Tag: news in bengali

news in bengali

  • RG Kar Case: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ২৫টি দেশের ১৩০টি শহরে বিক্ষোভ প্রবাসীদের

    RG Kar Case: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ২৫টি দেশের ১৩০টি শহরে বিক্ষোভ প্রবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে শিক্ষানবিশ তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ল বিদেশের মাটিতেও। ২৫টি দেশের মোট ১৩০টি শহরে প্রবাসীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলেন। রবিবার নির্যাততার জন্য ন্যায় বিচার (Justice) চেয়ে আমেরিকার ৬০টি শহরে আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মূলত ছিলেন ভারতীয়রা, তবে তাঁদের মধ্যে আয়োজক ছিলেন বাঙালি সমাজ।

    আমেরিকার কোথায় কোথায় প্রতিবাদ

    চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ (RG Kar Case) করে খুনের প্রতিবাদে আমেরিকার যে শহরগুলিতে আন্দোলন হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম — আটলান্টা, ডাবলিন, সান দিয়েগো, বস্টন, হিউস্টন, আইওয়া, মিনেয়াপোলিস, নিউ ইয়র্ক, সিয়াটল, ট্যাম্পা, ভার্জিনিয়া। আবার জাপান, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, সাউথ আফ্রিকা, জার্মানি, জাম্বিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র, স্পেন, নিউজিল্যান্ডেও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

    ব্রিটেন-সুইডেনেও বিক্ষোভ

    অন্যদিকে, ব্রিটেনের বেলফাস্ট, বার্মিংহাম, কার্ডিফ কেমব্রিজ, এডিনবরা, লিডস, লেস্টার, ম্যানচেস্টারের মতো শহরে প্রবাসী ভারতীয়রা আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। সকলের একটাই দাবি ছিল, জাস্টিস ফর আরজি কর। ন্যায় বিচারের (RG Kar Case) দাবিতে সুইডেনে মূলত মহিলারা প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনে নামেন। তাঁদের পরনে ছিল কালো পোশাক। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে গান গেয়েছেন এবং সেই সঙ্গে তুলেছেন স্লোগান। এই কর্মসূচির আয়োজক ছিলেন দীপ্তি জৈন। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবশ্য ব্রিটিশ নাগরিক। দীপ্তি বলেন, “কলকাতার হাসপাতালে কর্তব্যরত জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা শিহরিত। এটা মানব সভ্যতার লজ্জা।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বিনীতের অপসারণ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নির্দেশ রাজ্যপালের

    রবিবার রাত দখলে জনজোয়ার

    আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রবিবার ফের মেয়েদের রাত দখলকে ঘিরে রবিবার শহর কলকাতা জুড়ে জন জোয়ায়ের ঢল নেমেছিল। আপামর বাঙালি সমাজের একটাই দাবি বিচার চাই (Justice), বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীকে নির্মম ভাবে ধর্ষণ (RG Kar Case) করে হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশের ভূমিকা প্রথম থেকেই অত্যন্ত সন্দেহজনক ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৩ তারিখ থেকে মামলার তদন্ত ভার নেয় সিবিআই। সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিতে সিবিআই তার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 128: “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

    Ramakrishna 128: “মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ, সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না…”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

       ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে।
    (গীতা—৩।২৭)

    মায়া বা অহং-আবরণ গেলেই মুক্তি বা ঈশ্বরলাভ

    বিজয়—মহাশয়! কেন আমরা এরূপ বদ্ধ হয়ে আছি? কেন ঈশ্বরকে (Kathamrita) দেখতে পাই না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জীবের অহংকারই মায়া। এই অহংকার সব আবরণ করে রেখেছে। আমি মলে ঘুচিবে জঞ্জাল। যদি ঈশ্বরের কৃপায় আমি অকর্তা এই বোধ হয়ে গেল, তাহলে সে ব্যক্তি তো জীবন্মুক্ত হয়ে গেল। তার আর ভয় নাই।

    এই মায়া বা অহং যেন মেঘের স্বরূপ। সামান্য মেঘের জন্য সূর্যকে দেখা যায় না—মেঘ সরে গেলেই সূর্যকে দেখা যায়। যদি গুরুর কৃপায় একবার অহংবুদ্ধি যায়, তাহলে ঈশ্বরদর্শন হয়।

    আড়াই হাত দূরে শ্রীরামচন্দ্র, যিনি সাক্ষাৎ ঈশ্বর (Ramakrishna); মধ্যে সীতারূপিণী মায়া ব্যবধান আছে বলে লক্ষ্মণরূপ জীব সেই ঈশ্বরকে দেখতে পান নাই। এই দেখ, আমি এই গামছাখানা দিয়ে মুখের সামনে আড়াল করছি আর আমায় দেখতে পাচ্ছ না। তবু আমি এত কাছে। সেইরূপ ভগবান সকলের চেয়ে কাছে, তবু এই মায়া-আবরণের দরুন তাঁকে দেখতে পারছ না।

    জীব তো সচ্চিদানন্দস্বরূপ। কিন্তু এই মায়া বা অহংকারে তাদের সব নানা উপাধি হয়ে পড়েছে, আর তারা আপনার স্বরূপ ভুলে গেছে।

    এক-একটি উপাধি হয়, আর জীবের স্বভাব বদলে যায়। যে কালোপেড়ে কাপড় পরে আছে, অমনি দেখবে, তার নিধুর টপ্পার তান এসে জোটে; আর তাস খেলা, বেড়াতে যাবার সময় হাতে ছড়ি (stick) এইসব এসে জোটে। রোগা লোকও যদি বুট জুতা পরে সে অমনি শিস দিতে আরম্ভ করে, সিঁড়ি উঠবার সময় সাহেবদের মতো লাফিয়ে উঠতে থাকে। মানুষের হাতে যদি কলম থাকে, এমনি কলমের গুণ যে, সে অমনি একটা কাগজ-টাগজ পেলেই তার উপর ফ্যাসফ্যাস করে টান দিতে থাকবে।

    টাকাও একটি বিলক্ষণ উপাধি। টাকা হলেই মানুষ আর-একরকম হয়ে যায়, সে মানুষ থাকে না।

    এখানে একজন ব্রাহ্মণ আসা-যাওয়া করত। সে বাহিরে বেশ বিনয়ী ছিল। কিছুদিন পরে আমরা কোন্নগরে গেছলুম। হৃদে সঙ্গে ছিল। নৌকা থেকে যাই নামছি, দেখি সেই ব্রাহ্মণ গঙ্গার ধারে বসে আছে। বোধ হয়, হাওয়া খাচ্ছিল। আমাদের দেখে বলছে, কি ঠাকুর (Ramakrishna)! বলি—আছ কেমন? তার কথার স্বর শুনে আমি হৃদেকে বললাম, ওরে হৃদে! এ লোকটার টাকা হয়েছে, তাই এইরকম কথা। হৃদে হাসতে লাগল।

    একটা ব্যাঙের একটা টাকা ছিল। গর্তে তার টাকাটা ছিল। একটা হাতি সেই গর্ত ডিঙিয়ে গিছিল। তখন ব্যাঙটা বেরিয়ে এসে খুব রাগ করে হাতিকে লাথি দেখাতে লাগল। আর বললে (Kathamrita), তোর এত বড় সাধ্য যে, আমায় ডিঙিয়ে যাস! টাকার এত অহংকার।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

    Mohan Bhagwat: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) উত্তাল হয়েছে রাজ্য। প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। এই আবহে কলকাতায় এসে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। প্রসঙ্গত, রবিবারই সঙ্ঘ প্রধান হাজির ছিলেন জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির এক অনুষ্ঠানে সেখানেই তিনি বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। তখনই একজন সঙ্ঘ প্রধানকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। চিকিৎসকরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি সামনে আসছে। এনিয়ে কেন্দ্র সরকারের কি করা উচিত?’’ এই প্রশ্নের জবাবে সঙ্ঘ প্রধান (RSS) বলেন, ‘‘আরজি কর নিয়ে অনেকেই রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলছেন, এবিষয়ে যা সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নেবে। কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন থাকবে সঙ্ঘের।’’ এনিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা, তবে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত করলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)? তবে সরাসরি তিনি অবশ্য রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে কিছু বললেননি। সবটাই ছেড়েছেন কেন্দ্রের ওপর। উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। নারী সুরক্ষা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে। সেই প্রেক্ষিতে, মোহন ভাগবতের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বটে।

    গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন (RSS)  

    আরজি কর নিয়ে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের করা উচিত বলেও জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সরসঙ্ঘচালকের বক্তব্য, ‘‘যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।’’ আরএসএস (RSS) প্রধানের আরও দাবি, যে বা যারাই দোষী হোক, তাদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে কঠোর সাজা দিতে হবে। মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। দোষীদের শাস্তি দিতে সরকার যা পদক্ষেপ করবে, তাতে পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’’

    ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মাতৃশক্তির বন্দনা করে এসেছে

    সাংগঠনিক কাজে দু’দিনের সফরে শনিবারই কলকাতায় এসেছিলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বাংলায় এসে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মাতৃশক্তির বন্দনা করে এসেছে। যখন সীতাহরণ হয়েছে, তখন রামায়ণ হয়েছে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হওয়ায় মহাভারত হয়েছে। সেই ভারতে কী করে এই ঘটনা ঘটে?’’ সরসঙ্ঘচালকের স্পষ্ট কথা, ‘‘সাধারণ নাগরিকদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর মামলায় আজ সুপ্রিম শুনানি, রবিতে রাত জাগল বাংলা

    RG Kar: আরজি কর মামলায় আজ সুপ্রিম শুনানি, রবিতে রাত জাগল বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর, আরজি করের (RG Kar) ঘটনার একমাস পূর্ণ হল। এদিনই এই মামলার শুনানি রয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম শুনানির (Supreme Court) দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। প্রসঙ্গত, শুনানি হওয়ার কথা ছিল গত ৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় অসুস্থ থাকায় তা পিছিয়ে যায়। ৫ সেপ্টেম্বরের শুনানিকে সামনে রেখে ৪ সেপ্টেম্বর রাত দখলের কর্মসূচি করেন নাগরিকরা।

    রবির রাত জাগল বাংলা

    এদিকে, সোমবার সুপ্রিম শুনানির আগেও বিনিদ্র রাত কাটালেন নাগরিকেরা। যাদবপুর, শ্যামবাজার, গড়িয়া, লেকটাউন, সোদপুর, বারাকপুর থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ, কোচবিহার সহ সারা রাজ্যে এই একই ছবি দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, সোমবার শিলিগুড়িতে করা হয় ভোর দখল কর্মসূচি। মর্মান্তিক ঘটনার (Supreme Court) একমাস অতিক্রান্ত হলেও জনগণের প্রতিবাদ যে এতটুকু কমেনি তা এই কর্মসূচিগুলিতেই বোঝা যাচ্ছে। কোথাও মশাল, কোথাও মোবাইলে ফ্ল্যাশ লাইট, গানে-কবিতায়-স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কলকাতা থেকে জেলা। বিকেলে ডাক্তারদের মিছিলে যোগ দেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা দুজনে বক্তব্য রাখেন। এখানেই নির্যাতিতার বাবা জানান, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ (আমরা বিচার চাই) আর নয়। এ বার স্লোগান হোক ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’ (বিচার আমাদের দাবি)।

    সুপ্রিম শুনানির আগের দিন রবিবারের কর্মসূচিগুলি (RG Kar) এক ঝলকে

    কালো বেলুনে প্রতিবাদ

    এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ থেকে মিছিল হয় ধর্মতলা পর্যন্ত। সেখান থেকে কালো বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ জানান ডাক্তাররা। এই মিছিলে ছিলেন নির্যাতিতার (RG Kar) বাবা-মা।

    রিকশা চালকদের প্রতিবাদ

    আরজি করের (RG Kar) বিচার চেয়ে হেদুয়া থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত রবিবার মিছিল করেছেন উত্তর কলকাতার টানা রিকশা চালকেরা।

    মৃৎশিল্পীদের প্রতিবাদ

    কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীরাও রঙ তুলি হাতে রবিবার প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে তাঁরা হেঁটেছেন উত্তর কলকাতার রাস্তায়।

    ১৫ কিমির মানববন্ধন

    সোদপুর থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে রবিবার রাতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ তাতে অংশ নিয়েছেন।

    ফুটবলপ্রেমীদের মিছিল

    ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের সমর্থকেরা উত্তর কলকাতার সিমলা পল্লিতে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করেছেন।

    রাস্তায় রঙের মেলা

    নানা রঙে রাস্তায় নানা ছবি এঁকেছেন চিত্রকরেরা। তাঁদের কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষও। এই কর্মসূচি ছিল মূলত দক্ষিণ কলকাতায়।

    রাত ‘দখল’

    রবিবার রাত ১১টার পর থেকে রাতদখল কর্মসূচির আহ্বান জানানো হয়েছিল। তাতেও বহু সাধারণ মানুষ শামিল হয়েছেন। রাত যত বেড়েছে, প্রতিবাদ তত জোরালো হয়েছে।

    বিদেশেও প্রতিবাদ

    আমেরিকার আটলান্টা, সান দিয়েগো, বস্টন, হিউস্টন, আইওয়া, মিনেয়াপোলিস, নিউ ইয়র্ক, সিয়াটল, ট্যাম্পা, ভার্জিনিয়া-সহ নানা শহরে প্রতিবাদ হয়েছে। ব্রিটেনের বেলফাস্ট, বার্মিংহাম, কার্ডিফ কেমব্রিজ, এডিনবরা, লিডস, লেস্টার, ম্যানচেস্টার-সহ নানা শহর ছাড়াও আয়ারল্যান্ড, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, জাম্বিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র, স্পেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডেও পালিত হয়েছে কর্মসূচি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nepal Ghar Wapsi: নেপালে ২০০০ খ্রিস্টানকে ‘ঘর ওয়াপসি’ করাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    Nepal Ghar Wapsi: নেপালে ২০০০ খ্রিস্টানকে ‘ঘর ওয়াপসি’ করাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি নেপালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি, Vishva Hindu Parishad  Nepal) ২০০০ হিন্দুকে ‘ঘর ওয়াপসি’ (Nepal Ghar Wapsi) করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ধর্মান্তরের শিকার হওয়া হিন্দুদের আর একবার নিজের ধর্মে ফিরিয়ে এনে সামজিক ভারসাম্যকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি। নিজের ধর্মে ফিরিয়ে পরিবর্তনশীল জনসংখ্যার আবহে, সনাতন ধর্মের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতিকে আর একবার পুনর্ব্যক্ত করেছে ভিএইচপি নেপাল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে হাজার হাজার খ্রিস্টানকেও হিন্দু ধর্মে স্বাগত জানানো হয়েছে। বিপথগামী এই ব্যক্তিদের পুনরায় একত্রিত করতে এবং তাঁদের মধ্যে সনাতনী আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে শক্তিশালী করতে একটি হিন্দু আচার অনুষ্ঠানও এদিন পালিত হয়েছে। যাঁরা নিজের ধর্মে ফিরলেন, তাঁরাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

    বৈদিক মন্ত্র পাঠ এবং যজ্ঞের প্রত্যাবর্তন (Nepal Ghar Wapsi)

    নেপাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishva Hindu Parishad  Nepal) জাতীয় সংগঠন সম্পাদক, জাতীয় সভাপতি এবং অনেক সমাজকর্মী সম্মিলিত ভাবে এই ‘ঘর ওয়াপসি’ (Nepal Ghar Wapsi) অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এই অনুষ্ঠানে বৈদিক মন্ত্র পাঠ এবং যজ্ঞের মাধ্যমে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণকারীরা নিজের ইচ্ছায় সনাতন ধর্মে ফিরে আসেন। হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে সকল নারী ও পুরুষেরর মুখে আনন্দ, হর্ষ এবং উল্লাসের চিত্র ধরা পড়েছে। এই বিষয়ে, ধর্মান্তরের শিকার ভীম পরাজুলি বলেন, “সনাতন ধর্ম থেকে খ্রিষ্টান ধর্মে রূপান্তরের জন্য প্রচুর প্রলোভন এবং আর্থিক সহযোগিতার কথা বলা হত। আর ঠিক সেই আবহের মধ্যে পড়ে গভীর ধর্মীয় মেরুকরণের শিকার হয় মানুষ। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে গোটা ষড়যন্ত্রের কুপ্রভাব সম্পর্কে বুঝতে পারেন সকলেই। যাঁরা অজ্ঞতার কারণে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে আমরাও ছিলাম। এখন স্বেচ্ছায় আমরা সনাতন ধর্মকে স্বীকার করেছি এবং হিন্দু ধর্মও আমাদের স্বাগত জানিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ মার্কিন মুলুকে হামলার ষড়ষন্ত্র, গণহত্যার পরিকল্পনা, গ্রেফতার পাক তরুণ

    হনুমান চাল্লিশা দিয়ে বরণ করা হয়

    নেপালের সুনসারি, মোরাং এবং অন্যান্য জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় স্বধর্মে (Nepal Ghar Wapsi) ফিরে আসতে শুরু করেছেন। এদিন যজ্ঞের পর সকল প্রত্যাবর্তনকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয় হনুমান চালিশা। ফলে মূল বিশ্বাসের শিকড় অন্বেষণ ও স্মরণ করার কাজ সহজ হয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে খজরানা গণেশ মন্দিরে আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের আটজন ব্যক্তি হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। একই ভাবে ঝাড়খণ্ডেও ১৫০ জন মানুষ খ্রিষ্টান ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে (Vishva Hindu Parishad  Nepal) জানানো হয়েছে, সকলকেই সম্পূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান, বিধি-নিয়ম মেনে সনাতন ধর্মে স্বাগত জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 127: “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    Ramakrishna 127: “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ঈশ্বরের আদেশ প্রাপ্ত হলে তবে ঠিক আচার্য

    বিজয়—ব্রাহ্মসমাজের কাজ করতে হয়, তাই সদা-সর্বদা আসতে পারি না; সুবিধা হলে আসব।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিজয়ের প্রতি)—দেখ, আচার্যের কাজ বড় কঠিন, ঈশ্বরের (Ramakrishna) সাক্ষাৎ আদেশ ব্যতিরেকে লোকশিক্ষা দেওয়া যায় না।

    যদি আদেশ না পেয়ে উপদেশ দাও (Kathamrita), লোকে শুনবে না। সে উপদেশের কোন শক্তি নাই। আগে সাধন করে, বা যে কোনরূপে হোক ঈশ্বরলাভ করতে হয়। তাঁর আদেশ পেয়ে লেকচার দিতে হয়। ও-দেশে একটি পুকুর আছে, নাম হালদার-পুকুর। তার পাড়ে রোজ লোকে বাহ্যে করে রাখত। সকালে যারা ঘাটে আসত তারা তাদের গালাগালি দিয়ে খুব গোলমাল করত। গালাগালে কোন কাজ হত না—আবার তার পরদিন পাড়েতেই বাহ্যে। শেষে কোম্পানীর চাপরাসী এসে নোটিশ টাঙিয়ে দিল যে, এখানে কেউ ওরূপ কাজ করতে পারবে না। যদি করে, শাস্তি হবে। এই নোটিশের পর আর কেউ পাড়ে বাহ্য করত না।

    তাঁর আদেশের পর যেখানে সেখানে আচার্য হওয়া যায় ও লেকচার দেওয়া যায়। যে তাঁর আদেশ পায় (Kathamrita), সে তাঁর কাছ থেকে শক্তি পায়। তখন এই কঠিন আচার্যের কর্ম করতে পারে।

    এক বড় জমিদারের সঙ্গে একজন সামান্য প্রজা বড় আদালতে মোকদ্দমা করেছিল। তখন লোকে বুঝেছিল যে, ওই প্রজার পেছনে একজন বলবান লোক আছে। হয়তো আর-একজন বড় জমিদার তার পেছনে থেকে মোকদ্দমা চালাচ্ছে। মানুষ সামান্য জীব, ঈশ্বরের সাক্ষাৎ শক্তি না পেলে আচার্যের এমন কঠিন কাজ করতে পারে না।

    বিজয়— মহাশয়! ব্রাহ্মসমাজে যে উপদেশাদি হয়, তাতে কি লোকের পরিত্রাণ হয় না?

    সচ্চিদানন্দই গুরু — মুক্তি তিনিই দেন 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—মানুষের কি সাধ্য অপরকে সংসারবন্ধন থেকে মুক্ত করে। যাঁর এই ভুবনমোহিনী মায়া, তিনিই সেই মায়া থেকে মুক্ত করতে পারেন। সচ্চিদানন্দগুরু বই আর গতি নাই। যারা ঈশ্বরলাভ করে নাই, তাঁর আদেশ পায় নাই, যারা ঈশ্বরের শক্তিতে শক্তিমান হয় নাই, তাদের কি সাধ্য জীবের ভববন্ধন মোচন করে।

    আমি একদিন পঞ্চবটীর কাছ দিয়ে ঝাউতলায় বাহ্যে যাচ্ছিলাম (Kathamrita)। শুনতে পেলুম যে, একটা কোলা ব্যাঙ খুব ডাকছে। বোধ হল সাপে ধরেছে। অনেকক্ষণ পরে যখন ফিরে আসছি, তখনও দেখি, ব্যাঙটা খুব ডাকছে। একবার উঁকি মেরে দেখলুম কি হয়েছে। দেখি, একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে—ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না—ব্যাঙটার যন্ত্রণা ঘুচছে না। তখন ভাবলাম, ওরে! যদি জাতসাপে ধরত, তিন ডাকের পর ব্যাঙটা চুপ হয়ে যেত। এ-একটা ঢোঁড়ায় ধরেছে কি না, তাই সাপটারও যন্ত্রণা, ব্যাঙটারও যন্ত্রণা!

    যদি সদ্‌গুরু (Ramakrishna) হয়, জীবের অহংকার তিন ডাকে ঘুচে। গুরু কাঁচা হলে গুরুরও যন্ত্রণা, শিষ্যেরও যন্ত্রণা! শিষ্যেরও অহংকার আর ঘুচে না, সংসারবন্ধন আর কাটে না। কাঁচা গুরুর পাল্লায় পড়লে শিষ্য মুক্ত হয় না।

    আরও পড়ুনঃ “ঈশ্বর বড় চুম্বক পাথর, তাঁর কাছে কামিনী ছোট চুম্বক পাথর! কামিনী কি করবে?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shiv Tandav Stotra: সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে জীবন! সোমবার ‘শিব তাণ্ডব স্তোত্র’ পাঠের সুফল জানেন?

    Shiv Tandav Stotra: সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে জীবন! সোমবার ‘শিব তাণ্ডব স্তোত্র’ পাঠের সুফল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিনই শিবপুজো ভক্তি সহকারে করা যায়। তবে সোমবার দেবাদিদেব মহাদেবের (Lord Shiva) আরাধনার বিশেষ দিন। শিবপুজোর পাশাপাশি মহাদেবের বিভিন্ন স্তোত্র পাঠ করলেও মেলে বিশেষ ফল, এমনটাই বলছেন পণ্ডিতরা। শিবের বিভিন্ন স্তোত্রের মধ্যে অন্যতম হল শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra), পৌরাণিক মতে যা রচনা করেছিলেন রাবণ। কিংবদন্তি অনুসারে, লঙ্কাধিপতি রাবণ অসুরকুলের হলেও, তিনি ছিলেন প্রচণ্ড জ্ঞানী ও শিবের একনিষ্ঠ ভক্ত। শিবকে প্রসন্ন করার জন্য তিনিই রচনা করেছিলেন শিব তাণ্ডব স্তোত্র। ভক্তদের বিশ্বাস, শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra) পাঠ করা হলে স্বয়ং মহাদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। শাস্ত্র মতে, সোমবার শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করলে মহাদেবের বিশেষ আশীর্বাদ লাভ করা যায়।  শিব তাণ্ডব স্তোত্র নিয়েই আজকে আমাদের প্রতিবেদন। জেনে নিন কীভাবে পাঠ করবেন এই মন্ত্র। এই স্তোত্র পাঠে কী কী ফল মেলে, তাও জানুন।

    পৌরাণিক আখ্যান

    পুরাণ অনুযায়ী, লঙ্কার রাজা রাবণ শিবের পরম ভক্ত ছিলেন। শিবের উদ্দেশে একটি বিশেষ স্তুতি স্বরূপ এই শিব তাণ্ডব স্তোত্র রচনা করেন রাবণ। এই স্তোত্রটি বিবিধ অলংকারে সমৃদ্ধ। ছন্দের মালা দিয়েই তৈরি হয়েছে এই মন্ত্র। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, রাবণ শিব কৈলাশ পর্বত তুলে লঙ্কার উদ্দেশে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিলে, ভগবান শিব নিজের পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে কৈলাশ পর্বতকে চেপে দেন। যার ফলে রাবণের হাত কৈলাশ পর্বতে চাপা পড়ে যায়। তখনই শিবকে প্রসন্ন করার জন্য স্তুতি লেখেন রাবণ। এই স্তুতিটিই শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra) নামে প্রসিদ্ধ। আর যে স্থানে রাবণ চাপা পড়েছিল, সেটি রাক্ষস তাল নামে পরিচিত হয়ে রয়েছে। তাণ্ডব শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল তণ্ডুল, সহজ বাংলায় লাফানো। শাস্ত্র মতে, তাণ্ডব নৃত্য শুধুমাত্র পুরুষরাই করতে পারেন। স্ত্রীদের তাণ্ডব নৃত্য করা নিষিদ্ধ। শিব তাণ্ডব স্তোত্র নেচে নেচে পাঠ করা সর্বোত্তম বলেই মনে করেন শাস্ত্র বিশারদরা।

    কখন পাঠ করবেন শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra)?

    পরিবারের কোনও সদস্য স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি না-পেলে, সমস্ত ধরনের তন্ত্র-মন্ত্রে বাধা দিলে, শত্রু সমস্যায় ফেললে আবার আর্থিক ও রোজগার সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিলে শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করতে পারেন। এ ছাড়াও বিশেষ মনস্কামনা পূরণ বা গ্রহ দোষ সমাপ্ত করার ইচ্ছা থাকলেও এই স্তোত্র পাঠ করা যেতে পারে।

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র (Shiv Tandav Stotra) পাঠের নিয়ম

    শাস্ত্র মতে সকাল বেলা হল আদর্শ সময় শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করার ক্ষেত্রে, তবে সন্ধ্যাতেও করা যায়। এই স্তোত্র পাঠ করার আগে শিবকে প্রণাম করুন। তার পর ধূপ, দীপ ও নৈবেদ্য অর্পণ করে তাঁর পুজো করুন। এর পর সুর করে শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করবেন। আগেই বলা হয়েছে, নৃত্যরত অবস্থায় এই স্তোত্র পাঠ করা সর্বোত্তম। স্তোত্র পাঠ শেষ হলে শিবের (Lord Shiva) ধ্যান ও প্রার্থনা করুন।

    দেবাদিদেবের শক্তি ও সৌন্দর্যের বর্ণনা রয়েছে পুরো শিব তাণ্ডব স্তোত্রে। ইউটিউবে গেলে বিভিন্ন খ্যাতনামা গায়কের কণ্ঠে শিব তাণ্ডব স্তোত্রের ছন্দময় উচ্চারণ শুনতে পাওয়া যায়। শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করার রীতিও পাবেন এখানে। মনে করা হয়, কোনও ব্যক্তি যদি শিব তাণ্ডব স্তোত্র নিয়মিত পাঠ করেন, তাহলে তিনি অভাবনীয় লাভবান হন। তাঁর জীবন থেকে সমস্ত বাধা-বিপত্তি কেটে যায় এবং সংসার সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। 

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠের পদ্ধতি

    সকালে বা সন্ধ্যায় পাঠ করতে হবে।

    পরিচ্ছন্ন হয়ে পরিষ্কার কাপড় পরে তবেই পাঠ করবেন।

    ভগবান শিবের ছবি বা মূর্তির সামনে প্রণাম করার পর ভগবান শিবের আরাধনা করবেন।

    বসবেন কুশের আসনে। পরনে সাদা কুর্তা ও ধুতি থাকলে ভালো।

    আপনি উচ্চস্বরে এবং শুদ্ধ উচ্চারণেও এই পাঠটি করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আপনি শব্দগুলো ভালো করে বুঝে নিন, তারপর সঠিকভাবে উচ্চারণ করে পাঠ করুন।

    পাঠ শেষ হওয়ার পরে, ভগবান শিবের ধ্যান করুন, তারপর দেবাদিদেবের পুজো করার পরে আরতি করুন।

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠের উপকারিতা

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। মনে করা হয়, প্রতিদিন শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করলে বাকসিদ্ধ হয় ব্যক্তি।

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করলে কখনই সম্পদের অভাব হয় না। শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠে শিব প্রসন্ন হন এবং আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। এই স্তোত্র পাঠ করলে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

    শিব তাণ্ডব স্তোত্র পাঠ করলে শনি, রাহু ও কেতু দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি নিয়মিত পাঠ করলে ব্যক্তি রাশিতে সর্প যোগ, কালসর্প যোগ দোষ থেকে মুক্তি পায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ক্রীড়া ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে তিনগুণ, অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সভায় জানালেন নাড্ডা

    JP Nadda: ক্রীড়া ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে তিনগুণ, অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সভায় জানালেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadda) রবিবারই নয়া দিল্লিতে আয়োজিত ৪৪ তম অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সাধারণ (OCA General Assembly) সভায় বক্তব্য রাখেন। এখানে তিনি নিজের ভাষণে বলেন যে দেশের যুব সমাজকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরও উৎসাহিত করার জন্য বাজেটে তিনগুণ বরাদ্দ বেশি করা হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলি রূপায়ণের জন্যই এই বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপির সভাপতি। এর পাশাপাশি ২০৩৬ সালে ভারতে অলিম্পিক্স আয়োজন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

    ২০৩৬ সালে ভারতে অলিম্পিক্স আয়োজন

    জেপি নাড্ডা (JP Nadda) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে পরিকল্পনা অর্থাৎ ২০৩৬ সালে ভারতে অলিম্পিক্সের আয়োজন, সে নিয়েও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং ২০৩৬ সালে অলিম্পিক্সের আয়োজন করতে চেয়েছেন দেশের মাটিতে। আমি বিশ্বাস করি যে অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়া, নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রীর এই ইচ্ছাকে পূরণ করতে কাজ করবে।’’ জেপি নাড্ডা (JP Nadda) আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের ক্রীড়া ঐতিহ্য অনেক প্রাচীন কাল থেকেই দেখা যায়। ভারতবর্ষে দাবা খেলার রীতি দেখা যেত। সেই ধারা বর্তমানেও বজায় রয়েছে, আধুনিক ভারতেও বিভিন্ন খেলা দেখা যায়।’’ প্রসঙ্গত ৪৪তম অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিল্লির ভারত মণ্ডপমে, ভারতের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তিরা ও প্রাক্তন ভারতীয় ক্রীড়াবিরা হাজির রয়েছেন এখানে। প্রাক্তন ভারতীয় শ্যুটার রণধীর সিং অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার (OCA General Assembly) ভারতীয় শাখার প্রথম সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

    বাজেটে তিনগুণ বেশি বরাদ্দ

    নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) আরও বলেন, ‘‘বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলিকেকে রূপায়ণ করতে তিনগুণ বরাদ্দ বেশি করা হয়েছে। যেমন এর মধ্যে নেওয়া হয়েছে, ‘টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিম’। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের যুবসমাজকে আধুনিক মানের প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম এবং কোচিং সবটাই দেওয়া হচ্ছে। নিজের বক্তব্যে তিনি আরও জানিয়েছেন যে ৫ হাজারেরও বেশি পুরুষ এবং ৩ হাজারেরও বেশি মহিলা বর্তমানে ৩৪টি স্পোর্টস কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।’’ নিজের ভাষণে জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘খেলার মাধ্যমে শুধুমাত্র যে আমাদের শারীরিক বিকাশ হয় এমনটাই নয়। এর ফলে আমাদের মানসিক উন্নতিও ঘটে এবং সামাজিক সম্প্রীতিও বাড়ে।’’ প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৫ বছর পরে ভারতে আয়োজিত হচ্ছে অলিম্পিক্স কাউন্সিল অফ এশিয়ার সাধারণ সভা। এই সভার অন্যতম উদ্যোক্তা হলেন প্রাক্তন ভারতীয় শ্যুটার রণধীর সিং। নিজের ভাষণে জেপি নাড্ডা ধন্যবাদ জানান রণধীর সিংকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি, তার আগে ফের ‘মেয়েদের রাত দখল’, প্রতিবাদ বিদেশেও

    RG Kar Case: সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি, তার আগে ফের ‘মেয়েদের রাত দখল’, প্রতিবাদ বিদেশেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল ৯ সেপ্টেম্বর এক মাস পূর্ণ হবে আরজি কর হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case)। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৯ অগাস্ট। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার মাত্র এক। নির্যাতিতার জন্য প্রতিদিনই আন্দোলন চলছে কলকাতার রাজপথে। মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রয়েছে শুনানি। তদন্ত সম্পর্কে সোমবার সিবিআই বিশেষ রিপোর্ট জমা দিতে পারে, এমনটাই অনেকের আশা। গত ৪ তারিখ ছিল শুনানির দিন। কিন্তু প্রধান বিচারপতি সেদিন না আসায় শুনানি পিছিয়ে যায়। গোটা দেশের নজর এদিন সর্বোচ্চ আদালতের দিকে থাকবে। ইতিমধ্যে এই শুনানির ঠিক এক দিন আগে ‘রাত দখল’-এর ডাক দিয়েছেন প্রতিবাদী মহিলারা। একই ভাবেই বিদেশের মাটিতেও চলছে বিক্ষোভ।

    কর্মসূচি-‘শাসকের ঘুম ভাঙাতে হবে’ (RG Kar Case)

    গত ১৪ অগাস্ট অভয়ার জন্য ন্যায়বিচার (RG Kar Case) চেয়ে রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন প্রতিবাদীরা। এবারের কর্মসূচির নাম ‘শাসকের ঘুম ভাঙাতে হবে।’ এই কর্মসূচিতে যোগদান করবেন টলিউডের কলাকুশলীরা। বিকেল ৫টায় টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল হওয়ার কথা। বিকেল ৪টেয় হেদুয়ায় শুরু হওয়ার কথা মিছিল, যাবে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে রিকশা-শ্রমিকদের মিছিল’। অপর দিকে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শুনানির আগের দিন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা ‘জনতার মতামত’ নিতে ‘রাজপথে আদালত’ বসিয়েছেন। একই ভাবে জেলায় জেলায় খোলা হয় ‘অভয়া ক্লিনিক’। তার পাশেই বসে এই ‘আদালত’। পালন করা হবে মানব বন্ধন। সেই সঙ্গে মাঝ রাতে তাঁরাও আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুনঃ ‘আলো নিভিয়ে’ প্রতিবাদ, কর্মসূচিতে শুধু সিইএসসি এলাকায় সামিল প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষ!

    বিদেশেও প্রতিবাদ

    রাজ্য তথা দেশের গণ্ডি পার করে এবার বিদেশের মাটিতে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ল। আরজি করের (RG Kar Case) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার বিরুদ্ধে একাধিক জায়গায় আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের। আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির রাজধানী-সহ একাধিক শহরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। এই বিক্ষোভের কোনও উদ্যোক্তা না থাকলেও, আয়োজক বাঙালি সমাজ। ‘বিশ্বজুড়ে উঠেছে ঝড়, জাস্টিস ফর আরজি কর’-এই নামে সর্বত্র প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার আটলান্টা, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলস, ফিলাডেলফিয়া, বস্টন, ডালাস, নিউ ইয়র্ক-সহ অন্তত ৭০টি শহরে বিক্ষোভ হবে বলে জানা যায়। ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডন ছাড়়াও প্রতিবাদ কর্মসূচি হওয়ার কথা ম্যাঞ্চেস্টার, লিভারপুর, ল্যাঙ্কাশায়ারে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস, জার্মানির রাজধানী বার্লিন, ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন, স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদেও হবে প্রতিবাদ কর্মসূচি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistani Arrested: মার্কিন মুলুকে হামলার ষড়ষন্ত্র, গণহত্যার পরিকল্পনা, গ্রেফতার পাক তরুণ

    Pakistani Arrested: মার্কিন মুলুকে হামলার ষড়ষন্ত্র, গণহত্যার পরিকল্পনা, গ্রেফতার পাক তরুণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মুলুকে (New York Terror Plot) হামলা চালানোর ষড়ষন্ত্র করার অভিযোগে গ্রেফতার পাক তরুণ (Pakistani Arrested)। বর্তমানে কানাডায় বাস করে বছর কুড়ির ওই তরুণ। ইসলামিক স্টেটের সমর্থনে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে একটি ইহুদি কেন্দ্রে গণহত্যার পরিকল্পনা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই পাকিস্তানি নাগরিককে। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের ওপর হামাসের হামলার বর্ষপূর্তিতে ওই হামলার পরিকল্পনা করেছিল ওই পাকিস্তানি তরুণ।

    কানাডায় গ্রেফতার পাক তরুণ (Pakistani Arrested)

    অভিযুক্ত তরুণের নাম শাহজেব খান ওরফে শাহজেব জাদুন। তার বিরুদ্ধে যত বেশি সম্ভব ইহুদিকে হত্যা করার জন্য স্বয়ংক্রিয় ও আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগের দাবি, শাহজেব সীমান্ত পেরিয়ে কানাডা থেকে আমেরিকায় যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই সময় কুইবেকের ওরমসটাউন এলাকা থেকে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

    কী বলছে পুলিশ

    পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তরুণ ইসলামিক স্টেট সমর্থকদের একটি অফলাইন সেল তৈরির ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল। প্রশাসনের কর্তাদের আক্রমণ করতে অ্যাসল্ট রাইফেল, গোলাবারুদ এবং অন্য উপকরণ জোগাড়ের নির্দেশ দিয়েছিল সে। নিউইয়র্ক শহরে প্রচুর ইহুদি বাস করেন। তাই ওই পাক তরুণ টার্গেট করেছিল নিউইয়র্ককে।

    জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে আইএসআইএসের প্রতি অনলাইনে সে সমর্থন প্রকাশ করে (Pakistani Arrested)। পরে বিলি করতে থাকে প্রচার সামগ্রী। এনক্রিপ্ট করা মেসেজ অ্যাপ্লিকেশনগুলোয় অন্যদের সঙ্গে জড়িত ছিল সে। পরে সে প্রশাসনের দুই কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালানোর পরিকল্পনা সম্পর্কে তাদের জানায়। ওই পাক তরুণ ইহুদিদের ওপর হামলা চালানোর জন্য বেছে নিয়েছিল ৭ ও ১১ অক্টোবর।

    আরও পড়ুন: “এনআরসি’তে আবেদন না করলে মিলবে না আধার”, বড় ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    এই দু দিনের একটি হামাসদের ওপর আক্রমণের বার্ষিকী, অন্যটি ইয়োম কিপ্পুরের। ওই তরুণের বিরুদ্ধে একটি নির্দিষ্ট বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনকে মেটিরিয়াল সাপোর্ট দেওয়া এবং সম্পদ দেওয়ার দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ আনা হয়েছে (New York Terror Plot)। দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ ২০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে (Pakistani Arrested)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share