Tag: news in bengali

news in bengali

  • RG kar: স্বাস্থ্য সচিবের পাঠানো ইমেল ‘অপমানজনক’, কড়া বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG kar: স্বাস্থ্য সচিবের পাঠানো ইমেল ‘অপমানজনক’, কড়া বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইমেল করে ১০ আন্দোলনকারীকে নবান্নে যাওয়ার বার্তা দেন স্বাস্থ্য সচিব। ঘটনাক্রমে এই স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ চেয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (RG kar)। শেষে তাঁকে দিয়েই ইমেল পাঠানো হল! ফলত, ওই ইমেলকে ‘অপমানজনক’ বলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড় হয়ে রয়েছেন তাঁরা। 

    স্যার ও ম্যাডাম লেখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা (RG kar)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে এই ইমেল পাঠানো হয়।ইমেলের মাধ্যমে এদিন বৈঠকের কথা বলা হলেও আন্দোলনকারীরা সেই বৈঠকে যোগ দিতে নবান্নে যাননি। উল্টে তাঁদের বক্তব্য, স্বাস্থ্য সচিবের (RG kar) কাছ থেকে ইমেল আসা অপমানজনক। ইমেলের শুরুতে শুধু ‘স্যার’ লেখা নিয়েও আপত্তি রয়েছে আন্দোলনকারীদের। সেখানে স্যার ও ম্যাডাম লেখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে আগেই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্য়ন্ত কর্মবিরতি চলবে। এপ্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো জানিয়েছিলেন, তাঁরা (জুনিয়র ডাক্তার) শিক্ষানবিশ, গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যদি জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর নির্ভর করে তাহলে রাজ্য সরকার মানুষকে পরিষেবা কীভাবে দেবে? মঙ্গলবার কাজে যোগ না দিয়ে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন তাঁরা। একাধিক দাবিও জানান। পাঁচটার পরই স্বাস্থ্য সচিবের কাছ থেকে ইমেল পান আন্দোলনকারীরা। নবান্নে বৈঠকের জন্য বার্তা পাঠানো হয়।

    কী বলছেন আন্দোলনকারীরা (RG kar)

    আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘‘এদিন আমরা স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে এসেছিলাম। স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ চেয়েছিলাম। সেই স্বাস্থ্য সচিবের কাছ থেকে ইমেল আসা আমরা সদর্থক হিসেবে দেখছি না। স্বাস্থ্য সচিবের (RG kar) তরফে আসা ইমেল আমাদের কাছে অপমানজনক।’’ তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁরা আলোচনার পথ খোলা রাখতে চান বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, নবান্নের শীর্ষ স্তর থেকে বার্তা এলে তাঁরা ভেবে দেখবেন। মাত্র দশ জনকে বৈঠকে ডাকায় ব্যাপক অসন্তুষ্ট হয়েছেন আন্দোলনকারীরা (RG kar)। তাঁরা বলেন, ‘‘দশ জনকে ডাকা অসম্মানজনক বলে মনে করছি।’’ প্রতিনিধি দলে কতজন থাকবেন, তা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হবে বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, নবান্নে রাজ্য সরকারের সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানেই তাঁরা ওই ইমেলকে ‘অপমানজনক’ বলে অভিহিত করেন। জুনিয়র ডাক্তারদের যুক্তি, তাঁদের দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ। কিন্তু বৈঠকের জন্য যে মেলটি পাঠানো হয়েছে, তা এসেছে স্বাস্থ্যসচিবের ইমেল থেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • Ramakrishna 131: “ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়”

    Ramakrishna 131: “ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ক্লেশোঽধিকতরস্তেষামব্যক্তাসক্তচেতসাম্‌ ৷
    অব্যক্তা হি গর্তিদুঃখং দেহবদ্ভিরবাপ্যতে ॥
       (গীতা — ১২।৫)

    ভক্তিযোগ যুগধর্ম—জ্ঞানযোগ বড় কঠিন—দাস আমি—ভক্তের আমি—বালকের আমি

    বিজয় (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—মহাশয়! আপনি ‘বজ্জাৎ আমি’ ত্যাগ করতে বলছেন (Kathamrita)। ‘দাস আমি’-তে দোষ নাই?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, দাস আমি অর্থাৎ আমি ঈশ্বরের দাস, আমি তাঁর ভক্ত—এই অভিমান। এতে দোষ নাই বরং এতে ঈশ্বরলাভ হয়।

    বিজয়—আচ্ছা, যার “দাস আমি” তার কাম-ক্রোধাদি কিরূপ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঠিক ভাব যদি হয়, তাহলে কাম-ক্রোধের কেবল আকার মাত্র থাকে। যদি ঈশ্বরলাভের পর “দাস আমি” বা “ভক্তের আমি” থাকে, সে ব্যক্তি কারু অনিষ্ট করতে পারে না। পরশমণি ছোঁয়ার পর তরবার সোনা হয়ে যায়, তরবারের আকার থাকে, কিন্তু কারু হিংসা করে না।

    নারিকেল গাছের বেল্লো শুকিয়ে ঝরে পড়ে গেলে কেবল দাগমাত্র থাকে। সেই দাগে এইটি টের পাওয়া যায় যে, এককালে ওইখানে নারিকেলের বেল্লো ছিল। সেইরকম যার ঈশ্বরলাভ হয়েছে, তার অহংকারের দাগমাত্র থাকে, কাম-ক্রোধের আকারমাত্র থাকে; বালকের অবস্থা হয়। বালকের যেমন সত্ত্ব, রজঃ, তমো গুণের মধ্যে কোন গুণের আঁট নাই। বালকের কোন জিনিসের উপর টান করতেও যতক্ষণ—তাকে ছাড়তেও ততক্ষণ। একখানা পাঁচ টাকার কাপড় তুমি আধ পয়সার পুতুল দিয়ে ভুলিয়ে নিতে পার। কিন্তু প্রথমে খুব আঁট করে বলবে (Kathamrita) এখন—না আমি দেব না। আমার বাবা কিনে দিয়েছে। বালকের আবার সব্বাই সমান—ইনি বড়, উনি ছোট, এরূপ বোধ নাই। তাই জাতি বিচার নাই। মা বলে দিয়েছে, ও তোর দাদা হয়, সে ছুতোর হলেও একপাতে বসে ভাত খাবে। বালকের ঘৃণা নাই, শুচি-অশুচি বোধ নাই। পায়খানায় গিয়ে হাতে মাটি দেয় না।

    কেউ কেউ সমাধির পরও ভক্তের আমি, দাস আমি নিয়ে থাকে। আমি দাস, তুমি প্রভু, আমি ভক্ত, তুমি ভগবান—এই অভিমান ভক্তের থাকে। ঈশ্বরলাভের পরও থাকে, সব আমি যায় না। আবার এই অভিমান অভ্যাস করতে করতে ঈশ্বরলাভ হয়। এরই নাম ভক্তিযোগ।

    ভক্তির পথ ধরে গেলে ব্রহ্মজ্ঞান হয়। ভগবান সর্বশক্তিমান, মনে করলে ব্রহ্মজ্ঞানও দিতে পারেন। ভক্তেরা প্রায় ব্রহ্মজ্ঞান চায় না। আমি দাস, তুমি প্রভু, আমি ছেলে, তুমি মা—এই অভিমান রাখতে চায়।

    বিজয়—যাঁরা বেদান্ত বিচার করেন, তাঁরাও তো তাঁকে পান?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, বিচারপথেও তাঁকে পাওয়া যায়। একেই জ্ঞানযোগ বলে। বিচারপথ বড় কঠিন। তোমায় তো সপ্তভূমির কথা বলেছি। সপ্তভূমিতে মন পৌঁছিলে সমাধি হয়। ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা—এই বোধ ঠিক হলে মনের লয় হয়, সমাধি হয়। কিন্তু কলিতে জীব অন্নগত প্রাণ, ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা কেমন করে বোধ হবে? সে-বোধ দেহবুদ্ধি না গেলে হয় না। আমি দেহ নই, আমি মন নই, চতুর্বিংশতি তত্ত্ব নই, আমি সুখ-দুঃখের অতীত, আমার রোগ, শোক, জরা, মৃত্যু কই?—এ-সব বোধ কলিতে হওয়া কঠিন। যতই বিচার কর, কোন্‌খান থেকে দেহাত্মবুদ্ধি এসে দেখা দেয়। অশ্বত্থগাছ এই কেটে দাও, মনে করলে মূলসুদ্ধ উঠে গেল। কিন্তু তার পরদিন সকালে দেখ, গাছের একটি ফেঁকড়ি দেখা দিয়েছে! দেহাভিমান যায় না। তাই ভক্তিযোগ কলির পক্ষে ভাল, সহজ।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ, সরছে ছত্তিশগড়ের দিকে

    Weather Update: ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ, সরছে ছত্তিশগড়ের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্বল হয়ে ওড়িশা থেকে ছত্তিশগড়ের দিকে যাচ্ছে বঙ্গোসাগরের নিম্নচাপ (Weather Update)। এই রাজ্যেও বৃষ্টির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। নিম্নচাপের জন্য রাজ্যের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একই ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যের ৬ জেলায়। মঙ্গলবার কলকাতায় বৃষ্টি ভেজা ভোর দিয়ে শহরের দিন শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গল-বুধের দুদিনও আকাশ থাকবে মেঘলা। তবে জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর (Weather Update)

    উপগ্রহের চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি (Weather Update) মধ্য-ওড়িশা হয়ে উত্তরে ছত্তিশগড়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ দুর্বল হলেও মঙ্গলবার রাজ্যের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে। আবার বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ জেলায়।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টিপাত

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টিপাতের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুত-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বেশ কিছু জেলায়। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, মালদায় হতে পারে ভারী বৃষ্টি। অপর দিকে বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ রয়েছে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ! ইডির হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ, লুকানো ছিল কোথায়?

    ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমুদ্র উপকূলে সতর্কতা

    পশ্চিম-মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ (Weather Update) ছিল, তা গত ২৪ ঘণ্টায় ক্রমে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে এসেছে। গতি ছিল ঘণ্টায় সাত কিমি। সোমবারেই তার শক্তি অনেকটা ক্ষয় হয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের দিকে এগিয়ে যাবে। নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রের উপর ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমুদ্র উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Radha Ashtami 2024: আজ রাধাষ্টমী, কীভাবে পালন করবেন? জেনে নিন এই উৎসবের তাৎপর্য

    Radha Ashtami 2024: আজ রাধাষ্টমী, কীভাবে পালন করবেন? জেনে নিন এই উৎসবের তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার রাধাষ্টমী (Radha Ashtami 2024)। এই দিনটিকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র ও শুভ বলে মানা হয়। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতেই রাধাষ্টমীর উৎসব পালন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি জন্মাষ্টমীর ১৫ দিন পরেই দেশ-বিদেশে এই উৎসব (Hindu Festival) পালিত হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই বিশেষ দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাধারানি। এই শুভ তিথিতে রাধারানি এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করলে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আসে বলেই বিশ্বাস। প্রসঙ্গত, এই দিনটি রাধাজয়ন্তী নামেও পরিচিত।

    রাধাষ্টমীর তিথি (Radha Ashtami 2024)

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে রাধাষ্টমীর তিথি শুরু হয়েছে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র, ইংরেজির ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ১৪ মিনিট থেকে। অষ্টমী তিথি শেষ হচ্ছে আজ বুধবার ২৬ ভাদ্র, বুধবার ইংরেজির ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে। অন্যদিকে, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে অষ্টমী তিথি আরম্ভ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড। অষ্টমী তিথি শেষ হবে আজ সন্ধ্যা ৬টা ২৬ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড।

    রাধাষ্টমীর (Radha Ashtami 2024) তাৎপর্য

    রাধাষ্টমীর ব্রতে (Hindu Festival) বাড়ির মহিলারা উপবাস রাখেন এবং রাধারানির পাশাপাশি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করেন। মনে করা হয় এতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়ে আশীর্বাদ প্রদান করেন। ভক্তদের বিশ্বাস রাধাষ্টমীর (Radha Ashtami 2024) ব্রত পালন করলে সকল পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অবারিত সৌভাগ্য ও সন্তান লাভের ইচ্ছা পূরণ হয়। ঘরে আসে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। এর পাশাপাশি, বাড়িতেও দেবী লক্ষ্মীর অধিষ্ঠান হয়। এই কারণে তাদের কখনও আর্থিক সংকটে পড়তে হয় না।

    রাধাষ্টমীর ব্রতপালনে কোন কোন কাজ করবেন

    রাধাষ্টমী (Radha Ashtami 2024) উপবাসের নির্জলা উপবাস পালন করুন এবং শুভ সময়ে পুজো করুন।

    ভক্তদের রাধারানি সহ ভগবান শ্রী কৃষ্ণেরও পুজো করা উচিত এদিন। কারণ ভগবান শ্রী কৃষ্ণ হলেন শ্রী রাধার আরাধ্য দেবতা।

    ব্রত পালনের দিনে কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না।

    ব্রত পালনের শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান করুন যাকে রাধারমণ বলা হয়। এতে রাধারানি খুব খুশি হন এবং ভক্তদের আশীর্বাদ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Apple iPhone 16: ভারতে লঞ্চ হল অ্যাপলের আইফোন ১৬, দাম শুরু ৭৯ হাজার টাকা থেকে

    Apple iPhone 16: ভারতে লঞ্চ হল অ্যাপলের আইফোন ১৬, দাম শুরু ৭৯ হাজার টাকা থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতের বাজারেও অ্যাপল লঞ্চ করল আইফোন ১৬ সিরিজ (Apple iPhone 16)। সোমবার রাতে আইফোন প্রস্তুত কারক সংস্থা অ্যাপল আইফোন ১৬ সিরিজ, আইফোন ১৬ প্লাস সিরিজ এবং আইফোন ১৬ প্রো সিরিজ লঞ্চ করেছে। আইফোন ১৬-এ অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ভাইব্রেন্ট কালার, ২০০০ নিটস ব্রাইটনেসের একটি ডিসপ্লে রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং আইফোন ১৬ প্লাস-এ (Apple iPhone 16) রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে। এতে ক্যামেরা কন্ট্রোলও পাওয়া যাচ্ছে। এটি এক ধরনের নতুন বাটন যা পাওয়ার বাটনের ঠিক নিচে দেওয়া আছে।

    ভারতে দাম (Apple iPhone 16)

    ভারতে আইফোন ১৬-এর দাম ৭৯,০০০ টাকা এবং আইফোন ১৬ প্লাস-এর দাম ৮৯,৯০০ টাকা বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, আইফোন ১৬ প্রো মডেলের দাম শুরু হচ্ছে ১,১৯,৯০০ টাকা থেকে। সবচেয়ে দামি ফোন হল আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স, যার দাম ১,৪৪,৯০০ টাকা। প্রসঙ্গত, এই মডেলগুলি বুক করা যাবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। সেদিন থেকে প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বুক করা যাবে। এই ফোনটি ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হবে। প্রসঙ্গত, গত বছরই আইফোন ১৫ এবং ১৫ প্রো সিরিজ গত বছর লঞ্চ করা হয়েছিল। আইফোন ১৬ সিরিজে ডিজাইন থেকে শুরু করে ক্যামেরা সেন্সর এবং চিপসেটেও পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সও। নতুন মডেলে (Apple iPhone) রয়েছে এ১৮ চিপসেট। একইসঙ্গে আইওএস-১৮ আছে নতুন সিরিজে ৷

    ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য (Apple iPhone 16)

    আইফোন ১৬-র ক্যামেরা সেন্সরগুলি আইফোন ১৫-র তুলনায় অনেকটাই অত্যাধুনিক। আপগ্রেড ক্যামেরা (Apple iPhone) সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে নতুন মডেলে। আইফোন ১৬-র স্ট্যান্ডার্ড ভেরিয়েন্টে একটি নতুন ৪৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রাওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি কম আলোর সেন্সরও উন্নত করা হয়েছে। আইফোন ১৬ সিরিজের ক্যামেরায় ডিএসএলআর স্টাইল শাটার বাটন ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, একটি ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে, যা ২এক্স টেলিফটো লেন্সের সঙ্গে আনা হয়েছে। এতে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি সাপোর্ট করে। এর সাহায্যে ৬০ এফপিএস রেটে ৪কে ভিডিও শ্যুট করা সম্ভব হবে।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: ২২ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে বিজেপি দফতর ওড়ানোর ছক ছিল জঙ্গিদের, দাবি এনআইএ-এর

    NIA: ২২ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে বিজেপি দফতর ওড়ানোর ছক ছিল জঙ্গিদের, দাবি এনআইএ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনই বেঙ্গালুরুতে বিজেপির সদর দফতরে আইইডি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের অভিযুক্তরা। তদন্তে নেমে চার্জশিটে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (NIA)। এই তথ্য ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

    এনআইএ-এর বক্তব্য(NIA)

    ৯ সেপ্টেম্বর, এক বিবৃতি দিয়ে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অর্থাৎ এনআইএ (NIA) জানিয়েছে, রামেশ্বরমে বিস্ফোরণের পিছনে অভিযুক্ত ব্যক্তিরাও বেঙ্গালুরুর মল্লেশ্বরামে বিজেপির সদর দফতরকে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল৷ একই ভাবে এনআইএ আরও দাবি করে, অভিযুক্তরা গত ২২ জানুয়ারি, অযোধ্যায় প্রভু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের দিনেই ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল। তবে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় যার পরে, গত মার্চের ১ তারিখ অভিযুক্তরা রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। সেখানে মোট ৯ জন আহত হয়েছিলেন।

    কোন কোন ধারায় মামলা?

    রামেশ্বরম বিস্ফোরণ মামলায় দায়ের করা চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেব যে সব দুষ্কৃতীদের নাম রয়েছে, তারা হল—মুসাভির হুসেন শাজিব, আবদুল মতিন আহমেদ ত্বহা, মাজ মুনির আহমেদ এবং মুজাম্মিল শরিফ। এই চারজনকে তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করছে। তাদের বিরুদ্ধে এনআইএ (NIA) আইপিসি (IPC), ইউএপিএ (UAPA) আইন, বিস্ফোরক পদার্থ আইন এবং পিডিএলপি (PDLP) আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে সংযোগ

    এনআইএ (NIA) ২০১২ সাল থেকে লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) বেঙ্গালুরু ষড়যন্ত্র মামলায় মহম্মদ শাহিদ ফয়জালকে পলাতক জঙ্গি হিসাবে নাম প্রকাশ করেছিল৷ নাশকতামূলক কাজের জন্য শাজিব ও ত্বহাকে অর্থ সহায়তা করত ওই জঙ্গি। বিস্ফোরণ মামলায় ফয়জালকে নাশকতামূলক কার্যকলাপে টাকা সরবরাহ করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। ত্বহাকে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের পিছনে মাস্টারমাইন্ড বলে দাখিল করা চার্জশিটে উল্লেখ করেছে এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ৩ মার্চ মামলাটি হাতে নেওয়ার পরে বেশ কয়েকটি রাজ্য পুলিশ ইউনিট এবং অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতা, বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো হয়। জানা গিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে আল-হিন্দ মডিউলটি ভাঙার পর থেকে শাজিব এবং ত্বহা পলাতক হয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    আল-হিন্দের ১৭ জন সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট

    আল-হিন্দ হল ২০-সদস্যের আইসিস মডিউল। বেঙ্গালুরুতে যার নেতৃত্বে ছিল মেহবুব পাশা, কুড্ডালোর নেতৃত্বে ছিল খোয়াজা মইদিন। আবার বেঙ্গালুরুর গুরুপানপাল্যাতে পাশার আল-হিন্দ ট্রাস্ট অফিস থেকে নাশকতামূলক কাজের পরিকল্পনা করা হত। তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, এবং কেরলেও এই গ্রুপ বেশ সক্রিয় রয়েছে। মূলত জঙ্গলে আত্মগোপন করে ষড়যন্ত্রের কাজ চালানো হত। এমনকী, গভীর জঙ্গলে কীভাবে বেঁচে থাকা যায় তা শিখতে বিখ্যাত চন্দন দস্যু বীরাপ্পনের বইও কিনেছিল জঙ্গিরা। আল-হিন্দের ১৭ জন সদস্যের বিরুদ্ধে এনআইএ (NIA) চার্জশিট দিয়েছে। তাদের প্রধান টার্গেট ছিল হিন্দু ধর্মীয় নেতা, রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ অফিসার, সরকারী আধিকারিক এবং নির্দিষ্ট উচ্চ-প্রোফাইল যুক্ত ব্যক্তি।

    আরও পড়ুনঃ মাওবাদী দমনে সক্রিয় সরকার, ৪ হাজার সিআরপিএফ পৌঁছল ছত্তিশগড়ে

    ত্বহা ছিল হামলার মূলচক্রী

    এনআইএ (NIA) জানিয়েছে, অভিযুক্তরা জালিয়াতি করে ভারতীয় সিম কার্ড এবং ভারতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি নিয়েছিল। সেই সঙ্গে ডার্ক ওয়েব থেকে ডাউনলোড করা বিভিন্ন ভারতীয় ও বাংলাদেশি পরিচয় নথিও ব্যবহার করেছিল। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে, পলাতক জঙ্গি মহম্মদ শাহিদ ফয়জালের সঙ্গে লস্কর জঙ্গি শোয়েব আহমেদ মির্জার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল ত্বহা। মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনআইএ-র মতে, ত্বহা ছিল হামলার মূলচক্রী। মুসাভির হোসেন শাজিব ছিল বিস্ফোরণ হামলাকারী। মুজাম্মিল শরিফ, হামলার সরঞ্জাম হিসেবে সিম কার্ড-স্মার্টফোনের সরবরাহ করেছিল। বিস্ফোরণ বাস্তবায়নে মাজ মুনির আহমেদ এবং শোয়েব আহমেদ মির্জা সক্রিয় ভাবে কাজ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Train Derailment Attempt: লাইনে সিলিন্ডার, সিমেন্টের ব্লক! রেল দুর্ঘটনা ঘটানোর চক্রান্ত! নেপথ্যে জঙ্গি-হাত?

    Train Derailment Attempt: লাইনে সিলিন্ডার, সিমেন্টের ব্লক! রেল দুর্ঘটনা ঘটানোর চক্রান্ত! নেপথ্যে জঙ্গি-হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার কানপুরের শিবরাজপুরের কাছে রেললাইনের ওপর রাখা ছিল রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার (Train Derailment Attempt)। অল্পের জন্য রক্ষা পায় কালিন্দি এক্সপ্রেস। সোমবার, রাজস্থানের আজমের মালবাহী করিডরের রেললাইনে প্রায় ৭০ কেজি ওজনের সিমেন্টের দুটি ব্লক রেখে দেওয়া হয়েছিল। যার এক-একটির ওজন প্রায় ৭০ কেজি! 

    জঙ্গিদের পদ্ধতি বদল

    দু’দিন। দু’জায়গা। দুটি ক্ষেত্রেই লাইনচ্যুত (Train Sabotage Foiled) করানোর চেষ্টা হয়েছে ট্রেন। গত কয়েক মাসে এ ধরনের ঘটনা বেড়েছে বই কমেনি। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জঙ্গিরা এখন বিস্ফোরণের ছক থেকে বেরিয়ে এসে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করার চেষ্টা করছে। প্রথমত, সড়ক, জল বা আকাশপথে এখন নজরদারি কঠোর যাওয়ায়, বিস্ফোরণ ঘটানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে জঙ্গিদের কাছে। দ্বিতীয়ত, চারদিকে, সিসি ক্যামেরার ফলে, তাদের সব কার্যকলাপ ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে, শহর থেকে দূরে, জনমানসহীন এলাকায় রেললাইনে ফাঁদ পেতে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা (Train Derailment Attempt) করছে জঙ্গিরা। 

    কানপুরে লাইনে সিলিন্ডার

    সোমবার কানপুরে অল্পের জন্য রক্ষা পায় কালিন্দি এক্সপ্রেস। যাত্রীবাহি ট্রেনটি প্রয়াগরাজ থেকে যাচ্ছিল মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডিতে। রেল সূত্রে খবর, কানপুরের শিবরাজপুরের কাছে রেললাইনের ওপর রাখা ছিল রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার। চালকের তৎপরতায় এড়ানো গিয়েছে বড়সড় দুর্ঘটনা। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে আরপিএফ। সিলিন্ডারটি উদ্ধার করার পাশাপাশি আরও কিছু সন্দেহজনক জিনিসও উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। রেল লাইনে যে জায়গা থেকে সিলিন্ডারটি উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে বোতল ভর্তি একটি হলুদ রংয়ের পদার্থও পাওয়া গিয়েছে (Train Derailment Attempt)। লাইনের ওপর থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক পেট্রল ভরা বোতল ও দেশলাই। ট্র্যাকে ভারী কিছু লোহার জিনিস ঘষার চিহ্নও দেখা গিয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, সিলিন্ডারটিতে বিস্ফোরক কিছু থাকলেও, থাকতে পারে। তদন্তকারীরা একটি ব্যাগও উদ্ধার করেছেন।

    রেললাইনে সিমেন্টের ব্লক

    কানপুরের এই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, ফের একই রকম দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টার খবর এল রাজস্থানের আজমের থেকে। এবার মালবাহী করিডরের রেললাইনে প্রায় ৭০ কেজি ওজনের সিমেন্টের দুটি ব্লক রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। এই করিডর দিয়েই একটি মালগাড়ি গিয়েছিল। সিমেন্টের ব্লকের সঙ্গে মালগাড়িটির ধাক্কা লাগলেও, ট্রেনটির কোনও ক্ষতি হয়নি। ট্রেনটি ঠিকঠাকই গন্তব্যে পৌঁছেছে। সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ফুলেরা-আমেদাবাদ অংশের সরাধনা ও বাঙ্গাদ স্টেশনের মাঝে। খবর পেয়ে এলাকায় যান রেলকর্মীরা। তাঁরা প্রথমে রেললাইনের ওপর সিমেন্টের একটি ব্লক দেখতে পান। পরে কিছুটা দূরেই দেখা মেলে আরও একটি ব্লকের। রেলওয়ে আইন ও সরকারি সম্পত্তি ক্ষতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। এই ঘটনায়ও নাশকতার চেষ্টার হাত দেখছেন তদন্তকারীদের একাংশ। লাইনের ওপর সিমেন্টের ব্লক না রাখলে, সেটি কোনওভাবেই সেখানে আসার কথা নয়। তাই দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য কী, কেনই বা তারা মালগাড়ির করিডরে সিমেন্টের ব্লক রাখল, তাও স্পষ্ট নয়। এসবই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।  

    আরও পড়ুন: মণিপুর হিংসায় আন্তর্জাতিক যোগ! শান্তি ফেরাতে সরকারকে আর্জি আরএসএস-এর

    রেললাইনে বাইকের স্ক্র্যাপ 

    রাজস্থানের বারান জেলার ঘটনার কথাই ধরা যাক। ২৯ অগাস্ট রাতে ছাবড়া এলাকার চাচাউদা গ্রামের কাছে কে বা কারা রেললাইনের ওপর রেখে দিয়েছিল বাইকের স্ক্র্যাপ। ঘটনাটি নজরে পড়ায় চালক ব্রেক কষেন। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। এই ঘটনার নেপথ্যে যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা জলের মতো স্পষ্ট। কারণ দুর্ঘটনা ছাড়া রেলের লাইনে বাইকের স্ক্র্যাপ আসার কথা নয়। সেদিন ওই এলাকায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে রেল সূত্রে খবর। প্রশ্ন হল, রেলওয়ে ট্র্যাকের ওপর কারা রাখল বাইকের স্ক্র্যাপ?

    রেললাইনে বোল্ডার

    রেললাইনের ওপর (Train Derailment Attempt) বোল্ডার ফেলে রাখায় লাইনচ্যুত হয়েছে সবরমতী এক্সপ্রেস। ভোর রাতে বারাণসী থেকে আমেদাবাদ যাওয়ার ১৯১৬৮ নম্বরের ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয় উত্তরপ্রদেশের কানপুর ও ভীমসেন স্টেশনের মাঝে। ঝাঁসির দিকে যাওয়ার সময় ট্রেনটি গিয়ে ধাক্কা মারে লাইনের ওপর থাকা বোল্ডারে। বেলাইন হয় ট্রেনটি। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। স্থানীয়দের দাবি, রেলের গতি কম থাকায়ই এড়ানো গিয়েছে মৃত্যু। দুর্ঘটনার নেপথ্যে নাশকতার ছক রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে রেল। লাইনের ওপর বোল্ডার আসার কথা নয়। তাই বোল্ডারটি কীভাবে রেলওয়ে ট্র্যাকে চলে এল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার পরে (Train Sabotage Foiled) পরে রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, বোল্ডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ট্রেনের সামনে থাকা ক্যাটল গার্ডের ক্ষতি হয়েছে। নাশকতার ইঙ্গিত মিলেছে রেলমন্ত্রী অশ্বনী বৈষ্ণবের কথায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন “ভারী ধাক্কার চিহ্ন রয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা বিভাগ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।”

    সরকারকে হেয় করার চেষ্টা!

    এর আগেও এমনতর ঘটনা (Train Derailment Attempt) ঘটেছে। মোদি সরকারকে জনমানসে হেয় করতে রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছে আস্ত গাছের গুঁড়ি। গত জুনে ঘটনাটি ঘটে ওড়িশার ভদ্রকে। ওই বছরেরই অক্টোবরে ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের মধ্যে সংযোগকারী রেললাইনে ফেলে রাখা হয় পাথর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তামিলনাড়ুতে বন্দে ভারত লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। পশ্চিমবঙ্গের মালদায় সিগন্যাল টেম্পারিং করা হয়। পশ্চিমবঙ্গেরই বীরভূমে ভাঙচুর করা হয় লোকাল ট্রেনে। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আবার রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয় গ্যাস সিলিন্ডার, হাতুড়ি। এরই কিছুদিন পরেই ফের এই এলাকায় রেললাইনে ফেলে রাখা হয় গ্যাস সিলিন্ডার এবং সাইকেল। রেললাইনের ওপর আস্ত বাইক রেখে চলে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এবারও অকুস্থল সেই প্রয়াগরাজ। তেলঙ্গনায় আবার রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছিল লোহার ইয়া বড় রড (Train Derailment Attempt)। উত্তরপ্রদেশের কানপুরে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় গ্যাস সিলিন্ডার।

    কী বলছে বিজেপি

    বারংবার এমন ঘটনা ঘটার নেপথ্যে যে কোনও গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র রয়েছে তা মনে করেছেন অনেকেই। বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, “কিছু ব্যক্তি ও সংস্থা দেশে অরাজকতা ও অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ এমনটা সহ্য করবে না। ঘটনাপ্রবাহকে তিনি ষড়যন্ত্র বলেই মনে করেন।” ভাটিয়া বলেন, “এটা উদ্বেগের বিষয় যে কিছু ব্যক্তি ও সংস্থা রয়েছে যারা ক্ষমতার লোভে দেশে দাঙ্গা ও অশান্তি পাকাতে চায়। এ ধরনের কাজের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘টাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন’’, মমতাকে তোপ নির্যাতিতার মায়ের

    জঙ্গি-যোগের প্রমাণ!

    এদিকে, উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টায় জঙ্গি যোগের প্রমাণ মিলেছে। জঙ্গিরা প্রয়াগরাজ-ভিওয়ানি কালিন্দি এক্সপ্রেস উল্টে দেওয়ার ছক কষেছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, যে এই ষড়যন্ত্রের চাঁই, সে স্ব-উগ্রপন্থী। সে আইসিসের খোরাসান মডিউলের সঙ্গে জড়িত বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এনআইএ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে জানা যাবে, ঘটনার (Train Sabotage Foiled) নেপথ্যে কোন জঙ্গি গোষ্ঠী কিংবা কোন দুষ্কৃতীর হাত (Train Derailment Attempt)। কানপুরের ঘটনা খতিয়ে দেখছে এনআইএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur violence: মণিপুর হিংসায় আন্তর্জাতিক যোগ! শান্তি ফেরাতে সরকারকে আর্জি আরএসএস-এর

    Manipur violence: মণিপুর হিংসায় আন্তর্জাতিক যোগ! শান্তি ফেরাতে সরকারকে আর্জি আরএসএস-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সেপ্টেম্বর মাস থেকে ফের অশান্তি ছড়িয়েছে মণিপুরে। গত কয়েকদিনের হিংসায় এখনও পর্যন্ত আটজনের (Manipur violence) মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই আবহে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মণিপুর শাখা একটি বৈঠক করে গত শনিবার। আরএসএস-এর (RSS) প্রদেশ স্তরের এই বৈঠকে আলোচনা করা হয় সে রাজ্যের হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে। এরপরেই সংবাদমাধ্যমে আরএসএস-এর মণিপুর শাখা এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) মণিপুর শাখা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সাধারণ নাগরিক সমাজের ওপরে কুকি জঙ্গিরা যে ধরনের হামলা চালাচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সঙ্ঘের প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘এই হামলাগুলির মধ্যে ড্রোন, রকেট, মিসাইল- এ সমস্ত কিছু ব্যবহার হচ্ছে। এই ধরনের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের (Manipur violence) ব্যবহার বুঝিয়ে দিচ্ছে যে এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক যোগও রয়েছে।’’

    কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক (Manipur violence)

    রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে খুব দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জিও জানানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) এই প্রেস বিবৃতিতে। ওই প্রেস বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘শান্তি এখনও ফেরানো যায়নি মণিপুরে (Manipur violence)। দীর্ঘদিন ধরে এই অশান্তি চলছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করুক এই বিষয়ে এবং মণিপুরের শান্তিকে প্রতিষ্ঠা করুক। কারণ অনেকদিন ধরে অশান্ত মণিপুরে ভুগছে সাধারণ মানুষ।’’ জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে সাধারণ মানুষ কীভাবে অসুরক্ষিত (Manipur violence) হয়ে রয়েছেন সে নিয়েও। কুকি জঙ্গিদের এই আগ্রাসন ঠেকানো অতি শীঘ্র দরকার বলেই মনে করছে আরএসএস। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) মনে করছে, কড়া পদক্ষেপই একমাত্র মণিপুরের অশান্তিকে ঠেকাতে পারে।

    কীভাবে অশান্ত হল মণিপুর (Manipur) 

    কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur Violence) ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে। দেড় বছর ধরে হিংসা চললেও এখনও থামেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 130: “ভক্তিপথ সহজ পথ, তাঁর নামগুনগান কর, প্রার্থনা কর, ভগবানকে লাভ করবে”

    Ramakrishna 130: “ভক্তিপথ সহজ পথ, তাঁর নামগুনগান কর, প্রার্থনা কর, ভগবানকে লাভ করবে”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

       ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে।
    (গীতা—৩।২৭)

    অহং কিন্তু যায় না—“বজ্জাৎ আমি”—“দাস আমি” 

    যে আমিতে সংসারী করে, কামিনী-কাঞ্চনে (Ramakrishna) আসক্ত করে, সেই আমি খারাপ। জীব ও আত্মার প্রভেদ হয়েছে, এই আমি মাঝখানে আছে বলে। জলের উপর যদি একটা লাঠি ফেলে দেওয়া যায়, তাহলে দুটো ভাগ দেখায়। বস্তুত, এক জল; লাঠিটার দরুন দুটো দেখাচ্ছে।

    অহং-ই এই লাঠি। লাঠি তুলে লও, সেই এক জলই থাকবে।

    বজ্জাৎ আমি কে? যে আমি বলে (Kathamrita), আমায় জানে না? আমার এত টাকা, আমার চেয়ে কে বড়লোক আছে? যদি চোরে দশ টাকা চুরি করে থাকে, প্রথমে টাকা কেড়ে লয়, তারপর চোরকে খুব মারে; তাতেও ছাড়ে না, পাহারাওয়ালাকে ডেকে পুলিসে দেয় ও ম্যাদ খাটায়, বজ্জাৎ আমি বলে, জানে না—আমার দশ টাকা নিয়েছে! এত বড় আস্পর্ধা!

    বিজয়—যদি অহং না গেলে সংসারে আসক্তি যাবে না, সমাধি হবে না, তাহলে ব্রহ্মজ্ঞানের পথ অবলম্বন করাই ভাল, যাতে সমাধি হয়। আর ভক্তিযোগে যদি অহং থাকে তবে জ্ঞানযোগই ভাল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—দুই-একটি লোকের সমাধি হয়ে ‘অহং’ যায় বটে, কিন্তু প্রায় যায় না। হাজার বিচার কর, ‘অহং’ ফিরে ঘুরে এসে উপস্থিত। আজ অশ্বত্থগাছ কেটে দাও, কাল আবার সকালে দেখ ফেঁকড়ি বেরিয়েছে। একান্ত যদি ‘আমি’ যাবে না, থাক শালা ‘দাস আমি’ হয়ে। ‘হে ঈশ্বর! তুমি প্রভু, আমি দাস’ এইভাবে থাক। ‘আমি দাস’, ‘আমি ভক্ত’ এরূপ ‘আমিতে’ দোষ নাই; মিষ্ট খেলে অম্বল হয়, কিন্তু মিছরি মিষ্টির (Kathamrita) মধ্যে নয়।

    জ্ঞানযোগ ভারী কঠিন। দেহাত্মবুদ্ধি না গেলে জ্ঞান হয় না। কলিযুগে অন্নগতপ্রাণ—দেহাত্মবুদ্ধি, অহংবুদ্ধি যায় না। তাই কলিযুগের পক্ষে ভক্তিযোগ। ভক্তিপথ সহজ পথ। আন্তরিক ব্যাকুল হয়ে তাঁর নামগুনগান কর, প্রার্থনা কর, ভগবানকে (Ramakrishna) লাভ করবে, কোন সন্দেহ নাই।

    যেমন জলরাশির উপর বাঁশ না রেখে একটি রেখা কাটা হয়েছে। যেন দুই ভাগ জল। আর রেখা অনেকক্ষণ থাকে না। দাস আমি, কি ভক্তের আমি, কি বালকের আমি—এরা যেন আমির রেখা মাত্র।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Al Qaeda: ভারতে আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী গড়তে চেয়েছিল ধৃত আল-কায়েদা জঙ্গি ইশতিয়াক!

    Al Qaeda: ভারতে আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী গড়তে চেয়েছিল ধৃত আল-কায়েদা জঙ্গি ইশতিয়াক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পক্ষকাল আগে পুলিশ গ্রেফতার করে আল কায়েদা-লিঙ্কড (Al Qaeda) সন্ত্রাসী (Suicide Squad) মডিউলের প্রধান ডঃ ইশতিয়াককে। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। এবার, পুলিশের সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, এই ইশতিয়াক ভারতে একটি আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী তৈরি করার চেষ্টায় ছিল।

    ইশতিয়াকের কীর্তি (Al Qaeda)

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন ট্রেনিংয়ের। সেজন্য একটি পার্বত্য এলাকা বেছে নিয়েছিল ইশতিয়াক। এখানেই জঙ্গি তৈরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তরুণদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও হচ্ছিল এই এলাকায়। চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ধৃত ইশতিয়াক, ইনামুল আনসারি, শাহবাজ আনসারি, মতিউর রহমান এবং আলতাফকে নিয়ে রাঁচি পৌঁছেছে। অভিযুক্তরা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে কতদূর এগিয়েছিল, তা জানতেই রাঁচি নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের।

    ঘন জঙ্গলে শিবির

    জঙ্গিরা তদন্তকারীদের জানিয়েছে, তারা রাঁচির চানহো গ্রামের কাছে নকাটা জঙ্গলে যেত। এই জঙ্গলের আশপাশে কোনও জনবসতি নেই। তাই ঘন জঙ্গলের ভেতরে কী হচ্ছে, বাইরে থেকে কারও নজরে আসে না। তাই জায়গাটি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সব চেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। অপরাধীরা পুলিশকে জানিয়েছে, সেখানে তাদের আত্মঘাতী জঙ্গি (Suicide Squad) হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছিল। ধৃতেরা জানিয়েছে, তারা ইশতিয়াকের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছিল। এই ইশতিয়াকই তাদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিল। তাদের সবার লক্ষ্য, ভারতে ইসলামি শাসন কায়েম করা।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বাড়িতে আর কোনওদিন…’’, মমতার উৎসব-মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্যাতিতার মা

    এই জঙ্গি দলের (Al Qaeda) নেতা ইশতিয়াক। সন্ত্রাসীদের কয়েকজন সদস্যকে একই রকম প্রশিক্ষণ দিতে রাজস্থানে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ জেনেছে, তারা আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (আকিস) মডিউলের সদস্য (Suicide Squad)। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ইশতিয়াক তার সন্ত্রাসী মডিউলকে উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানেও বিস্তৃত করেছিল। সে বিহারের লখিসরাই থেকে অস্ত্র কিনেছিল। রাজস্থানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে থেকে একে-৪৭ রাইফেল, .৩৮ বোর রিভলভার, ৬টি তাজা কার্তুজ, .৩২ বোরের ৩০টি তাজা কার্তুজ, একে-৪৭ রাইফেলের ৩০টি কার্তুজ, ডামি ইনসাস, এয়ার রাইফেল, লোহার কনুই পাইপ, হ্যান্ড গ্রেনেড ও অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়।

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগা-সহ ১৪টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করেছিল । পরে গ্রেফতার করা হয় তাদের (Al Qaeda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

LinkedIn
Share