেশ্যাল ট্রেন

    দশমীতে চলবে একই ভাবে চলবে স্পেশ্যাল ট্রেন (Kolkata Metro)। প্রথম মেট্রো দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী চলবে দুপুর ১ টায়। শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১২টায়। একাদশীতে সকাল ৯ টা থেকে প্রথম পরিষেবা পাওয়া যাবে কবি সুভাষ এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে। শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। দ্বাদশী এবং ত্রয়োদশীতে প্রথম মেট্রো সকাল ৬টা ৫০ মিনিট এবং শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।

    গ্রিন, পার্পল এবং ওরেঞ্জ লাইনের সূচি

    ব্লু লাইনের পাশাপাশি গ্রিন (১ এবং ২), পার্পল এবং ওরেঞ্জ লাইনের সূচিও জানিয়েছে মেট্রো রেল। ১ নম্বর গ্রিন লাইন শিয়ালদা থেকে সেক্টর ৫ শাখায় চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী প্রথম মেট্রো (Kolkata Metro) পাওয়া যাবে ৬টা ৫৫ মিনিটে। সেক্টর ৫ থেকে শিয়ালদাগামী মেট্রো চলবে ৭টা ০৫ মিনিটে। শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ৯টা ৩৫ মিনিট এবং রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। সপ্তমী থেকে দশমী ওই লাইনে প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে দুপুর ১টা থেকে। শেষ মেট্রো রাত সাড়ে ১১টা। দশমীতে প্রথম মেট্রো দুপুর ২টো থেকে চলবে এবং শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে।

    আরও পড়ুনঃমাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    এসপ্ল্যানেড-হাওড়া সময়সূচি

    একইভাবে এসপ্ল্যানেড এবং হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রোর (Kolkata Metro) ২ নম্বর গ্রিন লাইনের সূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই রুটে চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত ওই শাখায় প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে। শেষ মেট্রো চলবে রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা পাওয়া যাবে বেলা ১টায় এবং শেষ মেট্রো মিলবে রাত ১টা ৪৫ মিনিটে। দশমীর দিনে মেট্রো মিলবে দুপুর ২ টোর সময় এবং শেষ মেট্রো চলবে রাত ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। একই ভাবে জোকা-মাঝেরহাট পার্পল লাইনে চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত মেট্রো চলবে। চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী জোকা-মাঝেরহাট লাইনে প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং শেষ মেট্রো দুপুর সাড়ে ৩টে পর্যন্ত।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মঙ্গলেই মিছিল ডাক্তারদের, রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মঙ্গলেই মিছিল ডাক্তারদের, রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের। আবারও কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ভর্ৎসিত হল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। সোমবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ রাজ্যকে বলেন, “এক কাজ করুন। গোটা শহরে আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করুন।” পরে অবশ্য তিনি শর্তসাপেক্ষে মিছিলের (Doctors Rally) অনুমতি দিয়েছেন। আদালতের শর্ত হল, নির্দিষ্ট রুটেই মিছিল হবে। নামাতে হবে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকও।

    রাজ্যকে ভর্ৎসনা আদালতের

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে ১ অক্টোবর বিকেল ৫টায় কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন। পুলিশের অনুমতি না মেলায় উদ্যোক্তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানেই মেলে মিছিলের অনুমতি। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, “এক কাজ করুন। গোটা শহরে আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করুন। তাহলে কোনও আন্দোলন, মিটিং-মিছিল হবে না। দুর্গাপুজো হবে না। অথচ এই শহরে আমি ৪০-৫০ বছরের কাটানো জীবনে দেখেছি, মিটিং-মিছিল হয়। পুলিশ তা নিজের মতো করে সামালও দেয়।”

    মিছিলের অনুমতি দিল আদালত

    তিনি বলেন (Calcutta High Court), “কোনও মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে মিছিলে হাঁটলে তাঁকে কে নিষেধ করবে? পুলিশ নাকি ডাক্তাররা? নাকি বাইরের লোক ঢুকেছে দেখে ডাক্তাররা মিছিল বন্ধ করে দেবেন? বাস্তবটা দেখার চেষ্টা করুন।” বিচারপতি বলেন, “শহরের মানুষ যদি পথে নেমে আসে, তখন কি পুলিশ বলতে পারে রাস্তায় যানজট হয়ে গিয়েছে, আপনারা বন্ধ করুন?” তিনি মনে করিয়ে দেন, “সুরক্ষা দেওয়া পুলিশের কাজ।” এর পরেই শর্তসাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: মামলার পথে ইডি! কেজরি, সোরেনের পর এবার কি সিদ্দারামাইয়ার জেলে যাওয়ার পালা?

    জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১ অক্টোবর মিছিল হবে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত। পথে নামবে ৫৫টি সংগঠন। চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এই মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। পুলিশের অনুমতি না মেলায় সৃষ্টি হয়েছিল জটিলতা। আদালতের হস্তক্ষেপে (Doctors Rally) শেষমেশ কাটে জট (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বঙ্কিমচন্দ্রের দৃষ্টিতে দেবী দুর্গা হলেন স্বদেশমাতা বঙ্গভূমি জননীভূমি

    Durga Puja 2024: বঙ্কিমচন্দ্রের দৃষ্টিতে দেবী দুর্গা হলেন স্বদেশমাতা বঙ্গভূমি জননীভূমি

    ড. সুমন চন্দ্র দাস

    বঙ্গদেশে দুর্গোৎসব (Durga Puja 2024) মাতৃ আরাধনা হল দেশমাতৃকার পুজো। এই দুর্গাদেবী দেশমাতৃকা হলেন বাঙালি সন্তানের প্রসূতি মাতা বঙ্গভূমি বঙ্গপ্রতিমা। এই স্বদেশ দুর্গাদেবী মাতৃকা শুধু বঙ্গদেশের মাতৃভূমি নন, সমগ্র ভারতবর্ষের মাতৃসাধনার প্রকৃত আরাধ্য দেবী এবং শক্তির প্রকাশ। তাই তো বঙ্গভূমি তথা ভারতবর্ষ শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড নয়, এটি ভারতীয় জাতি সম্প্রদায়ের মাতৃভূমি (Bangabhumi Jananibhumi)। দেবীদুর্গা হলেন স্বদেশমাতা তথা ভারতমাতা। ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্রের কাছে দেবী দুর্গার স্বরূপ কেমন ছিল? এই বিষয়ে আলোচ্য প্রবন্ধে মতামত তুলে ধরার চেষ্টা করব। পরাধীন ভারতে দুর্গোৎসবের স্বরূপ কেমন ছিল, তাই এখানে আলোচ্য বিষয়।

    সন্তানপালিনি, দুর্গতি নাশিনি দুর্গা(Durga Puja 2024)

    বঙ্কিমচন্দ্র ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ প্রবন্ধ সংকলনে ‘আমার দুর্গোৎসব’ (Durga Puja 2024) নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। এই প্রবন্ধে কমলাকান্ত আফিম খেয়ে নেশা করে প্রলাপ করলেও মূলত বঙ্গভূমির স্বরূপকে আরাধ্য মৃন্ময়ী দুর্গার চিন্ময়ী বঙ্গজগদ্ধাত্রীকেই সন্ধান করেছেন। কার্যত কমলাকান্ত ভট্টাচার্য আফিম খেলেও সপ্তমীর শারদীয়ায় স্বদেশ মাতৃকার বন্দনাকে পরাধীন ভারতবর্ষের সম্মুখে দ্বেষকদলিনী, সন্তানপালিনি, দুর্গতি নাশিনী, পাপতাপভয়শোকনাশিনী মাতৃশক্তিকে অত্যন্ত ভক্তি দিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ঋষি বঙ্কিমের এই স্বদেশ বঙ্গভূমিতে বঙ্গপ্রতিমার রূপকে শুধু তাঁর সময়ে সীমাবদ্ধ রাখেননি, স্বাধীনতা উত্তর ভারতবর্ষ তথা একবিংশ শতকের ভারতবর্ষের জন্য এখনও কীভাবে প্রাসঙ্গিক, সেই কথাই তুলে ধরেছেন।

    সাম্রাজ্যের আগ্রাসনে নিমজ্জিত মৃন্ময়ী

    বঙ্গে ধর্ম দর্শন সংস্কৃতি প্রবাহের মধ্যে শাক্ত মত একটি অতি প্রাচীন ধর্মপন্থা। কমলাকান্ত সপ্তমী পুজোর (Durga Puja 2024) দিন প্রতিমা কেন দেখতে গেলেন, এই কথা বলে বঙ্গভূমির বঙ্গপ্রতিমার স্বরূপ আত্মচৈতন্যকে মন্থন করেছেন। মাকে অন্বেষণ করতে গিয়ে বঙ্গভূমিতে নিজের অস্তিত্ব স্বরূপ বলেন, “কালের স্রোতে দিগন্ত ব্যাপিয়া প্রবলবেগে ছুটিতেছে-আমি ভেলায় চড়িয়া ভাসিয়া যাইতেছি।” এই কালস্রোত হল অনন্ত অকূল অন্ধকার এবং কালসমুদ্রে নিতান্ত একা মাতৃহীন কমলাকান্ত, বঙ্গজননীকে আত্মানুসন্ধান করতে এসেছেন। কিন্তু এই মা কমলাকান্তের কাছে, “আমার জননী জন্মভূমি-এই মৃন্ময়ী মৃত্তিকারূপিনী-অনন্তর-ভূষিতা-এক্ষণে কালগর্ভে নিহিতা।” পরাধীন বঙ্গদেশের বঙ্গপ্রতিমাকে শুধু রাজনৈতিক ভাবে ব্রিটিশ পরাধীনতাকে বিশ্লেষণ করতে অন্ধকার সমুদ্রের কালস্রোতে নিহিত থাকা জননী বঙ্গভূমির কথা বলেননি, বঙ্গভূমিতে বিদেশী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক-ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যের আগ্রাসনে নিমজ্জিত মৃন্ময়ী মৃত্তিকারূপিনী অনন্তরত্নে ভূষিতা প্রতিমাকে স্মরণ করেছেন। কমলাকান্ত সেই বঙ্গদেশের বঙ্গ জননীকে চিনতে চাইছেন, যে মা বিদেশী ধর্ম-সংস্কৃতির রাজনৈতিক শাসনের কবলে বঙ্গদেশরই কালগর্ভে অন্তর্লীন হয়ে আছেন। অন্তর্লীন মা শক্তিকে জাগ্রত করে কালগর্ভ থেকে তুলে এনে বঙ্গজননীকে (Bangabhumi Jananibhumi) প্রতিষ্ঠা করাই হল তাঁর আসল উদ্দেশ্য।

    সুবর্ণময়ী বঙ্গপ্রতিমা

    দুর্গোৎসবের (Durga Puja 2024) এই মা হলেন দশভূজা, তাঁর পদতলে শত্রু নিস্পিড়ীনে নিযুক্ত। এই মূর্তি নানা প্রহরণপ্রহারিণী শত্রু মদ্দিনী, বীরেন্দ্রপৃষ্ঠবিহারিনী, দক্ষিণে লক্ষ্মী বামে বিদ্যাজ্ঞানমূর্তিময়ী সঙ্গে বলরূপী কার্তিক এবং কার্যসিদ্ধিরূপী গনেশ উপস্থিত। এই দেবীর স্বরূপ হল, সুবর্ণময়ী বঙ্গপ্রতিমা। উল্লেখ্য এই বঙ্গপ্রতিমার স্বরূপ হল মৃন্ময়ী মৃত্তিকারূপিনী দেবী দুর্গা মা। এই শক্তি রূপী সর্ব মঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে হলেন সপ্তমী পুজোর দুর্গা এবং একই সঙ্গে বঙ্গদেশের জননী জন্মভূমি। তাই বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর সমকালে বাঙালি দুর্গোৎসবের দুর্গা মায়ের স্বরূপের স্পষ্ট রূপটিকে ভারতীয়দের মননের অনন্তজলমগ্ন থেকে বিশ্ব-বিমোহিনী মূর্তি জগতের সামনে প্রকাশ করেছেন। দেবী দুর্গার এই হল যথার্থ রূপ। দুর্গোৎসবের দুর্গা মা হলেন বঙ্গ জননীকে স্বদেশ মাতৃকা। বঙ্কিমচন্দ্রের কমলাকান্ত মায়ের দেখা এই রূপ এখনকার পশ্চিমবঙ্গের জন্য ভীষণ ভাবে প্রাসঙ্গিক। বঙ্গদেশের ছয় কোটি বঙ্গ সন্তানের দ্বাদশ কোটি জোড় হাতে নবরাগঙ্গিনি নববল ধারিনি নবদর্পে দর্পিণি নব স্বপ্নদর্শিনি মাকে গৃহে ডাকছেন। এই মা হলেন স্বদেশ চেতনার বিশেষ চৈতন্য।

    মায়ের প্রকাশই বঙ্গভূমি

    এই মাকে বঙ্গদেশের সন্তানরা মা প্রসূতি রূপে ডাকবেন এবং ধাত্রি ধরিত্রি ধনধান্য দায়িকেও ডাকবেন। এই দেবী সিন্ধু পূজিত সিন্ধু-মথনকারিনি, শত্রু বধে দশভূজে দশ প্রহরণ-ধারণি এবং অনন্ত শ্রী কালস্থায়িনি। আবার মাকে বলেছেন, তুমি অনন্ত শক্তি প্রদায়িনি মাতা শক্তি দাও তোমার সন্তানদের। এই শক্তি আরাধনা ও আত্মানুসন্ধান শুধু পরাধীন ভারতবর্ষের চিন্তা চৈতন্যের কালসীমার মধ্যে আবদ্ধ নয়, পাঁচশ বছরের মুসলমান শাসন, দুইশ বছরের ইংরেজ শাসন, চৌত্রিশ বছরের বামপন্থী শাসন এবং তের বছরের তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনের পরও পশ্চিমবঙ্গে প্রাসঙ্গিক। বঙ্গভূমি বঙ্গপ্রতিমা জননীকে উত্থান করতে হবে। বাংলাদেশে উগ্র মুসলমান ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে দুর্গাপুজো প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। তাই বঙ্কিমের বঙ্গের স্বরূপ কতটা সুরক্ষিত সেটাও প্রাসঙ্গিক।  

    না হয় ডুবিব মাতৃহীনের জীবনে কাজ কি?

    সাংস্কৃতিক সামাজিক ধর্মীয় রাজনৈতিক পরাধীনতা থেকে বঙ্গভূমির বঙ্গপ্রতিমাকে মুক্ত করতে তাই দেবী দুর্গার শক্তি সাধনা হল স্বদেশ বঙ্গভূমি দেশমাতৃকার সাধনা। এই সপ্তমীতে শারদীয়া দেবী শক্তির আরাধনা হল স্বদেশ বঙ্গভূমির বঙ্গপ্রতিমার সাধনা। এই সাধনাই যথার্থ সাধনা। তাই বলেছেন “না হয় ডুবিব মাতৃহীনের জীবনে কাজ কি? আইস, প্রতিমা তুলিয়া আনি..।” এই উক্তি নিছক শুধুমাত্র মাতৃ আরাধনার শক্তি নয়, এটি হল এক রাষ্ট্র ভাবনার স্বদেশ মাতার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভাবনা। মাতৃভূমির স্বাধীনতা জাতীয়তাববোধ সার্বভৌমত্ব আত্ম অভিমান এবং স্বদেশ গৌরবের প্রতীক স্বরূপ বঙ্গদেশ তথা অখন্ড ভারত রাষ্ট্রের কল্পনা এই দুর্গোৎসবের দেবী আরাধনায় লুকিয়ে আছে। এই দেবী দুর্গার মাতৃসাধনা (Durga Puja 2024) পরবর্তী কালে দেশমাতৃকার বন্দনা স্বরূপ সারা ভারতবর্ষে বন্দেমাতরম্ ধ্বনিতে মুখরিত হয়। আজকের পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের জাতীয়তাবাদী ঐক্যের মূলমন্ত্র দেবী দুর্গার বন্দনা।

    স্বধর্মকে বঙ্গদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে

    বঙ্কিমচন্দ্রের সময়কার শুধু পরাধীন ভারতবর্ষেই নয়, স্বাধীনতা উত্তর পচাত্তর বছর পরেও জাতীয়তাবাদী দেশমাতৃকার আরাধনা-বন্দনা এখনও প্রাসঙ্গিক। বঙ্গদেশ অর্থাৎ বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে দেশমাতৃকার আরাধনায় দশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী (Durga Puja 2024) শক্তিকে করা দরকার। তাই বঙ্কিমের লেখা আজও প্রাসঙ্গিক। সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ কমিউনিস্ট রাজনীতি এই দেবী দুর্গার শক্তি সাধনার রূপকে বিকৃত করেছে। হিন্দু পূজাচারকে ‘শুভ শারদীয়া’ নামকরণ করেছে। স্বদেশমাতা বঙ্গভূমির বঙ্গপ্রতিমাকে জননী না বলার অপচেষ্টা বঙ্গভূমি তথা ভারতভূমির জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই বিষয় আজ থেকে ১৮০ বছর আগেই বঙ্কিমচন্দ্র স্বয়ং বুঝতে পেরেছিলেন। তাই বঙ্গের বাঙালি সমাজকে দেবী শক্তির উপাসনা ও বঙ্গজননীর সাধনাই একমাত্র সঠিক পথ। তাই এই বঙ্গভূমির সংস্কৃতি ধর্ম ও দর্শনকে কালের সমুদ্রে ডুবে থাকা পাঁক থেকে উদ্ধার করতে বঙ্কিমচন্দ্রের ভাবনায় উজ্জীবিত হতে হবে। দেবী দুর্গার চিন্ময়ীরূপকে বঙ্গভূমির স্বদেশ জননীর বন্দনার দ্বারাই পূর্ণতা আসবে। বাঙালি সমাজ সংস্কৃতি ও স্বধর্মকে বঙ্গদেশে (Bangabhumi Jananibhumi) পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আর এই বঙ্গদেশর বঙ্গভূমিতে বঙ্গপ্রতিমা হল স্বদেশ ভারত মাতা। দেবী দুর্গার আহ্বানে সকল অশুভ শক্তির পরাজয় ঘটুক শুভ শক্তির উদয় ঘটুক। 

    বন্দে মাতরম্‌

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিসিটিভি বসানোর কাজে কতদূর এগিয়েছে রাজ্য। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এই তথ্যই জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এদিন আরজি করকাণ্ড (RG Kar case) মামলার শুনানি হচ্ছিল শীর্ষ আদালতে। সেখানেই সিসিটিভি ইনস্টলেশনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

    রাজ্যের জবাব (Supreme Court)

    শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, যা প্রস্তাব ছিল, তার ২৬ পারসেন্ট সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। ১০ অক্টোবরের মধ্যে বাকিটা লাগানো হবে। রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্যই যে কাজে কিছুটা দেরি হচ্ছে, এদিন তাও জানান রাজ্যের আইনজীবী। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশ ছিল, রাজ্য সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী টেন্ডার বেরনোর ১৪দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।

    কাজ শেষের আশ্বাস

    এদিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ২৮টি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো ও শৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ হয়ে যাবে। প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) নির্দেশ, রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার জন্য কাজ শেষ করতে সময় লাগছে।” তিনি আরও বলেন, “৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফেলব।” রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, আরজি কর হাসপাতালের ডিউটি রুমের টেন্ডার হওয়ার পরেও কাজ আটকে রয়েছে। সিবিআই ছাড়পত্র দিলেই কাজ শুরু করা যাবে। সিবিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ঘটনার পরে পাঁচ দিন কাজ হয়েছে। তাই এখন আর তাদের কোনও আপত্তি নেই।

    আরও পড়ুন: মামলার পথে ইডি! কেজরি, সোরেনের পর এবার কি সিদ্দারামাইয়ার জেলে যাওয়ার পালা?

    এদিকে, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে দিন দুই আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে ওই হাসপাতালের কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরেই (RG Kar case) সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত হয় (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shashanka: বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম হিন্দু রাজা শশাঙ্ক, তাঁর রাজ্যাভিষেক থেকেই বাংলা সাল গণনা শুরু

    Shashanka: বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম হিন্দু রাজা শশাঙ্ক, তাঁর রাজ্যাভিষেক থেকেই বাংলা সাল গণনা শুরু

    বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম হিন্দু রাজা শশাঙ্ক

    ড. সুমনচন্দ্র দাস

    বৃহৎ বঙ্গদেশের প্রথম সার্বভৌম বাঙালি রাজা হলেন শশাঙ্ক (Shashanka)। তবে তাঁর সম্পর্কে ঐতিহাসিকরা স্বল্পবিস্তর তথ্য সন্ধান করতে পেরেছিলেন। প্রাচীন রোহিতাশ্বরের গিরিগাত্রে ‘শ্রীমহাসামন্ত শশাঙ্ক’ এই নাম খোদাই করা আছে। তিনি ছিলেন শৈবভক্ত হিন্দু রাজা এবং গৌড়ের নরপতি (Hindu king of Bengal)। এই তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকেই বঙ্গের প্রথম মহাসামন্ত হিসেবে উল্লেখ করা যায়। তাঁর সময়কাল আনুমানিক মনে করা হয় খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতকের শেষ। তাঁর রাজ্যাভিষেকের দিন থেকেই হিন্দুশাস্ত্র মতে সৌর মাসের শকাব্দ গণনা শুরু হয়। পরবর্তীতে বাংলা সনের বঙ্গাব্দ ক্যালেন্ডার ও গণনার কালানুক্রম ধরা হয়। কিন্তু তাঁকে বীর বাঙালি রাজা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় উপেক্ষা করা হয়েছে।

    উত্তরে কামরূপ থেকে দক্ষিণে উৎকল পর্যন্ত সাম্রাজ্য (Shashanka)

    খুব স্পষ্ট করে বলা যায়, অনুমানিক ৬০৬ খ্রিষ্টাব্দে নিজের স্বাধীন সাম্রাজ্যের অধিপতি হন এই হিন্দু রাজা। তাঁর রাজধানী ছিল বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার কর্ণসুবর্ণ নামক জায়গায়। এই জায়গাটি এখনও প্রাচীন সাম্রাজ্যের ইতিহাস বহন করে চলেছে। রাজ্য বিস্তারে তিনিও বিরাট কীর্তিমান ছিলেন। তাঁর রাজ্য দক্ষিণে বর্তমান মেদিনীপুর জেলার দন্ডভুক্তি, উৎকল, গঞ্জাম, কোঙ্গোদ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। আবার পশ্চিমে বারাণসী পর্যন্ত আধিপত্য ছিল। একাধিক তাম্র শাসন থেকে জানা যায়, উত্তরের কামরূপ রাজ্যের সুস্থিত বর্মণের মৃত্যুর পর তাঁর দুই পুত্র সুপ্রতিষ্ঠিত বর্মণ এবং ভাস্কর বর্মণ গৌড়ের সৈন্যদের হাতে বন্দি হয়েছিলেন। কিন্তু কিছু দিন পরেই আবার তাঁদের মুক্ত করে দেন এই গৌড়ের রাজা। তবে এই সম্পর্কে ইতিহাসকারেরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেননি। কিন্তু অনুমানকে আশ্রয় করা হলেও মহাসেনগুপ্তের সামন্ত হিসেবে যে শশাঙ্কের (Shashanka) কথা পাওয়া যায়, তাতে তিনিই প্রথম বাঙালি রাজা ছিলেন। তিনি উত্তর থেকে দক্ষিণে এত বড় সাম্রাজ্যের অধিপতি ছিলেন। আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প মতে, মাত্র ১৭ বছর রাজত্ব করেছিলেন তিনি। এই তথ্য ঠিক নয়, কারণ হিউ-এন-সাং ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দের আগেই মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। কিন্তু শশাঙ্কের প্রচলিত তাম্রশাসন যে পাওয়া গিয়েছিল, তাতে ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। ফলে তাঁর জীবনকাল নিয়ে ঠিক করে আরও গবেষণা প্রয়োজন। 

    ইতিহাসে মিথ্যা কথন

    আর্যাবর্তে বাঙালির সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রথম নায়ক রাজা শশাঙ্ক (Shashanka)। রাজা শশাঙ্ক সম্পর্কে হিউ-এন-সাং বর্ণিত তথ্যে রয়েছে, তিনি কুশিনগর বৌদ্ধ বিহার থেকে বৌদ্ধদের বিতাড়িত করেন, পাটলিপুত্রের বুদ্ধের পদচিহ্ন অঙ্কিত প্রস্তরখণ্ড জলে ফলে দেন এবং গয়ার বোধিবৃক্ষ ছেদন করে আগুন দেন। এমনকী বলা হয়, বুদ্ধদেবের মূর্তি ভাঙার সময় শরীরে ক্ষত হলে পরবর্তী কালে মারা যান সেই রোগেই। এখন প্রশ্ন হল, এই শৈব রাজা যদি সম্পূর্ণভাবে এতটাই বৌদ্ধ বিদ্বেষী হতেন, তাহলে নিজের কর্ণসুবর্ণ রাজধানীর কাছে বিরাট রত্নমৃত্তিকা বৌদ্ধ মহাবিহার কেন অক্ষত ছিল? সেই সঙ্গে আরও ১০টি মহাবিহারের কীভাবে অস্তিত্ব ছিল? অপর দিকে বাণভট্ট নিজের কাব্যে এই শৈব রাজাকে একাধিকবার গৌড়াধম, গৌড়ভূজঙ্গ বিশেষণে মন্তব্য করেছেন। তাই রাজ্যবর্ধনের হত্যা প্রসঙ্গে যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি ইতিহাসের পাতায়। শশাঙ্ক (Hindu king of Bengal) সম্পর্কে আরও নিবিড় পাঠের প্রয়োজন।

    ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মত

    বানভট্ট ‘হর্ষচরিত’-এ এবং চৈনিক পর্যটক হিউ-এন-সাং রাজা শশাঙ্কের (Hindu king of Bengal) সম্পর্কে যেসব কথার উল্লেখ করেছেন, তাতে তাঁর সম্পর্কে কলঙ্ক লেপন হয়েছে মাত্র। তাই ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার, “বাংলাদেশের ইতিহাস”-বইতে বলেছেন, “বাণভট্টের মত চরিত লেখক অথবা হিউ-এন-সাংয়ের মতো সুহৃদ লেখক থাকলে হর্ষবর্ধনের মতো তাঁহার খ্যাতিও চতুর্দিকে বিস্তৃত হতো। কিন্তু অদৃষ্টের নিদারুণ বিড়ম্বনা তিনি স্বদেশে অখ্যাত ও অজ্ঞাত এবং শত্রুর কলঙ্ক-কালিমাই তাঁহাকে জগতে পরিচিত করিয়াছে।”

    তাম্রশাসনের শিলালিপি

    রাজা শশাঙ্কের (Shashanka) জারি করা তিনটি তাম্রলিপি পাওয়া গিয়েছে। মেদিনীপুর থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল এই উপাদনগুলি। এগরা এবং খড়গপুরের কাছে এই তাম্রশাসন পাওয়া গিয়েছিল। একই ভাবে বর্তমান মেদিনীপুরে অবস্থিত শরশঙ্কা নামে একটি বিশাল দিঘি আবিস্কার হয়েছে। মূলত জলের সঙ্কট দূর করতে প্রজাদের কল্যাণের জন্য এই জলাধার তৈরি করেছলেন রাজা শশাঙ্ক। মোট জমির মাপ ছিল ১৪০ একরের বেশি। এর মধ্যেই হিন্দু বাস্তুশাস্ত্র, কারিগরি বিদ্যা, স্থাপত্য এবং নান্দনিকতার স্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিখ্যাত ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় শশাঙ্ককে নিয়ে একটি  ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনাও করেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ১৯১৪ সালে। আদতে বাঙালির রাজা কতটা সুশাসক ছিলেন, সেই দিকেই আলোকপাত করেছেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Police Mass Transfer: ভোটপর্বে বদলিদের ফেরানো হয়নি এখনও! ‘পুলিশি আন্দোলন’-এর উত্তাপ ভবানী ভবনে

    Police Mass Transfer: ভোটপর্বে বদলিদের ফেরানো হয়নি এখনও! ‘পুলিশি আন্দোলন’-এর উত্তাপ ভবানী ভবনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে মাস পাঁচেক আগে (Police Mass Transfer)। ভোটের আগে বদলি করা হয়েছিল প্রায় ৯০০ সাব ইনস্পেক্টরকে (এসআই)। ভোটপর্ব চুকে গেলেও, এখনও তাঁদের ফেরানো হয়নি। তা নিয়ে দিন দশেক আগে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন (Mamata Government) বদলি হওয়া পুলিশ কর্মীদের পরিবার-পরিজনরা। ওয়েলফেয়ারের নামে তৃণমূলের দাদাগিরি নিয়েও সরব হয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশ কর্মীদের পরিবারের ক্ষোভের আগুনে জল ঢালতে উদ্যোগী হল ভবানী ভবন। জানা গিয়েছে, বদলি হওয়া সাব ইনস্পেক্টরদের বোঝাতে সোমবার বিকেল ৪টায় ভবানী ভবনের কর্তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলবেন ওই সাব ইনস্পেক্টরদের সঙ্গে। পুলিশে নির্দেশ বা আলোচনা হয় ইউনিট হেডের মাধ্যমে। পুলিশি আন্দোলনের ঝাঁঝ যাতে আরও না বাড়ে, তাই তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন পুলিশের বড়কর্তারা।

    পাশে থাকার আশ্বাস বিজেপির (Police Mass Transfer)

    আন্দোলনকারী পুলিশ কর্মীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শৃঙ্খলা বজায় রেখে ওয়েলফেয়ারের থ্রেট কালচার ও চটিচাটা পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে সরব থাকতেই হবে। প্রয়োজনে বিজেপির তরফে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।” বদলি হওয়া সাব ইনস্পেক্টরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মানুষ জেগেছে। আপনাদের বাড়ির মেয়েটিও জেগেছে। এবার আপনাদের জাগতে হবে। স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের দিয়ে অনৈতিক কিছু করানো যাবে না।”

    ল্যাজেগোবরে দশা মমতার

    আরজি করের ঘটনায় চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজের (Police Mass Transfer) আন্দোলনের জেরে ল্যাজেগোবরে দশা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। এহেন আবহে পুলিশ কর্মীদের নিজের জেলায় ফেরানোর দাবিতে তাঁদের পরিবার-পরিজনদের বিক্ষোভে সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্য সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ভবানী ভবনের কর্তাদের দিয়ে বদলি হওয়া পুলিশ কর্মীদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে তৃণমূল সরকার। তবে এভাবে সমস্যার সমাধান হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের অন্দরেই।

    আরও পড়ুন: “সুসম্পর্ক রাখলে আইএমএফের চেয়েও বেশি সাহায্য পেত পাকিস্তান”, বললেন রাজনাথ

    প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে যাঁদের বদলি করা হয়েছিল, তাঁদের নিজের জেলায় ফেরানোর দাবিতে দিন দশেক আগে ডিজির দেখা করার দাবি জানান তাঁদের পরিবারের লোকজন (Mamata Government)। ঘটনার জেরে ব্যাপক হইচই হয় (Police Mass Transfer)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel attack: হিজবুল্লার পর ইজরায়েলের নিশানায় ইয়েমেনি হুথি, বিমান হামলায় তছনছ জঙ্গি-ঘাঁটি!

    Israel attack: হিজবুল্লার পর ইজরায়েলের নিশানায় ইয়েমেনি হুথি, বিমান হামলায় তছনছ জঙ্গি-ঘাঁটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেবানানে জঙ্গি নিধনের পর রণংদেহি মুডে ইজরায়েল (Israel attack)। হিজবুল্লার প্রধান নেতা নাসারুল্লা সহ আরও ২০ জন শীর্ষ কমান্ডারকে খতম করার পর, এবার ইজরায়েলি সেনার নিশানায় ইয়েমেনের হুথি (Yemen Houthi) জঙ্গিরা। প্রায় ১৮০০ কিমি দূরত্ব পার করে হামলা চালিয়েছে ইহুদি যুদ্ধবিমান। সমুদ্র বন্দর এবং হুথিদের গোপন আস্তানা তছনছ হয়ে গিয়েছে। ইয়েমেনে ইজরায়েলি যুদ্ধ বিমানের হামলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে পশ্চিমের দুনিয়ায়।

    শত্রুদের উপর হামলা লাগাতার চলবে (Israel attack)

    হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসারুল্লা হত্যার দুই দিন পর, ইজরায়েলের (Israel attack) সামরিক বাহিনী রবিবার ঘোষণা করেছে, যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ইয়েমেনে (Yemen’s Houthis) বেশ কয়েকটি হুথি জঙ্গির গোপন আস্তানায় হামলা করা হয়েছে। ইয়েমেনের রাস ইসা এবং হুদাইদাহ অঞ্চলে এই হামলা হয়েছে। ইহুদি সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়, সাম্প্রতি হুথিরা তাদের দেশে হামলা করেছিল, আর তার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ এই হামলা হয়েছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বিবৃতি দিয়ে বলেন, “দূরত্ব যাই হোক না কেন আমাদের শত্রুদের উপর হামলা লাগাতার চলবে। বার্তা খুব স্পষ্ট, আমাদের জন্য কোনও জায়গাই খুব বেশি দূরে নয়।” উল্লেখ্য ইয়েমেন থেকে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইজরায়েলি বিমান বাহিনীর একটি কমান্ড-কন্ট্রোল রুম থেকে হামলা পর্যবেক্ষণ করার পরে নিজের অফিস থেকে এই বিবৃতি প্রকাশ করেছেন গ্যালান্ট।

    হুথিরা সারা বছর হামলা করে থাকে

    ইজরায়েলের (Israel attack) সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, “আমাদের মূলত লক্ষ্যবস্তুতে ছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং তেল আমদানির জন্য ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর। হুথিরা এই অঞ্চলেই ইরানের সঙ্গে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের আদানপ্রদান করত। নিয়মিতভাবে, হুথিদের জঙ্গি কার্যকলাপে প্রত্যক্ষ মদত দিয়ে থাকে ইরান। ইজরায়েলি গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে আক্রমণ করা হয়েছে। হুথিরা শুধু গত মাসেই নয়, সারা বছরই ইজরায়েলকে লক্ষ্য হামলা করে থাকে।” আবার ‘দ্য জেরুজালেম পোস্ট’ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর ৭ অক্টোবর থেকেই ইসরায়েলে অসংখ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করে চলেছে হুথিরা। গত শনিবারও একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেল আবিব সহ মধ্য ইজরায়েল জুড়ে। আতঙ্কের সাইরেন বেজে উঠেছিল। হুথি এবং হিজবুল্লা উভয়ই হামাসকেও সমর্থন করে থাকে। ইজরায়েল গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।

    আরও পড়ুনঃ “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না”, নাসরাল্লাহকে খতম করে দাবি ইজরায়েলের

    লেবানন, ইয়মেনের বিস্তৃত অঞ্চলে ভয়ঙ্কর রূপ

    ইজরায়েলের (Israel attack) বিমান হামলা হিজবুল্লার সিনিয়র কমান্ডার সহ আরও অনেকে নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে নাসরাল্লার ডান-হাত ব্যক্তি ফুয়াদ শুকর, রাদওয়ান ফোর্সের প্রধান ইব্রাহিম আকিল এবং অন্যান্য আরও অনেকে। রবিবার হিজবুল্লা একটি বিবৃতিতে স্বীকার করেছে যে দক্ষিণ লেবাননে শীর্ষ কমান্ডার আলি কারা শুক্রবার নিহত হয়েছে। হিজবুল্লাকে লক্ষ্য করে গত সপ্তাহে শুরু হওয়া হামলার প্রভাব লেবাননের সীমান্ত ছাড়িয়ে ইয়মেনের (Yemen’s Houthis) বিস্তৃত অঞ্চলেও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share