Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 120: “আত্মহত্যা করা মহাপাপ, ফিরে ফিরে সংসারে আসতে হবে…সংসার-যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে”

    Ramakrishna 120: “আত্মহত্যা করা মহাপাপ, ফিরে ফিরে সংসারে আসতে হবে…সংসার-যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ উপদেস

    প্রথম অধ্যায়

    ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্নায়ং ভূত্বাঽভবিতা বা ন ভূয়ঃ ৷
    অজো নিত্যঃ শাশ্বতোঽয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ॥
                                                                                    (গীতা—২।২০)

    মুক্তপুরুষের শরীরত্যাগ কি আত্মহত্যা?

    বিষ্ণুর এঁড়েদয়ে বাড়ি, তিনি গলায় ক্ষুর দিয়া শরীরত্যাগ করিয়াছেন। আজ প্রথমে তাঁহারই কথা হইতেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (বিজয়, মাস্টার ও ভক্তদের প্রতি)—দেখ, এই ছেলেটি শরীরত্যাগ করেছে শুনলুম, মনটা খারাপ হয়ে রয়েছে। এখানে আসত, স্কুলে পড়ত, কিন্তু বলত—সংসার ভাল লাগে না। পশ্চিমে গিয়ে কোন আত্মীয়ের কাছে কিছুদিন ছিল—সেখানে নির্জনে মাঠে, বনে, পাহাড়ে সর্বদা বসে ধ্যান করত। বলেছিল যে, কত কি ঈশ্বরীয় (Ramakrishna) রূপ দর্শন করি।

    “বোধ হয়—শেষ জন্ম। পূর্বজন্মে অনেক কাজ করা ছিল। একটু বাকী ছিল, সেইটুকু বুঝি এবার হয়ে গেল।

    পূর্বজন্মের সংস্কার মানতে হয়। শুনেছি (Kathamrita), একজন শবসাধন করছিল, গভীর বনে ভগবতীর আরাধনা করছিল। কিন্তু সে অনেক বিভীষিকা দেখতে লাগল; শেষে তাকে বাঘে নিয়ে গেল। আর-একজন বাঘের ভয়ে নিকটে একটা গাছের উপরে উঠেছিল। শব আর অন্যান্য পূজার উপকরণ তৈয়ার দেখে সে নেমে এসে আচমন করে শবের উপরে বসে গেল। একটু জপ করতে করতে মা সাক্ষাৎকার হলেন ও বললেন—আমি তোমার উপর প্রসন্ন হয়েছি, তুমি বর নাও। মার পাদপদ্মে প্রণত হয়ে সে বললে—মা, একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, তোমার কাণ্ড দেখে অবাক হয়েছি! সে ব্যক্তি এত খেটে, এত আয়োজন করে, এতদিন ধরে তোমার সাধনা করছিল, তাকে তোমার দয়া হল না! আর আমি কিছু জানি না, শুনি না, ভজনহীন, সাধনহীন, জ্ঞানহীন, ভক্তিহীন, আমার উপর এত কৃপা হল! ভগবতী হাসতে হাসতে বললেন, বাছা! তোমার জন্মান্তরের কথা স্মরণ নাই, তুমি জন্ম জন্ম আমার তপস্যা করেছিলে, সেই সাধনবলে তোমার এরূপ জোটপাট হয়েছে, তাই আমার দর্শন (Ramakrishna) পেলে। এখন বল কি বর চাও?

    একজন ভক্ত বলিলেন (Kathamrita), আত্মহত্যা করেছে শুনে ভয় হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আত্মহত্যা করা মহাপাপ, ফিরে ফিরে সংসারে আসতে হবে, আর এই সংসার-যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে।

    “তবে যদি ইশ্বরের দর্শন হয়ে কেউ শরীরত্যাগ করে, তাকে আত্মহত্যা বলে না। সে শরীরত্যাগে দোষ নাই। জ্ঞানলাভের পর কেউ কেউ শরীর ত্যাগ করে। যখন সোনার প্রতিমা একবার মাটির ছাঁচে ঢালাই হয়, তখন মাটির ছাঁচ রাখতেও পারে, ভেঙে ফেলতেও পারে।

    “অনেক বছর আগে বরাহনগর থেকে একটি ছোকরা আসত, উমের কুড়ি বছর হবে। গোপাল সেন যখন এখানে আসত তখন এত ভাব হত যে, হৃদয় কে ধরতে হত—পাছে পড়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙে যায়! সে ছোকরা একদিন হঠাৎ আমার পায়ে হাত দিয়ে বললে, আর আমি আসতে পারব না—তবে আমি চললুম। কিছুদিন পরে শুনলাম যে, সে শরীরত্যাগ করেছে।”

     

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার অব্যাহত, পদত্যাগে বাধ্য ৪৯ জন শিক্ষক!

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার অব্যাহত, পদত্যাগে বাধ্য ৪৯ জন শিক্ষক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার (Bangladesh Crisis) অব্যাহত বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে যুক্ত বিক্ষোভকারী ছাত্র ও উগ্রপন্থীদের। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। বস্তুত, তার পর থেকেই সে দেশে হিন্দুদের (Minority Teachers) ওপর অত্যাচার চরমে উঠেছে। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার একটা হয়েছে বটে, তবে তার পরেও বাংলাদেশে বন্ধ হয়নি হিন্দু নির্যাতন।

    হিন্দুদের ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে (Bangladesh Crisis)

    উচ্চ পদে থাকা হিন্দুদের ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ৪৯জন শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, উগ্রপন্থী এবং তাদের দ্বারা চালিত ছাত্ররা ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর শিক্ষকদের নানা অছিলায় ঘেরাও করে অফিসে আটকে রাখছে। অপমান করার পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে হুমকিও। এর পর ওই শিক্ষকদের সাদা কাগজ সই করাতে বাধ্য করছে তারা। কাগজের সাদা অংশে লিখে দেওয়া হচ্ছে ইস্তফাপত্র।

    বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের দাবি

    বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ছাত্র শাখা বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৩১ অগাস্ট সাংবাদিক সম্মেলন করে এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। সংগঠনের দাবি, হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ অগাস্টের ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে সারা দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ৪৯ জন শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। সংগঠনের সমন্বয়কারীদের একজন সাজিব সরকার। তিনি বলেন, “হাসিনা সরকারের পতনের পর ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা শিকার হয়েছেন হামলা, লুটপাট, নারীদের ওপর আক্রমণ, মন্দির ভাঙচুর, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ এবং সর্বোপরি হত্যার। দেশজুড়ে সংখ্যালঘু শিক্ষকদের শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে। ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে অন্তত ৪৯জনকে বাধ্য করা হয়েছে পদত্যাগ করতে।” তিনি জানান, প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis) পদত্যাগী শিক্ষকদের মধ্যে ১৯জনকে পুনর্বহাল করেছে।

    শুক্লা রানির কাহিনি

    পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল বাংলাদেশের যেসব শিক্ষককে, তাঁদের মধ্যে ছিলেন বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শুক্লা রানি হালদারও। বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৯ অগাস্ট দুপুরে ছাত্র এবং বহিরাগতরা তাঁর (Minority Teachers) অফিস ঘেরাও করে। তাঁকে কয়েক ঘণ্টা বন্দি করে রাখে। পরে উন্মত্ত জনতা তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করে। তাঁর অসহায় অবস্থার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাঁর পুরানো বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী ফেসবুকে এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘ছাত্রবান্ধব এই শিক্ষককে জঙ্গিরা যে অপমান করেছে, তা তাঁর প্রাপ্য নয়’।

    কে এই শুক্লা?

    ১৪তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা শুক্লা। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হন তিনি। তার আগে তিনি ছিলেন বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক। প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে, ২৯ অগাস্ট সকাল ১০টা নাগাদ তাঁকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদীরা। এদের মধ্যে পড়ুয়ার চেয়ে বেশি ছিল বহিরাগত। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল বিএনপির স্থানীয় এক নেতার ছেলে। ছেলেটি ওই কলেজেরই পড়ুয়া। প্রতিবাদীদের সিংহভাগই বিএনপির কর্মী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিন্দু এই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আনা হয় আর্থিক দুর্নীতি, অনিয়মিত উপস্থিতি এবং অন্যান্য অসদাচরণের অভিযোগ। দুপুর ২টো নাগাদ তাঁকে সাদা কাগজে ‘আমি পদত্যাগ করছি’ লিখতে বাধ্য করা হয়। স্বাক্ষর করতেও বাধ্য করা হয়।

    কী বলছেন তসলিমা?

    ঘটনায় ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারকে নিশানা করেছে হাসিনার দল আওয়ামি লিগ। তারা সংখ্যালঘু শিক্ষকদের গণহারে (Bangladesh Crisis) জোরপূর্বক পদত্যাগের প্রতিবেদন শেয়ার করেছে। এই জাতীয় ঘটনাকে আওয়ামি লিগ বর্ণনা করেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষকদের বৃহত্তর পরিসরে অপসারণ হিসেবে। বাংলাদেশের সঙ্কট ও ইউনূসের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করছেন। সাংবাদিক, মন্ত্রী, সাবেক সরকারের কর্মকর্তারা নিহত, হয়রানির শিকার ও বন্দি হচ্ছেন। জেনারেশন জেড আহমদিয়া মুসলমানদের শিল্প কারখানা পুড়িয়ে দিচ্ছে। সুফি মুসলমানদের মাজার ও দরগাগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে ইসলামি সন্ত্রাসীরা। ইউনূস এ বিষয়ে কিছুই বলেন না’।

    আরও পড়ুন: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির পাশাপাশি ইসলামপন্থী ও অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার দল ঘনিষ্ঠ হিন্দু সাংবাদিকদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে। ৫ অগাস্টের পর থেকে হত্যা করা হয়েছে বেশ কিছু সাংবাদিককে। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে (Minority Teachers) দায়ের হয়েছে ২৬৮টি মামলা। প্রসঙ্গত, সংরক্ষণকে ঘিরে অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। তার জেরেই শুরু হয় হিন্দুমেধ যজ্ঞ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: মোদির ১০ বছরে কাশ্মীরের ভাগ্য বদলে গিয়েছে, জানালেন দলের রাজ্য সভাপতি

    Jammu and Kashmir: মোদির ১০ বছরে কাশ্মীরের ভাগ্য বদলে গিয়েছে, জানালেন দলের রাজ্য সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দশ বছরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ভাগ্য এবং রাজনৈতিক চালচিত্র পরিবর্তন করে দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সবটাই উন্নয়নের ফলেই সম্ভব হয়েছে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনিই বার্তা দিলেন উপত্যকার বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি রবিন্দ রায়না। এদিন এই সম্মেলনে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিশেন রেড্ডি, জিতেন্দ্র সিং। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহেই এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, তাই এখন থেকেই বিজেপির প্রচারকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা শুরু হয়েছে।

    অনন্তনাগ-কুলগাম-শোপিয়ান-পুলওয়ামায় ব্যাপক সমর্থন (Jammu and Kashmir)

    জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি রায়না বলেন, “এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নিজেদের পূর্ণশক্তি দিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই করবে। ভোটের আগেই বিজেপির প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন পেতে শুরু করে দিয়েছেন। দলের প্রার্থীরা অনন্তনাগ, কুলগাম, শোপিয়ান এবং পুলওয়ামায় বিশেষ সমর্থন পেতে চলেছেন। আমি এই জন্য আমাদের রাজ্যের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রধানমন্ত্রীর জনমুখী নীতি আমাদের মানুষের সঙ্গে সংযোগকে আরও দৃঢ় করেছে। গত দশ বছরের গঠনমূলক উন্নয়নে কাশ্মীরের প্রত্যেক শিশু বলতে শিখেছে, “হর হর মোদি, ঘর ঘর মোদি।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের বিগত সরকার বিশেষ করে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি যুগে মানুষের জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। পাথর ছোড়া এবং বন্দুকের গুলি ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। রাজ্যের উন্নয়নে তাঁরা কোনও কাজ করেননি। কিন্তু কেন্দ্রে মোদিজির নেতৃত্বে বিরাট উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে এই রাজ্য। ধারা ৩৭০ বাতিল করা হয়েছে। এক বিধান, এক নিশান এবং এক প্রধানের মূল মন্ত্র এখন কাশ্মীরে মানুষ গাইছেন।”

    আরও পড়ুনঃহিন্দু মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, স্বামীর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত

    গতবারের বিধানসভায় ফলাফল কেমন ছিল?

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ভোটগ্রহণ হবে ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর। গণনা হবে ৮ অক্টোবর। মোট আসনের ৭টি আসন তফশিলি জাতি, ৯টি আসন তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। মোট ভোটার ৮৮.০৬ শতাংশ। গতবারের নির্বাচনে মোট আসনের পিডিপি পেয়েছিল ২৮টি, বিজেপি ২৫টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ১৫টি, এবং কংগ্রেস ১২টি। পিডিপি এবং বিজেপি মিলে মুফতি মহম্মদ সাঈদের নেতৃত্বে সরকার গঠন হয়। পড়ে মুফতি মারা গেলে মেয়ে মেহবুবা মুফতি মুখ্যমন্ত্রী হন। পরবর্তী সময়ে বিজেপি মেহবুবার থেকে সমর্থন তুলে নেয়। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ধারা ৩৭০ বাতিল হয়।  এরপর এবার হবে নির্বাচন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Convert Islam: হিন্দু মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, স্বামীর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত

    Convert Islam: হিন্দু মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, স্বামীর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৩ অগাস্ট উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) কবিনগর পুলিশ স্টেশনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। যেখানে ৫৫ বছর বয়সি সুশীলকুমার শর্মা, ফয়সাল খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে ব্রেনওয়াশ করে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত (Convert Islam) করার চেষ্টা করেছেন। প্রসঙ্গত সুশীল কুমারের স্ত্রীর সহকর্মী হলেন অভিযুক্ত ফয়সাল খান। নিজের অভিযোগপত্রে, সুশীল শর্মা আরও জানিয়েছেন যে ফয়সাল খান জোরপূর্বক এই ধর্মান্তকরণ করতে চেয়েছিল। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ।

    পেশায় স্কুল শিক্ষিকা সুশীলের স্ত্রী (Convert Islam)

    ওই এফআইআর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে সুশীল শর্মার স্ত্রী ৪৮ বছর বয়সি ওই মহিলা বর্তমানে একটি স্কুলের শিক্ষিকা এবং বিগত ১৩ বছর ধরে তিনি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেখানেই কম্পিউটার শেখাতেন অভিযুক্ত ফয়সাল। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর সুশীল শর্মার স্ত্রী হঠাৎই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান এবং তাঁকে দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের গোবিন্দপুরানে, এই জায়গা ফয়সালের (Convert Islam) বাড়ি ঢিল ছোড়া দূরত্বে। তখন থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে।

    সুশীল শর্মার স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন (Convert Islam)

    এরপর হঠাৎই একদিন বাড়িতে সুশীল শর্মার স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। শুধু তাই নয়, শাঁখা-সিঁদুর-টিপ এই সমস্ত কিছু আর তিনি পরছিলেন না। এতেই সন্দেহ জাগে। এরপরেই  পুলিশের দ্বারস্থ হন সুশীল শর্মা। সুশীল শর্মা অভিযোগ তুলেছেন যে ফয়সাল শেখ তাঁর স্ত্রীকে প্রলোভন (Ghaziabad) দেয় রাজকোটের একটি স্কুলে মোটা মাইনের চাকরিরও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: ফের প্রশ্নে বাংলার নারী নিরাপত্তা! নাবালিকা রোগী ও নার্সের শ্লীলতাহানির অভিযোগে তোলপাড়

    West Bengal: ফের প্রশ্নে বাংলার নারী নিরাপত্তা! নাবালিকা রোগী ও নার্সের শ্লীলতাহানির অভিযোগে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর আবহের মধ্যেই রাজ্যের (West Bengal) দুই হাসপাতালে ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। একটি বীরভূমে, অপরটি হাওড়াতে। বীরভূমের ইলামবাজার স্বাস্থ্য়কেন্দ্রে এক নার্সকে শনিবার রাতে শ্লীলতাহানি (Crime Aganist Woman) করে এক রোগী-এমনটাই অভিযোগ। অন্যদিকে, হাওড়া জেলা হাসপাতালে ১২ বছরের এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে ল্যাব টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে।

    বীরভূমের ঘটনা 

    শনিবার রাতেই বীরভূম জেলার ইলামবাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (West Bengal) এক নার্সকে এক রোগী কর্তব্যরত অবস্থায় শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং আরজিকরের ঘটনার পরেও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা যে সে অর্থে গড়ে ওঠেনি এই ঘটনাই তার প্রমাণ, এমনটাই বলছেন কেউ কেউ। জানা গিয়েছে, ইলামবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে রোগী ভর্তি ছিলেন তাঁর চিকিৎসা চলাকালীন ওই নার্স স্যালাইনের বোতল দেখাশোনা করছিলেন। তখনই ওই নার্সকে শ্লীলতাহানি করেন ওই রোগী, এমনটাই অভিযোগ। পরবর্তীকালে সংবাদমাধ্যমকে ওই নার্স বলেন, ‘‘আমি শুধুমাত্র ডাক্তারের নির্দেশ পালন করছিলাম। সেই সময় আমাকে শ্লীলতাহানি করা হয়। শুধু তাই নয়, আমার গোপনাঙ্গেও হাত দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি অশ্লীল শব্দও প্রয়োগ করেন ওই রোগী।’’ এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

    হাওড়া জেলা হাসপাতালের ঘটনা (West Bengal)

    একইভাবে হাওড়াতে এক নাবালিকাকে জেলা হাসপাতালে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ (Crime Aganist Woman) উঠেছে এক ল্যাব টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছিল ওই নাবালিকা। সিটি স্ক্যানের ঘরে ওই নাবালিকাকে যখন ঢোকানো হয় তখন তার পরিবারের কাউকে সেখানে ঢুকতে দেয় না অভিযুক্ত। সিটি স্ক্যানের ঘরেই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টাও করে অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই (West Bengal) এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে লেখেন, ‘‘এই ঘটনাই প্রমাণ করছে পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের নিরাপত্তা ঠিক কতটা!’’ পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat sleeper coach: বন্দে ভারত স্লিপার কোচের পরীক্ষামূলক সূচনা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

    Vande Bharat sleeper coach: বন্দে ভারত স্লিপার কোচের পরীক্ষামূলক সূচনা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বন্দে ভারত স্লিপার কোচের (Vande Bharat sleeper coach) পরীক্ষামূলক সংস্করণের সূচনা করেছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি যাত্রীদের জন্য সচল হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আগেই দেশ জুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এবার স্লিপার কোচের পরীক্ষালব্ধ ট্রেনের সূচনা হয়েছে। একই ভাবে এদিন ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (BEML) প্রাঙ্গনে একটি নতুন বন্দে ভারত উৎপাদন কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

    আগামী দশ দিন হবে পরীক্ষালব্ধ ট্রায়াল(Ashwini Vaishnaw) 

    রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) সাংবাদিকদের বলেন, “স্লিপার কোচ এবার পরীক্ষার জন্য ট্র্যাকে ব্যবহার করা হয়েছে। আগামী দশ দিনের জন্য কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হবে। বন্দে ভারত চেয়ার কারের পরে, আমরা বন্দে ভারত স্লিপারের কাজ সম্পন্ন করেছি। নির্মাণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এই ট্রেনটির বিইএমএল সুবিধা থেকে ট্রায়াল এবং পরীক্ষার জন্য যাত্রার সূচনা করা হবে। তবে একবার বন্দে ভারত স্লিপার (Vande Bharat sleeper coach) গাড়িগুলির পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ সঠিকভাবে সাফল্য পেলে তারপর লাগাতার আরও ট্রেন তৈরির কাজ শুরু হবে। বন্দে ভারত স্লিপার গাড়িগুলিতে একাধিক নতুন বৈশিষ্ট্য চালু করা হয়েছে। একটি নতুন ট্রেনের ডিজাইন করা খুব জটিল কাজ। ক্রমাগত বন্দে ভারত ট্রেনের ডিজাইন উন্নত করার কাজ চলছে। আমরা অভিজ্ঞতা থেকে শিখছি এবং আরও প্রযুক্তির উন্নতি করছি। আগামী দিনে বন্দে ভারত মেট্রোর জন্যও একই পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ “চিন মৌলিক সমস্যা, কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও”, বললেন জয়শঙ্কর

    ১৬ কোচ এবং ৮০০-১২০০ কিমি কভার করবে ট্রেন

    রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) আরও বলেন, “রেলওয়ে চারটি কনফিগারেশনে কাজ করছে—বন্দে ভারত চেয়ার কার, বন্দে ভারত স্লিপার কার (Vande Bharat sleeper coach), বন্দে ভারত মেট্রো গাড়ি এবং অমৃত ভারত। মানুষের ভ্রমণের চাহিদা অনুযায়ী এগুলি ব্যবহার করা হবে। বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনটিতে ১৬টি কোচ থাকবে। এটি ৮০০ কিলোমিটার থেকে ১২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের গন্তব্যকে কভার করবে। ট্রেনের অভ্যন্তরে অক্সিজেনের মাত্রা, ভাইরাস সুরক্ষা, রোগ সংক্রমণ বিষয়ক একাধিক বিষয় রাখা থাকবে। এই ট্রেনের ভাড়া হবে মধ্যবিত্তদের সাধ্যের মধ্যে। প্রায় রাজধানী এক্সপ্রেসের সমান হবে টিকিটের মূল্য। বন্দে ভারতে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “ভারতীয় রেলওয়ে দিনে ১৩ লক্ষ খাবার পরিবেশন করে এবং অভিযোগ ০.০১ শতাংশের কম। তবে এখনও আমরা আসা অভিযোগগুলি সম্পর্কে খুব উদ্বিগ্ন এবং আমরা ক্যাটারারদের পাশাপাশি সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে খুব কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kakali Ghosh Dastidar: মহিলা চিকিৎসক নিয়ে কুমন্তব্য! বেগতিক বুঝে ক্ষমাপ্রার্থী তৃণমূল সাংসদ কাকলি

    Kakali Ghosh Dastidar: মহিলা চিকিৎসক নিয়ে কুমন্তব্য! বেগতিক বুঝে ক্ষমাপ্রার্থী তৃণমূল সাংসদ কাকলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মহিলা চিকিৎসককে অসম্মানসূচক মন্তব্য তৃণমূলের মহিলা চিকিৎসক সাংসদেরই (TMC MP)! একজন মহিলা হয়ে কীভাবে আরেক মহিলাকে এহেন কুমন্তব্য করলেন? এই প্রশ্ন এখন রাজনীতির আঙ্গিনায় শোরগোল ফেলেছে। ঘটনায় তৃণমূল দল ব্যাপক অস্বস্তির মধ্যেও পড়েছে। এরপর পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ক্ষমা চাইলেন বারাসত লোকসভার সাংসদ কাকালি ঘোষ দস্তিদার (Kakali Ghosh Dastidar)।

    ছাত্রীকে কোলে বসিয়ে পাশ (Kakali Ghosh Dastidar)!

    এক বিতর্ক সভায় তৃণমূল সাংসদ কাকলি (Kakali Ghosh Dastidar) বলেন, “ছাত্রীকে কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার একটা চল শুরু হয়েছে। আমি তীব্র নিন্দা করি। আমার ছেলেরা নিন্দা করেছিল বলে কম নম্বর দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা এখন প্রথিতযশা চিকিৎসক। মুখ খুললে থিসিস আটকে দেওয়া হবে, আমি এটা ভাবতে পারিনি।” এরপর চিকিৎসক মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়, একাধিক সংগঠন তীব্র আপত্তি জানিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করে। এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। বিতর্ক সভায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

    চিকিৎসক সংগঠনের দাবি বহিষ্কার

    এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির চিকিৎসকেরা বিবৃতি দিয়ে বলেন, “কাকলির (Kakali Ghosh Dastidar) ওই মন্তব্য অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং নিন্দনীয়। এই মন্তব্য মহিলা চিকিৎসকের যোগ্যতা ও পরিশ্রমকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য। তাঁকে অবিলম্বে এই সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই।” আবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফেডারেশেনের তরফে সঞ্জয় হোম চৌধুরী এবং কৌশিক চাকি লিখিত বিবৃতি দিয়ে বলেন, “তাঁর এই মন্তব্য গোটা দেশের মহিলা চিকিৎসকদের জন্য অসম্মানজনক। মন্তব্য প্রত্যাহার করার পাশাপাশি অবিলম্বে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে কাকলিকে।’’

    আরও পড়ুনঃ ২ সেপ্টেম্বর ন্যায় বিচারের দাবিতে লালবাজার অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    চাপে পড়ে ক্ষমা চাইতে হল

    উল্লেখ্য নিজেও তিনি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ছিলেন। কুমন্তব্যের চাপে কাকলি (Kakali Ghosh Dastidar) ঘোষ দস্তিদার ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমি নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছি, যদি ওই মন্তব্যের জন্য কেউ আঘাত পান, আমি তার জন্য দুঃখিত। আমার (TMC MP) মন্তব্য আমি প্রত্যাহার করছি। আমি সব সময় মেয়েদের সুরক্ষার পক্ষেই কথা বলি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: ২ সেপ্টেম্বর ন্যায় বিচারের দাবিতে লালবাজার অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar Rape-Murder: ২ সেপ্টেম্বর ন্যায় বিচারের দাবিতে লালবাজার অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Rape-Murder) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে ঘরের আলো এক ঘণ্টা নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালানোর ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। সহকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে এক সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। মনি স্কোয়ারে প্রতিবাদ সভা করবেন তাঁরা, একই সঙ্গে প্রতিবাদ করবেন যাদবপুর কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ এবং সাউথ সিটি মলে। তাঁদের দাবি একটাই, অবিলম্বে দোষীরা শাস্তি পাক। অপর দিকে সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানিতে সিবিআই ভালো রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে বলে জানান ডাক্তাররা।

    রাত ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত আলো নেভানোর ডাক (RG Kar Rape-Murder)

    সাংবাদিক সম্মেলন করে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বর অভয়ার (RG Kar Rape-Murder) ন্যায় বিচারের দাবিতে লালবাজার অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই দিন কলেজ স্কোয়ার থেকে দুপুর দুটোর সময় মিছিল করে লালবাজারে যাওয়া হবে। ৪ সেপ্টেম্বর নিজেদের ঘরের আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ করার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে আহ্বান করে তাঁরা বলেন, ওই দিন রাত ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত যেন সকলের ঘরের আলো নিভিয়ে রাখেন। একই সঙ্গে প্রদীপ জ্বালিয়ে যেন প্রতীকী প্রতিবাদ জানান সকলে। এক চিকিৎসক বলেন, “আলো নেভানো মানে হল বিচারের আশার অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা।” একই ভাবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি আছে। সেই দিকেও নজর থাকবে জুনিয়র ডাক্তারদের। ন্যায় বিচারের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করে করে যাবেন তাঁরা।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, নেতাজি ইন্ডোরে কনসার্ট পিছিয়ে দিলেন শ্রেয়া ঘোষাল

    শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্টে ইতিবাচক রিপোর্ট?

    প্রায় ২০ হাজার ডাক্তার অভয়ার (RG Kar Rape-Murder) ন্যায় বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন শনিবার। তাঁরা ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে সিজিও পর্যন্ত পদযাত্রা করেছিলেন। তাঁদের এক প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে। এরপর বাইরে এসে সাংবাদিকদের ডাক্তাররা বলেন, “গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্টে ইতিবাচক রিপোর্ট দেবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সর্বশক্তি দিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। তদন্ত নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত ভালো ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। আমাদের কাছে আরও কিছু নামের তালিকা ছিল, তা তদন্তকারী অফিসারদের দিয়েছি। দ্রুত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেছি। এমনকী তাদের মধ্যে যারা প্রধান সন্দেহের তালিকায় রয়েছে সেই বিষয়ও উপস্থাপন করেছি আমরা।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  RG Kar: আরজি কর-কাণ্ডে সরব, সাংবাদিকের ফোন নং ব্লক করার অভিযোগ মমতা সরকারের বিরুদ্ধে

     RG Kar: আরজি কর-কাণ্ডে সরব, সাংবাদিকের ফোন নং ব্লক করার অভিযোগ মমতা সরকারের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদ জানানোয় সাংবাদিক অভিজিৎ মজুমদারের ফোন নম্বর ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মমতা সরকারে (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে। এনিয়ে সরব হয়েছেন সাংবাদিক। এই ঘটনাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ওই সাংবাদিক। এতে ভারতীয় সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকারও খর্ব হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সাংবাদিক অভিজিৎ মজুমদার।

    নাগরিক সমাজের আওয়াজ দমন (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের পঞ্চম অধ্যায়ে রয়েছে মৌলিক অধিকার, এখানকার ১৯ (এ) ধারাতে বাক-স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আরজি কাণ্ডের পর থেকেই নাগরিক সমাজের আওয়াজকে দমন করতে মমতা সরকার (Mamata Banerjee) একাধিক পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে, যা সংবিধান বিরোধী বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অভিজিৎ মজুমদারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা সামনে এল। প্রসঙ্গত, গত ৩০ অগাস্ট সাংবাদিকের এয়ারটেলের নম্বর ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। সেই দিনই ট্যুইট করেন অভিজিৎ এবং জানান পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কথামতো এয়ারটেল তাঁর ফোন নং ব্লক করে দিয়েছে।

    কী বললেন সাংবাদিক?

    এরপরেই এয়ারটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন ওই সাংবাদিক। এয়ারটেল তাঁকে জানায়, সন্দেহজনক গতিবিধির কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এনিয়ে অভিজিৎ লেখেন, ‘‘হয়তো কলকাতার ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুন নিয়ে (RG Kar) আমি বেশি কথা বলে ফেলছিলাম, তাই আমার মুখ বন্ধ করতেই এমন উদ্যোগ নিল সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “চিন মৌলিক সমস্যা, কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “চিন মৌলিক সমস্যা, কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন (China) হল মৌলিক সমস্যা। এ সমস্যা কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও।” কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে বক্তব্য রাখতে দিয়ে তিনি বলেন, “কয়েক দশক আগে সবাই সচেতনভাবে চিনা উৎপাদনের প্রকৃতিকে উপেক্ষা করেছিল। তারাই এখন অভিযোগ করছে।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)?

    এই অনুষ্ঠানেই জয়শঙ্কর বলেন, “চিন একটি মৌলিক সমস্যা। কারণ এর একটি অনন্য শাসন ব্যবস্থা ও অর্থনীতি রয়েছে। এটা কেবল ভারতের সমস্যা নয়। আজ মানুষ চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ করছে। এর কারণ, কয়েক দশক আগে আমরা সকলেই সচেতনভাবে চিনা উৎপাদনের প্রকৃতি ও তারা যে সুবিধাগুলি ভোগ করত, সেগুলিকে উপেক্ষা করেছিলাম। তাদের সুবিধাগুলি বিবেচনা না করেই সমান প্রতিযোগিতার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল চিনকে।” বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “চিনের বিষয়ে একটা সাধারণ সমস্যা রয়েছে। আমরা বিশ্বের একমাত্র দেশ নই, যাদের চিনকে নিয়ে সমস্যা রয়েছে।”

    প্রসঙ্গক্রমে এল ইউরোপ, আমেরিকা

    ইউরোপ আমেরিকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ইউরোপে যান। তাদের জিজ্ঞেস করুন। আজকের দিনে তাদের প্রধান অর্থনৈতিক বা জাতীয় নিরাপত্তা বিতর্কগুলোর মধ্যে কী রয়েছে? তা হল চিন। আমেরিকার দিকে তাকান। তারাও চিন নিয়েই মগ্ন এবং অনেক দিক থেকেই তা যথার্থ।” অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “আপনার যখন একাধিক প্রতিবেশী থাকে, তখন কী হয়?” 

    আরও পড়ুন: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কগুলি সংজ্ঞা (প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক) অনুসারে খুব জটিল। তারা সবাই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রয়েছে। তাই সরকার পরিবর্তিত হবে এবং তাদের দেশে রাজনৈতিক বিতর্কও থাকবে। আমরা প্রায়ই সেই বিতর্কগুলির কেন্দ্রে থাকব। এটা স্বাভাবিক। কারণ আমরা একটি বড় দেশ। আমাদের প্রত্যাশা করা উচিত, পরিকল্পনা করা উচিত এবং আমাদের নীতির মধ্যে এই প্রত্যাশা তৈরি করা উচিত যে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কে কিছু পরিবর্তন আসবে। এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন হবে স্বাভাবিকভাবে, আর কিছু হবে বাধ্যতামূলক।”

    জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে (China) পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তি খুঁজে বের করতে হবে ভারতকে। ভারত সেই দিনের সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share