Tag: news in bengali

news in bengali

  • Kalia Scheme Scandal: ‘কালিয়া’ প্রকল্পে ব্যাপক কেলেঙ্কারি, কাঠগড়ায় নবীন

    Kalia Scheme Scandal: ‘কালিয়া’ প্রকল্পে ব্যাপক কেলেঙ্কারি, কাঠগড়ায় নবীন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক সরকারের বিরুদ্ধে। চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনে পতন ঘটে নবীন সরকারের। তারপরেই প্রকাশ্যে বিপুল পরিমাণ কেলেঙ্কারির (Kalia Scheme Scandal) অভিযোগ। ক্যাগের রিপোর্টে (CAG Report) প্রকাশ, নবীন পট্টনায়েকের নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে কৃষক সহায়তা কর্মসূচি, সংক্ষেপে কালিয়া-এর আওতায় ৭৮২ কোটিরও বেশি টাকা বিলি করা হয়েছে অযোগ্য সুবিধাভোগীদের মধ্যে।

    ক্যাগের রিপোর্ট (Kalia Scheme Scandal)

    ক্যাগের রিপোর্টটি বিধান পরিষদে উপস্থাপন করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাজি। সেখানেই জোরালো প্রমাণ মিলেছে কেলেঙ্কারির অভিযোগের স্বপক্ষে। কালিয়ার ডেটাবেসের অডিট বিশ্লেষণে আরও কয়েকটি ডেটাবেসের তুলনা করে আরও ২.৯৬ লাখ অযোগ্য সুবিধাভোগীর হদিশ মিলেছে। যার ফলে মোট অযোগ্য সুবিধাভোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২.৭২ লাখ। এঁদের মধ্যেই বিলি করা হয়েছে ৭৮২.২৬ কোটি টাকা।ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, অযোগ্য সুবিধাভোগীদের যে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই কম।

    অযোগ্য সুবিধাভোগী শনাক্ত

    রিপোর্টে এও বলা হয়েছে (Kalia Scheme Scandal), ২০১৯-২১ এই সময়সীমার মধ্যে বিভাগটি ৬৫.৬৪ লাখ সুবিধাভোগীকে কালিয়া সুবিধার সহায়তা বিলি করেছে। ৪১.৬৪ লাখ সুবিধাভোগীকে তিনবার, ৮.০৯ লাখ সুবিধাভোগীকে দুবার এবং ১৫.৯১ লাখ সুবিধাভোগীকে একবার করে কিস্তি দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার সময় ৯.৭৬ লাখ অযোগ্য সুবিধাভোগীকে শনাক্তও করা হয়েছে।

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১.২৮ লাখ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের অ্যাকাউন্টে ১০৭.৬৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এই টাকাও গিয়েছে অযোগ্য সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে। ক্যাগের রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ১৪.০৪ লাখ ভূমিহীন কৃষিশ্রমিককে তিনটি কিস্তিতে টাকা দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই টাকা দেওয়া হয়েছে তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি না করেই। যা আদতে ব্যর্থ করেছে এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যকে।

    আরও পড়ুন: আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদ! নিজের রক্ত দিয়ে বিচারের দাবি লিখলেন বিজেপির চিকিৎসক-নেতা

    রিপোর্ট অনুযায়ী, বিভাগটির অপর্যাপ্ত পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির অভাবে কালিয়া প্রকল্পের ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করা যায়নি। তাই ২০১৮ থেকে ২১ সালের মধ্যে ছটি কম্পোনেন্টের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র দুটি (CAG Report)। একটি হল, চাষিদের চাষের জন্য সহায়তা এবং ভূমিহীন কৃষি পরিবারের জন্য জীবিকা সহায়তা (Kalia Scheme Scandal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • India China Relation: গালওয়ান-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরেছে লালফৌজ, জানাল বেজিং

    India China Relation: গালওয়ান-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরেছে লালফৌজ, জানাল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকা-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লালফৌজ। শুক্রবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফেই এ খবর (S Jaishankar) জানানো হয়েছে (India China Relation)। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিকর ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানান, রাশিয়ায় ভারত ও চিন কর্তৃপক্ষের বৈঠকে স্থির হয়েছে দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে পদক্ষেপ করবে।

    কী বলছে চিন? (India China Relation)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের দাবিকে মান্যতা দিয়েই পূর্ব লাদাখের চার এলাকা মুক্ত করে দিয়েছে চিন। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “১২ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে আলোচনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই আলোচনায় দুই দেশই পারস্পরিক সমঝোতা বজায় রেখে চলার বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে। ন্যূনতম বোঝাপড়া কায়েম করার ব্যাপারেও একমত হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্ত ইস্যু নিয়েও কথা হয়েছে দুপক্ষে।”

    সেনা প্রত্যাহার

    তিনি (India China Relation) বলেন, “সাম্প্রতিক অতীতে চিন-ভারত সীমান্ত এলাকার চারটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করার বিষয়ে দুই দেশই বাস্তবিক পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে। সেই হিসেবে এখন চিন-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি সুস্থিতিকর ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, দুদেশের মধ্যে থাকা সীমান্ত সমস্যার ৭৫ শতাংশ সমাধান হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: জালনোটের ‘কিংপিন’ থেকে খুন! দিল্লি থেকে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মালদার তৃণমূল নেতা

    চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, উভয় পক্ষই বিশ্বাস করে চিন-ভারত সম্পর্কের স্থিতিশীলতা দুই দেশের জনগণের মৌলিক ও দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক। দুই দেশই রাজি রয়েছে, উভয় দেশের প্রধানদের মধ্যে অর্জিত ঐক্যমত বাস্তবায়ন করবে, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বিশ্বাস বাড়াবে, নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করবে। এর পরেই চিনা মুখপাত্র বলেন, “গালওয়ান-সহ চারটি এলাকা দখলমুক্ত করতে সম্মত হয়েছে চিন ও ভারতীয় সেনা। সেই মতো দখল করা চারটি এলাকা থেকেই সরে গিয়েছে (S Jaishankar) চিনা ফৌজ (India China Relation)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ১৪ অগাস্টের পর এক মাস পার, শনিবার ফের ‘রাত দখলের’ ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar Case: ১৪ অগাস্টের পর এক মাস পার, শনিবার ফের ‘রাত দখলের’ ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) ধর্ষণ করে মহিলা ডাক্তারকে হত্যার এক মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত, এখনও বিচার অধরা। ন্যায়ের দাবিতে আন্দোলনে অনড় প্রতিবাদীরাও। গত পাঁচ দিন ধরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্নায় বসেছেন। তাঁদের ৫ দফা দাবি নিয়ে চলছে লাগাতার আন্দোলন। অভয়ার উপর নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামজিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলি ক্রমাগত আন্দোলন করে চলেছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগদান করেছেন সমাজে নানা বর্গের মানুষ। এই অবস্থায় ফের একবার রাত দখলের (Night protes) আহ্বান জানানো হল। আজ শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, রাতে রাজপথে নামার ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা।

    রাত দখলের দিনে হামলা হয়েছিল (RG Kar Case)

    অভয়ার হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) বিরুদ্ধে ন্যায় বিচারের দাবিতে গত ১৪ অগাস্ট প্রথম মেয়েদের রাত দখলের ডাক (Night protest) দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাতে কলকাতা সহ জেলার প্রায় সব ছোট-বড় শহরে প্রতিবাদী মানুষের ঢল নামতে দেখা গিয়েছিল। হাজার হাজার মহিলা, পুরুষ, ছাত্র-ছাত্রী, ডাক্তার, উকিল, ইঞ্জিনিয়র সকল স্তরের মানুষ রাত দখল করে বিক্ষোভ দেখান। কোথাও মশাল আবার কোথাও মোমবাতি হাতে ছিল। কেউ আবার শঙ্খ বাজিয়ে, মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু ওই সময়ই আরজি কর হাসপাতালে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ মঞ্চকে ভেঙে দিয়েছিল। এমনকী জরুরী বিভাগ সহ একাধিক বিভাগে কার্যত তাণ্ডব চালানো হয়। পুলিশের সামনে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। দোষীদের আড়াল করতে এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতেই এই ভাবে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছিল বলে জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযোগ করেছিলেন। সেই ঘটনার এক মাস পর ১৪ সেপ্টেম্বর রাত দখলের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। 

    আরও পড়ুনঃ বর্ধমান মেডিক্যালে অভীক গ্যাং-এর ‘দাদাগিরি’! হুমকি-ফোন জুনিয়র ডাক্তারদেরকে

    ন্যায় বিচারের জন্য সকলে পথে নামুন

    আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে এদিন বলা হয়েছে, “এক মাস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের ভূমিকায় আমরা অত্যন্ত হতাশ। ১৪ সেপ্টেম্বর মহিলাদের রাত দখলের সময় আরজিকর হাসপাতালে (RG Kar Case) ভাঙচুর হয়। পুলিশ কার্যত দোষীদের আড়াল করতে কাজ করেছে। প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমরা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি জানিয়েছি, স্বাস্থ্য অধিকর্তাদেরও পদত্যাগ দাবি করেছি। আমাদের ৫ দফা দাবিকে সামনে রেখে ন্যায় বিচারের জন্য সকলে পথে নামুন। গান, কবিতা, ছবি আঁকার মাধ্যমে আমাদের সমর্থন করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Retail Inflation: অনেকটাই কমল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার, ছাপিয়ে গেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আভাসকেও

    Retail Inflation: অনেকটাই কমল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার, ছাপিয়ে গেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আভাসকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ভারতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির (Retail Inflation) হার ছিল ৩.৬৫ শতাংশ। সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স। গ্রামীণ (RBI) ও শহরের সমষ্টিগত মুদ্রাস্ফীতি অগাস্টে নেমে এসেছে ৩.৬৫ শতাংশে। গত বছর অগাস্টে এই হার ছিল ৬.৮৩ শতাংশ। তবে আগের মাসের ৩.৫৪ শতাংশের তুলনায় এটি বেড়েছে ১১০ বেসিস পয়েন্ট।

    খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার (Retail Inflation)

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার টার্গেট ছিল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার হবে ৪ শতাংশ। যদিও এই হার ছিল এর অনেক নীচে। ফলে, বলা যেতেই পারে, শীর্ষ ব্যাঙ্কের করা পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতির হারের পতন। এ নিয়ে গত পাঁচ বছরে দ্বিতীয়বার খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার রইল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার নীচে। জানা গিয়েছে, চলতি বছর অগাস্টে শহুরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৩.১৪ শতাংশ। ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে এই হার ছিল ৬.৫৯ শতাংশ। এই অগাস্টে গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.১৬ শতাংশ। গতবার এই হার ছিল ৭.০২ শতাংশ।

    কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স

    সমষ্টিগত কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের অগাস্টে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.৬৬ শতাংশ। গত অগাস্টে এই হার ছিল ৯.৯৪ শতাংশ। গত বছর অগাস্টে শহরাঞ্চলে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির ছিল ১০.৪২ শতাংশ। এই অগাস্টে এটাই হয়েছে ৪.৯৯ শতাংশ। চলতি বছর অগাস্টে গ্রামীণ খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬.০২ শতাংশ। গত বছর অগাস্টে এই হার ছিল ৯.৬৭ শতাংশ। বছরের সর্বনিম্ন মুদ্রাস্ফীতি দেখা গিয়েছে টোমাটোর ক্ষেত্রে। এর হার ছিল -৪৭.৯১ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদ! নিজের রক্ত দিয়ে বিচারের দাবি লিখলেন বিজেপির চিকিৎসক-নেতা

    অগাস্টে (Retail Inflation) মসলা, মাংস, মাছ, ডাল ও অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে। চলতি বছরের অগাস্টের ফুড ইনফ্লেশন জুন ২০২৩ এর পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ভারতের সব রাজ্যের চেয়ে সমষ্টিগত মুদ্রাস্ফীতির হার এবার বেশি ছিল বিহারে। অগাস্টে এই হার ছিল ৬.৬২ শতাংশ। তার পরে ছিল ওড়িশা। সে রাজ্যে এই হার ৫.৬৩ শতাংশ। অসমে এই হার আরও কম। সেখানে এর হার ৫.০৩ শতাংশ (Retail Inflation)।

    এদিকে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতিতে রাশ টানতে আমেরিকা, জার্মানি এবং ফ্রান্সের চেয়ে বেশি সফল হয়েছে ভারত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের কারণ একটি গতিশীল আর্থিক ব্যবস্থা, যেখানে আরবিআই, সরকার এবং ব্যাঙ্কগুলো বাজার সংস্কার আনার ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করেছে (RBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 132: “ঈশ্বরের উপর অনুরাগ, প্রেম, আপনি এলে, জপাদি কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়”

    Ramakrishna 132: “ঈশ্বরের উপর অনুরাগ, প্রেম, আপনি এলে, জপাদি কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    ক্লেশোঽধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম্‌ ৷
    অব্যক্তা হি গর্তিদুঃখং দেহবদ্ভিরবাপ্যতে ॥
              (গীতা — ১২।৫)

     

    ভক্তিযোগ (Ramakrishna) যুগধর্ম—জ্ঞানযোগ বড় কঠিন—দাস আমি—ভক্তের আমি—বালকের আমি

    আর চিনি হতে চাই না, চিনি খেতে ভালবাসি। আমার এক কখন ইচ্ছা হয় না, যে বলি আমি ব্রহ্ম। আমি বলি তুমি ভগবান, আমি তোমার দাস। পঞ্চমভূমি আর ষষ্ঠভুমির মাঝখানে বাচ খোলানো ভাল। ষষ্ঠভূমি পের হয়ে সপ্তমভূমিতে অনেকক্ষণ থাকতে আমার সাধ হয় না। আমি তাঁর নামগুণগান (Kathamrita) করব—এই আমার সাধ। সেব্য-সেবক ভাব খুব ভাল। আর দেখ গঙ্গারই ঢেউ, ঢেউয়ের গঙ্গা কেউ বলে না। আমিই সেই এ অভিমান ভাল নয়। দেহাত্মবুদ্ধি থাকতে যে এ অভিমান করে, তার বিশেষ হানি হয়; এগুতে পারে না, ক্রমে অধঃপতন হয়। পরকে ঠকায় আবার নিজেকে ঠকায়, নিজের অবস্থা বুঝতে পারে না।

    দ্বিবিধা ভক্তি—উত্তম অধিকারী—ঈশ্বরদর্শনের উপায় 

    কিন্তু ভক্তি অমনি করলেই ঈশ্বরকে (Ramakrishna) পাওয়া যায় না। প্রেমাভক্তি না হলে ইশ্বরলাভ হয় না। প্রেমাভক্তির আর একটি নাম রাগভক্তি। প্রেম, অনুরাগ না হলে ভগবানলাভ হয় না ঈশ্বরের উপর ভালবাসা না এলে তাঁকে লাভ করা যায় না।

    আর-একরকম ভক্তি আছে। তার নাম বৈধী ভক্তি। এত জপ করতে হবে, উপোস করতে হবে, তীর্থে যেতে হবে, এত উপচারে পূজা করতে হবে, এতগুলি বলিদান দিতে হবে—এ-সব বৈধী ভক্তি। এ-সব অনেক করতে করতে ক্রমে রাগভক্তি আসে। কিন্তু রাগভক্তি যতক্ষণ না হবে, ততক্ষণ ঈশ্বরলাভ হবে না। তাঁর উপর ভালবাসা চাই। সংসারবুদ্ধি (Kathamrita) একেবারে চলে যাবে, আর তাঁর উপর ষোল আনা মন হবে, তবে তাঁকে পাবে।

    কিন্তু কারু কারু রাগভক্তি আপনা-আপনি হয়। স্বতঃসিদ্ধ। ছেলেবেলা থেকেই আছে। ছেলেবেলা থেকেই ঈশ্বরের (Ramakrishna) জন্য কাঁদে। যেমন প্রহ্লাদ। বিধিবাদীয় ভক্তি—যেমন, হাওয়া পাবে বলে পাখা করা। হাওয়ার জন্য পাখার দরকার হয়। ঈশ্বরের উপর ভালবাসা আসবে বলে জপ, তপ, উপবাস। কিন্তু যদি দক্ষিণে হাওয়া আপনি বয়, পাখাখানা লোকে ফেলে দেয়। ঈশ্বরের উপর অনুরাগ, প্রেম, আপনি এলে, জপাদি কর্ম ত্যাগ হয়ে যায়। হরিপ্রেমে মাতোয়ারা হলে বৈধী কর্ম কে করবে?

    যতক্ষণ না তাঁর উপর ভালবাসা জন্মায় ততক্ষণ ভক্তি কাঁচা ভক্তি (Ramakrishna)। তাঁর উপর ভালবাসা এলে, তখন সেই ভক্তির নাম পাকা ভক্তি।

    আরও পড়ুনঃ “ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Enforcement Directorate: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে সক্রিয় ইডি, কলকাতা ও জেলায় বালু-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি!

    Enforcement Directorate: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে সক্রিয় ইডি, কলকাতা ও জেলায় বালু-ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রেশন দুর্নীতি (Enforcement Directorate) মামলায় ফের তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। আরজি কর হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, হাসপাতালে আর্থিক বেনিয়মের একাধিক মামলার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঠিক এই আবহের মধ্যেই কলকাতা সহ একাধিক জেলায় ফের রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ময়দানে নেমে পড়েছে ইডি। উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন যাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ওরফে বালু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাই এই অভিযানে শোরগোল পড়েছে।

    বাকিবুর ঘনিষ্ঠের বাড়িতে হানা (Enforcement Directorate)

    জানা গিয়েছে, কলকাতা, কল্যাণী, জয়নগর, মেদিনীপুর সহ মোট ৭ জায়গায় ইডি শুক্রবার তল্লাশি চালিয়েছে। কলকাতার এক চাল ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালায় তদন্তকারী সংস্থা। একই ভাবে ভবানীপুর থানা এলাকার চক্রবেড়িয়া সাউথ এলাকার বাসিন্দা লোহা সাউ নামে এক রেশন ডিলারের বাড়ি ঘিরে তল্লাশি চালানো হয়। এদিকে নদিয়ার কল্যাণী-এ ব্লকে এক ফুড ইন্সপেক্টরের বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি বাকিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ, ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান ফেরাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের শিক্ষক

    দেগঙ্গাতে একটি সমবায় সমিতিতে হানা

    আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বহড়ুবাজারে একটি চালের গোডাউনে হানা দেয় ইডি (Enforcement Directorate)। বাইরে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ি ঘিরে রাখে, এরপর ভিতরে চলে তল্লাশি। একই ভাবে দেগঙ্গাতে একটি সমবায় সমিতিতে হানা দেয় ইডি। রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রথমে গ্রেফতার করা হয় বাকিবুরকে। এরপর তাঁকে জেরা করায় উঠে আসে প্রাক্তন মন্ত্রী বালুর নাম। একই ভাবে রেশনের গম, চাল, আটা পাচার করে প্রচুর পরিমাণে কালো টাকা সাদা করার গুরুতর অভিযোগ সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। এরপর সন্দেশখালিতে তল্লাশি করতে গেলে তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। একে একে বিরাট কুকীর্তি ফাঁস হওয়ায় চরম চাপের মুখে তৃণমূল।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে আজমের দরগায় বিতরণ করা হবে ৪০০০ কেজি নিরামিষ খাবার  

    Narendra Modi: নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে আজমের দরগায় বিতরণ করা হবে ৪০০০ কেজি নিরামিষ খাবার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে আজমের শরিফ দরগায় (Ajmer Sharif Dargah) ৪০০০ কেজি নিরামিষ ভোজনের আয়োজন করা হবে। ঠিক এমনই ঘোষণা করল এই দরগার ফাউন্ডেশন। তৃতীয় বারের জন্য দেশের শাসন ক্ষমতায় বসার পর, মুসলিম সমাজের মানুষের মনে মোদি সরকারের গঠনমূলক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যে দারুণ প্রভাব ফেলেছে, সেই দাবি করেছে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা। এই আয়োজনে মোর্চার ভূমিকা থাকবে বিশেষভাবে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মোদির ৭৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে বিরাট লঙ্গর খোলা হবে এখানে। দেশের এই জনপ্রিয় নেতার মঙ্গল কামনায় খাবার তৈরি এবং বিতরণ করা হবে দরগার ভক্ত সমাজের মধ্যে। মোদি ভক্তদের মধ্যে এখন তাই ব্যাপক উচ্ছ্বাস।

    ৫৫০ বছরেরও বেশি সময়ের ঐতিহ্য (Narendra Modi)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিন উদযাপনের বিশেষ আয়োজন অনুষ্ঠান ‘সেবা পাখওয়াদা’ পালন করা হবে রাজস্থানের আজমের দরগায় (Ajmer Sharif Dargah)। এই দরগা শরিফের ঐতিহাসিক এবং বিখ্যাত বিষয় হল, ‘বড় শাহী ডেগ’। এবার ৪০০০ কেজি নিরামিষ খাবারের লঙ্গর প্রস্তুত ও বিতরণ করা হবে। এখানকার এই ঐতিহ্যবাহী লঙ্গর আনুমানিক ৫৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরম্পরা ও ঐতিহ্য বহন করে আসছে।

    আজমের শরিফের ফাউন্ডেশনের বক্তব্য

    দরগা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে গাদ্দি নাশিন-দরগাহ আজমির শরিফ, সৈয়দ আফশান চিশতি একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছেন, “এবার মোদিজির (Narendra Modi) জন্মদিনে নিরামিষ খাবার লোকেদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে সেবা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আমরা ৪,০০০ কেজি নিরামিষ খাবার তৈরি করব। এই খাবারের মধ্যে থাকবে চাল, খাঁটি ঘি এবং শুকনো ফল। আমাদের আশেপাশের দরিদ্র লোকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। আমরাও জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করব। সমগ্র লঙ্গরটি ভারতীয় সংখ্যালঘু ফাউন্ডেশন এবং আজমের শরিফের চিস্তি ফাউন্ডেশন দ্বারা আয়োজন করা হবে।

    আরও পড়ুনঃ “সাংবিধানিক পদে আসীন কোনও ব্যক্তি…”, নাম না করে রাহুলকে নিশানা ধনখড়ের

    রাত ১০ টায় ‘ডেগ’ জ্বালানো হবে

    তবে এখানে ‘ডেগ’ বা হাঁড়ি জ্বালানো থেকে শুরু করে খাদ্য বিতরণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও যত্ন সহকারে পরিচালিত হয়ে থাকে। হাজার হাজার ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সেবা-শ্রদ্ধা করতে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগদান করে থাকেন। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে রাত সাড়ে ১০টায় হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরগা (Ajmer Sharif Dargah) প্রাঙ্গণে ‘বড় শাহী ডেগ’ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। দেশের শান্তি, ঐক্য, সমৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: দাড়িভিটকাণ্ড এবং ভোটে নিহতদের তিন পরিবারকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: দাড়িভিটকাণ্ড এবং ভোটে নিহতদের তিন পরিবারকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাড়িভিটকাণ্ড, পঞ্চায়েত এবং লোকসভার ভোটের সময় নিহতদের তিন পরিবারকে চাকরি (Job) দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রতিবছর বিধানসভায় নিজের দফতরে তিনজনকে চাকরি দিতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এবছর সেই চাকরি দিলেন নন্দীগ্রামের এই বিজেপি বিধায়ক। বিজেপির দাবি, ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল পুলিশের গুলিতে। একই ভাবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভার নির্বাচনে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণে বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হলে এদিন চাকরির কথা ঘোষণা করেন তিনি।

    গ্রুপ-ডি পদে চাকরি দিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    স্কুলে উর্দু নয়, বাংলা শিক্ষকের দাবি করায়, ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে স্কুলচত্বরে বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণ। সেই খুনের বিচারের মামলা এখনও হাইকোর্টে চলছে। দোষীরা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে দাবি উভয় পরিবারের। ঘটনায় সেই সময় রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এবার এই মৃত ছাত্র রাজেশের ভাই সুজিত সরকারকে চাকরি দিয়েছেন শুভেন্দু। অপর দিকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারে নিহত ভোলানাথ মণ্ডলের স্ত্রী রূপালি মণ্ডল এবং গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ে নন্দীগ্রামে হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়ির নাতি অভিজিৎ আড়িকে চাকরি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। প্রত্যেককে গ্রুপ-ডি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। রাজ্য সরকার তিন জনকে বেতন দেবে। 

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে আলোচনা হলে লাইভে আপত্তি কেন?’’ প্রশ্ন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির

    কী বলেলন শুভেন্দু?

    ক্রমাগত খুন-হত্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, “দাড়িভিটের ঘটনা যে সময়ে ঘটেছিল, তখন আমি তৃণমূলে ছিলাম। সৌভাগ্যবশত, ওই পরিবারের সদস্যকে চাকরি (Job) দেওয়ার সুযোগ আমিই পেলাম।’’ রাজ্যের মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তোলেন তিনি। সামনেই ২০ সেপ্টেম্বর। এই দিনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। স্কুলের বোমাবাজি করে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ব্যাপক নির্যাতন করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সেই সময় মমতা ছিলেন প্যারিস সফরে। তিনি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারের কথা না বলে, আরএসএস এবং বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছিলেন। এই নিয়ে গোটা উত্তরবঙ্গে ব্যাপক ভাবে ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল। মামলা পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাইকোর্টে গেলে এনআইএ-তদন্ত সংস্থাকে ভার দেওয়া হয়। একই ভাবে ভোট-পরবর্তী হিংসা, বিজেপি কর্মীদের রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষা এবং আইনের শাসন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: খুন-জখম-রাহাজানি, ইউনূস জমানায় কেমন আছে বাংলাদেশ?

    Bangladesh Crisis: খুন-জখম-রাহাজানি, ইউনূস জমানায় কেমন আছে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপাকে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। হাসিনা-উত্তর জমানায় ভালো নেই ‘সোনার বাংলা’। বর্তমানে দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের (Power Crisis) প্রধান মহম্মদ ইউনূস। দেশের একমাত্র নোবেলজয়ীর হাতে দেশের ভার সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন হাসিনাকে দেশছাড়া করে কী ভুলটাই না করেছেন তাঁরা! এখন দেখে নেওয়া যাক, ইউনূস জমানায় কেমন আছে বাংলাদেশ।

    বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি (Bangladesh Crisis)

    দেশে বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এখন প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে লোডশেডিং হচ্ছে বাংলাদেশে। আকছার হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। যার জেরে শিল্প উৎপাদন ও নাগরিকদের দুর্দশার অন্ত নেই। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে দৈনিক ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি রয়েছে। কয়লার ঘাটতি রয়েছে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। ত্রিপুরা থেকে রফতানি হ্রাসের কারণে অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দৈনিক ঘাটতি বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার মেগাওয়াট। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই সমস্যা আরও বেড়েছে। ভারতের আদানি গ্রুপের কাছে বাংলাদেশের দেনা রয়েছে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ কমেছে ৮২০ মিলিয়ন ঘনফুট। পাওয়ার ক্রাইসিসের যে আশু কোনও সমাধান নেই, তা জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ফিনান্স ও কমার্স উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ সরবরাহ ছন্দে ফিরতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। সরকার বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে চেষ্টা করছে। ঘাটতি মেটাতে জ্বালানি ও কয়লা আমদানিকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।”

    আইনশৃঙ্খলার অবনতি

    সংরক্ষণকে ঘিরে যে আন্দোলন (Bangladesh Crisis) শুরু হয়েছিল, সেই আন্দোলনে ভাঁটা পড়েছে। আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশও ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। দেশের দায়িত্ব বর্তেছে ইউনূসের হাতে। তবে তাতে যে বাংলাদেশের খুব একটা উন্নতি হয়েছে, তা বলা যাবে না। দেশে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়নি এখনও। খুন-জখম-রাহাজানি চলছেই। সোমবারই খুন হয়েছেন বগুড়ার সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজানুর রহমান মিজান। এদিনই খুন হয়েছেন লেডু নামেও আর একজন। এর ঠিক আগের দিন আশুলিয়া শহরে একটি পোশাক কারখানার কর্মীরা সেনা, পুলিশ এবং রাবকে আক্রমণ করে। বকেয়া মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছিলেন তাঁরা। সেই কারণেই সেখানে গিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। তাদের ওপরই হামলা চালান ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

    জামিনে মুক্ত সন্ত্রাসবাদী এবং অপরাধীরা

    ডামাডোলের বাজারে (Bangladesh Crisis) ক্ষমতায় এসেই (Power Crisis) ইউনূস মুক্তি দিয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু জঙ্গি এবং দাগি আসামীকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ব্যাপক অবনতি হয়েছে দেশের আইনশৃঙ্খলার। বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ‘প্রথম আলো’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনাকে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে অন্তত ৬ জন শীর্ষ অপরাধী ও জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে কিলার আব্বাস, শেখ মহম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, ইমামুল হাসান হেলাল, সানজিদুল ইসলাম, নাইম আহমেদ ও খোরশেদ আলম রাসু। কুখ্যাত এই জঙ্গিরা ১০-১৫ বছর ধরে বন্দি ছিল বাংলাদেশের জেলে।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বে ব্যবহৃত প্রতিটি ডিভাইসে থাকবে ভারতে তৈরি চিপ”, বললেন মোদি

    ফেলে দেওয়া থুতু গিলতে হল!

    মলদ্বীপের মতো ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দিয়েছিল বাংলাদেশও। অথচ, দেশের ক্রাইসিস মেটাতে তাদেরই নির্ভর করতে হচ্ছে ভারতের ওপর। এতদিন যারা ভারতীয় পণ্য বয়কট করেছিল, তারাই এখন ২.৩১ লাখ মুরগির ডিম আমদানি করেছে। সোমবারই প্রথম লটের ডিম চলে গিয়েছে ‘সোনার বাংলা’য়।

    ইসলামবাদীদের বাড়বাড়ন্ত

    কুর্সি যাতে খোয়াতে না হয়, তাই ইসলামবাদীদের বাড়বাড়ন্ত হতে দিয়েছেন ইউনূস স্বয়ং। গদি ধরে রাখতে একদিকে তিনি যেমন কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন জামাত-এ-ইসালমির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন, তেমনি মুক্তি দিয়েছেন মৌলবাদী সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের নেতা মহম্মদ জসিমউদ্দিন রহমানিকে। হিন্দুদের ওপর যে আক্রমণ হচ্ছে, তাকেও বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে ইউনূস আস্থা অর্জন করছেন সে দেশের মুসলমানদের।

    রোহিঙ্গা সমস্যা

    রাজনৈতিক ডামাডোলের বাজারে মায়ানমার ছেড়ে দলে দলে রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)। গত আট থেকে ১০ দিনে ১৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশে। সীমান্তে অপেক্ষা করছে আরও অন্তত ৫০ হাজার রোহিঙ্গা। সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, মূলত রাতের অন্ধকারেই সীমান্ত টপকে রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে। রিফিউজি রিলিফ ক্যাম্পের দায়িত্বে রয়েছেন মহম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, “সীমান্ত পেরিয়ে যেসব রোহিঙ্গা এ দেশে ঢুকছে, তারা বিভিন্ন রিফিউজি ক্যাম্পগুলোতে থাকা তাদের আত্মীয়দের কাছে এসে উঠছে। ঠিক কতজন ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে (Power Crisis), তা বলতে পারব না (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: “গ্রিন হাইড্রোজেনের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে বৈশ্বিক কেন্দ্র করব,” অঙ্গীকার মোদির

    PM Modi: “গ্রিন হাইড্রোজেনের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে বৈশ্বিক কেন্দ্র করব,” অঙ্গীকার মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন, ব্যবহার ও রফতানির জন্য ভারতকে একটি বৈশ্বিক হাবে পরিণত করতে চাই।” কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বুধবার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক গ্রিন হাইড্রোজেন (Green Hydrogen) সম্মেলনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি গ্রিন হাইড্রোজেন ক্ষেত্রের নীতি গঠনে পরামর্শ দেওয়ার জন্য বিশ্বের বিজ্ঞানী সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বিশ্বের বিজ্ঞানী সম্প্রদায়কে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন দিক অন্বেষণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকরা জননীতিতে পরিবর্তনের প্রস্তাব দিতে পারেন, যা গ্রিন হাইড্রোজেন খাতকে সহায়তা করতে পারে।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ভারতকে গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন, ব্যবহার ও রফতানির জন্য একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।” তিনি বলেন, “গোটা বিশ্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই জ্বালানি পরিবর্তন ও সাসটেনেবিলিটির দিকে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।”

    গ্রিন এনার্জি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গ্রিন এনার্জি সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণের ক্ষেত্রে ভারত জি-২০ দেশগুলোর মধ্যে প্রথম।” তিনি (PM Modi) বলেন, “এই প্রতিশ্রুতিগুলি ২০৩০ সালের লক্ষ্য থেকে ন’বছর আগে পূরণ করা হয়েছে। ভারতে নন-ফাইনান্সিয়াল জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষমতা গত ১০ বছরে প্রায় ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে আমাদের সৌরশক্তির ক্ষমতা তিন হাজার শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা এখানেই থেমে নেই। যেসব সমাধান রয়েছে, সেগুলিকে শক্তিশালী করতে আমরা ফোকাস করছি।”

    আরও পড়ুন: “বিশ্বে ব্যবহৃত প্রতিটি ডিভাইসে থাকবে ভারতে তৈরি চিপ”, বললেন মোদি

    গ্রিন হাইড্রোজেনের উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেসব শিল্পের ক্ষেত্রে বিদ্যুতায়ন করা কঠিন, সেই সব শিল্পকে কার্বনমুক্ত করতে সাহায্য করে এটি। গ্রিন হাইড্রোজনের ফলে উপকৃত হবে রিফাইনারি, সার, ইস্পাত, ভারী পরিবহণ এবং এ ধরনের অনেক ক্ষেত্র।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত ইতিমধ্যেই জাতীয় সবুজ হাইড্রোজেন মিশন চালু করেছে, যা উদ্ভাবন, পরিকাঠামো ও বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করছে। আমরা উন্নত গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ (Green Hydrogen) করছি।” তিনি (PM Modi) বলেন, “শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রের মধ্যে অংশীদারিত্ব গঠন করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share